• ৩০ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Destroy

রাজ্য

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত হল একটি পোল্ট্রি ফার্ম, ক্ষতি লক্ষাধিক টাকার

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত হল একটি পোল্ট্রি ফার্ম। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খুড়ুল গ্রামে। ভাতারের খুড়ুল গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব ঘোষের একটি পোল্ট্রি ফার্ম ছিল। ওই ফার্মে মুরগি পালন করে সংসার চলতো তাদের। দুএকদিনের মধ্যেই বাচ্ছা মুরগি আসার কথা। তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। গতরাতে হঠাৎ দাউ দাউ করে পোল্ট্রি ফার্মটি জ্বলতে দেখা যায়। দু একজনের নজরে আসতেই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।ভয়াবহ আগুনে ভষ্মীভূত হয় পোল্ট্রি ফার্মটি। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান পোল্ট্রি ফার্ম মালিক। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফার্ম মালিক ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তাদের সন্দেহ ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে কেউ আগুন লাগাতে পারে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

অক্টোবর ৩০, ২০২২
রাজ্য

টেটের OMR শিট নষ্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ, আজই সিবিআইতে হাজিরা মানিকের

এবার ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র OMR শিট নষ্ট করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মোট ১২ লক্ষের বেশি OMR শিট নষ্ট করার অভিযোগ করা হয়েছিল আদলতে। আদালত জানতে চায়, কেন এবং কার নির্দেশে সেগুলি নষ্ট করা হয়েছে? পর্ষদের জবাব, এর কোনও রেকর্ড নেই। মঙ্গলবার OMR শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিকে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রয়োজনে সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিতে পারে বলেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন রাত ৮টার মধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে।শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, OMR শিট অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল, বাছাই করা সংস্থাকে নষ্ট করার বরাত দেওয়া হয়েছিল, তাই গোটাটা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। এছাড়াও বিচারপতি জানান, ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কাদের OMR শিট নষ্ট করা হয়েছে সেই তথ্য পর্ষদের জানা নেই। এদিকে পর্ষদের এই ভূমিকা মোটেই প্রত্যাশিত নয়। বলেছেন বিচারপতি।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
রাজ্য

Patient : চিকিৎসাধীন রোগীর তান্ডবের হিসেব-নিকেশ, ১৫ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট

এক আধ টাকার ক্ষয় ক্ষতি নয়। চিকিসাধীন থাকা এক প্রৌঢ় রোগী ভাঙচুর চালিয়ে নষ্ট করে দিয়েছেন হাসপাতালের এইচডিইউ ওয়াডের ১৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম।এমনটা জেনে সকলের অবাক লাগাটাই স্বাভাবিক।কিন্তু বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে পূর্ব বর্থমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। প্রৌঢ় রোগী অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক রাতের তাণ্ডবে ১৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হওয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট সোমবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এই ঘটনা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী মহলে যথেষ্টই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ কাটোয়া হাসপাতালে বৃদ্ধ রোগীর বেনজির তান্ডব, ভেঙে চুরমার লক্ষ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সামগ্রীহাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কাটোয়া শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।পরিবারের লোকজন গত শনিবার সকালে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় অরুণবাবুর সোডিয়াম পটাসিয়াম ঘাটতি ধরা পড়ে।সেই কারণে তাঁকে হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ড থেকে হাই ডিপেনেন্সি ইউনিটের(এইচডিইউ) ৬ নম্বর বেডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর হাতে স্যালাইনের চ্যানেলও গোঁজা ছিল। সেই অবস্থাতেই একটি কাটের তুল হাতে নিয়ে শনিবার রাতে তিনি হঠাৎতই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। এরপরেই তিনি হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করেদেন। তাকে বিরতে করতে গিয়ে কর্তব্যরত দুই নার্সও আক্রান্ত হন। ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়ার যন্ত্রগুলি তিনি একে একে ভেঙে দেন। এছাড়াও এইচডিইউ বিভাগে থাকা কম্পিউটারের সিপিইউ, মনিটরসহ অন্য নানা দামি মেশিনপত্র তিনি মাটিতে আছড়ে ভেঙে দেন। অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার ও ওষুধের প্যাকেটও তিনি ফেলে নষ্ট করে দেন। রোগী অরুণবাবুকে বিরত করতে গিয়ে কর্তব্যরত দুজন নার্সও আক্রান্ত হন। অরুণ বাবুর রুদ্রমূর্তি দেখে এরপর কেউ তাঁকে বিরত করার শাহস আর দেখাননি। হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড, সিভিক ভলেন্টিয়াররা সবাই কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওই রোগীর তান্ডবলীলা দেখতে বাধ্য হন। পরের দিন ওই রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।আরও পড়ুনঃ ষাঁড়ের গুঁতোয় এবার প্রাণ হারালেন কাটোয়ার বৃদ্ধ, আতঙ্কে কাঁপছে মানুষজনকাটোয়া হাসপাতাল সুপার ধীরাজ রায় এদিন বলেন, ক্ষয় ক্ষতির সবিস্তার রিপোর্ট তিনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছেন। ভাঙচুরের কারণে পরিষেবা সাময়িক ভাবে ব্যহত হলেও জরুরিকালীন ভিত্তিতে টেকনিশিয়ানদের ডেকে কাজ করানো হয়। তারপর থেকে এখন স্বাভাবিক পরিষেবা চলছে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

সরকারি সম্পত্তি অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজীব ঘনিষ্ঠ

সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার এবং প্রতারণা মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হাওড়ার জগদীশপুরের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা বিজেপি নেতা গোবিন্দ হাজরা। রবিবার রাতে তাঁকে বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোবিন্দবাবু আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আরও পড়ুনঃ বেশি করে সবজি খান, শরীর থাকবে সুস্থ, বাড়বে ইমিউনিটি পাওয়ারকিছুদিন আগেই ডুমুরজলায় বিজেপির সভামঞ্চে এসে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গোবিন্দ হাজরা তৎকালীন জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় রবিবার লিলুয়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুরে তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। গোবিন্দবাবু দাবি করেন, তাঁর যা বলার তিনি আদালতে জানাবেন। আদালতের প্রতি তাঁর বিশ্বাস রয়েছে। এদিকে, গোবিন্দ হাজরার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান যমুনা কয়াল জানান,অনেক দুর্নীতি করেছেন গোবিন্দ হাজরা। পঞ্চায়েতের সিসি ক্যামেরা ল্যাপটপ-সহ একাধিক জিনিস চুরি করেছেন। উপপ্রধান সোনামণি কর্মকার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গোবিন্দ হাজরা চরম অন্যায় করেছেন। শাস্তি থেকে অতি চরম শাস্তির প্রয়োজন। আগে গোবিন্দ হাজরা সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলার সাহস কারও ছিলনা। সেইজন্যে ভয় মানুষ চুপ করে থাকতো।বালি জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ সুভাষ রায় জানান, সবকিছু গ্রাস করে রেখেছিলেন উনি। ত্রাস এবং বিভীষিকার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্যে। দলকে সামনে রেখে একজন দুধ বিক্রেতা ৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওঁর বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপই করেছে প্রশাসন। উনি বিজেপিতে চলে যাওয়ায় দলে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। স্বাভাবিকভাবে ওনার বিচার চেয়েছেন মানুষ। পরের জমি জবরদখল করা, প্রশাসনে থেকে প্রশাসনকে ভুলভাবে ব্যবহার করা, সরকারি সম্পত্তি নয়ছয় করা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গোবিন্দ হাজরার গ্রেফতার নিয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, দলের সঙ্গে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। গোবিন্দ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তাই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে। তৃণমূলে থাকলেই যে সে অন্যায় করেনি বা করবে না তা নয়। যদি কেউ অন্যায় করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রশাসনের কর্তব্য। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি কোন দল করতেন, কি পদে ছিলেন তা বড় কথা নয়, তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই প্রশাসনের কর্তব্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া জেলা সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, তৃণমূল ছেড়ে কেউ বিজেপিতে এলেই তাঁকে চোর বানিয়ে দুর্নীতির দায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধৃতের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে তিন দিন পুলিশি হেপাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

জুন ২১, ২০২১
দেশ

উত্তরাখণ্ডের তুষার ধসে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা!

রবিবার সকালে নামা তুষার ধসে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড। জোশীমঠের কাছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর দ্রুত বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে নদীর পাড়ের বহু ঘরবাড়ি। এই ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনায় ১০০-১৫০ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। আচমকা নামা ধসের ফলে চামোলির তপোবন বাঁধের কাছে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে পড়েছেন অন্তত ২০ জন মানুষ। আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাঁদের দল আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রেনি গ্রামের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন কাজ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। বাকিদেরও খোঁজে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন আইটিবিপি-র ২৫০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও সেখানে যাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উদ্ধার কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা লাগাতার এনটিপিসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছিল নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে। এদিন ধস নামার পরেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। সেজন্য খালি করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধ। জলের তোড় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জোশীমঠের মালারি অঞ্চলে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের তৈরি এক সেতু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে সকলের নিরাপদে থাকার প্রার্থনা করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর ও অমিত শাহর। দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তিনি তাঁর টুইটারে লিখেছেন, আমি নিশ্চিত উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য ভালভাবেই চলছে।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal