• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Javelin

খেলার দুনিয়া

৯০ মিটারের লক্ষ্যভেদ করেও, দোহায় চ‍্যাম্পিয়ন হতে পারলেন না অলিম্পিক্স সোনাজয়ী নীরজের

ভারতীয় জ্যাভলিন তারকা নীরজ চোপরা ২০২৫ দোহা ডায়মন্ড লিগে তার ক্যারিয়ারের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছেন। তিনি প্রথমবার ৯০ মিটার সীমা অতিক্রম করে ৯০.২৩ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন নিক্ষেপ করেন, যা তার ব্যক্তিগত সেরা এবং ভারতের নতুন জাতীয় রেকর্ড। এই কৃতিত্বের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের ২৫তম এবং এশিয়ার তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে ৯০ মিটার ক্লাবে প্রবেশ করেন।এই প্রতিযোগিতায় চোপরা তার তৃতীয় প্রচেষ্টায় এই রেকর্ড গড়েন। তবে, জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার শেষ রাউন্ডে ৯১.০৬ মিটার নিক্ষেপ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন, ফলে চোপরা রৌপ্য পদক পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।এই রেকর্ড অর্জনের পর চোপরা বলেন, আমি আবারও ৯০ মিটারের বেশি নিক্ষেপ করতে পারি, যা তার আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তার এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই অসাধারণ কৃতিত্ব তার কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং আবেগের ফলাফল। ভারত গর্বিত।A spectacular feat! Congratulations to Neeraj Chopra for breaching the 90 m mark at Doha Diamond League 2025 and achieving his personal best throw. This is the outcome of his relentless dedication, discipline and passion. India is elated and proud. @Neeraj_chopra1 pic.twitter.com/n33Zw4ZfIt Narendra Modi (@narendramodi) May 17, 2025এই কৃতিত্ব চোপরার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, এবং তিনি ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মে ১৭, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বর্ষা শেষে বর্শায় সোনা গাঁথল সোনার ছেলে নীরজ, ইতিহাস গড়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে প্রথম স্বর্ণপদক

প্রথম ভারতীয় হিসাবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিটে জ্যাভলাইন সোনার পদক জিতলেন নীরজ চোপরা। চূড়ান্ত পর্বে ফাইনালে ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে ইতিহাস গড়লেন অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী ভারতেরএই সোনার ছেলে।নীরজের ট্রাম্প কার্ড সাধারণত প্রথম থ্রোয়েতেই লুকানো থাকে। ফাইনালে সেই কার্ড কাজে না এলেও সোনা পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। ফাইনালে নীরজের প্রথম থ্রো ফাউল হয়। নীরজ তাঁর দ্বিতীয় থ্রোতেই ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে বিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ঠিক যেমন যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৮৮.৭৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে এক থ্রোয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। সেই এক থ্রোয়েই নীরজ প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনও করে ফেলেছেন।.@Neeraj_chopra1 brings home a historic gold for India in the javelin throw 👏#WorldAthleticsChamps pic.twitter.com/YfRbwBBh7Z World Athletics (@WorldAthletics) August 27, 2023কিন্তু ফাইনালে প্রথম থ্রোটি ফাউল করে ফেলেন নীরজ। দ্বিতীয় থ্রোতে আর কোনও ভুল করেননি তিনি। সারা দেশের রাত জাগা সফল করে ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়েই উল্লাসে চিৎকার করে ওঠেন। প্রতিপক্ষের পরিসংখ্যান তার জানায় ছিল। তাই হয়ত নিজে বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন যে, তাঁকে টপকানো একটু চাপ আছে। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন পাকিস্থানের নাদিম, তিনি ৮৭.৮২ মিটার দুরুত্বে জ্যাভলিন ছোঁড়েন। ভারতের ওপর দুই প্রতিযোগী জেনা ও মানু যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেন। জেনার সর্বোচ্চ দূরত্ব ছিল ৮৪.৭৭, এটি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এবং মানু ছোঁড়েন ৮৪.১৪ মিটার।অলিম্পিক্সে অ্যাথলেটিক্সে সোনা পদক প্রাপ্তির পর থেকেই নীরাজ চোপরার ওপর দেশ বাসীর আশা ক্রমশ উর্ধমুখী হয়ে উঠেছে। দেশের একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে তার সামাজিক মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা সর্বাধিক। ইন্সটাগ্রামে নীরজের ফলোয়ার ছয় মিলিয়ন। নীরজের জন্য ২০২১ সালের ৭ অগস্ট দিনটি ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে স্বর্নাক্ষরে লেখা আছে। অলিম্পিক্সে অ্যাথলেটিক্সে দেশকে সোনা এনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতের সোনার ছেলে।

আগস্ট ২৮, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

Neeraj Chopra : ১০০০ শতাংশ বেড়ে গেল নীরজ চোপড়ার দাম!‌ কোহলিদের সঙ্গে এক আসনে

ক্রিকেট না খেলেও বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে এক আসনে বসতে চলেছেন নীরজ চোপড়া? অলিম্পিকে একটা সোনা জয়ই বদলে দিয়েছে ছবিটা। অলিম্পিক যাওয়ার আগে নীরজ চোপড়ার ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট যা ছিল, তা থেকে বেড়েছে ১০০০ শতাংশ। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই বাস্তব। আশা করা হচ্ছে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকে প্রতি বছর নীরজ চোপড়ার এখন আয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।নীরজ চোপড়ার এই আয় বৃদ্ধি কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। অলিম্পিকে ব্যক্তিগত বিভাগে তিনি দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে সোনা জিতেছেন। আর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম। সুতরাং তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার যে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে নীরজ চোপড়ার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়িয়ে নিয়েছে তাঁর জনসংযোগ বিষয় দেখাশোনাকারী সংস্থা JSW। এই সংস্থাটিই সোনাজয়ী অ্যাথলিটের জনসংযোগ অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে।দেশে ক্রিকেটের বাইরে নীরজ চোপড়াই প্রথম ক্রীড়াবিদ, যার ব্র্যান্ড ভ্যালু দ্রুত এতটা বেড়েছে। অলিম্পিকে সোনাজয়ী এই অ্যাথলিটের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আরও পাঁচছটি সংস্থা অপেক্ষা করে আছে। নীরজের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা জেএসডব্লুর এক কর্তা বলেছেন, নীরজ চোপড়ার এনডোর্সমেন্ট ফি ১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, তার বাইরে আরও পাঁচছটি সংস্থা নীরজ চোপড়াকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে চায়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিলাসবহুল অটো এবং পোশাক ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। অলিম্পিকে সোনাজয়ী এই অ্যাথলিট ইতিমধ্যেই বাইজু, টাটা এআইএ লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং একটি শীর্ষ ফার্মাসিউটিকালের সাথে চুক্তি করেছেন। এছাড়া জিলেট, এক্সন মোবাইল এবং মাসল ব্লেজেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নীরজ চোপড়া।নতুন সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হলে নীরজ চোপড়ার এনডোর্সমেন্ট থেকে বছরে আয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। যা তাঁকে বিরাট কোহলিই, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে এই আসনে বসাবে। এই মুহূর্তে কোহলি প্রতি বছর ১ থেকে ৫ কোটি টাকা এনডোর্সমেন্ট থেকে আয় করেন। ধোনির এনডোর্সমেন্ট থেকে আয় প্রায় তেমনই। এদের দুজনের থেকে অবশ্য কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন রোহিত শর্মা। ক্রিকেটের বাইরে অন্য কোনও খেলার ক্রীড়াবিদ এনডোর্সমেন্ট থেকে এত অর্থ উপার্জন করেননি। অলিম্পিকে একটা সোনাই বদলে দিয়েছে নীরজ চোপড়ার জীবন। কোহলিদের পাশাপাশি এখন তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Para Olympics : নীরজে উদ্বুদ্ধ দেবেন্দ্র প্যারালিম্পিকে দেশকে এনে দিলেন রুপো

জ্যাভেলিনে দেশ যে অনেকটাই এগিয়েছে, অলিম্পিক গেমসেই তার প্রমাণ মিলছে। টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভেলিন থ্রোতে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন নীরজ কুমার। প্যারালিম্পিকেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখলেন ভারতের জ্যাভেলিন থ্রোয়াররা। টোকিও প্যারালিম্পিকের পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্ট থেকে দুটি পদক জিতল ভারত। দেশকে রুপো এনে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। একই ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সুন্দর সিং গুর্জর। ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। তাঁকে নিয়ে দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু টোকিও প্যারালিম্পিকে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হল দেবেন্দ্রকে। পুরুষদের এফ ৪৬ বিভাগে রুপো জিতেছেন তিনি। রুপো জেতার পথে দেবেন্দ্র বর্শা নিক্ষেপ করেন ৬৪.৩৫ মিটার। এটাই তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ দুরত্ব অতিক্রম করা। অন্যদিকে ৬২.৫৮ মিটার ছুঁড়ে ব্রোঞ্জ জেতেন সুন্দর সিং গুর্জর। এটা তাঁর মরশুমের সেরা দুরত্ব অতিক্রম করা। তিনজন ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট টোকিও গেমসে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। দেবেন্দ্র, সুন্দর ছাড়াও ছিলেন অজিত। এদিন প্রতিযোগিতায় প্রথম প্রচেষ্টায় দেবেন্দ্র ছোঁড়েন ৬০.২৮ মিটার। অন্যদিকে সুন্দর সিং গুর্জর ছোঁড়েন ৬২.৫৮ মিটার। এই দুজনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন অজিত। তিনি ছোঁড়েন ৫৬.১৫ মিটার। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দেবেন্দ্র ছোঁড়েন ৬০.৬২ মিটার। তৃতীয় প্রচেষ্টায় নিজের রেকর্ড ছাপিয়ে তিনি ছোঁড়েন ৬৪.৩৫ মিটার। কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগী দীনেশ প্রিয়ান হেরাথ মুদিয়ানসেলাজে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে তাঁর তৃতীয় প্রচেষ্টায় ছোঁড়েন ৬৭.৭৯ মিটার।আরও পড়ুনঃ প্যারালিম্পিকে ডিসকাস থ্রোতে রুপো জিতলেন যোগেশ কাথুনিয়াঅন্যদিকে, প্রথম প্রচেষ্টায় ভাল ফল করলেও তৃতীয় ও চতুর্থ প্রচেষ্টায় ফাউল করেন সুন্দর সিং গুর্জর। তাঁর পঞ্চম থ্রোতে ৬৪.০১ মিটার ছুঁড়ে ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে অজিত প্রথম প্রচেষ্টায় যে দুরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করেছিলেন, বাকি প্রচেষ্টায় তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ছোঁড়েন ৫২.৩৬ মিটার। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ কুমারে সোজা জয় তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে দাবি করেছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। প্যারালিম্পিকে রুপো জেতার পর তিনি বলেন, নীরজের সোনা জয় দেশের জ্যাভেলিন থ্রোয়ারদের প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে। আমাকেও দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। টোকিও প্যারালম্পিকের পর আশা করছি জ্যাভেলিন থ্রো দেশের দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হবে।

আগস্ট ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Chopra : সেনাবাহিনী থেকে অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া

টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন নীরজ চোপড়া। টোকিও থেকে দেশে ফেরার পর সংবর্ধনার জোয়ারে ভেসেই চলেছেন। বাড়ছে স্বীকৃতির তালিকাওয। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি, সবাই কুর্নিশ জানিয়েছেন। এবার আরও বড় সম্মান দিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নীরজের নামে একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করতে চলেছে।আরও পড়ুনঃ তালিবান জমানায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?পুণেতে সাদার্ন কমান্ডের আর্মি স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের নামকরণ করা হবে নীরজের নামে। আগামী ২৩ অগস্ট, সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসবেন। সেনাবাহিনির প্রধান এমএম নরাবণে এবং সাদার্ন আর্মি কমান্ডারের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএস নৈনেরও হাজির থাকার কথা। নীরজ নিজেও হাজির থাকবেন।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরঅলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা জেতা নীরজ চোপড়া শুধু দেশ নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও গর্বিত করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত। রাজপুতানা রাইফেলসে সুবেদার পদে কাজ করেন। ২৩ বছরের অ্যাথলিটকে নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্বের শেষ নেই। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ পুনের সেনা স্টেডিয়াম নীরজের নামে চিহ্নিত হতে চলেছে। এর আগে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করা নীরজ চোপড়ার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে। ২৩ বছরের অ্যাথলিটের পরিবার সদস্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। এবার উন্নত পরিকাঠামোর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামটি নীরজের নামে নামাঙ্কিত করে তাঁকে অনন্য সম্মান দিতে চলছে ভারতীয় সেনা। পুনের এই আর্মি স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামে সিন্থেটিক ট্র্যাকের পাশাপাশি দর্শকদের বসার জায়গাও রয়েছে।আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনী থেকে অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়াটোকিও অলিম্পিকের পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালে ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব বর্শা নিক্ষেপ সক্ষম হয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। সোনা জিতে দেশের মুখ তিনি উজ্জ্বল করেছিলেন। টোকিও অলিম্পিকের ওই ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও প্রথম হয়েছিলেন নীরজ। ওই রাউন্ডে ৮৬.৬৫ দূরত্বে বর্শা ছুঁড়েছিলেন ভারতের গর্ব। ১৩ বছর পর অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জেতা অ্যাথলিটের পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করা। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও দেশের হয়ে সোনা জিততে চান নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। একই সঙ্গে ১২১ বছর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া ইভেন্টের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে পদক জিততে সক্ষম হয়েছে ভারত। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জিতেছিলেন শুটার অভিনব বিন্দ্রা। নীরজের হাত ধরে ১৩ বছর পর ফের একই রকম সফলতার স্বাদ পেল দেশ।

আগস্ট ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Neeraj Chopra : নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?‌

তিনি কোনও বলিউডি তারকা নন। দেশের কোনও রাজনৈতিক নেতাও নন। কিংবা ক্রিকেট, ফুটবলের কোনও সুপারস্টারও নন। সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে তাঁর যে অনুরাগীর সংখ্যা বেশি থাকবে এমন প্রত্যাশা করাটাই অন্যায়। অলিম্পিকে একটা সোনা জয়ই বদলে দিয়েছে আবহ। নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা একলাফে পৌঁছে গেছে আড়াই লক্ষর বেশি।আরও পড়ুনঃ লর্ডস টেস্টে হাজির থাকলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না সৌরভ গাঙ্গুলিকে, কেন? জানতে পড়ুনঅলিম্পিকে যাওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা ছিল ৫০এরও কম। টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার পর ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের এই পোস্টার বয়কে ফলো করতে শুরু করেন অনেকেই। আর সেই সংখ্যাটাআ রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো জায়গায় পৌঁছে গেছে। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে নীরজ চোপড়ার অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষর কাছাকছি পৌঁছে গেছে।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিকের আগে ২৫ দিন অনুশীলন করতে পারেননি বজরং পুনিয়া। কারন জানেন?সোনা জয়ী এই অ্যাথলিট অবশ্য অনুসরণ করেন মাত্র ১৬০ জনকে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন বলিউডের দুই অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও রনদীপ হুডা। রুপোলি পর্দার এই দুই তরকাকে ফলো করার বড় কারণ হল দুজনেই খেলাধুলা ও শরীরচর্চা ভালবাসেন। পঞ্চাশ বছর পার করলেও অক্ষয় কুমার এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। রনদীপ হুডাও সময় পেলেই সাঁতার এবং ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সময় কাটান। এক সময় জাতীয় স্তরে সাঁতার ও ঘোড়সওয়ারিতে পদকও জিতেছিলেন রনদীপ হুডা। তাই নীরজের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন এই দুই অভিনেতা। নীরজ চোপড়ার অনুসরনের তালিকায় এই দুজন ছাড়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পিভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, বীজেন্দ্র সিংহ, দীপক পুনিয়া, বক্সার মনোজ কুমার, মীরাবাই চানুর মতো ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও।

আগস্ট ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Chopra : ‌আবেগে কেঁদে ফেললেন, মিলখা সিংকে সোনা উৎসর্গ নীরজ চোপড়ার

মাস দেড়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী অ্যাথলিট মিলখা সিং। খুব অল্পের জন্য তিনি স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি। ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে এগিয়ে থেকেও ২০০ মিটার দৌড়ে ফটো ফিনিশে চতুর্থ হয়েছিলেন। অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন হাতছাড়া হয়েছিল। জীবনের শেষবেলায় চেয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে তাঁর সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হোক। মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, টোকিও অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতীয় অ্যাথলিটদের গলায় সোনার পদক দেখতে চান। তাঁর ইচ্ছে পূরণ হল। কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না মিলখা সিং। অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দেশকে সোনা এনে দিয়ে সেই মিলখা সিংকেই উৎসর্গ করলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া১২১ বছর পর অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে জ্যাভেলিনে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন নীরজ চোপড়া। ইতিহাস রচনাকারী জ্যাভলিন থ্রোয়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। ১৩ বছর পর অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জয়ের আবেগে ভেসেছেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আবেগতাড়িত হয়েছেন নীরজ নিজেও। শুধু মিলখা সিংকে নিজের সোনা উৎসর্গ করে থেমে থাকেননি, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন আবেগে কেঁদে ফেলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট।আরও পড়ুনঃ বাবাকে দেওয়া কথা রেখে ব্রোঞ্জ জিতলেন বজরং পুনিয়াঅলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে কেবলমাত্র সোনাজয়ী দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তিন পদকজয়ী দেশের মধ্যে সবার ওপরে থাকে সোনাজয়ী দেশের জাতীয় পতাকা। পুরস্কার বিতরণীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় নীরজ নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট।আরও পড়ুনঃ বাভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকটোকিও অলিম্পিকের জ্যাভলিন থ্রো-র ফাইনালে কেবল সোনা জেতাই লক্ষ্য ছিল না নীরজ চোপড়ার। শনিবার তিনি দেশের হয়ে আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙতে চেয়েছিলেন। তা না হলেও বিশ্বমঞ্চে ভারতকে সম্মানিত করতে পেরে নিজেকে গর্বিত বলে মনে করছেন নীরজ চোপড়া। নীরজের দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত হন স্টেডিয়ামে হাজির তাঁর কোচ সহ অন্যান্য ভারতীয়রা। সেখান থেকেই এক তেরঙা সংগ্রহ করে তা গায়ে জড়িয়ে এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়ান আনন্দে আপ্লুত নীরজ। জড়িয়ে ধরেন প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও। ভারতীয় অ্যাথলিটকে এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা জানান একে একে সব দেশের জ্যাভলিন থ্রোয়াররা।

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Gold Medal:টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া

প্রথমবার অলিম্পিকে নেমেই বাজিমাত নীরজ চোপড়ার। টোকিওতে পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। ১২১ বছর পর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক এল ভারতের। ১৩ বছর পর ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন কোনও ভারতীয়। টোকিও অলিম্পিকে পোস্টার বয় হলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ ভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকপদক জয়ের সম্ভাবনা নিয়েই টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। নীরজ চোপড়াকে ঘিরে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল গোটা দেশ। প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল যোগ্যতা অর্জন পর্বের পারফরমেন্স। গ্রুপ এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনি ৮৬.৬৫ মিটার ছুঁড়ে ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মাপকাঠি ছিল ৮৩.৫০ মিটার। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন নীরজ চোপড়া। প্রথম থ্রো করার পরই তিনি নিশ্চিত হয়ে যান ফাইনালের ব্যাপারে। তারপরই প্রতিযোগিতার এরিনা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে ভারতশনিবার ফাইনালে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৭.০৩ মিটার ছোঁড়েন নীরজ। দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতে তিনি ৮৭.৫৮ মিটার ছোঁড়েন। টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের অন্যতম প্রধান দাবিদার হিসেবে ধরা হচ্ছিল জার্মানির জোহানেস ভেটেরকে। তিনি নীরজের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি। ভেটের ছোঁড়েন ৮২.৫২ মিটার। ৮৬.৬৭ মিটার ছুঁড়ে রুপো পেয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকুব ভালদেজ। ব্রোঞ্জ জিতেছেন চেক প্রজাতন্ত্রেই ভিটেস্লাভ ভেসেল। তিনি ছুঁড়েছেন ৮৫.৪৪ মিটার।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে কে হবেন ভারতের পোস্টার বয়? জানতে পড়ুনঅলিম্পিকে সোনা জিতলেও নিজের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি নীরজ কুমার। এই বছরই পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে ৮৮.০৭ মিটার ছুঁড়ে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। বছর চারেক আগেই ভারতের এই অ্যাথলিট বড় আসরে সাড়ম্বরে আগমনের বার্তা দিয়েছিলেন। ২০১৬তে অনূর্ধ্ব ২০ আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন। শুধু সোনা জেতাই নয়, ৮৬.৪৮ মিটার ছুঁড়ে জুনিয়র বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগে সোনা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে। ২০১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসেও দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া।আরও পড়ুনঃ সোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন রবি১৯০০ সালে শেষবার অ্যাথলেটিক্সে পদক জিতেছিল ভারত। সেবার দুটি রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করেছিলেন নর্মান প্রিচার্ড। তারপর অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে ভারতের কোনো পদক আসেনি। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রথম সোনা এসেছিল। শুটিংয়ে সোনা জিতে নজির গড়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। ১৩ বছর পর আবার অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা এল। টোকিওতে ইতিহাস রচনা করলেন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের পোস্টার বয় নীরজ চোপড়া।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন।History has been scripted at Tokyo! What @Neeraj_chopra1 has achieved today will be remembered forever. The young Neeraj has done exceptionally well. He played with remarkable passion and showed unparalleled grit. Congratulations to him for winning the Gold. #Tokyo2020 https://t.co/2NcGgJvfMS Narendra Modi (@narendramodi) August 7, 2021

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Neeraj Kumar : পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো–র ফাইনালে পৌঁছলেন নীরজ কুমার

পদক জয়ের সম্ভাবনা নিয়েই টোকিও অলিম্পিকে গিয়েছেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। পদক জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল করলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। পৌঁছে গেলেন পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোএর ফাইনালে। গ্রুপ এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনি ৮৬.৬৫ মিটার ছুঁড়ে ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়েছেন। অন্যদিকে, ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন আর এক জ্যাভলিন থ্রোয়ার শিবপাল সিং। এই প্রথম অলিম্পিকে নেমেছেন নীরজ চোপড়া। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে তাঁর কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকটাই। সেই প্রত্যাশাপূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মাপকাঠি ছিল ৮৩.৫০ মিটার। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন নীরজ চোপড়া। প্রথম থ্রো করার পরই তিনি নিশ্চিত হয়ে যান ফাইনালের ব্যাপারে। তারপরই প্রতিযোগিতার এরিনা ছেড়ে বেরিয়ে যান। নিজের সেরা দূরত্ব অতিক্রমের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। আশা করা যায় ফাইনালে নিজের সেরা পারফরমেন্স দেবেন। গ্রুপ এতে নীরজের সঙ্গেই নেমেছিলেন সোনা জয়ের অন্যতম দাবিদার জার্মানির জোহানেস ভেটের। তিনি যোগ্যতা অর্জন পর্বে ছুঁড়েছেন ৮৫.৬৪ মিটার। আর তৃতীয় হয়েছেন ফিনল্যান্ডের লাসি এটেলাটালো। তিনি ছোঁড়েন ৮৪.৫০ মিটার। অন্যদিকে, ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ শিবপাল সিং। গ্রুপ বিতে তিনি তিনটি প্রচেষ্টাতেই যোগ্যতামান অতিক্রম করতে পারেননি। তিনটি প্রচেষ্টাতে তিনি ছোঁড়েন যথাক্রমে ৭৬.৪০, ৭৪.৮০ ও ৭৪.৮১ মিটার।নীরজ চোপড়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁকে ঘিরে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছে গোটা দেশ। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ চোপড়া চমক দেখালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বছর চারেক আগেই ভারতের এই অ্যাথলিট বড় আসরে সাড়ম্বরে আগমনের বার্তা দিয়েছিলেন। ২০১৬তে অনূর্ধ্ব ২০ আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন। শুধু সোনা জেতাই নয়, ৮৬.৪৮ মিটার ছুঁড়ে জুনিয়র বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগে সোনা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে। ২০১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসেও দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া।

আগস্ট ০৪, ২০২১

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal