• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Digha

রাজ্য

দীঘায় জনজোয়ার! জানেন তো জগন্নাথ মন্দিরের বাড়তি আকর্ষণ সম্পর্কে?

টানা তিনদিনের ছুটি (১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৭ আগস্ট রবিবার) ঘিরে দিঘায় পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। এই প্রথমবার দিঘার জগন্নাথ ধামে হবে জন্মাষ্টমী উদযাপন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মঙ্গল আরতি, কীর্তন, ধর্মীয় আলোচনা ও প্রসাদ বিতরণ। সাধারণত রাত ৯টায় বন্ধ হওয়া মন্দির এদিন খোলা থাকবে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। হোটেল বুকিং প্রায় সম্পূর্ণ, নিরাপত্তা ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ভক্তদের জন্য কলস অভিষেকের আয়োজনও থাকছে।দিঘা জগন্নাথ ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম কর্মকর্তা তথা কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, প্রথমবার দিঘা জগন্নাথ ধামে জন্মাষ্টমী উদযাপন হবে। সকাল থেকে শুরু হবে মঙ্গল আরতি ও কীর্তন। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ হবে, দিনভর থাকবে কীর্তন ও ধর্মীয় আলোচনা। রাত বারোটা হবে শ্রীকৃষ্ণ জন্মোৎসব পূজা, যেখানে হাজারো ভক্ত একসঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির প্রাঙ্গণে পুলিশ টহল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত থাকবে।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলার পুরী: দীঘা জগন্নাথ মন্দির

দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হল বুধবার। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরী হয়েছে এই মন্দির। পর্যটন কেন্দ্র দীঘার অন্যতম নয়া আকর্ষণ এই মন্দিরটি। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীও অনুকরণ করা হয়েছে। মন্দিরে স্থাপিত হয়েছে জগন্নাথ দেব, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রা-র মূর্তি।পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি কুড়ি একরের বেশি জায়গা জুড়ে বৃস্তিত। ৩০শে এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভদিনে মন্দিরটি উদ্বোধন হয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই দীঘিয় উৎসবের মরসুমে শুরু হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2018 সালে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DSDA) মন্দির নির্মাণের জন্য 20 একপ্রকার জমি প্রদান করেন।হাউজিং ইনফ্যাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (HIDCO) কে এই মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 2022সালের অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে রাজ্য মন্ত্রী আখিল গিরি এই মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।মন্দিরের চূড়া প্রায় ৬৫মিটার (২১৩ফুট )। মন্দিরের মেঝেতে ভিয়েতনামের মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দিরের মূল কাঠামোটি রাজস্থানের বোনসি পাহাড়ের বিখ্যাত লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরী।পুরীর মন্দিরের মতোই এখানে সিংহদ্বার, বাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার, ও অশ্বদ্বার রয়েছে।দিঘার মনোরঞ্জন সমুদ্র সৈকতের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরটি দিঘাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।শতাব্দী পাল ঘোষ

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
রাজ্য

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্তের বিলাসবহুল হোটেল নিউদিঘায়! তদন্তে ইডি

রেশন দুর্নীতি মামলায় নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে চমকে দেওয়ার মতো। দুবাই যোগ আগেই জানা গিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তদন্ত করছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, এবার এই রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার দেগঙ্গার তৃণমূল নেতার বিলাসবহুল হোটেলের খোঁজ মিলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়। তদন্ত করছে ইডি। রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, শাহজাহান শেখ. বণগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। ফের রেশন দুর্নীতি নিয়ে তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ট রাকিবুল ইসলামের মামাতো ভাই এর হোটেলের সন্ধান মিলল দিঘায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে উত্তর ২৪পরগনার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান বিদেশ ও তার দাদা আলিফ নুর রহমান মুকুল।সূত্রের খবর, আলিফ নুরের বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে নিউ দিঘায়। এই হোটেলের উদ্বোধনে টলিউড অভিনেতা এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই হোটেল কাদের জানতে চাওয়া হলে সেখানকার কোনও কর্মী কথা বলতে চাননি। হোটেলের ম্যানেজার কাজে ব্যাস্ততা দেখিয়ে মুখ খোলেননি। অভিযুক্ত দুজনই ইডির হেফাজতে রয়েছে।

আগস্ট ০৩, ২০২৪
রাজ্য

ক্ষণিকের ভুলে চোখের সামনেই দীঘার উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে গেল ছেলে

ফের দিঘার সমুদ্রে মর্মান্তিক ঘটনা। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক স্কুল পড়ুয়া। ১৫ বছরের ওই কিশোরের নাম শুভজিৎ দে। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শুভজিৎ মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে আসে। শুক্রবার সকালে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ঘটে বিপত্তি। উত্তাল ঢেউ সামলাতে পারেনি ওই কিশোর। তাঁর দেহের খোঁজে চলছে তল্লাশি।পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শুভজিৎ এবং তার ভাই বিশ্বজিৎ মায়ের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে যায়। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে স্নান করতে যায় তারা। এদিকে সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র ছিল উত্তাল। স্নান করতে নেমে কিছুক্ষের মধ্যে বিপদ ঘনিয়ে আসে।

জুন ১৪, ২০২৪
রাজ্য

গভীর নিম্নচাপ, দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস, একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা

বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত। দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকেছে। আপাতত এর অবস্থান ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের দক্ষিণে। এর প্রভাবে বাংলা উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। সোমবার কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এবং হাওড়ায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এই জেলাগুলিতে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। আগামী বুধবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্যও সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।সৈকত শহর দীঘায় প্রচণ্ড জলোচ্ছাস, সমুদ্রের ঢেউ গার্ড ওয়াল টপকে আছড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভে। পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মত। সপ্তাহান্তে যারা দীঘা গিয়েছিলেন, তারা অনেকেই উত্তাল দীঘা কে দেখার আশায় আরও দুদিন থেকে গেছেন। যদিও দীঘা শঙ্করপুর এলাকায় সমুদ্রে নামার সতর্কতা জাড়ি করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
রাজ্য

দীঘা সমুদ্র সৈকতে উঠে এলো একটি মৃত ডলফিন

সকাল থেকে নিম্নচাপের জেরে দীঘা সমুদ্র উত্তাল আর তারই মাঝে কিছুটা ভাটা পড়তে বিকালবেলা দীঘা সমুদ্র সৈকতে উঠে এলো একটি মৃত ডলফিন। যাকে দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পর্যটন শহর দীঘায়। এদিন বিকাল পাঁচটার নাগাদ নিউ দিঘায় ভেসে আসেএকটি মৃত ডলফিন ।সম্ভবত কোন লঞ্চ বা ট্রলারের আধার লেগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে, লম্বা প্রায় সাড়ে তিন ফুট।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
রাজ্য

সৈকত শহর দীঘার পথে রেল বৃদ্ধির দাবি বাংলা পক্ষের

বাংলা পক্ষ -এর তরফে দীঘা-সাঁতরাগাছি লোকাল ট্রেন এবং দীঘা-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের অপ্রতুলতা এবং এই রেল পথের ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার দাবিতে দীঘা স্টেশন ম্যানেজারের কাছে রবিবার ১৭ জুলাই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল। এই রেলপথ হাওড়া এবং কলকাতার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন বাণিজ্যিক, চিকিৎসা, শিক্ষার প্রয়োজনে, পেশাগত, পরীক্ষার জন্য ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে বহু মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। ট্রেনের অপ্রতুলতার ফলস্বরূপ স্থানীয় মানুষদের কর্মস্থলে পৌঁছানো এবং ফিরবার ক্ষেত্রে ব্যাপক হায়রানির শিকার হতে হয়। বাংলা পক্ষের দাবি, এই সমস্যা সমাধানের জন্য লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। যাতে বাংলার রাজধানীর সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের রেলপথ যোগাযোগের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে, নিত্যদিনের সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার না হতে হয় এবং সৈকত শহর দীঘায় পর্যটকদের আসা-যাওয়া অত্যন্ত সুগম এবং সুলভ হয়। বাংলা পক্ষ মনে করে, দীঘা বাংলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করলে রাজ্যের অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্টেশন ম্যানেজারের তরফে ইতিবাচক প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দিনে হাওড়া থেকে দীঘা এবং জেলার মধ্যে চলাচলের জন্য লোকাল ট্রেন বৃদ্ধি পাবে।

জুলাই ১৭, ২০২২
রাজ্য

দিঘার হোটেলে ভয়াবহ আগুন

নিউ দিঘার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার সকালে আগুন লাগে। দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা হোটেলের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে পুলিশে ও দমকলে খবর দেয়। প্রাণ ভয়ে বেশ কয়েকজন পর্যটক কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেন। হোটেলের ঘরে বহু পর্যটক থাকলেও তাদের সকলকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।প্রতক্ষদর্শীদের মতে বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় ১১টা নাগাদ হোটেলের দোতলায় সিঁড়ির লবি থেকে আগুন এবং কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি হোটেল ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন কর্মীরা। দোতলায় থাকা কয়েক জন পর্যটক প্রাণ বাঁচাতে রেলিং টপকে কোনও ক্রমে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচান। দমকলের বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে ইলেকট্রিকের কাজ চলছিল। পার্শ্ববর্তী হোটেলের কর্মীরা জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তদন্ত চলছে। হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

Digha: রাতারাতি দিঘা ছাড়ার হুড়োহুড়ি পর্যটকদের

সোমবার থেকে ঘুরে বেড়ানো যাবে না দিঘা সমুদ্র সৈকতে। এমনকী সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ডোবানোও মানা পর্যটকদের। সরকার রাজ্যজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা করার পরই সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে রবিবার বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে সোমবার থেকেই তালা ঝুলেছে রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। তাই বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও। রবিবার রাত থেকেই দিঘা সৈকতে মাইক নিয়ে প্রচারে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।ঘোষণার পর থেকে দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর-সহ সৈকতনগরী ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। যারা নিজস্ব গাড়ি এনেছেন, তাঁদের কিছুটা স্বস্তি থাকলেও চরম ভোগান্তির মুখে ট্রেন বা বাসে সফর করে দিঘায় বেড়াতে আসা যাত্রীরা। রাতেই অনেকে হোটেল ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্য স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হতে শুরু করেন। তবে বাস বা ট্রেন না পেয়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েন তারা।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

কয়েক ঘণ্টা দূরে যশ, দিঘায় ৩০ ফুটের উপর জলোচ্ছ্বাস

ধেয়ে আসছে যশ। বর্তমানে দিঘা থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ঘূর্ণিঝড়টির। তার প্রভাবে ফুঁসছে দিঘা। ৩০ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওডিশার ধামড়া থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার পূর্বে, দিঘা থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং বালাসোর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় যশ অবস্থান করছে। ধামড়ায় আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৩০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। দিঘাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। ৩০ ফুটের উপরে জলোচ্ছ্বাস। বোল্ডার পেরিয়ে জল ঢুকছে দিঘায়। জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় ৬২ কিলোমিটার এবং ফ্রেজারগঞ্জে ৬৮ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল গেলেন সচিবালয়েঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নবান্ন এবং উপান্নে খোলা হয়েছে দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে রাতভর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর হয়ে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । যশ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। যাতে কোনও বিপদ না হয় তাই বুধবার কলকাতার বেশিরভাগ ফ্লাইওভারে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ গার্ডেনরিচ, তারাতলা, পার্ক স্ট্রিট, উল্টোডাঙা, চিংড়িহাটা, গড়িয়াহাট, এজেসি বোস এবং মা ফ্লাইওভার। বন্ধ কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর।

মে ২৬, ২০২১
রাজ্য

দিঘার সমুদ্রে শুরু জলোচ্ছ্বাস, সঙ্গে প্রবল হাওয়া

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপ। আবহাওয়াবিদদের হিসেব কাঁটায় কাঁটায় মিলে গেলে বুধবার ভোরেই ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের বেশি গতিবেগ নিয়ে দিঘা-বালাশোরের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার এবং ওডিশার বালাসোর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। দুপুরের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। সন্ধের পরই তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় -এ পরিণত হবে। ইতিমধ্যে যদিও তার প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে দিঘায়। উপকূলে চলছে জলোচ্ছ্বাস।মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সামান্য রোদের ঝিলিক দেখা গেলেও ঝড়ের পূর্বাভাস টের পাওয়া গিয়েছে স্পষ্ট। প্রবল বেগে হাওয়া দিচ্ছে। যদিও যশ-এর প্রভাব কলকাতায় খুব বেশি পড়বে না বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দিঘা বরাবর উপকূলবর্তী পাশের এলাকাগুলিতে তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে যশ। সমতলে আছড়ে পড়ার পর এর গতিপথ হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। তবে তার আগেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রভাব রেখে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর আগে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম অনেকটা প্রস্তুতি সেরে রেখেছে জেলা প্রশাসন। যশ-এর প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে এই জেলাগুলিতে।

মে ২৫, ২০২১
রাজ্য

ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর, দিঘার ৬২০ কিমি দূরে যশ

আরও এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টায় দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। যশ-এর প্রভাবে সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে বলে জানা গিয়েছে।গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে যশ। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় এই মুহূর্তে ১৬ ডিগ্রি ৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৬২০ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর-পশ্চিম, ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওডিশার বালেশ্বর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে যশ।মঙ্গলবার রাতের মধ্যে যশ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর। বুধবার সকালের মধ্যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা যশ-এর। তার পর বুধবার সন্ধ্যায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে যশ ওডিশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে বলেই পূর্বাভাস।

মে ২৪, ২০২১

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal