• ১০ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৬ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bankura

রাজ্য

গোটা রাজ্যে আমিই পর্যবেক্ষকঃ মমতা

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা চলছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। এবার দলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ী ময়দানে দলীয় কর্মীসভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে আমিই দলের পর্যবেক্ষক। দলের কর্মী হিসেবে আমি নজর রাখছি। সব নজরে আছে, দলে থেকেও কে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এ টু জেড খবর রাখি। দলের কর্মীদের থেকেই জানতে পারি। তিনি এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, একটা কথা বলতে চাই, অনেকে ভাবেন বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক কে, পুরুলিয়ার কে, আসানসোল কে দেখবে? মেদিনীপুর কে দেখবে? আগে দলকে মেসেজ দিই, গোটা রাজ্যে আমিই পর্যবেক্ষক। প্রত্যেকটা ব্লকে ব্লকে কে কী করছে, কার সাথে যোগাযোগ করছে, এর সব আমি জানি। দল আমায় সাহায্য করছে। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের পাঠানো টাকা কৃষকরা না পাওয়ায় সরব ধনকড় এরপরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ সংযোজন, একটু ঢিলে দিয়ে দিয়েছিলাম। আর দেব না। দু-একজন তৃণমূল করে আবার অন্য দলেও যোগাযোগ রাখছে। ভাববেন না আমি জানি না। সব জানি। মাঝেমাঝে একটু ছাড় দিতে হয়, ছাগলের তিন নম্বর সন্তানদের ছেড়ে রাখতে হয়, যাতে খবর পেতে সুবিধা হয়। নজর রাখুন। রাতের অন্ধকারে গাড়ি করে কে কার বাড়ি যাচ্ছে। কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ফোন তো ট্যাপ করতে পারি না। ধান্দাবাজদের একটা গোষ্ঠী আছে। দলের যুবদের দায়িত্ব নিতে হবে। নজর রাখতে হবে। তারাই ভবিষ্যত। নতুন ছেলে তৈরি করে নেব। টাকার কাছে আমরা মাথা নত করি না। তৃণমূল করলে ত্যাগী হতে হয়। বিজেপি কাঁচকলা আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, কেউ কেউ ভাবছে বাইচান্স যদি ওরা ক্ষমতায় চলে আসে। আরে চান্সই নেই তো বাই চান্স! বাঁকুড়ার একটি একটি করে আসন বুঝে নেব।এদিন বাম ও বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা বলছে হয় ঘরে থাকো-নয় জেলে থাকো। আমি বলছি পারলে আমাকে জেলে ভরো। চ্যালেঞ্জ করছি জেল থেকে আমি তৃণমূলকে জিতিয়ে দিব। একটিতেও বিজেপি, সিপিএম থাকবে না।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

 পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটি, ঘোষণা মমতার

পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে মিলবে রাজ্য সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই নেতাজি, বীরসা মুন্ডা, পঞ্চানন বর্মা-সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই ছিল। এটা হয়ে গেলে খানিকটা নিশ্চিন্ত। আরও পড়ুন ঃ ধূলাগড়ে গরুবোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা, মৃত ১, জখম বহু প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আদিবাসী দলিতদের মন জয়ে বাঁকুড়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরপর দু-দিন দু-দুটো সরকারি ছুটি ঘোষণা বলে মনে করল বলে মত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের৷

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

কেন্দ্রের নতুন আইনে বেড়ে গিয়েছে কালোবাজারিঃ মমতা

কেন্দ্রের নতুন আইনে কালোবাজারি বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আলুপেঁয়াজের কালোবাজারিও বেড়ে যাবে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যের আলু যদি ফুরিয়ে যায় তখন কী করা যাবে জানি না। এদিন বন দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, জেলায় ৮৭ শতাংশেরও বেশি কাজ বাকি রয়েছে বন দফতরের। তা দ্রুত সম্পন্ন করার পাশাপাশি হাতির হানায় মৃত্যু নিয়েও সচেতন থাকতে নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি পথশ্রী অভিযান নিয়েও জেলা প্রশাসনকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিলেন মমতা। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি রাস্তা সারাইয়ের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সারা রাজ্যে নতুন আড়াই লক্ষ রাস্তা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে এসসি, এসটিসহ অন্যান্য জাতি শংসাপত্রের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আবেদনকারীর পরিবারের কোনও একজনের যদি শংসাপত্র থাকে তবে তাঁকে দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র দিতে হবে। ফেলে রাখা যাবে না। মুরগির ডিম উৎপাদনে বাঁকুড়া রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে বলে এক আধিকারিক জানান বৈঠকে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পোল্ট্রির পাশাপাশি হাঁসের ডিম উৎপাদনেও জোর দিতে বলেছেন। পাশাপাশি জনসংযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনের অভাবঅভিযোগ শুনতে বলেছেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জিএসটি বাবদ বকেয়া দাবি মমতার এছাড়াও এদিন তিনি বাগদি, বাউরি ও মতুয়া কালচারাল বোর্ডের হেড কোয়ার্টার কোথায় হবে, দায়িত্বে কারা থাকবেন, তাও জানান। বাউরি কালচারাল বোর্ডের সদর দফতর বাঁকুড়ায় করা হচ্ছে। বাগদি বোর্ডের হেডকোয়ার্টার হচ্ছে বর্ধমানে। মতুয়াদের ঠাকুরনগরে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাউরি ও বাগদিরা পাবেন ৫ কোটি টাকা। মতুয়ারা পাবে দশ কোটি। এদিন অভাব-অভিযোগ শোনার মাঝেই মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আর কিছু চাইবেন না। সবসময় দাও আর দাও। টাকা কোথা থেকে আসবে? বাঁকুড়ার জন্য অনেক করেছি। সামনে ভোট আসছে। আগে ভাল করে ভোট করাও। তারপর বাকি সব হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সাধারণ মানুষের কথা শুনুন।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জিএসটি বাবদ বকেয়া দাবি মমতার

অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গও প্রস্তুত আছে। টিকাকরণের জন্য রাজ্যে প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামো প্রস্তুত। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদীকে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে করোনার টিকার দিকে তাকিয়ে আছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট প্রভৃতি উৎসব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। বাংলা একটি সংবেদনশীল রাজ্য, বাংলাদেশ-ভুটানের সীমান্ত এই রাজ্যে রয়েছে। দেশগুলি থেকে রোগীরাও বাংলায় চিকিৎসার জন্য আসে। ফলে বাংলাদেশে করোনা রোগীর পরিমাণ বাড়লে তা এ রাজ্যেও প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার রোগীরাও এ রাজ্যে চিকিৎসার জন্য আসে। তা সত্ত্বেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় মৃত্যুর হার কম। অন্যান্য বছরে রাজ্যে এর চেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গু, কিডনির রোগ বা হৃদরোগে মারা যেতেন। সে তুলনাতেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও পড়ুন ঃ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী এর আগেও বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জিএসটি বকেয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন মমতা। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পায়। সেই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

দু'জন খারাপ লোকের জন্য পুরো রাজ্যকে বদনাম করা ঠিক নয়ঃ মমতা

দুজন খারাপ লোকের জন্য পুরো রাজ্যকে বদনাম করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বাঁকুড়ার খাতড়ার জনসভা থেকে এই প্রসঙ্গে বলেন, সব জায়গায় সবাই একরকম হয় না। কেউ দুষ্টু হয়, কেউ মিষ্টি হয়। বাংলায় ৯৯ শতাংশ লোক ভাল। যারা খারাপ কাজ করছে, তারা সিপিএম, বিজেপি থেকে এসেছে। আমি অন্যায় সহ্য করি না। অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নিতে বলি। কেউ দু টাকা নিলে বলা হচ্ছে, অথচ দু লক্ষ কোটি নিয়ে কেউ পালিয়ে গেলেও তার কোনও বিচার হয় না। চালুনি করবে ছুঁচের বিচার। এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত , সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। বিশেষত, আমফান ও রেশন দুর্নীতিতে দলের একাংশ জড়িয়ে যাওয়ায় নির্বাচনের আগে বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল শিবির। তাই এদিনের জনসভা থেকে এই বিষয়ে সাফাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই মত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুন ঃ বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর তিনি আরও বলেন, উৎসব, দুর্গাপুজো, ছটপুজো সব কিছু নিয়ে মামলা করাই বিজেপির কাজ। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো আমরা করি না? সব করি। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের আগে অনেকে এসে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। এছাড়াও এদিন তিনি কর্মই ধর্ম নামক একটি প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পে ২ লক্ষ বেকারকে বাইকের পিছনে ঠাণ্ডা বাক্স করে দেওয়ার ব্যাবস্থা হবে। যাতে করে তাঁরা মাছ, সবজি, প্রয়োজনে এমনি বাক্সয় শাড়ি সহ অন্যান্যা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান মানে ১০ লক্ষের সুবিধা করে দেওয়া।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নয়া এই প্রকল্পের আওতায় আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে কাজ। চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের তরফে ক্যাম্প করা হবে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মানুষ প্রশাসনের কাছে যে অভাব, অসুবিধার কথা তুলে ধরবে, তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে হবে। মানুষ যা চাইবে, তা তত্ক্ষণাত্ মানুষকে দিতে হবে। যদি সেইসময় প্রশাসনের হাতে সেই সুযোগ না থাকে, তবে তালিকা তৈরি করতে হবে। জনপরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি করে মানুষকে পাইয়ে দিতে হবে। আরও পড়ুন ঃ বাঁকুড়া সফরে শুভেন্দুকে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত মমতার? এছাড়াও তিনি বলেন, কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নিয়োগ করছে। তারপর যেই সেই প্রকল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন ছেলেমেয়েরা কাজ হারাচ্ছে। বেকার হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র মাছের তেলে মাছ ভাজছে। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যে বেতন কমিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মাসে একদিন করে বেতনও কাটা হচ্ছে। কিন্তু এরাজ্যে কারও বেতন, পেনশন বন্ধ হয়নি। রাজ্যের স্কিমে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের কারও চাকরি আমরা নষ্ট করিনি। উপরন্তু রাজ্য সরকার চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়িয়েছে। জেনারেল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪০ বছর, ওবিসি ৪৩ বছর, তফশিলি জাতি-উপজাতির ক্ষেত্রে ৪৫ বছর করা হয়েছে। আমরা বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করব। ভোটের আগে অনেকে আসবে। ভোটের জন্য ব্যাঙ্কে টাকা দেবে। মনে রাখবেন, ওটা আপনাদের হকের খাতা। ভোট আপনারা আমাদের দেবেন। কেন্দ্রর থেকে টাকার ভাগ আমরা পাই। দয়া করে দেয় না। কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা তিন মাস পরে আসবে? বিআরজিএস প্রকল্পের টাকা এখনও পাইনি আমরা। আরও পড়ুন ঃ বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর তিনি আরও বলেন, আজকের রাস্তা দেখুন। এখন এত ভাল ভাল রাস্তা হয়েছে। মানুষ মনে করে রাস্তায় শোয়া যায়। পঞ্চায়েতগুলিকে বলব, ভাল করে কাজ করুন। মুকুটমণিপুর, খাতড়া কি ছিল? এখন দেখুন কি হয়েছে। স্টেডিয়াম, হাসপাতাল সব করেছি। শিল্পের কাজ এখানে চলছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে মানুষের কাছে পানীয় জল পৌছে যাবে। মাওবাদী হামলায় যারা নিখোঁজ, ১০ বছরেও যাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, যারা ফিরে আসেননি, তাদের পরিবাররাও পুলিশের কাছে দরখাস্ত করবেন। যারা শুধু পুরোহিতবৃত্তি করে সংসার চালান, তাদের পুরোহিত কল্যাণ ভাতা হিসেবে বর্তমানে ১০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এটাকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, বিজেপি শুধু মামলা আর হামলা, এটাই করতে পারে। পরবর্তী হবে গামলা। তাতে আবর্জনার মতো পুড়ে ছুড়ে ফেলা হবে ওদের। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তার জন্য কে দায়ী? আগে আলু, পটল, পেঁয়াজ রাজ্যের এক্তিয়ারে ছিল। দিল্লির সরকার, আলুর সরকার। ওরা আপনাদের খেতে দিচ্ছে না। সব আলু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। চাষিদের, দলিতদের, আদিবাসীদের, সংখ্যালঘুদের সব কেড়ে নেবে। আর ক্ষমতায় এসে বলবে, এনআরসি চাই। বাংলা থেকে বের করে দেবে। আরও পড়ুন ঃদুজন খারাপ লোকের জন্য পুরো রাজ্যকে বদনাম করা ঠিক নয়ঃ মমতা এদিন মমতা বলেন, কোভিডের চিকিৎসা বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করেনি কেন্দ্র। রাজ্যে সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য খরচ করছে। নাটক! কেন্দ্র এখন বলবে ইঞ্জেকশন দেব আর আসতে আসতে সাত মাস-আট মাস হয়ে যাব। আমরা যদি একটা কেসে দেড় লক্ষ-দুলক্ষ টাকা খরচ করতে পারি, তবে ইঞ্জেকশনও দিতে পারি। কেন্দ্র বলে দিক কার থেকে নেব, রাজ্য সরকার তৈরি আছে। একটা কোভিড ইঞ্জেকশনে ২৫ হাজার টাকা লাগে। লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থার কথা উল্লেখ করে মমতা এদিন বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে আক টাকাও সাহায্য করেনি কেন্দ্র। ট্রেন ভাড়া পুরোটা আমরা দিয়েছি। খালি মিথ্যে কথা বলে। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে আক টাকাও সাহায্য করেনি কেন্দ্র। ট্রেন ভাড়া পুরোটা আমরা দিয়েছি। খালি মিথ্যে কথা বলে।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাঁকুড়া সফরে এসে আদিবাসী পরিবারে ভাত খেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার জনসভা থেকে অমিত শাহের বিরুদ্ধে এনিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাঁওতাবাজি মানুষ বুঝেছেন। নামী হোটেল থেকে ভাত আনিয়ে আদিবাসী বাড়িতে খান। বাইরে থেকে ব্রাহ্মণ এনে আগে থেকে ঘর রং করা হয়, স্যানিটাইজ করা হয়। লোক দেখানো তরকারি কাটা হয়। যা রান্না হয়েছে তা খাননি। খেয়েছেন বাসমতি চালের ভাত, পোস্তর বড়া। গরীব পরিবার বাইরে ধনে পাতা ছাড়াচ্ছে, কিন্তু কোনও তরকারিতে ধনে পাতা নেই। আর উনি ভিতরে বসে হোটেল থেকে আনা বাসমতী চালের ভাত খাচ্ছেন। এসে খেয়ে চলে গিয়েছেন। এরা গরীবের সমস্যা কী বুঝবে! আরও পড়ুন ঃ সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত , সক্রিয় উত্তুরে হাওয়া অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন আরও বলেন, যে মূর্তিতে মালা দেওয়া হয়েছিল, তা তো বিরসা মুন্ডারই নয়। এক আদিবাসী শিকারির। আমি শিকারি বলে তাঁকে ছোট করছি না, সেও আমার ভাই। কিন্তু এই মিথ্যাচারটা হল কেন? এরপরই তাঁর ঘোষণা, আদিবাসী ভাইবোনেদের আবেগের কথা মাথায় রেখে এরপর থেকে সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি দেওয়া হবে। সেটাই হবে প্রকৃত সম্মান জ্ঞাপন। এই ঘোষণার পরই উচ্ছ্বাসে ভাসেন উপস্থিত জনতা। এছাড়াও এদিন তিনি জানান, জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। জুনের পরও তা মিলবে। অর্থাৎ বাড়ানো হবে বিনামূল্যে রেশন বিলির সময়সীমা। আগামীতেও আমাদের সরকারই থাকবে। তাই কোনও চিন্তা করবেন না। জুনের পরও সকলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচবেন।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

বাঁকুড়া সফরে শুভেন্দুকে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত মমতার?

বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার তাঁর বাঁকুড়া সফরে সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার দলনেত্রী নিয়ে গিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলাও করে সরকারি বিজ্ঞাপনে তাঁর নামও ছাপা হয়েছে। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে বাগযুদ্ধ চলছে শুভেন্দুবাবুর। তাঁর মতো জননেতাকে কল্যাণের বিলো দ্য বেল্ট লাগাতার আক্রমণ ভালোভাবে নিচ্ছেন না তৃণমূলের অনেকেই। বিশেষ করে যখন সৌগত রায়ের আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা। শুভেন্দুবাবু দলনেত্রী সম্পর্কে কিছু বলেননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেননি। তবে গাড়ি বা হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গীদের দেখে অনেক বার্তা বোঝা যায়। কল্যাণকে সঙ্গে নিয়ে জেলা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দিলেন তা নিয়েই চর্চা চলছে।আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে গল্প বানিয়েই চলেছে বাংলা সংবাদমাধ্যমরবিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, দলের অনেকেই দোদুল্যমান। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার উপর না থাকলে কার কত দম সেটাও বোঝা যাবে গোছের নাম না করে একটা বার্তা দেন তৃণমূল মহাসচিব। তারপরেই মমতা-কল্যাণ বাঁকুড়ায়। প্রশ্ন উঠছে, কল্যাণ যে শুভেন্দুবাবুকে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন (যা নিয়ে শেরপুরের সভায় নাম না করে কল্যাণকে অনিল বসুর সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্ন রাখেন, এই কালচার আপনারা সমর্থন করেন?), তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করছেন? অভিজ্ঞমহলের মতে, নীরবতা এমনিতেই সম্মতি লক্ষ্মণ। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করেনি দল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তৃণমূল শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইছে?আরও পড়ুন- বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরশুভেন্দুবাবুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাঁকুড়ার দুটো লোকসভা আসনে হারে তৃণমূল। শুভেন্দুবাবু কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে তৃণমূলের যে ঢাকিশুদ্ধ বিসর্জন হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত। বিভিন্ন জেলা থেকেও তেমন ভাঙনের আভাস মিলছে। অনেকে বলছেন, দিদির ম্যাজিক যদি থাকত তাহলে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ ২২-এ থমকাতো না। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ভোটের ফলের চাবিকাঠি থাকবে পান্তা খাওয়া, গামছা পরা গ্রামের ছেলে নন্দীগ্রামের বিধায়কের হাতেই।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

রাজ্য নেতৃত্বকে বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অমিত শাহ

রাজ্য নেতৃত্বকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে দলীয় কর্মসূচিতে যান অমিত শাহ । সেখানে তিনি দলের নেতাদের বলেন , রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। আরও পড়ুন ঃ ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে কয়েক হাজার বাস-গাড়িতে লাখো অনুগামী-সমাগম এদিনের বৈঠকে উঠে আসে , লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যের ১২১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়েছিল বিজেপি। সেই ১২১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও কোন ৬৯ টি কেন্দ্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে বিজেপি প্রার্থীদের , সেই তালিকাও তৈ্রি করতে বলা হয়েছে দলের নেতা- কর্মীদের। দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃ্ত্বের তরফ থেকে গোপনে করা সমীক্ষা থেকেও উঠে এসেছে , রাজ্যে ২০২১ সালে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকে সংগঠনকে মজবুত করে জয়ের লক্ষ্যে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ , মুকুল রায় , অনুপম হাজরা , সৌ্মিত্র খান সহ বিভিন্ন নেতারা।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫
বিদেশ

এয়ার ইন্ডিয়ার বার্মিংহাম-দিল্লি বিমানে বোমা হামলার আশঙ্কা, রিয়াধে জরুরি অবতরণ

বোমা হামলার আশঙ্কায় দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান রিয়াধে অবতরণ করল। সিএনএন-নিউজ১৮ জানিয়েছে, বার্মিংহাম থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-114, বোমা হামলার আশঙ্কায় রিয়াধে অবতরণ করেছে। ফ্লাইটটি বার্মিংহাম থেকে রাত ৮:২৬ মিনিটে ছেড়ে দিল্লি যাচ্ছিল।বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি রিয়াধের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বিমানে থাকা সকল যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এর আগে ১৬ জুন, হায়দ্রাবাদগামী লুফথানসার একটি বিমান হঠাৎ করে ইউ-টার্ন নেয় এবং উড়ানের মাঝখানে বোমা হামলার হুমকি পেয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে আসে। উড়ানের প্রায় দুই ঘন্টা পরে বিমানটি ফিরে আসে।হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে সন্ধ্যা ৬:০১ মিনিটে ইমেলের মাধ্যমে হুমকি আসেয। সেই সময় বিমানটি বুলগেরিয়ার আকাশসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছিল।

জুন ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে, দুমড়ে মুচড়ে গেল গাড়ি, মৃত চার

হাওড়া, পুরুলিয়ার পর মুর্শিদাবাদ। এই জেলার কান্দি- বহরমপুর রাজ্য সড়কের ওপরে কান্দি থানার অন্তর্গত গোকর্ণ পাওয়ার হাউস মোড় সংলগ্ন এলাকাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪জনের। জানা গিয়েছে, বীরভূমের বেলে এলাকা থেকে স্নান করে ফিরছিলেন ২০ জন পুন্যাথীর একটি দল। রবিবার সকালে ট্রেকার করে স্নান করে বাড়ি ফেরার পথে একটি ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা মারে এই যাত্রীবাহী ট্রেকারটি। ঘটনার জেরে গাড়ি চালকসহ মৃত্যু হয় মোট চারজনের।এখনও পর্যন্ত একজন পুরুষ ও তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। মৃত এবং আহতদের সকলের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর বলে জানা গিয়েছে। আহত ১০ জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজন।

জুন ২২, ২০২৫
রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal