• ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Howrah

কলকাতা

Monsoon: প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা হাওড়ার

রাত থেকে একটানা অতিভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর জেরে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নিচু এলাকা জলে ডুবে রয়েছে। পুরনিগম এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডে জল জমেছে। বুধবার দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টির পর সারারাত অতিভারী বৃষ্টি হয়। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়া শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাওড়ার পঞ্চাননতলা, বেলিলিয়াস রোড, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস, টিকিয়াপাড়া, লিলুয়া ভূতবাগান, পেয়ারাবাগান, কোনা, জিটি রোড জলমগ্ন হয়। এছাড়াও বেনারস রোডের কামিনী স্কুল লেন, ঘোষপাড়া, মহীনাথপাড়া, অক্ষয় চ্যাটার্জ্জি লেন, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা, তিনকড়ি নাথ লেন, সীতানাথ বোস লেন-সহ ১০ নং ওয়ার্ড এদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়। নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর জোড়া প্রভাবে মুষলধারের বৃষ্টিতে টিকিয়াপাড়া রেল স্টেশনের কাছে রাস্তা প্রায় ফুট তিনেক জলের তলায় চলে গিয়েছে। এছাড়াও বালিখাল, বালি মিল, অভয়নগর, বসুকাটি, বোসপাড়া বেলুড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জলের তলায় চলে যায়। বি গার্ডেন কোলে মার্কেটের মতো এলাকায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঘুসুড়ির জেএন মুখার্জি রোড-সহ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। এদিন ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাসে টিকিয়াপাড়া রেল স্টেশনের কাছে রাস্তায় জমা জল ঢুকে বিকল হয়ে যায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স।রোগী নামিয়ে ফেরার পথে অ্যাম্বুল্যান্সটি বিকল হয় বলে জানা গিয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য বলেন, সব মিলিয়ে ৪৫ টি পাম্প চালানো হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে চলছে হাওড়া পুরনিগমের ৯টি এবং কেএমডিএ-র ২টি পাম্পিং স্টেশন। সকাল থেকে জোয়ার ছিল। ওই সময় লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারোটার পর ভাটার সময় লক গেট খোলা হয়েছে। তার আগে জল বার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি মুষলধারে বৃষ্টি আর না হয় তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। তাঁর দাবি, যেসব জায়গায় বেশি পরিমাণ জল দাঁড়ায় ওই সকল জায়গায় জলের উচ্চতা অনেকটাই কমেছে। সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় আশা করছেন লক গেট খুলে দেওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি জল অনেকটাই নেমে যাবে। বর্ষায় বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন নিকাশি নালার পরিষ্কার করার কাজ চলছিল। অনেকটাই কাজ হয়ে গিয়েছে। যেসব পাম্পগুলো খারাপ হয়ে গিয়েছিল সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। বাকি যে কাজ আছে সেগুলোর কাজ চলছে। গত বুধবার প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি সকাল থেকেও সেই বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছিল। যদি এই বৃষ্টি না হতো তাহলে জলের স্তর অনেকটা কমে যেত। উল্লেখ্য, বর্ষার আগে হাওড়া শহরের রাস্তায় জমা জল জমার মতো সমস্যা সমাধানে গত ১৮মে হাওড়া শরৎ সদনে এক বৈঠক হয়। সেখানে কেএমডিএ, সেচ, এইচ আই টি-র ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে স্থায়ী জল সমস্যা সমাধানের জন্য সাতাশটি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

জুন ১৭, ২০২১
কলকাতা

Firhad Hakim: শালিমার শিপ বিল্ডার্সের হাল ফেরাতে পরিদর্শন ফিরহাদের

হাওড়ার শালিমার শিপবিল্ডার্স অনেক দিন ধরেই লোকসানে চলছে। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ধুঁকতে থাকা এই সংস্থাকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায় তা ক্ষতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে সংস্থাটি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সংস্থাটির হাল ফেরাতে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে একজন কর্মরত আইএএস অফিসারকে। শালিমার লাভের মুখ দেখলে লাভ সরকারের। তাই শালিমার শিপবিল্ডারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই পরিবহন মন্ত্রীর এই সংস্থা পরিদর্শন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন শালিমার শিপবিল্ডার্স পরিদর্শন করে সেই সংস্থার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, প্রথম কাজ সংস্থার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন করা। এর পাশাপাশি সংস্থার যে জায়গাগুলো পড়ে আছে সেই জায়গাগুলোকে ব্যবহার করা। শুধু তাই নয় সরকারের যেসব প্রকল্পের কাজ বাইরে করা হয় সেগুলি এখানে নিয়ে আসা হবে। তিনি জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স বাইরে থেকে কাজ করিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের লাভজনক কাজগুলি এখানে টেনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও সরকার প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে যে যে কাজগুলি করিয়ে থাকে সেগুলি শালিমার করবে। পাশাপাশি, রিভার ট্রাফিক সার্ভিসের কাজে প্রাইভেট সংস্থাকে না দিয়ে শালিমার কে দিয়ে করানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এদিন তিনি জানান, বড় নৌকাগুলি অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করানো এবং গঙ্গা ভ্রমণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও শালিমারে একটা ছোট ড্রাই ডক তৈরি করা হবে। তাঁর দাবি, এখানে যদি ভালো পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় তাহলে আগামী দিনে শালিমার লাভের মুখ দেখবে। এতে সরকারি লাভবান হবে। এই কারণে শালিমার কে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো শালিমার শিপবিল্ডার্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। এসে দেখি এটার বিশাল পরিকাঠামো। রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোও বড়। কিন্তু কোন কারণে কোম্পানিটা ধুঁকছে। তিনি সেক্রেটারি সঙ্গে কথা বলে এক আইএএস অফিসার কে এই কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হলো বলে জানান। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এতটা দক্ষ ছিলেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, শালিমার শিপবিল্ডার্স এ কিছু সমস্যা আছে। এই শিপবিল্ডার্সের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে করা হবে। যেমন জাহাজ সারানো, নতুন জাহাজ আনার মতো রাজ্য সরকারের কাজ শালিমারে করা হবে। এতদিন এই সমস্ত কাজ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হতো। এই কাজ করানো হলে শালিমার শিপবিল্ডার্স চলবে। ২০০৪ সালে কিছু অর্ডার নিয়েছিল এই সংস্থা। সেটা দিতে পারছে না। ফলে প্রায় ১৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসান থেকে লাভের পথে নিয়ে আসার জন্য পরিকাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। অনেক জাহাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে এগুলি সম্পন্ন করা হবে। তাঁর আশা সরকার এই সংস্থাকে ভালোভাবে চালাতে পারবে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে সংস্থাটি লাভবান হবে।

জুন ১৪, ২০২১
রাজ্য

লিলুয়ায় এস আই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

লিলুয়া থানা এলাকার বামুনগাছি সি রোডে পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে ধৃতদের মালিপাঁচঘড়া এবং লিলুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরও একাধিক দুষ্কৃতীর খোঁজ করতে চাইছে পুলিশ। সোমবারের ঘটনা আসলে রবিবার হাওড়ার বাঁধাঘাট শ্মশানের একটি ঘটনার জের বলে পুলিশসুত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বামনগাছি সি রোডের বাসিন্দা এলাকার পরিচিত ব্যবসায়ী এবং তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সন্তোষ মুখিয়া নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে তাঁরই সতীর্থরা যখন সালকিয়া বাঁধাঘাট শ্মশানে যান। সেখানে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কেন্দ্র করে গোলমাল শুরু হয়। পরস্পরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। তাতে কয়েকজন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই বেলগাছিয়া সি রোডে পুলিশি পাহারা বসানো হয়। বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সোমবার সন্ধ্যায় সি রোডের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে হামলা চালায়। পরের পর বোমা পড়তে থাকে। গুলি চলে।পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে লিলুয়া থানার কর্তব্যরত এসআই সুমন ঘোষকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া একটি গুলি তাঁর বাঁ পা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাওড়ার আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, কারও শরীর লক্ষ্য করেই যে গুলি ছোঁড়া হয়েছে, তা পরিষ্কার।হাওড়া সিটি পুলিসের ডি সি(নর্থ) অনুপম সিং জানান, পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া, লিলুয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে তাদের ধরা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত বাকিদেরও খোঁজ চালান হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সুমনবাবুর পায়ে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এদিন ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।

জুন ০৮, ২০২১
কলকাতা

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, চিকিৎসককে মারধর ও নার্সিংহোমে ভাঙচুর

রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা, চিকিৎসককে মারধর ও নার্সিংহোম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। হাওড়ার বাঁকড়ার জাপানি গেট এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় শুক্রবার রাতে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরিবারের লোকজন ভাঙচুর চালায়, এমনকী এক চিকিৎসককে মারধরও করা হয়। স্থানীয় দাসনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। দুপক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।গত ২৬ মে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন ডোমজুড়ের গয়েশপুরের বাসিন্দা আতিয়ার রহমান। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত বৃদ্ধের এক আত্মীয়ের অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট থাকা সত্ত্বেও করোনা পরীক্ষা না করে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু করে। করোনায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। ওই নার্সিংহোমে কোভিডের চিকিৎসা হয় না। এমনকী, করোনা পরীক্ষার জন্য ওই বৃদ্ধের লালারস অন্যত্রও পাঠানো হয়নি। ফলে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার জন্যই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধের পরিবারের। বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরই শুক্রবার রাতে বৃদ্ধের পরিবার ও প্রতিবেশীরা ওই নার্সিংহোমের উপর চড়াও হন। ভাঙচুরের পাশাপাশি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। নার্সিংহোমের সিসিটিভিতে ওদিন রাতের পুরো ঘটনা ধরা পড়ে। অপরদিকে, যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ও যাঁকে মারধর করার অভিযোগ সেই চিকিৎসক এম আহমেদ রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। পাশাপাশি, তিনি জানান, শ্বাসকষ্টের কারণে ভর্তির সময়েই নার্সিংহোমের তরফে আরটিপিসিআর বা কোভিড পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছিল মৃতের পরিবারকে। তাঁরা তা করতে চাননি। চিকিৎসকের কথায়, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের ওই নার্সিংহোমে সিটি স্ক্যান কিংবা আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয়। বাইরে থেকে পরীক্ষা করে নিয়ে আসার কথা বলা হলেও মৃতের পরিবার তা করেননি। তাই শ্বাসকষ্ট থাকায় ওই রোগীকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়েছিল। কোভিড টেস্ট করা হলে, পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট এলে অবশ্যই ওই বৃদ্ধকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতো বলে জানান নার্সিংহোমের ওই চিকিৎসক। রোগীর পরিজনরা তাঁকে মারধর করেন বলেও জানান তিনি। এদিকে দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়ে প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মে ২৯, ২০২১
কলকাতা

শিয়রে যশ, প্রস্তুতি হাওড়ার জেটিঘাটেও

ঘূর্ণিঝড় যশ-এর সতর্কতা হিসেবে হাওড়া জেটিঘাটেও নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। লঞ্চগুলিকে দড়ির সাহায্যে এবং লোহার চেনের সাহায্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। কর্মীদের যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপদ মোকাবিলার কাজে। এর আগেও আয়লা, বুলবুল, আম্ফান প্রমুখ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা যেভাবে করা হয়েছিল সেইভাবেই আসন্ন ঘূর্ণিঝড় যশ- এর মোকাবিলা করা হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজে কর্মীরা প্রস্তুত থাকছেন। লাইফ জ্যাকেট রাখা হয়েছে। সরকারি যা নির্দেশ আসবে এবং দপ্তরের আধিকারিকরা যা নির্দেশ দেবেন সেই অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় যশ- এর মোকাবিলায় কাজে নামা হবে। জেটিঘাটের রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে লঞ্চ কর্মী প্রবীর কুমার হাইত বলেন, এটি আমাদের চতুর্থ অভিজ্ঞতা। এর আগে আয়লা, বুলবুল, আম্ফান হয়ে গিয়েছে। এবার যশ। আমরা পুরনো এবং নতুন দড়ি দিয়ে ভালোভাবে লঞ্চগুলোকে বেঁধে রেখেছি। এক একটা লঞ্চের সাতজন করে কর্মী আছেন। এদিন সব কর্মী উপস্থিত থাকবেন। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ থেকে ১২ জন কর্মী থাকেন। তাঁরা সকলেই উপস্থিত থাকবেন। এদিন ব্যবস্থা থাকবে লাইভ বোট, লাইভ জ্যাকেটের। অফিসের সকল কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। প্রশাসনের নির্দেশমতো কাজ হবে।

মে ২৪, ২০২১
রাজ্য

লকডাউনে জুটমিল বন্ধে পথে বসলেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার আরও একটি জুটমিল। কাজ হারালেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক।দাশনগরের ভারত জুটমিলের পর এবার বালি বাদামতলার মহাদেব জুটমিল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দিয়ে বন্ধ হল। আজ বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বালি বাদামতলা মহাদেব জুটমিল। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় হাজারের উপরে শ্রমিক। মূলত কাঁচামালের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম বন্ধ হল হাওড়ার বালি বাদামতলা মহাদেব জুটমিল। কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক।মিলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মিহির দত্ত বলেন, সকালে হঠাৎ কাঁচামাল নেই বলে মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই কারখানা বন্ধ হওয়ায় প্রায় এক হাজার কর্মী কাজ হারালেন। কাঁচামালের অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম মিলটি বন্ধ হলো। এটা অন্যায় করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে মানুষ যেখানে খেতে পারছে না সেখানে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনৈতিক। আমাদের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন পাট এলে মিলের কাজ হবে।মিল বন্ধের কারণে মিলের সামনে ধর্না দিচ্ছেন কর্মীরা। এদিন সকালে কাজে এসে দেখা যায় মিল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মিলের এক কর্মী তাফের আলম জানান, এদিন সকালে এসে দেখেন কাঁচা মালের জন্য মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কাঁচামাল এলে কাজ হবে। লকডাউনের কারণে পাট রাস্তায় আটকে আছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লেন। সরকারি নির্দেশমতো ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মিল কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি শ্রমিকদের।

মে ১৯, ২০২১
কলকাতা

যুবককে পিটিয়ে খুন, রণক্ষেত্র হাওড়া

সামান্য বচসার জেরে যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার শিবপুর। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটলেও মঙ্গলবারও উত্তেজনা এলাকায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে জিটি রোড অবরোধ করেছন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ ও র্যাফ।হাওড়ার শিবপুরের বাগদি পাড়ার বাসিন্দা গুড্ডু চৌরাসিয়া নামে ওই যুবক। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পাশের পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক ও তাঁর বন্ধুরা। ক্রমেই তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে শুরু করে ইটবৃষ্টি। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযোগ, সেই সময় বেধড়ক মারধর করা হয় গুড্ডুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিবপুর চত্ত্বর। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে জিটিরোড অবরোধ করে উত্তেজিত ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে প্রচুর পুলিশ ও ব়্যাফ। তাঁদের সামনেও চলে অবরোধ। এখনও রীতিমতো উত্তপ্ত এলাকা। বাগদি পাড়ার এক বাসিন্দার দাবি, সামান্য খেলাধুলো নিয়ে কথা কাথাকাটাকাটি থেকেই এই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সামান্য অশান্তির কারণেই পিটিয়ে খুন করা হল যুবককে, নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য রহস্য, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মে ১১, ২০২১
কলকাতা

ভ্যাকসিন নেই, লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে যেতে হল হাওড়ার বহু মানুষকে

ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় হাওড়ার অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া গেল না। প্রয়োজনের দশ ভাগের এক ভাগ ডোজ এসেছে জেলায়। যে কারণেই তৈরি হয়েছে সমস্যা বলে মত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। যার ফলে হাওড়া পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রগুলি থেকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়া। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাহিদা মত ভ্যাকসিন না থাকায় গোলমালের আশঙ্কায় পুরসভা কম সংখ্যক ডোজ নিতে চায়নি। ১লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন থাকলেও, এসেছে মাত্র ১০হাজার ডোজ। গত শুক্রবার হাওড়ার অধিকাংশ কেন্দ্রে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ থাকবে বলে নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হলেও সোমবার সকাল থেকেই বহু মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দেন। হাওড়া জেলা হাসপাতাল-সহ অন্যান্য হাসপাতালে অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিন থাকায় বহু মানুষকেই ফিরে যেতে হয় ভ্যাকসিন না পেয়েই। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, আমরা মাত্র ১০ হাজার ভ্যাকসিন পেয়েছি। তাই জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে কিছু করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন ছিল ১ লক্ষ ডোজ। কিন্তু তা না আসায় সব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মে ১০, ২০২১
কলকাতা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালের নার্সদের

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সিং কর্মীরা। পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে চরম অব্যাবস্থার অভিযোগ। পর্যাপ্ত সাফাই কর্মী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাবে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীর মলমূত্র-সহ বিছানা পরিষ্কার না হওয়ার অভিযোগ রোগীদের। এদিন দুপুরে ডিউটি শেষ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নার্সরা। মূলত পরিকাঠামোর অভাবেই এই কোভিড হাসপাতালে সাফাই সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই বিক্ষোভ দেখালেন নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, ড্রপিং এরিয়া, যেখানে ডিউটি শেষে নার্সরা তাঁদের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট কিট বা পিপিই কিট ছেড়ে রাখেন সেই এলাকা প্রত্যেক শিফটের পরে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। ফলে থেকে যায় সংক্রমণের আশঙ্কা। এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাথরুমের জল ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এগুলি পরিষ্কার হচ্ছে না। তার উপর হাসপাতালের রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত খাবার জল। এমনকী, কোনও রোগীর মৃত্যু হলে সেই দেহ পড়ে থাকছে শয্যায়। পাশে থাকা অন্য রোগীরা যার ফলে তীব্র সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। নার্সদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না-থাকাতেই এই নরকীয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে এই কর্মচারী পর্যাপ্ত না থাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। তাঁরা জানান, ২০০ জন রোগী পিছু ১২ ঘণ্টায় মাত্র এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকছে। ফলে অপরিষ্কার হয়ে পড়ে থাকছে কোভিড ওয়ার্ড। হাসপাতালের এক নার্সের অভিযোগ, রোগীরা শয্যা থেকে পড়ে গেলে তাঁদের বেডে তোলার মতো লোক থাকছে না। অক্সিজেন দেওয়ার লোক নেই। চূড়ান্ত এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও রোগীর পরিবারে তাদের পেশেন্ট সংক্রান্ত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হলেও সেই ফোন নম্বরে ফোন এলে রোগীর সেবা করতে গিয়ে পরিজনদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মত সুযোগ পাচ্ছেন না নার্সরা। ফলে রোগীর পরিজনরাও তাঁদের রোগীর খবর না পেয়ে অসহায় বোধ করছেন এবং অভিযোগও করছেন। হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী না থাকায় সমম্বয়ের অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে এদিন দাবিপত্রে জানান বিক্ষোভরত নার্সরা। এদিকে এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দলকে বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এই কোভিড হাসপাতাল নিয়ে বারে বারেই নানান অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিজনরা। এবারে পরিকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরে বিক্ষোভে সামিল হলেন নার্সরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

মে ০৬, ২০২১
কলকাতা

হাওড়ার স্ট্রংরুমগুলিতে সিসিটিভির কড়া নজরদারি

হাওড়া জেলার সবকটি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। এছাড়াও স্ট্রংরুমের বাইরে একটি এলইডি স্ক্রিন লাগানো রয়েছে। যেখানে সিসিটিভিতে ধরা পড়া স্ট্রংরুমের বাইরের ছবি দেখা যাচ্ছে। কেউ স্ট্রংরুমের বাইরে আসছেন কি না তা যেমন হাওড়ায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা নজর রাখতে পারছেন, তেমনই সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও তা দেখতে পাচ্ছেন। স্ট্রংরুমে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যই নজরদারির এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ১২টি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। স্ট্রংরুমের গেটের বাইরে পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়া জেলায় যেখানে যেখানে স্ট্রংরুম রয়েছে সেগুলি হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির, হাওড়া ময়দানের সেন্ট থমাস চার্চ স্কুল, শিবপুরের আইআইইএসটি, সাঁকরাইলের সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাঁচলার নয়াচক যদুনাথ হাইস্কুল, উলুবেড়িয়ার সিআইপিটি বানীতবলা, শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়, বাগনানে ভারত অ্যাকাডেমি, আমতার সিআইটি বানিতবলা, উদয়নারায়ণপুরে মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়, জগদবল্লভপুরে শোভারানী মেমোরিয়াল কলেজ ও ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ ফৌজ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়। এইসব স্ট্রংরুমগুলিতে রাখা রয়েছে ইভিএম। গত ৬ ও ১০ এপ্রিল দুদফায় হাওড়া জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। ৫ হাজার ৫৫৬টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। সেইমতোই জেলার এই ১২টি স্ট্রংরুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ইভিএমে বন্দি রয়েছে ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের মতামত। হাওড়ায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানালেন, গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই তালা দেওয়া স্ট্রংরুমের নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভির ব্যবহার শুরু হয়। এমনকী, স্ট্রংরুমের বাইরে এলইডি স্ক্রিন রাখা হয়। তিনি জানান, সহজেই যাতে স্ট্রংরুমের ছবি স্ক্রিনে ফুটে ওঠে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা সবই এলইডি স্ক্রিনে দেখতে পাবেন স্ট্রংরুমের অবস্থা। শুধু স্ট্রংরুমের বাইরে থেকে নয়, জেলায় নির্বাচনের কন্ট্রোল রুম থেকেও স্ট্রংরুম থেকে নজরদারি চালানো যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নির্বাচন কমিশনের পদস্থ আধিকারিকরা ১২টি স্ট্রংরুমে গিয়ে পরিদর্শন করছেন। সবমিলিয়ে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে হাওড়ারl স্ট্রংরুমগুলিকে। আগামী ২ মে ফল ঘোষণার দিন খোলা হবে এই স্ট্রংরুমগুলি।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
কলকাতা

করোনা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাওড়া জেলা প্রশাসনের

উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে হাওড়ার করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে উর্ধগামী হাওড়া পুর এলাকার করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন নিচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। হাওড়া প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গত বছর লকডাউনের পর থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, ধাপে ধাপে সেগুলি প্রায় সবই ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এবার কোনও রাস্তা বা বড় এলাকা ধরে কন্টেইনমেন্ট জোন নয়, এবার করা হবে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন। কোনও বাড়ি বা আবাসন থেকে পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্তের খবর এলে সেই আবাসন বা নির্দিষ্ট কয়েকটি বাড়িকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে নজরদারির আওতায় আনা হবে। এছাড়াও আবার চালু করা হচ্ছে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা। এছাড়া বাজারহাট, জনবহুল এলাকাগুলি একদিন অন্তর জীবাণুমুক্ত করা, সেফ হোম পরিষেবা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধাপে ধাপে এই কাজগুলি শুরু হয়ে যাবে। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক এই খবর জানিয়েছেন। হাওড়া শহরে সংক্রমণের বাড়াবাড়ির কথা মাথায় রেখে নেওয়া হচ্ছে আরও কিছু ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বাজারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের তোড়জোড় চলছে। এক-দুদিনের মধ্যে সেই বৈঠক সেরে কীভাবে নিয়ন্ত্রিতভাবে বাজারগুলি চালু করা যায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা করোনা বিধি মেনে চলেন, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাওড়ার মঙ্গলাহাটে প্রতি সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। আগের মতো সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মঙ্গলাহাটের বেচাকেনা চলছে। সেখানে অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে কোনও তোয়াক্কা করছেন না। এই বিশাল পাইকারি হাটেও কীভাবে করোনা বিধি চালু করা যায় বা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ লাগু করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১১ এপ্রিল ২৯৩ জন, ১০ এপ্রিল ২৮৯ জন এবং ৯ এপ্রিল ২২৩ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মাসখানেক আগেও এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩০-৪০ এর মধ্যে ছিল। এই কদিনে যেভাবে তা বেড়ে গেল, এখনই তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী মাসখানেকের মধ্যে সংক্রমণের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, ১১ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী হাওড়ার প্রায় ১৮০০ সক্রিয় করোনা রোগীর মধ্যে প্রায় ১৪০০ জনই হাওড়া পুরসভা এলাকার। তাই শহর নিয়েই আপাতত উদ্বেগ বেশি রয়েছে প্রশাসনের। বালিটিকুরি হাসপাতালকে ইতিমধ্যে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে অতিরিক্ত ৬০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে সত্যবালা আইডি হাসপাতালও। সব ধরনের পরিকল্পনা ঠিকঠাক কার্যকর হলে আগামী সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
রাজ্য

শিবপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র‍্যাফ

পুলিশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগে থানা ঘেরাও তৃণমূলের।শিবপুরে ভোট পরবর্তী সংঘাত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। বাঁকড়ার পরে এবারে শিবপুরের চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ওলাবিবিতলার ভ্যানিশকালি এলাকা। সোমবার রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিবপুরের অনন্তদেব মুখার্জি লেনে নামে র্যা ফ। অনন্তদেব মুখোপাধ্যায় লেনের ভ্যানিস কালি অগ্রনী সংঘের মাঠের কাছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মারামারি হয়। সোমবার রাতে এই সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার তৃণমূল চ্যাটার্জিহাট থানা ঘেরাও করে। চ্যাটার্জিহাট থানার ওসির অপসারণের দাবিতে থানা ঘেরাও করে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় বার বার পুলিশকে ফোন করলেও রাতে ঘটনাস্থলে কোনও পুলিশ পাঠানো হয়নি। বিজেপির তরফেও জেলা নেতৃত্ব থানায় গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারধর করেছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবী বিজেপির মহিলা বাহিনী তৃণমূলের মহিলাদের উপর সোমবার রাতে লাঠি ও রড নিয়ে চড়াও হয়। এতে তৃণমূলের দুই মহিলা গুরুতর আহত হন। যদিও বিজেপি এই আক্রমণের কথা অস্বীকার করেছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। গুরুতর আহত তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী মুনমুন চক্রবর্তী বলেন, আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলা আমাকে পিছন থেকে এসে মারধর শুরু করে দিল। মাথায় ইঁট দিয়ে মারলো। তার পর রাস্তায় ফেলে পিঠে লাঠি, টিউবলাইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করলো। আক্রমণকারীরা সব বহিরাগত। ওরা প্রত্যেকেই বিজেপির আশ্রিত। এলাকার বাসিন্দারাই আমাকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, বিজেপি আশ্রিত মহিলা দুষ্কৃতীরা লাঠি, টিউবলাইট নিয়ে চ্যাটার্জিহাটের অনন্তদেব মুখার্জি লেনে বাড়ি বাড়ি ঢুকে ৬৫ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধবৃদ্ধাদের মারধর করেছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার এলাকায় মদের দোকান রয়েছে। ওই নেতাই প্রচুর কালো টাকা ছড়িয়ে বাইরে থেকে মহিলা দুষ্কৃতী নিয়ে এসে এলাকার বাসিন্দাদের মারধর করেছে। ভোটের পর এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, হাওড়ায় শনিবার ভোট মিটতেই সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। সোমবার রাতে চ্যাটার্জিহাটেও একই ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে প্রচুর বিজেপি কর্মী আহত হয়ে ভর্তি আছেন। এভাবে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারতে থাকলে আমরা আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। আমরাও এবার পাল্টা মারবো। শনিবার ভোট মেটার পরেই রবিবার রাতে বাঁকড়ায় সংঘাতে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। সেই সংঘাতের রেশ মিটতে না মিটতেই সোমবার রাতে চ্যাটার্জিহাটে আবার যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যা ফ। হাওড়ায় ঘটা একের পর এক ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল।

এপ্রিল ১৩, ২০২১
কলকাতা

পাত্রীর সুপার ইম্পোজ করা ভিডিও দেখে বিয়ে ভাঙল বর

পাত্রীর ভিডিও ছবি সুপার ইম্পোজ করে বিয়ের দিনেই পাত্রের ফোনে পাঠানো হযেছিল। সেই ভিডিও দেখেই বেঁকে বসে পাত্রপক্ষ। রাতে বিয়ে করতে আসেনি বর। বিয়ে ভেঙে যায়। হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার এক পরিবারে মঙ্গলবার ছিল ওই বিয়ের অনুষ্ঠান। ওই দিন সকালেই পাত্রীর ছবি সুপার ইম্পোজ করে সেই অশ্লীল ভিডিও আসে পাত্রের ফোনে। এদিকে, বিয়ের সব প্রস্তুতি সারা হলেও সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করলেও বিয়ে করতে আসেনি বর। আলোকসজ্জায় সাজানো বিয়ের অনুষ্ঠানে মুহুর্তেই নেমে আসে অন্ধকার। স্থানীয় থানায় মেয়ের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ফেক ভিডিও কে বা কারা বানালো এবং তা পাত্রপক্ষের কাছে পৌঁছে গেল তার উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছে পাত্রীপক্ষ। সেই ফেক ভিডিও যে সুপার ইম্পোজ করে বানানো হয়েছে তা পাত্রপক্ষকে জানানো সত্বেও কেন বর বিয়ে করতে এলো না তা নিয়ে পাত্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এদিকে, পাত্রীর বাবা জানান, বিয়ের সব আয়োজন সারা হয়েছিল। এখন ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতি হয়ে গেল। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এই বিয়ের সঙ্গে আমাদের পরিবারের মানসম্মান জড়িয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
কলকাতা

নর্দমায় ভাসছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড!

যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল এবারে হাওড়ায় নর্দমা থেকে পাওয়া গেল সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বুধবার রাতে রাজবল্লভ সাহা লেনের একটি নর্দমায় এই কার্ড পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাটি হাওড়া পুরসভার ২৮নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ মণ্ডল জানান, রাতে রাস্তার ধারে কল থেকে জল নিতে গিয়ে দেখেন, নর্দমায় পড়ে রয়েছে ৮ থেকে ১০টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কে বা কারা কার্ডগুলো ওখানে ফেলে গেল তা বুঝতে না পেরে, স্থানীয়রাই কার্ডগুলো তুলে গুছিয়ে রাখেন। এলাকার আর এক বাসিন্দা বিশ্বরূপ সাহা জানান, রাজ্য সরকার কার্ডগুলো সাধারণ মানুষের হাতে তুলে না দিয়ে এগুলো নষ্ট করছে।এই ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির জেলা সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, রাজ্য সরকার দুয়ারে আর মানুষের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাজবল্লভ সাহা লেনের যমের দুয়ারে পড়ে রয়েছে। রাজ্য সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। এই প্রসঙ্গে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রাস্তায় পড়ে থাকার খবর শুনেছি। ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছে প্রশাসন। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও 'শেয়ার' করা নিষেধ স্কুলে

ছাত্রীদের একসময়ে সব কিছু সকলে ভাগ করে নেওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার দিনে ছাত্রীদের ভাগ করতে বারণ করার কথা তাঁর মূখেই শোনা গেল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১১মাস বন্ধ থাকার পরে এদিনই প্রথম খুলল স্কুল। সকালে স্কুলে ঢোকার সময়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সার দিয়ে দাঁড়াতে হলো ছাত্রীদের। প্রথমেই থার্মালগান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হলো, তারপরে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপরেই ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হলো হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের। এদিন সকালে স্কুলে আসা ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও শেয়ার করতে বারণ করেন।এদিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুভ্রা চক্রবর্তী বলেন, ছোট বেলায় যাদেরকে সবকিছু ভাগ করে নেবার শিক্ষা দিয়েছিলাম, করোনা পরিস্থিতিতে এবারে সেটাই করতে তাদের বারন করতে হচ্ছে। ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলেছি। প্রতি বেঞ্চের দুই ধারে দুইজন ছাত্রী বসবে। এদিন প্রায় এক বছর পরে স্কুলে এসে যারপরনাই খুশি ছাত্রীরা।একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া সাহানির কথায়, প্রায় এক বছর পরে আবার বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে। এদিন ধর্মঘটের মধ্যে স্কুলে আসা নিয়ে এক অবিভাবকের কথায়, ওরা তো অনেকদিন ধরেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। তাই বাংলা বনধে স্কুল খোলায় ওদেরকে আর থামানো যায়নি। বামফ্রন্টের ডাকা বন্ধ না মেনে তাই স্কুলে ছুটেছে পড়ুয়ারা। এদিনের বাংলা বনধে হাওড়ার জনজীবনে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া কোন প্রভাব পড়েনি। বাস ও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বন্ধ না মেনে পথে নামেন মানুষজন। হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পরিষেবাও প্রায় স্বাভাবিক ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

সাধারণের জন্য খুলে গেল বেলুড়মঠের দরজা

দ্বিতীয় দফায় ১৯১দিন বন্ধ থাকার পরে বুধবার থেকে আপামর ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে গেল বেলুড়মঠ। এদিন থেকেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর মেনে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে দেওয়া হল বেলুড়মঠের দ্বার। গত ২৫শে জানুয়ারী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ। লকডাউনের জেরে ২০২০সালে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল বেলুড় মঠ। ৮২ দিন বন্ধ থাকার পর। ১৫ জুন তা আবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় একাধিক করোনা বিধি মেনে গেটে প্রবেশ করান হতো।বেলুড়মঠে ঢোকার সময় সামাজিক দুরত্ব মানা থেকে স্যানেটাইজ করে মঠে ঢোকা, সব করোনাবিধিই মানতে হত ভক্ত থেকে দর্শনার্থী সকলকেই। এর প্রায় দেড় মাস পর ২রা আগস্ট থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। সেই সময়ে মঠের আবাসিক প্রায় ৮০জন সন্যাসী করোনায় আক্রান্ত হন। যার জেরেই মূলত দ্বিতীয়বার বেলুড়মঠে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার থেকে প্রত্যহ সকাল ৮.৩০মিনিট থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ও বিকাল ৩.৩০মিনিট থেকে বিকাল ৫.১৫মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে মঠের দরজা | মঠের মূল মন্দিরসহ মোট চারটি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেও, মন্দিরে বসা ও মঠ চত্বরে সময় কাটাতে পারবেন না কেউ | দেখা যাবে না সন্ধ্যা আরতি।কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়ে এই বছরে বেলুড়মঠে বন্ধ রাখা হচ্ছে সাধারণ উৎসব। আগামী ২১মার্চ সাধারণ উৎসব বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানান মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জী মহারাজ। এদিন তিনি আরো জানান, আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারী সরস্বতী পূজা ও আগামী ১৫ই মার্চ ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি পুজার দিনেও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। এই দিনগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে করোনা বিধি ভাঙ্গার আশঙ্কাই করছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। এদিন মঠ কর্তৃপক্ষ যে পরিমান দর্শনার্থীর আশা করে ছিলেন সেই তুলনায় কয়েক গুন বেশী ভক্ত ও দর্শনার্থীদের এলেও কোন সমস্যা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা স্নাতকোত্তরের ছাত্রী পারমিতা এদিন সকালেই মায়ের সাথে ছুটে আসেন বেলুড়মঠে। তিনি জানান, মঠে ঢোকার সময়ে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। পারমিতার ভাষায় আজকের ভোর নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। তিনি আরও জানান, করোনা আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও অনেক শিক্ষাও দিয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে গেলেও মাস্ক পরা সহ কিছু বিধিনিষেধ লাগু থাকাই আমাদের পক্ষে মঙ্গলের বলে মনে করেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রাজ্য

কেন শীতেও জমা জলের সমস্যা হাওড়ায়?

শীতকালেও জমা জলের সমস্যা হাওড়া পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের দয়াময় নস্কর লেনের বাসিন্দাদের। বাড়ির উঠানে, রাস্তায় জমে থাকা নোংরা জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে প্রাণ ওষ্ঠাগত এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দার। তাঁদের অভিযোগ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা সকাল-বিকেল নোংরা জলে বন্দি হয়ে থাকছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, সকালে এবং দুপুরে যখন পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জল পাইপলাইনে আসে, তখনও নিকাশিনালা উপচে নোংরা জল চলে আসে রাস্তায়। আবার জোয়ারের সময় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গেলেও এমন সমস্যা হয়। বছরের পর বছর ধরে নিকাশিনালা সাফাই না করার ফলে কার্যত পুরোটাই বুজে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের এই সমস্যার কথা পুরসভা থেকে শুরু করে প্রশাসনের নানা স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান না হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার কথাও চিন্তা ভাবনা করছেন এলাকার মানুষ। এলাকাটি গঙ্গার কাছে হওয়ায় নিকাশিনালার সঙ্গে গঙ্গার জলস্তরের যোগ থাকা অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন কেউ কেউ। যদিও পুরসভার পানীয় জল আসার সময়ে কেন নিকাশিনালা উপচে পড়ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, বেশ কিছু বাড়ির সামনের উঠোনে পর্যন্ত নোংরা জল জমে রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্ষার সময় মনে হয়েছিল, প্রচুর জমা জলের জন্য এই সমস্যা। কিন্তু এখন তো কোথাও বৃষ্টি নেই। তাহলে কেন এমনটা হচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ দুবে বলেন, দিনের পর দিন এই ভোগান্তি চলছে আমাদের। দয়ারাম নস্কর লেন শুধু নয়, গুহ রোডের একাংশের বাসিন্দারাও একই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কাউন্সিলর না থাকায় পুরসভায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবে কোনও সমাধান হয়নি। এভাবে আর চালানো সম্ভব নয় বলে ক্ষোভের সঙ্গে জানান তিনি। এলাকায় দেখা গেল, নিকাশিনালা ভর্তি হয়ে রয়েছে নানা ধরনের প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্যে।স্থানীয় মানুষের দাবি, নিকাশি সংস্কার এবং সাফাই করলেই এই সমস্যা আর থাকবে না। তা করা হচ্ছে না বলেই নোংরা জলের মধ্যে সকাল-বিকেল বন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
স্বাস্থ্য

শিশুদের জন্য প্রথম হাসপাতাল চালু হাওড়ায়

হাওড়া জেলায় পথম শিশু হাসপাতাল চাল্য হল। মাস কয়েক আগে বহির্বিভাগ চালু করা হলেও এদিন আন্তর্বিভাগও চালু করা হয়েছে। ২০টি শয্যার এই শিশু হাসপাতালে প্রসূতিদের জন্যও থাকছে শয্যা। এছাড়া রয়েছে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও। থাকছে শিশুদের পাঁচটি এনআইসিইউ। হাওড়া ময়দানে মহত্মা গান্ধী রোডে একটি তিনতলা ভবনে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। দোতলায় রয়েছে অপারেশন থিয়েটার ও শিশু ও প্রসূতি বিভাগ। এদিন নবনির্মিত এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় ও হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, গরীব মানুষও যাতে এই হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসা করাতে পারেন তা দেখা হবে। পাশেই রাজ্য সরকারের নিজস্ব জায়গায় হাসপাতালটির আরও বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি। এই হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও গায়নোকোলজিস্টরা থাকবেন।ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির সম্পাদক তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, শিশুদের টাইফয়েড, হারনিয়ার মতো চিকিৎসা হবে। এছাড়াও শিশুদের স্পিচ থেরাপি, কাউন্সেলিংও হবে এখানে। হবে চামড়ার চিকিৎসা। এমনকী শিশুদের জটিল অস্ত্রোপচারও। সাংসদ তহবিলের ১০ লক্ষ টাকা অনুদান ও সমবায় দফতরের আর্থিক সাহায্যে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায় হাসপাতালটি তৈরি করা হল। ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি ও রাজ্য সরকারের সমবায় দফতরের যৌথ উদ্যোগেই শিশু হাসপাতালটি তৈরি হল।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
রাজনীতি

শুভেন্দুর পথেই এগোচ্ছেন রাজীব

মন্ত্রিত্বের পর এবার বিধায়ক পদও ছাড়লেন। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে তাঁর সামনে পদত্যাগপত্র লিখে জমা দেন ডোমজুরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে এদিনও তৃণমূলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এই বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক।এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপি যোগের ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাজীব। উল্লেখ্য, রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলায় জনসভা আছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহর। সেই মঞ্চেই পদ্ম পতাকা হাতে দেখা যেতে পারে রাজীবকে। ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভার রিপ্লে দেখা যেতে পারে হাওড়ায়। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সময় রাজভবন থেকে বেরিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল দেখা গিয়েছিল রাজীবের। এদিনও বিধানসভায় যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। দলনেত্রীর ছবিও ছিল তাঁর কাছে। শুভেন্দু অধিকারী দুদিন আগেই পুরনো সঙ্গী রাজীবকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার আগে বিজেপি নেতারা তাঁকে প্রকাশ্যে আহ্বান জানাত। সেই একই পথে কি রাজীবও? সেটাই মূল প্রশ্ন।

জানুয়ারি ২৯, ২০২১
রাজনীতি

রাজীবকে পদ্মশিবিরে সরাসরি আহ্বান শুভেন্দুর

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদ্মশিবিরে আসতে আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হাওড়ার ডোমজুড়ের এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, আড়াই বছর আগে তাঁকে না জানিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখনই নাকি তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিরস্ত করেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।বুধবার শ্যামবাজারের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিসে গিয়ে রাম মন্দির নির্মান কল্পে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিধি জমা দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দেন, এই টাকা সাংসদ হিসাবে যে পেনশন পান সেখান থেকেই দেওয়া হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, আমি আশা করছি রাজীব বিজেপিতে আসবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে বন্ধু। আমরা তাহলে একসঙ্গে কাজ করতে পারব। খুব ভাল হবে।এদিকে রাজ্যে সভা করতে আসছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এর আগে তিনি জনসভা করেছেন মেদিনীপুর শহরে। ওই সভায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই দিন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলও যোগ দিয়েছেন। এই সপ্তাহেই অমিত শাহ এরাজ্যে আসছেন। একাধিক কর্মসূচি আছে অমিত শাহর। তিনি আসা মানেই ফের তৃণমূলের উইকেট পড়ে যাওয়া বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে অমিত শাহর আসার আগের দিন ২৯ জানুয়ারি দলীয় বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে আসতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানালেন শুভেন্দু। এখন দেখার বিষয় রাজীব ঘাসফুল ছেড়ে কবে পদ্মফুলে ঠাঁই নেয়।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইউরোপের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত! ভারত সফরের আগে কঠোর বার্তা পুতিনের

আগামী ৪ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর। তবে দিল্লি সফরের আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন পুতিন।তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। তিনি আগেও বহুবার এই কথা বলেছেন বলে দাবি করেন। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি ইউরোপ হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে তাঁরা এখনই তার জন্য প্রস্তুত। পুতিনের এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।এ দিকে রাশিয়ার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছে, পুতিনের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য দুদেশের বিশেষ ও ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা। তাঁর কথায়, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকায় মৃত্যু রহস্য! ৩ দিনে ২২০৮ থেকে নেমে এল মাত্র ২৯

প্রথমে সামনে এসেছিল ২২০৮টি এমন বুথের নাম, যেখানে ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বলে দেখানো হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরে কি সত্যিই ওই সব বুথে একজনও মারা যাননি? এরপর বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অস্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করে এই ধরনের বুথের সংখ্যা।সোমবার যেখানে এমন বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮, মঙ্গলবার তা নেমে আসে ৪৮০-এ। আর বুধবার সেই সংখ্যাই আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯-এ। প্রথম দিনের হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ছিল ৭৬০। বুধবার সেই সংখ্যা নেমে আসে ২০-এ। নতুন তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে রয়েছে ১টি, মালদহে ৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০টি, হাওড়ায় ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত ভোটারের নাম নেই।জেলাশাসকদের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই সংখ্যাও শূন্যে নেমে যেতে পারে। এই দ্রুত বদলে যাওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অবজারভার না আসতেন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে তথ্য সংশোধনের নির্দেশ না দেওয়া হত, তাহলে কি এই ভুলগুলো ধরা পড়ত? এই পরিবর্তনের গতি ও ধরন নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।এদিকে বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েনি। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ, ঠিকানা বদল করা ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটার ৪ লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ বলে জানানো হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে এই বিপুল পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব চান ইমরান, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছেন আসিম মুনির! বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর বোনের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে পুরো মাত্রার যুদ্ধ চাইছেন বলে তীব্র অভিযোগ তুললেন জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বোন আলিমা খান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Sky News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসিম মুনির একজন চরমপন্থী ইসলামপন্থী ও রক্ষণশীল নেতা। তাঁর এই মানসিকতার কারণেই বারবার ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আলিমা খানের কথায়, ইমরান খান একেবারে উদারমনস্ক মানুষ এবং তিনি সব সময় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান, এমনকি বিজেপির সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন।আলিমা বলেন, আসিম মুনির যেভাবে ধর্মীয় চরমপন্থায় বিশ্বাস করেন, তাতে যাঁরা ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাসী নন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে নামতে চান। তাঁর অভিযোগ, এই কারণেই মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে ওঠে। তিনি আরও বলেন, ইমরান খান পশ্চিমের কাছে একটি বড় সম্পদ। তাই পশ্চিমা দেশগুলির এখন উচিত আরও জোরদার ভাবে তাঁর মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা।এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন কিছুদিন আগেই ইমরানের আর এক বোনকে আদিয়ালা জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক পরই ইমরান নিজেও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আসিম মুনির মানসিক ভাবে অসুস্থ এক স্বৈরাচারী শাসক। জেলের ভিতরে তাঁর সঙ্গে কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সেনাপ্রধানের বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান।ইমরান আরও দাবি করেন, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মতোই তাঁকে রাখা হয়েছে, এমনকি পশুর থেকেও খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসিম মুনির দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছেন, যার জেরে আজ পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।কাশ্মীর নিয়ে আসিম মুনিরের আগের একাধিক কড়া মন্তব্য এবং ইসলাম বনাম হিন্দু বিভাজনের বক্তব্য থেকেই সংঘাতের আগুন আরও ছড়িয়েছে বলে মত বিশেষ মহলের। তার পরই ভয়াবহ হামলা, পাল্টা ভারতের সামরিক অভিযানে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই এবার পাকিস্তানের অন্দরে সেনাপ্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজনীতি আরও অস্থির হয়ে উঠল।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

বিমান ধরতে এসে চূড়ান্ত ভোগান্তি! দিল্লি-মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু—সব জায়গায় ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল... কী হল

প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বিমানবন্দরের অতিরিক্ত ভিড় এবং বিভিন্ন পরিচালনাগত সমস্যার জেরে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইন্ডিগো। গত দুদিন ধরে দেশজুড়ে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল ও দীর্ঘ বিলম্বে বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।বুধবার দুপুর পর্যন্ত একাধিক বড় বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে অন্তত ৩৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাতিল হয়েছে ৫১টিরও বেশি বিমান। হায়দরাবাদেও আগমন ও প্রস্থান মিলিয়ে ১৯টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম, গোয়া, আমদাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মাদুরাই, হুবলি, ভোপাল ও ভুবনেশ্বর থেকে হায়দরাবাদের উড়ানও বাতিল করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুর কেমপেগওডা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বুধবার একদিনেই ৪২টি ঘরোয়া ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ছিল আগমন এবং ২০টি ছিল প্রস্থান। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গোয়া, কলকাতা ও লখনউগামী একাধিক ফ্লাইট এই বিপর্যয়ের তালিকায় রয়েছে। গত কয়েক দিনে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বহু যাত্রী এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরির অভিযোগ তুলেছেন।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২ ডিসেম্বর ইন্ডিগোর মাত্র ৩৫ শতাংশ ফ্লাইট সময়মতো উড়তে পেরেছিল এবং ১ ডিসেম্বর সেই হার ছিল ৪৯.৫ শতাংশ। এই অবস্থায় যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানায়, গত দুদিন ধরে তাদের পরিষেবা সারা দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং এর জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ছোটখাটো সমস্যার পাশাপাশি শীতকালীন সময়সূচির পরিবর্তন, খারাপ আবহাওয়া, বিমান চলাচলে অতিরিক্ত চাপ এবং ক্রুদের নতুন কাজের সময়সীমার নিয়ম চালু হওয়ায় একসঙ্গে বহু সমস্যা তৈরি হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে কিছু ফ্লাইটের সময়সূচি বদলানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা বা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে অনলাইনে নিজেদের ফ্লাইটের অবস্থা দেখে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্রের খবর, নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই ইন্ডিগো তীব্র পাইলট সংকটে ভুগছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ক্রুদের বিশ্রামের সময় বেড়েছে, রাতের কাজের সময় বদল হয়েছে এবং রাতে অবতরণের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এই নিয়ম চালু করেছে DGCA Delhi High Court-এর নির্দেশ অনুসারে। এর আগে এই নিয়মের বিরোধিতা করেছিল ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই বিমানসংস্থা প্রতিদিন প্রায় ২১০০টি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালায়। তার বড় অংশই রাতে পরিচালিত হয়। ফলে ক্রু সংকটের প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

ঋণের চাপে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাই বিক্রি! পাকিস্তানে তোলপাড়

ঋণ আর আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানকে এবার তাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতেই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে পাকিস্তান সরকার আর্থিক কড়াকড়ির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। সেই শর্তের অংশ হিসেবেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা Pakistan International Airlines-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী Shehbaz Sharif জানিয়েছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সরাসরি সমস্ত সংবাদমাধ্যমে দেখানো হবে। ইসলামাবাদে দরপত্রদাতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা করেন। নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য চারটি সংস্থাকে আগাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনা-নিয়ন্ত্রিত ফাউজি ফাউন্ডেশনের অধীন ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানিও।এই বিক্রির পেছনে রয়েছে আইএমএফ-এর ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হল পিআইএ বেসরকারিকরণ। পাকিস্তানের বেসরকারিকরণমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে সরকার প্রায় ৮৬ বিলিয়ন টাকা বেসরকারিকরণ থেকে আয় করার লক্ষ্য নিয়েছে। পিআইএ বিক্রি হলে সরকারের ভাগে যাবে একটি অংশ, বাকি থাকবে সংস্থার মধ্যেই।শোনা যাচ্ছে, গত দুই দশকে এটি হবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারিকরণ উদ্যোগ। যে চারটি সংস্থা এই দৌড়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ও এয়ার ব্লু।ফাউজি ফার্টিলাইজার মূলত ফুজি ফাউন্ডেশনের অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বড় কর্পোরেট গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। দেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সরাসরি না থাকলেও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাঁর প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করা হয়।পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি নিয়মিত নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্রায় ঋণখেলাপির মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল খরচ দেশটির আর্থিক ভাঁড়ার আরও ফাঁকা করেছে। আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ অনুমোদিত হয়। তার মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার তখনই দেওয়া হয়, বাকি টাকা তিন বছরে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা।পিআইএ-এর পতন শুরু হয় ২০২০ সালে। সেই সময় সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্যপাকিস্তানের ৩০ শতাংশের বেশি পাইলট ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন। এর জেরে শতাধিক পাইলটকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ইউরোপ, ব্রিটেন ও আমেরিকা পিআইএ-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে সংস্থার আয় ভয়াবহভাবে পড়ে যায়।এর সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত কর্মী, রাজনৈতিক নিয়োগ, স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং ভয়াবহ অপব্যবস্থা। একই বছর করাচিতে পিআইএ বিমানের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যা সংস্থার সংকটকে আরও গভীর করে তোলে। মেরামতি, তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে গিয়ে পিআইএ পুরোপুরি আর্থিক দেউলিয়ায় পৌঁছয়।আজ পিআইএ শুধু একটি বিমান সংস্থা নয়, পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের অব্যবস্থা, দুর্নীতি আর ভুল সিদ্ধান্তই এক সময়ের গর্বের সংস্থাকে এই অবস্থায় এনে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

‘ভারত না ভাঙলে শান্তি নেই’— বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তার মন্তব্যে নতু করে চাঞ্চল্য

ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে বাংলাদেশে কখনও পুরোপুরি শান্তি আসবে নাএমনই উসকানিমূলক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা আবদুললাহি আমান আজমি। তিনি এক সময় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি বরাবরই Bangladesh-এর ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনি সরাসরি ভারতকে য়ী করেন।প্রাক্তন এই সেনাকর্তার আরও অভিযোগ, শেখ মুজিবর রহমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল। তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই কারণেই ওই দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড়ি এলাকায় রক্তপাত চলেছিল।জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহিল আমান আজমি বরাবরই ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি নিয়মিত ভারতবিরোধী পোস্ট করেন। তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।উল্লেখ্য, তিনি প্রয়াত জামাত প্রধান গুলাম আজমের ছেলে। গুলাম আজম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal