• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

East Burdwan

রাজ্য

সর্বভারতীয় জেইই-তে রাজ্যেও প্রথম পূর্ব বর্ধমানের দেবদত্তা, মাধ্যমিকেও ছিল শীর্ষে

সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) মেন পরীক্ষায় নজর কাড়া ফল করেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের বাসিন্দা দেবদত্তা মাঝি। এই দেবদত্তা মাঝি ২০২৩ সালের মাধ্যমিকেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এবার সর্বভারতীয় স্তরে রেজাল্ট করে নিজের মান রাখলেন। দেবদত্তা মাঝি কাটোয়া শহরের দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ নম্বরের মধ্যে দেবদত্তা পেয়েছিল ৬৯৭ নম্বর। ৯৯.৫৭ শতাংশ। আর এই সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) মেন পরীক্ষায় দেবদত্তার প্রাপ্ত নম্বর ৩০০ এর মধ্যে ২৭৫।দেবদত্তার মা দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলেরই শিক্ষিকা এবং বাবা আসানসোলের একটি কলেজের অধ্যাপক। দেবদত্তার মা জানিয়েছেন, দেবদত্তা মাধ্যমিক দিয়েছে যে স্কুল থেকে, সেই স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। দেবদত্তা প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সে পড়াশোনা করে। দেবদত্তার ইচ্ছা আইআইটি বা ব্যাঙ্গালোরে আইআইএসসি তে পড়াশোনা করার।উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্বের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন- এর ফল প্রকাশ করল জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা বা এনটিএ। পরীক্ষা শেষের ১২ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফলাফল। এ বছর জেইই মেন-এর জানুয়ারি পর্ব বা প্রথম পর্বের পরীক্ষা হয়েছিল ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লক্ষ।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

রবি হাঁসদার গোলে ফুটবলে ভারত সেরা বাংলা, ইতিহাস গড়লেন বর্ধমানের সোনার টুকরো ছেলে

ফুটবলে ফের শীর্ষে বাংলা। ফিরে পেল হারানো গৌরব। সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে সার্ভিসেসকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল। জোড়া গোল করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ছেলে রবি হাঁসদা। রবির ছটায় শেষমেষ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। রবি মান রাখলো বাংলার। একইসঙ্গে সন্তোষ ট্রফিতে ১২টি গোল করে বিশেষ রেকর্ড করল রবি হাঁসদা। এই নিয়ে ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। শেষ সাফল্য় ছিল ২০১৬-১৭ সালে। দীর্ঘ দিন ধরে বাঙালির ফুটবল নিয় দৈন্য়দশা চলছে। জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার এখন খুঁজে বেড়াতে হয়। দীর্ঘ বছর ধরে সন্তোষ ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে আসছিল। অবশেষে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হল। বছরের শেষ দিনে মান-মর্যাদার ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে কেরলকে ১-০ গোলে বাংলা। ফাইনখেলা শেষ হওয়ার মুহূর্তে গোল করলেন রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টে ১২ গোল করে রীতিমতো সকলের নজর কারলেন বর্ধমানের রবি। গড়লেন ইতিহাস। এদিন হায়দরাবাদের গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ঢংয়েই শুরু করে বাংলা। রবি হাঁসদার উপরই ভরসা রেখেছিলেন বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন। লাগাতার আক্রমণে দীর্ঘসময় গোলের মুখ খুলতে পারেননি রবিরা। গোলের সুযোগ পেয়েছিল কেরলও। গোলের সন্ধানে বাংলা টানা আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে কেরলের রক্ষণে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে নায়ক সেই রবি। তার আগে থেকেই টানা আক্রমণ চলছিল কেরল রক্ষণে। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে ভেসে আসে বিষাক্ত ক্রস। সেখান থেকে হেডে বল চলে আসে রবির পায়ে। কেরল ডিফেন্সকে স্তম্ভিত করে দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে আসেন রবি।

জানুয়ারি ০১, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে টেলারিং কারবারির বাড়িতে ইডির হানা, রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন

কারবার বলতে সামান্য টেলারিং। মঙ্গলবার সাত সকালে বর্ধমান শহরের লস্করদিঘিতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। টেলারিং কারবারির বাড়িতে ইডির হানায় রীতিমতো চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও রীতিমতো হতবাক। জানা গিয়েছে,এই টেলারিংয়ের কাজ করা মইনুল হাসানের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় সিবিআই। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রহস্য দেখা দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন নিয়ে।জানা গিয়েছে, মইনুল হাসানের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এক দিনে ১০ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। আবার দেরি না করে ওই দিনই সেই টাকা তুলে আবার অন্য একজনকে দিয়েও দিয়েছেন তিনি। এই নিয়েই ইডির পাঁচ জনের একটি দল এদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৫ পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মইনুল হাসান মল্লিক ও তাঁর পরিবার সদস্যদের। কি কারণে ইডির হানা? তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোপন রাখেননি মইনুল। তিনি বলেন,গত ২১ নভেম্বর তাঁর একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা দেয় সুকান্ত ব্যানার্জী নামে একজন পরিচিত। সুকান্তর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। ওই দিনই সুকান্তর কথা মত তিনি অপর একজনকে ওই ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেন। বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে মইনুলের। এখন ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিজ করা আছে। যদিও টাকা তুলে যে ব্যক্তির হাতে তিনি ওই টাকা তুলে দিয়েছেন সেই ব্যক্তি তাঁর অপরিচিত বলে মইনুল হাসান মল্লিক দাবি করেছেন। তাঁকে তিনি চেনেন না বলেই জানিয়েছেন মইনুল। ওই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের পরিপেক্ষিতেই তাঁর বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়।মইনুলের বক্তব্য়, সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন ওই ১০ লক্ষ টাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কেন তিনি এই টাকা নিয়ে মাঝে থেকে লেনদেন করেছেন তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি মইনুল হাসান। তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও কারণ ছাড়া কেউই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাছাড়া কিছু সময়ের ব্যবধানে কে টাকা দিল অ্যাকাউন্টে, আর কাকে মইনুল টাকা তুলে দিল তা নিজেই জানেন না, এতে রহস্য দেখতে পাচ্ছে তদন্তকারীরা।এদিকে মইনুল জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। এই সাতদিনের মধ্যে ওই ১০ লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে দিতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে, কারও কথা মতো তিনি কি করে ১০ লক্ষ টাকার এমন তড়িঘড়ি লেনদেনের দায়িত্ব নিলেন? সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে চিনতেও পারছেন না মইনুল! তাঁকে সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসিয়েছে বলে মইনুলের দাবি।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
রাজ্য

একবছর পর রাজস্থান থেকে উদ্ধার নাবালিকা, অভিযুক্তকেও বর্ধমানে নিয়ে এল পুলিশ

এক বছর এক মাস। অভিযোগের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। গলসি থানায় অভিযোগ হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ ছিল, ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গলসি থানাতে একটি মামলা রুজু হয়। ২০২৩ সাল থেকে বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে গলসি থানার তদন্তকারী অফিসার খোঁজার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও তদন্তকারী অফিসাররা হাল ছাড়েননি।গত ৪ ডিসেম্বর পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে রাজস্থান এর উদেশ্যে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ টিম রওনা দেয়। গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় পালরি- এম থানার সহায়তায় যোধপুর স্টেশন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পোশালিয়া গ্রাম থেকে তদন্তকারী অফিসাররা ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। আজ, মঙ্গলবার নাবালিকা এবং আসামিকে পূর্ব বর্ধমানে ফিরিয়ে আনা হয়। আগামীকাল, বুধবার আসামি এবং উক্ত নাবালিকাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
রাজনীতি

গলসি ১ ব্লকের অদ্ভুত রাজনৈতিক সমীকরণ, একাধিকবার পরিস্থিতির পট-পরিবর্তন

এক সময় তাঁরা ছিলেন কার্যত গুরু-শিষ্য। পরে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দুজনের মধ্যে শত্রুতাও চরমে ওঠে। দুই নেতার অবস্থান হয়ে যায় দুই মেরুতে। আর তাঁদের অনুগামীর সংঘাতে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। তাঁরা হলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি সেখ জাকির হোসেন আর গলসি ১ ব্লকের জনাদর্ন চট্টোপাধ্যায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত দ্বন্দ্ব চলেছে দুই নেতার মধ্যে। দলের একাংশ বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে গলসি ১ ব্লকে একই সঙ্গে ছিলেন ব্লক সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী, বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, যুব নেতা পার্থ সারথি মণ্ডল এবং অনুপ চ্যাটার্জী সহ যুব, মহিলা, আইএনটিইউসি সভাপতিরা। আর ৯টি অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতিরাও ছিলেন জনার্দনবাবুর সঙ্গে৷ অন্যদিকে জাকিরকে দলে ব্রাত্য করে দেন জনার্দন, বলে অভিযোগ। সেই চিত্র বদলে যেতেই রাজনৈতিক চর্চাও বেড়েছে গলসিতে।তখনই জাকির হোসেন বুঝে গিয়েছিলেন তার অনুগামীরা টিকিট পাবে না। আর সেটাই সত্যি হয়। তাঁর অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন বলে দলের কিছু নেতার অভিযোগ। দলের অনেকেই বলছেন, শিক্ষা দিতে দলকে হারানোর জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন জাকির ও তাঁর অনুগামীরা। গলসি তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে এমনও জল্পনাও শোনা যায়। দলের টিকিট পাওয়া পার্থীদের হারাতে কোথাও সিপিএম, কোথাও কংগ্রেস এমনকি বিজাপির সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা হাত মেলান। এমন আবহে পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে জনার্দন আর জাকিরকে এক মঞ্চে দেখে দলে চলছে জোর গুঞ্জন। হঠাৎই দুই নেতার কাণ্ড দেখে এলাকার মানুষ তো বটেই, অবাক হচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরাও। তাঁদের এই আঁতাতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, জাকির যেমন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন। তেমনি, একটা সময় ছিল জাকির ও তাঁর অনুগামীদের দাপটে জনার্দনও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন ব্লকে জাকির আর যুব নেতা পার্থ সারথি মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। বহু রক্তারক্তি হয়েছে সেই সময়। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে জনার্দনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে ব্লক সভাপতি করে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। তখনই জনার্দনের সঙ্গে জাকিরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়।কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটের পরেই ফের সমীকরণ বদল হল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জাকির আর জনার্দনের মধ্যে কী এমন হলো যে দুই মেরুতে থাকা দুই নেতাকে দুজন দুজনের হাত ধরতে হলো? রাজনৈতিক মহল বলছে, এলাকার নেতৃত্ব কায়েমকে কেন্দ্র করে সেই জাকিরের সঙ্গে জুটি বাঁধতে হয়েছে জনার্দনক। আবার গুরু শিষ্য এক হয়েই চলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লকের এক নেতার কথায়, বর্তমানে দুই নেতাই অস্তিত্ব সংকটে। তাই পিঠ বাঁচাতে তাঁরা একই মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। দলের একাধিক মিটিং-এ পাশাপাশি চেয়ারে বসছেন। যা দেখে অনেকেই আবার বলছেন, হয়তো রাজনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি হল গলসিতে। সেই ইঙ্গিতও মিলছে। দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, যুব সভাপতি পার্থ সারথি মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চ্যাটার্জী ও ব্লক নেতা মহম্মদ মোল্লাদের এড়িয়ে চলছেন জনাদর্নবাবুরা। শুধু তাই নয়, এক সভাতে বিধায়কদের সঙ্গে একই সুতোতে বেঁধে বিডিও (গলসি ১) দেবলীনা দাসকেও আক্রমণ করছেন খোদ জানার্দনবাবু। যা নিয়ে জনার্দনবাবুদের রাজনৈতিক আর্দশ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।তাঁরা বলছেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে দোলন দত্ত নামে এক কর্মীকে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্তনগর সিটে টিকিট দেয় দল৷ দোলন জিতেও যান৷ এবং তার পরেই বুদবুদ পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন৷ তাঁর বিরুদ্ধে সুকান্তনগরে যে কোনও জায়গা কেনাবেচা এবং বাড়ি তৈরি থেকে মোটা টাকা কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে সুকান্তনগরে এক আর্মি অফিসার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, কাটমানি দিতে অস্বীকার করলে তার রড চুরি করেন দোলন, এমন অভিযোগ করেছিলেন ওই আর্মি অফিসার। বিষয়টি জানাজানি হতেই আর্মির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর থেকেও চাপ আসে দলের একাংশের কাছে৷ চাপে পড়ে রড চুরির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান দোলন। রড ফেরত দিতে বাধ্য হন৷ সেই দোলনকে এবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি করতে চেয়েছিলেন জনার্দনবাবু। দল তাঁর নাম মনোনীত করে। কিন্তু যাদের জনার্দনবাবু টিকিট দিলেন তারাই দোলনকে মানতে রাজি হল না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-র সাথে যোগযোগ রাখা জাকিরের সঙ্গে জনার্দনবাবুর ঘনিষ্ঠতা জনার্দনের অনুগামীরা মেনে নিলেন না৷ আর এই সব ক্ষোভ সহ সভাপতি নির্বাচনে পড়ল৷ তারই ফলস্বরূপ ভোটাভূটিতে অনুপবাবু দ্বিতীয়বার আবার সহ সভাপতি নির্বাচিত হলেন৷ দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হলেও তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি এমএলএ। তাই বিধায়কের সঙ্গে জনার্দন দূরত্ব বাড়ান, আর বিডিওর সঙ্গে অনুপের ভালো সম্পর্ক থাকাতে বিডিও হয়ে গেলেন জনাদর্নবাবুর চোখের বালি। তাই জনার্দনবাবু দলের শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এমএলএ ও বিডিওদের বেহিসাবি আক্রমন শুরু করছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলেরও একাংশ বলছেন, শাসক দলের নেতার মুখে যদি বিডিওর বিরুদ্ধে অনৈতিক মন্তব্য হয় তা হলে বিরোধীরা এই প্রশাসনকে মানবে কেমন করে? তাই দ্রুত জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে পদক্ষেপ করুক এমনটাই চাইছেন তাঁরা।অভিযোগ, শুধু জনার্দন নন, প্রশাসন আর দলের নেতৃত্বকে বারবার ছোট করার চেষ্টা করেছেন জাকির। আর এই চেষ্টা চলে আসছে দল যখন থেকে তাঁকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন সেই তখন থেকেই। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দলের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হেনস্তা করতে তাঁর কর্মসূচি মানকরে নবজোয়ারে অশান্তি পাকিয়েছিলেন জাকির ঘনিষ্ঠরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে, নবজোয়ার কর্মসূচি হয় মানকরে৷ সেই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন, দলের সর্ব ভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচির নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পান অনুপ চ্যাটার্জী৷ তাই কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে জাকির গোষ্ঠী ওঠে পড়ে লেগে যায় বলে দলেরই একাংশের অভিযোগ। বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর অনুগামীরা কর্মসূচি চলাকালীন মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, আর এই মারপিটের বিষয়ে খোঁজখবর অভিষেকের কানে পৌঁছায়৷ তার পরেই আরও দলের বিরোধী হয়ে যান জাকির। ওদিকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই সবাই যখন ধরে নিয়ে ছিলেন অনুষ্ঠান বাতিল তখন বুদবুদ থেকে তিনশো শ্রমিক নিয়ে গিয়ে সভাস্থল সভা করার উপযোগী করেন অনুপবাবু৷ তার এই কাজের জন্য দল সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়ে নেন। দলের কর্মীদের দাবি, বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নবজোয়ার কর্মসূচিতে অনুপকে আটকাতে পারেনি জাকিরবাবুরা। অনুপবাবু এবার পঞ্চায়েতে বুদবুদ বাজারের পিএস-৮ থেকে ১৮০০-এর বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তবে এর আগেও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডে সহ সভাপতির পদ সামলেছেন অনুপবাবু। আর সেই সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যত রনংদেহি মূর্তি ধারণ করেছিলেন তিনি৷ তৃণমূলের প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি, টোল থেকে আয় করত প্রায় ২০-২৫ লাখ৷ অনুপবাবু সেটাকে ১ কোটিতে নিয়ে যান৷ পারাজের ডিভিসির উপর কাঠের সাঁকোর অবৈধ টোল বন্ধ করে দেন৷ ডিভিসি-র উপর অবৈধ টোল অফিসে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন৷ আবার পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে ফের সহ সভাপতি হয়েছেন। মিষ্টি ব্যবহার এবং কাজের লোক হিসেবে ব্লকে জনপ্রিয় এই নেতাকে এবার দমাতে চান জনাদর্ন-জাকিররা এমনটাই দাবি তৃণমূলের বহু নেতার।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের জেলাশসক ও পুলিশ সুপারকে আমের প্যাকেট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদা যাওয়ার সময় বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় সভা করতে মালদা গিয়েছিলেন তিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ফের একই ভিড় চোখে পড়ল। তবে এবার বিশেষ ঘটনার সাক্ষী থাকল উপস্থিতি মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আম ভর্তি প্যাকেট উপহার দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনকে। হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।শুক্রবার ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে মালদা থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। মুখ্য়মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে আম ভর্তি প্যাকেট ও তোয়ালে উপহার দেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখমন্ত্রী আমার সঙ্গে জেলার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। ৫ টা ১৩ মিনিটে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে চলে যায়।

মে ০৫, ২০২৩
রাজ্য

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে কয়েক হাজার টাকা খোয়ালেন পঞ্চায়েত প্রধান

বারে বারে সচেতনতার পাঠ দিলেও মানুষ তবুও প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েই চলেছে। অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। জালিয়াতি চক্রের শিকার হয়ে খোয়ালেন ১৬,৭০০ হাজার টাকা।পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ, অনলাইন প্রতারণা চক্রের শিকার হলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় একটি অজানা নম্বর থেকে গ্যাস এজেন্সির পরিচয় দিয়ে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ব্যাংকে জমা করে দেওয়ার নাম করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শেয়ার করতে বলা হয়। তিনি না বুঝে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর শেয়ার করেন। সঙ্গে ওটিপি নম্বরটাও। সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে মেসেজ আসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬,৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এরপরই বিনয় বাবুর চক্ষু চড়কগাছ। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি তিনি ভাতার থানার দ্বারস্থ হন।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার প্রতারণা চক্রের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিলেও অসাবধানতার বসে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষও পড়লেন অনলাইন প্রতারকদের পাতা ফাঁদে। তাঁর অসাবধানতার বসে খোয়া গেল কয়েক হাজার টাকা।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজ্য

রসুলপুরে নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার এক

পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন গেট এলাকায় নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। ধৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ সরকার ওরফে পলাশ সরকার। বাড়ি রসুলপুর এলাকাতেই। মৃতার বাড়ির কাছেই তার বাড়ি। জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে মৃতার আত্মীয় সুরজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, মেয়েটি খুবই নম্র ভদ্র ছিল। একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের কথা বাড়িতে জানত। কয়েকমাস পরে সাবালিকা হবার পর তার বিয়ের জন্য সব যোগাড় চলছিল। এরমধ্যে এইরকম একটি সাধারণ মেয়ের এইভাবে হত্যা কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের ধারণা কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ভোরবেলা ঘরে ঢুকেছিল। তারপর তাকে চিনে ফেলায় এই কান্ড ঘটিয়েছে। যে বা যারা এই কাজে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ধৃত ছেলেটিও সন্দেহের আওতায়। তার নাকি জিভ কেটে গেছে। সে বাইরে থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছে বলে তাদের দাবি। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজও এলাকায় শোকের ছায়া রয়েছে।গতকাল সকালে এক নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যেকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন রাস্তা এলাকায়। মেয়েটির বয়স মাত্র সতেরো। তার মা ও এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে কেউ খুন করেছে। পুলিশ খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর রেলগেটের কাছে নতুন রাস্তা এলাকায় মৃতার বাড়ি। তার মা দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি সব্জি আনতে মেমারি যান। সেদিনও মেয়েকে বলেই বেরোন। মেয়েকে জানিয়ে বাইরে দিয়ে দরজা লাগিয়ে যান। আলোও জ্বালা ছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ তিনি ফিরে আসেন। তিনি ও তার ভাইপো গিয়ে দেখেন মেয়ের কোনও সাড় নেই। বালিশটা একপাশে পড়ে আছে। মুখটা কিছুটা ফোলা। তাদের চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। এসে দেখা যায় মেয়েটি মৃত। এরপর পুলিশ আসে। উত্তেজিত এলাকাবাসী মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তাদের বুঝিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠায় পুলিশ। এলাকায় তদন্তে যান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজ্য

গুসকরাগামী বাসে লক্ষাধিক টাকার গহনা কেপমারি, সিভিকের তৎপরতায় মুহূর্তে উদ্ধার সামগ্রী

বর্ধমান থেকে গুসকরাগামী বাসে লক্ষাধিক টাকার গহনা কেপমারির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার এগারোটা নাগাদ দোওয়ানদীঘি থানার মাহিনগরের বাসিন্দা গৃহবধূ মিলন মিশ্র বাসে চেপে গুসকরা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাসের মধ্যে তাঁর ব্যাগ থেকে দুটি সোনার শাঁকা বাঁধানো, দুটি পলা বাঁধানো ও নগদ হাজার টাকা কেপমারি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাসের এক কর্মী ওই মহিলাকে জানান যে আপনার ব্যাগের চেন খোলা। মনে হচ্ছে আপনার ব্যাগ থেকে চুরি গিয়েছে। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে দেখেন ব্যাগে থাকা সোনার জিনিসপত্র ও টাকা নেই। তখন তিনি কৌরুঞ্জি মোড়ে নেমে যান। নেমে যাওয়ার পর তিনি স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গোটা বিষয়টি জানান। ঘটনা শুনেই ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তৎপর হন। তিনি জানতে পারেন ওই বাস থেকে দুই মহিলা কয়রাপুরে নেমে গিয়েছে। তারপর কয়রাপুর থেকে টোটো ধরে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে দুই মহিলা। সঙ্গে কোলে বাচ্চা রয়েছে। হলদি মোড়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়। মহিলাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সামগ্রী। দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজ্য

অজয়ের বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে দিন কাটছে আউশগ্রামের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুরার বাসিন্দাদের

পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুর গ্রামসহ একাধিক জায়গায় অজয়নদের বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পুজোর মুখে গ্রামবাসীরা তাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, গতবছর বুধরা গ্রামের কাছে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল গোটা এলাকা। সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে ফের বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। আউশগ্রমের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুর প্রভৃতি গ্রামের কাছে অন্তত ৬ টি জায়গায় বাঁধের ওপর ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির জল ঢুকে ওইসব গর্ত আরও বাড়ছে। অজয়নদের গায়েই আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের সাঁতলা, বুধরা, ও ধুকুর প্রভৃতি গ্রামগুলি। নদীর বাঁধের কোলে জনবসতি। বাঁধ ভাঙলে পুরো জনবসতি প্লাবিত হয়ে যায়। একবছর আগে অজয়নদের প্লাবনে বুধরা গ্রামের কাছে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙ্গেছিল। অসংখ্য ঘরবাড়ি তখন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেচদফতর থেকে ওই অংশ মেরামত করা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকঠাক হয়নি। বাঁধের উপরের অংশে মাটি ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি। তাই মেরামত করার পরেও বাঁধের ওপর বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ক্রমাগত বৃষ্টিতে বাঁধের ফাটল আরও বেড়ে গিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
রাজ্য

Crime: সোনা-রুপো ও টাকা ছিনতাই গলসিতে, উদ্ধার মুর্শিদাবাদে, গ্রেফতার চার

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সোনা,রুপো ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যগ ছিনতাই করে পালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হল চার দুস্কৃতী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ মুর্শিদাবাদের সালার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে ওই চার দুস্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল মহম্মদ আলি শেখ ওরফে কচি, জিয়ারুল শেখ, রতন শেখ ও বিপ্লব কর্মকার। ধৃতদের মধ্যে রতন ও বিপ্লব মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার বাসিন্দা। অপর দুই ধৃতদের মধ্যে কচি গলসির শশঙ্গা ও জিয়ারুল ভাতার থানার বামশোর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ উদ্ধার হয়েছে ৫১ গ্রাম সোনা, ২.৫ কেজি রুপো ও নগদ ২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার চার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে টিআই প্যারেডেরও আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের জেল হেপাজতে পাঠিয়ে ৬ নভেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ধৃতদের টিআই প্যারেড করানোর আবেদনও বিচারক মঞ্জুর করেছেন।পুলিশ জানিয়েছে, গলসির ছালালপুর এলাকার বাসিন্দা সওকত মোল্লা ওরফে স্বপন পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গলসির ভুঁড়িডাঙ্গা এলাকায় তাঁর একটি গয়নার দোকান রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৭৫ মিনিট নাগাদ সওকত মোল্লা তাঁর দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগে ৪ ভরি সোনার অলংকার, ৩ কেজি রুপো ও নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিল। রাত ৮ টা নাগাদ তিনি যখন ছালালপুরের মোরাম রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন তখন দুই দুস্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। ভয় দেখিয়ে দুস্কৃতিরা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা সোনা, রুপো ও টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে বাইকে চেপে পালায়। এই খবর পাবার পরেই নড়েচড়ে বসে গলসি থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চালিয়ে পুলিশ ওই দুস্কৃতীদের লোকাল ইনফরমার ইব্রাহিম মল্লিক ওরফে স্বপন নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওই দুই ছিনতাইকারীসহ তাঁদের গ্যাংটিকে চিহ্নিত করে।তদন্ত চালিয়ে পুলিশ এও জানতে পারে ছিনতাইকারীরা মুর্শিদাবাদের সালার এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। এরপর সালারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কয়েক দফায় ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের চার জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া সোনা, রুপো ও নগদ টাকা। ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ছিনতাইকারীদের জালে পোরায় স্বস্তিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
রাজ্য

Murder: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ

রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ এক যুবকের মৃতদেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। মৃতর নাম শাহাজান শেখ(৩৩)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় নসরতপুর পঞ্চায়েতের পারুলডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়ায়। ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কা করছেন যুবককে প্রাণে মেরে দিয়ে কেউ রেল লাইনের ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ আরপিএফের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন পূর্বস্থলীর ব্যবসায়ীরাপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় তাঁত শ্রমিক ছিলেন শাহাজান শেখ। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও চার শিশু সন্তান ছাড়াও অন্য সদস্যরা রয়েছেন। পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে শাহাজান বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। সারারাত নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকালে রেল লাইনের ধারে শাহাজানের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকে। সেই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃতের ভাই আহম্মদ শেখ জানান, সমুদ্রগড় স্টেশনের ৪ নম্বর লাইনের ধারে তাঁর দাদার মৃতদেহ পড়েছিল। ওই লাইন দিয়ে কোনও ট্রেন চলে না। সেই কারণে তাঁরা মনে করছেন কোনও দুর্ঘটনায় তাঁর দাদা শাহাজান শেখ মারা যায়নি। তাঁর দাদাকে প্রাণে মেরে দিয়ে কেউ ওই লাইনের ধারে দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। শাহাজানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে পরিবার।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Allegations against RPF: আরপিএফের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন পূর্বস্থলীর ব্যবসায়ীরা

দাবি মতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো আরপিএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী স্টেশান এলাকায়। ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন আরপিএফের জুলুমবাজির প্রতিবাদে ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেন। তা নিয়ে স্টেশন চত্ত্বরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সেই খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ও পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভ সামাল দেন। আরপিএফের মারধরে জখম সেলুন মালিক জুয়েল শেখকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রতিবাদে এদিন দুপুর পর্যন্ত জারি থাকলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকে।পূর্বস্থলী স্টেশন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বিজন দত্ত এদিন বলেন, গত দুবছর ধরে রেল স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীদের উপরে চুড়ান্ত জুলুমবাজি চালানো শুরু করেছে আরপিএফ। দোকানে একটা পেরেক পুঁতলেও আরপিএফকে পয়সা দিতে হয়। এদিন পূর্বস্থলী স্টেশন বাজারে থাকা সেলুনের মালিক জুয়েল শেখ তাঁর দোকানের একটি ঝাঁপ সারানোর প্রস্তুতি নিতেই আরপিএফ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তাঁর কাছে এসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। জুয়েল শেখ তা দিতে অস্বীকার করায় আরপিএফ বাহিনী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করে। এমনকি জোরপূর্বক জুয়েল শেখকে সকালের আপ ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে আরপিএফ অফিসে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে আরপিএফ বাহিনী। তা দেখে সমস্ত ব্যবসায়ীরা রুখে দাঁড়ায়। তাঁরা আপ ট্রেন অবরোধ করে রাখেন। মিনিট দশেক অবরোধ চলে। সেই খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার আইসি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছান। তাঁদের সাথেও আরপিএফ বাহিনী বাকবিতণ্ডা শুরু করে দেয়। প্রতিবাদ চরম আকার নিলে শেষ পর্যন্ত জুয়েল শেখকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আরপিএফ।এর পর জুয়েলকে পূর্বস্থলী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। অপর বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চাঞ্চল্যকর অভিযোগে এনেছেন আরপিএফের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার সবজি চাষিদের মান্থলি টিকিট করা থাকে। তবুও তাঁরা যখন সবজি অন্যত্র বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রেনে তোলেন তখন চাষিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার দাবি করে আরপিএফের লোকজন। টাকা না দিলে ট্রেনে সবজি তুলতে দেওয়া হয় না। আরপিএফের এমন কাজ-কারবারের জন্য চাষিদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে স্টেশন এলাকার সবজি বাজার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। এদিনের ঘটনা নিয়ে আরপিএফ বাহিনীর কোন সদস্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আরপিএফের বিরুদ্ধে এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি জানান, আরপিএফ সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তা জানার পর এদিন সকালে তিনি স্টেশন বাজারে এসেছিলেন। আরপিএফ বাহিনী তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে। আরপিএফ যে অরাজকতা চালাচ্ছে তা চলতে দেওয়া হবে না বলে বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়েদেন।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

crops wasted: শষ্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট, মাথায় হাত কৃষকদের, রইল বিস্তারিত তথ্য

নিম্নচাপের জেরে হওয়া বৃষ্টিপাত ও জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ১৯৩ কোটি টাকা ছাড়ালো। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে সেচ দফতরেরও। তাদের ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। সব থেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে জেলার অজয় তীরবর্তী এলাকায় ধান ও আনাজ চাষে। আনাজে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্লক দফতর থেকে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ৭১৮ টি বাড়ি পুরোমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১৩০০ টি বাড়ির। প্রণী দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গরু মারা গিয়েছে ১৮ টি। ২২০০টি মুরগি খামারের ক্ষতি হয়েছে। সেচ দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকা।সেচ দফতরের দাবি, দামোদরের জলে গলসি, খণ্ডঘোষে ও ভাগীরথীর ধারে অগ্রদ্বীপে বাঁধের যে ক্ষতি হয়েছে তারই পরিমাণ ২কোটি টাকা। এছাড়াও অজয়ের জলের তোড়ে আউশগ্রামের সাঁতলা ও কেতুগ্রাম ২ ব্লকে চারটি জায়গাতে বাঁধ ভেঙেছে। পাশাপাশি মঙ্গলকোটের নবগ্রাম, পালিগ্রামেও বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। কেতুগ্রামের অংশ বাদ দিয়ে আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোটের প্রায় ৩ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও তৈরির জন্য পাঁচ কোটি টাকা খরচ ধরেছে সেচ দফতর। এই কাজ খুব দ্রুত শুরু করতে চাইছেন সেচ দফতরের কর্তারা।জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয়ের বাঁধ ভেঙে কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ার কারণে আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামে কৃষিজমির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। ওই সব এলাকায় জমিতে বালি ও পলি পড়ে গিয়েছে। জলে ভেসে আসা পানা মঙ্গলকোটের জমিতে জমে গিয়ে চাষের ক্ষতি করেছে।জেলা কৃষি দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলার মোট ১৬টি ব্লকের ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০৪টি মৌজায় চাষজমি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ওই সব এলাকার আউশ ধানের চাষ হওয়া ১৪৪ হেক্টর জমির মধ্যে ১১২ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬০ টন আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। একই ভাবে আমন চাষ হওয়া ৪০০০৪ হেক্টর জমির মধ্যে ২০০০৮ হেক্টর জমির চাষে ক্ষতি হয়েছে। আনাজ চাষ হওয়া ৯৮৭ হেক্টর জমির মধ্যে ৫১৩ হেক্টর পরিমাণ জমির আনাজ চাষের ক্ষতি হয়েছে। ১ লক্ষ ৪০ টন আমন ধানে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতি ধরা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। কৃষি দফতরের আশঙ্কা ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Chameleon: পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন, পুলিশের হাতে তুলে দিল দিনমজুর যুবক

বিরল প্রজাতির একটি ক্যামেলিয়ন উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ক্যামেলিয়নটি থাকে পুলিশের আশ্রয়েই। এদিন দুপুরে বনকর্মীরা জামালপুর থানায় এসে ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়েযায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে হিরু মালিক। জামালপুর থানার নতুনগ্রামে হিরুর বাড়ি। পেশায় দিন মজুর হিরু মালিক জানিয়েছেন ,শনিবার বিকালে তিনি সাইকেলে চেপে জামালপুর স্টেশনপাড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে তিনি সবুজ রঙা অদ্ভুত দর্শন প্রাণীটিকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যান। পরে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তিনি নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। এই খবর পেয়ে জামালপুর থানার ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ দাস ও সিভিক ভলান্টিয়ার কবীর মল্লিক পৌছে যান হুিরু মালিকের বাড়িতে। প্রাণীটিকে দেখার পরেই তাঁরা বুঝতে পারেন হিরু মালিক যে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেছে সেটি আসলে বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন। ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ এরপরেই প্রাণীটির বিষয়ে থানায় জানালে পুলিশ কর্তারা প্রাণীটিকে থানায় নিয়ে চলে আসতে বলেন। প্রাণীটি নিরাপদ আশ্রয় ফিরে পাবে জানতে পেরে হিরু মালিক শনিবার সন্ধ্যায় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে থানায় গিয়ে ক্যামেলিয়নটি দিয়ে আসে।বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়নপুলিশ কর্তারা বনদপ্তরে খবর দিলে রবিবার দুপুরে ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনদপ্তরের কর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণীটি ইন্ডিয়ান ক্যামেলিয়ন। এই ধরণের প্রাণী এখন সচারচর দেখা যায় না। এই প্রাণীরা দেহের রঙ পরিবর্তন করে। এই প্রাণী গাছের কচি পাতা ও পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। ঝোঁপ-জঙ্গল ঘেরা যে জায়গায় পোকা-মাকড় থাকে সেই জায়গাতেই মূলত ক্যামেলিয়নের আশ্রয় স্থল।

আগস্ট ২২, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: খবর প্রকাশ হতেই বাড়ির দুয়ারে ভ্যাকসিন

খবর প্রকাশ হতেই একেবারে বাড়ির দুয়ারে বসে কোভিডের ভ্যাকসিন পেলেন নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কলানবগ্রামে বাড়ি প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের। ভোটের সময়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়ে গেলেও ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কমিশনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভ্রাতৃদ্বয় এমনকি ভোট মিটে যাওয়ার পরেও গত বুধবার পর্যন্ত তারা ভ্যাকসিন পাননি । সেই খবর এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই প্রশাসনের কর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। জনতার কথাতেও তা প্রকাশিত হয়।আরও পড়ুনঃ কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়রীতিমতো দুয়ারে ভ্যাক্সিন নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে যান মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মেমারি ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও। তাঁদের সঙ্গেই ছিল মেডিকেল টিম। বাড়িতেই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভাতৃদ্বয়। বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়। তবে তিনি দবি করেন, ব্লক প্রশাসনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

রেশনের খাদ্যসামগ্রী পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার দুই, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে

রেশনের খাদ্যসামগ্রী পাচারের অভিযোগে ডিলারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ১০টি বস্তায় ভর্তি ৫ কুইন্টল চাল ও ৮টি বস্তায় ভর্তি ৪ কুইন্টাল গম। ধৃতরা হলেন ডিলার তুলসীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও মোটর ভ্যান চালক তাপস দাস। প্রথমজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতরের এওড়া গ্রামে। অপর ধৃত ভাতারের আড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভাতার থানার পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করে। বাজেয়াপ্ত করা হয়ে উদ্ধার হওয়া খাদ্য সামগ্রী। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। দুই ধৃতকেই বৃহস্পতিবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম দুই ধৃতের জামিন নামাঞ্জুর করে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সুত্রে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ খবর পায় এওড়া গ্রামের রেশন ডিলার তুলসিরঞ্জন মুখোপাধ্যায় রেশনের বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী পাচার করছে। সেই খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তাপস দাসের মোটরভ্যানে রেশনের ১০ বস্তা চাল ও ৮ বস্তা গম লোড করে ফেলেছিল ডিলার। পুলিশ হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলে। খবর পেয়ে ব্লক খাদ্য আধিকারিক দয়াময় গোস্বামীও ঘটনাস্থলে পৌঁছান । পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় খাদ্যসামগ্রী পাচারের কথা কবুল করার পরেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাচার করা হচ্ছিল।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার' খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়

বিধানসভা ভোটের সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছিল দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়কে। আর ভোট মিটে যেতেই তারা এখন ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত ভোটে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হওয়া সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল। ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য আদৌ হবে কিনা তাও জানেন না দুই খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিধানসভার কলানবগ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা আন্না মণ্ডল। মাটির এক কুটুরি বাড়িতেই তাঁরা বসবাস করেন। সরকারী ভাতার সামান্য কয়েকটা টাকা আর দুচারটে ছগল, গরু ও মুরগি প্রতিপালন করে সামন্য যে টুকু রোজগার হয় তা দিয়েই তাঁরা দিন গুজরান করেন। এমনই এক হতদরিদ্র পরিবারের খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব ও মানিককে ২০২১ বিধানসভা ভোটে ২৬৫ মেমারি বিধানসভার ভোট আইকন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী এবং ৮০ উর্ধ্ব ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার ব্যাপারে তাঁরাই হয়েছিলেন প্রধান মুখ ।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?কোভিড অতিমারির মধ্যেই এবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তার জন্য নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু নতুন নিয়ম জারি করে। প্রতিবন্ধী ও ৮০ উর্ধ্ব বয়সী ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও কোভিড পেসেন্টরাও যাতে একই সুবিধা পান সেই ব্যবস্থাও কমিশন ধার্য করে। এই সকল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেয়। তারই প্রচার কাজে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেমারি বিধানসভার আধিকারিকরা আইকন হিসাবে বেছে নেন খর্বকায় দুই প্রতিবন্ধী ভাই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে। ভোটের সময় নিঃস্বার্থ ভাবেই এই দুই প্রতিবন্ধী ভাই ট্রাইসাইকেলে চড়ে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর কাজও চালিয়ে যান। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড ভোটার মহলে যথেষ্ট সাড়াও ফেলে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে। আর ভোট মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীসঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল বুধবার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। মনে রাখেনি সরকারও। সেই কারণে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আগেও তাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাননি। ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অনেকবার পাল্লারোডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন না পেয়ে তাঁদের হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সঞ্জীব ও মানিক আরও জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ব্লকের বিডিও অফিসেও মৌখিক ভাবে তাঁরা জানিয়ে ছিলেন। তাতেও সুরাহা হয়নি। আদৌ কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাবেন কিনা তা নিয়েও অন্ধকারে রয়েছেন বলে প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?এই বিষয়ে মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাঁর সঙ্গে ওনারা যোগাযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তিনি জেনেছেন।খুব তাড়াতাড়ি ওনাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজনীতি

বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুট, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৎপর হতেই গ্রেপ্তার চার

বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ৪ ব্যক্তি। ধৃতরা হলেন রহিম শেখ, শেখ হারুন আলি, সামন্ত মণ্ডল ও নাসিরউদ্দিন মল্লিক ওরফে আনন্দ। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার দৈয়র গ্রামে ধৃতদের বাড়ি। সূত্রের খবর, এই হামলার ঘটনায় খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নামও জড়িয়েছে। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে অপার্থিব ইসলাম বাদে চারজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে। সূত্রের খবর, লুটপাট হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের জন্য পুলিশ ধৃতদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন আদালতে জানায়নি। সিজেএম ধৃতদের বিচারবিভাীয় হেপাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ জানিয়েছে, খণ্ডঘোষের দৈয়র গ্রামে বাড়ি বিজেপি সমর্থক আব্বাসউদ্দিন মিদ্যার। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন তৃণমূলের লোকজন তাঁর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাঁর বাড়ি থেকে ৩টি গরু, সোনার গয়না ও ৮০ হাজার টাকা লুট করা হয়। মারধরের ভয়ে ওই দিনই আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে ঘরছাড়া হন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর পুলিশ আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দেয়। অভিযোগ, এরপর ২৫ জুন সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকজন ফের তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে ফের ঘরছাড়া হন আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে। তাঁদের না পেয়ে আব্বাসউদ্দিনের স্ত্রী আনুশা মিদ্যা ও মেয়ে রেহেনা খাতুনকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। আগের দিনের হামলায় আনুশার পা ভাঙে। দ্বিতীয় হামলার দিন সেই অবস্থার মধ্যেই তাঁকে ফের মারধর করা হয়। মারধরের পর তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে যায়।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমকে আনুশা ঘটনার কথা জানানোর পাশাপাশি কমিশনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন। কমিশন বিষয়টি দেখার জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তরকে জানায়। গোয়েন্দা দপ্তরের নির্দেশে খণ্ডঘোষ থানা মামলা রুজু করে চার জনকে গ্রেপ্তার করে। হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ আনুশা এবং তাঁর মেয়ের গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করায়।খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম যদিও দাবি করেছেন, হামলার অভিযোগ মিথ্যা। এখন বিজেপি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বদনাম করতে ওরা এখন বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মিথ্য মামলা রুজু করছে। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজনীতি

Minister WB: বিজেপিকে রুখতে ঝাঁড়ফুক বা পানিপোড়া, নাহলে ৭০-৮০ ডিগ্রির দাওয়াই, হুঙ্কার রাজ্যের মন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়পেট্রোপণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার নিজের বিধানসভা এলাকা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম ও সাতগেছিয়া বাজার এলাকায় হওয়া দলের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সারা রাজ্যের পাশাপাশি এদিন পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তেশ্বরের সাতগেছিয়া ও কুসুমগ্রামে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় । সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন আরও বলেন, সেই সব গ্রাম আমি চিনি যেখানে বিজেপির কর্মীরা অনেক মুসলমান বাড়ির সামনে কাঁফন রেখেছিল। যারা রেখেছিল তারাও মুসলমান। তাদেরও টুপি আছে, দাড়িও আছে।নামাজ তারাও পড়ে। তবে তারা কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ওইসব বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা প্রথমে ওদের ঝাড়ফুঁক তেল ও পানি পোড়া দেব । তাতে যদি ঠিক হয়ে যায় তো ঠিক আছে। না হলে ৭০ ডিগ্রি বা ৮০ ডিগ্রির বিষয়টি পরে ভেবে দেখা হবে।পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এইসব বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের শপথ নেওয়া রাজ্যের একজন মন্ত্রী যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপমান করছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। একই সঙ্গে কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যে বিরোধীদের নিকেশ করতে চায় শাসক দল।তারই ইঙ্গিত স্বরুপ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ঝাড়ফুঁক, তেলপোড়া, পাণি পোড়া, ৭০ডিগ্রি, ৮০ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে এই সব হুঁশিয়ারী দিয়ে লাভ কিছু হবে না। কারণ দেশের আইনি শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী বিরোধীদেরও রাজনীতি করার ও মত প্রকাশের আধিকার রয়েছে।

জুলাই ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal