তিথি-নক্ষত্র দেখে শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিনই উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। একুশের নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। দুই হেভিওয়েটের কট্টর লড়াই হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। ফল ঘোষণার দিন একটু অন্যরকম খেলা হয়। সেই 'খেলা'র ফল হিসেবে ৬ মাসের মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। না হলে একটি সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে নিজের 'ঘর' থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। সেদিক থেকে বিচার করলে, এবারের উপনির্বাচনের প্রধান কেন্দ্রই হল ভবানীপুর। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় শক্তি দেখাতে তৃণমূলের পদযাত্রা
বুধবার কর্মিসভার মধ্যে দিয়ে প্রচারে নামেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কর্মিসভায় তিনি বলেন, '২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে একটা বড় খেলা হবে। এই খেলা হয়ে গেলে সব খেলায় জিততে হবে।’ তিনি মনে করিয়ে দেন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরই রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। সেখানেও জয় কনফার্ম করতে হবে। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সময় মমতা বলেছিলেন, ‘ভবানীপুর আমার বড় বোন আর নন্দীগ্রাম আমার মেজো বোন।’ তিনি জানিয়েছিলেন পারলে ভবানীপুর আর নন্দীগ্রাম দুই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি।
ফল প্রকাশের পর নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রাম না জিতে ভালোই হয়েছে। বারবার ওখানে যেতে হত।’ আর এদিনের কর্মসমিতির বৈঠক শেষে বলেন, 'ভবানীপুরের মানুষ নিশ্চয় চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার এখানে লড়তে পারছি।' এদিকে, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপিও। উপনির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরকে ৮টি ওয়ার্ডে ভাগ করে সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিকে ভবানীপুর কেন্দ্রে বামেদের হয়ে লড়বেন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।
- More Stories On :
- Mamata Bannerjee
- Nomination File
- Bhawanipur
- By election