• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Independence

রাজ্য

১৯৪৭-এ এক টাকায় মিলত সপ্তাহের বাজার, সোনার দাম কত ছিল জানেন?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল ভারত। তখন এক টাকার মূল্য ছিল অপরিসীমযা দিয়ে মিলত সপ্তাহের বাজার। ১ টাকা দিয়ে ১-২ কেজি গম, হাফ কেজি ঘি বা এক সপ্তাহের শাকসবজি কিনে নেওয়া যেত অনায়াসে। চাল ছিল ১২ পয়সা, ময়দা ১০ পয়সা, ডাল ২০ পয়সা ও চিনি ৪০ পয়সা প্রতি কেজি। ঘি মিলত ৭৫ পয়সায়।সেই সময় একটি সাইকেলের দাম ছিল মাত্র ২০ টাকা, যা এখন প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। সোনা ছিল আরও সস্তা১৯৪৭ সালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৮৮.৬২ টাকা, যা এখন এক লক্ষ টাকারও বেশি। পেট্রোলের দাম ছিল মাত্র ২৭ পয়সা, আর আজ তা প্রায় ১০৫ টাকা।তৎকালীন দিল্লি-মুম্বই বিমান ভাড়া ছিল ১৪০ টাকা এবং একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াই বিমান পরিষেবা দিত। গত ৭৯ বছরে পণ্য ও পরিষেবার দাম আকাশছোঁয়া হলেও সেই সময়ের এক টাকার কেনাকাটার স্মৃতি আজও বিস্ময় জাগায়।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
দেশ

রক্ত ও জল একসঙ্গে নয়, স্বাধীনতা দিবসে ফের মোদীর আগুনে হুঙ্কার

আজ দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে রাজধানী দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তেরঙ্গা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের পর তিনি ভাষণ শুরু করেন। এদিন তিনি স্পষ্ট বার্তা দেনভারত আর কোনওভাবেই পারমাণবিক হুমকি বা ব্ল্যাকমেলিং সহ্য করবে না।অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া সেনাদের স্যালুট জানিয়ে মোদী বলেন, সাহসী জওয়ানরা শত্রুকে কল্পনার বাইরে শাস্তি দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী ও ৩ হাজার ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, প্রতিটি ঘরে তেরঙ্গা উড়ছেহোক তা মরুভূমি, হিমালয়, সমুদ্রতট বা শহর। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানান এবং ১৪০ কোটি মানুষের সম্মিলিত সংকল্পকে দেশের গর্ব বলে উল্লেখ করেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
রাজ্য

লাল কেল্লা থেকে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি দেশের এই ২ প্রধানমন্ত্রী, কারণ জানলে চমকে যাবেন

Independence Day 2025: ভারতের স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম গর্বের দিন। ২০২৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা উদযাপন করব দেশের ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে দীর্ঘ ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। অসংখ্য সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগ, সাহস এবং অবিচল মনোবল আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ। সাধারণত প্রতি বছর ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এই ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে।তবে জানেন কী দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যারা কোনওদিন লালকেল্লা থেকে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি। কিন্তু তার পিছনে কী কারণ রয়েছে? সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ এই দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্য অনুযায়ী লালকেল্লার প্রাচীর থেকে তেরঙ্গা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। কিন্তু দেশের ইতিহাসে এমনও দুই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যারা কখনও এই সুযোগ পাননি। তারা হলেন গুলজারিলাল নন্দ ও চন্দ্রশেখর।গুলজারিলাল নন্দগুলজারিলাল নন্দ দুবার দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেনপ্রথমবার ১৯৬৪ সালে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর এবং দ্বিতীয়বার ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর। দুই ক্ষেত্রেই তাঁর মেয়াদ ছিল মাত্র ১৩ দিনের মতো। ফলে কোনওবারই ১৫ আগস্ট তাঁর কার্যকালের মধ্যে পড়েনি, আর তিনি লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ পাননি।চন্দ্রশেখরভারতের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর ১৯৯০ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তাঁর সরকার মাত্র ছয় মাসেই পতন হয়। সেই সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস না পড়ার কারণে তিনিও কখনও লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন করতে পারেননি।লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের তাৎপর্য১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরু এই ঐতিহ্য শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন করে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেন। এটি শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা, গর্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।

আগস্ট ১৪, ২০২৫
রাজ্য

ভারতের সঙ্গে আরও ৪টি দেশের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট! জানেন নামগুলি?

Independence Day 2025: আগামীকাল গোটা দেশজুড়ে উদযাপিত হবে ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার এই দিনটি শুধু ভারতীয়দের জন্যই নয়, আরও চারটি দেশের কাছেও সমান তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দীর্ঘ ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। দিল্লির লাল কেল্লায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই দিনটি শুধু স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং দেশের অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার স্মারক।ভারতের স্বাধীনতার গল্প১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল। ব্রিটিশ দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে ভারত গণতন্ত্র, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের পথে যাত্রা শুরু করে। এই দিনে দেশজুড়ে কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশাত্মবোধক গান ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার উৎসব পালন করা হয়।১৫ আগস্ট যেসব দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করে১. বাহরিনমধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন দিলমুন সভ্যতার দেশ বাহরিন ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে তাদের উপনিবেশ শাসনের অবসান ঘটে। যদিও বাহরিনে জাতীয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পালন হয়, ১৫ আগস্ট দিনটিও তাদের জন্য ঐতিহাসিক।২. গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোমধ্য আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৯৬০ সালের ১৫ আগস্ট ফরাসি শাসন থেকে মুক্তি পায়। একসময় ফ্রেঞ্চ কঙ্গো নামে পরিচিত দেশটি ১৯০৩ সালে মধ্য কঙ্গো নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৬০ সালে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।৩. উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াউত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশেই ১৫ আগস্ট পালন হয় জাপান বিজয় দিবস হিসেবে। ১৯৪৫ সালের এই দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান মার্কিন ও সোভিয়েত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করায় কোরিয়ায় জাপানি দখলের অবসান ঘটে। পরে তিন বছরের মধ্যে দুটি আলাদা দেশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্ম হয়।৪. লিচেনস্টাইনইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ লিচেনস্টাইন ১৮৬৬ সালে জার্মানদের হাত থেকে স্বাধীনতা পায়। ১৯৪০ সাল থেকে ১৫ আগস্টকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়। মজার বিষয়, ১৬ আগস্ট দেশটির রাজকুমার দ্বিতীয় ফ্রাঞ্জ-জোসেফের জন্মদিন।দেশপ্রেমে রঙিন হবে ১৫ আগস্টআগামীকাল দেশের স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস ও রাজপথে দেখা যাবে দেশপ্রেমের রঙ। ভারতের সঙ্গে সঙ্গে আরও চারটি দেশের জন্যও দিনটি হবে স্বাধীনতার আনন্দে ভরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

আগস্ট ১৪, ২০২৫
রাজ্য

১৮ অগাষ্ট বাংলার এই জেলায় পালিত হল স্বাধীনতা দিবস, কেন ১৫ অগাস্ট নয়?

একই দেশ। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের দিন ভিন্ন। গত মঙ্গলবার ১৫ অগাস্ট দেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু মালদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ নয়, ১৮ অগাস্ট। এই দিনে স্বাধীনতা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে সামনে রেখেই শুক্রবার মালদায় পালিত হলো স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল। ইংরেজরা দেশ ছেড়েছিল। ঠিক সেই সময় মালদা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন সর্বত্র ছিল আলোর রোশনাই তখন মালদা ডুবেছিল গাঢ় অন্ধকারে। সেই সময়কার স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই তিনদিন পর স্বাধীনতা পায় আমের জন্য খ্যাত মালদা জেলা। মালদার কালেক্টরের ভবনে পূর্ব পাকিস্তানের ঝান্ডা নামিয়ে উড়ানো হয় ভারতীয় তিরঙ্গা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে বজায় রেখেই আজও মালদায় ১৮ আগস্টে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে স্বাধীনতা দিবস।শুক্রবার মালদা শহরের গ্রন্থাগারের বই বাগানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাসের উদ্যোগে এবং মালদার বিশিষ্ট শিল্পীরা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ীর নেতৃত্বে ১৮ আগস্ট উপলক্ষে মালদার স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রবীণ মানুষদের উপস্থিতিতে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। তখন গোটা দেশ এই স্বাধীনতার উৎসবে মেতে উঠেছিল। সেই সময় মালদা ছিল পরাধীন। পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল মালদা জেলার দশটি থানা। এই নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। মালদার কালেক্টারে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। কিন্তু সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই শুরু হয় সীমানা নির্ধারণের লড়াই। এরপর ১৮ আগস্ট মালদা জেলা ভারতের অংশ বলেই ঘোষণা করা হয়। আর সেই ১৮ আগস্ট থেকেই শুরু হয় মালদার স্বাধীনতা দিবস। পূর্ব স্মৃতি ও অতীত বিজড়িত অনেক কাহিনী মালদার এই স্বাধীনতাকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে। দুটি জায়গাতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কচিকাঁচা থেকে বড়রা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

আগস্ট ১৮, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের বেসরকারি স্কুলের অভিনব ভাবে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পুর্তি উদযাপন

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি মহা জাঁকজমকের মধ্যে পালিত হল রাজ্য জুড়ে। ২০২১ র ১৪ আগস্ট থেকে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা ভারত জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করা হয়। বর্ধমান শহরের এক বেসরকারি স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল এবছরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পলন করল অভিনব ভাবে।এই বেসরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে ৭৫বছর উদযাপন করতে এঁরা বেছে নেন এই বিশেষ দিনে জন্মগ্রহন করা নবজাতকদের। তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ই অগাস্ট জন্মগ্রহণ করা সদ্য়জাতদের এক বিশেষ উপহার প্রদান করেন। এই বিশেষ দিনে উপহার পেয়ে নবজাতকদের পরিবার যারপরনাই খুশি। বর্ধমান শহর সংলগ্ন বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামের এক বাচ্চার মা জনতার কথাকে জানান, হটাৎ করে এই উপহার পেয়ে তাঁদের খুব ভালো লাগছে। তাঁরা এই উদ্যোগের জন্য স্কুল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগলসির এক পরিবার জানান, তাঁরা এই উপহার পেয়ে খুব খুশি। তিনি জানান, এই উপহারের বক্সের মধ্যে একটি তোয়ালে, শিশুর জামা, তাঁর ব্যবহারযোগ্য তেল, সাবান, শ্যাম্পু, চিরুনি, পাউডার ও মায়ের জন্য কিছু খাবার, খেলনা ও একটি জাতীয় পতাকা পেয়েছেন। স্কুলের পক্ষ থেকে কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ও উপাধক্ষ্য ডঃ তাপস ঘোষ ও শিশু এবং গাইনি ওয়ার্ডের সকলকে এই সুযোগ করে দেবার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান।অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জানান, প্রতি বছরই আমরা নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ই আগস্ট পালন করি। এবছর এক বিশেষ মুহুর্ত বলে আমরা বিদ্যালয়ের সকলে মিলে আলোচনা করে আরও ভালো ভাবে এই দিনটাকে স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, প্রতি বছরই আমরা বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে এক বার্ষিক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি। তাতে ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে নানারকম মডেল ও প্রোজেক্ট বানিয়ে প্রদর্শন করে। সেই ইন্সপায়ার অনুষ্ঠানটি এবছর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সেই সমস্ত মহাপুরুষদের স্মরণ করতে ১৪ই আগস্ট শুরু হয়েছে।মেডিক্যাল কলেজেঅচিন্ত্য কুমার মণ্ডল আরও জানান, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড সিবিএসসি এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই একই নির্দেশ দেয় তাঁদের অধীনস্ত স্কুল গুলিকে। তিনি খুবই আনন্দিত তাঁদের ভাবনার সাথে সিবিএসসি নির্দেশ মিলে যাওয়াতে। তিনি জানান, এবারের অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবকদের উপস্থিতি খুবই ভালো। গত দুবছর ধরে গৃহবন্দি মানুষজন কোভিড নামক ব্যাধিকে মন থেকে দুরে সরিয়ে রেখে জড়তা ঝেড়ে পথে নেমে পরেছেন।দুদিনের এই অনুষ্ঠানে অনেক বিশিষ্ট মানুষজন উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য, পূর্ব-বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায়, ভাতারের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার অরুণ কুমার বিশ্বাস, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যলের অধ্যাপক ডঃ খগেন চট্টোপাধ্যায়, ডঃ শিবকালি গুপ্ত, প্রজাপতি ব্রহ্মকুমারি সিস্টার রুমা, বিশিষ্ট শিল্পপতি পি এন আয়ার প্রমুখ।

আগস্ট ১৫, ২০২২
রাজ্য

স্বাধীনতার পর এই প্রথম ১৫ই অগাস্ট ছুটি বাতিল করল রাজ্য সরকার, মিশ্র পতিক্রিয়া জনমানসে

দে স্বাধীনের ৭৫ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ছুটি বাতিল করে দিলেন। এই ঘোষণায় তোলপাড় দেশজুড়ে। ২০২২ এর স্বাধীনতা দিবসে আর ছুটি নেই। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিদ্যালয়, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিসও খোলা রাখতে হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে রীতিমত নির্দেশিকা জারি করা হল সারা রাজ্যে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১৫ অগাস্ট সবাইকে অন্যান্য দিনের মতোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে হাজির হতে হবে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?২০২২ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব। এই দিনটি উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি জেলায় বিশেষভাবে পালিত হবে। সরকার বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে অন্যান্য বারের মত এবার স্কুল-কলেজ-অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। যোগী আদিত্যনাথ সকল রাজ্যবাসীকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব ডিএস মিশ্র জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতিবার উত্তরপ্রদেশে দীপাবলির সময় এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। তবে এবারের লক্ষ্য এই অভিযানকে জাতীয় কর্মসূচিতে পরিণত করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসকে শুধু সরকারি অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। এই কর্মসুচীর সাথে জনগণকে যুক্ত করতে হবে।উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব আরও বলেছেন যে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO), এনসিসি (NCC), এনএসও-র (NSO) ক্যাডেটদের পাশাপাশি জনগণেরও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়া উচিত। সেখানে সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ১৫ অগাস্ট দিনটা যেন একটা নিছক ছুটির দিন না হয়ে থাকে সেই কারনেই এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে, স্বাধীনতা দিবসে স্কুল-কলেজ, সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার পথে হাঁটল যোগী প্রশাসন। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম।

জুলাই ১৭, ২০২২
সম্পাদকীয়

'মেরা দেশ মহান হ্যায়'...... প্রজাতান্ত্রিক দেশ কতটা এগিয়েছে

প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, দেশ প্রেমিক দিবস কত কিছু ঘটা করে পালন করা হয়। ফাইভ জি-র যুগে এসবের প্রচার বেড়েছে। সোশাল মিডিয়া ছয়লাপ হচ্ছে দেশপ্রেমের বাণীতে। নানা বাণী আওড়াচ্ছেন দেশ নেতারা। কিন্তু ভিন গ্রহে যান পাঠাক বা শয়ে শয়ে উপগ্রহ প্রেরণ করুক আদৌ দেশ কতটা এগিয়েছে সেই প্রশ্ন সবার আগে। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুব্যবস্থা কী আজও দেশ করতে পেরেছে? এটাই মূল প্রশ্ন। অযথা ভাষনবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। দেশের পতাকা বহণ করার জন্য যে শক্তি অর্জন করা দরকার তা আজ কজনের মধ্যে রয়েছে, সেই প্রশ্ন নিয়েই বড় বিতর্ক। মেরা দেশ মহান হ্যায়......ফ্রি-তে রেশন, সরকারি অনুদান তারপরেও দেশের কোটি কোটি মানুষ ক্ষুদার্থ। কোনও পরিসংখ্যান ঘাঁটার দরকার নেই, এলাকায় এলাকায় ঘুরলেই এই দৃশ্য পরিলক্ষিত হবে। কত মানুষ আজও খালি আকাশের নীচে বাস করে বা ফুটোফাটা ঘরে বাস করে তা-ও বলার দরকার নেই। গরিব-গুর্বো মানুষগুলিই এর জ্বলন্ত উদাহরণ। গরিবী হটাও-এর দাবি করে নির্বাচনে লড়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, দেশের মানুষ আজ কী দেখতে পাচ্ছেন? দেশ বা রাজ্যের শাসকদলগুলি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। বাস্তব কী কথা বলছে তা বোধহয় মনে করালেই যথেষ্ট। তাহলে অন্নের সংস্থান কোথা থেকে হবে। রেশনের চাল-ডাল সেদ্ধ করার বাকি যোগান কোথা থেকে আসবে, কাঁচা চিবিয়ে খেলেই হল আর কী! যে লোকগুলি পতাকা উত্তোলন করে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে তাঁর পাশের বাড়ির লোকটা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে, অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারছে না, অতিকষ্টে পড়াশুনা করেও কাজ জুটছে না। এটাই আজ সব থেকে বড় বাস্তব। জোর গলায় বলছে, মেরা দেশ মহান হ্যায়.......মানুষ যেমন এখন ভয়ঙ্কর আত্মকেন্দ্রীক তেমনই রাজনীতির একটা বড় অংশ পকেট ভরতেই ব্যস্ত। অভিজ্ঞ লোকেরা তো বলেই ফেলছে সব থেকে বড় ব্যবসা এখন রাজনীতি। যাঁরা ভোটে দাঁড়ায় তাঁদের পেশা লেখা রয়েছে হয় সমাজসেবা অথবা রাজনীতি। কেউ কী বলতে পারেন এভাবে কার কতা টাকা রোজগার হতে পারে? তাঁদের স্ত্রীদের কাছে আরও অর্থ এবং সম্পদ রয়েছে। আজ একজন কাউন্সিলরের অর্থ ও সম্পত্তির পরিমান শুনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও ভিমরি খাচ্ছেন। যদিও এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। শ্রেণি সংগ্রাম করতে গিয়েও কেউ কেউ ক্রোড়পতি হয়েছেন বামআমলে। কোনও পিছিয়ে পড়া পরিবারের গরু-ছাগল বাদ দিয়ে সকলেই চাকরি জুটিয়ে নিয়েছেন। খোঁজ করলে এসবও মিলবে। পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড় দেখলে বোঝা মুশকিল হয় না কেন আকর্ষণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একটা টিকিট পেতে। পেশাগত ভাবে সফল হলে তিনিও সমাজের কথা ভুলে যান। নিজ পরিবার ছাড়া কারও স্বার্থ নিয়ে তাঁরাও ভাবিত নয়। অথছ সমাজ না থাকলে,সাধারণ মানুষের যোগান দেওয়া অর্থে পড়াশুনা না করলে তিনি পেশাদার হতে পারতেন না।একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে কেউ হাসপাতালে যাক, একজন মানুষ কোনও সরকারি দফতরে গিয়ে দেখুক। কী অসাধারণ ব্যবস্থাপনা! অসহায় পরিস্থিতি কাকে বলে তা টের পেতে বাধ্য। অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিয়ে নেতা-মিডিয়া হইহুল্লোর জুড়ে দেয়। এদিকে ঘাটালের এক কিশোর বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকটে নিতে গিয়ে মহানগরের রাস্তা যখন কান্নায় ভেজায় তখন তাঁর খোঁজ কে রাখে? এসবের কোনও সমাধান আছে কি প্রশ্ন সেটাই। ১০ কোটি লোকের একটা ঘটনা কোনও মিডিয়া তুলে ধরলে সেটা কখনও সার্বিক হয় না। প্রচারের ঢক্কা নিনাদেই দেশ আজ শিখরে পৌঁছিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। মেরা দেশ মহান হ্যায়......প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সঙ্গে প্রজাদের হিতের কথা ভাবা দরকার। গরিবী হটানোর স্লোগান না দিয়ে গরিবের জন্য কাজ করা দরকার। ভাষণ না দিয়ে গরিবী দূর করার প্রকল্প নিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সহ হাজারো কার্ড না করে চিকিৎসার উপযোগী ব্যবস্থাপনা তৈরি করুক। সব থেকে বড় বিষয় এক সময় বামেদের দাবি ছিল অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সংরক্ষনের, তারাও এখন ওইসব দাবি নিয়ে পথে নামে না। এখন জাত-পাত তস্য জাত-পাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চলছে রাজ্য তথা দেশে। কেন অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়াদের জন্য রাষ্ট্র ভাববে না। মানুষের জন্যই রাষ্ট্র, মানুষ মানুষের জন্য, একথা যতদিন বাস্তবায়িত না হবে ততদিন টুইট বার্তা বা পতাকা তুলে দেশের কোনও উন্নয়ন হবে না। যে উন্নয়ন ঘটেছে তা নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই। বিশ্বের বহু দেশ নানা ক্ষেত্রেই ভারতের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। তবুও মেরা দেশ মহান হ্যায়.......

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
বিদেশ

Hindol Majumdar: হিন্দোলের তবলার দোলায় মাতোয়ারা শিকাগো

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পুর্তিতে মেতে উঠল আমেরিকা। সারা ভারত যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতোয়ারা ঠিক সেই উপলক্ষ্যেই আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আজাদী কি অমৃত মহোৎসব।শিকাগো নামটার সাথে ভারতীদের বিশেষ করে বাঙালীর নাড়ির টান। নামটা শুনলেই স্বামী বিবেকানন্দের সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অব আমেরিকা... গলাটা কানে ভেসে ওঠে। ১৮৯৩র ১১ ই সেপ্টেম্বর, শিকাগোর বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা তুলে ধরেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের পরমপ্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। এহেন নাস্টালজিক শহরে অবস্থিত শিকাগো কালচারাল সেন্টারে এক মনোজ্ঞ পরিবেশে ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে আজাদী কি অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট অমিত কুমার এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও পৌরহিত্য করেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী।অনুষ্ঠান শুরু হয় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল অমিত কুমার। তিনি উপস্থিত আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতির ভাষন পাঠ করে শোনান। কনস্যুলেট শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুরু হয় বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সঞ্চিতা ভট্টাচার্যর নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।আরও পড়ুনঃ যারা অদৃশ্য রয়ে গেলেনঃ শ্রমিক ঠিকাদার বা দালালতন্ত্র!শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মুল আকর্ষন ছিল বিশিষ্ট তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সাথে লিয়ন লিফার-র বাঁশরী। হিন্দোল মজুমদার এই প্রজন্মের তরুণ তবলা বাদকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় তবলিয়া। সঙ্গীত তাঁর রক্তে ছিল। তাঁর মাতামহ প্রয়াত চিত্তরঞ্জন রায়, একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রেমী এবং তাঁর মা প্রয়াত সুনন্দা মজুমদার, পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন, এবং তিনি জয়পুর ঘরানার পণ্ডিত রামগোপাল মিশ্রের কাছে কত্থক নৃত্য শিক্ষালাভ করেন। তাঁর মায়ের অকাল প্রয়াণের পর, হিন্দোল মজুমদার প্রতি বছর তাঁর মায়ের স্মরণে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গীত সন্ধ্যা আয়োজন করেন। পারিবারিক সঙ্গীত আবহে অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দোল ছোট বয়সেই তবলা শেখা শুরু করেন। মাত্র ৫ বছর বয়েসে তাঁর তবলায় হাতে খড়ি, ১০ বছর বয়সে তিনি প্রথম মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনহিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সঙ্গে লিয়ন লিফার-এর বাঁশরী এক অনবদ্য সন্ধ্যার উপহার দেয় শিকাগো কালচারাল সেন্টারে। তাঁদের অনুষ্ঠান প্রথম উপস্থাপনা রাগ দেশ। দেশ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের খম্বাজ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত একটি রাগ। বেশ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান দেশ রাগের উপর আধারিত। তার মধ্যে ভারতের জাতীয় সংগীত ও বন্দে মাতরম অন্যতম। লিয়ন লিফার আমেরিকার এক প্রথিতযশা বাঁশরী শিল্পী, তাঁর সঙ্গীত শিক্ষার গুরু ভারত বিখ্যাত বাঁশরী শিল্পী প্রয়াত পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষের জামাই ও প্রধান শিষ্য প্রয়াত দেবেন্দ্র মুর্দেশ্বর। দীর্ঘদিন তাঁর কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন লিয়ন।তাঁদের পরবর্তী উপস্থাপনা কাজরী, কাহারবা তালের উপর আধারিত এই কম্পোজিসন খুবই মনোরম। কাজরি (বা কাজরী), হিন্দি শব্দ কাজরা বা কাজল থেকে এসেছে, (যার অর্থ কোহল বা কালো), কাজরী হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনবদ্য সৃষ্ঠি, এটি উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে খুব জনপ্রিয়। তীব্র গরমের দেশে কালো বর্ষার মেঘ তাদের কাছে ভীষন স্বস্তি এবং দারুন আনন্দ নিয়ে আসে। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে সেই মুহূর্তে কাজরী গাওয়া হয়। তবলায় হিন্দোল মজুমদারের সঙ্গত এক অন্য মাত্রা পায়, তিন ঘরানার মহান গুরুর শিক্ষা তাঁর বাদন শৈলিতে প্রকট। তাঁর তেরেকেটে-এর লয়কারী শুনলে অনেকেরই ফারুকাবাদ ঘরানার মাহান শিল্পী ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁর কথা মনে পরতে বাধ্য। মহান তবলিয়া ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁ-এর সুযোগ্য শিষ্য শিবশঙ্কর কর্মকার-ই তাঁর প্রথম গুরু। তারপর তিনি ফারুকখাবাদ ঘরানার বিশিষ্ট তবলা গুরু পণ্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নাড়া বাধেন।আরও পড়ুনঃ মহানায়ক উত্তম কুমার ও মান্না দে বাংলার সিনেমার আমি যামিনী তুমি শশীঅনুষ্ঠানের সর্বশেষ অংশে শিল্পী লিয়ন ঠুংরি পরিবেশন করেন। লগী কাহারবা তালের ওপর আধারিত কম্পজিসনটি উপস্থিত বিশিষ্টজন উপভোগ করেন। হিন্দোল মাজুমদারের তবলা সঙ্গত এক কথায় অনবদ্য। তাঁর লয়কারি, সাথ সঙ্গত, সাওয়াল জবাব মনমুগ্ধ করে দেয়। বাঁশরী শিল্পী লিয়নের উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শককূলকে মোহিত করে দেয়, আদ্যন্ত ভারতীয় এক বাদ্যযন্ত্র বাঁশরী একজন আমেরিকান শিল্পী যে যেভাবে রপ্ত করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। শিল্পী লিয়ন শিকাগোতে অবস্থিত পূর্ব ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (Northeastern Illinois University, Chicago, IL) প্রাক্তন বাঁশি বিভাগের অধ্যাপক।আরও পড়ুনঃ বিরোধী বিধান-র জ্যোতি স্নেহপণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার আমেরিকা থেকে জনতার কথাকে জানান, ভারতের বেশীরভাগ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী-ই বছরের বেশ কিছু সময় আমেরিকা ও ব্রিটেনে কাটান। এই প্রয়াস অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে, সেখানকার মানুষের ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার প্রবল ইচ্ছা, ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের প্রসার ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরা সেখানে বছরের বেশ কিছু সময় থেকে যান। ২০২০ র করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁরা অনেকেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। হিন্দোল বাবু আরও জানান যে, তিনি গত ২০২১ এপ্রিলে আমেরিকা গিয়েছেন। অনেকদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা দান করেছেন, এখন আমেরিকার মিলওয়াক শহরে তাঁর বাসভবনে শাস্ত্রবিধি মেনে প্রবাসী ভারতীয় ও আমেরিকান কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে সরাসরি শিক্ষা দান করছেন। তিন বলেন ভারতীয় কনস্যুলেটের আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি, তাছাড়া শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (Chicago Cultural Centre) অনুষ্ঠান করা যেকোনও শিল্পীর কাছেই স্বপ্ন। এটা শিল্পীর জীবনপঞ্জিতে লিখে রাখার মত বিষয়।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজ্য

Mamata Independence Song: দেশবাসীর জন্য স্বাধীনতার গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী

ফের কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশপ্রেমের গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লেখা সেই গানের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে প্রকাশও করলেন নিজেই। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গানটির লি্ংক শেয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে মমতা লিখেছেন, ভারতবর্ষের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশ মাতৃকাকে আমার প্রণাম জানাই। আজকের এই শুভদিনে আমার রচনা ও ভাবনায় একটি গান রইল সবার জন্য।গানটি হল নিম্নরূপ: এই ধরণীর মাটির বাঁধন/ বাঁধুক জোরে মোদের/ সোনার চেয়েও যে খাঁটি/ দেশটা সবার নিজের... গানটির শুরু এ ভাবেই। গানের প্রথম চার লাইন নিজের পোস্টের সঙ্গে জুড়েও দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন, মনোময় ভট্টাচার্য, তৃষা পারুই এবং দেবজ্যোতি বসু।আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার সকল রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর জন্য।

আগস্ট ১৫, ২০২১
দেশ

Independence Day: দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর বিপ্লবীদের পীঠস্থান বর্ধমান

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমান জেলার নাম। দেশ মাতৃকাকে ব্রিটিশ শৃঙ্খল মুক্ত করার শপথ নিয়ে এই জেলার বহু বীর সন্তান বিপ্লবী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্যাই অগ্রগণ্য এই জেলার সদর দক্ষিণ মহকুমার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বোস, রাসবিহারী ঘোষ ও অনিল বরণ রায়। এই চার দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম আজও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এনারা ছাড়াও অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আরও অনেকে আছেন যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে জোরদার করার কাজে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা হয় তো বিস্মৃতির অতলে রয়ে গিয়েছেন। তবে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ব্রতী হবেন বর্ধমান জেলার আপামর বাসিন্দা। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৫ সালে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বর্ধমান জেলাতেও। শুধু শহর বর্ধমানের মানুষজনই নয়, গ্রামীন বর্ধমানের মানুষজনও সেই সময়ে সামিল হয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ আন্দোলনে। তদানীন্তন সময়কালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের সন্তান কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা স্বাধীনতা আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৯২৫ সালে বর্ধমানে এসে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদের আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসবিদরা মনে করেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন অংশেই কম ছিল না বর্ধমানের গুরুত্ব। স্বদেশী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিপ্লবী আন্দোলন, সবেরই উত্তোরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্ধমানের বিপ্লবীদের নাম। এই জেলার জ্যোতিন্দ্রনাথ বন্দ্যেপাধ্যায় যৌবনে বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। পরে অবশ্য তিনি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করে নিরালঙ্গ স্বামী নামে পরিচিত হন। ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ভারত সভার তিনটি শাখা গড়ে উঠেছিল বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।ওই শাখাগুলি বর্ধমান শাখা, কালনা শাখা ও পূর্বস্থলী হিতকরী সভা নামে আত্মপ্রকাশ করে। কালনার কবিরাজ বংশীয় উপেন্দ্রনাথ সেন ও দেবেন্দ্রনাথ সেনের উদ্যোগে কালনা ও কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সভা।ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সেই সভায় স্বয়ং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ব চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য বলেন, স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ সেই সময়ে কালনার বাঘনা পাড়ার যুবক মহলে প্রভাব ফেলেছিল। ১৯০৬ সালে বিদেশী দ্রব্য লুঠ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছিল কালনার বাঘনা পাড়ার যুবকরা। সেই ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, মণিগোপাল মুখোপাধ্যায়, সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃন্দাবন গোস্বামী, বলাই গঙ্গোপাধ্যায় ও বলাই দেবনাথ। সিদ্ধেশ্বরবাবু এও বলেন, এদের গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত মোকদ্দমাই ছিল বঙ্গে প্রথম রাজনৈতিক মোকদ্দমা। তদানিন্তন সময়ে বাঘনা পাড়ায় স্বদেশী ভাণ্ডারও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৪২ শে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাঘনা পাড়ার যুবকরা জড়িত হয়েছিলেন বলে সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য জানিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উৎসাহিত করার জন্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দুবার বর্ধমানে এসেছিলেন। ইংরেজ আমলে জাতীয় শিক্ষা নিয়েও বর্ধমান জেলা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল। ইংরেজি বিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপনে খণ্ডঘোষের তোরকোনায় রাসবািহারী ঘোষ প্রভূত অর্থ দান করেছিলেন। কালনা, বর্ধমান সদর, বৈকন্ঠপুর নানা স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বান্ধব সমিতি, মহামায়া সমিতি প্রভৃতি নামে জেলার কালনা, পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বরে বিপ্লববাদী গুপ্তসমিতি গড়ে উঠেছিল। মানকরের জমিদার রাজকৃষ্ণ দিক্ষিত ও দুর্গাপুরের ভোলানাথ রায় সেই সময়ে স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন।স্বরাজ তহবিলের চাঁদা তোলার জন্য ১৯২১-২২-তে চিত্তরঞ্জন দাস বর্ধমানে এসেছিলেন। তাঁর আগমনে বর্ধমান জেলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। জাতীয়তাবাদী কবিতা লোখার জন্য বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর গ্রাম নিবাসী গোবিন্দরাম বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল । ১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি এই গোপালপুরের ইংরেজ বিরোধী মানুষজনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পায় গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়। গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতি এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত হয়, ইংরেজদের নিয়ম মেনে রবিবার নয় - বিদ্যালয় ছুটি থাকবে সোমবার। সেই থেকে আজও রবিবার পুরোমাত্রায় পঠনপাঠন চালু থাকে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয় ছুটি থাকে সোমবার। পরাধীন ভারতবর্ষের মাটিতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ভিন্নমাত্রায় পৌছে দিতে বর্ধমানের মহিলারাও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নির্মলা সান্যাল ও সুরমা মুখোপাধ্যায়ের নাম । ১৯৩১ -তে কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্ধমান জেলা কৃষক সমিতি। তদানীন্তন কালেই কৃষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে সভার সভাপতি হয়েছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর নামেই পরবর্তীকালে হাটগোবিন্দপুরে গড়ে ওঠে ভূপেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়।পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবিভক্ত বর্ধমান জেলাবাসীর অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। এই জেলার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বসু, রাসবিবাহী ঘোষ, অনিলবরণ রায় প্রমুখ দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এঁরা ছাড়াও জেলার আরও যাঁরা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তাঁদের অবদানও জেলাবাসী মনে রেখেছে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে বর্ধমানবাসী সকল বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তাই ব্রতী হবেন।

আগস্ট ১৫, ২০২১
রাজ্য

Bomb: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার বর্ধমানে

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বর্ধমানের শিবপুর দিঘীরপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার হল প্লাস্টিকের জারিকেন ভর্তি তাজা বোমা। যা জানতে পারার পরেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে খবর দেয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। শনিবার বিকালে দুর্গাপুর থেকে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। তাঁরা জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করে। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শিবপুর দীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মহলে।আরও পড়ুনঃ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলিবর্ধমানের বেলকাস পঞ্চায়েতের সদস্য তানবীর আলি বলেন, শীবপুর দীঘিরপাড় সংলগ্ন পাওয়ার হাউসের পিছনে জঙ্গলের পড়েছিল জারিকেনটি। এলাকায় বাসিন্দারা সেটি দেখতে পেয়ে বর্ধমান থানায় খবর দেয়। সেই খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রাখে।আরও পড়ুনঃ পুজারা ও রাহানের ব্যর্থতা নিয়ে কী বলছেন গাভাসকার?এদিন বিকালে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌছে জারিকেনে থাকা বোমাগুলি উদ্ধার করার পর নিস্ক্রিয় করে। বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের জার থেকে মোট ৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে সিআইডি বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড। সেগুলি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের মক্কাতে কলুষিত ক্রিকেটরাত পোহালেই দেশ জুড়ে পালিত হবে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। তার প্রাক্কালে জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার ঘিয়ে বর্ধমানে শাসক বিরোধী তর্জা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শহর বর্ধমানের সুভাষপল্লীতে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। এতবড় ঘটনার পরেও বর্ধমানে বোমা উদ্ধারে ঘটনায় বিরাম পড়েনি। জেলা বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, শাসকদলের দৌলতে সব জায়গাতেই বোমা উদ্ধার হয়েই চলেছে। যদিও পল্টা জবাবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, তৃণমূল বোমা-গুলি নিয়ে রাজনীতি করে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। তদন্তেই পরিস্কার হবে যাবে কারা বোমা রেখেছিল।

আগস্ট ১৪, ২০২১
কলকাতা

Independence Security: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকেছে শহর

রবিবার স্বাধীনতা দিবস। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতাকে। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতার নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মী। রেড রোডে মূল অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে রেড রোডে নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। রেড রোডে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকেই নজর রাখা হবে। রবিবার রাস্তায় থাকবেন ১১ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকির দায়িত্বে থাকছেন অতিরিক্ত নগরপাল দময়ন্তী সেন।লালবাজার সূত্রে খবর, রেড রোড এবং গোটা কলকাতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ২৩টি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলছে। প্রত্যেকটি গাড়ি পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় ৫০০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে রেড রোড ও আশেপাশের এলাকায়। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। কলকাতার বিভিন্ন হোটেল ও গেষ্ট হাউসে তল্লাশি চলছে। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় টহল দেবে পর্যাপ্ত পরিমান হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। করোনা অতিমারির মধ্যেই এবার স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। তাই বাড়তি সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। কোভিডবিধি মেনে এবার রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ থাকছে। তবে রাজ্যের মন্ত্রীরা সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা থাকবেন অনুষ্ঠানে। দুরত্ববিধি মেনেই তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার অবশ্য ট্যাবলো ফিরছে কুচকাওয়াজে। মোট ৪০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান করা হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গি কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে অনাড়ম্বরভাবেই দেশের ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। অতিমারির আবহে গত বছরেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল সাদামাটা। এবারও দর্শকহীন রেড রোডে মাত্র শ খানেক অতিথির উপস্থিতিতে মিনিট ৪০-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। যদিও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির বিশেষ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে শোভাযাত্রায় ট্যাবলোর সংখ্যা কিছু বাড়ছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু, জল স্বপ্ন, খেলা দিবস- এর মতো নতুন প্রকল্পগুলি মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ৯ থেকে ১০টি ট্যাবলো। এছাড়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং একতাই সম্প্রীতির ওপর ট্যাবলো বানানো হচ্ছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের ওপরে থাকছে বিশেষ ট্যাবলো। এবারেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করছে না। গান শোনাবে লোকপ্রসার শিল্পের বাউলের দল। পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এর পরে পুলিশ মেডেল প্রদান করবেন তিনি।কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সুসজ্জিত টুকরি অংশ নেবে মার্চপাস্টে।

আগস্ট ১৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

75th Independence day : ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে নতুন উদ্যোগ

কাল ভারতবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন। কাল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব আরও বেশি। কারণ এবছর স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষ।আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গিএই বিশেষ দিন উপলখ্যে ভারত ভাগ্যবিধাতা গাইলেন ৭৫ জন শিল্পী। মূল উদ্যোগে রয়েছেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও চিরন্তন ব্যানার্জী। তাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন উষা উত্থুপ, অনুপম রায়, ইমন চক্রবর্তী , লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য , ইন্দ্রানী সেন, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়,সুরজিত্, সিধু, জোজো এছাড়াও রয়েছে আগত প্রজন্মের কিছু নবীন সংগীত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারত ভাগ্যবিধাতা গানটিকে গেয়ে এক নতুন রূপ দেয়। মোট ৪০ জন গানটি গায়, সাথে গানটিতে সামিল হন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী,দেবশ্রী রায়, অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জী ও আরো ১০ জন অভিনেতা অভিনেত্রী। আছেন সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রণতি ঠাকুর, নবীনরাও কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই সঙগিতে, সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরন্তন। নৃত্যশিল্পী থাঙ্কুমণি কুট্টি সহ রয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, তনুশ্রী শঙ্কর সাথে আরো ১০ নৃত্য শিল্পী এবং বেশ কয়েকজন জন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী।

আগস্ট ১৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Whats app cafe : ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে নতুন মেনু নিয়ে হাজির হচ্ছে 'হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে'

১৫ ই আগস্ট ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। এই বিশেষ দিন উপলখ্যে কলকাতার বিভিন্ন ক্যাফে থেকে রেস্টুরেন্ট বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হচ্ছে। বাদ যায়নি হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফেও। হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে তে বেশ কিছু স্পেশাল মেনু থাকছে এইদিন। সব ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টের মতো ১২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে। প্রতিদিনের মতো এই বিশেষ দিনেও কোভিডের সব বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে।আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কলকাতায় দেবীসম্মানের ক্যালেন্ডার শুটবেশ কিছু মেনু রয়েছে ফ্রিডম মেনু এবং শেফের রেকমেন্ড করা কিছু মেনু রয়েছে। ফ্রিডম মেনুর মধ্যে রয়েছে মটন দই বড়া, কষা মাংস, প্রন ভাপা, মটন রোস্ট ও কাশ্মীরি পোলাও, হার্টই চেলো কাবাব, মার্গারিটা পিজ্জা, মিক্সড চিকেন লাসাগ্না এবং ফ্রেশ ওয়াটারমেলন জুস। শেফের রেকমেন্ড করা মেনুর মধ্যে রয়েছে রারা গোস্ট, ফিস অ্যান্ড চিকেন গ্রিলড প্ল্যাটার এবং চেলো কাবাব। দুজনে ১৫ ই আগস্ট খেতে এলে দাম ১২০০ টাকা। এছাড়া আলাদা ট্যাক্স দিতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের স্মরণীয় দিনে হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে তে এসে বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতেই পারেন ফুড লাভাররা।

আগস্ট ১২, ২০২১
দেশ

স্বাধীনতার পর দেশে প্রথম মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি

স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও মহিলার ফাঁসির সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। বিরল অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের শবনমের ফাঁসির সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এখন সময় কেবল ডেথ ওয়ারেন্টের। সেটা পেয়ে গেলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আপাতত তাই যোগীরাজ্যের মথুরায় শুরু হয়ে গিয়েছে ফাঁসির প্রস্তুতি।উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের একমাত্র ফাঁসির ঘরটি রয়েছে মথুরার জেলে। যদিও এখনও ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ স্থির হয়নি। তবুও ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছেন মীরাটের বাসিন্দা পবন জহ্লাদ। নির্ভয়ার ধর্ষকদের তিনিই ফাঁসি দিয়েছিলেন। এই ফাঁসির দায়িত্বও রয়েছে তাঁর উপরই। দুবার ফাঁসিকাঠও পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে নিজেরই পরিবারের সাতজন সদস্যকে কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয় সে। একাজে তাকে মদত জুগিয়েছিল তার প্রেমিক। আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা ধনী পরিবারের সদস্য শবনমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় ওই যুবকের। এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি শবনমের পরিবার। প্রতিশোধস্পৃহায় বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপো-সহ সাতজনকে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলে শবনম। এই অপরাধকে বিরল আখ্যা দিয়ে তাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।বক্সার থেকে ফাঁসির দড়ি আনানো হচ্ছে। পবন জহ্লাদ ফাঁসিঘর পরীক্ষা করে ফাঁসি দেওয়ার লিভার ও বোর্ডে কিছু পরিবর্তন করার জন্য বলেছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal