• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bhawanipur By Poll

কলকাতা

Bhawanipur By Poll: ভবানীপুরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পড়ল ৫৩.৩২% ভোট

বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর গোটা রাজ্যের। শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও এই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন যে একটা আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার, তা বলাই বাহুল্য। এদিন বেলা ১টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৩৫.৯৭ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোটের হার ৫৭.১৫ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৫৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে ভোটের সকালে ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দুটি টুইট ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সে বিতর্কে মুখ খোলেন। বলেন, এ কাজ তাঁর নয়। তিনি টুইট করতেই জানেন না। থানায় অভিযোগ জানাবেন বলেও দাবি সুব্রতবাবুর। দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ৪৮.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল ভবানীপুরে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে পড়েছে ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট।আরও পড়ুনঃ মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতাএদিকে, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পিছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি নেই। বরং দুর্ঘটনা থেকেই এই বচসা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণের ওই গাড়ির অনুমতি না থাকার পাশাপাশি পুলিশের খাতায় তা নথিভুক্ত ছিল না। সেই কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কল্যাণের আপ্তসহায়ককে। ঘটনার জেরে ভবানীপুর থানায় এসে হাজির হন কল্যাণ। কিন্তু প্রথমে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর কল্যাণ চৌবে থানায় ঢোকেন। অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বিজেপি কর্মীকে আটক করা অভিযোগ তুলে থানায় এসে বিক্ষোভ জানান ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

By Poll-High Court: ভবানীপুর উপনির্বাচন: নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টের

ভবানীপুরে উপনির্বাচন মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করল আদালত। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট দিনেই ভোট হবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর।আরও পড়ুনঃ আমায় খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, স্থগিত করা দরকার ভবানীপুরের উপনির্বাচনউল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কমিশন হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয় কমিশনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তারা। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক স্ংকট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।মামলাকারীর দাবি, শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য এইভাবে সুপারিশ করা যায় কি? গত শুক্রবার এই মামলায় রায়দান স্থগিত করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur-BJP: ভবানীপুরে দিলীপের প্রচারে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজার এলাকায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের সভায়। মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। আহত হলেন বেশ কয়েকজন। বাধা পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় সভা ছাড়তে হল দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের।অভিযোগ, এদিনের সভা শুরু হলে আচমকা গন্ডগোল শুরু হয়। দিলীপ ঘোষকে কোনওভাবেই সভা করতে দেওয়া হবে না, কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক উত্তেজনা ছড়ায়। দিলীপবাবুর নিরাপত্তারক্ষীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সামনেই চারজনকে মারা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে। মমতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য শুনব না, এমনই দাবি করে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। বিজেপি-র অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে চড়াও হয় তৃণমূল। তাঁদের মারধর করা হয়। এমনকী, দিলীপকে ধাক্কা দেওয়া হয়। তৃণমূলের মারে এক সমর্থকের মাথা ফাটে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের কাছে বার বার আবেদন করলেও তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।ভবানীপুরের যদুবাজারে বিজেপির নির্বাচনী পথসভায় তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর দ্বারা ফের রক্ত ঝড়লো বিজেপি কর্মকর্তাদের!নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরের মানুষও ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোটবাক্সেই এই অন্যায়ের জবাব দেবে। #AbaroHarbeMamata pic.twitter.com/mdwtBJ5Mpu BJP Bengal (@BJP4Bengal) September 27, 2021এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ভবানীপুরে তৃণমূল হেরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই এ ভাবে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ভাবে নির্বাচন হয় না। তিনি এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করেছে, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে বিজেপি। দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ। এলাকায় যাতে অশান্তি না হয় সেই চেষ্টা তাঁরা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। দিলীপের আগে ভবানীপুরে বিজেপি-র আর এক সাংসদ অর্জুন সিংহকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অর্জুনকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যান।বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিলীপবাবু যখন প্রচারে গিয়েছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ওরা জয় বাংলা স্লোগান দিক না, আমরা খোল-কর্তাল বাজিয়ে দেব। কিন্তু বিরোধী নেতা বলে এমন আক্রমণ! এটা কেমন সংস্কৃতি! মমতাকে ঘিরে কেউ জয় শ্রীরাম বলেন? অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে দেখা হলে জয় শ্রীরাম বলি আমরা? ভবানীপুরে গুন্ডা, তালিবানি গুন্ডা নামিয়েছে তৃণমূল। হয়ত বাংলাদেশ থেকেও আসতে পারে। এতে যাতে ভয় পেয়ে মানুষ ভোট না দিতে যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান এর চেয়ে ভাল অবস্থায়। পুলিশ দলদাস হয়ে গিয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা উচিত ছিল পুলিশের। যথেষ্ট বয়স হয়েছে দিলীপবাবুর। তার উপর এমন আক্রমণ! আজই দিল্লি রওনা হচ্ছি। এসব নিয়ে বলব। মানুষকে অনুরোধ করছি এই অপসংস্কৃতি শেষ করুন।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
কলকাতা

Mamata Bannerjee: 'বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে দিয়ে আসলে বুঝবে!' বিজেপির বিক্ষোভ নিয়ে আক্রমণাত্মক মমতা

বৃহস্পতিবার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে মমতার বাড়ির অদূরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচারে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন,একটি ছেলে মারা গিয়েছে। নির্বাচনের সময় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরে সার্জারি হয়েছিল। সেই সার্জারিতে মারা গিয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক।আরও পড়ুনঃ দিল্লির আদালত কক্ষেই গ্যাংওয়ার, এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৪বিজেপির বিক্ষোভ নিয়েও বেজায় চটেছেন মমতা। তিনি বলেন, আমার বাড়ির কাছে ডেডবডি নিয়ে ঢুকছে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন! একটা করে কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। কোনও ক্ষমতা নেই। খালি বড় বড় কথা আর ভাষণ! তাঁর হুঙ্কার, তোমার বাড়ির সামনে যদি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেডবডি। মেশিনারি আমার নেই? পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। গন্ধে দশদিন খেতে পাবে না তুমি। বদমাইশি করতে চাইলে কী না করা যায়! এত পাশবিক! এত দানবিক!অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেত্রী। বলেন, কাল অসমে কী করেছে! কত লোককে এনআরসি-র নামে খুন করেছে। ফায়ারিং করে খুন করে ডেডবডির উপরে নাচছো! লজ্জা করে না। আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করছো। আজও দিল্লিতে কোর্টে তিন জন মারা গিয়েছে গুলিতে। ইউপি-তে কোনও আইন আছে! না বিহারে কোনও আইন আছে! বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন নেই।ভোটের পরবর্তী হিংসার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। প্রতিদিন গুন্ডামি করছে। নিজের বাড়িতে নিজে বোম মারছে। আর টিভিতে বলছে আমায় বোমা মেরেছে। কে মারবে রে তোকে? তোর গায়ে ছুঁতেই লজ্জা লাগে। তৃণমূল গুন্ডাদের দল নয়। আগে সিপিএমের আমলে ভোট দিতে গেলে বোমা নিয়ে তাড়া করত। বড় বড় বাড়িগুলি তালা দিয়ে দিত। দেখেননি আপনারা? কলকাতার মানুষ সাক্ষী। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও লড়তে পারি। ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। ভয় দেখিয়ে চমকে লাভ নেই। আমরা লড়াই করি। এজেন্সির ভয় পাই না। জেলে যাব তবু আত্মসমর্পণ করব না।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: অত্যাচার, নির্যাতন না হলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না, দাবি মমতার

দেশ ব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে খেলা হবে স্লোগান আগেই তুলেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী পদ্মপুকুরের জনসভায় বললেন, ভবানীপুর থেকে দেশশাসন করবেন। পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেছেন, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে এরাজ্যে বিজেপি ৩০টার বেশি আসনে জয় পেত না। গায়ের জোরে ৫০টি আসনে জিতেছে।৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার একবালপুরে সভা করেছেন। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিতে আবেদন রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হতে হবে। এদিন পদ্মপুকুরে মমতা বলেন, আমি যতক্ষণ বিধায়ক না হব ততদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদটা শোভনীয় হবে না। নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আমাকে আঘাত করা হয়েছিল। হুইল চেয়ারে করে দেড় মাস নির্বাচনে প্রচার করতে হয়েছিল।আরও পড়ুনঃ তিন বছরে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করার হুংকার অভিষেকের২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। এবার ৩ থেকে থেকে ৭৭ হয়েছে। রাজ্য জয় করতে না পেরে বিজেপি নেতৃত্ব এই তত্ব আউরে চলেছে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ৭৭ আসনে জয়কেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। নির্বাচনী সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, আগেরবার নির্বাচনে অনেক অত্যাচার হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেই সময় যে ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যদি নির্বাচন সেভাবে না করা হতো তাহলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না। ৫০ টা আসন বিজেপি গায়ের জোরে জিতেছে। তার কারণ সেদিন বাংলার প্রশাসন ছিল না। দিল্লির প্রশাসন বাংলায় এসে হাজির হয়েছিল। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করত। সাধারণ মানুষের কোনও কথা শুনত না।এবার রাজ্যে তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা সংখ্যাটা ২২১ অবধি গড়িয়ে যাবে। মমতা বলেন, কেউ ভাবতেও পারেনি এত আসনে তৃণমূল জিতবে। আমি কিন্তু ২২১ বলেছিলাম। ইতিমধ্যে পাঁচ-ছজন চলে এসেছে। একটা অ্যাস্ট্রোলজিক্যাল বিষয় থাকে। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন করবে আর এই ভবানীপুর থেকেই দেশ পরিচালনা করা হবে সেকথাও এদিন জানিয়ে দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুর থেকে মুখ্যন্ত্রী হবে। ভাবনীপুর থেকে দেশ দেখবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়। মনে রাখবেন বি-তে ভবানীপুর, বি থেকেই ভারতবর্ষ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal