গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮৬৫ জন।এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩ জন।পুজোর মুখে করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৯৯২। আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ৭৭১ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৬১ জন। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী ৩৩,১২১ জন। তবে সুস্থতাও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২,৭৭ ,৯৪০ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩১৮৩। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৬৬ শতাংশ।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৭১ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮৮ জন। মৃ্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৩১ জন। আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাল্লাবোল মিছিল বিজেপি র গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। তবে দৈনিক সুস্থতার হার গতকাল সামান্য কমলেও শুক্রবার সুস্থতার হার ছিল ৮৭.৭৩ শতাংশ। উৎসবের আগেই যদি এই পরিসংখ্যান তাহলে আগামী দুর্গাপুজোর পরে কী রূপ নিতে চলেছে সংক্রমণ, তা ভাবাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিভিন্ন ক্লাব রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়েছে , বিনো্দনের জন্য সেই টাকা খরচ করতে পারবে না পুজো কমিটিগুলি। এছাড়াও পুজো্র কাজেও এই টাকা খরচ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালত জানিয়েছে, এই টাকা থেকে ২৫ শতাংশ টাকা পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা মাস্ক ও স্যানিটাইজার কেনার জন্য খরচ করতে হবে। আরও পড়ুনঃ ফের রাজ্য সরকারের সমালোচনা ধনকড়ের এরপর বিল ও ভাউচার সমেত সব হিসেব পুজো কমিটিগুলি সরকারকে বুঝিয়ে দেবে। টাকা খরচের পূর্ণাঙ্গ হিসেব রাজ্য সরকারকে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, দল নির্বিশেষে আপনারা আমলাতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। আমলাতন্ত্র মজবুত হলে এই অবস্থা হয় না।
করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে ফের বিশেষজ্ঞদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কেরল, কর্নাটক, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়েও যাবে কেন্দ্রীয় দল। এই রাজ্যগুলিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আরও পড়ুনঃ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ধর্মঘট , বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুক্রবার জানিয়েছে, প্রতিটি টিমে একজন যুগ্মসচিব, একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, একজন ক্লিনিসিয়ান থাকবেন। রাজ্যগুলির করোনা মোকাবিলায় তাঁরা সহায্য করবেন। কীভাবে করোনা পরীক্ষা এবং তার চিকিৎসা আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও তারা নজর দেবেন।
আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। একদিন সত্যি ঠিক সকলের সামনে বেরিয়ে আসবেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় এভাবেই সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আরও পড়ুনঃ ইংরেজি বলতে না পারার অপরাধে আয়কর দফতর পাঁচজন কর্মীকে ছাঁটাই , ডেপুটেশন বাংলা পক্ষের রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি আরও লেখেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। পুলিশ সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও সুর চড়ান রাজ্যপাল। এই টুইটের পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ যে আরও বাড়তে চলেছে , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই রাজনৈ্তিক মহলের।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭২০ জন ৷ এর ফলে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল মোট ৩ লাখ ৯ হাজার ৪১৭ জন ৷ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের ৷ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৭০ জন ৷ আরও পড়ুনঃ কয়েক দফা দাবিতে হাওড়া কর্পোরেশনে স্মারকলিপি প্রদান ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩১ হাজার ৯৮৪ জন ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ১৭৯ জন ৷ সব মিলিয়ে এপর্যন্ত মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ৫৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে । রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার ৮৭.৭৭ শতাংশ ।
বেদান্ত লাহিড়ীঃ কলকাতার বাঙালি যুবকের লড়াইয়ের ফল এবার সুদূর অস্ট্রেলিয়াতেও। বাংলাপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি ও বাংলা ভাষার জন্য যেভাবে লড়াই শুরু করেছে , সূদুর অস্ট্রেলিয়াতে সেই একই লড়াইয়ে সামিল বারাসতের ছেলে অর্ণব ঘোষ রায়। মূলত তারই উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের স্বাস্থ্য দফতরে বাংলা ওয়েবসাইট চালু হল। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের ছাত্র অর্ণব। বয়স ৩৮ বছর। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের ছাত্র সে। তাঁর অদম্য লড়াইয়ে এল এই ঐতিহাসিক সাফল্য। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বাঙালিদের কথা চিন্তা করেই এই ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতের ৫৪,৫৬৬জন বাঙালি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এছাড়াও সেখানে বাংলাদেশের বাঙালিও আছেন । দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ায় থাকার পর অর্ণব জানতে পারেন , ভাষাগত কারণে বাঙালি প্রবীণরা সেখানে নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন। ভাষাগত অসুবিধা দূর হলে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তা সহজ হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে আলোচনা করেন অর্ণব। এমনকী বিষয়টি মেলবোর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনার জন্য উত্থাপিত করেন তিনি। সেখান থেকেই সরকারি স্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়।কারণ, অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি নীতি নির্ধারনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। অনেকদিনের ঐকান্তিক লড়াইয়ের পর দিন চারেক আগেই স্বাস্থ্য দফতরের বাংলা ওয়েবসাইট চালু হল। স্বীকৃতি পায় অর্ণবের লড়াই। অর্ণব বললেন, এর ফলে বেশ কয়েকজন যুবকের কাজেরও সুযোগ হয়েছে। উল্লেখ্য, অর্ণবের বাবা ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। ২০০৩ সালে তিনি পড়াশুনো করতে অষ্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। দুবছর পর ফেডারেল ইউনিভার্সিটি থেকে কমার্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭-তে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার অব ইন্সটিটিউট অব পাবলিক অ্যাকাউন্টেন্ট। ২০০৯ সালে সেখানে নাগরিকত্বের অধিকার পান। ২০১৪ তে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন তিনি। সলিসিটর হওয়ার লক্ষ্যে এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ল পড়ছেন অর্ণব। তাঁর এই লড়াইয়ের পাশে রয়েছে পৃথিবী্র আপামর বাঙালি।
সামনেই পুজো। তার আগে রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৭ জন। এরফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৬৯৭ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬৪ জন। ফলে মোট মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮০৮ জন। আরও ্পড়ুনঃ নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তৃণমূল , মন্তব্য দেবু টুডুর এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫০৫ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৫১৭ জন। তবে ডিসচার্জ রেট কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে, ৮৭.৭৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া মোট মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৪ জন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বদলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন বলে জানালেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। একথা বলে তিনি বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর শিলিগুড়িতে একটি সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এর পাশাপাশি ওইদিনই আলাদা একটি বৈঠক করবেন গোর্খা ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে। পরের দিন শিলিগুড়ি থেকেই দিল্লি ফিরে যাওয়া কথা রয়েছে তাঁর। দলীয় বৈঠকের পরে শহরের কিছু পুজো মণ্ডপও ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। অমিত শাহ পুজোর পরে দক্ষিণবঙ্গ সফরে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ৩,৬৩১ জন। এনিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্ত হলেন মোট ৩,০২,০২০ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০,৯৮৮ জন। ৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন । মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু হল ৫,৭৪৪ জনের। আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশের অপসংস্কৃতি বাংলায় আমদানি করতে চাইছে বিজেপি : ফিরহাদ গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩,১৮৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ২,৬৫,২৮৮ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৮৪ শতাংশ। রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তা ক্রমশ সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
রাজ্যে ফের একদিনে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৩ জন। এরফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯৮ জন। আরও পড়ুন ঃ দোতলা বাসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে রাজ্যে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬০ জন। ফলে মোট মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮২ জন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৬০৪ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৩৬৮ জন। তবে ডিসচার্জ রেট কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে, ৮৭.৮৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩,১৫৫ জন।
ফের করোনা আক্রান্ত মানুযের কথা চিন্তা করে পুজো্র আগে জনমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। কলকাতা ও শহরতলিতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোভিড টেস্ট করাতে গেলে এখন সাধারণ মানুষকে দিতে হয় ২২৫০। কিন্তু রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে , এই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলিতে এখন থেকে টেস্ট করাতে গেলে লাগবে ১৫০০। এছাড়াও রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভা বিনামূল্যে রাজ্যের সকল কোভিড রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেয়। কিন্তু যে সকল কোভিড রোগী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন , তাদের জন্যও অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কমানো দরকার। রাজ্য সরকার সেই সংক্রান্ত রেগুলেটরি কমিশনের কাছে অনুরোধ করছে , অবিলম্বে পুজো্র আগেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া সহনশীল স্তরে নামিয়ে আনা হোক। আরও পড়ুনঃ স্পা-এর আড়ালে মধুচক্র , ধৃত টেলি অভিনেতা সহ ১৬ এছাড়াও গত ১০ অক্টোবর হাওড়ার এএসআই বালটুকরিতে ইতিমধ্যেই কোভিড রোগীদের ৪৮ টি শয্যা্র ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতার এম আর বাঙুরে সো্মবার থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য চালু হল ৫৬ টি শয্যা। আরও ৪৯৬ টি শয্যা আগামী দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ২৪৭৫ জন নার্স শীঘ্রই নিযুক্ত করা হবে। পুজোর সময় প্রশাসনের জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসার ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
অন্য রাজ্যের তুলনায় কম হলেও পুজোর আগেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্য তিন লাখের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৯৪,৮০৬ জন। আরও পড়ুন ঃ বলবিন্দর সিং সহ তিন ধৃতের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২,৫৮,৯৪৮ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,২৩৬ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৮৪ শতাংশ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন ৩,৬১২ জন। মৃত্যু হল ৫৯ জনের। এনিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,৬২২।
করোনা পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনও লাগাম নেই। এক্ষেত্রে ডান- বাম সবারই ভূমিকা সমান। তৃণমূল ও বিজেপি প্রতিযোগিতা করে ভিড় বাড়াচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ হচ্ছে। না আছে মাস্ক, না আছে দূরত্ব বিধি। এত মানুষের সমাবেশে দূরত্ব বিধি মানার অর্থ সোনার পাথরবাটি ছাড়া কিছুই না। কর্মসূচি ঘোষণার সময় বলছে করেনা আবহে সমস্ত বিধি মেনে কর্মসূচি পালন করব। কার্যত তা লবডঙ্কা। তবে এর ফল ভোগ করতে হতে পারে আপামর বাঙালিকে। তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম- কংগ্রেস নিজেদের শক্তি মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। সরকার অনবরত নানা বিধিনিষেধের কথা বলছে। বিহার বিধানসভার নির্বাচনে একাধিক নয়া আইন লাগু হচ্ছে। এ রাজ্যে নির্বাচন হতে এখনও ৭মাস বাকি। কিম্তু নিয়ম- বিধি না মেনে এরাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে। সেই কর্মসূচি স্থগিত রাখার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। সরকারই বা কী করছে? সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি হলে কেন এই বিপজ্জনক কর্মসূচি চলছে? আসলে লক্ষ্য ২০২১ বিধানসভা। ক্ষমতা দখলই যেখানে মূল উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে বাবে বল্গাহীন ভাবে কর্মসূচি চলছে তাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকেই যাছে। এখনও সচেতন নাহলে বিপদে পড়বেন সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সব দলেরই লাগাম টানা প্রয়োজন। রাজনীতিও তো মানুষের জন্য। তাহলে বিপদ বাড়ানোর জন্য এমন প্রতিযোগিতা কেন? বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়তে শুরু করেছে। পুজোর কেনা-কাটা করতে দোকান-বাজারেও ক্রমশ ভিড় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সামনেই আবার দুর্গাপুজো। মন্ডপে মন্ডপে উপচে পড়়বে মানুষের ঢল। চিকিতসকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেরলের পরিস্থিতি উপলব্ধি করেই এখন সকলের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। তা নাহলে আশংকার মেঘ বাস্তবায়িত হতে সময় নেবে না। তখন সব কিছু হাতের বাইরে চলে যাবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৯১ জন। এখন সারা রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২ লক্ষ ৯১ হাজার ১৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা রাজ্যে কোভিড মুক্ত হয়েছেন ৩,০৩২ জন। আরও পড়ুন ঃ বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু অধিকারী সবমিলিয়ে সারা রাজ্যে কোভিডকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৩৮ জন। রাজ্যে এখন করোনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ জন। সবমিলিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫, ৫৬৩ জন।
কলকাতা পুরনিগম সহ বিধাননগর পুরনিগম , বরানগর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় সেরা প্রতিমা , সেরা মণ্ডপ, সেরা ভাবনা , সেরা আলোকসজ্জা , সেরা কোভিড সচেতন পুজো সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান-২০২০ প্রদান করা হবে। এসব জায়গার পুজোগুলির জন্য সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিরা শারদ সম্মান কোন পুজো পাবে, তা বাছাই করবেন। কলকাতা ছাড়া বাকি ২২ টি জেলায় যে বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে শারদ সম্মান প্রদান করা হবে , সেগুলি হল সেরা প্রতিমা , সেরা মণ্ডপ, সেরা কোভিড সচেতন পুজো। পাশাপাশি রাজ্যের বাইরে ও বিদেশের পুজোগুলির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র নেওয়া হবে অনলাইনে। ১০ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর এই আবেদনপত্র পাওয়া যাবে।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। সো্মবা্র রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আসার পর সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুন সিং বলেন, বিজেপি ও মণীশ শুক্লার বাবার পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি সাংবিধানিকভাবে যা করার করবেন।মমতার সরকারের পুলিশের উপর ভরসা নেই। মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান। এছাড়াও বিজেপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়,কৈ্লাস বিজয়বর্গীয়। মনীশ শুক্লার বাবা রাজ্যপালকে বলেন, পুলিশ খুনের মামলা রুজু করতে চাইনি। পুলিশ বলেছিল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।এদিকে এদিন বিকেলে এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মণীশের ময়নাতদন্ত হয়। তার পরেই তাঁর দেহ নিয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে রাজভবনের উদ্দেশে এগোতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা।মৃতদেহ নিয়ে এগোতে শুরু করলে, কলকাতা পুলিশের তরফে বিজেপি নেতাদের বলা হয়, যে মরদেহ নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিজেপি নেতারা। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে তাঁরা এগোতে থাকেন। এক সময়ে নিউ মার্কেট চত্বরে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়।এরপরেই রাজভবনে সরাসরি ফোন করেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তার পরে সেই ফোনেই রাজভবনের সঙ্গে ডিসি সেন্ট্রালকে কথা বলিয়ে দেন তিনি। রাজভবনের সঙ্গে কথা বলার পরে ডিসি জানান, প্যারাডাইস সিনেমা হলের সামনে মৃতদেহ ও গাড়ি রেখে বিজেপির চার জন সদস্য রাজভবনে যাবেন। শেষমেশ মৃতদেহ নিয়ে গাড়িটি চলে যায় টিটাগড়ের দিকে।
কলকাতাঃ রাজ্যে ১০৭ পুরসভার ভোট স্থগিত হয়ে রয়েছে গত এক বছর ধরে। সেই ভোট দ্রুত করানোর দাবিতে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হল বৃহস্পতিবার। তারা দ্রুত ভোট করানোর দাবি জানায়। এখন প্রশাসকরা পুরসভার কাজ পরিচালনা করছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোট মত দেয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব , এই পুরসভাগুলির ভোট সম্পন্ন করতে হবে। কলকাতা হাইকোটও তাতে সহমত পোষণ করে। এছাড়াও ২০২১ সালের বিধানসভা নিরবাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূণ হয়,সে দাবি জানিয়েছেন তারা।
কলকাতাঃ পুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ফের দুর্যোগের ঘনঘটা। কারণ, সপ্তাহান্তে নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। তার ফলে শনি এবং রবিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ঘূর্ণাবর্ত সরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও ওড়িশা উপকূলে আসবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তরবঙ্গ-অসমের উপরেও। তার প্রভাবে অরুণাচল, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের সব রাজ্যে আগামী চার-পাঁচদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আব হাওয়া দফতরের তরফ থেকে।
নয়াদিল্লি: রাজ্য বিজেপির একটাই লক্ষ্য বাংলার শাসনভার নিজেদের হাতে নেওয়া। সেই নিয়ে একাধিকবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বাংলার শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতাদের আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডাকে দিল্লিতেই রয়েছেছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষেরা। আজকের বৈঠকে দিলীপ ঘোষের হাতে নয় বরং মুকুল রায়ের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে নির্বাচনের আগে বঙ্গ সামলানোর দায়িত্ব। প্রসঙ্গত বিজেপি পার্টির নিয়মে রয়েছে জাতীয় সহ সভাপতি এবং জাতীয় সম্পাদকদের এক একটি রাজ্যের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে কে কোন দায়িত্ব পাবে তা ঠিক করে দেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। তবে এতদিন মুকুল রায় বাংলার প্রতিনিধি ছিলেন তাই হিসেব মতো তাঁর হাতে রাজ্যের ভার না যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই কথা যাতে না ওঠে সেই কারণে আগেই তিনি দিল্লির ভোটার ও দিল্লি থেকে বিজেপির সদস্যও হয়ে গিয়েছেন। বলা বাহুল্য যে হয়ত বাংলা সামলানোর দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আগেই মুকুল রায়কে বিজেপি জাতীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে বাধা দূর করতে। তাই এখন যদি বাংলার দায়িত্ব মুকুল রায়কে দেওয়া হয় সেই নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।এটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর নয় বরং বাংলা জয়ের জন্য মুকুল রায়ের উপর আস্থা রাখছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এক সময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন মুকুল রায়। সেই কারণে বাংলার খুঁটিনাটি তাঁর থেকে ভালো করে জানা বিজেপির অন্যান্য সদস্যদের পক্ষে সম্ভব নয় সেটা খুব ভালো করেই জানে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণে দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্য বিজেপি নেতাদের থেকে ভোট যুদ্ধে জিততে মুকুল রায়ের হাতেই বৃহস্পতিবার বাংলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। বঙ্গে ২০২১-এর নির্বাচনী যুদ্ধে জিতেতে বিজেপি চাইছে বাংলায় সমগ্র নেতৃত্ব দিক মুকুল রায়।