• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Alliance

দেশ

খেলা হবে কিন্তু মাঠ কই

২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে আবহে রাজ্যে স্লোগান উঠেছিল খেলা হবে। নির্বাচন তা কোনো রাজ্যের হোক অথবা দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংসদীয় গণতন্ত্রের নির্বাচনে অতি বিশেষ স্থান রয়েছে। সেখানে এই ধরণের স্লোগান অনেকের কাছে Infantile Disorder বলে মনে হয়েছিল। আবার অনেকের কাছে দবশ রহস্যগন্ধী মজাদার ঠেকেছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কালে কিছু কিছু ঘটনা ও দ্রুত পট পরিবর্তন দেখে মনে হচ্ছে সত্যি ই যেন দেশ জুড়ে খেলা হচ্ছে। আর সেই খেলার পিছনে ধুরন্ধর কোচের মস্তিস্কের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই খেলায় ফুটবলের ভাষায় বললে Movement আর দাবার ভাষায় বললে চাল দুটোতেই শাসক দল আক্রমনাত্মক Strategy বেছে নিয়েছে। আর শাসক দলের এই চলন নিয়ে অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পথ চলার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলবদল INDIA জোটকে ধাক্কা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সাড়া না দেওয়ায় এই জোট দেশের পূর্ব প্রান্তে অস্তিত্বহীন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের ক্রমাগত রক্তক্ষরণ। এই সব মিলিয়ে বিরোধী জোটকে ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল। অন্য দিকে শাসকদলকে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হচ্ছিল। এই অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্ৰেপ্তারি বিরোধী দলগুলির পালে জোরালো হাওয়া এনে দিয়েছে। এক দশক ধরে দিল্লির দুই যুযুধান রাজনৈতিক দল কে এক মঞ্চে এনেছে। শুধু তাই নয় গত ৩১ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দানে India Gate -র জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ও ছড়িয়েছে। এর আগে দিল্লির যন্তরমন্তরে এবং মুম্বাইয়ে INDIA মঞ্চের জনসভা হয়েছে। কিন্তু দেশের সব প্রান্ত থেকে শীর্ষ বিরোধী নেতাদের মঞ্চে উপস্থিতি রামলীলা ময়দানে জনসভার ধার এবং ভার দুইই বাড়িয়েছে। সবকিছু কে ছাপিয়ে এই জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তার বার্তায়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বার্তা দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের চেহারা ভবিষ্যতে কেমন হবে সেই ভাবনা কে উস্কে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ টাকা দাও, ভোট নাও, প্রচারে বেরিয়ে শুনতে হল শতাব্দী রায়কেINDIA -র মঞ্চ থেকে যে পাঁচটি মূল দাবি তুলে ধরা হয়েছে তার প্রথম দুটি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে । ১৯৫২ সাল থেকেই নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দল গুলি একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছে। কিন্তু এই দুটি দাবি মামুলি অভিযোগের গন্ডই ছাড়িয়ে এক বৃহত্তর পরিসরে প্রবেশ করেছে। দেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় একশো চল্লিশ কোটি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৯৮ কোটি। তারমধ্যে ৭০-৭৫ কোটি মানুষ ভোট দেবেন। ফলে দেশের প্রথম নির্বাচন থেকে নির্বাচন কমিশন যে কাজ করে আসছে তার ক্রমশ আড়ে বহরে বাড়ছে। এই কাজ শুধু নির্বাচন করিয়ে দেওয়া নয়, নির্বাচন যেন অবাধ শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য। এই কাজ করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিষয়টি হলো যে দলগুলি নির্বাচনে লড়বে তারা যেন সমান জমিতে দাঁড়িয়ে লড়তে পারে। অর্থাৎ শক্তিশালী দল আর দুর্বল দলের লড়াইয়ের জমি যেন সমান থাকে। আর জমি সমান রাখতেই আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি করে কমিশন। এই বিধির মূল নিশানায় থাকে শাসকদল। কারন দাপট আর প্রশাসনিক প্রভাবে শাসক দল-ই এগিয়ে থাকে। এই কারণে ই INDIA মঞ্চের প্রথম দুটি দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দাবিটি হল লোকসভা ভোটের ময়দানে সবাইকে সমান ভাবে লড়তে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। দ্বিতীয় দাবিটি হল ভোটের মুখে যেভাবে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারি সংস্থা গুলির ব্যবস্থা নিচ্ছে তা বন্ধ করুক নির্বাচন কমিশন।আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন বিচারপতিকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন মমতাঅবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি কারি নানান কৌশল ও প্রকরণের তালিকা এদেশে দীর্ঘ এবং অনেক পুরনো। এই পথ ধরেই হিংসা, ভয় দেখানো, এবং ভোট লুঠের মতো অগণতান্ত্রিক আচরণ যে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়ে গিয়েছে তা নাগরিকরা বিলক্ষণ জানেন। এর পাশাপাশি রয়েছে নির্বাচনী ফলকে প্রভাবিত করার বিভিন্ন কৌশল। আর এই সমস্ত প্রক্রিয়ার মূল চালিকাশক্তি যে শাসকদল তা ও সবাই জানে। কারণ ক্ষমতা ছাড়া পেশীশক্তি বা অর্থবলের দাপট দেখানো যায় না। এই কারণেই শাসকদলকে ভোটের সময় নির্বাচন বিধির ঘেরাটোপের মধ্যে না রাখতে পারলে বিরোধী দলগুলি কে অসমান জমিতে দাঁড়িয়ে লড়তে হয়। অবশ্য সীমাবদ্ধ অঞ্চলে যেখানে তাদের ক্ষমতা থাকে সেখানে বিরোধী রাও এক ই পথে হাঁটে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বর্তমান শাসক দল রাষ্ট্রক্ষমতা কে যে ভাবে ব্যবহার করছে তা বিপজ্জনক।আরও পড়ুনঃ সুকান্ত, শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার, পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতিএই প্রেক্ষাপটে রাজধানীর রামলীলা ময়দান থেকে কমিশনের কাছে বিরোধীরা যে দাবি তুলেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিরোধীদের অভিযোগ নির্বাচনে শাসকদলের রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যবহার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে তোলে। রাষ্ট্রক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ভোটের মুখে প্রধান বিরোধী দল গুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পারলে জেতার পথে অর্ধেক রাস্তা এগিয়ে থাকা যায়। শুধু তদন্ত কারি সংস্থা দিয়ে বিরোধী নেতাদের গ্ৰেপ্তার নয় তার সঙ্গে আয়কর দপ্তরের ও অতি সক্রিয়তা সবার নজর কেড়েছে। কংগ্রেসের আর্থিক সংস্থান বন্ধ করে নির্বাচনী ব্যয় কে কঠিন করে তুলতেই এই সক্রিয়তা কিনা তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। বিশ্বের মধ্যে ভারত বৃহত্তর গনতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বিশাল জনসংখ্যার দেশে নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত ভোট দানের প্রক্রিয়া গনতান্ত্রিক পথে সম্পন্ন হওয়ার কারণেই এই সম্মান পাওয়া গিয়েছে। এর জন্য স্বশাষিত সংস্থা নির্বাচন কমিশন অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি করতে পারে। তাই বিরোধীদের দুটি দাবির মুখে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ করবে তার উপর দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভবিষ্যত কাঠামো অনেক টাই নির্ভর করছে ।

এপ্রিল ০৭, ২০২৪
রাজ্য

ফের বসন্তের কোকিল বলে নাম না করে রাহুলকে তোপ মমতার

২৪-এর লোকসভা ভোটের কাউন্টডাউন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। একদিকে এনডিএ অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট। শুরু থেকে আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নামলেও বারে বারে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট। জোটের দলগুলির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চর্চার মাঝেই ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএ জোটের হাত ধরে বিহারে সরকার গড়েছে নীতীশ কুমার। এদিকে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনরকম জোট করবে না সেকথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ফের জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মমতা। ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দেশের প্রাচীনতম দল কংগ্রেস আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪০ টি আসনও জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সবকটি আসনে একা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কয়েকদিন পরেই কংগ্রেসকে এভাবে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০টি আসন জিতবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমি কংগ্রেসকে দুটি আসন অফার করছিলাম এবং বলেছিলাম দুটি আসনেই তাদের জিতিতে দেব। কিন্তু তারা আরও বেশি আসন চেয়েছিল। আমি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করি। এরপর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে আর কোনওরকম আলোচনা হয়নি।ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আমন্ত্রণ নেইএর আগে, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন এই যাত্রা সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে মমতা বলেছিলেন, ইন্ডিয়া জোটের সদস্য হিসাবে যাত্রার কথা আমাকে জানানো হয়নি। এমনকী যাত্রায় আমাকে কোনও আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমি প্রশাসনিক সূত্রে যাত্রার কথা জানতে পেরেছি।সাহস থাকলে বেনারসে বিজেপিকে হারান উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টিকে হারাতে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, সাহস থাকলে উত্তরপ্রদেশ, বেনারস, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে হারান। টিএমসি বারবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা বিলম্বিত করার অভিযোগ করেছে।রাহুলের নাম না নিয়ে মমতা বলেন, আজকাল ফটোশুটের নতুন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। যারা কখনও চায়ের স্টলে যাননি, তারাই এখন বসে বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত। আসলে, ভারত জোড়ে ন্যায় যাত্রার সময়, রাহুল গান্ধী বাংলার বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। এবার তা নিয়ে মমতার তোপের মুখে পড়তে হল রাহুল গান্ধীকে।রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বসন্তের কোকিল ফটোশ্যুট করছে। যাঁরা কোনওদিন চা বানাতে জানেইনি। বাচ্চাদের আদর করেই না। বিড়ি বাঁধতে জানেই না।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
রাজ্য

অত্যাচারী সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস, লোকসভায় একাই লড়বে তৃণমূল, মালদায় ঘোষণা মমতার

কংগ্রেসকে মালদায় লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন ছাড়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ওরা আরও চাইছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই লড়বে। কোনও জোটে যাব না। মালদার ইংরেজবাজারের সরকারি পরিষেবা প্রদানমূলক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জি। বুধবার দুপুরে ইংরেজবাজারের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠের এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি তিন দলকেই নিশানা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সিপিএম এতদিন অত্যাচার চালিয়েছে, তাদের সঙ্গে জোট করে চলতে চাইছে কংগ্রেস। আর এই জোটের মাধ্যমে এক প্রকার বিজেপিকে সাহায্য করা হচ্ছে। এটা কোন রকম মানবো না। তৃণমূল একলা চলার রাজনীতিতেই বিশ্বাসী, তাই একাই লড়বো। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এবিএ গণিখান চৌধুরীর নাম উঠে আসে। তিনি বলেন, বরকতদার সময় তৈরি হয়েছিল গৌর ভবন। আজকে মালদার সেই গৌড় ভবনের কি অবস্থা। এতদিন মালদায় কংগ্রেস সাংসদ থেকেও কোন কাজই করতে পারেনি। তারাই আবার অত্যাচারী সিপিএমকে নিয়ে লোকসভার ভোটে সামিল হয়েছে। বিজেপি অনেক কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আপনারাই বলুন কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। আর সেই বিজেপিকে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে সাহায্য করতে চাইছে। আমরা এই জোটে নেই, একাই লড়বো একাই জিতবো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মালদার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিএসএফ একরকম গ্রামবাসীদের জন্য কার্ড চালু করেছে। এটা আবার কিসের কার্ড। সাধারণ মানুষের পরিচয়পত্র ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সবই রয়েছে। নতুন করে বিএসএফের এই নির্দেশ কোনরকম ভাবেই মানা যাবে না। কেন্দ্রের অধীনস্থ বিএসএফ যদি কোনরকম অসুবিধা তৈরি করে, তাহলে লোকাল থানায় অভিযোগ জানান। বিডিওর কাছে নিজের পরিচয় পত্র তুলে ধরুন। সঠিক অভিযোগ পেলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বিজেপি যতই বলুক এই রাজ্যে কোন রকম ভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) চালু করতে দেব না। আপনারা ভরসা রাখুন। এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে বার্তা দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসকে বলেছিলাম মালদার দুটি আসন আমরা দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু ওদের আরও অনেক আসনের দাবি। সুতরাং তৃণমূল একাই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। কারও সমর্থনের দরকার নেই।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
রাজনীতি

মমতাকে বড় চ্যালেঞ্জ অধীর চৌধুরীর, ইন্ডিয়া জোটে কি অশনি সংকেত?

বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বিবাদে কি অশনি সংকেত? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়া বা আসন রফার বিরোধিতা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলে নেত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতার।২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলায় বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ আসনটি হাত শিবিরের দখলে গিয়েছিল। তৃণমূলের প্রস্তাব ওই দুই আসনই শুধু কংগ্রেসকে ছাড়া হবে। মমতা এবং কংগ্রেস হাই কমান্ডের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা জানিয়ে তৃণমূলের প্রস্তাব বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যেই বলেছেন অধীর। রাজ্যের শাসক শিবিরের এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কংগ্রেসকে দুটো আসন (লোকসভা) দেব। কোন দুটো আসন (আসন) দেবেন? ওঁকে ও বিজেপিকে হারিয়েই তো ওই দুটো আসন নিয়েছি আমরা। ওরা আমাদের কি উপকার করছে? কে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিশ্বাস করবে? আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় আরও অনেক আসনে আমরা লড়তে পারি।অধীর চৌধুরী বলেছেন, কংগ্রেসকে জেতাতে মমতার দরকার নেই। কংগ্রেস নিজের দমে লড়তে পারে এবং এর থেকে (দুটো) বেশি আসন জিততে সক্ষম। আমরা দেখাবো। আমাদের এই দুটো আসনে মমতার দয়ার দরকার নেই।বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরারে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অধীর চৌধুরী। বলেছেন, আসুন, আপনি নিজে আসুন। আপনি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলছেন মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে। আমি আপনাকে বলছি, আপনি আসুন এখানে আমার বিরুদ্ধে লড়তে। যে কোনও মামুকে এখানে পাঠিয়ে দাও। যদি হারাতে পারে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। কত তাগদ আছে দেখছি আপনার। মালদায় চলুন দেখছি। আপনার দয়ায় আমরা এ সব আসন জিতিনি। কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতার দাবি, মমতা জোটে থাকতে পারবেন না, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপছন্দ করেন এমন কিছু তিনি কখনই করবেন না।বহরমপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাজ্যে জোটের সম্ভাবনা নষ্ট করছেন। তিনি যা বলেছেন তা শুনলে বোঝা যাবে তিনি জোট চাননি। তাঁর দল বলছে যে তারা জাতীয়ভাবে জোটে আগ্রহী, কিন্তু বাংলায় নয়। এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী এখানে জোট চান না।তৃণমূলের তরফে দেওয়া দুটি আসনের প্রস্তাব উড়িয়ে অধীর চৌধুরী। বহরমপুর, মালদা উত্তর ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের নজরে রয়েছে রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বসিরহাট সহ আরও বেশ কয়েকটি বাংলার লোকসভা আসন।অধীরের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অধীর চৌধুরী কেন এত দিন দক্ষিণ কলকাতায় এসে দাঁড়াননি? সুতরাং এ সব কথা অর্থহীন। আর ২০২১ সালে তৃণমূল আলাদা লড়ে সরকার গড়েছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট করে অধীর পেয়েছিলেন শূন্য।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

ইন্ডিয়া জোটের শোক সভা হবে, বৈঠকের পর গোয়ায় পিন্ড দান হবে, কটাক্ষ শুভেন্দুর

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে শোক সভা বলে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূমের সাঁইথিয়ায় কিষাণ মোর্চার ডাকে প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার শোক সভা হবে। নীরবতা পালন হবে। সেমিফাইনালে হেরেছে। ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে হেরেছে। মিটিংয়ের শেষে সবাই যাবে গয়ায় পিণ্ড দিতে।সোমবার বিকেলে সাঁইথিয়ায়র সভায় বক্তব রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, চোর মমতার মন্ত্রী সভার সদস্যরা গোটা রাজ্য জুড়ে কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ কৃষকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ধান চুরি করেছে। গতবছর ২৯ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। এবার ১১ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এক বছরে ১৮ লক্ষ কৃষক ভুত হয়ে গেল? তার মানে গত বছর ১৮ লক্ষ ভুয়ো আকাউন্ট খুলে ভারত সরকারের পাঠানো পাঁচ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ লুঠ করেছে এই চোর মন্ত্রী সভা। গোঘাটে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করায় এক পুলিশ অফিসার কৃষককে গালি দিয়েছিলেন। কথা দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই পুলিশ অফিসারকে ঘাড় ধরে নিয়ে গিয়ে কৃষকের পা ধুইয়ে ঘটি জল খাওয়াব।শুভেন্দু বলেন, আমাকে হারাতে নন্দিগ্রামে গিয়ে হেরে এসেছেন উনি। আপনারা আমার উপর ভরসা রাখুন উনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোকে জেলে পাঠাবই।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, মোদি বাবার পা ধরতে দিল্লিতে গিয়েছে গাই-বাছুর। গিয়ে বলবেন মোদীবাবা টাকা দাও। তবে পিসি ভাইপো কোম্পানি দিল্লিতে গিয়ে কোন লাভ করতে পারবে না।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অংশ নেবে না তৃণমূল! 'আমাকে জানানো হয়নি,' স্পষ্ট জানালেন মমতা

আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে হচ্ছে। সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকের কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে কেউ এই বৈঠকের ব্যাপারে জানায়নি। সেই কারণে তিনি বৈঠকের ব্যাপারে আর কী ভাবে জানাবেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমাকে বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। আমি যখন বৈঠকের ব্যাপারে জানিই না, তখন আর এই ব্যাপারে কী বলব? এমনিতেও আমি ৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গে থাকব। ওখানে আমার চার দিনের কর্মসূচি আছে। বৈঠকের ব্যাপারে আগে থেকে জানা থাকলে আমি ওই দিন কর্মসূচি রাখতাম না!মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে হিন্দি ভাষায় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, বারবার একই প্রশ্ন। এরপর তিনি যেতে গিয়েও ফিরে এসে বলেন, ভাই আমি জানি না। এখনও পর্যন্ত কোনও ইনফর্মেশন আমার কাছে নেই। কেউ আমাকে ফোনেও বলেনি। কেউ আমাকে জানায়নি। আর, আমার তো প্রোগ্রাম ঠিক আছে না! নর্থ বেঙ্গলে আমি ৬ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত থাকব। ৬ তারিখ সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে হয়তো পৌঁছব। স্বাভাবিকভাবেই প্রোগ্রাম আছে ৭ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত। সেই প্রোগ্রাম করে আমি ফিরে আসব। কিন্তু, আমি যদি জানতাম তাহলে আমি এই সময় প্রোগ্রাম করতাম না। কাজেই আমার কাছে কোনও ইনফর্মেশন এখনও এসে পৌঁছয়নি। আর, এখন বললে তো এই মুহূর্তে আমি কীভাবে যাব? এখন তো ইতিমধ্যে প্রোগ্রাম ঠিক হয়ে আছে।সূত্রের খবর, আগামী ৬ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিয়ে করতে চলেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক ব্যানার্জির ছেলে, পেশায় চিকিৎসক। সোমবারই এই বিয়ের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পাহাড়ে যাচ্ছি আমি। আমার ভাইপো ডাক্তার। সে বিয়ে করছে কার্শিয়াঙে। পাহাড়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছি। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, সেই জল্পনা উসকে ওঠে। কারণ, সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে এই পরাজয় কংগ্রেসের। এটা মানুষের পরাজয় না। আমি বারবার আসন ভাগ করতে বলেছিলাম। সেটা করলে এই অবস্থা হত না।সাংবাদিকদের কাছে রাজভবনের বৈঠকের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ঐকমত্য হয়েছি। কোনও বিতর্ক হওয়ার কথা নয়। সন্দেহ তৈরি হওয়ারও কথা নয়। সাংবাদিকদের ওপর রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে দূরত্ব তৈরির দায় চাপিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। একটা বিষয় হল, অস্থায়ী উপাচার্য! আর একটা বিষয় হল, পাঁচ সদস্যের কমিটি। যে বিলটা বিধানসভায় পাস হয়েছিল। অর্ডিন্যান্স হয়েছিল আগে। উনি সই করেছিলেন। তার মানে আমাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আর, উনি যখন অর্ডিন্যান্সে সই করেছেন, তার মানে তো ওঁনার অবশ্যই সম্মতি ছিল। কাজেই বৈঠক খুব ভালো হয়েছে। আর, আমার মনে হয় যে বৈঠক সফল হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
দেশ

সর্বভারতীয় ইন্ডিয়া জোট কি এ রাজ্যেও, পোস্টার ঘিরে জোর বিতর্ক বাংলায়

ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীরা একজোট হয়েছে। জোটে রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমও। এবার এই ইন্ডিয়া জোটের হোডিং ঘিরে চরম বিতর্ক। সেই হোডিংয়ে একসঙ্গে রয়েছে মমতা-সনিয়া, রাহুল-অভিষেক এবং সেলিম-সুজন-অধীরের মুখ! সেখানে লেখা, ইনক্লাব জয় বাংলা স্লোগান। হুগলির চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা এলাকার বহু জায়গায় এই ধরনের হোডিং পড়েছে। যা নিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা।দিল্লির মসনদ থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে কোমর বাঁধে নেমেছে বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএম সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এই জোটের শরিক। জাতীয়স্তরে জোট হলেও বিভিন্ন রাজ্যে এই জোট কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। এদিকে প্রাদেশিক রাজনীতির সমীকরণের জেরে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পঞ্জাব, দিল্লি, কেরলেও একই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব কংগ্রেস ও সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্ব, তখন জাতীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোটে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ওইসব দলের ভিতর থেকে। সিপিআইএম স্পষ্ট জানিয়েছে, সর্বভারতীয়স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে এক শিবিরে থাকলেও বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের লড়াই চলবে। একই অবস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চৌধুরীরও। যদিও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা এ নিয়ে কিছু খোলসা করেননি। ফলে কৌস্তভ বাগচির মত কংগ্রেস নেতারা এ নিয়ে সরব।এই প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া জোটের হোডিংয়ে একসঙ্গে মমতা-সনিয়া, রাহুল-অভিষেক এবং সেলিম-সুজন-অধীরের মুখ ঘিরে নানা জল্পনা। কিন্তু কারা লাগিয়েছে ওই হোডিং? এর জবাব নেঔ জোটের শরিক কোনও দলের জেলা নেতার কাছে। কেউ হোর্ডিং-এ সাইন-আপও করেনি।এই হোর্ডিং প্রসঙ্গে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষের কথায়, পোস্টার বা ব্যানারের তলায় কি কারোর নাম আছে? যখন অজানা কেউ এই ধরণের কিছু ছাপিয়ে শহরে টাঙায় তাহলে তাকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। আর এরকম কিছু আমার চোখেও পড়েনি। তাই এই বিষয় নিয়ে কিছু বলবো না। তাঁর কটাক্ষ, যারা এসব ছাপিয়েছে তারা মোদীর ছবিটাও ওই ব্যানার বা ফ্লেক্সে দিতে পারতো তাহলে তা ষোল কলা পূর্ন হত।হুগলির প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম ঘোষের কথায়, এখনও এই জোটের অনেক পথ চলা বাকি। এখনও অনেক কিছু হবে। সবই প্রাথমিক পর্যায়। তাই এখনও সময় হয়নি এই জোট নিয়ে আলোচনার। ব্যানার পোস্টার ছাপানো তো দূরের ব্যাপার।তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, এটা কারা লিখেছে, সেটা আমাদের জানা নেই। ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই।যারপরনাই এই অবস্থা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহর দাবি, নীতি, আদর্শ চ্যূত জোটের এই অবস্থা মানুষ দেখুক। আমরা এতে চিন্তিত নই। এই লড়াই বিরোধী জোটের অভ্যন্তরীণ লড়াই। সহজেই বোঝা যায় এরা ক্ষমতায় এলে কি করতে পারে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
দেশ

মনিপুরে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল, বৈঠক সারলেন রাজ্যপালের সঙ্গে

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে পরিদর্শন করছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। মূলত বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মনিপুর গিয়েছেন। এদিন সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল। মোদি সরকারকে মণিপুর পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছেন ওই দলের সদস্য়রা। পাশাপাশি রাজ্যপালকে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য দাবি জানান। রবিবার কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রতিনিধি অধীর চৌধুরী বলেন, গতকাল থেকে সাধারণ মানুষের যন্ত্রনা-দুর্দশা দেখছি। যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমি রাজ্যপালকে বলেছি। আমার সব কথাতেই মান্যতা দিয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সরকারের যে খামতি আমার চোখে পড়েছে, সাধারণ মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্ত ইস্যু আমরা রাখব। দ্রুত মণিপুরের সমস্যার সমাধান বার করার জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।দীর্ঘ সময় ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এই সপ্তাহেও এলোপাথারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। হিংসার জেরে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি ওই রাজ্যে চলছে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার নির্মম ঘটনা মনিপুরের সর্বত্র। মহিলাদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। মনিপুরের ঘটনা নিযে সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জুলাই ৩০, ২০২৩
দেশ

জোট ‘ইন্ডিয়া’: মোদীর ‘পছন্দের'! জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী দুজনেরই লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কুপোকাত করতে উদ্যোগী বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোট গড়ে লোকসভার লড়াইয়ে বিজেপি নেতৃত্এবাধীন নডিএ-কে নাস্তানাবুদ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জোট ইন্ডিয়া।তবে বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামে ঘোরতর কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী জোটের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীরও তুলনা পর্যন্ত টেনেছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে সটান জবাব দিলেন বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন থেকে বেরিযে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই মোদীর ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করা ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইন্ডিয়া জোটের নাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাঁকা মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন পাল্টা সোজা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয় ইন্ডিয়া নামটা ওঁর পছন্দ হয়েছে। উনি মন থেকেই গ্রহণ করেছেন। জনসাধারণও এই নাম গ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কিছু তো বলতে হবে, তাই বলেছেন। ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন কি কেউ মুজাহিদিন বলে? দেশটার নামই তো ইন্ডিয়া। আমাদের মাতৃভূমি ইন্ডিয়া। যত এই নাম নিয়ে যত বাজে কথা বলবে তত মনে হবে এই নাম ওদের পছন্দ হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আধ ঘন্টারও বেশি সময় তিনি বৈঠক সেরেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে।

জুলাই ২৫, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি! মমতার বক্তব্যে জোট নিয়ে কিসের ইঙ্গিত?

জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারকে উৎখাত করতে রাহুল, মমতা, নিতীশ, লালুপ্রসাদ, স্ট্যালিনরা বৈঠক করেন পাটনায়। ফের আগামী জুলাইতে বিরোধী দলগুলো বৈঠক করবে সিমলাতে। সর্বভারতীয় স্তরে যতই বিজেপি বিরোধী জোটের ঐক্য গড়ার উদ্যোগ হোক না কেন বাংলায় যে কংগ্রেস, সিপিএমকে তৃণমূল এক ছটাও জায়গা ছাড়তে নারাজ তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারমঞ্চকে বেছে নিলেন আগামী লোকসভা ভোটের ক্ষেত্র প্রস্তুতির কাজে। সোমবার কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এল বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রসঙ্গ। বাংলায় মহাজোটের সমীকরণ নিয়েও প্রসঙ্গ এল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে, আগামী লোকসভায় বিজেপিকে আমরা পরাজিত করব এবং দেশে একটি উন্নয়নমুখী সরকার গড়ব। তবে, তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্য যে, দিল্লিতে আমাদের মহাজোট হবে। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট করেছে। ওদের পরাজিত করুন। এখানে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব। আমরা বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে পরাজিত করব।শিক্ষক নিয়োগ থেকে আবাস কেলেঙ্কারি, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটে যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক শিবির। বিলক্ষণ জানেন দলনেত্রী। সমস্যা মোকাবিলায় তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমেই দুর্নীতি দূরীকরণের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারের প্রচার সভায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, আমাদের দল তৃণমূল স্তরে আর দুর্নীতি হতে দেবে না।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পঞ্চায়েতকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। এখন দেখছেন জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। দুই মাস আগে মতামত চাওয়া হয়েছিল। কাউকে টাকা দেবেন না। আমরা চুরি হতে দেব না। কেউ টাকা চাইলে তার ছবি তুলে আমাকে পাঠান। আমরা এখন থেকে পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রণ করব। কাউকে চুরি করতে দেবেন না। আমরা জনগণের পঞ্চায়েত চাই।প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতার দাবি, একজন কোটি কোটি টাকা নিয়ে রাশিয়া-আমেরিকা যাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র বাংলার একশ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বারবার অনুরোধ করেও টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র একশ দিনের কাজের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা দেয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ার পরে তৃণমূল সেই অর্থ আদায় করবে।একুশের বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে গুলি চলেছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিএসএফের কাজে বড় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে কিছু বিএসএফ আধিকারিক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন, ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন এবং ভোট না দিতে বলছেন। আমি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্ভয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বলছি। যদি বিএসএফ আপনাকে ভয় দেখায়, পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে এবং আইন আইনের পথে চলবে।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

তৃণমূল নেত্রী মমতার অনুরোধে পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকের ডাক নীতীশের

একজোট হয়ে ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি। আগামী ১২ জুন পাটনায় এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। এর আগে তাঁকে এই বৈঠক ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্য়ে বিরোধী জোটে শান দিতে নবান্নে এসে বৈঠক করে গিয়েছেন নীতীশ। এই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে কংগ্রেসেরও। তৃণমূল ছাড়া বৈঠকে অংশ নেবে আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি সহ অধিকাংশ বিরোধী দল। এর আগে নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন জেডি কুমারস্বামী, নীতীশ কুমার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধীদের বৈঠক সফল হলেই একমাত্র বিজেপির সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। তবে বিরোধীদের মধ্য়ে যে ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে জোট কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও সন্দেহ আছে।

মে ২৮, ২০২৩
রাজনীতি

মদনের 'টপকে যাওয়া' মন্তব্যে চরমে বিতর্ক, পঞ্চায়েতে জোটেই সওয়াল বিজেপি সাংসদের

নন্দকুমারে সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপি জোট ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারপরই বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদের সার্বিক জোটের কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রতিটি জায়গায় জোট হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে তৃণমূলকে হারাতে জোট বাধবে। যে জিতবে সেই প্রার্থীকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেবে মানুষ। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের এই জোটে আসতে আবেদন জানিয়েছে সৌমিত্র। এদিকে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক হুঁশিয়ারি করেছেন বাম-বিজেপি জোটকে। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে মদন মিত্র বলছেন, এখানে বিজেপি-সিপিএম মনে করে এটাকেও নন্দকুমার বানাবো। এখানে সব খবর পাচ্ছি। কারা ভিতরে ঘোঁটবাজি করছে, নজর রাখছি। আস-যাওয়ার পথে সাবধানে থাকবেন। রাস্তায় খানা খন্দ আছে, বাম্পার আছে কখন কোথায় টপকে যাবেন তখন নিজেদের বুঝতে অসুবিধা হবে। মদন বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে থেকে বিজেপির দালালি করেন। বাইরে থেকে গায়ে কালি মেখে নোংরামি করে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করেন। তার ডোজ কী করে দিতে হয় তা তৃণমূলের কর্মীরা ভাল করে জানে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্রর কথায়, কিভাবে তৃণমূল নেতারা রাস্তায় হোচোট খাচ্ছেন তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তায় হোচোট খেতে খেতে পার্থ জেলে, অনুব্রত জেলে।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

কাটোয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে পর্যদুস্ত তৃণমূল সমর্থিত জোট, ব্যাপক জয় বিরোধীদের

কাটোয়া আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে পরাজিত হলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। পুরো গোহারা হেরে গিয়েছে। এই নির্বাচনে বাজিমাত করেছে শাসকদল বিরোধী জোটের প্রার্থীরাই। জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই নির্বাচনে মূল দুই প্রতিপক্ষ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত অ্যাডভোকেট ডেভেলপমেন্ট কমিটি বনাম আইনজীবী কল্যানকারী জোট। টান টান উত্তেজনায় অনেক রাত পর্যন্ত ভোটগণনা হয়।মোট পাঁচটি পদের নির্বাচন ছিল। কাটোয়া বার আ্যসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬৮ জন। তার মধ্যে শুক্রবার ভোট দিয়েছেন ১৬৪ জন। বাকি ৪ জন ভোট দেননি। ১৬৪ টি ভোটের মধ্যে দুটি পোষ্টাল ব্যালটে ভোট।সভাপতি, সহ সভাপতি, সম্পাদক, সহ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ এই পাঁচটি পদে নির্বাচনের জন্য ভোট হয়। দুপক্ষের মোট ১০ জন প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত জোটের প্রার্থী ছিলেন সভাপতি- শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ সভাপতি পদে উদয় মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক পদে ভোটে লড়েন দেবাশীষ মণ্ডল, সহ সম্পাদক পদে ইমরান কাসেম এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অপরদিকে আইনজীবী কল্যাণকারী জোট এর প্রার্থী সভাপতি ছিলেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, সহ সভাপতি পদে কিশলয় সাহা, সম্পাদক পদের জন্য সৌমেন সরকার, সহ সম্পাদক পদে মহম্মদ ইমদাদুল মণ্ডল এবং কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য সুচন্দন সেন।এদিন মোট ৭ রাউন্ড গণনা হয়। গননার প্রথম থেকেই আইনজীবী কল্যাণকারী জোটের প্রার্থীদের এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। দুইপক্ষের সমর্থকদেরই অধীর আগ্রহে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। শেষপর্যন্ত জয়ী হন আইনজীবী কল্যাণকারী জোটের প্রার্থীরাই। বিগত দুটি নির্বাচনেই অবশ্য শাসকদল সমর্থিত আইনজীবী জোট পরাজিত হয়েছিল। জোটের পাঁচ প্রার্থীই ভাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বলে জানা যায়।তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের সভাপতি শেখ আসরফ আলির অভিযোগ, রাম, বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। সম্পাদক পদে জয়ী সৌমেন সরকার অভিযোগ নস্যাৎ করে দাবি করেন, আমরা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে লড়াই করেছি। এটা আইনজীবীদের সংগঠন। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
রাজনীতি

Congress: অধীরের ইচ্ছাবদল, মমতার বিরুদ্ধে জোট-প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস

জোটের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। এই মর্মে এআইসিসি-কে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আগে অধীরের মত ছিল ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার। সোমবার আমূল বদলে গেল বহরমপুরের সাংসদের সেই অবস্থান।আরও পড়ুনঃ সবরকম সাহায্য করব, ইডি অফিসে সুরবদল অভিষেকেরনির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। দিন ঘোষণার পরই তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে কে লড়বেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত বিরোধীরা। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চান তাঁরা। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি। এ জন্য দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধীর। পাশাপাশি জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বাম প্রার্থীদের সমর্থন করবে কংগ্রেস। প্রচারে আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা যাবেন বলেও জানান অধীর। এর আগে অবশ্য ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার কথা বলেছিলেন অধীর। জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। কিন্তু সোমবার নিজের ব্যক্তিগত মতকে দূরে সরিয়ে রেখে জোট প্রার্থী চেয়ে এআইসিসি-র কাছে দরবার করলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর।রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, কংগ্রেস যদি ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও নতুন প্রভাব পড়তে পারে। যে ভাবে গত মাসেই দিল্লি সফরে গিয়ে সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধিদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করে আসেন। তারপর কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তেই পারে তৃণমূল শিবিরে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
দেশ

Mamata-Kamalnath: মমতার 'ক্ষমতায়' বিশ্বাসী কমলনাথ

বিরোধী জোটে সিলমোহর দিতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন। বুধবার তা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। এই সময় কমলনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মমতা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর, ২০০১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট গড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কমলনাথের। তাই সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার আগে কমলনাথের সঙ্গে পরামর্শ করেই মমতা এগোতে চাইছেন বলে জল্পনা।আরও পড়ুনঃ ইরাক থেকে সরবে মার্কিন সেনামঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোয় মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন কমলনাথ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কোনও মন্তব্য করেননি যদিও। তবে ২০২৪-এ জোট গড়ার প্রসঙ্গ যে তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। মমতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে কমলনাথ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে এসেছিলাম। মূল্যবৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০২৪-এর আগে জোট গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, মানুষ পাশে থাকলে, যে কোনও শক্তিকেই রোখা সম্ভব। ২০২৪-এ বিরোধী জোটের চালকের আসনে মমতাকে বসানোর ক্ষেত্রে কমলনাথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

জুলাই ২৭, ২০২১
দেশ

TMC Mamata: দিল্লি অভিযানে মমতার নতুন স্লেগান

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। পুরো নির্বাচনী প্রচারে এই স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল শিবির। দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়ে ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে নতুন স্লোগান। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে জয় হিন্দুস্থান স্লোগান। বাংলা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন মমতা।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সামান্য বাড়লেও দেশে করোনা সংক্রমণে স্বস্তিএবারও করোনা আবহে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বক্তব্য শুরু করলেন জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি দিয়ে। ভাষণের শেষেও ছিল জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি। একেবারে নতুন ধ্বনির স্লোগান দিয়েই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন মমতা। তিন বার টানা বাংলা দখল সম্পূর্ণ করে এবার তাঁর নজর দিল্লির মসনদ। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক জোটে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতাপ্রথম থেকেই জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে টানা প্রবল বিরোধিতা করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির দাবি তোলে এটা বাংলাদেশের স্লোগান। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে জুড়তে চাইছে তৃণমূল, তাই এই স্লোগান। এমনই দাবি ছিল বিজেপির। যদিও এই স্লোগান বিরোধী কোনও মন্তব্যকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূল। প্রতিটি জনসভায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশব্যাপী লড়াইয়ে জয় হিন্দুস্থান ধ্বনিকে সঙ্গী করেই এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। শহিদ দিবসে সেই সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলনেত্রী।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজনীতি

Left Alliance: বামফ্রন্টেই থাকছে ফরওয়ার্ড ব্লক

আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইতি ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Bloc)। বামফ্রন্ট ভেঙে বেড়িয়ে আসার রাস্তায় হাঁটল না শরিক নেতারা। মান বাঁচাতে এবার তাঁরা টার্গেট করল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে (ISF)। এই দুই জোট শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাল ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতারা। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে শরিকের দাবির কাছে পাল্টা কৌশলী চাল চেলেছে সিপিএম।ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছিল বামফ্রন্টের দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বা আসনরফার সময় তাঁদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পাননি যোগ্য সম্মান। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আসনরফা করা হয়। ফলে বঞ্চিত হয় শরিকরা। অভিযোগের সব আঙুলই ছিল সিপিএমের (CPIM) দিকে। এইভাবে চললে বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজন নেই। আপাতত বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি করে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। এক পা এগিয়ে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ করে তাঁরা। বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যতে চলার পথ কী হবে সেই ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। শরিকের এহেন মনোভাবে রুষ্ট হয় আলিমুদ্দিন। মাঝে দু-দুবার বৈঠক ডেকেও বাতিল করেন বিমান বসু। তবে শরিকের দাবি মেনে লিখিত দেন। সেখানে আগামীদিনে বামফ্রন্টের লক্ষ্য কী সেই উল্লেখ থাকলেও জোট বা আসনরফা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। দ্বন্দ্ব মেটাতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেয় আলিমুদ্দিন। প্রস্তাব মেনে শনিবার আলিমুদ্দিন যান দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর বিপ্লবে ইতি টানে নেতাজির দল। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের (Left Front) বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। বামফ্রন্ট একাই চলবে বলে দাবি করেন তিনি। বিমান বসুর আশ্বাসে আপাতত বামফ্রন্টেই থাকছেন বলে জানানো হয়।

জুন ১২, ২০২১
কলকাতা

তারুণ্যে ভরা বামেদের তালিকা

শুধু নতুন মুখই নয়, দীর্ঘ পরম্পরা ছেড়ে কম বয়সি প্রার্থীতেও এ বার জোর দিল বামেরা।শুক্রবার বামেদের ঘোষিত তালিকায় এসেছে অনেক নতুন মুখ।প্রথম দুদফা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর জন্য নির্ধারিত আসন ছেড়ে শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে বামেদের প্রার্থী ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর প্রতিনিধিরা। বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দুদফায় ৬০টি আসনে ভোট হবে। সমঝোতা অনুযায়ী কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর জন্য বরাদ্দ আসন ছেড়ে শুক্রবার বামফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করেন বিমান। মোট ৩৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সিপিএমের ২৮টি, সিপিআই-এর ৬টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি-র ২টি করে আসন রয়েছে। সিপিএম-এর তালিকায় রয়েছে এসএফআই-এর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মধুজা সেন রায়, সৈকত গিরির মতো তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা। তালডাংরায় অমিয় পাত্রের বদলে মনোরঞ্জন পাত্রকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ইন্দাসে দিলীপ কুমার মালিককে সরিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে নয়ন শীলকে। চণ্ডীপুরে প্রার্থী হয়েছেন আশিস গুছাইত। ডেবরা আসন থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দিতা করে আসা জাহাঙ্গির করিমকে সরিয়ে প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলকে প্রার্থী করেছে বামেরা। তাপস সিংহকে রামনগর থেকে সরিয়ে নারায়ণগড়ে প্রার্থী করেছে সিপিএম। গত বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড়ে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি এ বার আর প্রার্থী হচ্ছেন না। রামনগরে বামেদের নতুন প্রার্থী সব্যসাচী জানা।সিপিএম নেতা পুলিনবিহারী বাস্কেকে গোপিবল্লভপুর থেকে সরিয়ে জঙ্গলমহলেরই আসন কেশিয়াড়িতে প্রার্থী করেছে দল। শালবনিতে বামেরা প্রার্থী করেছে দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত সুশান্ত ঘোষকে। তিনি আগে গড়বেতা থেকে দাঁড়াতেন। এ বার গড়বেতায় প্রার্থী করা হয়েছে তপন ঘোষকে। জঙ্গলমহলের পরিচিত মুখ দেবলীনা হেমব্রম প্রার্থী হয়েছেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থেকে। সব মিলিয়ে বামেদের প্রার্থী তালিকায় ৫০-এর ঊর্ধ্বে নেতার সংখ্যা কমই রয়েছে বলা যায়। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিমান বসু বলেন, এই তালিকায় তরুণরা ভাল সংখ্যায় আছে। কারণ আমাদের দিক থেকে আমরা তরুণ মুখ তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের মধ্যে তরুণ, মাঝামাঝি বয়সিদের সংখ্যা বেশি আছে। অল্প কয়েকজন ৫০ বছরের উপরে রয়েছে।

মার্চ ০৫, ২০২১
রাজনীতি

পাহাড়ের রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক জিএনএলএফ-এর

দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে রবিবার জনসভা করবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। গত অক্টোবর মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম নেতা বিমল গুরুং। এরপরই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে নতুন নির্বাচনী জোট বাধল বিজেপি। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। পাহাড়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি শিবির। এমন সময় বিজেপির প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানায় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ)। সুভাষ ঘিসিংয়ের দলের এই সমর্থন আগামী বিধানসভা ভোটে কাজে আসবে বলে মত দু-পক্ষের। জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রী জানান, ২০১৯এ লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলাম, সেই জোট বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা রাখতে চাই। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, জিএনএলএফের সঙ্গে জোট বেধে আসন্ন নির্বাচনে আমরা লড়াই করব। ২০১৯ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিএনএলএফ প্রার্থী নীরজ জিম্বা জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়েন। এ দিন নীরজ জিম্বাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। নীরজের বক্তব্য, পাহাড়ে স্থায়ী সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপি করতে পারে। তাই তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে এসেছি। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্ত বৃহস্পতিবারই পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির সঙ্গে জোট বাধার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় জিএনএলএফ। পাহাড়ের বৈঠকে দিল্লিতে, জিএনএলএফের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট, অল ইন্ডিয়া গোর্খা লিগসহ দার্জিলিংয়ের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন। এ দিনের বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত হাজির ছিলেন।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেধে লড়বে বাম - কংগ্রেস। মঙ্গলবার জোট নিয়ে আজ আরও এক দফা বৈঠক ছিল বাম ও কংগ্রেসের। বৈঠক পর একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি ও বিমান বসু। বিমান বসু জানান, বাংলায় জোট শক্তিশালী হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন , জোটকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তবে আসন-বণ্টন কী হবে তা নিয়ে আজকের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আগামীদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান অধীরবাবু। এছাড়াও ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও। ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা । ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও । ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা। আরও পড়ুন ঃ শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড় অন্যদিকে , এদিন জাঙ্গিপাড়ায় ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এবং পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ফুরফুরায় আসার আগে ডানকুনিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন অধীরবাবু । সেখানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে বিজেপি ও তৃণমূলকে দূরে রাখতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কংগ্রেস এবং বামেদের উপর। ফুরফুরায় দুই পীরজাদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সিদ্দিকী সাহেবরা বাংলার সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। ফুরফুরা শরিফ একটি পীঠস্থান । বাংলার রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে কংগ্রেস এবং বাম আগামী দিনে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করতে চাইছে। বাংলাকে রক্ষা করার স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির হাত মজবুত করা দরকার। তাই পীরজাদাদের কাছে দোয়া করার আবেদন করেছি ।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal