• ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Holi

রাজ্য

দোলের দিন দোকান না খোলায় মারধর, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ, তিরে পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা

মদ্যপানের অভিযোগ, দোকান না খোলায় মারধর, পাল্টা অভিযোগ। এতেই জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান। যা নিয়ে সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা। বাগদার কৃষক বাজারের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পার্টি অফিসের উল্টোদিকের দোকান। অভিযোগ এখানে প্রতিদিন মদ্যপান করে প্রধানের অনুগামীরা। সাম্প্রতিক দোকানের সামনে বসতে নিষেধ করেছিল দোকানের মালিক। অভিযোগ, হোলির দিন কেন দোকান খোলেনি সেই আক্রোশে দোকানের মালিক রাজু বিশ্বাস ঘর থেকে বেরোতেই তাকে হেনস্তা করে। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রধানের অনুগামীরা একত্রিত হয়ে রাজু বিশ্বাসকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রাজুকে বাঁচাতে গেলে তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাড়ির উদ্দেশ্য করে বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত সরদার ইট নিয়ে আক্রমণ করে, তার ছোড়া ইঁট ওই মহিলার লাগে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় রাজু বিশ্বাসের দোকান। এই বিষয়ে বাগদা থানার দ্বারস্থ হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। প্রধান কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনের দোকানে বিভিন্ন সময় মদ্যপান করে গালাগাল করে প্রধানের অনুগামীরা। গতকাল তাঁর স্বামীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে স্বামী প্রতিবাদ করতেই তাঁকে মারধর শুরু করে। তিনি ঠেকাতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন । যদিও এই বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু মন্ডল। শুভেন্দুর দাবি, একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করছিল দোকান মালিক, তিনি ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। তিনিও পাল্টা থানায় অভিযোগ করেছেন রাজুর বিরুদ্ধে। বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

রং তোলার ভয়ে যারা দোল খেলেন না তাদের জন্য, দোলের রং তোলার সহজ উপায়

নানারকম দোলের রং মেখে সারা মুখে এক কিম্ভুতকিমাকার দশা। স্নানের সময় বার বার সাবান দিয়ে ধুয়েও কোনও ভাবে যাচ্ছেই না, বেশী ত্বক ঘসার জন্য ত্বকে জ্বালা, অফিস যেতে সমস্যা। না! রং তোলা মোটেই খুব কঠিন বিষয় নয়। আমাদের হাতের কাছেই থাকা কয়েকটা উপাদান দিয়ে অতি সহজেই ত্বকের রং তুলে ফেলা যায়। কিন্তু এগুলির অনেকই আবার ত্বকের জন্য ততটা নিরাপদ নয়। তা হলে? দেখে নেওয়া যাক, রং তোলার কিছু সহজ প্রক্রিয়া, যারা ক্ষতি তো করবেই না, বরং এগুলিতে উপকার হবে ত্বকের।পাতিলেবুঃ একটু হালকা রং তোলার জন্য পাতিলেবুর বিকল্প নেই। লেবু, মধু, জলপাই তেল আর হলুদ আছে এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করে রং তুললে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ত্বকের নমনীয়তাও বাড়ে। এছাড়া পাতিলেবুর রস তুলো দিয়ে ত্বকে বুলিয়ে নিয়ে ৩-৪ মিনিট রেখে জলে ধুয়ে নিয়ে রঙের প্রলেপ অনেকটা হালকা হয়।ডিমঃ রং খেলার নাম করে মাথায় ডিম ফাটানোর রেওয়াজ আজকের নয়। অনেকেরই দাবি, এতে চুলের উপকার হয়। কথাটা খুব একটা ভুলও নয়। চুলের এবং মাথার ত্বকের রং তুলতে ডিমের হলুদ অংশ খুবই পারদর্শী। ডিমের হলুদ অংশ রং লাগা জায়গাগুলিতে মাখিয়ে রেখে, পরে তা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেললেই হল। রং পরিষ্কার।বিয়ারঃ পানীয় হিসেবে দোলের দিনে এটি অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় হিসেবে নয়, এটিকে রং তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের রং আর মুখের রং তুলতে বিয়ার ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে চুলের এবং ত্বকের উভয়েরই উপকার হয়। শুধু বিয়ার দিয়ে রং সাফ করার আগে, এক বোতল এই পানীয়ের সঙ্গে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।হোলির বা দোলের রং সহজে তুলতে অলিভ অয়েল অতি উপকারী উপাদান। যারা আলিভ অয়েল যগার করতে পারবেন না তারা অলিভের পরিবর্তে নারকেল তেল ও ব্যবহার করতে পারেন। রং খেলার আগে তেল মেখে নিলে রং সহজে উঠে যায় এবং ত্বকের ক্ষতিও হয় না।এখানে রং খেলার পর সেটি তোলার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের কিছু উপায় দেওয়া হলোঃরং খেলার আগেরং খেলার আগে ভালো করে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল হাতে, পায়ে, এবং মুখে লাগিয়ে নিন। রং খেলার পরঃরং খেলার পর সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার আগে, অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের জন্য প্যাকঃরং তোলার জন্য দই, বেসন, হলুদ গুঁড়ো, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।চুলের জন্যঃচুলের রং তুলতে ডিমের সাদা অংশ বা নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।ত্বকের যত্নঃরং তোলার পর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।বিঃদ্রঃ ত্বকে এই উপাদানের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে এই ধরনের উপকরণ ব্যবহারের করবেন না।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

বিধাননগরে রঙের উৎসবে একই মঞ্চে হাজির সুজিত বসু ও সব্যসাচী দত্ত

ব্যক্তিগত দূরত্ব সরিয়ে রঙের খেলায় এক মঞ্চে হাজির হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। একসঙ্গে গানের তালে কিছুটা নাচেন দুজনে। আবিরও মাখেন তাঁরা।শুক্রবার দোলের দিন সকালে করুণাময়ী মেলা প্রাঙ্গণে রঙের উৎসবের আয়োজন করা হয়। গানে গানে রঙের খেলায় মেতে ওঠে ছোট বড় সকলে। করুণাময়ী মেলা মাঠে একই সময়ে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধান লনগর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। একসঙ্গে দুজনে মঞ্চে। গানের তালে বেশ কিছুটা নাচের প্রচেষ্টা তাদের। বেশ অনেকটা সময় একসঙ্গেই মঞ্চে থাকেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলে তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত দূরত্বের জল্পনা শোনা গেলেও এদিনের মঞ্চে একেবারেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

নেই রাজা, নেই রাজ্যপাট, অব্যাহত ঐতিহ্যের ধারা, শনিবার রঙের উৎসবে মাতবে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন আবির, রঙের উৎসবে মাতোয়ারা সারা বাংলা। কিন্তু এখনও বর্ধমান শহরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত। আজ, শুক্রবার বর্ধমান শহরের সাধারণ মানুষ রঙের উৎসবে মেতে নেই। আগামিকাল রঙীন হবে শহর বর্ধমান। এখানে রঙের উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজা নেই, নেই রাজ্যপাট, কিন্তু রাজ ঐতিহ্যের ধারা এখনও মেনে চলে বর্ধমান শহরের মানুষ।একই রকম ভাবে সাবেকি রীতি মেনে এই জেলার কালনা শহর ও জামালপুর ব্লকের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারাও দোলের দিন আবিরের রঙে রাঙা হন না। দোল পূর্ণিমার পরের দিন এই এলাকায় পালিত হয় দোল উৎসব। যা জোড়া রাধাবল্লভের দোল নামেই খ্যাত। কেন দোল পূর্নিমার পরের দিন উৎসবে মেতে ওঠে বর্ধমানবাসী?এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। সাধারণ ঠাকুরের পায়ে আবির উৎসর্গ করা হয় দোল পূর্ণিমার দিন। রাজবাড়ির কূলদেবতা লক্ষীনারায়ন জিউ মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ দোল যাত্রায় অংশ নেয়। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা মহতাব চাঁদ এই প্রথা চালু করেন। পঞ্জিকা মতে দোল পূর্ণিমার দিনটিকে বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল হিসাবে মানা হয়। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমানের সাধারণের রঙের উৎসব। আজও সেই রীতির সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ।বর্ধমান রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন, প্রায় তিনশো বছর আগে বর্ধমানের মহারাজ ছিলেন মহতাবচাঁদ । ফাল্গুন মাসে পূর্ণিমার দিনে রাজবাড়ির কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউকে উদ্দেশ্য করে তিনি আবির নিবেদন করতেন। যেহেতু ওইদিন দেবতাকে রং অর্পণ করা হত ফলে সাধারণ মানুষের সেদিন রং খেলা উচিত নয় বলে মনে করা হত। তখন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দোলের পরের দিন রং খেলতেন রাজা । রাজ নিয়মকে অনুসরণ করে বর্ধমানে আজও সেই রীতি চলে আসছে ।বর্ধমানের মতই একই রকম ঐতিহ্য মেনে দোল পূর্ণিমা তিথির পরে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতোয়ারা হন পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রায় চার শতাধিক বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে আসছেন জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে। রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে তারপর বিকালে জামালপুরবাসী রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হবেন। ওইদিন মন্দির প্রাঙ্গনে বসে মেলা। জোড়া রাধাবল্লভের পুজো দেখতে আশপাশের বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে জড়ো হন। জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ।জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা। জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত রায় জানান , তাঁদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত । প্রায় চার শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন রাজপুত সিংহ বংশীয় তাঁদের এক পূর্ব পুরুষ।অবিভক্ত বর্ধমান জেলার জামালপুরে তিনি আস্তানা গাড়েন। শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে গড়কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে। সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায় । আস্তানা এলাকায় ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করেন তদানিন্তন রাজপুত পরিবারের সদস্যরা । সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের একটি কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর একটি রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান ।সেই থেকেই দোল পূর্ণিমা তথি পরবর্তীতে প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে রাধাবল্লভ মন্দিরে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

বিশ্ব কবির বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব ১১ মার্চ, এবারও প্রবেশ নিষেধ সাধারণের

কবি গুরুর বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হবে ১১ মার্চ। এবারও গতবারের মতো সাবেকি প্রথায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। সেখানে একমাত্র বিশ্বভারতীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্তরাই অংশ গ্ৰহণ করতে পারবে। এবারও সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকছে। শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসন্ত উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, পাঠভবন, শিক্ষাসত্র সহ বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, যেহেতু গৌর প্রাঙ্গন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, এখানে কয়েক ঘন্টার অনুষ্ঠানে পাঁচ লক্ষ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। পৌষ মেলা হয় মেলার মাঠে। সেখানে ৬ দিন ধরে মেলা হয়েছে। তাই জনসমাগমের সংখ্যা ভাগ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী সাধারণত দোলের দিন বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে না। আশ্রমে বসন্ত উৎসবের সাথে যুক্ত নয় কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ। তাছাড়া হেরিটেজ তকমা রক্ষার্থে এবারও বিশ্বভারতী বেশি সতর্ক। ১১ মার্চ পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিকদের নিয়ে বসন্তোৎসব করবে বিশ্বভারতী। সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বহাল থাকছে। ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে এবার সতর্ক বিশ্বভারতী। স্বাভাবিক ভাবে দোলপূর্ণিমার দিন হচ্ছে না বসন্তোৎসব। দোলপূর্ণিমা ১৪ মার্চ৷ তার কয়েক দিন আগে ১১ মার্চ বসন্তোৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী। কারণ, ১৪ মার্চ শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড় থিক থিক করে৷ তাই ওই দিন বসন্তোৎসব করলে বহিরাগতরা আশ্রমে প্রবেশ করে যেতে পারে৷ এদিন, বসন্তোৎসব নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন। তাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হতো আশ্রম মাঠে৷ আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘন্টা লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হত৷ উৎসবের সূচনার পরেই বহিরাগতদের তাণ্ডবের সাক্ষী বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিক, শান্তিনিকেতনবাসী সকলেই৷ এই আশ্রম মাঠ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চৈতি বাড়ি, গৌরপ্রাঙ্গণ, ঘন্টা তলা, কালো বাড়ি, রামকিঙ্কর বেইজের মূল্যবান ভাস্কর্য প্রভৃতি। তাতেও আবির ছুঁড়ে দেওয়া হতে পারে৷ এছাড়া অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, বসন্তোৎসব শেষে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসজুড়ে মিলত মদের রাশি রাশি বোতল, প্ল্যাস্টিক প্রভৃতি। এমনকি, বহিরাগতদের হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে বিশ্বভারতীর বহু ছাত্রীকে। এই বিশ্বভারতী বর্তমানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষার্থে আর বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার দিয়ে বসন্তোৎসব করতে চায় না বিশ্বভারতী। তাই এবারও বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না৷ রবীন্দ্রসংগীত ও নৃত্যের মধ্যদিয়ে পড়ুয়ারা উদযাপন করবে বসন্তোৎসব।শেষবার ২০১৯ সালে আশ্রম মাঠে হয়েছিল বসন্তোৎসব। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উৎসব। ২০২১ সাল থেকে তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন৷ এমনকি, ভিড় এড়াতে দোলপূর্ণিমার দিন বসন্তোৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
উৎসব

বাংলায় ব্যতিক্রম: রাজ ঐতিহ্যের রীতি মেনে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ গতকাল, সোমবার সারা বাংলা রঙের উৎসবে মেতেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা এই উৎসবের আবহে ভোট প্রচারও করেছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল একদা রাজাদের শহর বর্ধমান। ঐতিহ্যের পরম্পরা বজায় রেখে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান। অবশ্য হাল আমলের দুএকটি হাউসিং কমপ্লেক্সে ও কিছু কলা ও সংস্কৃতি শিক্ষাকেন্দ্র গতকাল সোমবার হোলি বা দোল পূর্ণিমা পালন করেছে। যা বর্ধমানের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা দোল উৎসব পালন করেন দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজাদের আমল চলে গেলেও সেই রীতিনীতি মেনেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। শুধু শহর বর্ধমান নয় সাবেকি রীতি মেনে অম্বিকা কালনা সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় আজ চলছে রঙের উৎসব।কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল কূল দেবতার দোল উৎসবের দিন। লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে দোল পালন হয়েছে গতকাল। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও চালু রয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২৪
উৎসব

আড়াল আবডালেও যেন 'রাজনীতির রঙ' না লাগে! রঙ নিয়ে ছুতমার্গী রঙীন বাঙালি

দিনগুলি মোর - সোনার খাঁচায় রইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। বাঙালির কোনও অনুষ্ঠানই সম্পূর্ন হয় না কবিগুরুর গান ছাড়া, সে পয়লা বৈশাখ হোক বা বসন্ত উৎসব। সোনার খাঁচার সোনার দিন অনেকটা কল্পনিক লাগলেও বাঙালি আজও রঙ খেলে, সে হোলি বা দোলযাত্রা বা বসন্ত উৎসব যে নামেই হোক।রাত পোহালেই দোলযাত্রা। সাজো সাজো রব বাজারে। নিত্যসামগ্রীর দোকানের নিত্যদ্রব্য সরিয়ে সাময়িক ভাবে জায়গা হয়েছে রঙ-র। নানা রঙের শোভায় চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। অতীতে লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল, কমলা মত স্বাভাবিক কয়েকটি রঙের আবির-ই দেখা যেত, এখন নানা-রঙের বাহার। বেনিআসহকলা (বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল) বাইরেও বেশ কিছু রঙের দেখা মিলছে বাজারে।শহর বর্ধমানে রঙের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, অপ্রচলিত (uncommon) রঙের চাহিদা-ই সবচেয়ে বেশী এইবারে। ভরা ভোট মরসুমে কেউই তাঁর নিজের রঙ চেনাতে নারাজ। তাই লাল, নীল, সবুজ বা গেরুয়ার পরিবর্তে অপ্রচলিত রঙের দিকেই বেশী ঝুঁকেছেন জনগণ। শহরের তেঁতুলতলা পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দোল উৎসবে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা নিজ-নিজ দলের রঙের আবিরই কিনছেন।এবারে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই দোলযাত্রা অনুষ্টিত হতে চলেছে। শিল্পাঞ্চল থেকে বর্ধমান গ্রামীণ-এ শুরু হয়ে গেছে জোড় প্রচার পর্ব। শহর থেকে শহরতলী চলছে দোলের প্রস্তুতি। মল থেকে শুরু করে ছোট-বড় বাজারে আবির ও রঙের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বাজারে কচি কাঁচাদের ভিড় লক্ষণীয়। রঙের ব্যাপারীরা জানাচ্ছেন, ক্রেতাদের মধ্যে এ বার আবিরের চাহিদা বেশী। কিন্তু তারা আবিরের রঙ নিয়ে বেশ সজাগ। সাধারণ ভাবে যে যে রঙ (লাল, নীল, সবুজ, গেরুয়া) রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাপ বহন করে, সেই সেই রঙের আবিরের থেকে তারা এড়িয়েই চলছেন। এবারে ক্রেতারা মজেছেন হলুদ, বেগুনি, আকাশি, হালকা গোলাপির মত অনেক নাম না জানা রঙে।রবিবার বর্ধমানে বিরহাটার এক রঙের দোকানে ক্রেতা জানান, এবারে বেশীরভাগ স্কুলের পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট বেরিয়ে গেছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের রঙ মেখে শরীর খারাপ হয়ে পরীক্ষা খারাপ হবে-র মত ব্যাপার নেই। তাই বাচ্ছারা এবারে জোড় কদমে রঙ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্ধমান শহরে বেশ কয়েকটি জায়গায় দোল উৎসব পালন করার আয়োজন করা হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র টাউনহলে এক দোল উৎসব কমিটির আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী দোল উদযাপন অনুষ্ঠান চলছে।বর্ধমান শহরের বীরহাটার আবির বিক্রেতা জনতার কথা কে জানান, এবারে গোলা রঙের চাহিদা সেই ভাবে নেই বললেই হয়, তাঁর বদলে আবিরের চাহিদা দারুন। বিক্রেতার দাবি, এ বার সবচেয়ে বেশি বিক্রী হচ্ছে হলুদ ও আকাশি আবির। তার পরে বেগুনি ও হালকা আকাশি রঙের আবিরও কিনছেন ক্রেতারা।পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান দুই শহর কালনাও বর্ধমান-এ নির্ধারিত দোলের দিনে কোনোরূপ রঙ খেলা হয় না। প্রথামত এইদিন বর্ধমান মহারাজার পরিবার তাঁদের অধিষ্টাত্রী দেবীর পায়ে আবির দিয়ে দোল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন, এবং পরের দিন শহরের আম জনতা সকলে রঙের উৎসবে মাতেন। মহারাজাদের শাসনকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে যা আজও প্রবাহমান।শহরের এক বাচিক শিক্ষা কেন্দ্র শ্রুতিশ্রীর প্রধান সুদেষ্ণা আচার্য জনতার কথা কে জানান, তাঁরা তাঁদের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসব পালন করছেন। এবার তারা তাদের উৎসব নতুন পল্লী আদি কালীবাড়িতে পালন করছেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা কোনও অনুষ্ঠান-ই কবিগুরুকে ছাড়া পালন করতে পারিনা, সে ভাবেই তাঁর গান ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান......র মধ্যেই আমরা আমাদের মনের রঙের ফেরী করব আগামীকাল।।বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী তুনা রুদ্র জনতার কথা কে বলেন, দোল মানেই রঙের উৎসব। দোল মানেই শত দুঃখকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেকে রঙিন করে তোলা। সকল দুঃখ কষ্টকে দূরে সরিয়ে রেখে আনন্দের পথে এগিয়ে চলাই জীবন। আর এই রঙের উৎসব পরিবারের সাথে কাটানোতেই তাঁর সবচেয়ে বেশী অনন্দ বলে তিনি মনে করেন।

মার্চ ২৪, ২০২৪
দেশ

রঙের উৎসবে স্পেশাল ট্রেন পূর্ব রেলওয়ের, হোলি উদযাপনের সুবর্ণ সুযোগ

রঙের উৎসব হোলি, যা সমগ্র ভারতে উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয় এবং ঐক্য ও আনন্দের মুহুর্তগুলিকে ধারণ করে। সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করার ঐতিহ্যকে বজায় রেখে, পূর্ব রেলওয়ে তাদের হোলি স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু রাখার ঘোষণা করেছে। এই উৎসবের মরসুমে জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে ভ্রমণরত যাত্রীদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই আনন্দময় উৎসব উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার প্রয়োজনে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক জনগণের চাহিদাও পূরণ করবে এই ট্রেনগুলি।এবারের হোলির উৎসবে পূর্ব রেল ২২টি হোলি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করার কথা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ৬টি ওয়ান ওয়ে স্পেশাল ট্রেন রয়েছে। এই ট্রেনগুলি রাক্সৌল, ইন্দোর, বেনারস, জাগী রোড, আনন্দ বিহার, উধনা, নতুন দিল্লি, নিউ জলপাইগুড়ি, ওয়ালসাড, গোরক্ষপুর, পুরী, বারমের, খতিপুরা, চণ্ডীগড়, পাটনা, দিল্লি ও গয়া সহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থানকে একসূত্রে বাঁধবে। যাত্রীদের সুবিধাজনক ও আরামদায়ক ভ্রমণের বিকল্প উপলব্ধ করার লক্ষ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, আসানসোল, ভাগলপুর ও মালদহ সহ প্রধান স্টেশন থেকে এই বিশেষ পরিষেবাগুলি পরিচালনা করা হবে।যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পূর্ব রেল হোলি উৎসবে উপলক্ষ্যে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫৩৬৫২ টি অতিরিক্ত বার্থের ব্যবস্থা করে পূর্ব রেল নিয়মিত পরিষেবার চাপ কমিয়ে যাত্রীদের জন্য একটি সুগম ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে আগের বছরের তুলনায় পূর্ব রেল আরও ১৯টি অতিরিক্ত হোলি স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে তাদের পরিষেবাযর মান উন্নত করেছে। এটি যাত্রী চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি এই উৎসব উপলক্ষ্যে এক সুখময় ও আনন্দদায়ক উদযাপন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে পূর্ব রেলওয়ের অঙ্গীকারেরই পুনর্ব্যক্তি।ভারতের অন্যতম শীর্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হিসাবে, পূর্ব রেল যাত্রী সন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং সমগ্র যাত্রাপথে নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবদাই অঙ্গীকারবদ্ধ।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র বলেছেন, হোলি স্পেশাল ট্রেনগুলির নিরবচ্ছিন্ন পরিচালনার মাধ্যমে, পূর্ব রেল, হাজার হাজার যাত্রীদের জন্য স্মরণীয় অভিজ্ঞতা এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের সুযোগ ও সৃজনের ভূমিকায় নিজেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে।

মার্চ ২৩, ২০২৪
রাজ্য

স্বাধীনতার পর এই প্রথম ১৫ই অগাস্ট ছুটি বাতিল করল রাজ্য সরকার, মিশ্র পতিক্রিয়া জনমানসে

দে স্বাধীনের ৭৫ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ছুটি বাতিল করে দিলেন। এই ঘোষণায় তোলপাড় দেশজুড়ে। ২০২২ এর স্বাধীনতা দিবসে আর ছুটি নেই। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিদ্যালয়, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিসও খোলা রাখতে হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে রীতিমত নির্দেশিকা জারি করা হল সারা রাজ্যে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১৫ অগাস্ট সবাইকে অন্যান্য দিনের মতোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে হাজির হতে হবে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?২০২২ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব। এই দিনটি উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি জেলায় বিশেষভাবে পালিত হবে। সরকার বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে অন্যান্য বারের মত এবার স্কুল-কলেজ-অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। যোগী আদিত্যনাথ সকল রাজ্যবাসীকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব ডিএস মিশ্র জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতিবার উত্তরপ্রদেশে দীপাবলির সময় এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। তবে এবারের লক্ষ্য এই অভিযানকে জাতীয় কর্মসূচিতে পরিণত করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসকে শুধু সরকারি অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। এই কর্মসুচীর সাথে জনগণকে যুক্ত করতে হবে।উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব আরও বলেছেন যে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO), এনসিসি (NCC), এনএসও-র (NSO) ক্যাডেটদের পাশাপাশি জনগণেরও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়া উচিত। সেখানে সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ১৫ অগাস্ট দিনটা যেন একটা নিছক ছুটির দিন না হয়ে থাকে সেই কারনেই এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে, স্বাধীনতা দিবসে স্কুল-কলেজ, সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার পথে হাঁটল যোগী প্রশাসন। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম।

জুলাই ১৭, ২০২২
সম্পাদকীয়

'ছুটির সংস্কৃতি' রাজ্য তথা দেশকে কতটা এগিয়েছে!

বিআর আম্বেদকরের জন্মদিনে জাতীয় ছুটি। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে ছুটি। এমন নানা ছুটি রয়েছে এই দেশে। ঈদ-পুজো-বড়দিনে ছুটি। তাছাড়া শনি-রবিবার তো রয়েছেই। নিত্যনতুন ছুটির বাহানা তো আছে। স্থানীয় উৎসবে ছুটি। তবে এই ছুটির বহর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি স্তরে। দেশ এভাবেই এগিয়ে যাবে! না এসব নিয়ে কারও মুখে টু-শব্দটি নেই। প্রশ্ন তুললেই পাছে রেরে করে ওঠ।মাস মাইনে না বাড়লেই আন্দোলন। নিশ্চয় আন্দোলন করার হক রয়েছে। কিন্তু সরকারি স্তরের অধিকাংশ ক্ষেত্রের চাকরিজীবীরা কখনও ভেবে দেখেছেন তাঁরা বছরে কতদিন ছুটি উপভোগ করেন। আর কতদিন কাজ করেন। সরকার কখনও কি ভেবেছে? জরুরি পরিষেবায় সেই উপায় নেই। সেখানে বরং অনেক সময় একটু বেশিই ডিউটি করতে হয়। তাঁদের কিন্তু যথাযথ আর্থিক সংস্থান করা হয় না, এই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ছুটির দেশে কখনও দ্রুত অগ্রগতি সম্ভব। রাজ্যে যেভাবে ছুটির ঘোষণা হয় তাতে তো এখানে ছুটির সংস্কতি বাড়ছে।কাজের গতি বৃদ্ধির কথা চিন্তা করা প্রয়োজন কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের। বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত। প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত। গবেষণার আরও প্রয়োজন রয়েছে। সবাই যে ফাঁক গলে অধ্যাপক হচ্ছেন তা নয়। রীতিমতো পড়াশুনা করে যোগ্যতার সঙ্গে অধ্যাপনা করেন এমন অধ্যাপকের সংখ্যা অনেক। কিন্তু এরই মধ্যে প্রত্যক্ষ রাজনীতি করে কোন যাদুবলে অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ তাতেও সন্দেহ বাড়ে। ছাত্র নেতৃত্বের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে চাকরি জুটে যায়। বাম-তৃণমূল দুই আমলেই তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারওপর এদের কাজের প্রতি অনীহা থাকাই স্বাভাবিক। তৈলমর্দন বা রাজনীতিই যখন মূল পন্থা। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কত ঘন্টা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান, লাইব্রেরিতে কতটা সময় দেন, গবেষণায় কতটা মন দেন, এসব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় কি? তাছাড়া নানা সেমিনারের কারিজুড়ি আছে। তাতে পড়াশুনা বা সমাজ ব্যাবস্থায় কতটা উপকারে লাগে তা-ও ভাবনার বিষয়। তারওপর ছুটির বন্যা।এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। অর্থের যাদুতে শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাও পড়াবেন! শিক্ষাক্ষত্রে যদি এই হাল হয় আর সবাই বলবে দেশ এগোচ্ছে! সরকারি বিমান সংস্থায় খোঁজ নিয়ে দেখুন বংশপরম্পরায় চাকরি করছেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিন এই বংশপরম্পরার উদাহরণ পাবেনই। এমনকী নানা জেলা শাসকের অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে। চাকরি জুটছে ঘুরপথে, তাঁরা দেশের উন্নয়নে সামিল হবেন কী করে?সরকারি দফতরগুলিতে যেখানে সরসারি মানুষের যোগাযোগ নেই, সেখানে ফাঁকি দেওয়া অনেক সহজ। কোনও দফতরে কর্মীর অভাবে গাধার খাটুনি খাটছে কেউ কেউ, কোনও দফতরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে লোকজন। দুয়ারে সরকার হোক আর দুয়ারে সমাধান, সরকারি দফতরে নিয়মিত কাজ করলে কি এসব শিবিরের কোনও প্রয়োজন পড়ে?আশির দশকে একবার জাপানে কলকারখানার কর্মী সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। তা স্বত্তেও একটি জুতো প্রস্তুতকারি সংস্থায় ১০০% হাজিরা ছিলো। তারা সবাই কাজে এসেছিলো। গনমাধ্যমের লোকেরা কারখানায় গিয়ে দেখে তারা সবাই কাজ করছে। কেউ বসে বা অলস সময় কাটাচ্ছে না। তাঁদের নেতাকে এটা কি ধরনের ধর্মঘট জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, কারখানার উৎপাদন থেকেই আমাদের মাসমাইনে জোটে। তাই আমরা উৎপাদন বন্ধ রাখিনি। আমাদের দাবী আমরা জানিয়ে রেখে শুধু বাম-পায়ের জুতো বানাচ্ছি। দাবী মেনে নিলে ডান পায়েরটা বানিয়ে দেবো, শুধু বাম পায়ের জুতো তো বিক্রি হবে না, আর দাবী মেনে নিলে সময়টাও বেচে যাবে।সব থেকে বড় কথা মণিষীদের জন্ম বা মৃত্যু দিনের ছুটি দিলে কি বিশাল একটা সম্মান জানানো হয়? তাঁরা তো নিজের কর্মের জন্যই খ্য়াতি পেয়েছেন। তাঁরা ছুটি নিয়ে অলস দিনযাপন করেননি। বিআর আম্বেদকর হোন বা মহাত্মাগান্ধী বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এঁরা দিনরাত এক করে দেশের কথা ভেবেছেন। হাড়ভাঙা খেটেছেন। দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আর স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের সরকার ছুটি দিয়ে কর্মদিবস নষ্ট করছে। কর্মের মাধ্যমে এঁদের সম্মান দেওয়া যায় না? তাতে দেশের অগ্রগতি হবে না দেশ পিছিয়ে যাবে? বরং ছুটির সংখ্যা কমানো প্রয়োজন। তাহলেই মণিষীদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হবে। ছুটির সংস্কৃতি তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে সরকারি দফতরে ফাইলের পাহাড় হবে না। অফিস চলাকালীন ক্যারাম বা তাস খেলার এন্টারমেন্ট আর কত দিন চলবে এই অভাগা দেশে? দেশের অগ্রগতি চাইলে একমাত্র উপায় কর্ম। একেই তো নেপোটিজম করে অনেকের চাকরি জোটে, রয়েছে মন্ত্রীদের কোটা। তাঁদের কাজের নেশা আসবে কোথা থেকে। একেই তো সারা দেশ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে গিয়েছে।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
রাজ্য

জামালপুরে দোল খেলতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত রাজ্য বিজেপি নেতা

শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার পথে দুস্কৃতি হামলার শিকার হলেন রাজ্য বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায়। ঘটনা বিষয়ে এদিন সন্ধ্যায় জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল্যান চৌবে। তাঁর অভিযোগের তীর যদিও তৃণমূলের দিকেই। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার উল্টোডাঙ্গা নিবাসী কল্যাণ চৌবে দলের উত্তর কলকাতার সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি রাজ্য বিজেপিরও সদস্য। জামালপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে কল্যান চৌবে জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন তিনি জামালপুরের রাজারামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে তিনি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। পিছনের গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা। বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ তাঁরা মেমারি তারকেশ্বর রোডে মসাগ্রাম লেবেল ক্রসিং এর কাছে পৌছান। কলাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর গাড়ির সামনে বিজেপির একটি পতাকা লাগানো ছিল। এছাড়াও ড্যাসবোর্ডে রাখা ছিল উত্তরীয় ও ব্যাচ। এইসব দেখেই মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায় থাকা দুস্কৃতি দল তাঁকে প্রাণে মেরে দেবার উদ্দেশ্যে আচমকাই তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয়। কল্যাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনক্রমে তাঁকে ও তাঁর পরিবার সদস্যদের রক্ষা করেন। হামলায় তাঁদের দুটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ফের স্বপরিবার রাজারামপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির নেতার আনা এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস। পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেতার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনই হয়তো এইসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের তদন্তেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

মার্চ ১৯, ২০২২
রাজ্য

প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে দোল পূর্ণিমায় রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন না বর্ধমান ও রাধাবল্লভবাটির বাসিন্দারা

দোল পূর্ণিমার দিন সারা বাংলা মাতোয়ারা থাকলো রঙের উৎসবে।কিন্তু সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এই দিনটিতে আবিরের রঙে রাঙা হন না রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা।এখানে দোল উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন ।রাজা না থাকলেও শতাব্দী প্রাচীন কাল ধরে রাজরীতি মেনেই এই ভাবেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। একই রকম ভাবে সাবেকী রীতি মেনে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের। রাধাবল্লভবাটি মৌজায় দোল পূর্ণিমার পরদিন পালিত হয় দোল উৎসব। যা জোড়া রাধাবল্লভের দোল নামেই খ্যাত।দোল পূর্ণিমার দিন বর্ধমানবাসী কেন রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন না তার পিছনেও রয়েছে দেবতাদের প্রতি ভক্তির কাহিনী। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে খেলা হবে দোল। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে মানব সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ। ঐতিহ্য মেনে আজও দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রাচীন বর্ধমানের প্রানকেন্দ্র সর্ব্বমঙ্গলা বাড়িতে দোল উৎসব পালিত হয় এবং বর্ধমানবাসী পরের দিন দোল উৎসব পালন করে।একই রকম ঐতিহ্য মেনে দোল উৎসবের পরদিন জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতোয়ারা হন জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রায় চারশো বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে আসছেন জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে। শনিবার রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে তারপর বিকালে রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হবেন জামালপুরবাসী। মন্দির প্রাঙ্গনে বসবে মেলা। জোড়া রাধাবল্লভের পুজো দেখতে আশপাস এলাকারও বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে এইদিন জড়ো হন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ বহন করেচলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব।জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা। জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত কুমার রায় জানালেন, তাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত। প্রায় চার শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন তাদের রাজপুত সিংহ বংশিয় এক পূর্ব পুরুষ। বর্ধমান জেলার জামালপুরে তিনি আস্তানা গাড়েন। শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে গড়কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে। সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায়। আস্তানা এলাকায় ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করে রাজপুত পরিবার। সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান। সেই থেকে দোল উৎসবের পরদিন প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে রাধাবল্লভ মন্দিরে। প্রশান্ত বাবু জানালেন পূর্বতন বর্ধমান মহারাজা জামালপুরের কয়েকটি মৌজা এলাকার জমিদারি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের পূর্ব পুরুষদের। সেই সময় কালেই রাধাবল্লভ কে স্মরণ করে এখানকার জমিদারি মৌজা রাধাবল্লভবাটি মৌজা নামে পরিচিতি পায়। বর্ধমান মহারাজা কর্তৃক রায় উপাধিতে ভূষিত হয় রাজস্থান থেকে জামালপুরে আস্তানা গাড়া সিংহ পরিবার। ভক্তিতে ভর করেই জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবের দিনেই রঙের উৎসবে মাতেন জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারা।রায় পরিবারের অপর সদস্য পার্থপ্রতিম রায় জানালেন, দোল পূর্ণিমার দিন রাধাবল্লভ মন্দির প্রাঙ্গনে পরিবারের সকল সদস্য মিলে চাঁচর পোড়ান। পূর্ণিমার পর দিন প্রতিপদ তিথিতে বংশের মন্দিরে হয় রাধা বল্লভের পুজোপাঠ। পার্থপ্রতিম বাবু বলেন, রাধাবল্লভের ভোগ অন্নে শুক্তো চাই। এদিন সকাল থেকে শুরু হয় পুজোপাঠ। রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে বিকালে মন্দির চত্ত্বরে এলাকাবাসী আবির খেলায় মাতেন। সন্ধ্যায় বিতরণ করা হয় অন্ন ভোগ।

মার্চ ১৮, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদবৃদ্ধি ৩১ মার্চ পর্যন্ত

রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও আপাতত কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো। পাশাপাশি বজায় থাকবে নৈশ কার্ফু। যদিও হোলিকা দহনের জন্য আগামী ১৭ মার্চ নৈশ কার্ফুর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।কিন্তু ফের মারণ ভাইরাস নতুন করে তাণ্ডব চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। গত মাসেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে এদিন সন্ধ্যায় বিধিনিষেধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানানো হলো। মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু চালু থাকবে। তবে দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানো বা হোলিকা দহনের জন্য নৈশ কার্ফু শিথিল থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালীন মাস্ক পরা যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনই শারীরিক দুরত্বও বজায় রাখতে হবে।রাজ্যে গত মাসখানেক ধরেই করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণ যেমন একশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে-ধীরে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র যেমন খুলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই নৈশ কার্ফুতেও অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

মার্চ ১৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সুলগ্না আকাডেমি ট্রাস্টের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

সামনেই দোলযাত্রা। বসন্ত উৎসবের আয়োজন বিভিন্ন জায়গায় যেমন হবে করোনা কালের এই ঘরবন্দি সময় থেকে একটু বেরিয়ে সবার সাথে রঙ মেলানোর এই উদ্যোগে সামিল সুলগ্না আকাডেমি ট্রাস্ট। আগামী ১৭মার্চ ঠিক দোলের আগের দিন আয়োজিত হতে চলেছে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের, রাঙিয়ে দিয়ে যাও- তৃতীয় বর্ষ।বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী সুলগ্না রায় ভট্টাচার্য এর পৃষ্ঠপোষোকতায় হাওড়ার শিবপুরের নেতাজী সঙ্ঘের মাঠে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী অভিরূপ সেনগুপ্ত, মন্দাক্রান্তা রায়,দীপঙ্কর দাস থাকছেন গুরু পৌষালি মুখোপাধ্যায়, বিশেষ উপস্থিতি ঋদ্ধি বন্দোপাধ্যায়ের, গানে চন্দ্রাবলী রূদ্র দত্ত, দীপাবলি দত্ত, সঞ্চালনায়, পাঠে সুদীপ দে,প্রদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। থাকবে সুলগ্না রায় ভট্টাচার্য এর আকাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরা। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে ছবির গান, ট্রাডিশনাল সুর থেকে আধুনিক গান বসন্তের বন্দনায় প্রস্তুত সুলগ্না আকাডেমি ট্রাস্ট।সুলগ্না রায় ভট্টাচার্য বললেন, অনেক দিন সবাই গৃহবন্দি ছিলাম। করোনার দাপট সামলে আমরা আস্তে, আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। আমাদের জীবনে ফিরছে সেই চিরাচরিত অনুষ্ঠান গুলো। মাঝে করোনার দাপটে আমরা কেউ এই উৎসব গুলোর উদযাপন করে উঠতে পারিনি। এইবার করোনার চোখ রাঙানি একটু কম হওয়ায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারছি। আসা করছি সবার ভালো লাগবে।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

ক্রমশ চড়ছে পারদ, কালঘাম ছুটবে দোলে

মার্চ পড়তে না পড়তেই চড়া রোদের তাপে ছাতি ফাটা অবস্থা। একটু বেলা বাড়তেই রীতিমত হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। রোদ চশমা, ছাতা ছাড়া বাইরে বেরোনোই দায় হয়ে পড়েছে এখন। তবে এই মাসের শুরুতেও কিন্তু তাপমাত্রা এমনটা ছিল না। হালকা শীতের আমেজ ছিল। পাশাপাশি সঙ্গী ছিল বৃষ্টি। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে চড়া রোদ আর গরমের বাড়বাড়ন্ত ততটাই বেড়েছে। পাশাপাশি ত্বকে পড়ছে টান।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যত দিন এগোবে দিনের তাপমাত্রা ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাবে। কলকাতায় আগামীকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি। অন্যদিকে, সর্বনিম্ম তাপমাত্রা থাকবে ২১ থেকে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে শীত শেষে গরম পড়তে শুরু করলেও এই ভ্যাপসা আবহাওয়া থাকে অন্তত পক্ষে তিন থেকে চারদিন থাকবেই।এদিকে, কাঠফাটা রোদে সামান্য বৃষ্টির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। তবে এখনই রেহাই মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। অর্থাৎ এই কাঠফাটা গরম সহ্য করতে হবে। এদিকে, ১৭ মার্চ দোল এবং ১৮ তারিখ হোলি। আর দোলে এখনও অবধি আবহাওয়ার যা খবর মিলছে তাতে বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই বললেই চলে। রঙের উৎসবে মাততে যে যথেষ্ঠ কালঘাম ছুটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দোলের দিন যে ভালোই গরম অনুভূত হবে তার পূর্বাভাস আগে থেকেই করছে আবহাওয়া দপ্তর।

মার্চ ১২, ২০২২
টুকিটাকি

দোলের রং উঠবে, ত্বক আর চুলের লাভও হবে, জেনে নিন সহজ উপায়

দোলের রং সারা মুখে ভর্তি, স্নানের সময় বার বার সাবান দিয়ে ধুয়েও কোনও ভাবে যাচ্ছেই না, অফিস যেতে সমস্যা, না, রং তোলা মোটেই খুব কঠিন বিষয় নয়। হাতের কাছে থাকা কয়েকটা উপাদান দিয়েই সহজেই তুলে ফেলা যায় রং। কিন্তু এর অনেকগুলিই আবার ত্বকের জন্য ততটা নিরাপদ নয়। তা হলে? দেখে নেওয়া যাক, রং তোলার কিছু সহজ প্রক্রিয়া, যারা ক্ষতি তো করবেই না, বরং এগুলিতে উপকার হবে ত্বকের।লেবুর ব্যবহার: একটু হালকা রং তোলার জন্য লেবুর বিকল্প নেই। লেবু, মধু, জলপাই তেল আর হলুদ আছে এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করে রং তুললে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ত্বকের নমনীয়তাও বাড়ে।ডিম: রং খেলার নাম করে মাথায় ডিম ফাটানোর রেওয়াজ আজকের নয়। অনেকেরই দাবি, এতে চুলের উপকার হয়। কথাটা খুব ভুলও নয়। চুলের এবং মাথার ত্বকের রং তুলতে ডিমের হলুদ অংশ খুবই পারদর্শী। এই হলুদ অংশ রং লাগা জায়গাগুলিতে মাখিয়ে রেখে, পরে তা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেললেই হল। রং পরিষ্কার।বিয়ার: পানীয় হিসেবে দোলের দিনে অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু শুধু পানীয় হিসেবে নয়, এর ব্যবহার হতে পারে রং তোলার ক্ষেত্রেও। চুলের রং আর মুখের রং তুলতে বিয়ার ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে চুলের এবং ত্বকের উভয়েরই উপকার হয়। শুধু বিয়ার দিয়ে রং সাফ করার আগে, এক বোতল এই পানীয়ের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।

মার্চ ২৯, ২০২১
কলকাতা

দোলযাত্রায় সীমিত মেট্রোরেল পরিষেবা

সামনেই দোলযাত্রা এবং হোলি । আর সেজন্য ওই দুদিন বদলে যাবে মেট্রো পরিষেবার সময়সীমা। রবিবার সকাল ৯টার পরিবর্তে পরিষেবা শুরু হবে দুপুর আড়াইটে থেকে। ১০৪টি নয়, চলবে মোট ৬০টি ট্রেন। আর সোমবার হোলির দিন ২৫২টির বদলে চলবে ১৭৬টি ট্রেন। মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।এদিন মেট্রোর তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে দুপুর আড়াইটে থেকে। চলবে ১০টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। ১০৪টির বদলে চলবে ৬০টি ট্রেন। সকাল ৯টার পরিবর্তে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী প্রথম মেট্রোটি ছাড়বে দুপুর আড়াইটের সময়। একই সময়ে আবার দমদম থেকেও কবি সুভাষগামী মেট্রোটিও ছাড়বে। অন্যদিকে, কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো এবং দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রোটিও ছাড়বে দুপুর আড়াইটের সময়। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই শেষ মেট্রোর ছাড়ার সময় অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ রাত ১০টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা মিলবে।এরপর সোমবার আবার হোলি উপলক্ষ্যেও চলবে কম মেট্রো। সাধারণত সপ্তাহের প্রথম দিন ২৫২টি ট্রেন চললেও, হোলির দিন চলবে ১৭৬টি ট্রেন। অর্থাৎ ডাউন এবং আপে চলবে ৮৮টি ট্রেন। সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে প্রথম ট্রেনটি। চলবে ১০ টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৭২টি ট্রেন চলবে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে।

মার্চ ২৩, ২০২১
টুকিটাকি

দোল খেলুন, কিন্তু ত্বক ও চুলের যত্নে দিন বিশেষ নজর

খেলবো হোলি রং দেব না, তাই কখনও হয়... ফের বাড়তে থাকা করোনা আবহের মধ্যেই সামনেই হোলি উৎসব। এবছর উপরি পাওয়া ছুটির দিনে পড়েছে রঙের উৎসব। গতবছর করোনার দাপটে হোলি খেলা কার্যত হয়ইনি। এবছর করোনার সতর্কতা থাকবে নিশ্চিত। তবে অনেকেই জমিয়ে হোলি খেলার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। সতর্কতা মেনেই তৈরি হয়ে গিয়েছে প্ল্যান। কিন্তু হোলি খেলতে গেলে রং-আবিরে চুল এবং ত্বকের বারোটা বাজার অবস্থা হয়। তাই চুল এবং ত্বক ভাল রাখতে হোলির প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা।জেনে নিন দোলের দিন ত্বক এবং চুলের ক্ষতি আটকাতে কী কী করণীয়..১। ভাল করে বডি অয়েল মেখে তবেই হোলি খেলতে নামুন। রঙ তোলার ক্ষেত্রেও তেলের মতো ভাল আর কিছু হয় না। এর ফলে আপনার ত্বক রুক্ষ হবে না। সহজে রং ত্বকে বসে যাবে না। ফলে রং তুলতে সুবিধা হবে।২। আবির বা রং ভীষণ ভাবে নখে ঢুকে যায়। তারপর সেই রং নখে ধরে যায়। তাই নখের পরিচর্যা করতে হলে অবশ্যই গাঢ় রঙের নেলপলিশ পরুন।৩। যেহেতু দিনের বেলায় দোল খেলবেন, তাই সানস্ক্রিন লাগান অতি অবশ্যই। নাহলে ট্যান পড়তে বাধ্য। এর ফলে কেবল রোদ নয় রঙ থেকেও রক্ষা পাবে আপনার স্ক্রিন।৪। সারাবছর তেল না মাখলেও দোল খেলতে নামার আগে মাথায় ভাল করে অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এর ফলে চুলে রং বসে যাবে না। যেটুকু রং বা আবির লাগবে সেটা সহজেই শ্যাম্পু করে তুলে নেওয়া যাবে। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার বা সিরাম লাগান। পারলে বাড়িতেই স্পা করে নিন। অবশ্যই হোলি খেলার সময় চুল বেঁধে রাখবেন। নাহলে চুলের সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে মাথায় হেয়ার ক্যাপ পরে নিতে পারেন। কিংবা রঙিন ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখতেও পারেন।এ এর ফলে স্টাইলও হবে। আবার রং-আবির থেকে চুল বাঁচানোও সম্ভব হবে।সামান্য এই কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন চুল ও ত্বকের কোনওরকম ক্ষতি না করেই। আর কোভিড বিধি মানতে যেন ভুলবেন না। তাহলেই কিন্তু বিপদ..

মার্চ ২০, ২০২১
রাজনীতি

"আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই"-শুভেন্দু

বিধানসভার টিকিট চান না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর একটাই লক্ষ্য রাজ্যে পরিবর্তন আনা। পূর্বস্থলীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর কথায় দেড় জনে মিলে তৃণমূল চালাচ্ছে। শনিবার মেদিনীপুরে এক জনসভায় অমিত শাহর(amit shah) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তারপর পূর্ব বর্ধমানে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। এই জনসভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন--প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেন্দু বলেন, দলকে আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ১৬ ঘণ্টা খাটবো। যেখানে বলবে সেখানে যাব। হারবই হারাব। আমরা জিতবই। নতুন বাংলা গড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যা নির্দেশ দেবে তা আমরা পালন করব। মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপি যোগ নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব তোপ দেগে চলেছে শুভেন্দুকে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মীরজাফরের জবাবে বলেন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৮-এ পঞ্চায়েত ভোট, ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানী আশ্রয় না দিতেন এই দলটা ২০০১ সালেই উঠে চলে যেত। এটাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। আরও পড়ুন--এক মাসেই ২২৩টি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত বাংলায়, টুইটে তোপ মালব্যের বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভায় কেউ লড়তে রাজি হয়নি। সেদিন আমি এনডিএ-র প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। একদিকে বিজেপির ঝান্ডা অন্যদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে লড়েছিলাম। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের গণহত্য়ার দিন অন্য় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আসেননি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে ছিলেন।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

 পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটি, ঘোষণা মমতার

পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে মিলবে রাজ্য সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই নেতাজি, বীরসা মুন্ডা, পঞ্চানন বর্মা-সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই ছিল। এটা হয়ে গেলে খানিকটা নিশ্চিন্ত। আরও পড়ুন ঃ ধূলাগড়ে গরুবোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা, মৃত ১, জখম বহু প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আদিবাসী দলিতদের মন জয়ে বাঁকুড়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরপর দু-দিন দু-দুটো সরকারি ছুটি ঘোষণা বলে মনে করল বলে মত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের৷

নভেম্বর ২৪, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal