পুজো বললেও! এই পুজোতে পুরোহিত লাগেনা, দক্ষিণবঙ্গে মহাসমারোহে শুরু ছট পুজো
ছট পুজোর আরাধ্য দেবতা সূর্য। এই পুজোয় মূলত সূর্য দেবতার আরাধনা করা হয়। অন্যান্য পুজোর মতো কোনও দেবতার মুর্তী সচারচর দেখা যায় না এও পুজোয়। মুর্তী সামনে রেখে তাঁর অস্তিত্ব কল্পনা করেই পুজো হয়। কিন্তু এ পুজোই কল্পনার কোনও স্থান নেই, আসলে প্রয়োজনই নেই। কারন, স্বয়ং সূর্য দেবতাকে চোখের সামনে দেখেই এই পুজো করা হয়।সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন, এত বড় পুজো কিন্তু কোনও পৌরহিত্য নেই। হিন্দু ধর্মের যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা ব্রত উদযাপনের সময় দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা নিবেদনের জন্য ব্রাহ্মণ বা পূজারির মাধ্যম প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই ছট ব্রতধারীরা নিজেরাই মন্ত্রোচ্চারণ করে সূর্যদেবতার কাছে অর্ঘ্য প্রদান করেন। এই ব্রতটি পুরোপুরি লৌকিক। মুল অর্থে এই ছট আসলে প্রকৃতির পুজো। জল, বাতাস ও প্রকৃতি বন্দনা করে এই পুজো করা হয়। ছটপুজোর পিছনে এই মতাদর্শ কাজ করে বলেই হয়ত এই পুজোয় ব্রাহ্মণ বা পুরোহিতের উপস্থিতি আবশ্যিক ততটা নয়। অবশ্যই কেউ কেউ যদি মনে করেন, তিনি পৌরহিত্যের উপস্থিতিতে বা ব্রাহ্মণের মাধ্যমেই ব্রত উদযাপন করতে পারেন। ছট পুজো উপলক্ষ্যে বর্ধমান শহর সংলগ্ন দামোদর নদের বিভিন্ন ঘাটে অসংখ্য মানুষের জমায়েত হল আজ। রবিবার বিকাল থেকেই সদরঘাট ও অন্যান্য এলাকায় ঘাট গুলিতে পুজো উপলক্ষ্যে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। ঘাট গুলিতে ভিড় সামাল দিতে ও কোনও রকমের দুর্ঘটনা এড়াতে বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার অন্তর্গত ১৬ টি ঘাট রয়েছে যেখানে ছটপুজোয় পুণ্যার্থীদের জন্য পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। মূলত, দামোদর নদ ও বাঁকা নদীতে ঘাট গুলি রয়েছে। এছাড়া, পঞ্চায়েত এলাকা গুলিতেও বেশ কয়েকটি ঘটে পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।বর্ধমানের সদরঘাট এলাকা ছট পুজো উপলক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া শহরের ভিতরের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ৪০০ পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকা গুলিতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে। রবিবার বিকালে ৩ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ও সোমবার সকাল ভোর ৪ টে থেকে সকল ৮ টা পর্যন্ত শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে।