• ১০ শ্রাবণ ১৪৩২, সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Death,

কলকাতা

কলকাতার পর সল্টলেকেও চরম অমানবিকতার নজির, মোবাইল চোরের দাগ লাগিয়েই পিটিয়ে খুন

কলকাতার বৌবাজারের পর সল্টলেক। একটা গণপিটুনি গতকাল রাতে, আরেকটা আজ ভোরে। ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই সভ্যনগর কলকাতা ও সল্টলেকে দুজনকে পিটিয়ে খুন করা হল। দুটি ক্ষেত্রেই মোবাইল চুরির সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। দ্বিতীয় গণপিটুনি হয়েছে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকার পোলেনাইটে। মৃতের নাম প্রসেন মন্ডল (২২)।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শনিবার ভোর বেলায় করুণাময়ীর কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে থানায় খবর যায় এক ব্যক্তি একটি যুবককে নিয়ে এসেছে মৃত অবস্থায়। এবং যে নিয়ে এসেছে তাকে আটকে রেখেছে। এর পর পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, আজ ভোর বেলায় মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে ওই অভিযুক্ত, তার ছেলে ও এক বন্ধু মারধর করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুজনের খোঁজ পায় তাদেরকেও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ এর বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।ধৃতরা হল তপন সরকার, হরসিত সরকার ও শ্রীদাম মন্ডল।

জুন ২৯, ২০২৪
কলকাতা

কোরপান শাহের অমানবিকতার স্মৃতি ফিরল কলকাতায়, গণপিটুনিতে খুন, অভিযোগ ছাত্রাবাসের আবাসিকদের বিরুদ্ধে

১৬ নভেম্বর ২০১৪। ২৮ জুন ২০২৪। প্রায় ১০ বছরের ব্য়বধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১০ বছর আগে চোর সন্দেহে কোরপান শাহকে এনআরএসের হবু চিকিৎসকরা পিটিয়ে মেরে দিয়েছিল। হাওড়ার এই যুবক ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার রাতে ফের কলকাতায় বৌবাজারে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফৎতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ছাত্রদের মানবিকতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পড়ুয়ারাই যদি এমন অসহিষ্ণু হয় তাহলে সমাজে সর্বনাশ হওয়ার কোনও বাকি থাকে, এই মতবাছেলেধরা গুজব নিয়ে তোলপাড় চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তার জেরে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মূলত কলকাতা লাগায়ো উত্তর ২৪ পরগণায়। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও ঘটেছে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই যাঁরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা কেউই দোষী তো নয়ই একেবারে সাধারণ মানুষ বা ভবঘুরে-ভারসাম্যহীন। এবার খাস কলকাতায় ঘটে গেল মানবিকতার চরম বিপর্যয়। চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বউবাজার এলাকার একটি ছাত্রাবাসের আবাসিকদরে বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া। হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি ব্যাট, একটি লাঠি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ করছে পুলিশ। সিসি ট্যাম্পারিংয়েরও অভিযোগ উঠেছওই যুবক মোবাইল চুরি করেছে বলে সন্দেহ করে বউবাজারে ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্ররা। অভিযোগ, ব্যাট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয় ওই যুবককে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইরশাদ আলম, বয়স ৪৭। তিনি চাঁদনিচক এলাকায় একটি টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, ওই হোস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। শুক্রবার সকালে হস্টেলের পাশেই একটি দোকানের মালিক ছাত্রদের জানান, এক ব্যক্তি ওই চত্ত্বরে ঘোরাফেরা করছেন। ছাত্রাবাসের পাশেই রয়েছেন একটি নামি মিষ্টির দোকান। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে ছাত্ররা ওই যুবককে হস্টেলে তুলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় বউ বাজার থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আসে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। এরপর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোরপান শাহ প্রাণ দিয়েই বোঝাতে পারেনি শহর কলকাতা কতটা অমানবিক। ছাত্র সমাজ কতটা অমানসিকতার নজির গড়তে পারে। বউবাজারের ছাত্রাবাসের আবাসিকরা প্রমাণ করল ছাত্র সমাজ শুধু সমাজ গড়ে না, অন্ধকার সমাজ গড়তেও সাহায্য় করে। এই গণপিটুনির ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে সমাজের সমস্ত মহল।

জুন ২৯, ২০২৪
কলকাতা

সল্টলেকে পরিচারিকা কি দেখলেন? ঘটনাস্থলে বিধাননগরের পুলিশ এসে হতবাক!

সল্টলেকের জি সি ব্লকে প্রাক্তন সেনা কর্মী যদুনাথ মিত্র স্ত্রী মন্দিরা মিত্রর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রাক্তন সেনা কর্মী যদুনাথ মিত্র কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল বেলা জিসি ব্লকের ৩০ নম্বর বাড়িতে কাজ করতে আসেন পরিচারিকা। এরপরে তিনি দেখেন প্রাক্তন সেনা কর্মী যমুনাথ মিত্র ও তার স্ত্রী দুজনই রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছেন। তড়িঘড়ি বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দক্ষিণ থানার পুলিশ, পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ও বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন পাতার একটি তিন পাতার সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যদুনাথ বাবু প্রথম স্ত্রীকে খুন করেন। এরপরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও বিষয় রয়েছে খতিয়ে দেখছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।

মার্চ ২৭, ২০২৪
রাজ্য

সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য নিউটাউনে

সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের হাতিয়ারায়। পারিবারিক অশান্তি, নাকি আর্থিক অনটন সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুর কারণ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।পরিবারের দাবি, লেকটাউন ট্রাফিকে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কৌশিক দেবনাথ গত এক বছর আগে নিউটাউন হাতিয়ারা হেলাবটতলা এলাকায় বিয়ে করে। এবং বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের দাবি করতে থাকে তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, কৌশিক দেবনাথকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছিল। তাঁর বাবা মাকে ছেড়ে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোথাও গিয়ে থাকতে হবক। স্ত্রীর এই দাবি মানতে পারেনি কৌশিক। এরপরই কৌশিকের স্ত্রী নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যায়। এবং নিয়মিত ফোন করে কৌশিককে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল, পাশাপাশি কৌশিকের মা-বাবাকেও ফোন করে গালিগালাজ দিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই মানসিক অবসাদে গতকাল রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে হাতিয়ারায় নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও মৃত্যুর পিছনে প্রকৃত কি কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের ছোট রাজকুমারের প্রয়াণে শোকের ছায়া

প্রয়াত প্রণয়চাঁদ মহাতাব। তিনি বর্ধমানের ছোট রাজকুমার নামেই অধিক পরিচিত। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার আলিপুরের ডায়মণ্ড হারবার রোডের বিজয় মঞ্জিলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজকুমারের শেষকৃত্য হয়। প্রণয়চাঁদ মহতাবের প্রয়াণে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শোকসভা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।জানা গিয়েছে, ১৯৪০ সালের ১৭ এপ্রিল বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন প্রণয়চাঁদ। জমিদারি প্রথা বিলোপ হয়ে যাওয়ার পরে প্রণয়চাঁদের বাবা উদয়চাঁদ তিন সন্তান নিয়ে বর্ধমান ছাড়েন। দার্জিলিংয়ের দুন স্কুলে পড়াশোনা করতেন ছোট রাজকুমার। জানা গিয়েছে, তারপর ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিসে ডক্টরেট করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিয়ে করেন নন্দিনী মহতাবকে। তাঁদের একমাত্র ছেলে অজয়চাঁদ একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হয়ে আমেরিকায় রয়েছেন।বর্ধমানের লক্ষী নারায়ণ জিউ মন্দির, সোনার কালী, বিজয় বিহার, রাধা বল্লভ মন্দির ছাড়াও জামালপুর, কালনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কিছু মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে মহতাব ট্রাষ্ট। বর্ধমানে ছোট রাজকুমার বা রানী এলে তাঁরা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরের দোতলায় থাকতেন। শহরের কোন নামীদামী হোটেলে থাকতেন না।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
রাজ্য

রক্তাক্ত স্ত্রী ও মেয়ের পাশে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বিরাট রহস্য!

শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নীচতলা থেকে উদ্ধার মহিলার গলা কাটা দেহ ও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখার্জি নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা মুখার্জিকে গলা কেটে খুন করার পর কন্যা সন্তানের গলা কাটে। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের থেকে নিচতলার ঘরের মধ্যে থেকে সাগর মুখার্জি নামে ওই ব্যক্তির ও তার স্ত্রী দেহ উদ্ধার করে। কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে পৌঁছেছেন। বিধায়ক জানান, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন এবং সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপরেই ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সাগর মুখোপাধ্যায় নামে ঐ ব্যক্তিকে তিনি চেনেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুখী পরিবার হিসেবেই তাঁরা দেখেছেন মুখোপাধ্যায় দম্পতিকে। সাগর মুখোপাধ্যায় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বলেই জানা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

মালদার বামনগোলায় খাটিয়ায় বয়ে নিয়ে যাওয়া বধূ মৃত্যুর অভিযোগে দিনভর শোরগোল

মালদার বামগোলায় তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড়। খাটিয়ায় রোগী নিয়ে যাওয়ার ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দিনভর তোলপাড় হল বাংলা। চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এসবের মধ্যেই ওই তরণীর মর্মান্তির পরিণতি নিয়ে বড় দাবি করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর মতে, হতশ্রী রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যের কারণেই মালডাঙা গ্রামের তরুণীর মৃত্যু হয়েছে!খাটে শুয়ে অসুস্থ গৃহবধূ। আর সেই খাট বাঁশ আর দড়ি দিয়ে পালকির মতো বেঁধে বেহাল রাস্তা দিয়ে হেঁটে নিয়ে যাচ্ছেন অসুস্থ গৃহবধুর পরিবারের লোকেরা। যদিও ওইভাবে হাসপাতালে যাওয়ার সময়ই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভাইরাল ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলার গোবিন্দপুর মহেশপুর পঞ্চায়েতের মালডাঙা গ্রামের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামের এই কাঁচামাটির রাস্তায় কোনও গাড়ি ঢুকতে চায় না। তাই ওই গৃহবধুর পরিবারের লোকেরা মাচা তৈরি করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূকে। কিন্তু শেষমেশ আর তাঁকে বাঁচানো যায়নি।মালদার বামগোলায় তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এসবের মধ্যেই ওই তরণীর মর্মান্তির পরিণতি নিয়ে বড় দাবি করলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর মতে, হতশ্রী রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যের কারণেই মালডাঙা গ্রামের তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।মৃতের নাম মামনি রায় (২০)। দুই বছর আগে এলাকার বাসিন্দা কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মামনির। সম্প্রতি তিনি জ্বরে ভুগছিলেন বলে খবর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করেন। বাড়িতে তাঁর ২ বছরের এক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বেহাল রাস্তার বলি হলেন বছর কুড়ির গৃহবধূ।দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল ওই রাস্তা। প্রশানের কাছে জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গা শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন বলেই দাবি জেলা তৃণমূল নেতাদের।কিন্তু, বামগোলার ঘটনা নিয়ে শোরগোল ফেলা মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দকুল্লা চৌধুরী। শনিবার বর্ধমান শহরে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের যুদ্ধ বিরতি মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রাস্তার কারণে নয়, ভাগ্যে ছিল তাই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। ১০০ জনের মধ্যে ১ জনের অবস্থার ভিত্তিতে বাকি ৯৯ জনকে খারাপ বলব কি করে। হাতে কষ্ট হলে কি বলব মাথা খারাপ হয়েছে? আমাদের বললেই সারিয়ে দিতাম।বামনগোলা নিয়ে সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। এ ধরণের অসংবেদনশীল মানুষই রাজ্যের মন্ত্রী। এবার এসএসকেএম সহ রাজ্যের সব হাসপাতালে তান্ত্রিক, ওঝা বসবে। আসলে বিরোধী জনপ্রতিনিধি হলেই সেই পঞ্চায়েত, পুরসভার ওয়ার্ড বা বিধানসভায় কাজ করার সুযোগ নেই। টাকা অনুমোদনই হয় না। ফলে রাস্তার ওই বেহাল অবস্থা।সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ওনার কথা মুখ্যমন্ত্রী লুফে নেবেন। যাঁরা চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে রয়েছেন মন্ত্রী তাঁদের কাছে গিয়ে বলুন যে ভাগ্যের জন্যই তারা ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি পার্থ, বালুদের বলুন ভাগ্যের কারণেই তাঁদের এই পরিণতি। উনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন ভাগ্য ভাল তাই মমতা এখনও টিঁকে গেছেন। এরা মন্ত্রী বলতে লজ্জা করে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলে গল্প করতে করতেই ঢোলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে, বিজয়ায় বিষাদের ছায়া

বাবার পাশে বসে মোবাইলে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছিলেন। বাবার সঙ্গে মনের গল্পটাও আর শেষ হল না। আচমকা চিৎকার করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন হীরকজ্যোতি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রয়াত যুবক হীরকজ্যোতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহারের সীমান্ত লাগোয়া মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর ছেলে। ৩০ বছরেই নিভে গেল জীবন প্রদীপ। বিধায়কপুত্রের অকাল প্রয়ানে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা মেখলিগঞ্জ শহরজুড়ে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একঘরে বসেই গল্প করার পাশাপাশি মোবাইলে বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও তার একমাত্র পুত্র হীরকজ্যোতি অধিকারী(৩০)। আচমকা চিৎকার করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন হীরকজ্যোতি। হীরকজ্যোতিবাবুকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার দাস জানান, কার্ডিয়াক রেসপিরেটরি ফেলিওর ও ক্রনিক কিডনি ডিজিসে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।ছেলের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, দুজনে গল্প করছিলাম। আচমকাই সব শেষ হয়ে গেল। ছেলেটা চিকিৎসার সময়টুকুও দিল না। হীরকজ্যোতি পেশায় চিকিৎসক। তিনি কুচলিবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুবর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তার মধ্যে রেড ক্রস সোসাইটির মেখলিগঞ্জ মহকুমার সম্পাদক তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই মেখলিগঞ্জ হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমায় হাজারে হাজারে মানুষ। এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা মেখলিগঞ্জ শহর।

অক্টোবর ২৭, ২০২৩
দেশ

সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল সেনা ছাউনি, ২৩ সেনা জওয়ান নিখোঁজ

উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ফেটে যাওয়ার কারণে লাচেন উপত্যকার তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। উপত্যকা বরাবর কিছু সেনা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিস্তারিত নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। চুংথাং বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে নিম্নধারায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জলস্তর হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সিংটমের কাছে বারডাং-এ পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন কর্মী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে এবং কিছু যানবাহণ তলিয়ে গিয়ছে বলে জানা গেছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে রীতিমতো সিকিমে ধ্বংসলীলা চলেছে। নিখোঁজ হয়েছে ২৩ সেনা জওয়ান, চলছে জোর তল্লাশি। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়েছে। সেনা জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ।প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদের উপর হঠাৎ মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেখা দেয়। এ কারণে সিংগামের কাছে বারডাংয়ে পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলি তলিয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে ২৩ জন সেনা কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। তল্লাশি অভিযান চলছে। ঘটনার পর সিকিম সরকার রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে তিস্তা নদীর পাড় থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
কলকাতা

ডেঙ্গুতে সল্টলেকে মৃত্যু, পুরনিগমের খোদ চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডের ঘটনা

সল্টলেকে এবছর প্রথম ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল। সল্টলেকের এই (AE) ব্লকের ৭৯১ নাম্বর বাড়ির বাসিন্দা ৬৬ বছরের পিনাক সরকার। গতকাল রাত ১০ টা ১৫ নাগাদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা রয়েছে সিভিয়ার ডেঙ্গি সিন্ড্রোমের কথা।পরিবার সূত্রে খবর, গত মাসের ২৭ তারিখ পিনাক সরকারের জ্বর আসে। পরের দিন ২৮ অগাস্ট সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর পর কিছু সমস্যার কারণে তাঁকে ১৫ তারিখ ভর্তি করা হয় বাইপাস এর কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ২১ তারিখ রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।খবর পেয়ে আজ সকালে মৃতের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান বিধান নগর পৌর নিগমের চেয়ারম্যান তথা ৩১ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। সেখানে গিয়ে পৌর নিগমের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।সব্যসাচী দত্ত বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে আমার ওয়ার্ডেই আজকে মাঝ বয়সী এবং আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা কিন্তু সব মানুষকেই বারবার করে অনুরোধ করছি আপনাদেরও জানাচ্ছি নিজের বাড়িটা পরিষ্কার রাখুন এবং পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যদি কেউ পরিষ্কার না রাখে দয়া করে অনুরোধ করুন। অনুরোধ কেউ রাখছেন না। এই একটা গলিতে অন্তত ১০-১২ জনের ডেঙ্গু হয়ে গিয়েছে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্টে প্রভিশন আছে আপনার প্রেমিসেসের ভেতরে যেটা রয়েছে সেটা যদি আপনি ক্লিয়ার না করেন এফআইআর করে লিগ্যাল একশন নেওয়া।আসি যায় মাইনে পাই কাজ করলে ওভারটাইম চাই আর বলবো কিছু। কাজ হলে এরকম ভাবে মানুষ মারা যায়? আপনারা ছবি তুলেছেন বাড়ির ভেতরে আবর্জনা আছে সেই আবর্জনা দিনের পর দিন নয়, মাসের পর মাস নয় বছরের পর বছর ধরে আছে। কি করবো আমি? বলেন সব্যসাচী দত্ত।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
কলকাতা

র‍্যাগিংয়ে মৃত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতার, একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ছেলের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও কাটেনি। দোষীদের সাজার দাবিতে সোচ্চার ছাত্রের বাবা মা। এরইমধ্যেই সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ে নিহত পড়ুয়ার মা, বাবা নবান্নে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কথা বলতে বলতে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা। শান্তনা দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে মৃতের মাকে তাঁর বাড়ির কাছে চাকরি এবং ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মৃত ছাত্রের পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, নিহতের স্মৃতিতে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হবে। ওই হাসপাতালেই বসানো হবে তার মূর্তি।গত ৯ আগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে দিয়ে স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে য়ায়। ব়্যাগিংয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালক পড়ুয়ার। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের জেরায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের অনুমান, ব়্যায়গিংয়ের জেরেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।ইউজিসি গাইডলাইন মেনে কেন যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা নেই তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আতসকাচে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভমিকাও। স্টুডেন্টস অফ ডিন ও রেজিস্ট্রারকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজার।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণঃ সাসপেন্ড ফাঁড়ির ওসি, কিসের গবেষণা চলত ইঁটাভাটায়?

এগরার পর দত্তপুকুরের বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সোমবার দত্তপুকুর থানার মৌজপুলে গিয়ে দেখা গেল ধ্বংসস্তুপের মতো পরে রয়েছে বাজি কারখানার বাড়িটি। দমকল বিভাগ এদিন চকোলেট বাজিতে জল দিয়ে ঠান্ডা রাখছিল। কড়া রোদে যদি ফের কোনও ঘটনা ঘটে! এদিকে এদিন বিস্ফোরণ স্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। রাজ্য সরকারের সবুজ বাজি প্রকল্প নেওয়ার পর এই বিস্ফোরণে হতবাক রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এদিনও বিস্ফোরণ স্থল দেখতে ভিড় জমায় মানুষজন। ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য বারে বারে অভিযোগ জানানো সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী মাস-পিটিশন লেখাও হয়েছিল। গ্রামবাসীরা স্বাক্ষরও করেছিল। কিন্তু তা কোনও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনকে দেওয়া হয়নি। তার পরিনতি ঘটল সোমবার।সামনের বাড়িতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ছাদ ও দেওয়াল ছিটকে পড়ছে। তাছাড়া বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল। ঘরের বক্সখাটও ভেঙে গিয়েছে। ঘরে দেওয়ালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আলমারি থেকে ড্রেসিংটেবল ভেঙে খান খান। ঘরবাড়ি তছনছ অবস্থা। ঘটনার সময় ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন তাজমিরা বিবি. তখন বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না.এদিকে এদিন ইঁটভাটা থেকে টেষ্ট টিউব ছাড়াও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে কি ধরনের গবেষণা চলত তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে গ্রামবাসীদের। আদৌ বোমা না আরও ভয়ানক কোনও কান্ড সেখানে ঘটত তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এনআইএয়ের দুই প্রতিনিধি এদিন বিস্ফোরণ এলাকা ঘুরে দেখেন৷ এনআইএ ঘটনার ভয়াবহতা দেখে নিজেরাই উদ্যেগ নিয়ে ছুটে গিয়েছেন। তাঁরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।এদিন সেখানে পৃথক পৃথক ভাবপ গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এদিন দত্তপুকুর কাণ্ডের জেরে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সঞ্জয় বিশ্বাস।

আগস্ট ২৮, ২০২৩
রাজ্য

কলরব হোক পরিবেশ নিয়ে, খোঁজা হোক অসুখের বীজ, মুক্ত চিন্তার আকাশ যাদবপুর ফিরে পাক হৃত গৌরব

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের পাতায়, টি ভি চ্যানেলে ও সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ভেসে উঠছে যাদবপুরের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে র্যাগিংয়ে ছাত্র মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। জনমানসেও ছড়িয়েছে গভীর উদ্বেগ। তুমুল নিন্দা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়ে ওঠা এবং এগিয়ে চলার মধ্যে রয়েছে এক আকাশ সমান ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের ধারক হল রবীন্দ্রনাথের মুক্ত চিন্তার আধারে শিক্ষা দানের পথ নির্দেশ। রয়েছে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের পড়ুয়াদের প্রতি গভীর দায়িত্ববোধ। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু এক অন্ধকার জগতকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারণত তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথম, অধ্যাপক -অধ্যাপিকারা, দ্বিতীয়, পড়ুয়ারা, তৃতীয়, প্রশাসন বিভাগ। এই তিন স্তম্ভের নির্মাণ ইতিহাসে উজ্জ্বল নাম যাদবপুরের প্রথম উপাচার্য ত্রিগুনা সেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ শুরু করার জন্য তিনি ডেকে এনেছিলেন পঁচিশ বছরের এক যুবককে। সেই যুবকের মস্তিষ্কে ছিল রবীন্দ্রনাথের মুক্ত চিন্তার আকাশ। সেই যুবক আজকে নবতিপর বিশ্ববন্দিত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দেড় দশক আগে পর্যন্ত এই ঐতিহ্যের পথে চলা অধ্যাপক অধ্যাপিকারা সংখ্যায় ভারী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংখ্যাটি কমেছে। এখনও যে দু-এক জন রয়েছেন তাঁরা নিভৃতে কর্মজীবনের শেষ প্রহরের জন্য অপেক্ষা করেছেন।আরও পড়ুনঃ যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিপিএমের ছাত্র ইউনিয়নকে নিশানা মমতারপ্রশ্ন উঠেছে যে বিদ্যালয়ের ব্রত তমসো মা জ্যোতির্গময়... সেখানে আজ এই অন্ধকার কেন? অনেকে বলছেন এই অন্ধকারের শুরু নকশাল আন্দোলনের সময় থেকে। সেদিন পরীক্ষা পিছোনোর দাবি না মানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুন হয়েছিলেন উপাচার্য গোপালচন্দ্র সেন। কিন্তু সেদিন অন্ধকারের পাশে আলোও ছিল। সেই সময়ই তো কলকাতার রাজপথে যাদবপুরের এক নকশালপন্থি ছাত্রর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে অধ্যাপক শঙ্খ ঘোষের কলম লিখেছিল, ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়, দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ, তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া? নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই তোমার ছিন্ন শির, তিমির। সেই আলো অন্ধকারের দিনেও জাগ্ৰত ছিল বোধ, তাই বোধহীন রাজনীতির শিকার যখন পিতৃসম এক অধ্যাপক তখন আরেক পিতৃসম অধ্যাপক এক ছাত্রের ছিন্নশির কোলে তুলে নেন পরম মমতায়।কয়েক বছর আগে যাদবপুর থেকে পাশ করে বেরোনো বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সম্পর্কের এই রসায়ন প্রায় শুন্যে এসে ঠেকেছে। আর এর মধ্যেই রয়েছে যাদবপুরের অসুখের বীজ। প্রাক্তনদের মতে এই অসুখ শুধু হোস্টেলের মধ্যেই ছড়িয়েছে তা নয়, গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ই তা ছড়িয়ে পড়েছে।পেশাগত কারণে তিন দশক ধরে রাজ্যের ছাত্র রাজনীতিকে খুব কাছ থেকে দেখছি। বাম আমলে যখন রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ক্ষমতায়ন সম্পুর্ন তখনও যাদবপুরের ছবিটা ছিল ভিন্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে এসএফআইয়ের দাপট থাকলেও বাকি বিভাগ গুলোতে তারা ছিল সংখ্যালঘু। যাদবপুরের সবচেয়ে বড় বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছাত্র সংসদ FETSU নির্বাচনে প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে জিতে আসছে Democratic Student Federation। এই সংগঠন বামপন্থী হলেও কোনো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের অনুগামী নয়। We the Independent বা WTI এই ছাত্র সংগঠন তিন দশক ধরে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদ। SFSU য়ের নির্বাচনে জিতে আসছে। এরাও কোনো রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠন নয়। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ AFSU তে নির্বাচনে এসএফআই অতীতে দীর্ঘকাল জিতেছে। মাঝে মাঝে ছাত্রর সংসদের নির্বাচনে জিতেছিল বামপন্থী সংগঠন AISA । তবে ২০০৫ সালে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে তৈরি হয় Forum for Arts Students বা FAS, এই সংগঠনের মধ্যে রয়েছে Radical Left ছাড়াও বিভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী পড়ুয়া। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট নকশাল পন্থি সংগঠন।আরও পড়ুনঃ র্যাগিং কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মমতা বড় দায়িত্ব দিলেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যাকেঅনেকেই বলছেন যাদবপুর মানেই রাজনীতির আখড়া। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক লক্ষ। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে উত্তাল বাংলায় এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়। জাতীয়তাবাদী নেতা অরবিন্দ ঘোষ, সতীশ চন্দ্র মুখার্জি এবং রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক প্রতিষ্ঠা করেন কাউন্সিল অফ এডুকেশন। ভারতীয় পড়ুয়াদের জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় উচ্চ মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিতেই এই প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। ১৯৫৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। তাই জন্মলগ্ন থেকেই যাদবপুরের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে ধারাবাহিকতা রয়েছে। ছয়ের দশকে বাংলায় উত্তাল ছাত্র আন্দোলন ও সত্তরের নকশালবাড়ি আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিল যাদবপুর সিঙ্গুর-নন্দীগ্ৰাম যাদবপুরের পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছিল। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে হোক কলরব আন্দোলন দেখেছে যাদবপুর।বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কোন একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন জেতেনি। বিভিন্ন বিভাগে নির্বাচনে বিভিন্ন দল জেতায় হস্টেল থেকে শুরু করে বিভাগীয় অলিন্দে ক্ষমতাও ভাগাভাগি হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি এই আবহের মধ্যে র্যাগিংয়ের মত কদর্য প্রথা যে অঞ্চলে যে ছাত্রর সংগঠনে ক্ষমতা রয়েছে সে সেখানে র্যাগিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা জাহির করেছে। তাই নানান বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও র্যাগিং আটকাতে কতৃপক্ষ কড়া হলেই সব সংগঠনই বাধা দিয়ে এসেছে। বহু প্রাক্তনীর মতে গত দেড় দশকে শুধু হস্টেলে নয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও অনেকেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি Indian Express য়ে যাদবপুরের এমেরিটা অধ্যাপক সুপ্রিয়া চৌধুরী লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২০০৯ সালে নতুন পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যাবস্থা করা হয়। সেই সময় এর বিরুদ্ধে সব ছাত্র সংগঠন ই প্রতিবাদে নামে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে Anti Ragging Committee মাঝরাতে হস্টেলে হস্টেলে নজরদারি চালায়। নজরদারি চালিয়ে ২০১৩ সালে দুই ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে দুটি সেমেস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু, অভিযুক্তদের বাঁচাতে পড়ুয়ারা উপাচার্য সৌভিক ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করেন। কোনো ছাত্র সংগঠনই এর প্রতিবাদ করেনি। এমনকি Dean ও শাস্তির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে বলেন। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য পদত্যাগ করেন।প্রাক্তন অধ্যাপিকার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যাদবপুরের র্যাগিংয়ের শিকড় অনেক গভীরে। আর এই অপরাধ চলার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পক্ষই দায় এড়াতে পারে না। এই কলুষিত পরিবেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করতে হবে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে যে ভাবে একপেশে সমালোচনা চলছে সেটাও বন্ধ হওয়া উচিৎ। শিক্ষাক্ষেত্রে যাদবপুর যে উৎকর্ষতা ছুঁয়েছে তাকেও স্বীকার করতে হবে এবং রক্ষা করতে হবে। ২০২২ সালে National Institutional Ranking Framework (NIRF) য়ের সমীক্ষায় এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থানে ছিল যাদবপুর। গোটা দেশের মধ্যে ছিল চতুর্থ স্থানে। চলতি বছরেও NIRF য়ের তালিকায় দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছে যাদবপুর। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও দেশের নটি আইআইটির পরে। সম্প্রতি ইসরোর চন্দ্রায়ন team য়েও যাদবপুরের একাধিক অধ্যাপক ও গবেষক বিজ্ঞানী রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ যাদবপুর কাণ্ড: সমস্ত জায়গায় সিসি টিভির সিদ্ধান্ত ঝুলে, তবে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ ঘোষণাযে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই গবেষণার মান উচ্চ পর্যায়ের না হলে উৎকর্ষতা ছুঁতে পারে না। উচ্চমানের গবেষণার জন্য অর্থের প্রয়োজন। অথচ ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় অনুদান প্রায় বন্ধ রয়েছে। রাস্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ পায়নি এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নীতি আয়োগ থেকে অর্থ আসার কথা Special Assistance Program খাতে যে কেন্দ্রীয় অর্থ আসার কথা তাও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত ছবছর ধরে Major Research Project প্রকল্পে UGC অনুদান দেওয়া বন্ধ রেখেছে। ২০১৯ সালে UGC যাদবপুরকে দেশের Institutes of Eminence য়ের তালিকায় রাখে। এরফলে পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার কথা ছিল। এই অনুদানের চল্লিশ শতাংশ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা না দেওয়ায় UGC যাদবপুরের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা বাজেটেও যাদবপুরের জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য বছরে ৫৫-৬০কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে চলতি বছরে যাদবপুরের জন্য রাজ্যের বরাদ্দ ২৫ কোটি টাকা। যাদবপুরের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে আর্থিক ভাবে দুর্বল মেধাবী পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ও বিপন্ন হবে। যাদবপুরের কলা বিভাগের পড়ুয়াদের মাসিক বেতন ৭৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ১৫০ টাকা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২০০ টাকা। হস্টেলে থাকার মাসিক খরচ ২৫ টাকা। এই কারণে গ্ৰাম, মফস্বল ও শহরে আর্থিক ভাবে দুর্বল মেধাবী পড়ুয়ারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে দেশে বিদেশে নামি দামী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। অনেকে দেশ বিদেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করছেন অথবা পড়াচ্ছেন। এই আকালের সময় এমন একটি শিক্ষা কেন্দ্রকে টিঁকিয়ে রাখাও সামাজিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই কাঠ কাটতে গিয়ে গোটা গাছটা কেটে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

আগস্ট ২৫, ২০২৩
দেশ

মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনের চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি অধীরের

মিজোরামের দুর্ঘটনায় মালদার শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ফোনে পাননি, কিন্তু রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। অসহায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে যে করেই হোক সবাইকে একসঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, বলেন বহরমপুরের সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদায় মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন চাঁচল মহকুমার পুখুরিয়া থানার কোকলামারী চৌদুয়ারি গ্রামে যান সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই গ্রাম থেকেই ১৬ জন শ্রমিক মিজোরামের কাজ করতে গিয়ে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। মিজোরামের রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মালদার মোট ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে চৌদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও ইংরেজবাজার ব্লকের সাটটারি এবং নরহাট্টা গ্রামেরও শ্রমিকরাও রয়েছেন।এদিন চৌদুয়ারি গ্রামের মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, মিজোরাম সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই সামান্য টাকায় ওইসব মৃত শ্রমিকদের পরিবারের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। আমি ওইসব পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, ওরা খুব অসহায়। ওদের পাশে কেউ নেই। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁকে পাইনি। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বলেছি মৃত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মৃত শ্রমিকদের পরিবারের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।

আগস্ট ২৪, ২০২৩
কলকাতা

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিপিএমের ছাত্র ইউনিয়নকে নিশানা মমতার

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু ইস্যুতে সিপিএমকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যাদবপুরের সিপিএম অনুমোদিত ইউনিয়নকে আক্রমণ করেন। সমালোচনা করেন সিপিএম এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির। সম্প্রতি যাদবপুরে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। যাদবপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। বিভিন্ন সংগঠন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটছে হাতাহাতি, সংঘর্ষের ঘটনা।সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুর নিয়ে আগে আমরা গর্ববোধ করতাম। যাদবপুরে কীভাবে একটা ছাত্রকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল। এরা জীবনে বদলাবে না। এত রক্ত নিয়েও এরা বদলায়নি। বছরের পর বছর রক্ত নিয়ে খেলেও এদের শান্তি নেই।সভায় সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। ডাক দেন, বিজেপি হঠাও ইন্ডিয়া বাঁচাও। কংগ্রেস বা সিপিএম তাঁকে যতই বিজেপিপন্থী বলুক না-কেন, গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাকে ভাতে মারতে চায় মোদী সরকার। একদলের সরকারের নীতি চলবে না। আমরা সকলের উন্নতির পক্ষে। মোদী সরকার আর ৬ মাস থাকবে। আর একটু ৬ মাস কষ্ট করতে হবে আপনাদের, তারপর সব ম্যানেজ করে নেব।২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে জোটে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসও। কিন্তু, তারপরও জোটসঙ্গী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে সোমবারের বক্তব্যে রেয়াত করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির সঙ্গে তিনি এই দুই সর্বভারতীয় জোটসঙ্গী দলকেও এক আসনে নিশানায় রেখে বুঝিয়ে দেন, জোট শুধু সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। রাজ্যে তৃণমূল আছে তাদের একলা চলো নীতিতেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একসঙ্গে বোর্ড গঠন করছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। হিংসা লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।

আগস্ট ২১, ২০২৩
কলকাতা

যাদবপুর কাণ্ড: সমস্ত জায়গায় সিসি টিভির সিদ্ধান্ত ঝুলে, তবে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা

যাদবপুরের মেন হস্টেলে সিসি ক্যামেরা নেই। এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ছাত্র মৃত্যুর পর সিসি ক্যামেরা নেই কেন তা নিয়ে বারেবারে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর এক সপ্তাহের বেশে অতিক্রান্ত হলেও কোন হেলদোল নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তবে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। আপাতত শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এদিনের সিদ্ধান্ত, রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যেসব দু-চাকা বা চার-চাকা প্রবেশ করবে সেগুলোতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্টিকার তাকাও বাধ্যতামূলক। চালকদেরও কাছে থাকতে হবে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়ার সময় ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে, ক্যাম্পাসে প্রবেশে কেন ২৪ ঘন্টা ক্যামেরায় নজরদারি থাকবে না তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।কেন হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, হস্টেলে রেজিস্টার খাতা বা লগ বুক থাকছে। হস্টেলের গেটে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে বসানো হবে সিসিটিভি। এ ব্যাপারে সিসিটিভি-র সংস্থার সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।অন্যদিকে যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্র-মৃত্যুর তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে।

আগস্ট ১৭, ২০২৩
কলকাতা

খাস কলকাতায় মদের দোকানে পিটিয়ে খুন, রণক্ষেত্র ঢাকুরিয়া

পঞ্চায়েত ভোটের জেরে এখনও রাজ্যজুড়ে খুনের পালা চলছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য়। তারই মাঝে রবিবার খাস কলকাতায় মদের দোকানে পিটিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। দোকানের সিসি টিভি ফুটেজে সেই রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে। মৃত ব্য়ক্তির নাম সুশান্ত মন্ডল। পেশায় গাড়িচালক। ঢাকুরিয়ার পঞ্চানন তলার বাসিন্দা। এই ঘটনার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। দোকান ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে এই খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জুলাই ৩০, ২০২৩
রাজ্য

নারায়ণপুর শুট আউটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই, কেন গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণপুর থানা এলাকায় শুটআউট কাণ্ডে মূল পাডাসহ দুজন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম সুজয় দাস (নারায়ণ পুর ) ও বিক্রম মাহাত (ইছাপুর )। আজ দুপুরে নারায়ণ পুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামীকাল তাঁদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।গতকাল সন্ধ্যায় দেবজ্যোতি ঘোষ (টাক বাবাই ) প্যারোলে ছাড়া পেয়ে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় নারায়ণপুর ফায়ার ব্রিগেড মোড়ের কাছে দুটি বাইকে করে চারজন যুবক এসে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এলোপাথারি গুলি চালায়। সেই গুলিতে মৃত্যু হয় দেবজ্যোতি ঘোষ (টাক বাবাই)-এর। এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দেবজ্যোতি ঘোষের গাড়ির চালোককে। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুজয় দাস ও বিক্রম মাহাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে খুনের কথা।জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই সুজয় এক সময় দেবজ্যোতির ঘনিষ্ট সাকরেদ ছিল। বিভিন্ন অসামাজিক কাজের টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে আলাদা হয়ে যায়। তীব্র ক্ষোভ ছিল দেবজ্যোতির ওপর। দীর্ঘদিন ধরে খুন করার ছক কষছিল। নির্জন জায়গা খুঁজছিলো। সেই মত তারা দেবজ্যোতির ওপর নজর রাখছিল। তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে বেলায় নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে যাবে দেবজ্যোতি। এবং থানার কাছেই একটি নির্জন অন্ধকার জায়গা রয়েছে। সেই মত সেখানে গাড়ি পৌঁছতেই গাড়ি আটকায় সুজয়, বিক্রম ও সঙ্গে থাকা আরও দুজন। গাড়ি দাঁড়াতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয়।বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুজয়ের নাম জানতে পারে। এর পরই নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে সুজয় ও বিক্রমকে আজ দুপুরে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

জুলাই ২১, ২০২৩
রাজ্য

লেখিকা প্রজ্ঞাদীপা হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যু, লিভ-ইন সঙ্গী গ্রেফতার

চিকিৎসক এবং লেখিকা প্রজ্ঞাদীপা হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় লিভ-ইন সঙ্গী কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, প্রজ্ঞাদীপার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন কৌশিক। তিনি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই অসুস্থতার নাটক করেছিলেন সেনা চিকিৎসক কৌশিক।ডিভোর্সের পর ভারতীয় সেনা ডাক্তারের সাথে মেয়ে লিভ টুগেদার থাকতো ব্যারাকপুরে, সেখানেই মৃত্যু। বলা হচ্ছে আত্মহত্যা, কিন্তু মা এর অভিযোগ তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।প্রজ্ঞাদীপা হালদারের প্রথম ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকে না, ডিভোর্স হয়ে যায় । এর পর ব্যারাকপুরে সেনা হাসপাতালে কর্মারত কৌশিক সর্বাধিকারীর সাথে সম্পর্ক হয়। প্রজ্ঞাদীপা ও পেশায় একজন চিকিৎসক। বারাসত ব্লক ১ এর অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। কোশিক বাবুর সাথে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে ব্যারাকপুরেই থাকতো। মধ্যরাতে প্রজ্ঞাদিপার মায়ের কাছে ফোন আসে মেয়ে সেনা হাসপাতালে রয়েছে।সূত্রের খবর, শরীরে এবং মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রজ্ঞা দীপা যেখানে থাকতো, সেখানে সিলিং ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট এলেই পরিস্কার হবে। মা ঝর্ণা দেবী গোটা ঘটনাটি ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী পুলিশ কৌশিক সর্বাধিকারী কে গ্রেফতার করেছে। আজ তাকে বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে দশদিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে।

জুন ২৩, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতে অশান্তি: অতর্কিতে চলল গুলি, চোপড়ায় প্রাণ ঝরল সিপিএম প্রার্থীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনেও অশান্তি চরমে। গুলিতে প্রাণ ঝরল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম প্রার্থীর। বৃহস্পতিবার মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী ও কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বিডিও অফিসে ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও কর্মী। তাঁদের মধ্যেই এক সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলিচালনার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।গত কয়েক দিন ধরেই মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং। বোমার ফুলঝুড়ি দেখেছে রাজ্যবাসী। চোপড়াতেও আশঙ্কা ছিলই। এদিন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন একসঙ্গে মিছিল করে চোপড়া বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী এবং কর্মীরা। রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর বিডিও অফিসের বেশ কিছুটা আগে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড। অতর্কিতে ছুটে আসা গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের, বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কয়েকজন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনার সময় কোনও পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতেও মনোনয়ন জমা দিতে বদ্ধপরিকর বাম-কংগ্রেস।

জুন ১৫, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভারের কাজে নিয়ুক্তদের

আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। কয়েক মাস বাদে বিহার বিধানসভা ভোট। চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এরই মধ্যে বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের। তাঁদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন একধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন।এর পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন। ২৪ জুলাই প্রকাশিত নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পুরনো নির্দেশ বাতিল করে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হচ্ছে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে হবে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal