অনুষ্ঠিত হলো গোবরডাঙ্গা চেতক আয়োজিত নাট্য বিষয়ক সেমিনার
গোবরডাঙ্গা চেতক তাদের নিজস্ব মহলা কক্ষে আয়োজন করেছিলো এক নাট্য বিষয়ক সেমিনারের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপিতা ও নাট্য অভিনেতা শঙ্কর দত্ত। তিনি এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। গোবরডাঙ্গা চেতকের নাট্য বিষয়ক সেমিনারের বিষয় ছিলো নাট্য দলগুলির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাধারণ দর্শকের নাট্য বিমুখতা...কেন? এই নিয়ে আলোকপাত করেন গোবরডাঙ্গা শিল্পায়নের নির্দেশক আশীষ চট্টোপাধ্যায়, ভাবনা থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক অভিক ভট্টাচার্য , গোবরডাঙ্গা নাবিকনাট্যমের নির্দেশক জীবন অধিকারী এবং অশোকনগর নাট্যমুখ এর নির্দেশক অভি চক্রবর্তী এবং নাট্য আলোচক সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ। সকলেই বর্তমান সময়ের নাট্য দল গুলির আর্থিক অনটন, অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক না দিতে পারা, পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ন দেওয়া,প্রচারের অভাব এর পাশাপাশি দর্শকদের ভালো মন্দ, সময়-ব্যস্ততা, টিভি সিরিয়াল-ফেসবুকের রমরমা, টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, নাটকের নামি অনামি শিল্পীদের অভিনয় সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ ও নানা কথা আলোচনা করেন থিয়েটার ব্যক্তিত্বরা। দীর্ঘ দু ঘন্টা এই সেমিনার চলে। এই আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন গোবরডাঙ্গা চেতক এর সম্পাদক দীপক সাহা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যম কে জানালেন ১৯৮৯ সাল থেকে সরকারি কোনো সাহায্য ছাড়াই আমাদের নাট্য উৎসব, নাট্য ওয়ার্কশপ ও সেমিনার এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে চলেছে বহু বছর ধরে। আমরা আজ পর্যন্ত কোনো সহকারী বা বেসরকারি সাহায্য পাইনি।এই দিনের অনুষ্ঠানে র ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন নাট্য নির্দেশক বাপী দাস (তাপস দাস)। মঞ্চে উপস্থিত সকল নাট্য ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে চেতক নাট্য দলের সদস্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন গোবরডাঙ্গা চেতকের সভাপতি শৈলেন মুখোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক কথায় খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।