• ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Damodar

রাজ্য

দামোদরে ইলিশ! খুশির হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে। এবার কি নিয়মিত পাওয়া যাবে? প্রশ্ন মুখে মুখে

দক্ষিণবঙ্গে খুশির হাওয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরে জেলের জালে ধরা দিলো রুপালী সুন্দরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে দামোদরে এক জেলের জালে উঠলো প্রায় ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রায় ২০ বছর পর জামালপুরের দামোদরে ধরা পড়লো ইলিশ। দামোদরের জলে পাওয়া রূপালী সুন্দরীকে দেখতে স্থানীয় মানুশের ভিড় জমে যায়। কোন পথে জামালপুরে ইলিশ দামোদরে পৌছলো তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলে। নোনা জলের কুলীন মাছ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে কোন পথে এল? কেউ কেউ জানাচ্ছেন জামালপুরে থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় জল প্রবাহ বেশী হওয়ায় ইলিশের গতিপথ হয়ত সুগম হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে প্রবাহিত দামোদর তার গতিপথ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে জ্যোতসিরাম থেকে পরিবর্তন করে এবং তারপরে দুটি চ্যানেলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দামোদর চ্যানেল (আমতা চ্যানেল নামেও পরিচিত) এবং অপরটি কঙ্কা-মুন্ডেশ্বরী চ্যানেল। মূল চ্যানেলটি শেষ পর্যন্ত হুগলি নদীর (গঙ্গা) সাথে মিলিত হয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।বিশিষ্ট মৎস্য চাষী বৃন্দাবন ঘোষ জানান, যেহেতু গঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে সেক্ষেত্রে বর্ধমান জেলায় দামোদরে ইলিশ পাওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। গলসি এলাকার দামোদরের পাড়ের বাসিন্দা শিল্পী সুব্রত বৈরাগি জনতার কথাকে জানান, এই এলাকার অনেক জেলে আছেন যারা নিয়মিত ভাবে দামোদরের জলে মাছ ধরে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দামোদরে ইলিশ পেয়েছেন তবে তার কোনটায় ৪৫০-৬০০ গ্রামের বেশী নয়। সুব্রত আরো জানান, তবে নিয়মিত ভাবে ইলিশ এখানে পাওয়া যায় না।হটাৎ হাজির হওয়া অতথি কে দেখতে শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে যায়। দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে ব্যাপক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। মাছ সবসময় স্রোতের বিপরীতে ভেসে বেড়ায়। এখন জামালপুরে ইলিশ ধরার পড়ায় মনে করা হচ্ছে দূর্গাপুরের ডিভিসি-র ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে মোহনা থেকে স্রোতে বিপরীতে ভাসতে ভাসতে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। ইলিশটি ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই খবরে খুশির হাওয়া জামালপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে, খবর চাউর হতেই অনেকেই জাল হাতে নিয়ে দামোদরের পাড়ে হাজির হয়ে পরেন। যদি তার শিকে ছেঁড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশটিকে কিনতে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাছের আড়তে নিলাম ডাকেন আড়তদার। ১২০০ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়, শেষমেশ ২১০০ টাকায় কেজিতে এসে থামে ডাক। জানাযায় জামালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ওই মাছটি ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। গর্বিত ক্রেতা লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাই টাকার কথা মাথায় ছিলনা। তায় ২,১০০ টাকায় মাছটি কিনে ফেললাম।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা জানান, জামালপুর এলাকায় এর আগেও মাছ পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। দীর্ঘ ২০ বছর পরে দামোদরের জলে ইলিশ ওঠায় এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। জামালপুর ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (FEO) নিত্যানন্দ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, আমি শুনেছি উত্তর মোহনপুর এলাকার মৎস্যজীবী তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। জামালপুরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে মাছের আড়তের আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আড়তদার প্রভাত পাত্র বলেন, ভরা বর্ষায় নোনা জল থেকে উঠে এসে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে ইলিস। সেই ভাবেই হয়তো ইলিসটি এসেছিল, এবং কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ধরা পড়ল। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রভাত সহ স্থানীয় মৎস ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ইলিশ হল ঝাঁকের মাছ। একটি যখন ধরা পড়েছে তখন আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে। সেই আশায় দক্ষিণবঙ্গের মৎসপ্রেমী রা।

অক্টোবর ০৫, ২০২৪
রাজ্য

বোরো ও রবি চাষে ডিভিসি-র জল কবে থেকে কতটা এবং কত দিন ধরে দেওয়া হবে জেনে নিন

আগামী বোরো ও রবির মরশুমে ডিভিসির জল বন্টন করা নিয়ে সোমবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল বর্ধমান জেলা সার্কিট হাউসে। ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। এই বৈঠকে পাঁচটি জেলার আধিকারিকরা অংশ নেন। এছাড়াও কৃষি দপ্তর ও ডিভিসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে বোরো চাষে জল দেওয়া শুরু হবে। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রবিচাষের জল দেওয়া। বিজয় ভারতী জানান, এবারে মোট ২.৩৫ লক্ষ একর ফিট জল পাওয়া যাবে। গত মরশুমে এই পরিমাণ ছিল ৩.৩০ লাখ একর। গতবারের চেয়ে এবারে প্রায় ১০ শতাংশ এলাকায় কম জল মিলবে। এই পরিমাণ গতবারের চেয়ে কিঞ্চিৎ কম হলেও তাতে তেমন বড় অসুবিধা হবে না বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তিনি জানান, পশ্চিম বর্ধমানে ১৬৫০ একর ফিট; বাকুড়ায় ১০০০০ একর ফিট, হুগলী জেলায় ২০০০০ একর ফিট এবং হাওড়া জেলায় ২৮০০ একরে জল দেওয়া হবে।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতীর নেতৃত্বে আজ আগামী বোরো ও রবি চাষের জন্য জেলায় কবে থেকে কতটা জল ছাড়া তার সিদ্ধান্ত হলো। তিনি জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৪৭৫৫০ একর ফিট জল দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ১লা ডিসেম্বর সভাধিপতি পক্ষ থেকে একটা মিটিং আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে কোন কোন ক্যানালে কবে কতটা জল ছাড়া হবে। তিনি জানান, ২৬ ডিসেম্বর যে জল ছাড়া হবে তা ২৮ ডিসেম্বর নাগাদ পূর্ব বর্ধমানে এসে পৌছাবে। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি থেকে রবি চাষের যে জল দেওয়া হবে তা শেষ হবে ৩০ এপ্রিল। জানা গেছে বোরো চাষে ১০ দিন অন্তর মোট ৫ বার জল দেওয়া হবে। রবিতে দেওয়া হবে মোট ৩ বার।

নভেম্বর ২৮, ২০২২
উৎসব

পুজো বললেও! এই পুজোতে পুরোহিত লাগেনা, দক্ষিণবঙ্গে মহাসমারোহে শুরু ছট পুজো

ছট পুজোর আরাধ্য দেবতা সূর্য। এই পুজোয় মূলত সূর্য দেবতার আরাধনা করা হয়। অন্যান্য পুজোর মতো কোনও দেবতার মুর্তী সচারচর দেখা যায় না এও পুজোয়। মুর্তী সামনে রেখে তাঁর অস্তিত্ব কল্পনা করেই পুজো হয়। কিন্তু এ পুজোই কল্পনার কোনও স্থান নেই, আসলে প্রয়োজনই নেই। কারন, স্বয়ং সূর্য দেবতাকে চোখের সামনে দেখেই এই পুজো করা হয়।সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন, এত বড় পুজো কিন্তু কোনও পৌরহিত্য নেই। হিন্দু ধর্মের যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা ব্রত উদযাপনের সময় দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা নিবেদনের জন্য ব্রাহ্মণ বা পূজারির মাধ্যম প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই ছট ব্রতধারীরা নিজেরাই মন্ত্রোচ্চারণ করে সূর্যদেবতার কাছে অর্ঘ্য প্রদান করেন। এই ব্রতটি পুরোপুরি লৌকিক। মুল অর্থে এই ছট আসলে প্রকৃতির পুজো। জল, বাতাস ও প্রকৃতি বন্দনা করে এই পুজো করা হয়। ছটপুজোর পিছনে এই মতাদর্শ কাজ করে বলেই হয়ত এই পুজোয় ব্রাহ্মণ বা পুরোহিতের উপস্থিতি আবশ্যিক ততটা নয়। অবশ্যই কেউ কেউ যদি মনে করেন, তিনি পৌরহিত্যের উপস্থিতিতে বা ব্রাহ্মণের মাধ্যমেই ব্রত উদযাপন করতে পারেন। ছট পুজো উপলক্ষ্যে বর্ধমান শহর সংলগ্ন দামোদর নদের বিভিন্ন ঘাটে অসংখ্য মানুষের জমায়েত হল আজ। রবিবার বিকাল থেকেই সদরঘাট ও অন্যান্য এলাকায় ঘাট গুলিতে পুজো উপলক্ষ্যে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। ঘাট গুলিতে ভিড় সামাল দিতে ও কোনও রকমের দুর্ঘটনা এড়াতে বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার অন্তর্গত ১৬ টি ঘাট রয়েছে যেখানে ছটপুজোয় পুণ্যার্থীদের জন্য পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। মূলত, দামোদর নদ ও বাঁকা নদীতে ঘাট গুলি রয়েছে। এছাড়া, পঞ্চায়েত এলাকা গুলিতেও বেশ কয়েকটি ঘটে পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।বর্ধমানের সদরঘাট এলাকা ছট পুজো উপলক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া শহরের ভিতরের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ৪০০ পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকা গুলিতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে। রবিবার বিকালে ৩ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ও সোমবার সকাল ভোর ৪ টে থেকে সকল ৮ টা পর্যন্ত শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে।

অক্টোবর ৩০, ২০২২
রাজ্য

দামোদরের ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাওয়া তরুণের দেহ উদ্ধার

অবশেষে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হল দামোদরের ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাওয়া তরুণের দেহ। প্রায় একদিন পরে তার দেহ মিলল। নিহত তরুণের নাম সৌরশুভ্র সাঁই। বাড়ি কালনাগেটের কাছে আমতলায়।এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই নিয়ে গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটল আপাত শান্ত দামোদরে তলিয়ে গিয়ে।জানা গেছে; গতকাল বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সাথে দামোদরের চরমানায় বেড়াতে দিয়েছিল সৌরশুভ্র। সেখানে খেলতে খেলতেই সে জলে তলিয়ে যায়। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা সে নদীর কোন দয়ে পড়ে আর উঠতে পারেনি।গতকাল থেকে নানাভাবে সন্ধান করেও দেহ মেলেনি। ডিজাস্টের ম্যানেজমেন্ট ; কুইক রেসপন্স টিম সহ স্থানীয় মানুষেরা উদ্ধারের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করে অবশেষে দেহ উদ্ধার করতে পারে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

দামোদরের জলস্তর হটাৎ বৃদ্ধি হওয়ায়, অল্পের জন্য প্রান বাঁচল দুই যুবকের

দামোদর নদের জল হটাৎ বাড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো দুই যুবক। ঘটনা টি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকের হিজলনার বামুনিয়া ফেরিঘাটে। বেশ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে দামোদর নদের। কিন্তু শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই জলস্তর বেড়ে যায়। ফেরিঘাট পারাপারের সময় বাঁশের অস্থায়ী সেতু জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ার কারণেই ঘটে বিপত্তি। তিন কিলোমিটার মোটরবাইক নিয়ে ভাসমান অবস্থায় যাওয়ার পর, ফেরি ঘাটের মালিক ও স্থানীয় মানুষজন নৌকা নিয়ে ওই দুই যুবককে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চঞ্চল্য ছড়ায়।উল্লেখ্য প্রতি বছরই বর্ষার আগেই এই আস্থায়ী সেতু গুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় ফেরী ঘাট গুলিকে, আবার অক্টোবরের শেষের দিকে সরকারি অনুমতি নিয়ে সেতু গুলি পুনঃনির্মান করা হয়। এখন স্থানীয় মানুষজনের প্রশ্ন স্ম্যসীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেতু চালু ছিলো কি করে? দামোদর ভ্যালী কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার আগে দামোদর উপকুলবর্তি সকল ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিকে নোটিশ করে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে দায়িত্বে অবহেলাকেই প্রথমিক কারন হিসাবে ধরা হচ্ছে।

আগস্ট ২১, ২০২২
রাজ্য

দামোদরে নবম শ্রেণীর ছাত্রের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য, এলাকায় শোকের ছায়া

দামোদর নদের জল থেকে এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে। ছেলের মৃত্যুর জন্য বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুললো মৃতের পরিবার। মৃত ছাত্রের নাম আবিদ হোসেন(১৪)। বর্ধমান সি এম এস স্কুলের নবম শ্রেণীতে পাঠরত ওই ছাত্রের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায়।পরিবারের অভিযোগ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধুরা ফোন করে আবিদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। চার বন্ধু মিলে বাইক নিয়ে দামোদরের শম্ভুপুর এলাকায় ঘুরতে যায়। তারপর থেকে আবিদ আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে বৃহস্পতিবারই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। শুক্রবার দামোদরের জল থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ। শক্তিগড় থানার পুলিশ দামোদরের জল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এত কিছুর পরেও বন্ধুরা বিভ্রান্ত মূলক কথা বলায় আবিদের পরিবার দাবি করছে বন্ধুরাই আবিদকে প্রাণে মেরে দামোদরের জলে ফেলে দিয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।

আগস্ট ১৯, ২০২২
রাজ্য

নৌকা উল্টে দুই যুবক নিখোঁজ, তল্লাসিতে ডুবুরি নামলো দামোদরে

নৌকা উল্টে দামোদর নদে তলিয়ে যায় চার যুবক। দুজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি দুজন নিখোঁজ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জ্যোতশ্রীরাম পঞ্চায়েতের জ্যোতচাঁদ ঘাট এলাকায়। নিখোঁজ দুই যুবকের খোঁজ চলছে দামোদরে। বিপর্বয় মোকাবিলা দপ্তরের ২৫ জনের টিম সহ ডুবুরি খোঁজ চালাচ্ছে। রয়েছে জামালপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরাও। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম সৌগত বেরা ও সৈকত মান্না। প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সমরেশ বাগ, সৌরভ ধারা। নিখোঁজ সৈকত মান্না ব্যাঙ্গালোরের একটি কলেজের প্যারামেডিকেলের ছাত্র আর সৌগত বেরা কলেজ ছাত্র। চারজনেই জ্যোতচাঁদ এলাকার বাসিন্দা।শনিবার সন্ধ্যার পরে চারজন বন্ধু মিলে দামোদর নদে পানসি নৌকা চেপে বেড়াতে বের হন। নিজেরাই ছোট্ট নৌকাটি চালাচ্ছিলেন। জ্যোতচাঁদ ঘাট সংলগ্ন পাইকপাড়ায় হঠাৎ করেই পানসি নৌকাটি উল্টে যায়। তলিয়ে যায় দামোদরে চারজন। দুজন কোনওরকমে রক্ষা পেলেও বাকি দুজনের খোঁজ মেলেনি। বর্ষার মরশুমে ও দুদিনের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে দামোদরে। স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর দাস বলেন, দামোদরের শাখানদী মুণ্ডেশ্বরী নদীতে খনন কাজ চলছে। চার বন্ধু পানসি নৌকা নিয়ে নদীর খনন কাজ দেখতে যায়। কিন্তু নৌকায় জল ঢুকে নৌকা উল্টে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে বেলে তিনি জানান।

আগস্ট ১৪, ২০২২
রাজ্য

গ্রাম বাঁচাতে অবৈধ বালি খাদান বন্ধের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের

অন্ধকার নামলেই শুরু হয়ে যায় দামোদরের পাড় লাগোয়া চর থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে পাচার। তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার শম্ভুপুর এলাকার দামোদরের পাড়ের বোল্ডার পিচিং। এই ঘটনা দেখে গ্রাম বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা ঘটনা নিয়ে গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ পত্র ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পঠিয়েছেন। পাশাপাশি জেলাশাসকের দফতরেও জমা দিয়েছেন অভিযোগ পত্র। মুখ্যমন্ত্রী কি ব্যবস্থা নেন সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, এত কিছুর পরেও যদি নদি পাড়ের বোল্ডার পিচিংয়ের ক্ষতি করে বালি তোলা বন্ধ না হয় তবে তা রুখতেই নিজেরাই আশরে নামবেন। জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম শম্ভুপুর। এই গ্রামেের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। পূর্বে নদি পাড়ের ভাঙনে এলাকার অনেক চাষির জমি নদি গর্ভে চলে যায়। বিপন্ন হতে বসে শম্ভুপুর গ্রামের একটা বড় অংশ।বিপর্যয়ের হাত থেকে শম্ভুপুর গ্রামকে বাঁচাতে দামোদর পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বোল্ডার দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। তার পরথেকে শম্ভুপুর গ্রামের মানুষজন স্বস্তিতেই ছিলেন।কিন্তু সম্প্রতি গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম ফের কেড়ে নিয়েছে অসাধু বালি কারবারী।গ্রামবাসীরা ওই বালিকারবারীদের বিরুদ্ধেই এখন রুখে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীরা লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এক বালি কারবারী বর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুলের গোপালপুর মৌজায় বালি খাদানের লিজ পেয়েছেন। সেই খাদান থেকে বালি লোড হওয়া ট্রাক ও ডাম্পারগুলির গোপালপুর মৌজার ঘাট দিয়েই যাবার কথা। কিন্তু তা না করে ওই বালি কারবারী জামালপুর ব্লকের শম্ভুপুরে অবৈধ ভাবে নদির বাঁধ কেটে গাড়ি যাতায়াতের ঘাট চালু করেছে। এমনকি সন্ধ্যা নামলেই ওই বালি কারবারীর লোকজন জেসিবি মেশিন নিয়ে গোপালপুর থেকে শম্ভুপুর মৌজা এলাকায় চলে আসছে। এরপর তারাই শম্ভুপুর এলাকার দামোদর পাড়ের বোল্ডার পিচিং লাগোয়া চর থেকে দেদার বালি তুলে নিয়ে ট্রাকে ও ডাম্পারে লোড করে পাচার করাচ্ছে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, গ্রীন ট্রাইব্যুনালের রায়কে সম্পূর্ণ ভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই শম্ভুপুর এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। একারণে শম্ভুপুর গ্রামে দামোদর পাড়ের বোল্ডার পিচিং মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।বোল্ডার পিচিং ধসে পড়লে শম্ভুপুর গ্রাম ফের দামোদরের গ্রামের মুখে পড়ে বিপন্ন হবে বলে গ্রামবাসীরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন অতিমাত্রায় ওভারলোড বালির লরি ও ডাম্বার এই এলাকা দিয়ে গিয়ে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাবার নবনির্মিত পিচ রাস্তা। এই বিষয়েটি নিয়ে খুব শীঘ্রই তাঁরা রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে অমূলক নয় তা ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিকদের কথাতেই এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভূমি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুপুর এলাকা দিয়ে বালির গাড়ি নিয়ে যাবার জন্য যে ঘাট করা হয়েছে সেটি অবৈধ ভাবেই করা হয়েছে। সেই কারণে ভূমি দফতর জামালপুর থানায় এফআইআর করেছে।এছাড়াও জামালপুরের জোড়বাঁধ ও সেলিমাবাদ মৌজা এলাকায় অবৈধ খাদান খোলার অভিযোগ পেয়ে ভূমি দফতর তা নিয়েও এফআইআর করেছে। যদিও এই দুই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এফআইআর যাই হোক না কোন, সন্ধ্যায় পর থেকে ভোর পর্যন্ত এই দুই এলাকার অবৈধ খাদান থেকে নিত্যদিন বালি লুঠ চলেই যাচ্ছে। বালি লুঠ বন্ধের কোন ব্যবস্থাও হয়নি । জানা গিয়েছে, শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের আনা অভিযোগের বিষয়টি জানার পরেই পুলিশ বুধবার রাতে ওই অবৈধ ঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। চারটি বালির লরি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ ওই লরিগুলির চালককে গ্রেফতার করেছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার পুলিশ চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে। যদিও আদালতের নির্দেশে ধৃত চার লরিটালকই এদিন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।

মার্চ ০৩, ২০২২
রাজ্য

Flood Situatuation: ফুঁসছে দামোদর-অজয়-গন্ধেশ্বরী-দ্বারকেশ্বর, বানভাসী দক্ষিণবঙ্গ, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা

অজয় নদের জলে প্লাবিত হল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে। রাতে ভেদিয়ার সাঁতলা গ্রামের অজয় নদের বাঁধে ফাটল বিশাল আকার ধারণ করে। এই মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে অজয়ের জল সাঁতলা বাগবাটি-সহ চার পাঁচগ্রামকে প্লাবিত করেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিঘের পর বিঘে ধানের জমি জলের তলায়। ফলে চরম বিপদ শঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা।এদিকে, শুক্রবার সকাল পরিস্থিতির আরও অবনতি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম বহু অংশ প্লাবিত হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঘর হারানো মানুষজন একটু ডাঙার খোঁজে উত্তাল নদীর স্রোতের মধ্যে দিয়েই সাঁতরে চলেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলছে। প্রাণহানি নিয়েও আশঙ্কায় প্রশাসন। সাতসকালে মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর, মালিয়ারা ও গণপুর তিনটি গ্রামের কাছে অজয় নদের বাঁধ ভেঙেছে। বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে আউশগ্রামের সাঁতলাতেও। জলবন্দি বেশকিছু গ্রামের মানুষ। আউশগ্রামের সাঁতলায় অজয়ের বাঁধ ভেঙেছে। তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। আউশগ্রামের সাঁতলা গ্রাম থেকে সাঁতরে বেরিয়ে এসে বাঁচার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বাঁকুড়ার পরিস্থিতিও তথৈবচ। জলের তীব্র স্রোতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে পাত্রসায়ের, সোনামুখীর বহুলাংশ প্লাবিত। গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদী ফুঁসছে। দ্বারকেশ্বরের জলে হুগলির আরামবাগ, গোঘাট-সহ একাধিক ব্লক জলমগ্ন। উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী।অন্যদিকে, বানভাসী হুগলিও। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে আরামবাগে। একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে দফায় দফায় ডিভিসি-র ছাড়া জল আবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ সব মিলিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী ও দামোদর নদী । কোথাও বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে জল ঢুকছে। তার মধ্যে রয়েছে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট ও পুরশুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও নিচু এলাকার মানুষদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পুরশুড়াতেও বিপদ বাড়িয়েছে ডিভিসির ছাড়া জল।দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী নদীও বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যেই প্রায় দুই লক্ষ্য কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। যদিও এখনও ডিভিসির ছাড়া জল মুন্ডেশ্বরী দিয়ে খানাকুলে এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু ডিভিসির জল খানাকুলে এসে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে এবং সমস্ত বন্যা পরিস্থিতিকে ছাপিয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ২ মাসে আরামবাগ মহকুমা পরপর তিনবার বন্যার সম্মুখীন হলো। সব মিলিয়ে বড় সড় বন্যা পরিস্থিতির আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা আরামবাগ মহকুমার মানুষ। জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আজ সকাল থেকে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গতকাল এই জল ছাড়ার পরিমাণ ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি ছিল। নিম্নচাপ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে। তাই ধীরে ধীরে কমছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। নতুন করে নিম্নচাপ না হলে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আজকে অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করছে সেচ দপ্তর।

অক্টোবর ০১, ২০২১
রাজ্য

Damodar: জল কমতেই পূর্ব বর্ধমানের দামোদর পাড়ে ভাঙন আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের

কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাত ও তার সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলে ফুলেফেঁপে উঠেছিল দামোদর। তার জেরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছিল প্লাবন পরিস্থিতি। আর এখন দামোদরের নদে জল কমতেই তার পাড় জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। রোয়া ধান জমি, সবজি চাষের জমি সবই দামোদরের গর্ভে চলে যেতে শুরু করায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের অমরপুর এলাকার চাষিদের। এই পরিস্থিতিতে কি ভাবে চাষ জমি রক্ষা করবেন সেকথা ভেবেই এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অমরপুরের চাষিরা। তারা চাইছেন নদী পাড়ের ভাঙন আটকাতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার।আরও পড়ুনঃ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে ভারতজামালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের বহু গ্রামই দামোদর লাগোয়া। এখানকার অমরপুর, শিয়ালী, কোড়া, মাঠ শিয়ালী প্রভৃতি গ্রামের সিংহভাগ বাসিন্দাই কৃষিজীবী। দামোদরের ধার বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে তাঁদের অনেকেরই চাষজমি। এখন অমরপুর এলাকায় দামোদরের পাড় জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। এলাকার প্রবীন চাষি শেখ মোবারক বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির জলাধার থেকে ছাড়া জলে দামোদর ফুলেফেঁপে উঠেছিল। এখন সেই জল কমতেই অমরপুরের প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় দামোদরের পাড়জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। রোয়া ধান জমি, সবজি চাষের জমি সবই চলে যাচ্ছে দামোদরের গর্ভে। শেখ মোবারক আরও জানান, দামোদরের ধারে তাঁর ৩ একর ২৭ শতক চাষ জমি ছিল। দামোদরের পাড় ভাঙনে বিগত কয়েক বছরে তাঁর ১ একর জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এখন ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। এবার কতটা জমি দামোদরের গর্ভে তলিয়ে যাবে সেই দুশ্চিন্তায় তিনি এখন দিন কাটাচ্ছেন। এলাকার অপর চাষি সনাতন মাল, মৃত্যুন মাল প্রমুখরা বলেন, প্রতিবছর অমরপুর এলাকার চাষজমি দামোদরের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। চাষিরা জমিহারা হচ্ছে। অথচ নদী পাড়ের ভাঙন আটকানোর জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। দামোদরে জল বাড়লে নেতা, মন্ত্রিরা এলাকায় এসে ছবি তুলে চলে যায়। কাজের কাজ আর কিছুই হয় না।অমরপুরের চাষিরা জমিহারা হয়েই চলেছে।আরও পড়ুনঃ কলকাতাগামী ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস লিকেজ, ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল বর্ধমানেচাষিদের আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেননি জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অমরপুর এলাকায় যে ভাবে দামোদরের পাড় ভেঙে চাষ জমি নদী গর্ভে তা সত্যি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু জমি নদি গর্ভে তলিয়ে গেছে। এলাকায় হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। ভাঙন যে ভাবে বাড়ছে তা দেখে মনে হচ্ছে এইসব কিছুও দামোদরের গর্ভে চলে যাবে কি না! রফিকুলবাবু জানান, ১০ বছর ধরে তাঁরা পুরশুড়া ও চাপাডাঙার সেচ দপ্তরের অফিসে ভাঙনের বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনও কোন সুরাহা হয়নি। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন এই প্রসঙ্গে জানান, অমরপুরে নদী পাড়ের ভাঙন তিনি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছেন। ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। একই কথা শুনিয়েছেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু নদী পাড়ের ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

আগস্ট ০৬, ২০২১
রাজ্য

Damodar: ফুলে ফেঁপে ওঠা দামোদরে সন্ধ্যের পর খেয়া পারাপার বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের, দুর্ভোগ সাধারণের

কয়েক দিনের লাগাতার বর্ষণে জল বেড়েছে দামোদরে। তার উপর ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দামোদর আরও ভয়াল রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় দামোদর পারাপারে শনিবার লাগাম টানলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলার জামালপুর ব্লকের অমরপুর, জ্যোৎদক্ষিণ ও শম্ভুপুর ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে এদিন সন্ধ্যার পর খেয়া পারার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দামোদরে জল কমলে তার পর আবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে খেয়া পারাপার। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই বাম আমল থেকে দামোদরের উপর পাকা সেতু তৈরির দাবি করে আসছেন জামালপুরের অমরপুর, শম্ভুপুর ও জ্যোৎদক্ষিণ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি। তাই বর্ষা এলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এইসব এলাকার মানুষজনকে নৌকায় চড়ে ভরা দামোদর পারাপার করতে হয়। কোন অঘটন ঘটে গেলে সলিল সমাধি ঘটবে জেনেও বিকল্প পথ না থাকায় নৌকাতেই তাঁরা দামোদর পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাসিন্দারা চাইছেন অমরপুর, শম্ভুপুর জ্যোৎদক্ষিণে দামোদরের উপরে পাকা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগী হোক রাজ্য সরকার। নিম্নচাপের জেরে বিগত কয়েকদিন নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। তার উপর এদিন দফায় দফায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও ছাড়া হয়ে জল। এরফলে দামোদরে এখন জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে দামোদর ফুলে ফেঁপে ওঠায় প্লাবণের আশংকা তৈরি হয়। ডিভিসি জল ছাড়ায় দামোদরের জল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এমনটা আঁচ করে এদিন প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়। পরে বিকালে দামোদর তীরবর্তী গ্রামের মানুষজনের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে দেখতে জামালপুরে পৌছান মহকুমা শাসক(বর্ধমান দক্ষিণ) কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, বিধায়ক আলোক মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও কর্মাধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকা ও ফেরিঘাট গুলি ঘুরে দেখেন। ভরা দামোদরে সন্ধ্যায় খেয়া পারাপারে বিপদের আশঙ্কা থাকায় মহকুমা শাসক এদিন সন্ধার পর নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। জামালপুরের অমরপুর ফেরিঘাট থেকে দামোদর পার হয়ে হুগলীর চাঁপাডাঙা পৌছানো যায় খুব সহজেই। এছাড়াও অমরপুর স্কুলের বহু ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং দুই পাড়ের ১২-১৪ টি এলাকার বহু সাধারণ মানুষ সারাবছর অমরপুর ঘাট থেকে দামোদর পেরিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করেন।বর্ষাকাল বাদে অন্য সময়ে দামোদরের উপরে থাকা অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়েই যাতায়াত করা যায়। সমস্যা বাড়ে বর্ষায় কাঠের সেতু খুলে নেওয়া হলে। তখন নৌকাই একমাত্র ভরসা দামোদর পারাপারের। এই সময়ে চাপাডাঙা পৌছানোও খুব দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। প্রায় ২০-২৫ কিমি পথ ঘুরে তবে চাপাডাঙা পৌছাতে হয়। কবে অমরপুরে দামোদরের বুকে পাকা সেতু তৈরি হবে তা কারও জানা নেই। তাই অগত্যা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অমরপুর ফেরিঘাট থেকে নৌকায় চলছে যাত্রী পারাপার। প্রশাসন সন্ধ্যায় খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলায় এখন বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। একই রকম ভাবে জামালপুরের শম্ভুপুর ও বর্ধমন ২ ব্লকের বড়শুল এলাকার মধ্যে সংযোগকারী দামোদরের উপরে পাকা সেতু তৈরির দাবিও দীর্ঘদিনের। অমরপুর ঘাট থেকে শম্ভুপুর ফেরিঘাটের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিমি। শম্ভুপুর ঘাট পেরিয়ে রায়না, খণ্ডঘোষ সহ জামালপুরের সর্বত্র সহজেই পৌছানো যায়। একই ভাবে এইসব এলাকার বাসিন্দারা শম্ভুপুর ঘাট পেরিয়ে বড়শুলে পৌছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠে শহর বর্ধমানে যেমন পৌছান, তেমনি দুর্গাপুর ও আসানসোলের পথেও যাতাযাত করতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময়ে এখানে বাঁশের মাচা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সেতু দিয়ে পারাপার চললেও সমস্যা তৈরি হয় বর্ষাকালে। তখন নৌকাই দামোদর পারাপারের একমাত্র ভরসা। দুর্ভোগ ও জলযন্ত্রণা বাড়ে তখনই। সেই দুর্ভোগ থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্যে এতদ অঞ্চলের মানুষজনও দীর্ঘদিন ধরেই দামোদরের উপরে শম্ভুপুর ও বড়শুলের মধ্যে সংযোগকারী পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন । একই দাবি নিয়ে স্বোচ্চার রয়েছেন জ্যোৎদক্ষিণ এলাকার বাসিন্দারাও।জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও বিধায়ক অলোক মাঝি জানিয়েছেন, অমরপুর এলাকায় দামোদরের উপরে পাকা সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। বিষয়টি রাজ্য সরকারের কাছেও জানানো রয়েছে। প্রত্যাশা রয়েছে সরকার এই বিষয়ে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।তবে দামোদরে জল বাড়ছে বলে জনস্বার্থে এদিন সন্ধ্যার পর অমরপুর, শম্ভুপুর ও জ্যোতদক্ষিণ ঘাট দিয়ে খেয়াপারাপার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, রবিবার দামোদরে জলের অবস্থা পর্যালোচনা করে খেয়া পারাপারের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আগস্ট ০১, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মু সহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal