• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Abhishek

বিনোদুনিয়া

অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাহত টলি তারকারা

প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। গত দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যা ভুগছিলেন তিনি। বুধবার রিয়েলিটি শো-তে তিনি অংশও নিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় বাড়িতে মারা যান তিনি। অভিনেতার অকালপ্রয়াণে অভিনেত্রী তৃণা জানিয়েছেন, পর্দায় যেরকম অভিষেক দা আমার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। সেরকম বাস্তবেও আমার বাবা মতোই ছিল অভিষেক দা। গত দুই দিন আগে শ্যুটিংয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পরেছিল। তারপর বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ফোন করে আমি খুব বকাবকি করেছিলাম। কারণ অভিষেক দা নিজের স্বাস্থ্যের একদম খেয়াল রাখত না। তাই প্রচুর বকলাম। এরপর এত তাড়াতাড়ি যে অভিষেক দা আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে যাবে আমি ভাবতেই পারিনি। অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, মিঠুদা এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।কত কিছু মনে পড়ছে।কত ছবি, কত কথা। কেন হাসপাতালে গেলেনা? অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানারজি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ভালো থেকো মিঠুদা।বিদিপ্তা চক্রবর্তী লিখেছেন, বলার কোনও ভাষা নেই। তোমার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো মনে থাকবে আমাদের। শান্তিতে থেকো মিঠুদা। খড়কুটো ধারাবাহিকের অভিনেত্রী সোনাল মিশ্র ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, লাইফমিঠু দা। অভিনেত্রী রিয়া গাঙ্গুলি লিখেছেন, শান্তিতে ঘুমিও মিঠু দা। তোমার সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অনেক স্মৃতি, অনেক শিক্ষা। মানতে পারছিনা গো। ভালো থেকো যেখানেই থেকো। অভিনেত্রী মালবিকা সেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, আমি ভাবতেই পারছি না। এটা কি হল? কেন হল? স্টার জলসার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা হয়েছে, স্টার জলসার পক্ষ থেকে প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।

মার্চ ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, শোকস্তব্ধ টলিউড

প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন টলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড। জানা গেছে বুধবার শুটিং থেকে বাড়ি ফিরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বারবার বমি হচ্ছিল। পরিস্থিতি অবনতি হলেও হাসপাতালে যেতে চাননি তিনি। রাত ১ টায় মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে সকালে। ১৯৮৬ সালে পথভোলা ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু। প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবছর গ্যাপ নিয়েছিলেন। ফিরে এসে ছোটপর্দার বেশ কিছু ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁকে। সিনেমার মতো ধারাবাহিকেও তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। সম্প্রতি স্টার জলসার খড়কুটো ধারাবাহিকে গুনগুনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। ২০২১ সালে তিনটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন অভিষেক।

মার্চ ২৪, ২০২২
দেশ

ইডি-সিবিআইয়ের কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নই, সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা শেষে হুংকার অভিষেকের

সকাল ১১ টায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে প্রবেশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক সাফ জানালেন, তিনি মাথা নোয়াবেন না। সেই সঙ্গে কয়লা পাচার বা গোরু পাচারের কেলেঙ্কারিতে দায় ঠেললেন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। তাঁর দাবি, গোরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায়, তাহলে বিএসএফ কী করে? এই বিষয়টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, এই সব কেলেঙ্কারিকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিত।জানা গিয়েছে, এ দিন থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে সেটি কার। অভিষেক সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। ওই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক ঘণ্টার লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে প্রবর্তন ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করেছে। তবে রুজিরা যাবেন না বলে জানিয়েছেন অভিষেক।তবে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, কী এই কয়লা কেলেঙ্কারি? কী এই গোরু পাচার কেলেঙ্কারি? তাঁর দাবি, গোরু কোনও ছোট কীট নয়, একটা বড়সড় প্রাণী। তাই গোরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে যায়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে বিএসএফ কী করছে? আর বিএসএফ রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। কয়লাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, এগুলোকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিৎ।জেরায় অভিষেকের থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তা তিনি জোগাড় করে দিয়ে দেবেন বলে বেরিয়ে এসে জানালেন অভিষেক। এর পরেই নাম না করে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ইডি, সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আমি অন্য মেটিরিয়াল। এ সব যত করবে, আমি তত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব, তত নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকব।পাশাপাশিই, অভিষেক বলেন, বিচারব্যবস্থার উপর আমি আস্থাশীল। আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতাই করছি। ওঁরা ওঁদের কাজ করছে। আবার ডাকলে আবার আসব। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ, প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের কজনকে ডাকছে ইডি, সিবিআই। যাঁদের বিরুদ্ধে সারদার কর্ণধার লিখিত অভিযোগ করেছে, যাঁদের কাগড়ে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আমি আজ বিরোধী দলে আছি বলেই আমাকে ডাকা হচ্ছে। যাঁরা বিজেপি করেন, তাঁদের ডাকা হবে না। এ সব ধাপ্পাবাজি বেশি দিন চলবে না।

মার্চ ২১, ২০২২
দেশ

ইডি-র সদর দপ্তরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লিতে ইডি-র সদর দপ্তরে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১১টার কিছু আগে ইডি-র দপ্তরে হাজির হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিছুক্ষণর মধ্যেই অভিষেককে জেরা করার কথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।সোমবার অবশ্য ইডি-র দপ্তরে যাওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে জেরা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা গৃহীত হয়নি। এরপরই ইডি-র দপ্তরের উদ্দেশে রওনা হন অভিষেক। কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে নতুন তথ্য প্রমাণও হাতে এসেছ ইডি-র। দুটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নজর রয়েছে তাদের। অভিষেককে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।উল্লেখ্য, দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ইডি-র তলবে সাড়া দিতে রবিবারই সস্ত্রীক দিল্লিতে পৌঁছন অভিষেক। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই অভিষেক জানিয়ে যান তিনি প্রয়োজনে ইডি-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যাবেন।

মার্চ ২১, ২০২২
দেশ

আগামী ৫ বছর গোয়ার মাটি কামরে পড়ে থাকব: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

গোয়ায় তৃণমূল একটিও আসন না পেলেও দল যে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দেবে না তা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোয়া থেকে ফিরে দমদম বিমানবন্দরে এমনই জানিয়েছে তিনি।বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। এই নির্বাচনে কেবলমাত্র গোয়ার ভোটে অংশ নিয়েছিল বাংলার শাসকদল। বিধানসভা নির্বাচনে গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট গড়েও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। তবে তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে নারাজ অভিষেক। তিনি বলেন, মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই আমরা গোয়ার মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। সকলের কাছে হয়তো পৌঁছতে পারিনি। তবে ছয় শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমাদের প্রতিনিধিরা মানুষের জন্য কাজ করবেন। চারটি আসনে অত্যন্ত কম ব্যবধানে হেরেছি। এমন কয়েকটি বিধানসভা রয়েছে যেখানে তৃণমূল তিন মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।তিনি আরও বলেন, গোয়ার মানুষের কাছে আমরা বদ্ধপরিকর। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা করে দেখাব। আমরা গোয়ায় থাকব এবং ময়দানে লড়াই করব মানুষের স্বার্থে। ফলাফল পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।এই অল্প সময়ের মধ্যে গোয়ার মানুষ আমাদের গ্রহণ করেছেন। এর জন্য তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। যে আশা নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম সে আশা হয়তো পূরণ হয়নি। কিন্তু চারটি আসনে আমরা খুব কম ব্যবধানে হেরেছি। ১০০০-১২০০ ভোটের ব্যবধানে। নাভেলিম আসনে আমরা মাত্র ২৫০ ভোটে হেরেছি। বেলিম আসনেও আমরা কম ব্যবধানে হেরেছি। তবে এমন কিছু আসন রয়েছে যেখানে আমরা ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছি।গোয়ায় থেকে ময়দানে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ বলেন, আগামী ৫ বছর মাটি কামড়ে পড়ে থাকব। অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে আমরা হয়তো সবার কাছে সে ভাবে পৌঁছতে পারিনি। পরাজয়ের কারণ নিয়ে আলোচনা হবে দলের অন্দরে। পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে নতুন রণকৌশল। তবে, ২২- এর এই ফলাফলের জন্য গোয়া ছেড়ে আসার কথা এখনই ভাবছে না তৃণমূল।

মার্চ ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে বেকায়দায় হায়দরাবাদ

বল হাতে জ্বলে উঠেছেন মুকেশ কুমার। যোগ্য সহায়তা ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গেল বাংলা। বাংলার ২৪২ রানের জবাবে হায়দরাবাদের প্রথম ইনিংস ২০৫ রানে শেষ হয়। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৬। এখনও পর্যন্ত বাংলা দু ইনিংস মিলিয়ে ৫৩ রানে এগিয়ে রয়েছে।আগের দিনের ২ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে হায়দরাবাদ। মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ২৮ রানের মাথায় মুকেশ কুমার তুলে নেন হিমালয় আগরওয়ালকে (১৬)। ৪০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। প্রতীক রেড্ডিকেও(৬) ফেরান মুকেশ। রাহুল বুদ্ধি ৪ রান করে আকাশ দীপের বলে কট বিহাইন্ড হন। হায়দরাবাদ পঞ্চম উইকেট হারায় ৪৫ রানে। ৬১ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। অধিনায়ক তন্ময় আগরওয়াল ৮০ বলে ২৯ রান করে ঈশান পোড়েলের বলে মনোজ তিওয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। হায়দরাবাদের সপ্তম উইকেট পড়ে ৭০ রানে। মিকি জয়সোয়াল ২ রান করে সায়নশেখর মণ্ডলের বলে বোল্ড হন। ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে হায়দরাবাদ। মনে হচ্ছিল ১০০ রানও পার করতে পারবে না। এরপর রবি তেজা ও তন্ময় ত্যাগরাজন রুখে দাঁড়ান। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন জুটি ভাঙেন মনোজ তিওয়ারি। তুলে নেন তন্ময়কে। তিনি ১০৩ বলে ৫২ রান করে আউট হন। রবি তেজার লড়াকু ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত ৮০ ওভারে ২০৫ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। ১৯৬ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন রবি তেজা। মুকেশ কুমার ৪৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন। ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আহমেদ ও মনোজ তিওয়ারি ১টি করে উইকেট নেন। ৩৭ রানে এগিয়ে থেকে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। রক্ষণ রেড্ডির বলে শূন্য রানে আউট হন সুদীপ ঘরামি। দিনের শেষে বাংলা ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলেছে। অভিমন্যু ঈশ্বরন ১০ ও ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী ৩ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
কলকাতা

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। সোমবার নিমতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বর্ষীয়ান মন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।প্রয়াত মন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্যের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সাধন পাণ্ডে। যখনই যে কাজের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে অর্পিত হয়েছে, তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করেছেন। তাঁর দেহাবসান হলেও, আমাদের হৃদয়ে তাঁর চিরস্থায়ী অধিষ্ঠান। আজ নিমতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তাঁর শোকসন্তপ্ত আত্মীয়-পরিজন ও অনুগামীদের গভীর সমবেদনা জানাই। তাঁর প্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনওদিনই পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর আদৰ্শ ও উপদেশ আগামীদিনেও আমাদের পথ দেখাবে। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজনীতি

জল্পনার অবসান, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অভিষেকেই আস্থা মমতার

সব জল্পনার অবসান। দল পরিচালনায় নিজের পর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই আস্থা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা। তবে অভিষেকের পদ অক্ষুন্ন থাকলেও অন্য বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছেন নেত্রী।গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর তৃণমূলের সমস্ত সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হয়েছিল। ২০ জন সদস্যের নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির চেয়ারপার্সন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। ওই কর্ম সমিতি শুক্রবার বৈঠক করে নতুন পদাধিকারীদের নাম স্থির করেছে। সেখানেই অভিষেক কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা জানান৷তিনি বলেন,দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। দলের তহবিলের দেখভাল করবেন অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ঠিক হয়েছে অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতির ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা দেখবেন অমিত মিত্র এবং যশবন্ত সিনহা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংগঠনিক কাজ দেখবেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক ও মুকুল সাংমা।উল্লেখ্য, সংসদের অধিবেশনের সময় রাজ্যসভার মুখপাত্র হিসাবে থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায় ও লোকসভার মুখপাত্র হবেন ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। দিল্লিতে দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলন করতে তিনজনের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র, সুখেন্দু শেখর রায় ও কাকলি ঘোষ দোস্তিদার। দলের কার্যনির্বাহী ও জাতীয় নীতি নির্ধারন কমিটির দায়িত্ব সামলাবেন যশবন্ত সিনহা ও ড. অমিত মিত্র। উত্তর পূর্বে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল সাংমা, সুবল ভৌমিক ও সুস্মিতা দেবকে। পাশাপাশি হরিয়ানায় তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে অশোক তানওয়ারকে। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে রাজীব ত্রিপাঠিকে।গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি ও সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন ফিরহাদ হাকিম। মূলত যেটা নিয়ে জল্পনা ছিল তার অবসান ঘটিয়েছেন খোদ নেত্রী। সাংসদ অভিষেককেই ফের ফেরানো হয়েছে তাঁর পুরানো পদে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের মাথায় রেখেই সমস্ত পদ সাজানো হয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর।গত শনিবার ২০ জনের যে জাতীয় কর্ম সমিতি গড়া হয়েছে তাতে রয়েছেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী, অসীমা পাত্র ও মলয় ঘটক।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

’পাড়ায় শিক্ষালয়ের’ প্রাঙ্গন মাতাচ্ছে বর্ধমানের চতুর্থ শ্রেণীর খুদে পড়ুয়া

করোনা অতিমারীর প্রভাব শিথিল হতেই খুদে পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। সেই শিক্ষালয় নিয়েই গান রপ্ত করে গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খুদে ছাত্র অভিষেক সানা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেকের গাওয়া গান পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচীকে মাধুর্য দিয়েছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের মতে, অভিষেকের গাওয়া গান খুদে পড়ুয়াদের পাড়ার শিক্ষালয় মুখী হতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। করোনা অতিমারীর বাড়বাড়ন্তে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক।তার কারণে প্রায় দুবছর ধরে এই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে স্কুলমুখী আর হতে না পেরে খুদে পড়ুয়াদের দিন কাটছিল ঘরে বন্দি থেকেই । শুধু তাই নয়, করোনা স্কুল গুলি থেকে কেড়ে নিয়েছিল পড়ুয়াদের কোলাহলও। বাজেনি স্কুলের ক্লাস শুরুর ঘন্টা। ক্লাসের চেয়ার, টেবিল সবেতেই পড়ে গিয়েছিল ধুলোর আস্তরণ । চলতি সময়ে সংক্রমণ শিথিল হতেই এই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামে। পড়ুয়াদের অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সরব হন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। এরপরেই রাজ্য সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ফের খুলে যায় এই রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সদর দরজা। পড়ুয়া কোলহলে ফের ভরে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গন। শুধুমাত্র প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর খুদে পড়ুয়াদের জন্য সরকার ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। ক্লাসরুমে পড়াশুনার বদলে খুদে পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়াদের মতই বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালের পড়ুয়ারাও সরকারের পাড়ায় শিক্ষালয় খোলার সিদ্ধান্তের কথা জেনে খুশিতে ভরে ওঠে। আর সেই খুশিতেই নিজের সংগীত গুরু মঙ্গল কালিন্দির লেখা ও সুর দেওয়া গান রপ্ত করে ফেলে বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিষেক সানা। ওই গান গেয়েই এখন অভিষেক পাড়ায় শিক্ষালয়ের আসরও মাতাচ্ছে। পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে খুদে ছাত্র অভিষেকের গাওয়া গান মুগ্ধ করেছে বর্ধমান সদর ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদারকেও। তিনি বলেন, করোনা অতিমারীর কারণে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন স্কুলমুখী হতে পারেনি। বাচ্চারা অনেকদিন স্কুলচ্যুত ছিল। তাদের কথা বিবেচনা করে সরকার পাড়ায় শিক্ষালয় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপম সাধু বলেন, প্রায় দুবছর বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। মুক্ত প্রাঙ্গনের পাড়ায় শিক্ষালয়ে এখন আবার ফিরে এসেছে খুদে পড়ুয়াদের কোলাহল। সেখানে শিশুদের পাঠদান করতে পেরে আমরা শিক্ষকরাও খুশি। তারই মধ্যে সেখানে উপরি পাওনা হিসাবে মিলছে পাড়ার শিক্ষালয় কর্মসূচী নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেক সানার গান।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজনীতি

নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে ৩ দিনের সফরে আজ গোয়ায় অভিষেক

নজরে বিধানসভা ভোট। সোমবার ফের তিন দিনের গোয়া সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।দলীয় সূত্রে খবর, সৈকত রাজ্যে নির্বাচন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অভিষেক। এছাড়াও তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে খবর। খতিয়ে দেখবেন গোয়ার ভোট প্রস্তুতিও। ২৬ জানুয়ারি রাজ্যে ফিরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।নির্বাচনের প্রাক্কালে তিন দিনের এই গোয়া সফর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুদফায় ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের এই গোয়া সফরের মধ্যেই আরও বেশ খানিকটা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকাও প্রকাশিত হওয়ায় সম্ভাবনা থাকছে।অভিষেকের এই সফরে রয়েছে সাংগঠনিক কর্মসূচি। একইসঙ্গে কংগ্রেসের পি চিদাম্বরম বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ গোয়ার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে হতে পারে ঘৃতাহুতিও। কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে আসছে, গোয়ায় আপ, তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট লড়তে নেমে আসলে বিজেপি বিরোধী ভোটই ভাগ করতে চাইছে। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়াবাসীকে বার্তা দিয়েছেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজনীতি

কল্যানের মন্তব্যকে জোরালো সমর্থন অভিষেকের, এবার কমতে পারে বিতর্ক

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত মন্তব্য ও ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে দলের বাইরে ঝড় উঠেছিল। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের মন্তব্যের কড়া সমলোচনা করেছিলেন। তবে একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসাবে মানেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই সাংসদ। শেষমেশ তা নিয়ে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের বাইরে মুখ খুলতে নিষেধ করে দেন। তা নাহলে কড়া পদক্ষের করা হবে বলেও সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও হুগলির নানা জায়গায় কল্যান-অকল্যান নিয়ে পোস্টার পড়ে। বিক্ষোভ চলে হাইকোর্ট চত্বরেও। মদন মিত্রও মাঝে মুখ খোলেন দলীয় ইস্যুতে। এবার গোয়ায় গিয়ে কল্যানইস্যুতে মুখে খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতো মন্তব্য করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়। অভিষেক জবাবে বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ওনার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছাড়া উনি কাউকে মানেন না। আমিও তো তাই বলছি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন ঠিক বলছেন। এতে অসুবিধার কী আছে? তবে এখানেই থামেননি তিনি। কল্যান ইস্যুতে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর বক্তব্য, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে বলায় প্রমাণিত যে দলে হাইকমান্ড সংস্কৃতি নেই। এটা আমাদের জন্য তো ভালোই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সতর্ক করার পরও পোস্টার পাল্টা পোস্টার চলেছে, হাইকোর্টে চত্বরে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার হয় তো ডায়মন্ডহারবার বা কল্যান ইস্যুতে বিতর্ক কমতে পারে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
সম্পাদকীয়

মেগা কোভিড-১৯ টেস্টিং ড্রাইভ' হোক রাজ্য জুড়ে, কেন বঞ্চিত বাকি অঞ্চল

বাংলায় করোনার পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি করোনা-আক্রান্তের মৃতের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু এখনও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ সচেতন নয়। উৎসব, মেলা অনেক হল, এবার সরকারি উদ্যোগেও ঘাটতি থাকা উচিত নয়। ডায়মন্ডহারবারে এক দিনে ৫০ হাজার কোভিট টেষ্ট করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে রাজ্যের অন্য সংসদীয় এলাকায়ও এমন উদ্যোগ নেওয়া হোক। একটি লোকসভা কেন্দ্রে সরকার পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে বাকি কেন্দ্রে তা হবে না তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হওয়া বাঞ্ছিত নয়। এক্ষেত্রে একই রাজ্যে তো নয়ই।করোনা আমাদের সামাজিক পরিকাঠামোর সর্বনাশ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, ছোট-বড় বেসরকারি সংস্থার কর্মী, খেটে খাওয়া মানুষরা আজ বড় অসহায়। তবু করোনা বিধিকে তোয়াক্কা করছেন না একটা অংশ। কেন তাঁদের এই অনীহা এটা আজ প্রশ্ন। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও অল্প দিনে সেরে ওঠায় অনেকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন। কিন্তু পজিটিভিটি রেট ও মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তায় রেখেছে চিকিৎসক মহলকে। অতএব করোনা নিয়ে সচেতন না হলে আগামি দিনে কী বড় বিপদ অপেক্ষা করছে তা কারও জানা নেই।বিশেষজ্ঞরা নানা আশার বানী শোনাচ্ছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একটা অংশের দাবি, ভ্যাকসিনের কাজ করবে ওমিক্রণ। তাহলে তো অতি উত্তম। কিন্তু যে ভাইরাসটা সম্পর্কে কোনও গবেষণা সম্পূর্ণ নেই, তা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা শ্রেষ্ঠ উপায় বলেই মনে করা হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন ও শীতের উৎসবের পর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। মুখে মাস্ক ও ভিড় এড়ানোই করোনা মোকাবিলার সেরা অস্ত্র বলে আসছেন, তা কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না সেটাই মূল প্রশ্ন। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে করোনা মোকাবিলায় শরিক হতে হবে। আজ মনে হতে পারে আমার কিছু হবে না, ঘুরিয়ে সেই বিপদ কখন নিজের বাড়িতে হাজির হয়ে যাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহাবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নীচে কমিয়ে আনতে হবে। ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় কেন্দ্রে একদিনে ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেষ্ট করা হয়েছে। খুব ভালো উদ্য়োগ। কিন্তু কেন রাজ্যের বাকি ৪১টি কেন্দ্রে এই উদ্যোগ নেওয়া হল না সেটা বড় প্রশ্ন। ওই ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেষ্ট তো সরকারি অর্থেই হয়েছে। এমন নয় তো বেসরকারি সংস্থা সমাজেসেবা করেছে। তাহলে একই রাজ্যের অন্য সংসদীয় কেন্দ্রেও এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত। প্রথমত এক রাজ্যে ভিন্ন নীতি হবে কেন? অন্য় সংসদীয় কেন্দ্রের নাগরিকরা কেন বঞ্চিত হবে? সংসদীয় কেন্দ্র ভিত্তিক না হোক জেলা ভিত্তিক, মহকুমা বা ব্লক ভিত্তিক করোনা পরীক্ষার করার ব্যবস্থাও করতে পারে সরকার।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজনীতি

অভিষেকের 'ডায়মন্ডহারবার মডেল' নিয়ে তৃণমূল যুবনেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সোশাল মিডিয়ায় দলের সাধারণ সম্পাদকের হয়ে গলা ফাটাতে শুরু করেছেন যুবনেতারা। তৃণমূলের রাজ্য যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের পর এবার তৃণমূল যুবর রাজ্য সহসভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আই সাপোর্ট ডায়মন্ডহারবার মডেল লিখে ফেসবুক পোষ্ট করেছেন। ওই পোস্টে ইঙ্গিতে এক সাংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন শান্তনুবাবু।করোনা নিয়ে অভিষেকের কিছু ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। বিরোধীরা তা নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা করেছেন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দলে থেকে ভালো সাজার চেষ্টা হচ্ছে। সিপিএমের বক্তব্য, এখন করোনা মোকাবিলায় ২ মাস রাজনৈতিক, ধর্মীয় সভা-সমাবেশ বন্ধ করার কথা বলছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের এমপি কাপে ভিড়ের কথা কী ভুলে গিয়েছেন তিনি। তাছাড়া পুরভোট বন্ধ নিয়ে এখনও রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এদিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য কখনও ব্যক্তিগত হয় না। এটা একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করা। তবে রাজনৈতিক মহল তৃণমূল কংগ্রেসের এসব কান্ডকে এখনই গুরুত্ব দিতে নারাজ। এটা আদি-নব্য মতানৈক্য নাকি দলের রণকৌশল তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সময় এর জবাব দিয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে রাজ্য তৃণমূল যুব নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর ফেস বুক পোস্টে সরাসরি অভিষেকের ডায়মন্ডহারবার মডেলকে সমর্থন করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন-#I_Support_Diamond_Harbour_Modelরাজনীতি তে মানুষই শেষ কথা বলে।মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে এবং তাঁর দেখানো পথে মানুষের পাশে অভিষেক ব্যানার্জী ছিল, আছে আর থাকবে। মানুষ এর আশীর্বাদ সাথে থাকলে কোনো অ-কল্যান কামি শক্তি কিছু করতে পারে না।মমতা ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।।অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।।#তফাৎছিল তফাৎআছে তফাৎ_থাকবে ।।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে জয়ধ্বনী দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ-কল্যান কামী শব্দটি নিয়েই রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। কেন অকল্যান অ-কল্যান হল, তা নিয়েই গবেষণা চলছে তৃণমূলে। যদিও এনিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া তফাৎ কার সঙ্গে কার তা নিয়েও গুঞ্জন অব্যাহত।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজনীতি

Goa-Abhishek: তিন দিনের সফরে গোয়ায় অভিষেক, পুজো দিলেন রুদ্রেশ্বর মন্দিরে

তিন দিনের গোয়া সফরে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি ওই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। সামনেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রণকৌশল ঠিক করতে তাঁর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি এবং বৈঠকের কথা রয়েছে অভিষেকের।Our National General Secretary Shri @abhishekaitc offered prayers at Shri Rudreshwar temple today. pic.twitter.com/ZNf4krguXM All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 29, 2021সকাল ১১টা নাগাদ তিনি যান সাঙ্কেলিমের রুদ্রেশ্বর মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন তিনি। পুজো শেষে সাংবাদমাধ্যমে অভিষেক বলেন, রুদ্রেশ্বর মন্দিরে পরিদর্শনের সৌভাগ্য হল আমার। গোয়াবাসীদের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেছি। নতুন বছরে পা রাখতে চলেছি। আমরা নিশ্চিত এক নতুন সূর্যোদয় দেখবে গোয়া। বিকেল ৫টা নাগাদ কানকোনার গোকর্ণ মঠ পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাঁর।National General Secretary Shri @abhishekaitc offered prayers for all Goans at the historic Shri Rudreshwar temple in Sanquelim.He prayed for the progress and prosperity of Goa and as we step into the new year, we are certain that Goa will see a New Dawn rise!#GoenchiNaviSakal pic.twitter.com/D5yUN499oa All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 29, 2021গোয়ায় এখনও ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু লড়াইয়ের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আসন্ন নির্বাচনে কী ভাবে, কোন পথে দল এগোবে তা খতিয়ে দেখতেই অভিষেকের এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দির এবং মঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি কয়েকটি দলীয় বৈঠকও করতে পারেন অভিষেক।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Bannerjee: বিপুল জয়ে কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ অভিষেকের

সকাল থেকেই শহরজুড়ে ঝোড়া ব্যাটিং করছে তৃণমূল। ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরনিগমে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিজয়োল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। আর এরই মধ্যে কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।People of Kolkata have once again proven that politics of HATE VIOLENCE have NO PLACE in BENGAL!I thank everyone for blessing us with such a huge mandate. We are truly humbled and shall always remain committed in our goals towards YOUR BETTERMENT!Thank you Kolkata 🙏 Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) December 21, 2021তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটে লেখেন, কলকাতার মানুষ আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাংলায় ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের রায়ের জন্য আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের উন্নয়নের যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি, তার প্রতি আমরা সবসময় নিয়োজিত থাকব এবং কখনও এই পথ থেকে বিচলিত থাকব না।ভোটে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় মোটামুটি নিশ্চিত হতেই কলকাতার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৩শে ডিসেম্বর নতুন মেয়রের নাম প্রস্তাব করা হবে। সেদিন দুপুরে কলকাতায় মহারাষ্ট্র ভবনে এই অনুষ্ঠান হবে। কলকাতা বিমানবন্দরে এ কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Bannerjee: অভিষেকের আশ্বাস, পুরভোটে অশান্তিতে তৃণমূল জড়িত প্রমাণ দিলে ২৪ ঘণ্টায় ব্যবস্থা

কলকাতা পুরভোটের আগে তৃণমূলের প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করে জিততে ভাবে। কোনও অবস্থাতেই ভোটে জেতার জন্য প্রভাব খাটানো চলবে না। রবিবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি এবং বিরোধীদের তোলা অনিয়ম প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, অশান্তিতে তৃণমূল জড়িত আছে প্রমাণ দিতে পারলে দল ব্যবস্থা নেবে।রবিবার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিউশনের বুথে ভোট দিয়ে পুর নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, অশান্তির ভিডিও ফুটেজ থাকলে আনুন। তৃণমূলের কেউ, কোথাও, কোনও জড়িত আছে প্রমাণ দিতে পারলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক স্তরেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।পুরভোটে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাসে এজেন্ট দেওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে অভিষেকের মন্তব্য, বিজেপি কোথাও এজেন্ট দিতে না পারলে তার দায় তৃণমূলের নয়। তাঁর কটাক্ষ, পুরভোটের ফল কী হতে পারে তার আঁচ পেয়ে মুখ বাঁচাতে সন্ত্রাসের অজুহাত দিচ্ছে বিজেপি। অভিষেক বলেন, পরশু গণনায় যদি তৃণমূল ১৩০-এর উপর আসন পায়, একা অজুহাত তো (বিজেপি-কে) দিতে হবে। কলকাতা পুরভোটের সঙ্গে ত্রিপুরার ভোটেরও তুলনা করেছেন অভিষেক।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Bannerjee: পুরভোটে কটি আসন পাবে, তৃণমূল প্রচারের শেষবেলায় জানালেন অভিষেক

কলকাতা পুরভোটে প্রচারের শেষ লগ্নে দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতায় বড়বাজার থেকে বউবাজার পর্যন্ত রোড শো করেছিলেন। শুক্রবার করলেন দক্ষিণ কলকাতার ১০ ওয়ার্ডে। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে রাসবিহারী হয়ে কালীঘাট মোড়, দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সবকটি ওয়ার্ডেই তৃণমূলকেই দেখতে চান অভিষেক। এদিন শেষবেলার প্রচারে পুরভোটে তৃণমূল কটি আসন পাবে তা একপ্রকার বলেই গেলেন তিনি।রোড শোয়ের পর কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের কাছে সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র এক-দুটো আবর্জনার জামানত জব্দ হবে। এটা ভারতবর্ষের মানচিত্রে কলকাতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার নির্বাচন। ২০১০ সালের কলকাতা আর এখনকার কলকাতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। তুলনা করেই ভোট দেবেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটের দিন নাটক করতে পারে বিজেপি, সিপিএম। আপনারা সতর্ক হয়ে ভোট দেবেন।গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল টেনে বিজেপি-কে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ভোটের আগে যাঁরা বড় বড় কথা বলেছিল, আট মাস পর তাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যায় না। বিজেপি-র বাস ৭০-এ আটকে গিয়েছে। তৃণমূল খেলাতেও আছে, মেলাতেও আছে, আন্দোলন-উন্নয়নেও আছে। কালীঘাটে টালির ছাদের নীচে যে মহিলা থাকেন, সারা দেশ এখন তাঁর দিকে তাকিয়ে। সব ওয়ার্ডের প্রার্থী একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেক আরও বলেন, তৃণমূল এখন আর শুধু বাংলায় রাজনৈতিক দল নেই। গোটা দেশের পার্টি। সামনের বছরই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনেও তৃণমূল ভাল করবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, গোয়ায় তৃণমূল হয় সরকার গড়বে, নইলে প্রধান বিরোধী দল হবে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল হয়েছি।বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় বৃহস্পতিবারই বাঘাযতীন আর বেহালার সভা থেকে নাম না করে বিজেপি-কে বিঁধেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, যারা বলত মমতাজি দুর্গাপুজো করতে দেয় না, আজ তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। শুক্রবার অভিষেকও বলেন, বিজেপি শুধু মিথ্যে কথা বলে। বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। অথচ বিজেপি বলেছিল, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো করতেই দেওয়া হয় না। বিজেপি-র মতো দুনম্বরি দল সারা ভারতে নেই। তাঁর কথায়, ২০১০-এর আগের কলকাতা আর ২০২০-র পরের কলকাতা, তুলনা করে ভোট দিতে হবে। মনে রাখবেন, সব কেন্দ্রেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪৪ ওয়ার্ডে যেন জেতে তৃণমূল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
দেশ

Parliament-Protest: সাংসদ সাসপেন্ড-প্রতিবাদে যোগ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ সকালেই দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের দুই রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনা চলছে। আজ সেই ধরনায় দলীয় সাংসদদের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শান্তনু সেন এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।Our National General Secretary and Honble MP Shri @abhishekaitc participates in a protest in Delhi.We strongly condemn the suspension of MPs. @BJP4India, YOU CANNOT SILENCE US! pic.twitter.com/IwggjfEVgJ All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 7, 2021পরে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন অভিষেক। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তৃণমূল কোন পথে এগোবে, সেই নিয়ে একটি দিক নির্দেশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী দিনে কেন্দ্রের ট্রেজারি বেঞ্চের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদরা।জাতীয় রাজনীতিতে এখন তৃণমূল এবং কংগ্রেসের অবস্থানে একটি আড়াআড়ি ফাটল স্পষ্ট। তৃণমূল নেত্রী ইউপিএকে অস্বাকীর করে সমান্তরাল বোঝাপড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ সেই সমান্তরাল বিরোধী জোটকে একেবারেই প্রশ্রয় দিতে চাইছেন না উদ্ধব ঠাকরেরা। পড়শি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকারই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Bannerjee: পুরভোটের স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে কড়া বার্তা অভিষেকের

সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করে জিততে হবে। কোনও অবস্থাতেই ভোটে জেতার জন্য প্রভাব খাটানো চলবে না। কলকাতায় পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে শনিবার স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ভোলেননি অনেকেই। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছিল। জায়গায় জায়গায় ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে সেই সব অভিযোগের প্রভাব খুব একটা ভালো হয়নি। সম্ভবত সেই কথা মাথায় রেখেই পুরভোটে দলীয় প্রার্থীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ পুরভোটের রণকৌশল সংক্রান্ত বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।শনিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৪৪ টি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতারা। ভোটের দিন যাতে কোথাও কোনও গণ্ডগোল না হয়. সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন অভিষেক। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি কোথাও ভোটদানে বাধা দেওয়া বা অন্য কোনও বিশৃঙ্খলা অভিযোগ ওঠে, সে ক্ষেত্রে দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেই জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বর্তমানে তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। এর আগে ২০১৯- এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন বেড়ে গিয়েছিল এ রাজ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভাবমূর্তিতে যে ভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিল, তারই প্রভাব লোকসভায় পড়েছিল বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। তাই এবার পুরভোটের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানী তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে যদি ভোটদানে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসে, তার প্রভাব পড়তে পারে ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনে, সে জন্যই অভিষেকের এই বিশেষ বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
রাজনীতি

Abhishek Bannerjee: চূড়ান্ত নৈরাজ্য, জঙ্গলরাজ চলছে, ত্রিপুরায় পা রেখে আক্রমণ অভিষেকের

আগরতলা পৌঁছেই ত্রিপুরা সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে বিপ্লব দেব সরকারকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে এ রাজ্যে। জঙ্গলরাজ চলছে। সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবীদের উপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।অভিষেক আসার আগেই বিমানবন্দরে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, অভিষেকের আসা আটকাতেই পরিকল্পিত ভাবে এ কাজ করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সব দেখছেন এখানে কী পরিস্থিতি। শুনেছি একটা পরিত্যক্ত ব্যাগ ছিল বিমানবন্দরে। এর পরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, আপানার যদি রাগ থাকে তা হলে আমার উপর প্রয়োগ করুন। সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসক, সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো হচ্ছে কেন।অভিষেকের কথায়, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে হবে। সেখানে মহিলা প্রার্থীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। টেবিলের তলায় পুলিশ লুকিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের মদতে এই কাজ হচ্ছে। পুলিশকে দোষারোপ করছি না। ওঁরাও পরিস্থিতির চাপে করছেন। আগরতলার মানুষের মান সম্মান রয়েছে। ওঁরা বিজেপি-র কাছে সেটা বিক্রি করবে না। জোর করে গণতন্ত্র হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক।

নভেম্বর ২২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal