বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগের এসিপি সম্পীতি চক্রবর্তীর নাম করে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট খুলে একাধিক ব্যক্তিকে মেসেঞ্জারে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা চেয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ছাত্রকে হাওড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ নভেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে বলা হয়, গোয়েন্দা শাখার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁর ছবি ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তির থেকে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়া হচ্ছে। এরপরই বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্তে নামে তার পরবর্তী ক্ষেত্রে হাওড়া এলাকা থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। হাবড়ার বাসিন্দা এই ছাত্রকে আজ আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
উদ্ধার হলো কুড়ি লক্ষ টাকা সহ ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হওয়া হাতুড়ি লোহা সহ একাধিক সামগ্রী। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের রাস্তায় একটি চার চাকার গাড়ি দাঁড়িয়েছিল রবিবার রাতে। পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরেই গাড়ির ভেতরে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় নগদ কুড়ি লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় চারটি মোবাইল ফোন সহ বেশ কিছু চুরি করার সামগ্রী। তখনই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দুষ্কৃতীরা হল বীরভূমের নলহাটি থানার সাগর যাদব, অন্ডাল থানার কাজোরা কোলিয়ারি এলাকার রাকেশ কুমার নুনিয়া, প্রিন্স বিশ্বকর্মা ও অবিনাশ কুমার নুনিয়া। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ পুলিশি হেফাজতে ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি অন্ডাল পিন্টু সাহা বলেন,ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরের সামনে একটি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অন্ডাল থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গাড়ি থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। চুরির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে এল ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হবে।
আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর বদলে গাঁজা! বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে টাস্ক ফোর্স গাঁদা উদ্ধারের পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে ৫ জনকে। গতকাল গভীর রাতে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে লুকিয়ে উত্তর বঙ্গ থেকে কলকাতায় ঢুকছিল বিপুল পরিমাণ মাদক গাঁজা। খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গাতে বমাল পাঁচ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল এসটিএফ টিম। আটক পাচারে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ও একটি মারুতি সুজুকি সুইফ্ট। উদ্ধার হয়েছে একশো পাঁচ কিলো গাঁজা।গত রাতে একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল NH-12 (আগে NH34 নামে পরিচিত) মুর্শিদাবাদ থেকে কৃষ্ণনগর বাউন্ড একটি জায়গার কাছে অভিযান চালায়। বেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত গ্রীন পার্ক রিসোর্টের কাছে এবং পাঁচজন মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরা হল নিষিদ্ধ গাঁজা সমেত। এই অভিযানের সময় দুটি আইসিইউ লেখা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি মারুতি সুজুকি সুইফট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।এসটিএফ গ্রেফতার করছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের বাসিন্দা খায়রুল মোল্লা, আজগর আলী মন্ডল, শ্যামল ডলুই ও চম্পাহাটির প্রদীপ পাশী, ও অজয় সরোজকে। দুটো গাড়িতে উভয় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ টাকা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা কোনও সন্দেহ এড়াতে এবং বাধ্যতামূলক ট্র্যাফিক চেক এড়াতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে লুকিয়ে কোচবিহার থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছিল। এই নিয়ে বেলডাঙ্গা থানায় N.D.P.S-এর অধীনে একটি পুলিশ মামলা শুরু হয়েছে।
কলকাতার বৌবাজারের পর সল্টলেক। একটা গণপিটুনি গতকাল রাতে, আরেকটা আজ ভোরে। ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই সভ্যনগর কলকাতা ও সল্টলেকে দুজনকে পিটিয়ে খুন করা হল। দুটি ক্ষেত্রেই মোবাইল চুরির সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। দ্বিতীয় গণপিটুনি হয়েছে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকার পোলেনাইটে। মৃতের নাম প্রসেন মন্ডল (২২)।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শনিবার ভোর বেলায় করুণাময়ীর কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে থানায় খবর যায় এক ব্যক্তি একটি যুবককে নিয়ে এসেছে মৃত অবস্থায়। এবং যে নিয়ে এসেছে তাকে আটকে রেখেছে। এর পর পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, আজ ভোর বেলায় মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে ওই অভিযুক্ত, তার ছেলে ও এক বন্ধু মারধর করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুজনের খোঁজ পায় তাদেরকেও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ এর বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।ধৃতরা হল তপন সরকার, হরসিত সরকার ও শ্রীদাম মন্ডল।
১৬ নভেম্বর ২০১৪। ২৮ জুন ২০২৪। প্রায় ১০ বছরের ব্য়বধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১০ বছর আগে চোর সন্দেহে কোরপান শাহকে এনআরএসের হবু চিকিৎসকরা পিটিয়ে মেরে দিয়েছিল। হাওড়ার এই যুবক ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার রাতে ফের কলকাতায় বৌবাজারে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফৎতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ছাত্রদের মানবিকতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পড়ুয়ারাই যদি এমন অসহিষ্ণু হয় তাহলে সমাজে সর্বনাশ হওয়ার কোনও বাকি থাকে, এই মতবাছেলেধরা গুজব নিয়ে তোলপাড় চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তার জেরে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মূলত কলকাতা লাগায়ো উত্তর ২৪ পরগণায়। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও ঘটেছে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই যাঁরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা কেউই দোষী তো নয়ই একেবারে সাধারণ মানুষ বা ভবঘুরে-ভারসাম্যহীন। এবার খাস কলকাতায় ঘটে গেল মানবিকতার চরম বিপর্যয়। চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বউবাজার এলাকার একটি ছাত্রাবাসের আবাসিকদরে বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া। হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি ব্যাট, একটি লাঠি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ করছে পুলিশ। সিসি ট্যাম্পারিংয়েরও অভিযোগ উঠেছওই যুবক মোবাইল চুরি করেছে বলে সন্দেহ করে বউবাজারে ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্ররা। অভিযোগ, ব্যাট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয় ওই যুবককে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইরশাদ আলম, বয়স ৪৭। তিনি চাঁদনিচক এলাকায় একটি টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, ওই হোস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। শুক্রবার সকালে হস্টেলের পাশেই একটি দোকানের মালিক ছাত্রদের জানান, এক ব্যক্তি ওই চত্ত্বরে ঘোরাফেরা করছেন। ছাত্রাবাসের পাশেই রয়েছেন একটি নামি মিষ্টির দোকান। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে ছাত্ররা ওই যুবককে হস্টেলে তুলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় বউ বাজার থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আসে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। এরপর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোরপান শাহ প্রাণ দিয়েই বোঝাতে পারেনি শহর কলকাতা কতটা অমানবিক। ছাত্র সমাজ কতটা অমানসিকতার নজির গড়তে পারে। বউবাজারের ছাত্রাবাসের আবাসিকরা প্রমাণ করল ছাত্র সমাজ শুধু সমাজ গড়ে না, অন্ধকার সমাজ গড়তেও সাহায্য় করে। এই গণপিটুনির ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে সমাজের সমস্ত মহল।
বারাসাতে কাজীপাড়ায় নিখোঁজ বাচ্চার দেহ উদ্ধারের পর ওই বালকের জ্যাঠা আঞ্জীব নবিকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার ঘোষণা করে এই আঞ্জীব নবী প্রধান ও একমাত্র অভিযুক্ত। যখনই পুলিশ তদন্ত করতে গিয়েছে তখনই পুলিশি তদন্তের অভিমুখ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন রকম ভাবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কখনও ছেলেধরা, কখনও কিডনি পাচার নানারকম গুজব নবীর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি বারাসাতের পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার। পুলিশের দাবি, একই সঙ্গে সে যেহেতু মসজিদে নামাজ পড়াতো সেই নামাজ পড়ানোর পর প্রত্যেককে জানিয়েছে বাইরের লোক দেখলেই মারধর করতে হবে। তাতেই মানুষজন বাইরের লোককে দেখলেই উত্তপ্ত হয়ে মারধর করতে শুরু করে দিয়েছে।ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছটা কুড়িতে ওই নিহত বাচ্চা বাড়িতে আসে। কিন্তু তারপর তাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে কেউ দেখেনি। ওই এক মুহূর্তের ফাঁকে বাচ্চাকে ডেকে নিয়ে অন্ধকার বাড়ির পেছনে প্রথমে চড় এবং তারপর গলা টিপে খুন করে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে দেয়। পুলিশ বারবার ওই এলাকায় তদন্ত করতে গেলেও ওই বাড়ি ঝোপঝাড়ে ভরা থাকার কারণে ওই ঝোপঝাঁড়ের মধ্যে তল্লাশি করেনি বলে দাবি পুলিশের সেই কারণেই নজরে আসেনি প্রথমে। বাচ্চার বাবা গোলাম নবী সেইদিন সাড়ে সাতটায় বাড়িতে আসে। তারপর বাচ্চাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় আটটার পরে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ৬টা৪৫ থেকে ৭টা৩০ এর মধ্যে ওই বাচ্চাকে খুন করা হয়েছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী আঞ্জীব নবী ওই সময় ওই এলাকাতে ছিল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে আঞ্জীব স্বীকার করেছে ভুল করে কাজ করে ফেলেছে। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন এই সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। আঞ্জীব নবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অনুমান পারিবারিক সম্পত্তির বিবদের কারণেই ওই বাচ্চাকে খুন করা হয়েছে । আঞ্জীব নবি মূলত মসজিদে আজান দেয়। তাঁর ছোট্ট একটি ব্যাগের দোকান আছে। যা থেকে তাঁর সামান্য রোজগার হয়। কাজীপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করার পর পুকুরপাড়ের একটি তালগাছ আছে তার। যার ফল বিক্রি করে তার একটা বার্ষিক রোজগার হয়। হঠাৎই একদিন আঞ্জীব নবী দেখতে পায় তার ভাই গোলাম নবী সে গাছে লোক তুলে তাল পারছে। তাই নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে বিবাদ শুরু। আর সেই বিবাদে ফারদিন আঞ্জীব নবীকে মারতে গেছিল যা আঞ্জীব নবীর এই প্রতিহিংসা ছিল।নিহত বাচ্চার বাবারা মোট সাত ভাই বোন। সকলে খোঁজাখুঁজি করলে ওই আঞ্জীব নবি খোঁজাখুঁজি না করার কারণে পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে। যেহেতু রোজ আযান দিয়েছে নন্দগরে শ্বশুর বাড়িতে চলে যেত তাই তার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে পুলিশ দেখে তার গতিবিধি। বারবার মিথ্যা কথা বলা পুলিশকে বিভ্রান্ত করা এবং গুজব ছড়ানো শেষ পর্যন্ত এই কারণগুলোই আঞ্জীব নবীর ধরা পড়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ যখন এক প্রকার দিশেহারা তখন ঘুরে তদন্ত শুরু করতে গিয়ে আঞ্জীবকে অভিযুক্ত ভেবে তদন্ত করতে গিয়ে দেখে সব মিলে যাচ্ছে। তবে প্রথম পর্যায়ে পুলিশের যে খানিকটা গাফিলতি ছিল, তা কার্যত মানছেন পুলিশ সুপার।ছেলেধরা গুজবে বারাসাতে দুটি, অশোকনগর, খড়দহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দ্বেগঙ্গায় ছেলেধরা গুজবে মারধর না করা হলেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও অবধি যে কটা ঘটনা ঘটেছে তার কোনওটার সঙ্গে ছেলেধরার কোনও সম্পর্ক নেই। সোশাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর গুজব ছড়িয়েছে। চাকদার এক মহিলা ও বারাসাতের কাজী পাড়ার ভাড়া থাকা দুই মহিলা ছেলেধরা বলে গুজব ছড়িয়েছিল আঞ্জীব নবী। এরা শিশুদের অপহরণ করে দেহের অঙ্গ বিক্রি করে দেয় বলেই সে দাবি করেছিল।
সাইবার প্রতারণার শিকার খোদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পুরী বেড়াতে যাওয়ার জন্যে অনলাইনে হোটেল বুক করে প্রতারণার শিকার বিচারপতি সোমশুভ্র ঘোষাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজস্থান ও আরামবাগ থেকে মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০২২-এর ৮ অক্টোবর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোমশুভ্র ঘোষাল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে পুরীতে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে অনলাইন মাধ্যমে একটি ৫ তারা হোটেল বুকিং করার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁকে সেই হোটেলের বুকিং প্রসিডিউরের জন্যে একজন ফোন করে। সেখানে তাঁকে হোটেলে বুকিং করার জন্যে টাকা জমা করতে বলা হয় এবং একটি একাউন্ট ডিটেলস দেওয়া হয়। তিনি সেই একাউন্টে ৯২ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন। তবে কিছুদিন পরে ওই হোটেলে খোঁজ নিলে জানতে পারেন তাঁর নামে ওই হোটেলে কোনও বুকিং হয়নি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, ওই হোটেলের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছিল। এরপরই টাকা কোন অ্য়াকাউন্টে জমা পড়েছে সেই সূত্র ধরে রাজস্থানের ভরতপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেম চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরামবাগ থেকে আরও এক প্রতারক স্বর্ণদীপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়।
বেসরকারি ব্যাংকের KYC আপডেট করার নাম করে ২৬ লক্ষ টাকা প্রতারণায় গ্রেফতার এক। রানীগঞ্জ থেকে অন্যতম মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ১ এর বাসিন্দা সুপর্ণা সাহা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে, একটি অচেনা নম্বর থেকে তার কাছে ফোন আসে। সেখানে তাঁকে তাঁর বন্ধন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের KYC আপডেট করার জন্যে বলা হয়। তিনি রাজি হলে তাকে একটি লিংক পাঠানো হয়। সেখানে সব ডিটেলস দেওয়ার পর তার অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচটি অ্যাকাউন্টে ২৬ লক্ষ ২হাজার টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, এই ৫টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট অভিষেক কুমার রাম নামের এক ব্যক্তির। সূত্র মারফত খবর পেয়ে রানীগঞ্জ এলাকায় হানা দিয়ে অভিযুক্ত অভিষেক কুমার রামকে গতকাল গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ থাকে নদীয়া থেকে গ্রেপ্তার করলো উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের অন্যতম পান্ডাকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিধান নগর সাইবার থানায় উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। অভিযোগে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, ওই চক্রটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরকে ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তারা দিতে পারবেন অর্থের বিনিময়ে।এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারা দুটি ব্যাংক একাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে। সেই অ্যাকাউন্টটি ছিল নদীয়ার বাসিন্দা প্রীতি শর্মার নামে। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ যোগাযোগ করে প্রীতি শর্মার সাথে। তিনি পুলিশকে জানায়, তার এটিএম কার্ডটি তার বন্ধু রুপম সাধুখা তার কাছ থেকে জোর করে নিয়ে গেছে। তিনি পুলিশকে আরও জানায় যে তিনিও ব্যাংকের থেকে পাঠানো এসএমএস মারফত জানতে পারেন, তার ব্যাংক একাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে যেগুলো সে করেনি।এরপরই বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ নদীয়া থেকে গ্রেপ্তার করে রুপম সাধুখাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করে ধৃত রূপমকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিশ।
সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে সল্টলেক ডিএল ব্লকের বৃদ্ধকে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার উজ্জয়ন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা অভিষেক মাকওয়ানা। গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে নিজের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেন সল্টলেক ডি এল ব্লকের বাসিন্দা সুশীল কুমার। বিজ্ঞাপন দেখে তার কাছে একটি ফোন আসে এবং তাঁকে সেই ফোনে এক ব্যক্তি নিজেকে সেনা কর্মী পরিচয় দেয়। এবং সে বাড়ি ভাড়া নিতে ইচ্ছুক বলেও জানান। তিনি জানান, তার ট্রান্সফারের কারণে সে সল্টলেকে বাড়ি ভাড়া খুঁজছে। এরপরেই তাদের কথোপকথন হতে থাকাকালীন সমস্ত নথিপত্র পাঠাতে বলে। এর পরে অনলাইন ট্রানজেকশনের জন্য তার কিউআর কোড পাঠাতে বলে। এরপরেই ঘটে বৃদ্ধর সঙ্গে প্রতারণা। মুহূর্তের মধ্যেই দেড় লক্ষ টাকা তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায়। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে প্রথমে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন।এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য খতিয়ে দেখে উজ্জয়ন মধ্যপ্রদেশে হানা দেয় সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক মাকওয়ানাকে। চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। আজ অভিযুক্তকে বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশ খতিয়ে দেখবে এই ঘটনার চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে। এর পাশাপাশি অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানাবে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
ফের সাইবার প্রতারণায় জামতারা গ্যাং। ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে বৃদ্ধার থেকে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থার এক কর্মী। জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকে গ্রেফতার জামতারা গ্যাংয়ের এক পান্ডা।পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটি এলাকার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী আনন্দ শঙ্কর দাস বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে গত মার্চ মাসে তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন করে এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপরেই তাঁর অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি করানোর নাম করে তাঁর কাছ থেকে ওটিপি দিতে বলে। তিনি সেই ওটিপি দিলে কিছুক্ষণ পরে তাঁর কাছে এসএমএস আছে যে তার একাউন্ট থেকে ছয় লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে হানা দিয়ে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রঞ্জন মাঝিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর এই অভিযুক্ত পেশায় কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থা BCCL এর কর্মী। তবে সে জামতারা গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করে বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাই ক্রাইম থানার পুলিশ।
ঘটনা ঘটে গিয়েছে প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলল। এখনও গুলিতে ঝাঁঝরা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের খুনীদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। তবে এবার রাজু ঝা খুনের সিসি টিভি ফুটেজ সামনে চলে এসেছে। এর আগে গরুপাচার চক্রে অভিযুক্ত লতিফের মোবাইল ফোনে কথা বলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও লতিফ এখনও ফেরার। তাঁকে তলব করেই চলেছে ইডি। সিসি টিভি ফুটেজের দেখা যাচ্ছে সাদা রংয়ের ফরচুনা গাড়ি দাড়িয়ে আছে। নীল রঙের অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা গাড়ি থাকে নামে। একেবারে সাধারণ ভাবে সাদা গাড়ির সামনে আসে। তারপর একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে সাদা গাড়িতে বসে থাকা কাউকে এক নাগারে গুলি করতে থাকে। পরে জানা যায় সাদা গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজুকে মৃত বলে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন। বর্ধমান শহর থেকে অনতি দূরে আমড়ায় জাতীয় সড়কের দুধারে ল্যাংচার দোকানের সামনের এই ঘটনা ঘটেছে ১ এপ্রিল। তারপর ৯ দিন কেটে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। খুনিদের গাড়ি ঝাড়খন্ডের দিক থেকে এসেছে সেই সিসি টিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। ঝাড়খন্ডে পুলিশ খুনিদের ধরতে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও একজনও দুষ্কৃতী ধরা পড়ার খবর মেলেনি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র ইউ আই টি সহায়তায় বুধবার বর্ধমান শহরের এক বেসরকারি স্কুলে সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কোভিড উত্তর বর্তমান প্রজন্ম অনলাইন ব্যবস্থার সাথে এতটাই ওতোপ্রত ভাবে যুক্ত তাতে করে এই ব্যবস্থাটাকে কোনও ভাবেই এড়িয়ে চলতে পারা যাবে না। এই সুবিধা ভোগ করেও কি ভাবে আরও বেশী সুরক্ষিত থাকা যায় তাঁর জন্যই সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতা সমন্ধে সম্যক ধারনা থাকা দরকার।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র ইউ আই টি র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রধান ডঃ শিবকালি গুপ্ত জনতার কথা কে জানান, ছাত্রদের পড়াশোনা ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ঔষধ, টাকা পাঠানো থেকে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট এমনকি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় উপস্থিতি-ও বর্তমানে ডিজিটালি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, সেই উদ্দেশ্যেই পূর্ব-বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় আমরা এই সচেতনতা প্রোগ্রাম করছি। তিনি জানান, তাদের এই প্রোগ্রামটির নাম ক্লিক করার আগে ভাবুন (Think Before You CLICK)।ওইদিন ডঃ গুপ্ত ক্লিক করার আগে কি করা উচিত মুলত সেই বিষয়ের ওপরই বেশী প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের জন্য আমদের মুলত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই বেছে নেওয়ার কারন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বাবা-মায়েরা ছেলে মেয়েদের ওপর-ই মোবাইল বা নেট সংক্রান্ত বিষয়ে বেশী নির্ভর থাকে। সেক্ষত্রে ছেলে-মেয়েদের এবিষয়ে সম্যক জ্ঞ্যান থাকলে তাঁরা তাঁদের বাবা-মাকে আগে ভাগেই সতর্ক করে দিতে পারবে।সাইবার ক্রাইম সচেতনতা সভাডঃ শিবকালি গুপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু সতর্কবার্তা দেন, কোনওভাবেই কেউ যেন কোনও অপরিচিত লিঙ্ক-এ ক্লিক না করেন, অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে যেন ওটিপি বা ব্যাক্তিগত তথ্য না দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ বা এস.এম.এস.-এ কোনও ফ্রী গিফট বা লোভনীয় লিঙ্ক নিজে যেমন ক্লিক করবেন না, ঠিক তেমনই কাউকে শেয়ারও করবেন না। এই ধরনের লিঙ্ক দেখলেই সরাসরি ডিলিট করে দেবেন।পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানা-র সাব ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন আহমেদ। ভুল করে ফাঁদে পা দিয়ে ক্লিক বা কোনও ব্যক্তিগত তথ্য বলে দিলে তাঁর পর কি করনীয় সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তাঁর বিষয় ছিল কি ঘটতে পারে যখন আপনি ক্লিক করে ফেলেছেন (What Happens When You Click)। ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন ছাত্র ছাত্রীদের জানান যখন কেউ প্রতারিত হয়েছেন তাঁরা যেন সরাসরি পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও তিনি প্রতারিত হলে আইনি ভাবে কি কি করতে হবে সে সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।বর্ধমান শহরের বেসরকারি বিদ্যালয় বর্ধমান মডেল স্কুল-র কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান, এই ধরনের প্রোগ্রাম যত বেশি হবে তত সাধরন মানুষ উপকৃত হবেন। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা আজকের এই অনুষ্ঠানের ফলে সমৃদ্ধ হল। আজকের সতর্ক বানী তারা তাদের পরিবারকে বলে আরও কিছু মানুষকে প্রতারণা হওয়া থেকে আটকাতে পারবে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল পূর্ব-বর্ধমান পুলিস ও ডঃ শিবকালি গুপ্ত কে বিশেশভাবে ধন্যবাদ জানান সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত একটি বাস্তব সমস্যা নিয়ে সচেতনতা সভা বর্ধমান মডেল স্কুল-এ আয়োজন করার জন্য।
হাতে শিকল বাঁধা, তাতে আবার তালা দেওয়া। সেই অবস্থায় থানায় গিয়ে শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। এই ঘটনায় মালদার চাঁচল থানার মোবারকপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বধূ নির্যাতনের এমন তালিবানি কায়দা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের। অভিযোগ, পণ না দেওয়ায় এমন শাস্তি দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।দিনের পর দিন শিকলবন্দি অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হাওয়ায় অবশেষে শশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চাঁচল থানার মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুর এলাকায় এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ পুলিশ কর্তারা। অভিযোগকারিনীর দুই হাত তালা দিয়ে শিকল বাঁধা। গৃহবধূকে শিকলবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। এরপরই তদন্ত শুরু করে চাঁচল থানার পুলিশ। অসুস্থ গৃহবধূকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন পরিবারের লোকেরা।পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে চাঁচল-এক ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুরের বাসিন্দা পিঙ্কি খাতুনের(২২) বিয়ে হয় মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলির। সাহেব পেশায় দিনমজুর। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই বধূ এখন তিনমাসের অন্তঃসত্বা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য পিংকি খাতুনকে শিকল বন্দি করে রাখতো শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তারপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত পিংকির ওপর। নির্যাতিত গৃহবধূ এই ঘটনার কথা তাঁর বাবা-মায়ের কাছে জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা হয়েছে। তাতেও সমস্যা মেটেনি।দুই সন্তান, বধূ অন্তঃসত্ত্বা তবু পণ নিয়ে দিন কয়েক ধরে অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠ। অভিযোগ, সোমবার রাতে শিকল দিয়ে বেঁধে চরম মারধর করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। গলায় শাড়ির আঁচল পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টাও করা হয়। এমনই অভিযোগ তুলেছে ওই পিংকি। এরপরই কোনওরকমে সেখান থেকে সকলের অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই বধূ। পিংকি মঙ্গলবার চাঁচল থানায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে চাঁচল থানার পুলিশ। চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ভোজ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।পিঙ্কি খাতুন জানিয়েছেন, পণের জন্য আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যাতে পালিয়ে যেতে না পারি তাই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হাতে শিকল পেচিয়ে তালা মেরে রাখতো। মারধরও চলতো। মঙ্গলবার ঝুঁকি নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় চলে আসি। এছাড়া বাঁচার কোনও আশা ছিল না।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সোনা,রুপো ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যগ ছিনতাই করে পালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হল চার দুস্কৃতী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ মুর্শিদাবাদের সালার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে ওই চার দুস্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল মহম্মদ আলি শেখ ওরফে কচি, জিয়ারুল শেখ, রতন শেখ ও বিপ্লব কর্মকার। ধৃতদের মধ্যে রতন ও বিপ্লব মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার বাসিন্দা। অপর দুই ধৃতদের মধ্যে কচি গলসির শশঙ্গা ও জিয়ারুল ভাতার থানার বামশোর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ উদ্ধার হয়েছে ৫১ গ্রাম সোনা, ২.৫ কেজি রুপো ও নগদ ২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার চার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে টিআই প্যারেডেরও আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের জেল হেপাজতে পাঠিয়ে ৬ নভেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ধৃতদের টিআই প্যারেড করানোর আবেদনও বিচারক মঞ্জুর করেছেন।পুলিশ জানিয়েছে, গলসির ছালালপুর এলাকার বাসিন্দা সওকত মোল্লা ওরফে স্বপন পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গলসির ভুঁড়িডাঙ্গা এলাকায় তাঁর একটি গয়নার দোকান রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৭৫ মিনিট নাগাদ সওকত মোল্লা তাঁর দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগে ৪ ভরি সোনার অলংকার, ৩ কেজি রুপো ও নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিল। রাত ৮ টা নাগাদ তিনি যখন ছালালপুরের মোরাম রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন তখন দুই দুস্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। ভয় দেখিয়ে দুস্কৃতিরা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা সোনা, রুপো ও টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে বাইকে চেপে পালায়। এই খবর পাবার পরেই নড়েচড়ে বসে গলসি থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চালিয়ে পুলিশ ওই দুস্কৃতীদের লোকাল ইনফরমার ইব্রাহিম মল্লিক ওরফে স্বপন নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওই দুই ছিনতাইকারীসহ তাঁদের গ্যাংটিকে চিহ্নিত করে।তদন্ত চালিয়ে পুলিশ এও জানতে পারে ছিনতাইকারীরা মুর্শিদাবাদের সালার এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। এরপর সালারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কয়েক দফায় ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের চার জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া সোনা, রুপো ও নগদ টাকা। ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ছিনতাইকারীদের জালে পোরায় স্বস্তিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী। মৃতর নাম সব্যসাচী মণ্ডল(৪৪)।শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে কারা কি কারণে ব্যবসায়ীকে খুন করলো সেই বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের দেশবাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। তিনি ও তাঁর পরিবার এখন থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিন সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তাঁর এক বন্ধু নাজবীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে দেশবাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। নাজবীর সিংয়ের কথায় জানা গিয়েছে, ছাদে রান্না যখন চলছিল তখন সেখানেই ছিলেন ওই সব্যসাচী। সেই সময়ে কেউ নীচে ডাকছে বলে জানিয়ে সব্যসাচীর গাড়ির ড্রাইভার সব্যসাচীকে নিয়ে ছাদে থেকে নিচে নেমে যায়। এর খানিকটা পর তাঁরা নীচে নেমে রক্তাক্ত অবস্থায় সব্যসাচীকে দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ তাঁরা সব্যসাচীকে উদ্ধার করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান বলে বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্যাল দাবি করেছেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় রায়না থানার পুলিশ। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেরিয়াপুরের বাড়িতে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীর দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে কি জাতীয় জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তদন্ত এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা জানার জন্য মৃতর পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।
এমন দৃশ্য দেখে যে কেউ আঁতকে উঠতে বাধ্য। এক রত্তি শিশুকে কাঁধের ওপর তুলে বিছানায় সজোরে আছড়ে ফেলছে পরিচারিকা। শিশুটির পিঠেও আঘাত করা হচ্ছে। সিসিটিভির এই ফুটেজ দেখে আঁতকে উঠেছেন বাড়ির কর্তা-গিন্নি। দুজনকেই কাজের তাগিদে বাইরে থাকতে হয়। বাড়িতে পরিচারিকা রেখেছেন শিশুটিকে দেখাভালের জন্য। বাবা-মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পরিচারিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, বাবা দেবাশিস দাস বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, মা নবমিতা ভট্টাচার্য মেদিনীপুরের পাবলিক হেলথের ডিস্ট্রিক্ট ম্য়ানেজার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে শিশুটিকে দেখভালের জন্য রেখেছেন জনৈক কল্পনা সেনকে। বছর পঞ্চাশের এই স্থানীয় মহিলা ২০১৮ সাল থেকে দেবাশিসবাবুদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবার বাড়িতে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে গত মে মাসে ফের ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন নবমিতা। দেবাশিসবাবু প্রতি শনিবার ফ্ল্যাটে আসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিচারিকা কল্পনার অচরণে সন্দেহ হয় দেবাশিসবাবু ও নবমিতার। তাঁরা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা সেট করেন। কিন্তু সিসিটিভির বিষয়টা পরিচারিকা জানাননি। তাঁরা মোবাইলে অনলাইনে সিসিটিভির মাধ্যমে বাড়ির প্রতি নজর রাখতেন। বৃহস্পতিবার মোবাইলে অনলাইনে মেয়েকে দেখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন দেবাশিসবাবু। তিনি দেখেন পরিচারিকা তাঁর একরত্তি শিশুর ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। বিছানার ওপর আছড়ে মারছে তাঁর শিশু সন্তানকে। মারধরও করছে। বিষয়টি স্ত্রী নবমিতাকে জানান দেবাশিসবাবু। তড়িঘড়ি দুজনে বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পরিচারিকার বিরুদ্ধে। আপাতত পরিচারিকার স্থান শ্রীঘরে।
শহরে ফের একবার ভুয়ো আধিকারিক গ্রেপ্তার। নিজেকে আইপিএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের কাজ করত বালির অঙ্কিত কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন লোককে মেসেজ করে সাইবার থানায় তাদের বিরুদ্ধে কেস আছে বলে জানাত। সে টাকার বিনিময়ে পুরো ব্যযপারটা মিটিয়ে দিতে পারে বলে ২০,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করত। এই কাজ করতে সে ব্যবহার করত কলকাতা পুলিশের লোগো, এমনকী, লোককে বিশ্বাস করাতে ব্যবহার করত ইন্টারনেট থেকে নেওয়া উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারের ছবি।আরও পড়ুনঃ নতুন মিউজিক ভিডিওতে শাহির-হিনাদীর্ঘদিন ধরে অঙ্কিতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ কলকাতা পুলিশের কাছে জমা পড়ে। সেই অনুযায়ী পুলিশ তার গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল। এদিকে, অঙ্কিত আগেই আঁচ করেছিল সে পুলিশের জালে ধরা পড়তে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাই একাধিকবার নিজের মোবাইল নম্বর ও ২৯ বার নিজের হ্যান্ডসেট বদল করে অঙ্কিত। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। পরিবর্তে হাওড়ার বালি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। তাকে নিজের হেপাজতে নিয়ে জেরার পরই প্রতারণার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কালিম্পং ক্রাইমস মূলত একটি সিনেমা তৈরির শুটিং-এর গল্পের প্রেক্ষাপটে, অন্তর্নিহিত আর একটি গল্প। রোমহর্ষক ষড়যন্ত্র, ধারাবাহিক খুন ও তার সুত্র অনুসন্ধান মূলক সিরিয়াল কিলিং- এর তদন্ত কাহিনী। গল্পের সূত্রপাত, একটি সিনেমার শুটিং দলের কালিম্পং পৌঁছানো নিয়ে। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা কালিম্পংয়ের কুয়াশাচ্ছন্ন ডেলোতে একটি পুরানো ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট লজ গল্পটির প্রাণকেন্দ্রে। যেখানে প্রখ্যাত অভিনেতা এবং কলাকুশলী সহ একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ইউনিট এসে পৌঁছায়। আর সেখানেই একে একে মূল গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ কৌতূহলজনকভাবে চোখে পড়ে।এই দলে ২ জন নায়িকা, একজন লম্পট প্রযোজক, প্রযোজকের এক বদবখাটে ভাই, একজন কেতাদূরস্ত নায়ক, একজন বেপরোয়া সিনেমাটোগ্রাফার, একজন বদ-মেজাজী পরিচালক, একজন ম্যানেজার, একজন স্ক্রিপ্ট লেখক, একজন খলনায়ক ও ২ জন সহকারী পরিচালক রয়েছেন, যাদের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্যগুলি একে একে গল্পে দেখানো হয়। এরই সাথে এক বিচিত্র ডাক্তার রায়চৌধুরী এসে ডেলোয় পৌঁছন, যার পুরোনো দিনের অস্ত্র সংগ্রহের একটি বিশেষ শখ রয়েছে।শুরুতেই উত্তেজনার পারদ কিঞ্চিৎ বেড়ে যায়। নায়ক রাহুলকে গল্পের ভেতরে তৈরি হওয়া ছবির দুই অভিনেত্রীর সাথে, আমরা পৃথক সময়ে ঘনিষ্ট কীর্তিকলাপে লিপ্ত হতে দেখতে পাবো। প্রযোজক দয়াল এবং সায়রা নামে একজন অভিনেত্রীর মধ্যেও কুৎসিত বিবাদ শুরুর আভাস দেখতে পাওয়া যাবে, যেখানে প্রযোজক তার উপর যৌন নির্যাতন করতে উদ্যত হন। এরপরেই দুই নায়িকা, মল্লিকা এবং সায়রা আক্ষরিক অর্থেই একে অপরকে তীব্র হুমকি দিতে থাকেন। তাদের দুজনের প্রেম বা ঘৃণার ব্যাক্তি কি এক?সেই রাতেই সায়রা এক ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়। ঘটে যায় তার অস্বাভাবিক মৃত্যু। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটিকে একটি আত্মহত্যার মামলা হিসাবে তুলে ধরে। আর হটাৎ করেই এই অপরাধের ঘটনাস্থলে, নিহারিকা সেন নামে একজন গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়। এবং তিনি পুনরায় এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেন। জমে ওঠে গল্পের প্লটটি। আশঙ্কাজনক ভাবে বোঝা যায় যে, ইউনিটের যে কেউ, আততায়ীর পরবর্তী শিকার হতে পারে! এইভাবে গল্পটি এগোতে থাকে। এই ওয়েব সিরিজের পরিচালক তপন সাহা।
মুখোশের আড়ালে থেকে দিনের পর দিন ধরে গোপন তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে পাক চর। এমনকী, দেশবিরোধী কাজও চালিয়ে গিয়েছে। কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। সম্প্রতি, রাজস্থানের পোখরান থেকে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বুধবার রাতে তাকে দিল্লিতে আনা হয়। জেরা করে তার কাছ থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও পড়ুনঃ জাতীয় স্তরের নাবালিকা ক্যারাটে খেলোয়াড়ের আত্মহত্যা, গ্রেফতার যুবকজানা গিয়েছে, সামান্য সবজি বিক্রেতার ছদ্মবেশে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পড়শি দেশের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (ISI)-এর হাতে তুলে দিত ওই ব্যক্তি। ধৃতের নাম হাবিব খান। অভিযোগ, সবজি বিক্রেতার ছদ্মবেশে জওয়ানদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে, তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে, সেনার গোপন তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে তুলে দিত ধৃত। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই হাবিব খানের উপর নজর ছিল। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জেরায় ধৃতের কাছ থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।