• ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার ১০ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman,

রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
রাজ্য

অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঠমুখী করার অভিনব প্রচেষ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের

ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করে স্কুল ছাত্রদের মাঠমুখী করার মহান উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। ৭ই এপ্রিল ২০২৫ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-২ ব্লকের সাহেব ডাঙ্গা, খান্ডারী ডাঙ্গায় পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেল ছাত্রদের বই ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ও জেলা সমাহর্তা আয়েশা রানী এ (আইএএস), উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস), সদর উত্তর মহুকুমাশাসক তির্থঙ্কর বিশ্বাস, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল।এই মহান উদ্যোগটি মূলত পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে সংগঠিত হয়। জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও জেলাশাসক আয়েশা রানী এ-র তত্ত্বাবধানে অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নে নানাবিধ প্রকল্প সংগঠিত হয়। এটিও অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ও মাঠমুখী করার এক আভিনব প্রচেষ্টা। তিনি আরও জানান এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের ক্যারাম বোর্ড, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেট বল, ক্রিকেট সরঞ্জাম, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট-র মত আউটডোর গেমের সরঞ্জামের সাথে-সাথে লুডো, দাবা সহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রীও প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে এই মহান উদ্যোগের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের বিভিন্ন রেফারেন্স ও গল্পের বই বিতরণ করে তাদের শিক্ষার প্রসারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশিষ্টজনেদের মতে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট যেভাবে বিশ্বকে মুঠবন্দি করতে শেখায়, সাথে সাথে পরিবেশ পরিজন দের থেকেও তাদেরকে অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে, বাচ্চারা ক্রমশ গৃহ বন্দী হয়ে পড়ছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর অনেকেই অর্থের অভাবে ক্রীডা সরঞ্জাম ক্রয় করতে আপারগ, তাই তারা সেভাবে মাঠমুখী হয় না। সেক্ষেত্রে এই শুভ উদ্যোগের জন্য বাংলার অনেক ছাত্র ছাত্রী নতুন উন্নত ক্রীড়া সরঞ্জাম পেয়ে পূর্ণ উদ্যমে সবুজ মাঠ মাতাবে এই আশা করায় যায়।

এপ্রিল ০৯, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান আদালতের মহিলা আইনজীবীকে মারধরে অভিযুক্ত গ্রেফতার, পুলিশ পরিচয় কেন দিয়েছিল?

বর্ধমান আদালতে বুধবার আইনজীবীরা কর্মবিরতি করে। তাঁদের দাবি ছিল, মহিলা আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার জন্য় ৭২ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব। অবশেষে এদিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযোগ, শুধু মহিলা আইনজীবীকে মারধর নয়, তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে ওই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রোহিত দাস ওরফে রাজীব। বর্ধমান থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে শক্তিগড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত রোহিতকে গ্রেপ্তার করে। শক্তিগড় থানার অন্তর্গত গাংপুর দিঘিরপাড় এলাকায় ধৃতের বাড়ি। ধৃতের ভাই হাওড়া জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। রোহিতের ব্যবহার করা মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করলে বিচারক তাকে ৩ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ধমান থানাও এই ঘটনায় ওই মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের বক্তব্য়, দুই তরফ থেকেই অভিযোগ হয়েছিল। তাই প্রথমিক পর্যায়ে একটু খতিয়ে দেখতে হয়েছে।মহিলা আইনজীবীর পেটের সন্তান লাথি মেরে নষ্ট করে দিয়েছে অভিযুক্ত, এই অভিযোগ সামনে আসতে চারিদিকে ছিঃছিঃ রব ওঠে। সমস্ত ক্ষেত্র থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। সরাসরি আন্দোলনে নেমে পড়ে বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

পুলিশ পরিচয়ে পেটে লাথি, মারধর, অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীর গর্ভপাত, বর্ধমানের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা

বর্ধমান আদালতের এক অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মারধর করা ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তারপর বর্ধমান থানা তখন অভিযোগ তো নেয়নি, বরং ওই মহিলা আইনজীবীকে বারে বারে ফিরিয়ে দিয়েছে। মারধরের ফলে অন্তঃসত্ত্বা আইনীজীবীর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি পুলিশে অভিযোগ হয়নি বলে। বর্ধমান শহরের এই ঘটনায় তোলপাড় সারা বাংলা। বর্ধমান শহরে বিগবাজারের কাছে জেলখানা মোড়ে স্বামীর বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন ওই আইনজীবী। পথে অপরদিক থেকে আসা একটা বাইকে জোরে চালানোয় ধাক্কা লাগে। তখন ওই মহিলা আইনজীবী আস্তে চালানোর জন্য় অপর বাইক চালককে অনুরোধ করে। এই নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরই নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। তাঁর পেটে লাথি মারে বলে অভিযোগ। এরফলে তাঁর গর্ভপাত হয়। ব্যাপক ব্লিডিং হয়। তারপর সেখান থেকে থানায় গেলে থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার বলে ওই আইনজীবী দাবি করে। এদিকে অভিযোগ না নিয়ে মহিলা আইনজীবীকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারে বর্ধমান থানা। আবার হাসপাতালও পুলিসের কাছ থেকে লিখিত কিছু না পেলে চিকিৎসা করবে না বলে আইনজীবীকে ফিরিয়ে দেয়। ফের তিনি থানায় আসে। দোলে অফিসার কম আছে বলে ফের তাঁকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তারপর বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ, বুধবার আদালতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। সিদ্ধান্তের কথা তাঁদের পক্ষ থেকে জেলা জজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।জেলা জজকে লেখা চিঠিতে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানিয়েছেন, বারের এক মহিলা সদস্যার উপর গত ১৫ মার্চ হামলা চালানো হয়। তাঁকে এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। মারধরে জড়িতের এক আত্মীয় পুলিস অফিসার। সে কারণে বর্ধমান থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নানাভাবে থানা মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে। এমনকি তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। মারধরের ফলে মহিলা আইনজীবীর গর্ভপাত হয়ে যায়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা বুধবার কোনও কাজ করবেন না। বিচার প্রক্রিয়াতেও অংশ নেবেন না।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নেই রাজা, নেই রাজ্যপাট, অব্যাহত ঐতিহ্যের ধারা, শনিবার রঙের উৎসবে মাতবে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন আবির, রঙের উৎসবে মাতোয়ারা সারা বাংলা। কিন্তু এখনও বর্ধমান শহরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত। আজ, শুক্রবার বর্ধমান শহরের সাধারণ মানুষ রঙের উৎসবে মেতে নেই। আগামিকাল রঙীন হবে শহর বর্ধমান। এখানে রঙের উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজা নেই, নেই রাজ্যপাট, কিন্তু রাজ ঐতিহ্যের ধারা এখনও মেনে চলে বর্ধমান শহরের মানুষ।একই রকম ভাবে সাবেকি রীতি মেনে এই জেলার কালনা শহর ও জামালপুর ব্লকের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারাও দোলের দিন আবিরের রঙে রাঙা হন না। দোল পূর্ণিমার পরের দিন এই এলাকায় পালিত হয় দোল উৎসব। যা জোড়া রাধাবল্লভের দোল নামেই খ্যাত। কেন দোল পূর্নিমার পরের দিন উৎসবে মেতে ওঠে বর্ধমানবাসী?এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। সাধারণ ঠাকুরের পায়ে আবির উৎসর্গ করা হয় দোল পূর্ণিমার দিন। রাজবাড়ির কূলদেবতা লক্ষীনারায়ন জিউ মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ দোল যাত্রায় অংশ নেয়। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা মহতাব চাঁদ এই প্রথা চালু করেন। পঞ্জিকা মতে দোল পূর্ণিমার দিনটিকে বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল হিসাবে মানা হয়। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমানের সাধারণের রঙের উৎসব। আজও সেই রীতির সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ।বর্ধমান রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন, প্রায় তিনশো বছর আগে বর্ধমানের মহারাজ ছিলেন মহতাবচাঁদ । ফাল্গুন মাসে পূর্ণিমার দিনে রাজবাড়ির কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউকে উদ্দেশ্য করে তিনি আবির নিবেদন করতেন। যেহেতু ওইদিন দেবতাকে রং অর্পণ করা হত ফলে সাধারণ মানুষের সেদিন রং খেলা উচিত নয় বলে মনে করা হত। তখন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দোলের পরের দিন রং খেলতেন রাজা । রাজ নিয়মকে অনুসরণ করে বর্ধমানে আজও সেই রীতি চলে আসছে ।বর্ধমানের মতই একই রকম ঐতিহ্য মেনে দোল পূর্ণিমা তিথির পরে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতোয়ারা হন পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রায় চার শতাধিক বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে আসছেন জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে। রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে তারপর বিকালে জামালপুরবাসী রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হবেন। ওইদিন মন্দির প্রাঙ্গনে বসে মেলা। জোড়া রাধাবল্লভের পুজো দেখতে আশপাশের বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে জড়ো হন। জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ।জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা। জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত রায় জানান , তাঁদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত । প্রায় চার শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন রাজপুত সিংহ বংশীয় তাঁদের এক পূর্ব পুরুষ।অবিভক্ত বর্ধমান জেলার জামালপুরে তিনি আস্তানা গাড়েন। শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে গড়কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে। সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায় । আস্তানা এলাকায় ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করেন তদানিন্তন রাজপুত পরিবারের সদস্যরা । সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের একটি কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর একটি রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান ।সেই থেকেই দোল পূর্ণিমা তথি পরবর্তীতে প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে রাধাবল্লভ মন্দিরে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

কালনায় হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে বিপর্যয়, মৃত্যু ২ শ্রমিকের

হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ভবানন্দপুরের একটি হিমঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন সজল কুমার ঘোষ (৫৯) এবং শ্রাবণ প্রসাদ (৪৫)। সজলবাবুর বাড়ি কালনায় হলেও দ্বিতীয় জন বিহারের বাসিন্দা। এদিনই মৃত দুজনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ ও দমকল বিভাগ হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু পাশাপাশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের দাপটে হিমঘরের ১ শ্রমিক সহ ২ গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন। সেই খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ছাড়াও পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গ্যাসের প্রভাব যাতে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে না পড়ে তাই তা এদিন ঘটনাস্থল এলাকার স্কুল ও কলেজে বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, এদিন সকালে ভবানন্দপুর গ্রামে থাকা হিমঘরের ভিতর বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে যায়। তার পরেই সেখান থেকে সাদা ধোঁয়ার আকারে প্রচুর গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। চারপাশ সাদা ধোঁয়ায় ভরে যেতে শুরু করে। ওই অবস্থার মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চারটি ইঞ্জিন সহ দমকলবাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্তলে পৌছায়। তাঁরা মুখে মাস্ক পড়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। হিমঘরের আহত এক কর্মী বুদ্ধদেব প্রামাণিককে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বাঁচতে উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে তিনি পায়ে গুরুতর চোট পান। বুদ্ধদেব প্রামাণিক বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার সময় হিমঘরের মেশিনঘর ও বাইরে সাতজন শ্রমিক ছিল। এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস হিমঘরের কাছে পিঠে থাকা ঘোষপাড়ায়, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের চোখমুখ জ্বালা করতে থাকে। ভয় পেয়ে অনেকেই চোখ মুখ কাপড়ে ও মাস্ক ঢেকে ফেলেন। সকালে জমিতে কাজ করতে থাকা কৃষক সহ স্থানীয়দের অনেকেই বিকট আওয়াজের আতঙ্কে জমির আল ধরে ছুটতে শুরু করেন। গ্যাসের ঝাঁঝে প্রিয়াংকা মণ্ডল নামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও মিঠু বাগ নামের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর গ্রামে আসা মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। প্রিয়াংকাকে পাঠানো হয় কালনা হাসপাতালে। স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় ঘুরে স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার ফরেন্সিক তদন্ত হবে। ফরেন্সিক টিম চাওয়া হয়েছে। এদিন ব্যারাকপুর ও দুর্গাপুর থেকে ডিজাস্টারের দুটি এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে রবিবার জনসভা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের, সংগঠন মজবুত করার ওপর জোর

মধ্যবঙ্গ সফরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার বর্ধমান শহরের উল্লাসে আরএসএস মধ্যবঙ্গ প্রান্তের কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মোহন ভাগবত। আগামিকাল তালিত সাঁই কমপ্লেক্সে জনসভা করবেন আরএসএস প্রধান। তাঁর এই জনসভার দিকে নজর রয়েছে প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক মহলের। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন জনসভা প্রথমে পুলিশ প্রশাসনের অনুমোদন পায়নি। শর্ত সাপেক্ষে এই জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।সামনেই ২০২৬ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ১০ দিনের বাংলা সফরে এসেছেন মোহন ভাগবত। বিগত কয়েকদিন ধরেই পুরনো সংঘ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের পর এবার মধ্যবঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন মোহন ভাগবত। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সংগঠন মজবুত করে উদ্যোগী সংঘ। একই সঙ্গে পুরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ইউনিট গড়র পরিকল্পনা নিয়েছে আরএসএস।বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্য়াচার করা হচ্ছে। সেই আবহে বাংলা সফর করছেন মোহন ভাগবত। বাংলায় কি প্রতিক্রিয়া তা পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। জনসভায় মোহন ভাগবত বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য় রাখেন কিনা, সেদিকে নজর রয়েছে অভিজ্ঞ মহলের।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ংকর বিস্ফোরণ কেতুগ্রামে, উড়লো ছাদ - ভাঙলো ইটের দেওয়াল

গুলি, বিষ্ফোরণের পালা চলছে। এবার ভয়ংকর বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চেঁচুড়া গ্রামে। বিস্ফোরণে উড়ে গেল পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ। গুড়িয়ে গিয়েছে শৌচাগারের ইটের দেওয়ালের একাংশ। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চেঁচুড়া গ্রামে। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আই সি ও কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কিশিনাথ মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেউ গোপনে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারে প্রচুর বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করে রেখেছিল। কারা কি উদ্দেশ্যে পরিত্যক্ত ওই শৌচাগার শক্তিশালী বোমা মজুত রেখেছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে । উল্লেখ্য, দুদিন আগে কল্যাণীতে বেআইনি বাজির কারখানায় বিষ্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ির শৌচাগারে এদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেউ থাকেন না। বাড়ির মালিকরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে একবার তাঁরা আসেন। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বর্ডার সংলগ্ন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত কেপে উঠেছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে তটস্থ ঘুম ছুটেছে চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের।বিগত লোকসভা ভোটের আগের রাতেই বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতি হামলায় খুন হন চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ। বোমা মেরে ও কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় মিন্টুর এক সঙ্গী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিল। আজও ওই খুনের হামলাকারী দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। সেই আতঙ্ক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেঁচুড়ি গ্রামবাসী। তারই মাঝে ভয়ংকর বিস্ফোরণে একটা পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনায় সিঁদূরে মেঘ দেখছে গ্রামবাসীরা।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) কাশিনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বাড়ির শৌচাগারে বিস্ফোরণ ঘটেছে ওটি পোড়ো বাড়ি। ১৫-১৬ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। আমারা সুয়োমোটো মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজ্য

সরকারি উদ্যোগে বর্ধমানে শুরু 'সাঁওতালি' ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা

দেশের বৃহত্তম ভাষার অন্যতম বাংলা ভাষা যখন ইংরাজি ও হিন্দির চাপে এক সন্মিলিত ভাষায় পরিণত হওয়ার প্রহর গুনছে, ঠিক সেই সময় সাঁওতালি ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সত্যিই প্রশংসনীয়। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগর উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান শহরের অদূরে দেওয়ানদিঘী প্রীতিলতা মঞ্চে মহাসমারোহে শুরু হল তিনদিন ব্যাপী ৩০তম আদিভাষায় জেলা ও আঞ্চলিক স্তরের আদিবাসী একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। বুধবার দেওয়ানদিঘীর প্রীতিলতা মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহকারি সভাধিপতি গার্গী নাহা, ও কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি। উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস), সদর উত্তর মহুকুমাশাসক তির্থঙ্কর বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক রজনীশ কুমার যাদব সহ আরও বিশিষ্ট মানুষজন।এই সুবিশাল কর্মকান্ডের প্রধান উদ্যোগী পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেনী উন্নয়ন দপ্তর। ওই দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল সকলকে অবাক করে দিয়ে তাঁর স্বাগত ভাষণ শুরু করেন অলচিকী ভাষায়। কোনওরকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই অনর্গল ভাবে সাঁওতালি ভাষায় তাঁর বক্তব্য এই অনুষ্ঠানে পরম প্রাপ্তি। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে সকলকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই ভাষার প্রচার প্রসার করার শুভ উদ্যোগের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান।অথিতিবর্গের সকলেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। মাতৃভাষার রক্ষণাবেক্ষণে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে, জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের মেন্টর মহঃ ইসমাইল। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল জানান, প্রীতিলতা মঞ্চ, দেওয়ানদীঘিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের জেলা পর্যায়ের এবং শুক্রবার জোনাল লেভেল একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা (সাঁওতালি ভাষা) অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জনতার কথা মাধ্যমে সকল নাট্যপ্রেমী মানুষজনকে নাটকের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
রাজ্য

আইপিএস পদে রদবদল, বদলি হচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার

রাজ্যে আইপিএস পদে রদবদল। বদলি হলেন বর্ধমান ও বীরভূমের পুলিশ সুপার। সোমবার রাজ্য পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে তিন আইপিএস অফিসারের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ট্রেনিং থেকে এবার ফিরে বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন আমনদীপ। এসএস সিআইডি সায়ক দাসই এবার অফিসিয়ালি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে যোগ দিচ্ছেন। তিনি অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ ট্রেনিংয়ে ছিলেন। এদিকে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় সরছেন। তার জায়গায় বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ যোগ দিচ্ছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে। অন্যদিকে রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এসপি ট্রাফিক পদে যোগ দিচ্ছেন।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানের জঙ্গলমহলে নেকড়ের হানা, পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী

রাজ্যের পশ্চিমের জঙ্গলমহেল বাঘের আতঙ্কে মানুষ সিঁটিয়ে আছে। ঠিক তখন পূর্ব বর্ধমানে হেরোলের আক্রমণে দখম হয়েছে প্রায় ১৫ জন গ্রামবাসী। তবে ইতিমধ্যে ওই হেরোলটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। জনরোষ আছড়ে পডল বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীটির ওপর।পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে হিংস্র হেরোল- বেশ কয়েকজনকে কামড়ে দেয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়ায় আশেপাশে গ্রামেও। শেষমেশ উত্তেজিত জনতা ওই বন্য প্রাণীটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে ক্রমাগত গ্রামে গ্রামে হেরোলের হানা চলছিল। ছোট ছোট গবাদি প্রাণীদের রক্ষার জন্য সচেষ্ট হলেই ওই হেরোল আক্রমণ করত। তাতেই জখম হত সাধারণ গ্রামবাসী।হেরোলের আসল নাম ইন্ডিয়ান গ্রে উলফ। ভারতীয় উপমহাদেশে এর দেখা পাওয়া যায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর ধরে হেরোলের সংখ্যা বেড়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কাঁকসা, আউশগ্রাম ও জেলার বিভিন্ন ছোট ছোট জঙ্গলে এদের বসবাস। সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে এদের খাবারেও অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই লোকালয়ে হানা দিয়ে ছাগল, মুরগি শিকারের চেষ্টা করছে তারা। যার জন্য বাড়ছে মানুষের সঙ্গে সংঘাত।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানে চক্ষু হাসপাতালের উদ্বধোনে নজর কাড়লো দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রী

বর্ধমানে পার-বীরহাটার আরজি ভবনে বর্ধমান আই কেয়ার-এর উদ্যোগে বিনা মূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর পাঁচটা সংস্থার মত শুধুমাত্র চক্ষু পরীক্ষা করেই দায় সারেননি তাঁরা। যে সমস্ত মানুষেরা আজ চক্ষু পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁদের বিনামূল্যে ঔষধ-ও প্রদান করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। এছাড়াও আজ যাঁরা চক্ষূ পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ১০ জনের বিনা মূল্যে চক্ষূ অপারেশনের দায়িত্ব নিয়েছে বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম।বুধবার ৩রা আগস্ট বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম বহু মানুষ এসে তাঁদের চক্ষু পরীক্ষা করান। বুধবার যারা চক্ষু পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব স্মরণ করাতে প্রত্যেককে একটি করে চারাগাছ উপহার দেওয়া হয়। তাঁদের এই মহৎ উদ্যোগের উদ্বোধনেও ছিল চমক। বর্ধমান আই কেয়ার-এ আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য কোনও নামি-দামিদের পিছনে না ছুটে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের।বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের বিশেষ ক্ষমতায় মুগ্ধ করেন উপস্থিত সকলকে। তাঁদের নাচ, গান ও আবৃত্তিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। মহালয়ার পূণ্য লগ্নে এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীর বাজলো তোমার আলোর বেণু সত্যি-ই যেন বেণূর সুরে সন্মোহিত করে দিলো উপস্থিত সকলকে।সংস্থার কর্নধার বিশিষ্ঠ চক্ষু বিশারদ ড. সৌরভ ঘোষ জানান, আজ তাঁরা তাঁদের নতুন চক্ষূ পরীক্ষা কেন্দ্র বর্ধমান আই কেয়ার নার্সিং হোম উদ্বোধনী দিনে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার আয়োজন করেছেন। এবং বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমী দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের নুতন চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করছেন। ভবিষ্যতেও এই ধরনের নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

অক্টোবর ০৩, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

'ছকে' বাঁধা চিন্তার বাইরে গিয়ে 'কিস্তিমাত' বর্ধমানের স্কুলের

বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইন্ডোর গেম কথার অর্থ যেখানে PUBG: Battlegrounds, Minecraft, Grand Theft Auto, সমকালীন সেই চাহিদা/ধারনার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য ভাবনার মানুষ অচিন্ত্য মন্ডলের ঐকান্তিক উদ্যোগে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল আয়োজন করলো দুই দিন ব্যাপী দাবা প্রতিযোগীতার। অক্টোবরের ১ ও ২ তারিখ যথা মঙ্গল ও বুধবার বর্ধমান মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে দুই দিন ব্যাপী এই সুবিশাল কর্মকান্ড চলে।১লা অক্টোবর মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার প্রথম দিন বর্ধমান মডেল স্কুলের উদ্যোগে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান সহোদয়া স্কুল কমপ্লেক্স সিবিএসসি (CBSE) অধীনস্থ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য আন্ত স্কুল দাবা আয়োজন করা হয়। দুই জেলার স্কুল ভিত্তিক এই প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অর্জন করে -বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল, বার্নপুর, পশ্চিম বর্ধমান। দ্বিতীয় স্থান লাভ করে আয়োজক স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল, বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও যথাক্রমে তৃতীয় স্থান অর্জন করে পূর্ব বর্ধমান জেলারই মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুল, মেমারি।বয়স ভিত্তিক স্কুল দাবায় বিভিন্ন বিভাগে রেজাল্ট হলঃ অনুর্ধ-১১- বর্ধমান মডেল স্কুল (প্রথম), বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল (দ্বিতীয়)। অনুর্ধ-১৪- ডিএভি মডেল স্কুল দুর্গাপুর (প্রথম) ও বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল (দ্বিতীয়)। অনুর্ধ-১৭- বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল (প্রথম) ও বর্ধমান মডেল স্কুল (দ্বিতীয়)। অনুর্ধ-১৯- বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল (প্রথম) ও পুর্ব ইন্টারন্যাশানাল স্কুল (দ্বিতীয়)। সহোদয়া স্কুল কমপ্লেক্স সিবিএসসি (CBSE) এর মস্তিস্ক প্রসূত একটি উদ্যোগ, যাহা সংশ্লিষ্ট জেলার সকল সিবিএসসি (CBSE) অনুমোদিত স্কুলগুলির একটি যৌথ মঞ্চ। যেখানে উক্ত জেলার স্কুলের শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমাজে একটা বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেয়। সেই নিমিত্তে CBSE এর সমস্ত স্কুল সহোদয়া কমপ্লেক্সের ঘরানা অনুযায়ী আন্তঃস্কুল বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। তারই অঙ্গ হিসাবে বর্ধমান মডেল স্কুল এই দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।এছাড়াও বর্ধমান মডেল স্কুল কর্তৃপক্ষে নানাবিধ খেলার প্রচার ও প্রসারে সারাবছরই নানাবিধ উদ্যোগ নেয়। তাঁরা দাবাপ্রেমী শিক্ষার্থীদের দাবা খেলায় অনুপ্রাণিত করার উদ্যোগে ২রা অক্টোবর ২০২৪ বুধবার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের দাবারুদের নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৭৫ জন পেশাদার দাবা খেলোয়ার অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান লাভ করেন অম্বরীশ শর্মা এবং দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন শঙ্খদীপ মাইতি। বর্ধ্মান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান, এতবড় কর্মকান্ড আয়োজন করার পিছনে একটাই উদ্দেশ্য একজন-ও যদি খেলাটার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে জীবনের দিশা খুজে পায়! তিনি আরও জানান, নবীন প্রজন্ম কে পথ না দেখিয়ে শুধু দোষারোপ করলে চলবে না। আমাদের সেই পথে চলে লক্ষ্যে পৌছালেই আমাদের কাজের সার্থকতা। আমার আশা এই দাবা টুর্নামেন্ট দেখে অনুপ্রানিত হয়ে একজনও বিশ্বনাথন আনন্দ বা দিব্যেন্দু বড়ুয়া হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।এই টুর্নামেন্ট দেখতে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকেরা ভিড় জমান স্কুল প্রাঙ্গণে। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া সারা দিন ব্যাপী চলা টুর্নামেন্টে টানটান উত্তেজনায় ভরা খেলা চুড়ান্ত রাউন্ড শেষ হতে প্রায় সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। এই প্রতিযোগীতার অন্যতম আকর্ষণ ছিলো কমনওয়েলথ গেমস সহ একাধিক আন্তঃর্জাতীক প্রতিযোগীতায় দাবায় স্বর্ন পদক বিজয়ী স্নেহা হালদার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশাসক ও আইনজীবী পিরদাস মন্ডল। প্রতিযোগীতাটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিডে (FIDE) নিয়মানুসারে খেলা হয়।

অক্টোবর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

কয়েকশো মহিলাকে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের পুজোর উপহার প্রদান, মুখপত্র প্রকাশ ও ওয়েবসাইটের সূচনা

বেঙ্গল প্রেস ক্লাব কয়েকশো মহিলাকে পুজোর উপহার প্রদান করলো। রবিবার বিজয় তোরণের সামনে বস্ত্র উপহার কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল প্রমুখ। পুজোর মুখে এই উপহার পেয়ে খুশি মহিলারা।বিধায়ক খোকন দাস বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব অসহায় মহিলাদের হাতে বস্ত্র উপহার হিসাবে তুলে দেয়। সারা বছর মানুষের পাশে থাকে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। বর্ষমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত বস্ত্র উপহার কর্মসূচির প্রশংসা করেন। সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল বলেন, বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের জনদরদী কর্মসূচির ভূয়সী প্রসংশা করেন। অনুষ্ঠানে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের মুখপত্র জনমন প্রকাশিত হয়। ক্লাবের নিজস্ব ওয়েবসাইট এদিন যাত্রা শুরু করে। সাধারন মানুষের মধ্যে এই অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
রাজ্য

বানভাসি বাংলার একাংশ, বর্ধমানে গিয়েও তোপ দাগলেন ডিভিসির বিরুদ্ধে

বাংলা বানভাসি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় সেই ডিভিসি। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই প্রতিনিধির ডিভিসির কমিটি থেকে সরে এসেছেন। সোমবার বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, হাজির ছিলেন।মূলত পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে সেখানকার জলাধারগুলি থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসির ছাড়া জলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও সক্রিয় হতে হবেক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। বাংলার দুর্ভাগ্য যে এখানে এবং অসমে যে পরিমাণ বন্যা হয় সেটা অন্য কোথাও হয় না। বাংলা নদী মাতৃকার দেশ। বাংলার অবস্থান নৌকার মতো। একটুকুতেই জলে ডুবে যায়। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা হয়। নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয় ঝাড়খণ্ড। নিজেদের বাঁচাতে বাংলায় জল ছেড়ে দেয়আবার বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। সবাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেবেন। জল সরে গেলে চাষিরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে নিজেদের বাঁচাতে বাংলার উপর জল ছেড়ে দেয়। DVC কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। কিন্তু কেন্দ্র কিছু না করার জন্য মানুষের বাড়ি ঘর ডুবে যাচ্ছে। ভোটের জন্য যে টাকা খরচ করা হয় তার একাংশ দিলেও বন্যা আটকাতে ব্যবস্থা করতে পারতাম।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

আজ বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোথায় কি নিয়ে বৈঠক?

ডিভিসির ছাড়া জলে পুজোর আগে প্লাবিত হয়েছে পূর্ব বর্ধমান সহ বাংলার আটটি জেলা। তাই বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলায় পৌছে গিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে চাক্ষুষ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিকল্পনা করে বন্যা করা হয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন। এমনকী ডিভিসির কমিটি থেকে রাজ্যের দুই আধিকারিক পদত্যাগ করেছেন। এই জল ছাড়া নিয়ে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গন্ডগোলের জল গড়িয়েছিল বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত ও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়েই জেলা পুলিশ ও প্রশানের তৎপরতা এখন তুঙ্গে উঠেছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ কর্মসূচী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান জেলায় আসছেন। এই খবর রবিবার বেলায় জেলা প্রশাসনের সদর দপ্তরে এসে পৌঁছায়। তারপরই শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি। জরুরী বৈঠকে বসেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিকেলে জেলাপ্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। বিদুৎ দপ্তরের আঞ্চলিক অধিকর্তা গৌতম দত্তও বৈঠক করেন। সম্প্রতি, ডিভিসি জল ছাড়ায় পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

অভয়া ক্লিনিক বন্ধে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের, তবুও রোগী দেখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল সার বাংলা। বিচারের দাবিতে অনড় বর্ধমান সহ রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা লাগাতার অন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই আন্দোলনের সঙ্গী হওয়া রাজ্যের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পেতে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় তাই চালু হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। বর্ধমান টাউনহলে চলা সেই অভয়া ক্লিনিক বন্ধ করার জন্য শাসক দলের কয়েকজনের ফরমান জরি নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়ায়। পরে যদিও বর্ধমান পুরসভার পুর প্রধান পরেশ সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাইকে প্রচার বন্ধ রেখেই অভয়া ক্লিনিক চালাতে হয় প্রতিবাদী চিকিৎসকদের। রাজ্যের অন্য হাসপাতালের মতো বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচটি দাবি নিয়ে আন্দোলন জারি রেখেছেন। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চালু থাকলেও অভয়াকে খুনের বিচারের দাবিতে আউটডোর করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরিবর্তে রোগী স্বার্থে বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা চালু করেছেন অভয়া ক্লিনিক। বর্ধমান টাউনহলে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো অবধি ওই ক্লিনিক চলে। সেই ক্লিনিকে জুনিয়রদের সঙ্গে রোগী দেখেন সিনিয়র ডাক্তার বাবুরা। এ বিষয়ে ডা: সুবর্ণ গোস্বামী জানান, সংগত কারণেই জুনিয়ররা আন্দোলন করছেন।তাই তাঁদের পাশে সিনিয়ররা ডাক্তাররাও আছে। এদিকে এদিন বর্ধমান টাউন হলে অভয়া ক্লিনিক নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক দিবসের একটি কর্মসূচি একই জায়গায় চলাকালীন শাসকদলের কয়েকজন ব্যক্তি গিয়ে তাড়াতাড়ি ক্লিনিক বন্ধের ফরমান জারি করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে বাক বিতন্ডা তৈরি হলে বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার চিকিৎসকরা পুর প্রধানকে সাফ জানিয়ে দেন, অভয়া ক্লিনিক বন্ধ হবে না। রোগীরা যতক্ষণ আসবেন তারা পরিষেবা দিয়ে যাবেন। তবে পুর প্রধানের অনুরোধ মেনে শুধুমাত্র মাইকে প্রচার বন্ধ রাখেন অভয়া ক্লিনিক পরিচালনায় থাকা চিকিৎসকরা।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
রাজ্য

আর জি কর-এর প্রতিবাদে এবার পথে নামলো বর্ধমানের স্কুল ছাত্ররা

আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে আজ পথে নামল বর্ধমান শহরের এক স্কুল। শহরের উত্তর প্রান্তে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আজ ওই ঘটনার প্রতিবাদে বর্ধমান শহরে শোভাযাত্রা আয়োযন করে। ছাত্রছাত্রীদের সাথে সাথে এদিন পথে নামেন ডিএনদাস স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দরা। তাঁদের সক্রিয় উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা কাঞ্চননগর রথতলা উদয়পল্লীর বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। অপরাধের বিচার চেয়ে এবং চিকিৎসক তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবীতে শ্লোগান দিয়ে সোচ্চার হয় অংশগ্রহণকারীরা। ডিএনদাস স্কুলের শিক্ষক কমল সাহার পরিচালনায় ছাত্রী সোনালি সোহিনী হেমাদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় আমরা করব জয় গানটি। শিক্ষিকা আঁখি চক্রবর্তী বললেন, মঙ্গলবার নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীরা আবেদন করে আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে শোভাযাত্রার জন্য। তাদের অনুরোধেই মূলত আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচী। আঁখি চক্রবর্তী আরো বলেন, চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় আমাদের সবাইকে। ফলে তাঁরা যাতে কোনভাবে হেনস্থার শিকার না হন তা দেখার দায়িত্ব আমাদের সবাইকার।রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথা কে জানান, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বরাবরই সমাজসচেতন। প্রতিদিন সকালের সমবেত সঙ্গীতের পর ওরা সংবাদপত্র থেকে রোজকার খবর পাঠ করে। তারা পাঠ করে মনীষীদের বাণী। ওরা আরজি করের দুর্ঘটনা সম্বন্ধে যঠেষ্ট অবহিত। মূলত ওদের আগ্রহেই আজকের এই প্রতীবাদ কর্মসূচী। আমরাও চাই দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া সমাপ্ত হোক এবং আসল দোষী / দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কারণ এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় জড়িত।

আগস্ট ২২, ২০২৪
রাজ্য

"আরজিকরে কি হয়েছে জানেন তো?", ভাতারে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার সিভিক ভলেন্টিয়ার

আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড়। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। তারই মাঝে এবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনায় আরেক হুমকির ঘটনা। অভিযোগ, হাসপাতালের কর্তব্যরত এক মহিলা ডাক্তারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ অবস্থায় থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়ায় ভাতার হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। ভাতার থানায় চলে বিক্ষোভ। দাবি করা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তারের। তাতে জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূবর্ণ গোস্বামী, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক এবং মহিলা চিকিৎসকও বিক্ষোভে সামিল ছিলেন। এর পরেই অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান,অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুশান্ত রায়কে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁকে রবিবারর বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে ।সূত্রের খবর, কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ায় ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত প্রায় ২-১৫ নাগাদ। ওইসময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ সুতপা নস্কর। ওইদিন বিকেল থেকেই বর্ধমান কাটোয়া সড়কে পুন্যার্থীদের প্রচুর ভিড় ছিল। কাটোয়া থেকে গঙ্গাজল নিয়ে হাজার হাজার পুন্যার্থী বর্ধমানেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। প্রচুর বাইক ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছিল। ওই রাতে ভাতার এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটে। তখন সেইসব দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের নিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছিলেন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডাক্তার সুতপা নস্করের বক্তব্য়,রাতে তখন হাসপাতালে দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীদের ভিড় ছিল। তাদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তখন সুশান্ত রায় নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার হাসপাতালে আসেন। পেটে অস্বস্তি ও মাথা ঘুরছিল বলে তিনি জানান। আমি ওই ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। তবুও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার আমার সাথে চুড়ান্ত দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন,আর জি করে কি হয়েছে জানেন তো?জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূবর্ণ গোস্বামী বলেন. আরজিকরে কি হয়েছে আমরা সবাই জানি। ওই ঘটনা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। এই আবহে ভাতারে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার মদ্যপবস্থায় আমাদের এক মহিলা চিকিৎসকের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আগস্ট ১০, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 15
  • 16
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

এ এক অনবদ্য শ্রদ্ধার্ঘ! জাকির হোসেনের সমাধিস্থলে উত্তরসূরি হিন্দোল

২০২৪-র ডিসেম্বরের ১৫তে ৭৩ বছর বয়সে প্রবাদ প্রতিম তবলিয়া ওস্তাদ জাকির হুসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাঁর দেহ আমেরিকার ৩০১, টেনেসি ভ্যালি রোড, মিল ভ্যালি তে ফার্নউড কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাড়াও পৃথিবীর সমস্ত স্তরের সঙ্গীত শিল্পীরা শোকসন্তপ্ত হয়ে পরেন। ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ র ৯ই মার্চ ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বই) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন প্রবাদ প্রতিম তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে জাকির হোসেন তাঁর পিতার কাছে তবলা বাজানোর তালিম নেওয়া শুরু করেন।ভারতবর্ষ থেকে কয়েক হাজার যোজন দূরে এই মহামানবের সমাধিস্থল দর্শনের সৌভাগ্য খুব কম জনেরই হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ মে প্রথিতযশা তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার তাঁর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞ্যাপন করতে যান। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তাতে দেখা যাচ্ছে হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে তবলার বোল উচ্চাড়ন করে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ দিচ্ছেন। এই অভুতপূর্ব দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগ প্রবন হয়ে পরেন। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেনের পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, জাকিরের জন্মের পর তাঁদের প্রথা মত পিতার সন্তানের কানে আজানের বানি শোনানোর পরিবর্তে আল্লা রাখা জাকিরের কানে তিনতালের বোল শুনিয়েছিলেন। হিন্দোলের এই শ্রদ্ধার্ঘ অনেককেই সেই নাস্টালজিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলো।তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আজ আমি ওস্তাদ জাকির হোসেন জির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি, কখনও ভাবিনি কিংবদন্তিকে এইভাবে দেখব, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে সঙ্গীতের জগৎ তাকে ছাড়া থাকবে - তাঁর আত্মা চির শান্তিতে বাস করুক-ওম শান্তি। হিন্দোল মজুমদার কে জাকিরজির সমাধিস্থলে নিয়ে আসার জন্য প্রতিভাবান সরোদ বাদক সৌরদীপ ভট্টাচার্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জনতার কথাকে জানান, জাকির জি আমাদের মতো তবলিয়াদের কাছে একজন পথিকৃৎ বা মশিয়াহ। তাঁকে এবং পন্ডিত স্বপন চৌধুরী জি মত তবলিয়া কে সামনে রেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা। তিনি জানান জাকির জি ছিলেন আমার খলিফা। আমার গুরু প্রয়াত পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ওস্তাদ আল্লা রাখার শিষ্য। তিনি আরও জানান তবলা কে যে উচ্চতায় জাকির জি নিয়ে গেছেন সেটা অনুধাবন করার মত সময় এখনো আসেনি। হিন্দোল মজুমদার আরও জানান, জাকির জি ও পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী কে দেখেই তাঁদের সমসাময়িক তবলা শিল্পীরা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে আমেরিকা ও ইউরোপে এসে নারা বাঁধেন। সেই পরম্পরা আজও চলছে। আমরা তাঁদের দেখানো পথই অনুসরন করে চলেছি।তিনি জানান, জাকির জি বছরের বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের সাথে আমেরিকাতে কাটাতেন, ২-৪ মাস ভারতে এসে বিভিন্ন কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন। আরও জানান, জাকির জির সাথে বহুবার সাক্ষাত হয়েছে। তাঁর মত গুরু, অগ্রজ, উদারমনা মানুষ বিরল। হিন্দোল মজুমদার বলেন, জাকির জির রসিকতা বোধ ও ছিলো অসাধরণ। তিনি আরও জানান জানান, জাকির জির মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই আমার গুরু পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হন। পরপর দুটি ধাক্কা সামলানো খুব-ই কঠিন ছিলো আমার কাছে। অনেকদিন ধরেই জাকির জির সামাধি স্থল দর্শন করার ইচ্ছা ছিল, সেই সুযোগ পেলাম। তাঁকে তবলার বোল ছাড়া কি দিয়েই বা শ্রদ্ধা জানাতে পারি? তাই সমাধিস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে ওনার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা জির কম্পোজিসন করা রুপক তালের ওপর একটি বোল পাঠ করি।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সামাধিস্থল ঘুরে এসে কিছুটা ব্যথিত-ও। তিনি জনতার কথা কে জানান, তাঁর মত মানুষের সমাধি এতটা মলিন, এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। তিনি জানান, আমার স্থির বিশ্বাস তাঁর অগণিত গুনাগ্রাহী এই দৃশ্য দেখে ভীষণভাবে মর্মাহত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এই সমাধি তাঁর জন্মস্থান ভারতে হলে সেটাই আজ একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হত। তবে তিনি জানিয়েছেন জাকির জির পরিবারের সাথে কথা বলে জাকির প্রেমী মানুষজনকে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন। অন্তত একটা সাইনেজ ও যেন লাগানো যায়, যাতে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে এসে জায়গাটাকে সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারেন।

মে ০৯, ২০২৫
নিবন্ধ

গল্প হলেও সত্যি কি? (অন্তিম পর্ব )

ঐশী নিজের গল্প শেষ করলো, সৈকত এতক্ষন মন্ত্র মুগ্ধের মত গল্পটি শুনছিল, এবার সে বললো, ব্যাপারে, এবারের সফরটা মনে থেকে যাবে, যা একটা গল্প শোনালেন। একই গল্পে এই ধরণের অসুখ আর নরখাদক, এখনো ভাবতে পারছিনা আমি ঠিক কি শুনে নিলাম ,সেরা লেখেন আপনি। এই গল্প বেস্ট সেলার হবেই মিলিয়ে নেবেন আপনি।ঐশী: ধন্যবাদ।সৈকত: আচ্ছা । গল্পটা বই আকারে কবে পাবো ?ঐশী: আসা করি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।দেখতে দেখতে কেটে গেলো সেদিনের রাত, পরেরদিন বিকালে দুরন্ত এক্সপ্রেস এসে থামলো যশবন্তপুর স্টেশনে। সবার মতোই সৈকত আর ঐশীও নিজেদের লাগেজ নিয়ে ট্রেন থেকে বেরিয়ে এলো। সৈকত: আচ্ছা আপনার বোন কই ?ঐশী: চলুন দেখা করিয়ে দি, বাইরে আছে ওরা।সৈকত ঐশী স্টেশন এর বাইরে বেরোতেই একটা মেয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো ঐশীকে। ঐশী সৈকতের দিকে তাকিয়ে বললো, এই যে তিথি।সৈকত: Hi তিথি ! Nice to meet you.তিথি সৈকতের দিকে তাকিয়ে বললো, same to you, আপনি ?ঐশী: আমার নতুন বন্ধু। ট্রেনে দেখা হলো, তোর গল্প বলতে বলতে এতদূর চলে এলাম।তিথি: oo wow. New friend ! নাম কি এই নতুন বন্ধুর ?সৈকত: সৈকত সেন, পেশায় সাংবাদিক।তিথি: আমি তিথি পেশায় নার্স।সৈকত: great তিথি ম্যাম।তিথি: আমাদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে হবে কিন্তু।সৈকত কিছু একটা বলতেই যাবে এমন সময় কেও একজন বলে উঠল, আজকে হবেনা, ওনাকে অন্যদিন আসতে বলিস।সৈকত দেখলো তিথির পিছনে বছর ৩৫ এর এক মহিলা, চেহারা দেখে মনে হচ্ছে হয় তিনি খেলাধুলার সাথে যুক্ত নাহলে পুলিশ। তিথি বললো: কিন্তু দিদি কেনো?মহিলাটি বললেন: আজকে বাড়িতে একটু অসুবিধা আছে রে।সৈকত: আচ্ছা তিথি অন্য কোনো একদিন আসা যাবে নাহয়।ঐশী: ও আমাদের তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বোন প্রিয়া। তিথির সাথে ও চলে এসেছিল এখানে। আগে পুলিশ ছিল, এখন সেচ্ছাবসর নিয়েছে।সৈকত: আচ্ছা তাহলে এবার আমি আসি, দেখি ট্যাক্সি কোথায় পাই!ঐশী: বাই।তিথি: বাই দাদা।সৈকত: বাই ঐশী, বাই তিথি।সৈকত দেখলো প্রিয়ার চোখে যেনো তার প্রতি এক রাশ অবিশ্বাস, সৈকত অবশ্য বেশি ভাবলনা, পুলিশ ছিল হয়ত সেই জন্যই শুরুতেই কাওকে বিশ্বাস করতে পারেন না নিজেকে এই সান্তনা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো সে।সৈকত বাইরে বেরিয়ে একটা টাক্সি করে নিল। একটা হোটেল আগেই বুক করে রাখা আছে, ওখানেই গিয়ে উঠবে সে। টাক্সিতে যেতে যেতে ঐশীর বলা গল্পটা তার মনে পড়তে থাকলো। কি সুন্দর গল্প লেখে আর বলে মেয়েটা, সত্যিই সে ফ্যান হয়ে গেছে ঐশীর। হটাৎ তার মনে একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো, আচ্ছা তিথী মানসিক রোগী ছিল, তিথী অনেক বছর ছিলনা এদের সাথে, সেখানে খেতেও নাকি পেতোনা ঠিক করে..... এদিকে ওর বড়দিদি একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন যিনি শ্রেয়ার মতই সেচ্চাবসর নিয়েছেন। ঐশী নিজেই গার্গীর মতই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। আজ থেকে কয়েক বছর আগে মালদায় একটা এইরকম সিরিয়াল কিলিং এর ঘটনাও ঘটেছিল, তাহলে কি ঐশী নিজের জীবনের গল্পই এইভাবে তাকে বলে দিলো?সৈকত ফোন করলো নিজের বন্ধু এবং বর্তমান লালবাজারের ACP সুবীরকে । সুবীর ফোন ধরতেই সৈকত প্রথম প্রশ্ন করলো, আচ্ছা সুবীর , মালদায় আজ থেকে ৫ বছর আগে যে মানুষ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে কি ACP সুদীপ সেন নিখোঁজ হয়েছিলেন না মারা গিয়েছিলেন ?সুবীর: জানা যায়নি , তবে যতদূর শুনেছি উনিও গায়েব হয়েছিলেন বডি পাওয়া যায়নি বলেই তোদের ফ্যামিলির হাতে দাদাকে তুলে দেওয়া যায়নি। আর অস্বাভাবিক ভাবেই তোর দাদার পর আর কেও গায়েব হয়নি।সৈকত: আমি জানতে পেরে গেছি সুবীর, কে ছিলো আসলে এইসব মানুষ দের গায়েব হওয়ার পিছনে?সুবীর: কি বলছিস ?সৈকত: যা বলছি ঠিক বলছি। আমি পেয়ে গেছি ওই রাক্ষুসী তার ঠিকানা, ও মানুষ নয়, নরখাদক যে বেচেঁ গেছে তার দুই বোনের জন্য কিন্তু আমার দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নেবোই।হটাৎ এইসময় সৈকতের ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে আর একটা গাড়িকে, সৈকত বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির ফ্রন্ট সিটে সজোরে ধাক্কা খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে।২ মাস পর:আদ্রিতা: ডক্টর কি বুঝছেন ? ও ঠিক হয়ে যাবে তো?ডক্টর চৌধুরী: দেখুন ম্যাম সৈকতের শারীরিক সমস্যা সমাধান তো ডক্টর উদয়ন দাস করেই দিয়েছেন কিন্তু সৈকতের মানসিক সমস্যার সমাধান হতে আরো সময় লাগবে।আদ্রিতা: ওর schizophrenia আবার ফিরে এসেছে?ডক্টর চৌধুরী: ফিরে আসার জন্য কোনোদিন সে যায়নি এইরোগ থেকে মুক্তি নেই আদ্রিতা । সে থেকেই গিয়েছিল সবার অজান্তে শুধু সময় পেতেই আবার নিজের খেলা দেখিয়েছে।আদ্রিতা: কিছু কি করা যায়না? ওকে যে এই কষ্টে আর দেখতে পারিনা আমি।ডক্টর চৌধুরী: ওর দাদাই ছিল ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ওর জীবনের যেকোনো সমস্যা ওর দাদাই সমাধান করে দিত, সুদীপ এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই ও নানারকম গল্প ভাবতে থাকে নিজের মাথায়, ভেবে নিতে থাকে সেই সমস্ত চরিত্র যারা হয়ত সত্যি নেই এই দুনিয়ায় কোথাও । ও সেই চরিত্রগুলোকে মেরে নিজের দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ তোলে। এর আগেও বহুবার ও এইরকম করেছে, এবারেও একই কাজ করলো আর ওর মধ্যে এই জিনিষ তখনই দেখা যায় যখন ও নিজেকে একা মনে করে। যেমন এবারের ট্রেন জার্নি র সময় ওই বার্থে যার আসার কথা ছিল সে আসেইনি, পুরো রাস্তা সৈকত একা একা কাটিয়েছে আর ভেবে নিয়েছে একটা গল্প। এখন ও আবার ঠিক আছে কিন্তু যখনই ও আবার নিজেকে একা মনে করবে তখনই আবার এই রোগ জাকিয়ে বসবে, আদ্রিতা, তুমি ওর স্ত্রী তোমাকেই দায়িত্ত্ব নিতে হবে যাতে ও কোনোদিন নিজেকে একা অনুভব না করে, সবসময় ওর সাথে থাকতে হবে তোমাকে। পারলে তুমিই পারবে ওকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে।আদ্রিতা: আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো স্যার, আমি চেষ্টা করবো যাতে সৈকতের মনে বেড়ে ওঠা এই মিথ্যা গল্প গুলো দূর হয়ে যায় আর ও সত্যি দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে পারে।এমনসময় কেবিনে এলো সৈকত, আদ্রিতা, তুমি আমায় যে এখানে কেন আনো, সেই সিডেটিভ দিয়ে কি কি বলিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।সৈকত আরো কিছু বলতেই যাচ্ছিলো, কিন্তু আদ্রিতা সুযোগ দিলো, উঠে দাঁড়িয়ে জড়িয়ে ধরলো ওকে আর কানের মধ্যে বললো, শান্ত হও সৈকত, আমি আছি তো তোমার সাথে সবসময়, তোমার বেস্টফ্রেন্ড। ~সমাপ্ত~লেখকঃ সায়ন্তন গোস্বামী। (Sayantan Goswami)

মে ০৯, ২০২৫
দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মু সহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal