• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Chief

রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ায় আকাদেমী পুরস্কার ফেরালেন বাংলার লেখিকা

বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তা জানার পরেই প্রতিবাদ স্বরুপ অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা ত্যাগ করলেন বর্ধমানের খাগড়াগড় নিবাসী লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিকে চিঠি পাঠিয়ে লেখিকা তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন ।পাশাপাশি ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লেখিকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কবি ও সাহিত্যিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।এই বছরই প্রথম বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। সমাজের অন্যান ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি।তারা বাংলার বেশ কাছু পথিতযশা সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্যে প্রথম বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়ায় জন্য মনোনিত করেন। সোমবার ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে রাজ্য সরকার আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আকাদেমি রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দবতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার বিষটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।তিনি ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। মুসলিম বিয়ের গান সহ নানা বিষয়ে গবেষণা রয়েছে। অজস্র প্রবন্ধ ও গল্প লেখিকা রত্নাদেবীর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ টি পুরস্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, যেভাবে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। পাশাপাশি রত্নাদেবী এও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখাগুলিকে তিনি সাহিত্য পদবাচ্য বলেই মনে করেন না। যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেনে তা নিয়েও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে ২০১৯ সালে পাওয়া আকাডমি পুরস্কারটি তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় দাবী করেন, সোমবার মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। কারণ এতে পুরস্কারের গরিমা রক্ষিত হয়নি। তিনি মনে করেন, সাহিত্য সাধনার বিষয়। সেই সাহিত্য বিষয়ে কাউকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোনওভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে না।

মে ১০, ২০২২
রাজ্য

মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও রাজ্যে ৩৫৫ চাইছেন বিরোধী দলনেতা

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়িতে আইন অমান্য আন্দোলন করে বিজেপি। বুধবার এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু বলেন, ওনার মেজরিটি আছে। মুখ্যমন্ত্রী আছেন, থাকুন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে নিক কেন্দ্র। তাঁর প্রভিশন আছে ৩৫৫-তে। এসেম্বলিতে তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে রাজ্যে ৩৫৬-এর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে কিছু সামাজিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ওর তালু গরম হয়ে গিয়েছে। তাই এসব বকছে।গত কয়েক দিনে রাজ্যের মোট ৫টি আইন-শৃঙ্খলা জনিত ঘটনার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইতে গণহত্যা থেকে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন। নদিয়ার হাঁসখালিতে গণধর্ষণ করে নাবালিকার ডেথ সার্টিফিকেট না থাকা সত্বেও শ্মশানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে বলে দাবি করে আসছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। তবে এদিন সরাসরি শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন চান না। কেন্দ্রের হাতে আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ চাইছেন।এদিকে শুভেন্দুর দাবির প্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য সুকৌশলে দিল্লি পরিকল্পনা নিয়েছে। সারদা-নারদায় তা আগেই বোঝা গিয়েছে। এটা দিল্লির মতো পরিকল্পনা আছে। জম্মুকাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অসহ্য। তবে বিজেপি সিরিয়াস হলে সারদা-নারদায় শাস্তি দিতে পারত। তা করেনি।

এপ্রিল ১৩, ২০২২
রাজ্য

বোমা বন্দুক বেআইনি ভাবে মজুতের ক্ষেত্রে বীরভূমের কেষ্টর গড়ের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই পূর্ব বর্ধমান

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৮ দিনে পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার ৩৬৮টি বোমা ও ৪১টি আগ্নেআস্ত্র , বোমা গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের সংখ্যার বিচারে বীরভূমের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিবেশী পূর্ব বর্ধমান জেলাও। বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বোমা গুলি ও অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর থেকে বীরভূম জেলা পুলিশ যেমন অভিযানে নামে তেমনই অভিযানে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বীরভূম জেলা পুলিশ অভিযানে নেমে চারদিনে উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশী বোমা ও ৩০ কেজির বেশী বোমা তৈরীর মশলা। আর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৮ দিনে অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার করেছে ৩৬৮টি বোমা ও ৩ কেজি বোমা তৈরির মশলা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৪১ টি আগ্নেআস্ত্র ও ৭৭ টি গুলি।বেআইনি ভাবে অস্ত্রসস্ত্র মজুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৫ জন্য দুস্কৃতি। এই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের তর্জা।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষানার দিন রাতেই আগ্নেআস্ত্র সহ দুই দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। এর পর থেকেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে বোমা, গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার হয়েই চলে। অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য পায় কাটোয়া থানার পুলিশ। তারা এক রাতের অভিযানে তিন দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ৪ টি বন্দুক,২৪ রাউণ্ড বন্দুকের গুলি ,১ টি পিস্তল ও ২ রাউণ্ড পিস্তলের গুলি ও ১৬ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে ।ভাতার,দেওয়ানদিঘী ও গলসি থানার পুলিশও ভরি সংখ্যায় বোমা উদ্ধার করে। এইসব থানা গুলি বোমা ও বন্দুক উদ্ধারে সফল হলেও জেলার জামালপুর, মাধবডিহি ও শক্তিগড় থানার পুলিশ তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারে নি।তবে কালনা মহকুমার একাধীক থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশকিছু আগ্নেআস্ত্র, বোমা, গুলি উদ্ধার করেছে। কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ২৯ ও ৩০ মার্চ, এই দুদিন অভিযান চালিয়ে কালনা ,নাদনঘাট ও মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ৬ টি আগ্নেআস্ত্র ও বেশ কয়েকটি গুলি উদ্ধার করেছে। বেআইনি ভাবে আগ্নেআস্ত্র মজুতের অভিযোগে ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব এই বিষয়টিকে পুলিশের সাফল্য বলে দাবী করলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেই পুলিশ একেবারে ম্যাজিকের মত বোমা, গুলি,আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার করে ফেললো। তাহলে এতদিন পুলিশ কি কারণে হেলদোল দেখাইনি সেটা ভেবেই তাঁদের আশ্চর্য্য লাগছে। তবুও এটা প্রকাশ্যে এল যে বোমা বন্দুক বেআইনি ভাবে মজুতের ক্ষেত্রে বীরভূমের কেষ্টর গড়ের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই পূর্ব বর্ধমান।

এপ্রিল ০১, ২০২২
দেশ

দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ যোগীর, পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী

দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার লখনউয়ে অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি-র তারকা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শপথ পাঠ করেন তিনি। যোগীকে শপথবাক্য পাঠ করান উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল।এদিন যোগী আদিত্যনাথ সহ মোট ৫২ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৮ জন পূর্ণমন্ত্রী পদে এবং ৩৪ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী পদে শপথ বাক্য পাঠ করেন। যোগী মন্ত্রিসভায় মহিলা মুখের সংখ্যা ৩ জন। এ বারও যোগীর ক্যাবিনেটে থাকছেন দুজন উপমুখ্যমন্ত্রী। ভোটে হারলেও কেশবপ্রসাদ মৌর্য হলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আবার বিধানসভা ভোটে না লড়েও বিধান পরিষদের দৌলতে উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দীনেশ শর্মা। গত বার ওই পদে থাকা ব্রজেশ পাঠককে এ বার উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৫৫টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় বার শুরু হল যোগীর রাজত্ব।প্রায় ৮৫ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এই সভায় বলিউডের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। স্টেডিয়ামজুড়ে নতুন ভারতের নতুন উত্তরপ্রদেশ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ।বিজেপি শাসিত সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনেকেই উপস্থিত ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের অবনতি কথা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এদিন শপথ গ্রহণের মঞ্চে তাঁকে প্রথমসারিতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও পূর্ণমন্ত্রীরা আলাদাভাবে শপথ নিলেও রাষ্ট্রমন্ত্রীরা একসঙ্গে শথথ বাক্য পাঠ করেন। অক্ষয় কুমার থেকে কঙ্গনা রানাউত, দ্য কাশ্মীর ফাইল্স- এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী থেকে অনুপম খের, এঁদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের তখতে বসার শপথ নিলেন যোগী।

মার্চ ২৫, ২০২২
কলকাতা

ফের মুখ্যসচিবকে ৭ দিন সময় দিয়ে টুইট হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে বাধা-কাণ্ডে আবারও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। আবারও মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দিলেন রাজ্যপাল। এরপরও রিপোর্ট না এলে, তা অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ভাঙা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।বুধবার সকালে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল। তাতে লেখেন, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হল। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়, তার জবাব দিতে হবে। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। যদি তা অমান্য হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়।Re: LOP @SuvenduWB-Netai Martyrs Day programme.CS @MamataOfficial H.K. Dwivedi @IASassociation to comply directives explain defiance in a week.Such treatment of LOP @WBPolice in spite of judicial order reflects Law of ruler, not rule of law and cannot be countenanced. https://t.co/H5rhS4i0SY pic.twitter.com/q96i6dD6MT Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 19, 2022প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতেই গত বুধবারই একটি পোষ্ট করেন রাজ্যপাল। ইস্যু ছিল তলব সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে অনুপস্থিতি। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। পরপর তিন দিন তাঁরা সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ রাজভবনে আসেননি তাঁরা। কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন বয়কট করেছেন, সে প্রশ্ন তুলে দুদিন আগেও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। এদিনও করলেন। বিষয়বস্তু একই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে না আসাটাকে তিনি বয়কট বলেই উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের কথায়, এটি একটি অমার্জনীয় সাংবিধানিক গাফিলতি।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
কলকাতা

অমার্জনীয় সাংবিধানিক অপরাধ করেছেন ডিজি ও মুখ্যসচিব, ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

ফের রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বার বার তলব করা স্বত্ত্বেও রাজভবনে আসেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিপি। তাঁদের ওই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ খুললেন ধনখড়। বুধবার একটি ভিডিও টুইট করেন তিনি। সেখানে তাঁর মন্তব্য, রাজ্যপালকে বয়কট করেছেন মুখ্যসচিব ও ডিজিপি। একাধিক বার তলব করার পরও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না।গত সপ্তাহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরও কেন পুলিশ বাধা দিল তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজিপি-কে তলব করেন রাজ্যপাল। ওই ঘটনায় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ধনখড়ের ডাকে সাড়া দেননি।বুধবার সকালে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাতে তিনি লেখেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। পরপর তিন দিন তাঁরা সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ রাজভবনে আসেননি তাঁরা। কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন বয়কট করেছেন, সে প্রশ্ন তুলে দুদিন আগেও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। এদিনও করলেন। বিষয়বস্তু একই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে না আসাটাকে তিনি বয়কট বলেই উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের কথায়, এটি একটি অমার্জনীয় সাংবিধানিক গাফিলতি।Constitutionally ordained to preserve, protect and defend the Constitution and the law would now ensure that CS @MamataOfficial DGP @WBPolice get into constitutional groove.These officials @IASassociation @IPS_Association have spinally damaged the reputation of top services. pic.twitter.com/ZeYmt62uLi Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 12, 2022রাজ্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, রাজ্যপালের কাজই তো রাজ্যকে উত্যক্ত করা। বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন। আইন অনুযায়ী যা যা করতে হয় রাজ্য তা করছে। সংবিধান অনুযায়ী যেটা করা যায় না, রাজ্যপাল তা করছেন। আবার এটাকে সাংবিধানিক সংকট হিসাবে দেখছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যপালের বিরোধিতা করে আসছে। তারা যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তাতে সংবিধান দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এই অবস্থানের মাধ্যমে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে দিয়েছে তৃণমূল।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
কলকাতা

Dhankhar: কার নির্দেশে এলেন না? ফের মুখ্যসচিব ও ডিজির জবাব তলব রাজ্যপালের

রাজ্যপালের তলব পেয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধান সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজির হননি রাজভবনে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দেশ মেনেই করোনা পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এ বার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে জানতে চাইলেন, কার কাছ থেকে তাঁরা ওই নির্দেশ পেয়েছেন।নেতাইয়ে যেতে না পারায়, অভিযোগ জানিয়ে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে রাজভবনে তলব করেন তিনি। সোমবার, সকাল ১১টার মধ্যে তলব করেছিলেন তিনি। এ দিন ১১টার কিছু আগেই আসতে না পারার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব ও ডিজি।এই চিঠি পাঠানোর পিছনে কার নির্দেশ রয়েছে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিব এবং ডিজি কী ভাবে বৈঠক বাতিল করলেন, তাতে হতবাক তিনি। সোমবারই তাঁদের এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Covid-19 Graph: করোনা ঝড়ে তোলপাড় রাজ্য, ছাড়িয়ে গেল ১৫ হাজারের গন্ডি

করোনা সংক্রমণের ঝড় উঠেছে বাংলায়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৯। ১০ দিন পার করে আজ, বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৫,৪২১-এ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই তুফান এখন থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী আগামি ১৫ দিন রাজ্যবাসীকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ হাবড়া স্টেশনে কেন ভেঙে দেওয়া হল এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালির দোকান?রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবারের বুলেটি অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ১৫,৪২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল ৬২,৪১৩ জনের। পজিটিভিটি রেট ২৪.৭১ শতাংশ। বুধবার একধাক্কায় ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজারের কিছু বেশি। আগামিতে এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে শঙ্কায় চিকিৎসক মহল।আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত মমতারএদিনও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী মহানগরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫৬৯জন। এরপরেই রয়েছে কলকাতা লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২,৫৬০জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাল তুলনামূলক ভালো। এই জেলায় ৭৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায়। হাওড়ায় ১২২৮ জন কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যের অন্য জেলাতেও বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পূর্ব বর্ধমানে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৩৯৪-এ। পশ্চিম বর্ধমানে ৯১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায়। রাজ্যজুড়ে করোনা ঝড় চলছে।আরও পড়ুনঃ শহরে ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করবেন মোদিগত ২৪ ঘন্টায় করেনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। মৃতের সংখ্যাটাও ক্রমশ বাড়ছে। সচেতন নাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। এখন বিধিনিষেধ জারি করে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা চলছে। এরপর কড়া পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না রাজ্য সরকার, এদিনই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কলকাতা

Mamata Bannerjee: ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত মমতার

করোনার দৈনিক বুলেটিন থেকে স্পষ্ট, পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা, করোনার থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ কলকাতা কাবু কোভিডে, ফের খুলছে সেফ হোমএ দিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রশাসনের তরফে চাপ দিয়ে মাস্ক পরানো সম্ভব নয়। নিজেদের স্বার্থে যাতে প্রত্যেকে মাস্ক পরেন সেই অনুরোধই করেন মমতা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে তিনি বলেন, হাতে গ্লাভস পরুন। গ্লাভস না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ছেলেরা যদি বাজারে বা কোথাও বেরোন তাহলে টুপি পরুন, মেয়েরা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। আর অবশ্যই মাস্ক পরুন।আরও পড়ুনঃ শহরে ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করবেন মোদিমমতা এ দিন উল্লেখ করেন, এবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। মৃতের হারও কম। তবে তিনি জানান, প্রয়োজন না থাকলে কেউ যেন হাসপাতালে ভর্তি না হন। তিনি বলেন, অনেকের প্রয়োজন নেই তাও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। লোকাল ট্রেনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রেন না চালালে বলবে ট্রেন বন্ধ রেখেছে। আর ট্রেন চালালে ভিড় হবে। বলুন আমরা কোন দিকে যাব? এগোলেও দোষ, পিছলেও দোষ। তিনি উল্লেখ করেন, জীবন- জীবিকার কথাও ভাবা প্রয়োজন। তাই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য করোনা বিধি তৈরি করেছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুনঃ করোনা উদ্বেগে স্থগিত কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুব প্রয়োজন না থাকলে অফিসে না যাওয়াই ভালো। তিনি নিজেও বাড়ি থেকে কাজ করারই চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে পুরসভার সচিব প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি চান না যে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ুক।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কলকাতা

Governor: বিএসএফ-রাজ্য পুলিশ সমন্বয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ রাজ্যপালের

রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা শনিবার বিকালে রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন সেকথা । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে টুইট করে জানান রাজ্যপাল।প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁদের এই বৈঠক চলে।সম্প্রতি বিএসএফ এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া বিজ্ঞপ্তির পর তা নিয়ে আপত্তি জানান পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। সম্প্রতি দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে মন্তব্য করেন।তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এদিন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন,বিএসএফ-এর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করুন।কলকাতার পুরভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য হিসাবে তাঁর সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার কাছে তাও জানতে চান রাজ্যপাল।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

School Opening: ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে, বড় ঘোষণা মমতার

শিলিগুড়িতে সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে বলেন, পুজোর মরশুম শেষ হতেই, অর্থাৎ ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। তার আগে প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কিছুটা সময় দিতে হবে স্কুলগুলিকে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামোগত কাজ সেরে ফেলতে পারেন। তার পরেই স্কুল শুরু হবে।গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। বন্ধ করা হয় বেশ কিছু পরীক্ষাও। তার পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে একাধিক পরিকাঠামো গত সমস্যা তৈরি হয়েছে স্কুল কলেজগুলির। সেগুলি আগামী কয়েকদিনে যাতে সামলে নেওয়া যায়, তার জন্যও বেশ কিছুটা সময় নির্দিষ্ট করে রাখার কথা বলেছেন তিনি।স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করছে চিকিৎসকমহল। আরও বেশ কিছুটা সময় দেখে নেওয়া উচিত ছিল বলে মত অনেকেরই।আবার অনেকেই মনে করছেন, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
রাজনীতি

Mamata: স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবার অনুপ্রেরণায় ১২-১৩ বছর বয়স থেকে রাজনীতি শুরু, স্মৃতিচারণা মুখ্যমন্ত্রীর

শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণায় ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জীবনের নানা দিকের কথা বললেন খোলামেলা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বাবা যে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন সেকথাও জানালেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে 12-13 বছর থেকে রাজনীতি হাতেখড়ি বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।রবিবার বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা যখন ছোটো থেকে বড় হয়েছি বিবেকানন্দ, নেতাজি ও রবীন্দনাথ ঠাকুরের বই পড়ে। আমিও জীবনে ১২-১৩ বছর থেকে শুরু রাজনীতি শুরু করেছিলাম। এত ছোট বয়স থেকে রাজনীতি কেউ কেরেছে কিনা জানি না। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বাবার কাছে শুনে শুনে একটা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম বলতে পারেন। মমতা কথায়, তারপর থেকে এই সারাটা জীবন পরার হয়ে এলাম। জীবনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে বেঁচে আছি। আমি জীবন্ত লাশ বলেত পারেন। আমার শরীরের কোনও অংশ বাদ নেই যেখানে আঘাত লাগেনি। অস্ত্রোপচার হয়নি। আজও মনের জোরে কাজ করে চলি।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেকথাও বলে ফেলেন মমতা। তিনি বলেন, গত ২০ বছর আমার জ্বর হয়নি। এখন ঠান্ডাটা লাগলে বেশি লাগে। পঞ্চমীর দিন গলাটাই চোকড হয়ে যায়। তবে এরই মধ্য়ে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিতে কেটেছে পুজো। এ শান্তি কোথায় পাবেন। বাংলা ত্রিপুরা হয়ে যায়নি এখনও। আমরা থাকাকালীন কোনও দিন হয়ে যাবেও না। বাংলার সংস্কৃতি আমরাই আগলে রাখব। ত্রিপুরায় গেলেই মাথায় মারো। একে তো মারছে, মারবার পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করতেও দিচ্ছে না। একটা ইনজেকশন দিচ্ছে না। তাঁরা বড় বড় কথা বলে। মানবাধিকারের কথা বলে। কটা হিংসা হয়েছে, নির্বাচনের পরে কটা বিজয় উৎসব হয়েছে, কতজনকে মার হয়েছে হয়েছে উত্তরবঙ্গে। রোজ হিংসার কথা বলছে বিজেপি। ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে দেখো। উত্তরপ্রদেশে চলে যান লোক ঢুকতেই পায় না।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
রাজ্য

By-Election: রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রচারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী, ৭ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ একাধিক সাংসদ

বঙ্গ বিজেপিও চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে স্টার ক্যামপেইনারের তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০ জনের এই তালিকায় বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এছাড়া একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন তালিকায়, রয়েছেন সাংসদ, বিধায়ক ও সংগঠনের কর্তারা।ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারে স্টার ক্যামপেইনার হিসাবে নাম ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেই প্রচারে একদিনও ভবানীপুরে হাজির হননি লকেট। তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টিও হয়েছিল। কুণাল ঘোষের টুইট দেখে রাজনৈতিক মহলের মনে হয়েছিল তাহলে লকেটও কি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন? যে ভাবে বিজেপি থেকে তৃণমূলের দিকে যোগ দেওয়ার ঢল নামছে তা ভাবা খুব স্বাভাবিক। পরে জানা গিয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তারপর যথারীতি দলের কাজ শুরু করেছেন লকেট।আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী সহ একাঝাঁক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে গোসাবা, দিনহাটা, খড়দহ ও শান্তিপুরে। বিজেপির তালিকায় রয়েছেন ১৩ জন সাংসদের নাম, যার মধ্যে ৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেযোগ্য। হেমন্ত বিশ্বশর্মা উপনির্বাচনের প্রচারে আসবেন বাংলায়। উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় তিনি প্রচারে আসতে পারেন বলে খবর। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন বৃদ্ধির কাজ করে চলেছে। সেদিক থেকে ত্রিপুরার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের এরাজ্যে প্রচারে আসাটা গুরুত্বের দাবি রাখে।একনজরে দেখে নেওয়া যাক কারা রয়েছেন বিজেপির স্টার ক্যামপেইনারের তালিকায়- স্মৃতি ইরানী, ডাঃ সুভাষ সরকার, জন বার্লা, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, গিরিরাজ সিং, প্রতিমা ভৌমিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, ডঃ সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল, অমিতাভ চক্রবর্তী, রাহুল সিনহা, দেবশ্রী চৌধুরী, অর্জুন সিং ও মাফুজা খাতুন।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Flood : পূর্ব বর্ধমানে বন্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন অরুপ বিশ্বাস

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য শনিবার আরামবাগে গিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই পূর্ব বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের কথা ডিভিসি কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে। মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বন্যা বলেই অবিহিত করেন। জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।পরে তিনি জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলার অন্যান্য নেতাদের কাছেও বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। এরপর দুপুরে তিনি যান বর্ধমান টাউনস্কুলে। সেখানে জেলার জল প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বোঝাই দুটি গাড়ি নিয়ে এরপর মন্ত্রীরা কাটোয়া মহকুমার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এখানে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের কর্মীরা সর্বত্র বানভাসি মানুষজনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রাজ্যে কোথায় কোথায় সাধারণ মানুষের কী কী ক্ষতি হয়েছে সেইসব প্রশাসনিক বিষয়গুলি প্রশাসনিক স্তরে দেখা হবে। আপাতত দলনেত্রীর নির্দেশে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে অরুপ বিশ্বাস বলেন, রাতের অন্ধকারে একতরফা ভাবে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাটোয়ার বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস কাটোয়ার ভারতীভবন উচ্চ বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে যান। সেখানে বন্যা দুর্গত মানুষের পরিস্থিতি দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষজনকে আশ্বস্ত করে বলেন, কোন অসুবিধা হবে না। উপরে ভগবান। আর নিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন । ত্রাণশিবিরে গিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষদের পরিস্থিতি দেখেন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের শিশুদের হাতে দুধ ও বিস্কুটের প্যাকেট তিনি তুলে দেন। ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় অন্যান্য ফ্লাড সেন্টারেও বন্যা কবলিত পরিবারগুলিকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কাটোয়ার অন্যান্য ত্রাণ শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন ও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিনই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বন্যা দুর্গতদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই নির্দেশও তিনি বিধায়কদের দেন।এদিকে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া কমতেই শনিবার থেকে জেলায় বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় জলস্তর কমেছে দামোদরে। একই ভাবে অজয় নদে জল কমায় ধীরে ধীরে জেলার মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফায় ডিভিসি জলাধার থেকে ৪ লক্ষেল কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছিল। এদিন ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ১লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০০ কিউসেকে নামে। তেনু ঘাট থেকে ১৩ হাজার কিউসেক, মাইথন থেকে ৫০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার হয়। জলাধার থেকে জল ছাড়া কমার সঙ্গে সঙ্গেই অজয় নদের তীরবর্তী মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, লাখুড়িয়া, ঝিলু ১, মাঝিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম ও কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম, পালিটা, নবগ্রাম, বিল্লেশ্বর, তেওরা, চরখি প্রভৃতি গ্রামে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। তবে কাটোয়া ও মঙ্গলকোটের কয়েক হাজার হেক্টর ধান জমি এখনও জলের তলায় রয়ে আছে। কাটোয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে এদিন সকালেও জল বয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে জল কমলেও আউসগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের মানুষজনের দুর্দশা কমেনি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে গিয়ে আউসগ্রামের সাঁতলা, ধুকুর বাগবাটি, বঙ্গপল্লী সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম জলপ্লাবিত হয়ে পড়ে। জল ঢুকে পড়ায় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে কেউ ভয়ে বাঁধে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেন। শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে এখন তাঁরা বিষধর সাপের সঙ্গেই সহাবস্থান করছেন। চিড়ে, গুড় ও জল খেয়েই সেখানে তাঁদের দিন কাটছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের অনেকেরই ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসলও। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান অজিত কুমার মণ্ডল এদিন যদিও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে ।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজ্য

Bye Election: ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথা

তিরিশে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ছাপা সংবাদ মধ্যম থেকে বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এই উপনির্বাচন নিয়ে নানা গালগল্প ও বিশ্লেষন চলছে। সংসদীয় গনতন্ত্রে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি বিষয় হলেও সাধারণত উপনির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্ৰহ ভোঠদাতাদের থাকে না। তাই উপনির্বাচনে ভোটদানের হার কম থাকে। কিন্তু, বঙ্গ রাজনীতিতে ভবানীপুরের উপনির্বাচন এবার অন্য মাত্রা পেয়েছে। তার কারন এই উপনির্বাচনের ফল বলে দেবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পদে থাকবেন কি না।বাংলায় এই নজির অতীতে নেই। তবে ইতিহাস বলছে এমনই এক উপনির্বাচনে বাংলার ভূ-রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারিত হয়েছিল। পাঁচের দশকে নেহেরু সরকার ভাষা ভিত্তিক রাজ্যগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সময় বাংলা, বিহার সংযুক্ত করে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে, পূর্বপ্রদেশ গঠনে প্রস্তুতি শুরু করেন। অখন্ড কমিউনিষ্ট পার্টি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নামে।কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল হয় বাংলা।আরও পড়ুনঃ পূজার ছলে ভুলে থাকিসেই সময় কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা-র মৃত্যু হয়। বাম সমর্থিত সাংসদের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তখন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও কমিউনিষ্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক ছিলেন জ্যোতি বসু। উপনির্বাচন ঘোষণা হতে বিধানচন্দ্র রায় বিধানসভায় জ্যোতিবসুকে বলেন, তোমরা পূর্বপ্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করছ। কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে আমি গনভোট হিসেবে নিচ্ছি। এই উপনির্বাচনে যদি তোমরা জেতো তাহলে আমি তোমাদের মত মেনে নেব। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্ৰহন করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে সেই নির্বাচনে বাম প্রার্থী ছিলেন মোহিত মিত্র। কংগ্রেস রার্থী ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী অশোক সেন।সেই সময় দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পার্টি কংগ্রেস ছিল। কিন্তু উপনির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব থাকায় জ্যোতি বসু পার্টি কংগ্রেসে যাননি। উপনির্বাচনের ফলে অশোক সেন বিপুল ভোটে পরাজিত হন। একই দিনে মেদিনীপুরে খেজুরি কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেসী গড় খেজুরিতেও কংগ্ৰেস হেরে গিয়েছিল। উপনির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। সেদিন কংগ্রেস জিতলে বাংলার ভূ-রাজনীতির চালচিত্র হয়ত অন্য রকম হতো। প্রায় ৬৫ বছর পরে পশ্চিমবঙ্গে আবার একটি উপনির্বাচন নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় আলোড়ন পড়েছে। তবে দুটি উপনির্বাচনে রাজনৈতিক অভিঘাত সম্পূর্ণ আলাদা। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের বিরুদ্ধে বাম ও বিজেপি দুইদল-ই নবীন প্রার্থী দিয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার বিচারে দুই বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে মমতার আসমান-জমিন পার্থক্য থাকলেও একটি সাধারণ অবস্থান রয়েছে। তিনজনেই আইনজীবী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনকে পেশা হিসেবে নেননি। বাকি দুই প্রার্থী পেশাগতভাবে আইনজীবী।বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য(রাজনৈতিক বিশ্লেষক)

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
দেশ

Priest Suicide: আত্মহত্যা না খুন? আখড়া পরিষদ প্রধানের মৃত্যুতে ঘুরছে নানা তত্ত্ব

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরই তিন শিষ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে এক জন তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ।সোমবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্ধার হয় নরেন্দ্রর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে কয়েক দিন আগেই নরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য আনন্দ গিরির ঝগড়া হয়েছিল। আনন্দর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এনে তাঁকে আখড়া থেকে বার করেও দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কী এটা আত্মহত্যা? না কি এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? আরও পড়ুনঃ নভেম্বরে ইডেনে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটতদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঝগড়ার ঘটনার পরে আনন্দ এসে নরেন্দ্রর কাছে ক্ষমাও চান। কিন্তু তাতে তাঁদের সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই রাগে আনন্দ আখড়া প্রধানকে খুন করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। আনন্দ ছাড়া বাকি যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের নাম সন্দীপ তিওয়ারি ও আদ্য তিওয়ারি। তাঁরা আনন্দর সঙ্গে থাকতেন। প্রয়াগরাজ পুলিশের এক আধিকারিক কে পি সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নরেন্দ্রর মৃতদেহের কাছে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে তিনি মানসিক অবসাদের কথা লিখেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আখড়ার দায়িত্ব কে নেবেন সে কথাও লিখে গিয়েছেন তিনি। আধিকারিক আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি খুনের ঘটনাও হতে পারে। আনন্দকে জেরা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সন্ন্যাসী সমাজের অন্যতম বড় সংগঠন হল অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। সেই সংগঠনের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন মহন্ত নরেন্দ্র গিরি। তাঁর এই রহস্যজনক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই সন্ন্যাসীকূলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকবিহ্বল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। টুইটারে এক শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির মৃত্যু আধ্যাত্মিক জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করি যেন তাঁর আত্মাকে তাঁর চরণে স্থান দেন। এই কঠিন সময়ে নরেন্দ্র গিরির শিষ্য ও অনুগামীদের আরও শক্তি দিক।টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ আরও একাধিক রাজনৈতিক নেতা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
শিক্ষা

College Open: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই খুলে গেল বর্ধমানের কলেজ

রাজ্যে এখনও জারি রয়েছে কোভিড বিধি। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড বিধি জারি থাকায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই পুজোর পর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রী এমনটা ঘোষনা করলেও বূহস্পতিবার থেকে খুলে গেল বর্ধমানের এম বি সি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনলোজি। অফলাইনে ক্লাস চালু করার কথা ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রছাত্রীদের Whatsapp গ্রুপের মাধ্যমে কলেজ চালুর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করার জন্য এদিন কলেজে আসতেও বলা হয়। সেই নির্দেশ পেয়ে এদিন সকাল থেকেই বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ক্লাস করতে কলেজে উপস্থিত হয়। যেসব পড়ুয়া দূরবর্তী এলাকার বাসিন্দা তাঁরাও কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে এদিনই কলেজ হোস্টেলে পৌঁছে যায়। পরে তাঁরা জানতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষ হস্টেল ও ক্যান্টিন খোলার কোন অনুমতি দেয়নি।পড়ুয়া রামকৃষ্ণ কর্মকার, বিকাশ মাণ্ডি এদিন বলেন, সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজ খুললে ভাল হত। তাহলে সকল ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে কলেজে আসতে পারতো।বিধিনিষেধের কারণে সব পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় এদিন তাঁদের কলেজ খুললেও অল্পসংখ্যক ছাত্র নিয়েই পঠন-পাঠন শুরু করতে হল কলেজ কতৃপক্ষকে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজোর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হতে পারে বলে জানিয়ে দিলেও এম বি সি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনলোজি একদিনের নোটিসে কীভাবে এদিন থেকে তাঁদের প্রতিষ্ঠান চালু করলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে কলেজের ইনচার্জ উৎপল সামুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Students Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ির দলিল বন্ধক রাখতে বলায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ছাত্র

আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা যাতে থমকে না যায় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।তার মাধ্যমে পড়ুয়ারা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবে। পড়ুয়াদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া এমন উদ্যোগ গোটা দেশের পড়ুয়া মহলে সাড়া ফেলে দেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পড়ুয়ার কাছ থেকে সিকিউরিটি বাবদ বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা রাখার কথা বলায় পণ্ড হতে বসেছে স্টুটেন্ড ক্রেডিট কার্ড চালু করার মূল উদ্দেশ্য। ব্যাঙ্কের জারি করা এমন ফরমানে চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বি-টেক পড়ুয়া আবির মিত্র। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যাতে এমন ফরমান প্রত্যাহার করে নেয় তার জন্য ছাত্র আবির চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও কালনার মহকুমা শাসকের কাছে আর্জি জানিয়েছে। পড়ুয়ার আর্জির কথা জানতে পেরে নড়ে চড়ে বসেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।কালনা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটমিত্র পাড়ায় বাড়ি বি-টেক এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির মিত্রর।তাঁর বাবা ওষুধের দোকানে কাজ করে সামান্য যেটুকে অর্থ রোজগার করেন তা দিয়েই কোনরকমে তাঁদের সংসার চলে। তবুও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবি ছাত্র আবিরের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষিত হওয়া। এখন তাঁর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থই বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করায় লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশার আলো দেখেছিল আবির।পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য আবির ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের রেজিষ্ট্রেশন করে। এরপর সে পড়াশোনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা লোন নিতে চেয়ে বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখায় আবেদন করে। আবিরের অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে দেড় লক্ষ টাকা লোন পাওয়ার জন্য তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা (বন্ধক )রাখতে বালায় সে বিপাকে পড়ে যায়। আবির এদিন জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমন ফরমান যাতে প্রত্যাহার করে তার আর্জি জানিয়ে সে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি লিখেছে।যদিও ওই ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার প্রদীপ অধিকারী এদিন বলেন, লোন নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়। ওই লোন সেন্ট্রাল বর্ধমান থেকে দেওয়া হচ্ছে। জমি, বাড়ি বন্ধক রাখার কথা কাউকে বলা হয়নি বলে প্রদীপ বাবু জানান। কালনা মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওই ছাত্রের লোন পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
রাজ্য

Vinay Tamang: কেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়লেন বিনয় তামাং?

পাহাড়ের রাজনীতিতে বদল। দল ছাড়লেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিনয় তামাং। বৃহস্পতিবার নিজেই এই কথা ঘোষণা করলেন তিনি। দলের সভাপতি পদ তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়েছেন তিনি। এককথায় পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয়পন্থী মোর্চা বলে আর কিছু রইল না। সূত্রের খবর, বিনয় হাত মেলাতে পারেন বিমল গুরুয়েংর সঙ্গে। আরও পড়ুনঃ শ্রীলেখা মিত্র ভাল চুমু খেতে পারেন!মোর্চা নেতা অনীত থাপাকে একটি চিঠি দিয়ে এই পদ ছাড়েন বিনয় তামাং। নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় নিয়েই চিঠি লিখে সবরকম দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। খবর পাওয়া গিয়েছে, পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি গুরুং ও রোশন গিরির কাছে ইতিমধ্যে পাঠিয়েছেন বিনয়। সেই কারণেই আড়াআড়ি বিভক্ত মোর্চার ফের একমঞ্চে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনয়ের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানার পর স্বাগত জানিয়েছেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। পদত্যাগ পত্রে বিনয় তামাং দাবি করেছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর অভ্যন্তরীণ সমীকরণে সমস্যা তৈরি হয়। একই সঙ্গে এই দলের আসল নেতা বিমল গুরুং। তাঁকেই এই দলের পরিচালনা করতে দেখতে চান বিনয়, এমনটাও জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র। কিন্তু, তাঁর রাজনীতি থেকে অবসর না নেওয়ার মন্তব্য অন্য জল্পনার জন্ম দিয়েছে। পাহাড়ের রাজনীতিতে জল্পনা, বিনয় তামাং নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনাও করতে পারেন।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu-Mamata: "২৩৫-এর দম্ভের মতো ২১৩-এর দম্ভ", তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

বামেদের ২৩৫-এর দম্ভ যেন তাড়া করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রাজ্যে ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক, বিধায়ক, আইপিএস, আইএএসরা যুক্ত বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার মূলতুবি প্রস্তাব অধ্যক্ষ বাতিল করে দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহার২০০৬-তে ২৩৫টি আসন পেয়ে বামফ্রণ্ট সরকার বাংলায় ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল। সেই বিপুল জনসমর্থনে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল বামফ্রণ্টকে, বিশেষত সিপিএমকে। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, আমরা ২৩৫, আপনারা ৩০। এভাবেই ক্ষমতা জাহির করেছিলেন তিনি। এবার সিপিএম বা বাম প্রতিনিধি বিধানসভায় শূন্য। সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, সব কথায় ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। ২৩৫-এর দম্ভের মতো ২১৩-এর দম্ভ যদি দেখান, তাহলে বিএ কমিটিতে গিয়ে সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবন্ধকতা আছে। তাই বিএ কমিটির বৈঠকে যাইনি। এটা আমাদের বয়কট নয়। এটা বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ। আরও পড়ুনঃ জেলাশাসক থেকে সফল ব্যবসায়ী, মেধাবী অশ্বিনী এখন দেশের বড় দায়িত্বেভূয়ো টিকা নিয়ে এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। শুভেন্দু সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আজ আমাদের বিধায়ক ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে আলোচনার জন্য মূলতুবি প্রস্তাব দেয়। কেন আলোচনা হবে না ভূয়ো টিকা নিয়ে? ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মূলতুবি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা কর্পোরেশনের পুরপ্রশাসক থেকে একাধিক বিধায়ক, আইপিএস, জনপ্রতিনিধি, ছোট থেকে বড় নেতা সকলেই যুক্ত। তা প্রমাণিত।

জুলাই ০৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal