দিন দুপুরে বর্ধমান শহরে এক কলা বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো এক কলা ক্রেতার বিরুদ্ধে। এদিন বর্ধমান তিনকোনিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা কলা বিক্রি করেন। ওই কলার দোকানে এক যুবক কলার দাম দর করার পরই চড়াও হয় কলা বিক্রেতার উপর। এবং ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে ওই যুবক বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কলা বিক্রেতা কে মারধর করার সময় ছুটে আসে স্থানীয় দোকানদাররা এবং ওই যুবককে আটকে রেখে বর্ধমান থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ এবং ওই যুবককে আটক করে বলে জানা যায়।
বুধবার ৩১ আগস্ট বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনের দিন কার্জনগেট এলাকার দোকান থেকে ফল লুটের অভিযোগ করেন স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা তাঁদের ফলের দোকান থেকে কলা লুট করে চলে যায়। শনিবার কলার কাঁদি দিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালো শাসকদল। ৩১ আগষ্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল বর্ধমানের জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে। শহরের স্টেশন থেকে ও বড়নীলপুর মোড় থেকে দুটি মিছিল গিয়ে কার্জনগেট চত্বরে জমায়েত হয়। তারপর শুরু হয় আইন অমান্য কর্মসূচি। সেদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পুলিশ প্রশাসন আগে থেকেই সর্তকতা হিসেবে জেলাশাসকের অফিসের আগে তিনস্তর ব্যারিকেড তৈরি করে। বাম কর্মী সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ও বামকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়। অভিযোগ ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ি। বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রেও হামলার অভিযোগ করা হয়। তখন কার্জনগেট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড চলছে। এই এত ঝামেলা অশান্তির মধ্যে দেখা যায় কয়েকজন যুবক কার্জনগেটের ডানপাশে একটি দোকানে ও ফুটপাতের একটি কলা বিক্রেতার কাছ থেকে কলা লুট করছে। পাশাপাশি আরো কয়েকজনকে দেখা যায় দোকাল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে। দোকানের মালিক অভয় সাহা বলেন, আমি বাধা দেওয়ায় আমার দোকান থেকে বেশী কলা লুট করতে পারে নি। তবে ফুটপাতের ব্যবসা করা ধনেশ্বর সাউ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই সুযোগে কলা লুট করে।শনিবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা হয়। সভা শেষে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নেতৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ীকে তিন কাঁদি কলা দেওয়া হয়। অপার্থিব ইসলাম বলেন, আমাদের নেত্রী শিখিয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সিপিএমের কর্মীরা গরিব মানুষের দোকান থেকে কলা লুট করেছিল তিন দিন আগে। আজ আমার কলা বাগানের তিন কাঁদি কলা ওই দোকানগুলিতে দেওয়া হল। ব্যবসায়ী অভয় সাহা বলেন, যেভাবে তৃণমূল আমাদের পাশে দাঁড়ালো তাতে আমরা খুব খুশী। কলা লুটের পর ফুটপাতের অবাঙালি ব্যবসায়ী ধনেশ্বর সাউ খুব দুঃখ পেয়েছিলেন।এদিন তিনি খুব খুশী হন।
কবি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। যেখানে জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্য দাশের ভূমিকায় দেখা যাবে কলকাতা ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে ২০২২ এ। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ছবিরই ট্রেলার মুক্তি পেল।২০২২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবেও প্রদর্শিত হতে পারে ঝরা পালক। এতদিন করোনা মহামারির কারণে ছবির মুক্তি আটকে ছিল। অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে সাদাকালো ট্রেলার মুক্তি পেল। ট্রেলারে জীবনানন্দের ভূমিকায় দেখা গেছে ব্রাত্য বসুকে। এমনকি কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি চরিত্রও একঝলক দেখা গেছে। ফ্ল্যাশব্যাকে সাদাকালোর ফাঁকে বাস্তব সময়ের রঙিন চরিত্রগুলোও স্পষ্ট ছাপ রেখেছে।তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে জয়া জানিয়েছেন, মা ছাড়া কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনে একমাত্র নারী লাবণ্য দাশ। প্রথাগত ভাবনা থেকে যেভাবে লাবণ্য দাশকে দেখা হয়েছে, আসলে লাবণ্য তেমন ছিলেন না। তিনি ছিলেন জীবনানন্দের জীবনের অনেক বড় অনুপ্রেরণা। সিনেমায় সেরকমই দেখানো হয়েছে।
কলাপাতা ত্বকের জন্য অব্যর্থ ওষুধ। কলাপাতা ব্লেন্ড করে রস ক্ষত স্থানে সামান্য সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন। যদি এই রস ব্যবহারের পর ত্বক জ্বালাপোড়া করে তাহলে তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলুন, বেশিক্ষন রাখবেন না। বিভিন্ন ক্রিমে লেবেলে আলাটোয়িং নামক একটি ব্যয়বহুল এবং সক্রিয় উপাদান দেখা যায়। যার উপস্থিতি কলাপাতার মধ্যে পাওয়া যায়। আরও পড়ুনঃ শরীর সুস্থ রাখতে পাতে রাখুন মোচা কলাপাতার উপর কয়েকটি বরফের কিউব ঘষে নিয়ে ত্বকের উপর প্রয়োগ করলে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও সতেজ হয়ে উঠবে। তাছাড়া কলাপাতায় নিয়মিত খাবার খেলেও ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ ও সতেজ হয়ে ওঠে। কারণ এই পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিক বেড়িয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং সতেজ।
মোচার মধ্যে থাকা নির্যাসে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য প্রোটিন থাকে। এটি শরীরের জন্য উপকারী। মোচায় থাকা ম্যাগনেশিয়াম উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মন ও মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে মোচা। মোচায় রয়েছে ফেনোলিক অ্যাসিড , যা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। মোচায় রয়েছে প্রাকৃ্তিক গ্যালাক্টাগাগ , যা স্তন্যদান কারী মায়ের বুকের দুধ বৃ্দ্ধিতে সাহায্য করে।এছাড়াও মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে। আরও পড়ুনঃ মারণ ব্যধি ক্যান্সারকে হারাতে অদ্বিতীয় ব্রোকলি ! মোচায় লৌহ থাকায় এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ সহায়তা করে। মোচার মধ্যে যেই পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায় তাতে সহজে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মোচায় ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় এটি শিশুদের দাঁত ও হাঁড়ের লম্বাটে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।