বাংলা পক্ষ-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার লড়াইয়ের ফলে বড়ো সাফল্য এল। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাংলা পক্ষ কিছুদিন আগেই আসানসোল ও রানিগঞ্জ পোস্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়। আজ পোস্ট বিভাগ বাংলায় পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক দীপায়ন মুখার্জী, আসানসোল উত্তর শাখার সম্পাদক ঋষিক গাঙ্গুলি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সমস্ত ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বীমা পরিষেবায় বাংলা চাই, এই দাবিতে বাংলা পক্ষ-র লড়াই চলছে বাংলা জুড়ে। বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সাফল্য, পুরো বাংলা পক্ষ সংগঠনকে আরও উজ্জীবিত করবে লড়াইয়ের ময়দানে।
প্রায় চল্লিশটি হাতির একটি পাল দামোদর পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে।বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁকুড়ার শালতোড়া জঙ্গল থেকে দামোদর পেরিয়ে প্রায় চল্লিশটি হাতির দল পূর্ব বর্ধমানের গলসির রামগোপালপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। পিছনে আরো একটি হাতির দল রয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রের খবর। হাতির দলটিতে দাঁতাল পুরুষ হাতির পাশাপাশি রয়েছে মহিলা ও শিশু হাতিও। দলটি গলসি এলাকায় প্রচুর ধানের জমি নষ্ট করে দিয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। এত বড় একটি হাতির দলকে কি করে বাগে আনা যায় তা ভাবতেই ঘাম ছুটেছে বনদপ্তরের কর্তাদের। হাতিদলটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে হুলা পার্টি ও কুনকি হাতির সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে বর্ধমান রেঞ্জের বনদপ্তর সূত্রের খবর।গলসির পর এবার আউশগ্রামের নওয়াদা ও বিল্বগ্রামের মাঠে হাতির পালটি রয়েছে। প্রচুর ধানের জমির ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় গিয়েছেন বনকর্মীরা। নওয়াদা গ্রামে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। বনকর্মীরা এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষজনকে সর্তক করছে বলে খবর।স্থানীয় মানুষজন জানান, এদিন ভোর বেলায় গলসির সিংপুরে ওই হাতির দলটিকে প্রথম দেখতে পান তারা। তাদের দাবি, এলাকার বিঘার পর বিঘা পাকা ধান মাড়িয়ে দিয়ে তাদের লোকসানের মুখে ফেলে দিয়েছে হাতির দলটি। মূলত রাতের দিকে দলটি বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পেড়িয়ে গলসির কাশীপুর, শিল্লা হয়ে শিড়রাই চলে আসে। তারপর ভোর নাগাদ পোতনা হয়ে সিংপুরের মাঠে চলে আসে। তখনই নজরে আসে সাধারণ মানুষের। তারপর গলিগ্রাম বনসুজাপুর উচ্চগ্রাম কুতররুকী হয়ে খড়ি নদী পেরিয়ে আউশ গ্রামের দিকে চলে যায়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, হাতির পালটি আউশগ্রামের সরগ্রামে রয়েছে।
বেশ কয়েকমাস ধরেই শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্ধমান হাসপাতালেও প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। চলতি মাসে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। সব থেকে খারাপ অবস্থা ছয় মাসের নীচের শিশুদের। বর্ধমান হাসপাতালে মারা যাওয়া নয় শিশুর প্রত্যেকের বয়স ছয়মাসের নীচে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একটি এ আর আই ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে ।আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ১২০ শয্যার জেনারেল ওয়ার্ড ছাড়াও , হাসপাতালে খোলা হয়েছে ৬৫ শয্যার এ আর আই ওয়ার্ড। বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা প্রায় ১৩০৷ যার মধ্যে অর্ধেকের বয়স ছয়মাসের নীচে৷ হাসপাতালের শিশু বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে সবথেকে সমস্যায় সদ্যোজাত শিশুরা। শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জানান, সদ্যোজাত শিশুরা সাধারণ ঠান্ডা লাগার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে এবং জটিল আকার ধারণ করছে। যদিও পরিস্থিতি হাতের নাগালেই আছে বলে দাবি শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ নায়েকের। তিনি বলেন, চলতি মাসে প্রায় ১২০০ শিশু ভর্তি হয়েছিল। নয় জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। ওষুধ অক্সিজেন, বেড পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আরও একটি ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব।প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতির সভার আগেই তাঁদের সামনেই তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহরে। দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দলের কর্মীরা। সভার শুরুর আগেই ভাঙচুর করা হয় চেয়ার টেবিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। আরও পড়ুনঃ বর্ষা বিদায়ের আগাম সুখবর শোনাল হাওয়া অফিসএদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলের একাংশ বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ ও দাঁইহাট নগর কমিটির সভাপতি অনুপ বসুকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দুই নেতাকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কৃষ্ণ ঘোষ ও অনুপ বসুর মতন নেতাদের জন্য একুশের নির্বাচনে ফল খারাপ হয়েছে বিজেপি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর ওই নেতারা কর্মীদের কোনও খোঁজখবর রাখেনি। সেই ক্ষোভেই এদিন ওই দুই নেতার পদত্যাগের দাবি জানান দলের কর্মীদের একাংশ।জানা গিয়েছে, শুক্রবার পূ্র্ব বর্ধমানের দাঁইহাটের বাগতিকর এলাকায় বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কার্যালয় অফিসে বিশেষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের। আলোচনা সভার পর বিকেলে নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সম্বর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ সেখানে পৌঁছনোর আগেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
অজয় নদের জলে প্লাবিত হল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে। রাতে ভেদিয়ার সাঁতলা গ্রামের অজয় নদের বাঁধে ফাটল বিশাল আকার ধারণ করে। এই মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে অজয়ের জল সাঁতলা বাগবাটি-সহ চার পাঁচগ্রামকে প্লাবিত করেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিঘের পর বিঘে ধানের জমি জলের তলায়। ফলে চরম বিপদ শঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা।এদিকে, শুক্রবার সকাল পরিস্থিতির আরও অবনতি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম বহু অংশ প্লাবিত হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঘর হারানো মানুষজন একটু ডাঙার খোঁজে উত্তাল নদীর স্রোতের মধ্যে দিয়েই সাঁতরে চলেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলছে। প্রাণহানি নিয়েও আশঙ্কায় প্রশাসন। সাতসকালে মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর, মালিয়ারা ও গণপুর তিনটি গ্রামের কাছে অজয় নদের বাঁধ ভেঙেছে। বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে আউশগ্রামের সাঁতলাতেও। জলবন্দি বেশকিছু গ্রামের মানুষ। আউশগ্রামের সাঁতলায় অজয়ের বাঁধ ভেঙেছে। তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। আউশগ্রামের সাঁতলা গ্রাম থেকে সাঁতরে বেরিয়ে এসে বাঁচার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বাঁকুড়ার পরিস্থিতিও তথৈবচ। জলের তীব্র স্রোতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে পাত্রসায়ের, সোনামুখীর বহুলাংশ প্লাবিত। গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদী ফুঁসছে। দ্বারকেশ্বরের জলে হুগলির আরামবাগ, গোঘাট-সহ একাধিক ব্লক জলমগ্ন। উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী।অন্যদিকে, বানভাসী হুগলিও। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে আরামবাগে। একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে দফায় দফায় ডিভিসি-র ছাড়া জল আবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ সব মিলিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী ও দামোদর নদী । কোথাও বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে জল ঢুকছে। তার মধ্যে রয়েছে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট ও পুরশুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও নিচু এলাকার মানুষদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পুরশুড়াতেও বিপদ বাড়িয়েছে ডিভিসির ছাড়া জল।দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী নদীও বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যেই প্রায় দুই লক্ষ্য কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। যদিও এখনও ডিভিসির ছাড়া জল মুন্ডেশ্বরী দিয়ে খানাকুলে এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু ডিভিসির জল খানাকুলে এসে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে এবং সমস্ত বন্যা পরিস্থিতিকে ছাপিয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ২ মাসে আরামবাগ মহকুমা পরপর তিনবার বন্যার সম্মুখীন হলো। সব মিলিয়ে বড় সড় বন্যা পরিস্থিতির আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা আরামবাগ মহকুমার মানুষ। জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আজ সকাল থেকে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গতকাল এই জল ছাড়ার পরিমাণ ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি ছিল। নিম্নচাপ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে। তাই ধীরে ধীরে কমছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। নতুন করে নিম্নচাপ না হলে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আজকে অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করছে সেচ দপ্তর।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি জারি করে ২০২১-২২ স্নাতকস্তরের আবেদনপত্রের জমা করার তারিখ ২০.৮.২১ থেকে বাড়িয়ে ২৭.৮.২১ করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন করা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে। পরবর্তী সময়ে কলেজগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়ছে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ৩ বছর। পুরনো পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীতেই কাজ চলছিল। এর মধ্যে কোনও পুর নির্বাচন হয়নি। অবশেষে বর্ধমান পুরসভার এই অচলাবস্থা কাটতে চলেছে। মঙ্গলবারই পাঁচ সদস্যের কমিটি নিয়ে গঠিত হল বর্ধমান পুরসভার নতুন প্রশাসক মণ্ডলী। বর্ধমান পুরসভার নতুন প্রশাসক হলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়। আরও পড়ুনঃ গেষ্ঠীকলহের জেরেই কি জেলার শীর্ষে বর্ধমান শহরের কারও স্থান হয়নি? সরানো হল দুই যুব নেতাকেওকমিটিতে স্থান পেয়েছেন বাম আমলে বর্ধমান পুরসভার পুরপিতা আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার পুরপতি হিসেবে দীর্ঘসময় দায়িত্বে ছিলেন। প্রশাসকের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, একসময়ের বাম-তৃণমূলের দুই বিপক্ষ শিবিরের দুই যযুধান প্রতিপক্ষ এবার একই পক্ষে। সহ প্রশাসক মণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন আলপনা হালদার ও আইনুল হক, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হয়েছেন ডাঃ শঙ্ঘশুভ্র ঘোষ ও উমা সাঁই। প্রসাশক পদে দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রণব চট্টোপাধ্যায় জানান, আগে আমি পুরসভার দায়িত্বে ছিলাম। নতুন করে কিছু বলার নেই। সবে দ্বায়িত্ব পেয়েছি, সব জায়গা ঘুরে কাজ বুঝে যা বলার বলবো। অন্যদিকে, দায়িত্ব পাওয়ার পর আইনুল হক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেন, আমরাও মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পরামর্শ মত বর্ধমানে উন্নয়নের কাজ করবো।
আন্তজার্তিক ধান গবেষণায় বড় সুযোগ পেয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের আকাশ দত্ত। ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন আকাশ। এশিয়া মহাদেশে এই ধান গবেষণার জন্য মধ্যে মাত্র ২ জন সুযোগ পেয়েছেন। আকাশ যার মধ্যে অন্যতম।আরও পড়ুনঃ করোনায় প্রাণ গিয়েছে ২,৯০৩ জন রেলকর্মীরওডিশার শিক্ষা ও অনুসন্ধান কলেজ থেকে এগ্রিকালচার নিয়ে স্নাতক করার সময়ই স্বপ্ন বোনা শুরু। এরপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতকোত্তর করার পরই বিভিন্ন জায়গায় গবেষণার জন্য আবেদন জানাতে শুরু করেছিলেন। অবশেষে সুযোগ আসে। ১০০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ইলিওনিস, আর্বানা শ্যাম্পেইনে গবেষণার সুযোগ আসে। জনতার কথা-র সঙ্গে আলাপচারিতায় আকাশ জানান, মূলত উন্নতমানের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি। ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ও খরাপ্রবণ এলাকায় যাতে কম জলে, কম সময়ের মধ্যে ধান গাছের জেনেটিক্স ম্যানিপুলেশন ঘটিয়ে ভালো ফলন করা যায়, তাই তাঁর এই স্বর্ণ ধান গবেষণার বিষয়।মূলত, পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন হয় এমন ধান নিয়েই গবেষণা করতে চান বর্ধমানের তরুণ। এছাড়াও, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো জায়গাতে এই ধরনের ধানেরই মূলত চাষ হয়ে থাকে বলে জানান আকাশ। ফলে তাঁর এই গবেষণায় শুধু রাজ্য নয়, উপকৃত হতে চলেছে সারা দেশও।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনআন্তজার্তিক ক্ষেত্রে আকাশের এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসীত তাঁর পরিবারের সদস্য, পাড়া প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবেরাও। আপাতত বিদেশযাত্রার তোড়জোড় চলছে বর্ধমানের বাড়িতে। গত জুন মাসে গবেষণার সুযোগ পাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে উৎসবের পরিবেশ।অগস্ট মাসেই সম্ভবত আকাশের স্বপ্নের উড়ান শুরু হতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গর্ব।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির দুই কর্মী। ধৃতদের নাম মুক্তিপদ কোলে ও চরণ দাস। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বেরুগ্রাম অঞ্চলের হৈবতপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। জামালপুর থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার জেরে হৈবতপুর গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সেখ আব্দুস সালাম যদিও দাবি করেছেন, ধৃত দুইজনই তৃণমূলের কর্মী। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁদের বিজেপি কর্মী তকমা দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ গুগল পিসেমশাই জন্মদিনের তারিখ ভুল বলছে মনামীরপুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অঞ্জনা দলুই সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। অভিযোগ সেই সময় বিজেপির লোকজন রড, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধর করা হয়। চোখে আঘাত লাগলে তিনি সংজ্ঞা হারান। তাঁর সোনার হার, কানের দুল ও মোবাইল খোয়া যায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় দলের কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে ওই রাতেই অঞ্জনা দলুই জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপির দুজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তকারী অফিসারের কাছে সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা এবং অভিযোগকারী ও ঘটনার সাক্ষীদের ভীতি প্রদর্শন না করার শর্তে সিজেএম ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
পঞ্জিকার সময় সারণি মেনেই প্রতিবছর দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। কিন্তু শতাধিক বছরকাল ধরে রথযাত্রা উৎসবের পরের দিন গোঁসাই মতে ব্যতিক্রমী রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমান জামালপুর থানার সেলিমাবাদ গ্রামে। এ বছরও মঙ্গলবার সেলিমাবাদ গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাল গোপাল জীউ- এর রথযাত্রা। হিন্দু, মুসলিম-সহ সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষজন সামিল হন সেলিমাবাদ গ্রামে হয়ে আসা এই রথযাত্রা উৎসবে। এককালের সম্রাট সেলিম খানের আস্তানা সেলিমাবাদ গ্রামে হয়ে আসা এই রথযাত্রাই আজ জেলায় সম্প্রীতির রথযাত্রা উৎসব হিসেবে পর্যবসিত হয়েছে। সেলিমাবাদ গ্রামের প্রবীণ নাগরিকরা জানান, কথিত আছে সম্রাট সেলিম খান বহুকাল পূর্বে আরামবাগ থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন। দামোদরের বাঁধ ধরে যাওয়ার সময়ে পথে তাঁদের গ্রামের বাল গোপাল জীউর মন্দির সংলগ্ন জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে তিনি আশ্রয় নেন। পরে পাকাপাকিভাবে তিনি সেখানেই তাঁর আস্তানা গড়ে তোলেন। সেলিম খানের নাম অনুসারে পরে পরবর্তী সময়ে গ্রামটি সেলিমাবাদ গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। আরও পড়ুনঃ রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বালকের ইতিহাস ও পুরাতত্ত্বের কাজে যুক্ত জামালপুর থানা এলাকার বাসিন্দা পূরবী ঘোষ জানান, প্রবাদ আছে, এই গ্রামেই সম্রাট সেলিম খান খালি হাতে বাঘ মেরেছিলেন। কবিকঙ্কন মুকুন্দরামে চণ্ডীমঙ্গল কাব্যেও সেলিমাবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে বলে পূরবী ঘোষ জানান। তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে,শের আফগানকে হত্যা করার পর তার পত্নী মেহেরুন্নিসাকে সেলিমাবাদ গ্রামের দুর্গা লুকিয়ে রেখেছিলেন সেলিম খান। পরবর্তীকালে এই মেহেরুন্নিসাই নুরজাহান নামে পরিচিত হয়েছিলেন। একইভাবে সম্রাট হওয়ার পর সেলিম খান পরিচিত হয়েছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীর নামে। বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে পূরবী ঘোষ আরও জানান, একদা সেলিমাবাদ গ্রামে হিন্দু ও জৈন এই দুই ধর্মের যথেষ্ট প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। সেই থেকে সেলিমাবাদ গ্রামটি বহু সুপ্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে আসছে ।এই সেলিমাবাদ গ্রামের মাঝেই রয়েছে বাল গোপাল জীউ মন্দির। মন্দির তৈরির পিছনেও রয়েছে এক প্রাচীন ইতিহাস। জানা গিয়েছে, বহুকাল পূর্বে সেলিমাবাদ গ্রামে বসতি করেছিলেন বৈষ্ণব সাধক দ্বীজবরদাস বৈরাগ্য ও তার স্ত্রী দয়ালময়ী দাসী। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শক্তিপদ সাঁতরা জানান,১৯১৮ সালের পরবর্তী কোন এক সময়ে সেলিমাবাদ গ্রামে এসে সস্ত্রীক বসবাস শুরু করেন দ্বীজবরদাস বৈরাগ্য। ওই বৈষ্ণব সাধক দ্বীজবরদাস বৈরাগ্য নিজের বাড়ির সামনেই মন্দির গড়ে তোলেন। সেই মন্দিরেই তিনি রাধাকৃষ্ণ ও গোপাল ঠাকুরের বিগ্রহের পুজোপাঠ শুরু করেন। তিথি মেনে হওয়া রথ উৎসবের পরের দিন সেলিমাবাদ গ্রামের রথযাত্রা উৎসবের সূচনা দ্বীজবরদাস বৈরাগ্য নিজেই করেছিলেন। সেই প্রথা মেনেই আজও রথের পর দিন রথের পুজোপাঠ সম্পন্ন করে আসছে সেলিমাবাদের বাল গোপাল জীউ সেবা সমিতি। আরও পড়ুনঃ অনিবার্য তৃতীয় ঢেউ, সতর্ক করল আইএমএশক্তিপদ বাবু জানান, পুরীর রথে জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের পুজোপাঠ হয়। রথের দিন এই তিন দেবতার বিগ্রহ রথে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের মাসির বাড়িতে। কিন্তু সেলিমাবাদ গ্রামের রথে রাধাকৃষ্ণের প্রস্তর মূর্তি এবং অষ্টধাতুর গোপাল মূর্তির পুজো হয়। তিথি মেনে হওয়া রথযাত্রা উৎসবের পরের দিন সকাল থেকে সেলিমাবাদ গ্রামের বাল গোপাল জীউ মন্দিরে এই তিন দেবতার পূজা পাঠ শুরু হয়। ভক্তদের প্রসাদ ও ভোগ বিতরণ শেষে বিকালে কাঠের তৈরি প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার রথে রাধাকৃষ্ণ মূর্তি ও গোপাল মূর্তি চাপিয়ে গ্রামের রাস্তা ধরে নিয়ে যাওয়া হয় দামোদরের ধারের মাসির বাড়িতে। মাসির বাড়িতে যাওয়ার পথে এই গ্রামের রথে রশিতে টান দেন সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষজন।
ভোররাতে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বর্ধমানের গ্রাম। উড়ে গেল বাড়ি। বোমা ফাটার বিকট আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এই ঘটনায় জখম হয়েছে তিনজন। তাঁদের ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মনে করছে, সম্ভবত বাড়িতেই মজুত করা ছিল বোমা।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাণেশ্বরপুর গ্রামে। এদিন বিস্ফোরণে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, ভোর ৩ টে নাগাদ গ্রামবাসীরা বিকট আওয়াজ শুনতে পান। আওয়াজ শুনে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন। তাঁরা দেখেন লালচাঁদের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাড়ির ধ্বংস স্তূপের নীচে চাপা পড়েছিলন লালচাঁদ ও তার বাবা-মা। প্রতিবেশীরা ওই তিনজনকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভাতার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ স্প্যানিশ তারকা এডু গার্সিয়াকে ছেড়ে দিচ্ছে এটিকেমোহনবাগানপুলিশের অনুমান, বাড়িতে রাখা বোমা ফেটে এই কান্ড ঘটেছে। ইতিমধ্যে লালচাঁদ ও তাঁর বাবাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু মা, ছেলে-সহ তিনজনের। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কালনা-দেবীপুর রোডের পলতা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১১ জন। তাঁরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর,পাণ্ডুয়ার পায়রা চাঁদাইপাড়ার আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে মেমারি থানার বুলবুলিতলা সংলগ্ন এলাকায় বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিন সকালে তারা সকলে ট্র্যাক্টরে চড়ে পাণ্ডুয়া ফিরছিলেন। পথে মেমারির পলতা গ্রামের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা নিয়ন্ত্রণহীন একটি মালবাহী গাড়ির সঙ্গে ট্র্যাক্টরটির সংঘর্ঘ হয় । সংঘর্ষের পরেই যাত্রীসমেত ট্র্যাক্টরের ট্রলিটি সড়কপথে উল্টে যায় । এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রুপালি বাস্কে। ঘটনার জেরে দেবীপুর- কালনা রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জখম অবস্থায় সড়কপথে পড়ে থাকা বিয়ে বাড়ির ১৩ জন যাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সবাইকে পাঠানো হয় বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় জখম এক নাবালক ও নাবালিকার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ি পুলিশ সড়ক পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর দেবীপুর কালনা রোডে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,মালবাহী গাড়ির চালক গাড়ি চলাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়াতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে । দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মালবাহী গড়ির চালককে আটক করেছে ।
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া সত্ত্বেও ফাইনাল সার্টিফিকেট চলে এসেছে বর্ধমানের এক বাসিন্দার। কোউইন অ্যাপ (CoWin App) থেকে ডাউনলোড করে এমন সার্টিফিকেট পাওয়ার পরেই কার্যত চোখ কপালে উঠে গিয়েছে শহর বর্ধমানের টিকরহাটের বাসিন্দা উত্তম সাহার। এমন সার্টিফিকেট আসার পর আর দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন কিনা তা নিয়েই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন উত্তম বাবু। বিষয়টি নিয়ে তিনি সোমবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উত্তমবাবুর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক।আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছুটির ঠিকানা সিঙ্গিবর্ধমানের সরাইটিকরের বাসিন্দা বছর ৫৭ বয়সী উত্তম সাহা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, গত ৬ এপ্রিল তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজের টিকা নেন বর্ধমান পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তারপর সম্প্রতি তিনি কোউইন অ্যাপ থেকে ওই প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করেন । তখনই তিনি জানতে পারেন ২৯ জুন থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। তার জন্য কয়েকদিন আগে তিনি কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে শ্লট বুকিং করেন। তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের অধীন দুর্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার স্লট বুকিং দেওয়া হয়। উত্তম বাবু বলেন, যেহেতু তিনি ডায়াবেটিক রোগী তাই মেমারি যেতে চাননি।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরকোউইন (CoWin) অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং ক্যানসেল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তা পারেননি। ৩ জুলাই মেমারিতে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিতে যেতেও পারেননি। উত্তমবাবু জানান, তিনি দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিতে যেতে না পারলেও তাঁর মোবাইলে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট চলে আসে। সেই সার্টিফিকেট কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে বলে উত্তম বাবু দাবি করেন।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেউত্তম বাবুর অভিযোগ পাওয়ার পর জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, প্রযুক্তিগত সমস্যায় এমনটা ঘটছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার স্লট বুকিং থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ফাইনাল সার্টিফিকেট চলে আসছে। তবে ত্রুটি সংশোধন করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মঙ্গলবার উত্তম সাহার দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের আগে কাটমানি ইস্যুতে জোর তরজা চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে কাটমানি ইস্যু কিছুদিন ধামাচাপা থাকলেও ভোট পরবর্তী সময়ে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিষয়টি। আর তা নিয়ে তোলপাড় বর্ধমানের গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ নিজেই কাটমানি নেওয়ার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। এমনকী, দল চালাতে যে টাকার প্রয়োজন হয়, তা এই কাটমানি থেকেই আসে বলে দাবি তাঁর। স্বয়ং পঞ্চায়েত প্রধানের এমন মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দল চালানোর জন্য কাটমানির প্রয়োজন হয়না। এরকম মন্তব্য একেবারেই ভুল। কিন্তু কেউ যদি দলের নাম করে কাটমানি নিজেদের পকেটে ঢোকাতে চায়, তার প্রমাণ পাওয়া গেলে, দল তার বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা করবে। আরও পড়ুনঃ যানযন্ত্রনা অব্যাহত শহরে, অমিল বেসরকারি বাসগত কয়েকদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ২৯ জুন অর্থ উপসমিতির সভায় এই বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ঝামেলাও বাধে।পঞ্চায়েত প্রধান নিজে দল চালানোর খরচের জন্য কাটমানির কথা স্বীকার করে নেওয়ায় প্রধান-উপপ্রধান তরজা এখন চরমে। উপপ্রধান বিমল ভক্তর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ সরকারি টেন্ডার অফ লাইনে করতে চাইছেন। গত ১৭ ই জুন বেলা বারোটায় এলাকার গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ঢালাই রাস্তা, নর্দমা, পুকুরঘাট তৈরির টেন্ডার ডাকার বিষয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে ঠিক করা হয় ই-টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া চালু করা হবে। কিন্তু তার পরেও টেন্ডার নোটিস জারি করেননি পঞ্চায়েত প্রধান। উপপ্রধান বিমল ভক্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অফলাইন টেন্ডার হলে কিছু নেতা সুবিধা পাবে। কিছু ঠিকাদার বিনা প্রতিযোগিতায় বরাত পেয়ে যাবে। যেখান থেকে কিছু কাটমানি নেওয়া হবে। সেই টাকাতে দলের নেতাদের পকেট ভরাতে পারে।অনলাইনে করলে সেটা হবে না। সেকারণেই তিনি প্রধানকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন।দলের স্বচ্ছতার স্বার্থে বিষয়টি দেখা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ সাফাই দিয়ে বলেন, দল চালাতে টাকা নেওয়া হয়।সেটা সবাই জানে।এক্ষেত্রে সেটা কাটমানি নয়। ঘরের জন্য কারুর কাছ দশ-বিশ হাজার নিলে সেটাই কাটমানি। তাছাড়া কাজের গতি আনতে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণের জন্য আবার মিটিং ডাকা হয়। বিডিও সাহেব বলছিলেন অনলাইন করলে কাজটা দেরি হতে পারে। দ্রুত গতিতে কাজের জন্য অফলাইনের কথা বলেছিলেন তিনি। যদি্ও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিডিও সঞ্জিত সেন। তাঁর দাবি, এই ধরনের কোনও কথাই তিনি বলেননি। আরও পড়ুনঃ ফলের রাজার রাজকীয় গুণাগুণএদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নিয়ে বর্ধমানে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এত ছোট স্তরের বিষয়গুলো তাদের কাছে আসে না। এগুলো সভাধিপতি বা জেলাশাসকের বিবেচনার ব্যাপার। তবে যদি তাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসে, তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে পঞ্চায়েত প্রধানের পদও চলে যেতে পারে।
হুল দিবস উপলক্ষে পূর্ব-বর্ধমান জেলার মেমারির চোটখণ্ড গ্রামে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এদিন সিধু-কানহুর নতুন মূর্তিও উন্মোচন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিখা রায়, সভাপতি শেখ সাঈম, অর্ক ব্যানার্জি, সন্দীপ প্রামাণিক, মেমারি শহর তৃণমূল যুব সভাপতি সৌরভ সাঁতরা, মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত (গুটেন) প্রমুখরা। আরও পড়ুনঃ Euro 2020: ২৫ বছর আগের যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিলেন স্টারলিং ও হ্যারিকেনসিধু-কানহুর পুর্নাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুশীল মূর্মু। তৃণমুল কংগ্রেসের চোটখণ্ড গ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি পল্লব সিংহরায় জনতার কথাকে জানান, মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক ইচ্ছায় আজ চোটখন্ড গ্রামে বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে হুল দিবস পালিত হল। তিনি চোটখন্ড খেরওয়াল সুসৌর গাঁওতার শিল্পী বৃন্দ সহ সমস্ত অংশগ্রহণকারী সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন অনুষ্ঠানটিকে সফল ভাবে চালিত করার জন্য। বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্য তাঁর ছোট্ট বক্তব্যে হুল দিবসের গুরুত্ব ব্যখা করেন। এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন সেগুলি তুলে ধরেন।আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড় হবে আইল্যাশ, কীভাবে ? জেনে নিনউল্লেখ্য, হুল দিবসকে ভারতের প্রথম গণসংগ্রামের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতের ইতিহাসে প্রথম গণ পদযাত্রার দিন হিসেবেও অভিহিত করা হয় এই দিনটিকে। ভারতের দুই অমর বীর সিধু মুর্মু ও কানহু মুর্মু আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর সামনে বুক চিতিয়ে স্বাধীনতা লড়াই লড়েছিলেন। আজও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধায় এই দিনটিকে স্মরণ করা হয়। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল কৃষক বীরভূমের ভগনডিহি থেকে কলকাতার দিকে পদযাত্রা করেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে এটিই প্রথম গণপদযাত্রা। এই গণঅভ্যুত্থানই পরবর্তীকালে সাঁওতাল বিদ্রোহের আকার নেয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসায় অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে আসেন মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই ও তাঁর টিম ।পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও নদিয়া থেকেও নির্যাতিতরা বর্ধমান সার্কিট হাউসে এদিন হাজির হয়েছিলেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত তিনি মোট ১৭২ জনের সঙ্গে কথা বলেন । অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ, ফোন নম্বর, ঠিকানা কমিশনের সদস্যরা নথিবদ্ধ করেন। আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনএদিকে অভিযোগ নথিভুক্তকরণ চলার মাঝেই কয়েকজন অত্যাচারিতা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে চাওয়ায় তাঁদের নানারকমভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছ পুলিশের তরফে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই সার্কিট হাউসের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিশ কর্তাদের সামনে হাজির হন রাজুলবেন এল দেশাই । স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে কোনও না কোনওভাবে তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা শুধু নজরদারি করুন। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার কামনাশীস সেনের যদিও দাবি, পুলিশ কাউকে আটকায়নি। তবে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই আরও বলেন, অত্যাচারিতদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। এটা গোপন ব্যাপার। হাইকোর্টে এর রিপোর্ট জমা করতে হবে।
অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে গাছের পর গাছ কেটে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।গাছ কাটার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সোমবার পঞ্চায়েতের একাংশ সদস্য, ব্লকের বিডিও,পঞ্চায়েত প্রধান -সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তারা । জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের চারজন সদস্য এদিন জানান, তাদের পঞ্চায়েত এলাকায় দামোদরের উপরে রয়েছে হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতু।জামালপুরের দিক থেকে সেই সেতু পেরিয়ে কালাড়াঘাট হয়ে রায়না যাওয়ার জন্যে রয়েছে পূর্ত দপ্তরের সড়কপথ।সেই সড়কপথে কালাড়াঘাটের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের পর থেকে উচিতপুরের আগের সেতু এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে অনেক পুরনো গাছ রয়েছে। এই গাছ কাটার জন্যে বন দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে লিখিত কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। গাছ কেটে বিক্রি সংক্রান্ত কোনও টেন্ডারও পঞ্চায়েত করেনি। অথচ বিগত ৪- ৫ দিনে পূর্ত দপ্তরের সড়ক পথের দুই ধারে থাকা প্রকাণ্ড ও মূল্যবান প্রায় ৪০ টি গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হয়েছে । পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের সদস্যরা। আরও পড়ুনঃ ভগবানের সুরের ভাঁজে হৃদয় ভিজছে সকলেরঅভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য হারাধন পাত্র ও সঞ্চয়িতা বাগ এদিন বলেন,বিগত ২০-২৫ দিনের মধ্যে বজ্রপাতে জামালপুর ব্লকের ৭ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃক্ষ ঘাটতি ও দূষণ বৃদ্ধি মূলত কোনও এলাকায় বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ। এইসব জানার পরেও খোদ পঞ্চায়েত কর্তাদের পরিচালনাধীনে বেআইনিভাবে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। এই অপরাধ যারা করছেন তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত । জামালপুরের শুড়েকালনা নিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা প্রদীপ পাল বলেন,পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ যুক্তি সংগত।এই বিষয়ে প্রদীপ পাল বলেন, পূর্ত দপ্তরের সড়ক পথের ধারে থাকা গাছ কাটার ব্যাপারে জামালপুর ২ পঞ্চায়েত কোনও নিয়মকানুন মানার তোয়াক্কা করেনি।যারা এই কাজে যুক্ত রয়েছে তাদের সবার শাস্তি হওয়া দরকার। প্রদীপ পাল আরও বলেন, সরকার স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েত চালানোর কথা বলেলেও জামালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য না হওয়া কয়েকজন ব্যক্তি এখন পঞ্চায়েতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়েছেন। ওইসব স্বার্থান্বেষীদের অঙ্গুলি হেলনেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েতের পরিচালনাধীনে বেআইনি কাজকর্ম হচ্ছে। তার প্রতিবাদস্বরূপ মঙ্গলবার জামালপুর ২ পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে বলে প্রদীপ পাল জানিয়েছেন। আরও পড়ুনঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে দেবাঞ্জনকে জঙ্গিদের থেকেও ভয়ঙ্কর বললেন মুখ্যমন্ত্রী সদস্যদের আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান উদয় দাস বলেন,পঞ্চায়েতের ওই এলাকায় ৩৪ টি গাছ কাটার ব্যাপারে চলতি জুন মাসের ১১ তারিখে একটি রেজোলিউশন হয়। কিন্তু গাছকাটা সংক্রান্ত সব নিয়ম মানতে না পারার কারণে এই ব্যাপারে আর এগনো হয়নি। তবে ওই গাছগুলোর পাহারাদার অর্থাৎ পাট্টাদার নিমাই মালিক নিজে দায়িত্ব নিয়ে গাছগুলি সম্প্রতি কেটেছেন। গাছ কেটে বিক্রি করে নিমাইবাবু ৩৫ হাজার টাকা এদিন পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিয়ে গিয়েছেন বলে উদয় দাস জানান। কিন্তু পঞ্চায়েত-সহ অন্য সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিত অনুমতি না নিয়ে একজন পাহারাদার কিভাবে পূর্ত দপ্তরের সড়কপথের ধারে থাকা গাছগুলি কেটে বিক্রি করলেন তার কোনও উত্তর উপ- প্রধান এদিন দিতে পারেননি। বেআইনিভাবে গাছ কেটে বিক্রি করার অর্থ পঞ্চায়েত কেন গ্রহণ করলো ? এর উত্তরে উপ -প্রধান বলেন, তিনি পঞ্চায়েতের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানেন না। বিজেপির জামালপুর বিধানসভার আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন, যেসব গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে তার মূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হবে। অথচ বলা হচ্ছে ওই সব গাছের মূল্য নাকি মাত্র ৩৫ হাজার টাকা । আসলে পুরোটাই একটা ঘোটালা। ঘোটালায় মদত না থাকলে বেআইনিভাবে গাছ কেটে বিক্রি করার অর্থ পঞ্চায়েত গ্রহণ করতো না। আর এখন উপ- প্রধান বলছেন তিনি নাকি কিছুই জানেন না। জীতেনবাবু এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, উপ-প্রধানের কথা মতো এটা যেন চোরে-চোরে ভাগ বাটোয়ার মতোই ব্যাপার। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন,তিনি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করার জন্যে পুলিশকে বলা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে কোনও অনিয়ম থাকলে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুপয়সার প্রেস বলে সংবাদমাধ্যমকে অপমান করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।আর এবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বর্ধমান দক্ষিণের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। আরও পড়ুনঃ বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি বাংলা পক্ষরবর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিলির অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এবারেও তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আর একটা রাজনৈতিক দল সাংবাদিকদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে, পয়সা ছড়িয়ে, মদের বোতল দিয়ে ভেবেছিল ওরা ক্ষমতা দখল করবে। এভাবে ক্ষমতা দখল করা যায় না। কারণ, বাংলার নেত্রী সব মানুষের মনে রয়েছেন। সাংবাদিকদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের করা এমন মন্তব্য নিয়েই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জনসভা ও অনুষ্ঠান থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতি তাঁর সহানুভূতি উজার করে দেন। আর তাঁর দলের সাংসদ ও বিধায়করা কেন একের পর এক সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কুৎসিত বক্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন তা নিয়ে অসন্তোষ সংবাদিকদের মধ্যে। এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের করা এদিনের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ-সভাপতি প্রবাল রায় বলেন, সংবিধান মেনে চলার শপথ নেওয়া একজন বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে যে সব মন্তব্য করেছেন তা তীব্র নিন্দনীয়। এর পাশাপশি তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিজেপি গণতন্ত্রের একটা স্তম্ভ বলেই মনে করে। তাদের টাকা কিংবা মদের বোতল দিয়ে কেনবার কথা বিজেপির কেউ ভাবতেও পারে না। বরং বিধায়ক হওয়ার জন্য তৃণমূলের সদস্যরা কি পথ নিয়েছিলেন সেটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। প্রবালবাবু আরও বলেন, গত বছর সাংসদ মহুয়া মৈত্র দুপয়সার প্রেস বলে সংবাদমাধ্যমকে অপমান করেছিলেন। আর এবার একইরকমভাবে সাংবাদিকদের অপমান করলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়কের। এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদেরই গর্জে উঠতে হবে বলেই তিনি আবেদন করেন।
দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রেলগেট। অপেক্ষা করতে করতে গাড়িতেই প্রসব (Baby delivery) করলেন বর্ধমানের প্রসূতি। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মা সুস্থ রয়েছে বলে খবর। সদ্যোজাত শিশুকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিনই বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে তালিত রেলগেট। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে রোগী সকলেই নানা সমস্যার মুখে পড়েন। তবে রবিবার গেটে আটকে থেকে এভাবে গাড়ির ভিতরে সন্তান প্রসবের ঘটনায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল সকলের। রেলগেটের উপর উড়ালপুল তৈরির দাবি তুলেছেন তাঁরা।আরও পড়ুনঃ হজম শক্তি থেকে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খান কালো জামজানা গিয়েছে, প্রসূতি মন্দিরা দাস বর্ধমান-১ (Burdwan) ব্লকের পিলখুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার সকালে মন্দিরার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তাঁকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার পথে বর্ধমান-সিউড়ি রোডের উপর তালিত রেলগেটে গাড়ি আটকে পড়ে দীর্ঘক্ষণ। অপেক্ষা করতে করতেই ঘটে বিপত্তি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করে গাড়িতেই প্রসব করেন মন্দিরাদেবী। তারপর স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি সদ্যোজাত এবং মাকে নিয়ে গিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মা আপাতত সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সদস্যরা। আজকের দিনেও যে এভাবে রাস্তার মাঝে প্রসব করতে হবে গৃহবধূকে, তা ভাবতেও পারেননি তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমান থেকে বীরভূম যাওয়া জাতীয় সড়ক ২বি রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত থাকে বরাবর। এই ব্যস্ত রাস্তার উপর তালিত রেলগেট দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় যাত্রী থেকে রোগী সবাইকে। তার জেরে যে কোনও সময়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাঁদের দাবি, এই রেলগেটের উপর উড়ালপুল তৈরি হলে যাতায়াতের খুব সুবিধা হবে।
রায়নায় দুই শিশুর (Child) রহস্যজনক মৃত্যু। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দুই মেয়ে রহস্যমৃত্যুর জন্য বাবাকে কাঠগড়ায় তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ হাওড়ার একাধিক বাজারশনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Burdawan) রায়নার খালেরপুল এলাকায়। মৃতরা হল সুমি খাতুন (৮) ও তার বোন রুমি খাতুন (৬)। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিছক দুর্ঘটনা না কি ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর ওই দুই শিশুর বাবা পেশায় টোটোচালক হাসিবুল লায়েক এলে তাকে স্থানীয়রা বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, হাসিবুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কয়েকদিন আগে অশান্তি হয়। তার জেরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। শিশু দুটি বাবার কাছেই ছিল। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাবাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়রা।জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই দুই শিশু বাড়ির কাছেই একটি তারের তৈরি দোলনায় দোল খেতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার ঠাকুমা খুঁজতে বেরয়। পরে শিশুদুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি দাবি করেন, নাতনিদের গায়ে হাত দিতেই শক লাগে। খবর পেয়ে রতে রায়না থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে।