• ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bhawanipur

কলকাতা

'দুর্গাপুজোয় গান্ধিজিকে অসুর, জনগণ জবাব দেবে,' বললেন মমতা

এবার রাজ্যে দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। পুজোয় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় সব থেকে বেশি। বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণ সভাঘরে দলের বিজয়া সম্মেলনীতে একথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মায়ের আরাধনা শেষ করে লড়াই শুরু করছি। চারটে ডান্ডা নিয়ে গেলেন মনে করলেন তৃণমূল উঠে গিয়েছে, এত সোজা নয়। উতৎসব মরসুমে এসব করি না।কলকাতায় অসুরকে গান্ধির রূপ দিয়েছিল একটি পুজো কমিটি। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। থানায় অভিযোগও হয়েছিল। শেষমেশ সেই রূপের পরিবর্তন করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, কথায় কথায় বলেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয়না, সরস্বতী পুজো হয় না। এদিকে গান্ধিজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন। এটা লজ্জার বিষয়। আমরা জানতে পারিনি। গোপনে করে দিয়েছে। মা দুর্গা গান্ধিজিকে মারছে। পরে তা সরানো হয়েছে। পুজোর সময় আমি কাউকে কিছু বলিনি। শুনলে সবার দুঃখ হবে। প্রতিবাদ করতে শুরু করবে। জনগণই এর জবাব দেব।এদিন ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইডি, সিবিআইযের হাতে নানা সময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও জেলবন্দি হয়ে আছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ ক্ষমতায় আছ। এজেন্সি দেখাচ্ছ। কাল যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন এজেন্সি তোমার ঘরে ঢুকে দুকান মূলে দেবে।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
কলকাতা

Bhawanipur By Poll: ভবানীপুরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পড়ল ৫৩.৩২% ভোট

বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর গোটা রাজ্যের। শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও এই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন যে একটা আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার, তা বলাই বাহুল্য। এদিন বেলা ১টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৩৫.৯৭ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোটের হার ৫৭.১৫ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৫৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে ভোটের সকালে ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দুটি টুইট ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সে বিতর্কে মুখ খোলেন। বলেন, এ কাজ তাঁর নয়। তিনি টুইট করতেই জানেন না। থানায় অভিযোগ জানাবেন বলেও দাবি সুব্রতবাবুর। দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ৪৮.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল ভবানীপুরে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে পড়েছে ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট।আরও পড়ুনঃ মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতাএদিকে, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পিছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি নেই। বরং দুর্ঘটনা থেকেই এই বচসা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণের ওই গাড়ির অনুমতি না থাকার পাশাপাশি পুলিশের খাতায় তা নথিভুক্ত ছিল না। সেই কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কল্যাণের আপ্তসহায়ককে। ঘটনার জেরে ভবানীপুর থানায় এসে হাজির হন কল্যাণ। কিন্তু প্রথমে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর কল্যাণ চৌবে থানায় ঢোকেন। অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বিজেপি কর্মীকে আটক করা অভিযোগ তুলে থানায় এসে বিক্ষোভ জানান ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
কলকাতা

Fake Voter: ভুয়ো ভোটারকে ঘিরে ধুন্ধুমার খালসা হাইস্কুলে

ভবানীপুরে খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার ঘিরে তুমুল গোলমাল বিজেপি-তৃণমূলের। বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। এই নিয়েই ভোটকেন্দ্রের ভিতর মারামারি শুরু হয়ে যায়। এক যুবককে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, কোনও প্রমাণপত্র ছাড়া অন্য একজনের স্লিপ নিয়ে ভোট দিতে এসেছে ওই ছেলেটি। সিআরপিএফ জিজ্ঞাসা করায় ও কোনও জবাব দিতে পারেনি। ও তৃণমূলের লোক। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনার দায় বিজেপির ঘাড়েই ঠেলেছে।আরও পড়ুনঃ ৩৫ কোম্পানির ঘেরাটোপে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু ভোটগ্রহণএদিকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে উত্তেজনার পরই খালসা হাইস্কুলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছল জয়েন্ট সিপি নীলাঞ্জন বিশ্বাস। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকও। বিজেপির অভিযোগ, তাদের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল খালসা হাইস্কুলে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে দেখেন, এক যুবক সেখানে রয়েছেন। তাঁর হাতে কোনও রকম পরিচয়পত্র নেই, অন্যান্য কোনও পরিচয়পত্র নেই। অথচ তিনি ভোট দিতে ঢুকেছেন। তখন তাঁরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অভিযোগ, এরপরই বিজেপির লোকজন ওই যুবককে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে আসেন। ওই যুবক তৃণমূলেরই লোক বলে দাবি করেছে বিজেপি।পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিজেপি অশান্তি পাকাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি। যে ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে, বিজেপির লোকজন দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে আটকে রাখে। এর সঙ্গে ভুয়ো ভোটারের কোনও সম্পর্কই নেই। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটদান পর্ব চলছিল। বিজেপির প্রার্থী ঢুকতেই গোলমাল শুরু হয়। যদিও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বক্তব্য, গোটা রাজ্যটাই ভুয়ো আইপিএস, পুলিশ আধিকারিকে ভর্তি হয়ে রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

WB By-poll: ৩৫ কোম্পানির ঘেরাটোপে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু ভোটগ্রহণ

রাজ্যের তিন কেন্দ্রের বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে উপনির্বাচন। ভবানীপুর আসন ছাড়াও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে আজ। তবে নজরে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুর। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত হন মমতা। সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ট দলের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে। সেই মর্মেই ভবানীপুর আসনে জয়ী রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। সেই আসন থেকেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে ঘিরে আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকাজুড়ে। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করেছে মোট ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।আরও পড়ুনঃ বেড ঘাটতির কারণে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ঠাঁই হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালের মেঝেতেঅন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই ওই দুটি কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বাম প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত ছিল ভোট।বৃহস্পতিবার ভোটে জঙ্গিপুরে লড়াই ত্রিমুখী। তৃণমূলের জাকির হোসেন, বিজেপির সুজিত দাস এবং আরএসপি প্রার্থী হিসেবে আছেন জানে আলম মিয়া।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Bhawanipur By Poll: রাত পোহালেই ভোট, মোতায়েন আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

একদিকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের আয়োজন, অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় প্রত্যেক ভোটদাতাকে নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করা। এই দুই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন।আগামীকাল ভবানীপুরে ২৮৭ বুথের প্রত্যেকটিতেই আধাসামরিক বাহিনীর নিরাপত্তার পাশাপাশি থাকবে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। এমনকী, প্রতিটি কেন্দ্রে নজরদারির জন্য মাইক্রো অবসারভার নিয়োগ করেছে কমিশন। শেষ মুহূর্তে ভবানীপুরের জন্য আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র ওই কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন করা মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা হল ৩৫ কোম্পানি। আরও পড়ুনঃ গোয়া টু কালীঘাট, সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিলেন ফেলেইরো লুইজিনহোগতকাল সন্ধ্যা থেকেই ভবানীপুরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।এছাড়া দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কোনও ভোটার যদি ভোট দিতে যেতে না অসুবিধায় পড়েন সেক্ষেত্রে তিনি ১৯৫০ এই নম্বরে ফোন সাহায্য চাইতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার বা সেক্টর অফিসার ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তাঁর ভোটদান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও বাড়ি ফিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বুথে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার মর্যাদার পুলিশ কর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আগামীকাল সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮টি জায়গায় থাকবে পুলিশ-পিকেট। শুধু ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নটি জায়গায় হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকছে ২৩টি আরটি মোবাইল ভ্যান। ভবানীপুর ছড়াও বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুরে ৩৬৩টি এবং সামশেরগঞ্জে ৩২৯টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ভবানীপুরে ৩৫, জঙ্গিপুরে ১৮ এবং সামশেরগঞ্জে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক, দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur By Poll: হাইভোল্টেজ ভবানীপুর, আজ থেকেই জারি ১৪৪ ধারা

উপনির্বাচনের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগের দিন নয়, বরং ভোটগ্রহণের ২ দিন আগেই ১৪৪ ধারা জারি করা হল ভবানীপুরে। বৃহস্পতিবার সবকটি বুথে হবে ওয়েবকাস্টিং। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর তেমনই। এদিকে এই উপনির্বাচন নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন হাইকোর্টে মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে স্রেফ ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন? নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তিতে আপত্তি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত দিনে, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরই ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভোটের পর ১৭ নভেম্বর যখন মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে বলে খবর, তখন আবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দিন পরিস্থিতি কেমন থাকবে? ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবারই এলাকায় পৌঁছে যাবেন জওয়ানরা। সাধারণত ভোটের আগের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে কমিশন। ভবানীপুরের ক্ষেত্রে সেই নিয়মেরও ব্যতিক্রম ঘটল। কমিশন সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে প্রত্যেকটি বুথ ও আশেপাশের ২০০ পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। আরও পড়ুনঃ জল্পনা সত্যি করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া-জিগনেশপ্রতিটি বুথে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে ভবানীপুর আসনে ২৮৭ টি বুথের জন্য হাফ সেকশন অর্থাৎ তিন জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া এলাকায় টহল দেবে কুইক রেসপন্স টিম। অন্য দিকে, বুথের বাইরে এবং এলাকার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুলিশ। প্রতিটি থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার মর্যাদার পুলিশ কর্তা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আগামীকাল সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮টি জায়গায় থাকবে পুলিশ-পিকেট। শুধু ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নটি জায়গায় হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডমোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকছে ২৩টি আরটি মোবাইল ভ্যান।ভবানীপুর ছড়াও ঐদিন জঙ্গিপুরে ৩৬৩টি এবং সামশেরগঞ্জে ৩২৯টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভবানীপুরে ১৫, জঙ্গিপুরে ১৮ এবং সামশেরগঞ্জে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক, দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

By Poll-High Court: ভবানীপুর উপনির্বাচন: নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টের

ভবানীপুরে উপনির্বাচন মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করল আদালত। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট দিনেই ভোট হবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর।আরও পড়ুনঃ আমায় খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, স্থগিত করা দরকার ভবানীপুরের উপনির্বাচনউল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কমিশন হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয় কমিশনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তারা। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক স্ংকট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।মামলাকারীর দাবি, শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য এইভাবে সুপারিশ করা যায় কি? গত শুক্রবার এই মামলায় রায়দান স্থগিত করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Dilip Ghosh: 'আমায় খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, স্থগিত করা দরকার ভবানীপুরের উপনির্বাচন'

সোমবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভবানীপুরে। এদিন যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। প্রবল বিক্ষোভ আর ধাক্কাধাক্কিতে বাধ্য হয়ে বন্দুক বের করে দিলীপকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। দিলীপ বলেন, আজ প্রচারের শেষ দিনে যেভাবে গুন্ডা দিয়ে, প্রচার বন্ধ করা হল, বিজেপিকে আটকাবার চেষ্টা করা হয়েছে, এর দ্বারা প্রমাণিত ভবানীপুরের মানুষ ভয়ের পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। এখন এই গুন্ডাদের সামনে সাধারণ মানুষ কীভাবে বেরিয়ে গিয়ে ভোটটা দেবেন? তাঁরা তো নিরপেক্ষ ভাবে ভোটটা দিতেই পারবে না! তাঁরা যদি বিজেপিকে ভোট দেবে বলে তাহলে তো সম্ভবই নয়, বাড়ি থেকে বেরনো! সে জন্য যে পরিস্থিতির মধ্যে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য ভোট করছে সরকার, তাতে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়। স্থগিত করা দরকার। বলেন, আমি নিজে ভুক্তভোগী। তাই আমার অধিকার আছে বলার। দাবি করছি নির্বাচন বন্ধ হওয়া উচিত।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরে দিলীপের প্রচারে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীরকয়েক দিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরেছেন দিলীপ। কিন্তু ভবানীপুরে ভোটের প্রচারে বিরোধী পক্ষের মূল টার্গেট হলেন তিনিই। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে এদিন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। আহত হন বেশ কয়েকজন। এদিকে খবর পেয়েই যদুবাবুর বাজারে পৌঁছন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং দীনেশ ত্রিবেদী, অর্জুন সিংরা।দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের প্রচারে বাধা দেন। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে এক কর্মীর মাথা ফাটে। তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। যদিও তার পরেও তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, স্থগিত করা দরকার এই ভোট। আইন পরিস্থিতি ঠিক হলে তার পর ভোট হোক। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এদিনের বিক্ষোভের ভিডিও পোস্ট করে দিলীপ লেখেন, মাননীয়ার খাস তালুক ভবানীপুরে একজন জনপ্রতিনিধির উপর যেভাবে হামলা হল এই রাজ্যে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা সুরক্ষিত? আজ তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার এলাকায় যে ভাবে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হল, আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল সেটি শাসকদলের জঘন্য, ভয়াবহ রূপটিকে তুলে ধরে। এর পরও কি সুস্থ নির্বাচন আশা করা যায়??এদিকে এদিনের ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সরাসরি অভিযোগ করেন মমতার নির্দেশেই দিলীপ ঘোষের ওপর এই হামলা হয়েছে। তাঁর কথায়, মমতা খোদ এই আক্রমণ করাচ্ছেন, ভোট এখানে হতেই দেবে না। কমিশন পদক্ষেপ না করলে ভোট বন্ধ হোক। একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। বলেন, আমরা স্তম্ভিত! একশোজন তৃণমূল কর্মীকে ট্রেনড করে পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণের জন্য। আর পুলিশ কী করছিল?

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur-BJP: ভবানীপুরে দিলীপের প্রচারে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজার এলাকায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের সভায়। মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। আহত হলেন বেশ কয়েকজন। বাধা পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় সভা ছাড়তে হল দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের।অভিযোগ, এদিনের সভা শুরু হলে আচমকা গন্ডগোল শুরু হয়। দিলীপ ঘোষকে কোনওভাবেই সভা করতে দেওয়া হবে না, কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক উত্তেজনা ছড়ায়। দিলীপবাবুর নিরাপত্তারক্ষীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সামনেই চারজনকে মারা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে। মমতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য শুনব না, এমনই দাবি করে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। বিজেপি-র অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে চড়াও হয় তৃণমূল। তাঁদের মারধর করা হয়। এমনকী, দিলীপকে ধাক্কা দেওয়া হয়। তৃণমূলের মারে এক সমর্থকের মাথা ফাটে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের কাছে বার বার আবেদন করলেও তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।ভবানীপুরের যদুবাজারে বিজেপির নির্বাচনী পথসভায় তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর দ্বারা ফের রক্ত ঝড়লো বিজেপি কর্মকর্তাদের!নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরের মানুষও ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোটবাক্সেই এই অন্যায়ের জবাব দেবে। #AbaroHarbeMamata pic.twitter.com/mdwtBJ5Mpu BJP Bengal (@BJP4Bengal) September 27, 2021এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ভবানীপুরে তৃণমূল হেরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই এ ভাবে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ভাবে নির্বাচন হয় না। তিনি এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করেছে, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে বিজেপি। দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ। এলাকায় যাতে অশান্তি না হয় সেই চেষ্টা তাঁরা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। দিলীপের আগে ভবানীপুরে বিজেপি-র আর এক সাংসদ অর্জুন সিংহকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অর্জুনকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যান।বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিলীপবাবু যখন প্রচারে গিয়েছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ওরা জয় বাংলা স্লোগান দিক না, আমরা খোল-কর্তাল বাজিয়ে দেব। কিন্তু বিরোধী নেতা বলে এমন আক্রমণ! এটা কেমন সংস্কৃতি! মমতাকে ঘিরে কেউ জয় শ্রীরাম বলেন? অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে দেখা হলে জয় শ্রীরাম বলি আমরা? ভবানীপুরে গুন্ডা, তালিবানি গুন্ডা নামিয়েছে তৃণমূল। হয়ত বাংলাদেশ থেকেও আসতে পারে। এতে যাতে ভয় পেয়ে মানুষ ভোট না দিতে যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান এর চেয়ে ভাল অবস্থায়। পুলিশ দলদাস হয়ে গিয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা উচিত ছিল পুলিশের। যথেষ্ট বয়স হয়েছে দিলীপবাবুর। তার উপর এমন আক্রমণ! আজই দিল্লি রওনা হচ্ছি। এসব নিয়ে বলব। মানুষকে অনুরোধ করছি এই অপসংস্কৃতি শেষ করুন।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
কলকাতা

Mamata Bannerjee: 'বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে দিয়ে আসলে বুঝবে!' বিজেপির বিক্ষোভ নিয়ে আক্রমণাত্মক মমতা

বৃহস্পতিবার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে মমতার বাড়ির অদূরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচারে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন,একটি ছেলে মারা গিয়েছে। নির্বাচনের সময় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরে সার্জারি হয়েছিল। সেই সার্জারিতে মারা গিয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক।আরও পড়ুনঃ দিল্লির আদালত কক্ষেই গ্যাংওয়ার, এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৪বিজেপির বিক্ষোভ নিয়েও বেজায় চটেছেন মমতা। তিনি বলেন, আমার বাড়ির কাছে ডেডবডি নিয়ে ঢুকছে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন! একটা করে কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। কোনও ক্ষমতা নেই। খালি বড় বড় কথা আর ভাষণ! তাঁর হুঙ্কার, তোমার বাড়ির সামনে যদি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেডবডি। মেশিনারি আমার নেই? পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। গন্ধে দশদিন খেতে পাবে না তুমি। বদমাইশি করতে চাইলে কী না করা যায়! এত পাশবিক! এত দানবিক!অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেত্রী। বলেন, কাল অসমে কী করেছে! কত লোককে এনআরসি-র নামে খুন করেছে। ফায়ারিং করে খুন করে ডেডবডির উপরে নাচছো! লজ্জা করে না। আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করছো। আজও দিল্লিতে কোর্টে তিন জন মারা গিয়েছে গুলিতে। ইউপি-তে কোনও আইন আছে! না বিহারে কোনও আইন আছে! বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন নেই।ভোটের পরবর্তী হিংসার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। প্রতিদিন গুন্ডামি করছে। নিজের বাড়িতে নিজে বোম মারছে। আর টিভিতে বলছে আমায় বোমা মেরেছে। কে মারবে রে তোকে? তোর গায়ে ছুঁতেই লজ্জা লাগে। তৃণমূল গুন্ডাদের দল নয়। আগে সিপিএমের আমলে ভোট দিতে গেলে বোমা নিয়ে তাড়া করত। বড় বড় বাড়িগুলি তালা দিয়ে দিত। দেখেননি আপনারা? কলকাতার মানুষ সাক্ষী। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও লড়তে পারি। ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। ভয় দেখিয়ে চমকে লাভ নেই। আমরা লড়াই করি। এজেন্সির ভয় পাই না। জেলে যাব তবু আত্মসমর্পণ করব না।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: অত্যাচার, নির্যাতন না হলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না, দাবি মমতার

দেশ ব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে খেলা হবে স্লোগান আগেই তুলেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী পদ্মপুকুরের জনসভায় বললেন, ভবানীপুর থেকে দেশশাসন করবেন। পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেছেন, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে এরাজ্যে বিজেপি ৩০টার বেশি আসনে জয় পেত না। গায়ের জোরে ৫০টি আসনে জিতেছে।৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার একবালপুরে সভা করেছেন। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিতে আবেদন রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হতে হবে। এদিন পদ্মপুকুরে মমতা বলেন, আমি যতক্ষণ বিধায়ক না হব ততদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদটা শোভনীয় হবে না। নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আমাকে আঘাত করা হয়েছিল। হুইল চেয়ারে করে দেড় মাস নির্বাচনে প্রচার করতে হয়েছিল।আরও পড়ুনঃ তিন বছরে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করার হুংকার অভিষেকের২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। এবার ৩ থেকে থেকে ৭৭ হয়েছে। রাজ্য জয় করতে না পেরে বিজেপি নেতৃত্ব এই তত্ব আউরে চলেছে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ৭৭ আসনে জয়কেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। নির্বাচনী সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, আগেরবার নির্বাচনে অনেক অত্যাচার হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেই সময় যে ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যদি নির্বাচন সেভাবে না করা হতো তাহলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না। ৫০ টা আসন বিজেপি গায়ের জোরে জিতেছে। তার কারণ সেদিন বাংলার প্রশাসন ছিল না। দিল্লির প্রশাসন বাংলায় এসে হাজির হয়েছিল। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করত। সাধারণ মানুষের কোনও কথা শুনত না।এবার রাজ্যে তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা সংখ্যাটা ২২১ অবধি গড়িয়ে যাবে। মমতা বলেন, কেউ ভাবতেও পারেনি এত আসনে তৃণমূল জিতবে। আমি কিন্তু ২২১ বলেছিলাম। ইতিমধ্যে পাঁচ-ছজন চলে এসেছে। একটা অ্যাস্ট্রোলজিক্যাল বিষয় থাকে। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন করবে আর এই ভবানীপুর থেকেই দেশ পরিচালনা করা হবে সেকথাও এদিন জানিয়ে দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুর থেকে মুখ্যন্ত্রী হবে। ভাবনীপুর থেকে দেশ দেখবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়। মনে রাখবেন বি-তে ভবানীপুর, বি থেকেই ভারতবর্ষ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: আপনার একটা ভোট না পেলেও ক্ষতি হয়ে যাবে...কেন এমন বললেন মমতা?

ভবানীপুরের ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। মমতার পাড়ায় এসে প্রচার করে যাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মানুষ তাঁর কথা শুনছেনও। আর এতেই কিছুটা হলেও স্নায়ুর চাপে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ভবানীপুরের মাটি মমতার কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। তাই এই লড়াই জেতা তাঁর কাছে খুব একটা কঠিন হবে না। কিন্তু তারপরেও একেবারে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন না মমতা। তাই আজ নিজের পাড়ায় ভোটে প্রচারে নেমে বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনার একটি ভোট না পেলে্ও ক্ষতি হয়ে যাবে আমার। আমাকে আর পাবেন না। কিন্তু চেনা মাঠে কেন এমন কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো? তাহলে কী তিনি স্নায়ুর চাপে ভুগছেন?আরও পড়ুনঃ আচমকাই চোখের সামনে নিজেদের বাড়ি দুলতে দেখলেন বাসিন্দারাএদিন ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনে জায়গা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যে কী ভাবে হারানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসবে। আদালতে মামলা চলছে। জানা যাবে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে কী করা হয়নি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবে। এটা ভাগ্যের খেলা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সূত্রেই তিনি বলেন, অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট দামি। একটা ভোট না দিলে আমার ক্ষতি হবে। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। নিজেকে জনগণের পাহারাদার বলেও আখ্যাও দিয়েছেন মমতা। এদিনের জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতেও ভোলেননি তিনি। বলেন, আমি মোদি-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালিবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।ত্রিপুরা, অসম, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে।মমতার বার্তা, আপনাদের এক একটা ভোট আগামিদিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রাজ্য

Bye Election: ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথা

তিরিশে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ছাপা সংবাদ মধ্যম থেকে বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এই উপনির্বাচন নিয়ে নানা গালগল্প ও বিশ্লেষন চলছে। সংসদীয় গনতন্ত্রে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি বিষয় হলেও সাধারণত উপনির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্ৰহ ভোঠদাতাদের থাকে না। তাই উপনির্বাচনে ভোটদানের হার কম থাকে। কিন্তু, বঙ্গ রাজনীতিতে ভবানীপুরের উপনির্বাচন এবার অন্য মাত্রা পেয়েছে। তার কারন এই উপনির্বাচনের ফল বলে দেবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পদে থাকবেন কি না।বাংলায় এই নজির অতীতে নেই। তবে ইতিহাস বলছে এমনই এক উপনির্বাচনে বাংলার ভূ-রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারিত হয়েছিল। পাঁচের দশকে নেহেরু সরকার ভাষা ভিত্তিক রাজ্যগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সময় বাংলা, বিহার সংযুক্ত করে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে, পূর্বপ্রদেশ গঠনে প্রস্তুতি শুরু করেন। অখন্ড কমিউনিষ্ট পার্টি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নামে।কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল হয় বাংলা।আরও পড়ুনঃ পূজার ছলে ভুলে থাকিসেই সময় কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা-র মৃত্যু হয়। বাম সমর্থিত সাংসদের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তখন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও কমিউনিষ্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক ছিলেন জ্যোতি বসু। উপনির্বাচন ঘোষণা হতে বিধানচন্দ্র রায় বিধানসভায় জ্যোতিবসুকে বলেন, তোমরা পূর্বপ্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করছ। কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে আমি গনভোট হিসেবে নিচ্ছি। এই উপনির্বাচনে যদি তোমরা জেতো তাহলে আমি তোমাদের মত মেনে নেব। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্ৰহন করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে সেই নির্বাচনে বাম প্রার্থী ছিলেন মোহিত মিত্র। কংগ্রেস রার্থী ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী অশোক সেন।সেই সময় দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পার্টি কংগ্রেস ছিল। কিন্তু উপনির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব থাকায় জ্যোতি বসু পার্টি কংগ্রেসে যাননি। উপনির্বাচনের ফলে অশোক সেন বিপুল ভোটে পরাজিত হন। একই দিনে মেদিনীপুরে খেজুরি কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেসী গড় খেজুরিতেও কংগ্ৰেস হেরে গিয়েছিল। উপনির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। সেদিন কংগ্রেস জিতলে বাংলার ভূ-রাজনীতির চালচিত্র হয়ত অন্য রকম হতো। প্রায় ৬৫ বছর পরে পশ্চিমবঙ্গে আবার একটি উপনির্বাচন নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় আলোড়ন পড়েছে। তবে দুটি উপনির্বাচনে রাজনৈতিক অভিঘাত সম্পূর্ণ আলাদা। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের বিরুদ্ধে বাম ও বিজেপি দুইদল-ই নবীন প্রার্থী দিয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার বিচারে দুই বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে মমতার আসমান-জমিন পার্থক্য থাকলেও একটি সাধারণ অবস্থান রয়েছে। তিনজনেই আইনজীবী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনকে পেশা হিসেবে নেননি। বাকি দুই প্রার্থী পেশাগতভাবে আইনজীবী।বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য(রাজনৈতিক বিশ্লেষক)

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Campaign: 'এই তো সবে শুরু, দেখুন কি হয়', ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক

ভবানীপুর উপনির্বাচনের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জনসংযোগ ও প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শরৎ বোস রোডে বিখ্যাত লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন তিনি। মূলত হিন্দিভাষী অবাঙালি মানুষজনের সঙ্গে মিলিত হন অভিষেক। নিজের বক্তব্যের পর তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেন।আরও পড়ুনঃ বল ভেবে খেলতে গিয়েই কেঁপে উঠল পরিত্যক্ত বাড়ি, ছিটকে পড়ল রক্তবৈঠক শেষে অভিষেক বেরিয়ে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর কারা লাইনে আছে, মুচকি হেসে অভিষেকের ছোট্ট জবাব, এই তো সবে শুরু। দেখুন কী হয়! প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে শনিবার অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান। গোটা যোগদানপর্ব কার্যত গোপন রাখা হয়েছিল। এরপর তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইট পেজে ছবি সহকারে তা প্রকাশ করা হয়। রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। তারপর সন্ধ্যায় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের অনুষ্ঠান শেষে অভিষেকের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, এই তো সবে শুরু, দেখুন কী হয়!এদিন লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে হিন্দিভাষীদের বৈঠকেও অভিষেক বাবুল সম্পর্কে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলে সেটা করে দেখায়। তাই তো বাবুল সুপ্রিয়ের মতো সাংসদরাও এখন মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরছে। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতের ছবি।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Ekbalpur: আচমকাই ভোট-প্রচারে ভবানীপুরে মমতা

শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। আর সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে ঢুকলেন নিজের বিধানসভা এলাকায়। দক্ষিণ কলকাতার প্রাক্তন সাংসদ মমতা এই আসনে ২০১১-র উপনির্বাচন, ২০১৬-র নির্বাচনে লড়েছেন। দুবারই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও লড়াইকেই যে তিনি ছোট করে দেখতে চান না তা জানিয়ে আগেই কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে আচমকাই মমতা যান কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। জন সংযোগের পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গে আড্ডাও দেন। খিদিরপুরের ২৫-এর পল্লি দুর্গাপুজো যে পাড়ায় হয় সেখানেও যেমন তিনি গিয়েছিলেন, তেমনই যান ১৬ আনা মসজিদ এলাকাতেও।আরও পড়ুনঃ ঘোষিত হল সূচি, আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানএসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম ডার্বি ২৭ নভেম্বরখিদিরপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড দিয়েই মমতার প্রচার শুরুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মমতা ওই এলাকা ছাড়ার প্রায় পর পরই টুইট করেন বাংলায় বিজেপি-র সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, ভবানীপুরের জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন বলেই ১৬ আনা মসজিদে গিয়েছিলেন মমতা। এই সফর আচমকা নয় বরং পরিকল্পিত বলেই দাবি করেছেন মালব্য।যদিও এ দিনের বৈঠকে মমতার সঙ্গে ইমামদের ঠিক কী কথা হয়েছে, তা বিশদে জানা যায়নি। তবে এই সাক্ষাতের নেপথ্যে যে ভোট অঙ্ক কাজ করছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষত, যেভাবে সংখ্যালঘুরা লাগাতার রাজ্যের শাসকদল ও নেত্রীর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন, সেই ভোটে ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের সেই অভিযোগের আবহেই মমতার ইমাম সাক্ষাৎ ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে কোনও জল্পনার জন্ম দেয় কি না, সেই বিষয়টিও বিচার্য হবে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Nomination-Suvendu: মনোনয়ন জমা প্রিয়াঙ্কার, হুংকার শুভেন্দুর

ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, ধুনুচি নাচ নেচে সোমবার ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। পাশেই বসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রিয়াঙ্কার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই শুভেন্দু বলেন, এই লড়াই প্রিয়াঙ্কার একার নয়। সমগ্র রাজ্যবাসীর। এই লড়াই ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই।আরও পড়ুনঃ মমতার মনোনয়ন পেশ, লড়াই শুরু ঘর-এর মাঠেইএদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শাস্ত্র মতে, পঞ্জিকা মেনে শুভ কাজের জন্য আমরা এসেছি। লড়াইটা প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের একার লড়াই নয়। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের লড়াই। এমনকী আমি বলব, ভারতবর্ষের যাঁরা অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেন, এক দেশ শ্রেষ্ঠ দেশের স্বপ্ন দেখেন, ভারত মাতার বন্দনা করেন তাঁদের সকলের লড়াই। কারণ পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে ভাবে ৫৫ জন ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থক থেকে ভোটাররা প্রাণ দিয়েছেন, মহিলাদের ইজ্জত সম্ভ্রম লুন্ঠিত হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কোর্টেও জানিয়েছে এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকদলের আইন চলছে। তাই গণতন্ত্রকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে ভবানীপুরের ভোটাররা বাড়িতে বসে থাকবেন না।আরও পড়ুনঃ অ্যান্টি সোশ্যালরা তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেঅন্যদিকে এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, আমি তো একটা প্রতীক মাত্র ছিলাম। নন্দীগ্রামের মানুষই ওনাকে হারিয়েছেন। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, বুথে ছাপ্পা না হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোয়ারেনটাইনের নামে মানুষকে আতঙ্কিত না করতে পারেন তবে ভবানীপুরেও মোদিজির আশীর্বাদপুষ্ট পদ্মফুলের প্রার্থী জিতবে। এক জন ১ লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া করেছেন। আর এই তরুণ আইনজীবী লড়াই করে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই এখানেও গণতন্ত্রের জয় হবে।আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের আগেই মমতাকে নন্দীগ্রামের হার মনে করালেন শুভেন্দুসোমবার সকালে ভবানীপুরের গোলবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপর আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং, দীনেশ ত্রিবেদী, শিশির বাজোরিয়া। মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রিয়াঙ্কার হুঁশিয়ারি, বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে লড়ব। একবার ভবানীপুরে ভোট হয়েছে। মানুষ তাঁদের রায় দিয়েছেন। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী নিজের চেয়ার বাঁচাতে জোর করে ভোট করাচ্ছেন। আসলে উনি ভাবেন, উনি ছাড়া ওই চেয়ারে ওনার দলের আর কারও বসার যোগ্যতা নেই। সে জন্য কুর্সিটা ধরে রাখার জন্য ভোট করালেন।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Nomination: মমতার মনোনয়ন পেশ, লড়াই শুরু 'ঘর'-এর মাঠেই

তিথি-নক্ষত্র দেখে শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিনই উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। একুশের নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। দুই হেভিওয়েটের কট্টর লড়াই হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। ফল ঘোষণার দিন একটু অন্যরকম খেলা হয়। সেই খেলার ফল হিসেবে ৬ মাসের মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। না হলে একটি সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে নিজের ঘর থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। সেদিক থেকে বিচার করলে, এবারের উপনির্বাচনের প্রধান কেন্দ্রই হল ভবানীপুর। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় শক্তি দেখাতে তৃণমূলের পদযাত্রাবুধবার কর্মিসভার মধ্যে দিয়ে প্রচারে নামেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কর্মিসভায় তিনি বলেন, ২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে একটা বড় খেলা হবে। এই খেলা হয়ে গেলে সব খেলায় জিততে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরই রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। সেখানেও জয় কনফার্ম করতে হবে। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন আর নন্দীগ্রাম আমার মেজো বোন। তিনি জানিয়েছিলেন পারলে ভবানীপুর আর নন্দীগ্রাম দুই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি।ফল প্রকাশের পর নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম না জিতে ভালোই হয়েছে। বারবার ওখানে যেতে হত। আর এদিনের কর্মসমিতির বৈঠক শেষে বলেন, ভবানীপুরের মানুষ নিশ্চয় চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার এখানে লড়তে পারছি। এদিকে, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপিও। উপনির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরকে ৮টি ওয়ার্ডে ভাগ করে সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিকে ভবানীপুর কেন্দ্রে বামেদের হয়ে লড়বেন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
রাজ্য

CPIM: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে আইনজীবী প্রার্থী দিল সিপিএম

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বামেদের প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তাঁর নাম চূড়ান্ত হয়। এর পর দলের তরফে শ্রীজীবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ বছরের শ্রীজীব পেশায় আইনজীবী। ছাত্রাবস্থা থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। চার মাসে আগে বিধানসভা ভোটে জোটের প্রার্থী হিসেবে ভবানীপুরে লড়েছিল কংগ্রেস। উপনির্বাচনেও ওই কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছাড়ার কথা জানিয়েছিল বামেরা। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে বিধানভবনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভবানীপুরে বামেদের সমর্থনে ভোটে লড়াই করা হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার এআইসিসি-র তরফে অধীরকে জানানো হয়, ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না। কোনও প্রচারও করবে না। এর পরই রাতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ভবানীপুর কেন্দ্রে বামেরা লড়বে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বুধবার চূড়ান্ত হল শ্রীজীবের নাম।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
কলকাতা

Congress: মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস

ভবানীপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেবে না। কোনও প্রচার করবে না।আরও পড়ুনঃ অভিষেককে টানা ৯ ঘণ্টা জেরার পর কী বললেন দিলীপ?সোমবার অধীরের উপস্থিতিতে বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভবানীপুরে বামেদের সমর্থনে ভোটে লড়াই করা হবে। এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে দেওয়া হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে অধীর জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পরে যিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেই মমতার বিরুদ্ধে উপনির্বাচনে প্রার্থী তাঁরা দিতে চান না।ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে কংগ্রেসের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যে কং-বাম জোটের ইতি টানতে চলেছে কি না, সে প্রশ্ন এ বার সামনে এল বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবারই কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উপনির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায়। এজন্য পার্টি কমিশনের কাছে আবেদনও জানান তিনি। কিন্তু, দিন এআইসিসির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

By election: ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের

অবশেষে ঘোষিত হল উপ নির্বাচনের দিন। তবে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা অক্টোবরের ৩ তারিখ । রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে প্রার্থী মারা গিয়েছিলেন। এই দুই আসনেও একই দিনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণাও হবে একই দিনে।নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের মৃত্যু হলে বা ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তার অন্যথাও হয়েছে অনেক সময়। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে যেতেই উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপি করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে উল্টো মত দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে শহরের একাধিক জায়গায় ইডি হানা সম্প্রতি উপনির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেখানে প্রতিটি রাজ্যের কাছে ভোট করার ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেই বৈঠকে বাংলার নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা তখনই ভোট করতে প্রস্তুত। অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় ভবানীপুর নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশি। কারণ, সেখানে প্রার্থী হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তার পরেই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এই আসনে প্রার্থী হবেন মমতাই। তাই উপনির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে মে মাস থেকেই ওই আসনের উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। সেখানে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এ ছাড়া বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক-পদ ছেড়েছেন বিজেপি-র দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু সেই চার কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি কমিশন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal