• ১৫ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

AFC Cup

খেলার দুনিয়া

‌মাজিয়াকে উড়িয়ে এএফসি কাপের আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান

এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসির কাছে হারটা যে দুর্ঘটনা ছিল, প্রমাণ হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪২ ব্যবধানে জয়। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে ৫২ ব্যবধানে উড়িয়ে এএফসি কাপের আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক জনি কাউকো। ১টি করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা, শুভাশিস বোস ও কার্ল ম্যাকহিউ।এটিকে মোহনবাগান সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা নির্ভর করছিল এদিন গোকুলাম এফসি ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচের ওপর। গোকুলাম জিতলে এটিকে মোহনবাগান ও মাজিয়া ম্যাচ নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হত। কিন্তু প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২১ ব্যবধানে জিতে যাওয়ায় ড্র করলেও চলত এটিকে মোহনবাগানের। কিন্তু মাজিয়াকে উড়িয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল।এদিন ম্যাচে ২৬ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জনি কাউকো। এই গোলের ১১ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ২০ গোলে এগিয়ে যাওয়া এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাজিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান টানা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে রয় কৃষ্ণ গোল করে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে লিড ডবল করেন। দুমিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোলটি করেন শুভাশিস বসু ৫৮ মিনিটে। ৭১ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউ পঞ্চম গোলটি করেন এটিকে মোহনবাগানের হয়ে। ৭৩ মিনিটে টানা আরও একটি গোল মাজিয়ার হয়ে করলেও কোনও লাভ হয়নি মলদ্বীপের দলটির। শেষ পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে ৫২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।

মে ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানকে চরম সমস্যায় ফেলতে পারে এই ক্লাবটি

এবছর এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে গ্রুপ ডিতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ধিবেহী প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস রিক্রিয়েশন ক্লাব এবং গতবছর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল মাজিয়া। ১৮ মে থেকে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হবে গ্রুপ ডির ম্যাচ। এই গ্রুপে এটিকে মোহনবাগানকে চরম সমস্যায় ফেলতে পারে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ২১ মে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে বসুন্ধরা।গত মাসেই এএফসি কাপের প্লে অফে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। কিন্তু এএফসি কাপের মূলপর্বে গ্রুপ ডির ম্যাচে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এবার লড়াইটা সহজ হবে না। এবছর বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস। লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করছে অস্কার ব্রুজোনের ফুটবলাররা। এএফসি কাপের মূলপর্ব আপাতত তাদের পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যে আবাসিক শিবির করে আধুনিক পরিকাঠামোর সুবিধা নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি সারছে বসুন্ধরা কিংস।এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বসুন্ধরা কিংসের যে দল খেলেছিল, সেই দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছে। এএফসি কাপের জন্য গতমাসে বসুন্ধরাতে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেইরা ও জাম্বিয়ার স্ট্রাইকার নুহা মারোং। এছাড়া কদিন আগেই বসুন্ধরা কিংস সই করিয়েছে ম্যাথু চিনোডোকে। বাংলাদেশ লিগে প্রথম পর্বে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৭ গোল করেছিলেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। হাঁটুর চোটের জন্য মাঝে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। চোট সারিয়ে ফিরলেও ধানমন্ডি তাঁকে আর দলে রাখেনি। এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার বসুন্ধরাতে যোগ দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই বসুন্ধরার হয়ে দারুণ পারফর্ম করছেন ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রবসন রবিনহো ও ইরানীয় ডিফেন্ডার খালেদ শাফিয়েই। চলতি বাংলাদেশ লিগে ১১টি গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক রবিনহো। এছাড়া গোলের মধ্যে রয়েছে নয়া মারোং ও মিগুয়েলও। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল। তবে বসুন্ধরার কাছে স্বস্তির খবর হল এলিটা কিংসলেকে পাওয়া। তিনি বাংলাদেশী হয়েই মাঠে নামতে পারবেন। নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত এলিটা গত বছর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। গতবছরের মার্চে নাগরিকত্ব পেলেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা ও এএফসি থেকে ছাড়পত্র মিলছিল না কিংসলের। অবশেষে মিলেছে ছাড়পত্র। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্স (এএফসি) থেকে জানানো হয়েছে, বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে খেলতে পারবেন তিনি। এরইমধ্যে এএফসি কাপের জন্য এলিটা কিংসলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে বসুন্ধরা কিংস।

মে ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে এএফসি কাপের মূলপর্বে সবুজমেরুন

আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই এএফসি কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিল এটিকে মোহনবাগান। ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের ঢাকা আবহনীকে ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ৬ মিনিটে বাদিক থেকে জনি কাউকোর বাড়ানো ক্রস থেকে এটিকে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৭ মিনিট পর সমতা ফিরিয়ে আনার সুযোগ এসেছিল আবহনীর সামনে। কিন্তু জালে বল রাখতে পারেননি ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস।প্রথম গোল খাওয়ার পর চাপে পড়ে যায় ঢাকা আবাহনী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসেন এটিকে মোহনবাগানের কাউকো-লিস্টনরা। তবে আবাহনীর রক্ষণের তৎপরতায় গোল মুখ খুলতে পারেনি সবুজমেরুন। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় প্রবীর দাসের সেন্টার থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন জনি কাউকো। তাঁর শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দেওয়া সবুজমেরুন ২৯ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে ব্যবধান বাড়ায়। প্রবীর দাসের সাজিয়ে দেওয়া বল থেকে গোল তুলে আনতে কোনও ভুল করেননি ডেভিড উইলিয়ামস। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পুর্ণ করতে পারতেন এই অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে তিনি আবহনী গোলরক্ষকের গায়ে মারেন।দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান হঠাৎই খেলা থেকে হারিয়ে যায়। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয় আবহনী। ঢাকা আবহনী একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। পর পর সুযোগ তৈরি করেও সবুজমেরুনের বক্সের মধ্যে গিয়েই খেই হারিয়ে ফেলছিল ঢাকার দল। প্রায় দুটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আবহনী। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনার সুফল পায় ৬১ মিনিটে। রাকিব হোসেনের ডান পায়ের ফ্লিক ধরে বিশ্বমানের গোল করে যান কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। ম্যাচের ৭০ মিনিটের পর আবার ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে এটিকে মোহনবাগান। আবহনীর মরিয়া লড়াই রুখে ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে ফিরে আসে সবুজমেরুন। এই সময়ে দুটি সহজ সুযোগ মিসও করে বাগান জনতার প্রিয় ক্লাবটি। গোল নষ্টের মহরার মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করে ঢাকা আবহনীর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন ডেভিড উইলিয়ামস।

এপ্রিল ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবাহনীর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো?‌

এএফসি কাপের মূলপর্বে ওঠার প্লে অফের লড়াইয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। পরের রাউন্ডে পৌঁছতে গেলে আবাহনীর বিরুদ্ধে জিততেই হবে এটিকে মোহনবাগানকে। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও নিজেদের ফেবারিট হিসেবে মানতে নারাজ সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ঘরের মাঠে খেলা হলেও বরং ওপার বাংলার দলকে যথেষ্ট সমীহের চোখে দেখছেন তিনি। তবে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুয়ান ফেরান্দো। এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫০ ব্যবধানে। সেই ম্যাচ এখন অতীত জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে নতুন করে শুরু করতে চান। ওপার বাংলার দলের খেলার ভিডিও দেখেছেন। সেইভাবেই পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। জুয়ান ফেরান্দোর লক্ষ্য শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল তুলে নেওয়া। চোটের জন্য রক্ষণে সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে এই ম্যাচেও পাবেন না জুয়ান ফেরান্দো। রয় কৃষ্ণাও নেই। তা সত্ত্বেও চিন্তিত নন সবুজমেরুণ কোচ। আসলে ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে তাঁর দলের ফুটবলারদের খেলা ভরসা জোগাচ্ছে জুয়ান ফেরান্দো। ঢাকা আবাহনী কিন্তু একেবারেই অবহেলা করার মতো দল নয়। রাফায়েল অগাস্তোর মতো আইএসএল খেলা ফুটবলার রয়েছে ওপার বাংলার দলে। এছাড়াও রয়েছেন কোস্টারিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। আর এক বিদেশি হুসেনিও যথেষ্ট ভাল। তাঁদের দিকে আলাদা নজর দিতে চান ফেরান্দো। তবে ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফল মাথায় রাখছেন না। ফেরান্দো বলেন, আগের ম্যাচে পাঁচ গোলে জিতেছি ঠিকই। তবে প্রতিপক্ষ যে হেতু নতুন তাই আগের ম্যাচের পারফরমেন্স তেমন কাজে আসবে না। আমরা এক সপ্তাহ বিশ্রাম পেয়েছি, যে হেতু ওরা আগের ম্যাচে ওয়াক ওভার পেয়েছে তাই আমাদের থেকে বেশি বিশ্রাম পেয়েছে। তবে এসব নিয়ে ভাবছি না। ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেন, এটা আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ। গ্যালারিতে আমাদের সমর্থক ভর্তি থাকবে। ফলে আমরা ওদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থেকে মাঠে নামব। তবে ম্যাচটা ততটাও সহজ হবে না।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত মনবীর–কাউকো, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এ কী হাল ব্লু স্টারের!‌

দীর্ঘদিন ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলার সুযোগ পায়নি এটিকে মোহনবাগান। দু বছর পর যুবভারতীতে প্রিয় দর্শকদের সামনে ম্যাচ। ঝলসে উঠল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ ব্যবধানে উড়িয়ে দুর্দান্তভাবে এএফসি কাপ অভিযান শুরু করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে দুটি করে গোল করেন জনি কাউকো ও মনবীর সিং। একটি গোল ডেভিড উইলিয়ামসের। এদিন প্রিয় দলের খেলা দেখতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন। প্রিয় ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে ব্যানার, ফেস্টুন, টিফো নিয়ে মাঠে এসেছিলেন সবুজমেরুণ সমর্থকরা। ফুটবলাররা সমর্থকদের হতাশ করেননি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন জুয়ান ফেরান্দোর ফুটবলাররা। তারই ফসল ৫ গোল। যতই নেপালে মাচিন্দা এফসিকে হারিয়ে প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে আসুক শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার, ধারেভারে তারা এটিকে মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তার প্রমাণ এদিন মাঠেই পাওয়া গেল। মনবীর সিং, হুগো বোমাসদের আক্রমণের চাপে শুরু থেকেই দিশেহারা ছিলেন ব্লু স্টারের ফুটবলাররা। ৫ মিনিটেই গোল করার সুযোগ এসে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। মনবীরের সেন্টার সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ডেভিড উইলিয়ামস। ব্লু স্টার রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন মনবীররা। তারই ফলশ্রুতিতে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মনবীর সিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে থেকে ডানপায়ের কোনাকুনি গড়ানো শটে গোল করেন জনি কাউকো। ২৯ মিনিটে প্রবীর দাসের পাস থেকে গড়ানো শটে ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিং।৩৩ মিনিটে ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন ব্লু স্টারের প্রিন্স বোয়াডু। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন জনি কাউকো। দ্বিতীয়ার্ধেও এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ধারা অব্যাহত ছিল। একের পর এক সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু গোল করতে পারছিলেন না উইলিয়ামস, কিয়ান নাসিরি, মনবীররা। অবশেষে ৭৭ মিনিটে মনবীরের পাস থেকে ৪০ করেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন মনবীর সিং।

এপ্রিল ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা এটিকে মোহনবাগানের

মঙ্গলবার এএফসি কাপে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সমস্যায় সবুজমেরুণ শিবিরে। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্যায়ের লড়াইয়ে পাচ্ছে না দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণাকে। চোটের জন্য খেলতে পারছেন না দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে না পেলেও চিন্তিত নন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ফিজিতে রয় কৃষ্ণার এক ঘনিষ্ট আত্মীয় মারা গেছেন। সেইজন্য তিনি ফিজিতে ফিরতে যান। সোমবার দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে ফিজির দুতাবাসে যান। মোটামুটি পরিস্কার, বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এএফসি ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে যাবেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর না থাকাটা যে বড় ধাক্কা সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এইরকম পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএলেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে রয় কৃষ্ণাকে পাননি। তাসত্ত্বেও কিন্তু হাহুতাশ করেননি। বরং বিকল্প ফুটবলারদের দিয়ে ম্যাচ উতরে গেছেন। এএফসি কাপেও রয় কৃষ্ণার বিকল্প ফুটবলার জুয়ান ফেরান্দোর হাতে রয়েছে। এশিয়া কোটা নিয়ে মোট ৪ জন বিদেশি ফুটবলারকে খেলাতে পারবেন বাগান কোচ। রয় কৃষ্ণা চলে গেলে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হবে না। বরং কোন চার বিদেশিকে খেলাবেন, তা নিয়ে চিন্তামুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে ফেরান্দো হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসকে আক্রমণভাগে রেখে দল সাজাতে পারবেন। মাঝমাঠে জনি কাউকো, রক্ষণে তিরি। কার্ল ম্যাকহিউ এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। ফলে ৪ বিদেশিই এই মুহূর্তে জুয়ান ফেরান্দোর হাতে রয়েছে। সন্দেশ ঝিঙ্ঘান না থাকায় তিরির সঙ্গে রক্ষণে প্রীতম কোটালকে খেলাবেন। রয় কৃষ্ণা ও সন্দেশ না থাকলেও ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চিন্তিত নন জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, সন্দেশ দেশের হয়ে খেলার সময় থেকেই হাঁটুর চোটে ভুগছে। রয় কৃষ্ণাও থাকবে কিনা জানি না। তবে আমার হাতে বিকল্প রয়েছে। আশা করছি সমস্যা হূবে না। শ্রীলঙ্কার দলটি ততটা শক্তিশালী নয়। তাসত্ত্বেও বিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, ব্লু স্টার শ্রীলঙ্কার লিগ চ্যাম্পিয়ন দল। প্লে অফ ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রার মতো দলকে হারিয়ে মূলপর্বে উঠে এসেছে। ফলে বিপক্ষকে মোটেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। একই কথা শোনা গেছে জনি কাউকোর মুখে।

এপ্রিল ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঠিক হয়ে গেল এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ, কারা?‌ জানতে পড়ুন

এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বের গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে ঠিক হয়ে গেছে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ। ১২ এপ্রিল যুবভারতীতে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে খেলতে হবে সবুজমেরুণ ব্রিগেডকে। প্লে অফ ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিকে হারিয়ে প্রাথমিক পর্বে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষকে মেপে নিতে ব্লু স্টার ও মাচিন্দ্রা এফসি ম্যাচ দেখেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। খেলা দেখে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে তাঁর। বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। ব্লু স্টারের খেলা দেখে সবুজমেরুণ কোচের বিশ্লেষণ, শ্রীলঙ্কার এই দলের পাসিং ফুটবল যথেষ্ট ভাল। মাঝমাঠে পাস খেলতে খেলতে হঠাৎ আক্রমণে উঠে আসে গতি বাড়িয়ে। ম্যাচের কোনও সময়েই হালকাভাব দেখানো চলবে না। ওদের ছোট করে দেখলে ডুবতে হবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।এটিকে মোহনবাগানের ভিডিও অ্যানালিস্ট ব্লু স্টার ও মাচিন্দা এফসির গোটা ম্যাচ ভিডিও রেকর্ডিং করেছেন। দলের ফুটবলারদের ওই ম্যাচের ভিডিও দেখাবেন জুয়ান ফেরান্দো। বিপক্ষ দলের কোথায় দুর্বলতা, কোন জায়গায় শক্তিশালী সেগুলো ফুটবলারদের সামনে তুলে ধরবেন। বিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা অনুযায়ী ম্যাচের পরিকল্পনা করবেন। এএফসির ম্যাচে এই প্রথম দল নিয়ে মাঠে নামবেন না জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর কোচিংয়ে এফসি গোয়া একবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছিল। যদিও তেমন আশানূরূপ ফল করতে পারেনি। এটিকে মোহনবাগানকে সাফল্য এনে দিতে চান। তবে এখনই পরের পর্ব নিয়ে ভাবছেন না সবুজমেরুণ কোচ। তাঁর লক্ষ্য একেকটা ম্যাচ ধরে এগোনো। এদিকে, যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে এটিকে মোহনবাগানের। রয় কৃষ্ণাসহ সব বিদেশি যোগ দিয়েছেন। লিস্টন কোলাসো ছাড়া সব ভারতীয় ফুটবলারও অনুশীলন করছেন। লিস্টনের নাকে অপারেশন হয়েছে। কয়েকদিন পরেই তিনি অনুশীলনে যোগ দেবেন। পরে যোগ দিলেও তাঁর খেলতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন জুয়ান ফেরান্দো।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির নায়কের সঙ্গে আরও ২ বছর চুক্তি, কিয়ানকে নিয়ে কী পরিকল্পনা ফেরান্দোর?‌

আইএসএলের ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত করেছিলেন কিয়ান নাসিরি। সেদিন থেকেই দেশের অন্যান্য ক্লাবগুলির নজর ছিল এই তরুণ স্ট্রাইকারের দিকে। আইএসএলের বেশ কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর প্রতি আগ্রহও দেখিয়েছিল। কিন্তু সেইসব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে কোনও রকম সুযোগ দিলেন না এটিকে মোহনবাগান কর্তারা। কিয়ান নাসিরির সঙ্গে আরও দুই মরশুমের জন্য চুক্তি সেরে ফেলেছেন তাঁরা। সঙ্গে কার্ল ম্যাকহিউয়েরও চুক্তি বাড়ানো হল। তবে কিয়ানের মতো দু বছর নয়, সলামনের মরশুম পর্যন্ত চুক্তি করা হল ম্যাকহিউয়ের সঙ্গে। এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে আরও দুবছর থাকার সুযোগ পেয়ে খুশি কিয়ান নাসিরি। তিনি বলেন, এটিকে মোহনবাগান দেশের অন্যতম সেরা দল। সেই দলের কোচ ও কর্তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, এটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। আশা করছি আগামী বছরগুলিতেও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে নিজের সেরাটা দিতে পারব। এখন এএফসি কাপে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি কিয়ান নাসিরির। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনেও খেলার সুযোগ মেলেনি। এএফসি কাপে সেই সুযোগ আসতে চলেছে। কারণ তাঁকে ধরেই পরিকল্পনা করছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এই ব্যাপারে কিয়ান নাসিরি বলেন, যুবভারতীতে ঘরের মাঠে সবুজমেরুণ সমর্থকদের সামনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আইএসএলের ডার্বিতে হ্যাটট্রিক আমার কাছে এখন অতীত। আইএসএলে গোল পেলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখনও গোল করতে পারিনি। যুবভারতীতে প্রিয় দর্শকদের সামনে ভাল খেলে গোল করাই লক্ষ্য থাকবে। এএফসি কাপে এশিয়া কোটার বিদেশি নিয়ে মোট ৪ বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নামা যাবে। জুয়ান ফেরান্দোর হাতে রয়েছে ৬ বিদেশি রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, হুগো বুমোস, তিরি, কার্ল ম্যাকহিউ, জনি কাউকো। এদের মধ্যে কোন ৪ জনকে বেছে নেবেন তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ফেরান্দোর কপালে। হয়তো আক্রমণভাগে বিদেশি কম রাখবেন। তাই কিয়ান নাসিরিকে নিয়েই পরিকল্পনায় ব্যস্ত। জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আমি সবসময় তরুণ ফুটবলারদের গুরুত্ব দিই। দলের ভারসাম্য রাখতে কিয়ানের মতো তরুণ প্রতিভা এইমুহূর্তে দলে দরকার। আক্রমণভাগে ওকে ধরেই পরিকল্পনা করছি।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অনুশীলনে নেমে পড়লেন জুয়ান ফেরান্দো, বাগান কোচের এবার লক্ষ্য কী?

পাখির চোখ করেছিলেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। আইএসএলে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে না পারায় সে স্বপ্ন আগেই চূরমার হয়ে গিয়েছিল। পরে আইএসএলেস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। সবুজমেরুণ শিবিরের আপাতত লক্ষ্য এএফসি কাপ। এএফসি কাপের জন্য শুক্রবার থেকে অনুশীলন শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। এদিন সকালে কলকাতা পৌঁছে বিকেলেই ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএল অভিযান শেষ করে ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল থেকে কলকাতায় এএফসি কাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। সেই মতো এদিন ভোরের বিমানে কলকাতায় চলে আসেন সবুজমেরুণ কোচ। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি উপেক্ষা করে এদিন ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। যদিও সব ফুটবলারকে এদিন অনুশীলনে পাননি জুয়ান ফেরান্দো। দেশের হয়ে বাহরিনে প্রীতি ম্যাচ খেলতে গেছেন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, প্রীতম কোটাল, অমরিন্দার সিংরা। তাঁরা এদিনের অনুশীলনে ছিলেন না। ছুটি কাটিয়ে এখনও দেশ থেকে ফেরেননি রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসরা। তাঁরাও প্রথম দিনের প্রস্তুতিতে ছিলেন না। এএফসি কাপের প্রস্তুতি কীভাবে হবে, বাকি সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে বসে সে ব্যাপারে রূপরেখা চূড়ান্ত করেছেন জুয়ান ফেরান্দো। ফুটবলারদের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করেন। তাঁদেরও নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ১২ এপ্রিল। সবুজমেরুণ প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ঠিক হবে ৫ এপ্রিল। ওই দিন মূলপর্বের জন্য প্লে অফে খেলবে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার এফসি এবং নেপালের মাচিন্দা এফসি। এই ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে এটিকে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচ খেলবে।

এপ্রিল ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হতাশা কাটিয়ে এখন এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করছেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো

বুধবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জিতেও আইএসের ফাইনালের দরজা না খোলায় হতাশ এটিকে মোহনবাগান কোচ, ফুটবলার, সমর্থকরা। ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও গোটা মরশুমের দিকে যদি তাকানো যায়, তা হলে একটা কথা মানতেই হবে, হতাশ হওয়ার মতো ফুটবল খেলেনি সবুজমেরুন ব্রিগেড। দু-একটা ছোটখাট ভুল এবং সমস্যার মাশুল দিতে হয়েছে তাদের। আইএসএলের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে হতাশা কাটিয়ে এখন এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ জিতেও আইএসএল অভিযান শেষ হলেও কোচ জুয়ান ফেরান্দো খুশি দলের খেলায়। এএফসি কাপের ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর মাথায়। ফেরান্দো বলেন, দলের খেলায় আমি খুবই খুশি। খুব কঠিন সময়ে আমাদের দলের ছেলেরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। নিভৃতবাস, কোচ ও খেলার ধরন বদল, সব কিছুর সঙ্গে ওরা মানিয়ে নিয়ে সেরাটা দিয়েছে। তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ফলাফলে খুশি নন এটিকে মোহনবাগান কোচ। তিনি বলেন, জামশেদপুর এফসি-র কাছে লিগের শেষ ম্যাচ হেরে শীর্ষ স্থানটা হারিয়েছিলাম। এ বার সেমিফাইনালেও হারলাম। এই ফলাফলে আমি একেবারেই খুশি নই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুব হতাশ। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলাম না। আমার কাছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।এই মরশুমে যতটা ভাল খেলেছে এটিকে মোহনবাগান তত ভাল ফল তারা পায়নি। তবে চোট-আঘাত, শিবিরে কোভিড-হানা, মরশুমের মাঝখানে কোচ-বদল, নতুন কোচের স্টাইল-বদল, এমন নানা পরিস্থিতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও যে সবুজমেরুন ব্রিগেড এত দূর পৌঁছতে পেরেছে, এটা কম কৃতিত্বের নয়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই দলই ফাইনালে উঠতে পারত এবং হয়তো চ্যাম্পিয়নও হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্য ও পরিস্থিতি তাদের সেই জায়গায় পৌঁছতে দেয়নি।একমাসও বাকি নেই এএফসি কাপ শুরু হতে। আইএসএলে ব্যর্থতার পর এটাই পাখির চোখ ফেরান্দোর। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ভাল প্রস্তুতি প্রয়োজন। এই ব্যাপারে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তার আগে অবশ্যই খেলোয়াড়দের যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে। ৫-৬ দিন পর থেকে প্র্যাক্টিস শুরু করব। সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা।

মার্চ ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

A‌TK Mohunbagan : এটিকে মোহনবাগানের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবলে ফিরল কলঙ্কজনক অধ্যায়

বছর দশেক আগে এএফসি কাপে নাসাফ এফসির কাছে ৯০ ব্যবধানে হেরে ভারতীয় ফুটবলকে কালিমালিপ্ত করেছিল ডেম্পো। আবার সেই কলঙ্কজনক অতীত ফিরে এলে। সৌজন্যে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে নাসাফের কাছে ৬০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হল সবুজমেরুণ শিবির। গ্রুপ লিগে বেঙ্গালুরু এফসি এবং মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারিয়ে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠার পর এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন সবুজমেরুণ সমর্থকরা। উজবেকিস্তানের নাসাফের কাছে হেরে স্বপ্ন চুরমার। লজ্জার মুখে পড়তে হল হাবাসের দলকে।আরও পড়ুনঃ বাংলার জন্য আমি অ্যাভেলেবল আছিসবুজমেরুণের এই বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে দায় এড়াতে পারেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় হাবাস। প্রথমত, ভুল দল নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, দলের বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারেননি। নাসাফের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে যে ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, তা নিতে পারেনি। তবে ধারেভারে নাসাফ যে অনেকটাই এগিয়ে ছিল, সেকথা অস্বীকার করে যাবে না। উজবেকিস্তানের সুপার লিগে খেলার মধ্যেই রয়েছে। অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগানের সমস্যা ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব। মাত্র ১৫২০ দিনের অনুশীলন করে ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ফলে অনেকটা পার্থক্য যে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।আরও পড়ুনঃ আপনার একটা ভোট না পেলেও ক্ষতি হয়ে যাবে...কেন এমন বললেন মমতা?ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল নাসাফ। ৪ মিনিটে এগিয়েও যায়। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা কর্ণার বিপদমুক্ত করতে গেলে প্রীতম কোটালের মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মনোবলে ধাক্কা খায় এটিকে মোহনবাগান। নিজেদের সামলাতে পারেননি সবুজমেরুণ ফুটবলাররা। ১৮ মিনিটে নাসাফের হয়ে ব্যবধান বাড়ান খুসায়িন। মিনিট তিনেক পর তিনিই ৩০ করেন। ৩১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন খুসায়িন। ৪০ মিনিটে বাখরমকে বক্সের মধ্যে প্রীতম কোটাল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় নাসাফ। বজোরভের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সেই বজোরভই ৫০ করেন।আরও পড়ুনঃ কোভিডে মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্যনাসাফের বিরুদ্ধে প্রথমে ৩৪৩ ছকে শুরু করেছিলেন হাবাস। বিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে না পেরে ৪৩৩ ছকে চলে যান। নাসাফকে মাঝমাঠে আটকতে যার ওপর বেশি ভরসা করেছিলেন সেই জনি কাউকো প্রথমার্ধে একেবারে নিস্প্রভ ছিলেন। ডিফেন্সে তিরি আর সন্দেশ ঝিংঘানের মতো ফুটবলার না থাকাটাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। তার ওপর শেখ সাহিলের মতো তরুণ ফুটবলারকে এই ধরণের ম্যাচে নামিয়ে দিয়ে ঠিক করেননি হাবাস। প্রথম একাদশ নির্বাচনে একাধিক ভুল। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের প্রথমার্ধে দিশাহীন মনে হচ্ছিল। মাঝমাঠে এটিকে মোহনবাগানকে দাঁড়াতেই দেননি। তাছাড়া শারীরিক দিক দিয়ে নাসাফের ফুটবলারদের থেকে সবুজমেরুণ ফুটবলাররা অনেক পিছিয়ে।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথাদ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান অনেকটা গুছিয়ে নেয়। মাঝমাঠে খেলা ধরতে পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রথমার্ধেই ৫ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তেমন ঘামায়নি নাসফ। ম্যাচ অনেক হালকাভাবে নেয়। তার মধ্যেই ৬০ মিনিটে বজোরভের একটা শট পোস্টে লাগে। ৭১ মিনিটে ৬০ করেন নারজুয়েলভ। শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল নাসাফ। কাজে লাগাতে পারেনি। জনি কাউকো ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচের শেষের দিকে তাঁকে তুলে নেন হাবাস।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ATK Mohun Bagan : ৫ বছর পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে এটিকে মোহনবাগান

ড্র করলেই এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ড্র করেই পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ফল ১১। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে হাবাসের দল। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে বাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন ডেভিড উইলিয়ামস। গোল করে তিনি দলের মান বাঁচালেন। ৭ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। ২০১৬ সালের পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল সবুজমেরুণ।পরের রাউন্ডে যেতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না বসুন্ধরা কিংসের কাছে। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণে চাপও তৈরি করছিল। অন্যদিকে, হাবাসের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। বিক্ষিপ্ত লগ্নে আক্রমণে উঠে আসছিলেন রয় কৃষ্ণারা। এভাবেই প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ১৮ মিনিটে এগিয়ে যেত পারত এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণা বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপারকে টেনে এসে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসোকে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন লিস্টন কোলাসো। আরও পড়ুনঃ বেড পেতে গেলে আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে!২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। এটিকে মোহনবাগানের পেনান্টি বক্সের ডানদিকে বল পান ব্রাজিয়ান ফুটবলার ফার্নান্ডেজ। ছোট্ট জায়গার মধ্যে সবুজমেরুণের এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ডানপায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন তিনি। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠে এদিন হুগো বুমাসের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। দুটি হলুদ কার্ড দেখায় তিনি বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি। সেই সুযোগে মাঝমাঠে রাজত্ব করে গেলেন বসু্ন্ধরার ফুটবলাররা। ডেভিড উইলিয়ামসকে বারবার নীচে নেমে আসতে হচ্ছিল। প্রথমার্ধে লেনি রডরিগেজ একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন। ৪০ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণার শট বসুন্ধরা কিংসের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা বিপজ্জনক ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান।আরও পড়ুনঃ কলকাতায় টিকাকরণের নিয়মে বড়সড় বদলগ্রুপ লিগের আগের ম্যাচে মাজিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরার বিরুদ্ধেও সেই একই ছবি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে নেয়ে হাবাসের ফুটবলাররা। তবে সবুজমেরুণ ব্রিগেডের কাজ সহজ করে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের ১ জনের কম থাকাটা। বিপক্ষের ১ জন কম থাকার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে এটিকে মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে সমতাও ফেরায় সবুজমেরুণ। লিস্টন কোলাসোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মাঝখান থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন ডেভিড উইলিয়ামস। জয়ের জন্য শেষ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বসুন্ধরা কিংস। ৮৪ মিনিটে রবসনের শট পোস্টের বাইরে লেগে বেরিয়ে যায়। অল আউট আক্রমণে গেলেও আর গোল তুলে নিতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস।

আগস্ট ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohunbagan : বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কী বলছেন হাবাস?‌

গ্রুপ লিগে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে এএফসি কাপের পরের পর্বে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ড্র করলেই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত। তবে ড্রয়ের কথা ভাবছে না। জয়ের দিকেই তাকিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ফুটবলারদের জয়ের জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন সবুজমেরুণ কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস।আরও পড়ুনঃ অভিষেক বচ্চন হাসপাতালে, চিন্তায় পরিবার থেকে অনুরাগীরাটানা দুটি ম্যাচে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংস মাজিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারালেও বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে নক আউটে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে মাজিয়া। বসুন্ধরা পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের পরেই, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ফলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সবুজমেরুণ পৌঁছে যাবে এএফসি কাপের নক আউটে। অন্যদিকে, পরের রাউন্ডে যেতে গেলে জিততেই হবে বসুন্ধরা কিংসকে।আরও পড়ুনঃ অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কিছুটা হলেও সমস্যায় এটিকে মোহনবাগান। হলুদ কার্ডের জন্য হাবাস গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে পাবেন না মিডফিল্ডার হুগো বুমাসকে। নিঃসন্দেহে বাগান শিবিরের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা। কারণ, প্রথম দুটি ম্যাচেই দলের জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন। তবে হাবাস তাঁর না থাকাকে বড় করে দেখছেন না। তিনি বসুন্ধরা বধের পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবপরপর দুটি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে সবুজমেরুণ শিবিরের। তবে নিজেদের ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না হাবাস। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, নিজেদের ফেবারিট ভেবে মাঠে নামতে চাই না। ফুটবল খেলাটা খুবই কঠিন। অনেক সময় অঙ্ক মেলে না। বসুন্ধরা কিংসের খেলা দেখেছি। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল। ওদের সমীহ করতেই হবে। এই ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে নকআউটে যাওয়া। লক্ষ্য থাকবে গোল না খাওয়া। তার মানে এই নয় আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলব। খেলায় ভারসাম্য রাখতে হবে। জেতার জন্য ফুটবলারদের সেরাটা দিতে হবে। আরও পড়ুনঃ পুজোর পর কি খুলবে স্কুল? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরএদিকে, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজো। হাবাসের দলকে ফেবারিট হিসেবে মেনে নিলেও, বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে নারাজ। তিনি বলেন, এটিকে মোহনবাগান নিঃসন্দেহে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে ওদের হারিয়ে নকআউটে যাওয়া সম্ভব। ভারতীয় ক্লাবে কোচিংয়ের সূত্রে ওদেশের ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় আছে। এটিকে মোহনবাগানের শক্তি ও ওদের কোচ হাবাসের কোচিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আছে। সেটা মাথায় রেখেই জেতার জন্য মরিয়া হবে আমার ফুটবলাররা।

আগস্ট ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Roy Krishna : বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নামার আগে হুঙ্কার রয় কৃষ্ণার

নতুন মরশুম। দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেভাবে প্রস্তুতির সুযোগও পায়নি। তা সত্ত্বেও এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দাপট দেখাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২ গোলে হারানোর পর মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধেও দুরন্ত জয়। পরের পর্বে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে দরকার শুধু ড্র।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি জালে লিঙ্কম্যানটানা দুটি ম্যাচে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংস মাজিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারালেও বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে নক আউটে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে মাজিয়া। বসুন্ধরা পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের পরেই, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ফলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সবুজমেরুণ পৌঁছে যাবে এএফসি কাপের নক আউটে।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরতবে ড্র নয়, শেষ ম্যাচে জয়ের দিকেই তাকিয়ে বাগান শিবির। হাবাস ব্রিগেড যে জয়ের জন্যই ঝাঁপাবে, দলের সেরা ফুটবলার রয় কৃষ্ণার কথাতেই পরিস্কার। তিনি টুইটারে লিখেছেন, দুটি ম্যাচ হয়ে গেল, আর একটা বাকি। যেভাবে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছেন আমাদের দলের সকলে তাতে সত্যিই গর্বিত। এটা মোটেই সহজ ম্যাচ ছিল না। তবে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। এবার পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।আরও পড়ুনঃ কলকাতার পাশেই ছুটি কাটানোর দারুন সুযোগ, সুন্দরবনের পথে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিরয় কৃষ্ণা আরও বলেন, মেজিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও কখনও চাপে ছিলাম না। কারণ জানি, আমাদের দলে কোয়ালিটি ফুটবলার আছে। জানতাম, আমরা গোলের সুযোগ পাব। প্রথমার্ধে গোলশোধে তাড়াহুড়ো ভাব দেখানোয় সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ধৈর্য ধরায় গোল ও জয় এসেছে। এটাই আমাদের দলের আসল চরিত্র।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারীফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। তিনি বলেন, মাজিয়া শুরুতে গোল করায় আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। গরম, আর্দ্রতা, শক্ত মাঠের জন্য ফুটবলারদের ঘুরিয়েফিরিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। হুগো বুমাসকে এই জন্য পরে নামিয়েছিলাম। ফুটবলাররা দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে সেরাটা দেওয়ার জন্য গর্বিত। আমরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছি। পরের ম্যাচে ড্র করলেই নকআউটে পৌঁছে যাব। কিন্তু ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামব না। গ্রুপের শেষ ম্যাচও জেতার জন্যই ঝাঁপাবে আমার ফুটবলাররা।

আগস্ট ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohonbagan : মাজিয়াকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার করল এটিকে মোহনবাগান

জিতলেই এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়ে যেত এটিকে মোহনবাগানের। অন্যদিকে, পরের রাউন্ডে যাওয়ায় সম্ভবনা টিকিয়ে রাখতে গেলে জিততেই হত মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে। এটিকে মোহনবাগানের কাছে হেরে গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিল মালদ্বীপের এই দলটি। পিছিয়ে পড়েও ৩১ ব্যবধানে দারুণ জয় তুলে নিল সবুজমেরুণ। পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের।আরও পড়ুনঃ তালিবান জমানায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ডুবতে হয়েছিল মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেই ভুল করেনি মালদ্বীপের দলটি। শুরু থেকেই সতর্ক। ম্যাচের সূচনা থেকেই অবশ্য সবুজমেরুণের আক্রমণের চাপ অনেক বেশি ছিল। তবে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল তুলে নেয় মাজিয়া। খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় মালদ্বীপের দলটি। ২৫ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ডানদিক থেকে বক্সের মধ্যে মাইনাস করেন। আইজল ইব্রাহিম হালকা পুশে বল জালে পাঠান। শুভাশিস জায়গায় ছিলেন না। দুজন ডিফেন্ডার একসঙ্গে ট্যাকেলে যাওয়ায় আইজল ইব্রাহিম ফাঁকা হয়ে যান। ৩২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। লিস্টন কোলাসোর দুরন্ত ফ্রিকিক মাজিয়া গোলকিপার কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান। হুগো বুমোকে প্রথমার্ধে মাঠে নামাননি হাবাস। তাঁর অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। রয় কৃষ্ণা সেভাবে বল পাচ্ছিলেন না। ডেভিড উইলিয়ামসও ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। ফলে এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগ প্রথমার্ধে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। সবুজমেরুনে মাঝমাঠে ফাঁক তৈরি হয়। প্রথমার্ধে সেটাই কাজে লাগায় মাজিয়া।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারীম্যাচের বিরতিতে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের পেপ টক বদলে দেয় এটিকে মোহনবাগানকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল তুলে নেয় সবুজমেরুন। ৪৯ মিনিটে আশুতোষ মেহতার সেন্টার থেকে হেডে সমতা ফেরান লিস্টন কোলাসো। ৬৩ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের পরিবর্তে হুগো বুমোকে মাঠে নামান হাবাস। তিনি মাঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৬৫ মিনিটে বুমোর বাড়ান বল লিস্টন গোল লক্ষ্য করে শট নেন। গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে এলে সেই বল ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান রয় কৃষ্ণা। ৭৮ মিনিটে সেই হুগো বুমোর পাশ থেকে ৩১ করেন মনবীর সিং। এটিকে মোহনবাগানের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ড্র করলেই পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান।

আগস্ট ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ATK Mohunbagan : আজ মাজিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেই এএফসি কাপের পরের পর্ব নিশ্চিত বাগানের

মরশুমের প্রথম ম্যাচে এএফসি কাপে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে আধিপত্য নিয়ে জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। আজ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে আন্তেনীয় লোপেজ হাবাসের দল। মাজিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে সবুজমেরুণ শিবিরের। আজই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে চান রয় কৃষ্ণারা। তবে আজ সতর্কভাবে মাঠে নামতে চান হাবস।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশমাজিয়ার স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জয় দলের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কাছে গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচ হেরে বেশ চাপে রয়েছে মাজিয়া। পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে গেলে আজ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে মালদ্বীপের এই দলটিকে।আরও পড়ুনঃ শরিকী বিবাদে কিংবদন্তী গোষ্ঠ পালও আজ দুভাগবেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে যথেষ্ট ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিয়েছিল সবুজমেরুণ শিবির। মাজিয়ার বিরুদ্ধে সেটাই ধরে রাখতে চান এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস। তবে বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মাজিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামর আগে হাবাস বলেন, মাজিয়া নতুন প্রতিপক্ষ। আগের ম্যাচে কী হয়েছে তা ভুলে আমাদের মাঠে নামতে হবে। প্রতিপক্ষকে সমীহ করতেই হবে। নিজেদের খেলায় আরও উন্নতি করতে হবে। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দল জিতেছে। প্রথম ম্যাচ জিতলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। একটা বাজে দিন পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।সবুজমেরুণ কোচ আরও বলেন, বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাজিয়ার খেলা দেখেছি। একইরকম স্ট্র্যাটেজিতে আমাদের বিরুদ্ধে নাও খেলতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে কী রকম স্ট্র্যাটেজিতে খেলে, সেটা দেখেই আমাদের খেলতে হবে। ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে, এটা মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে।আরও পড়ুনঃ মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যা মিটল না ইস্টবেঙ্গলেরঅন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে হারের পর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মাজিয়া। কোচ রিস্টো ভিদাকোভিচের বলেন, বসুন্ধরা ম্যাচে আমার ফুটবলাররা নার্ভাস ছিল। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরতে পারিনি। শুরুতে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচেও ফিরতে পারিনি। ফুটবলারদের বলেছি আগের ম্যাচের কথা ভুলে গিয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফোকাস করতে। অতীতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পয়েন্ট তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাজিয়া স্পোর্টসের।

আগস্ট ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohunbagan : জয় দিয়ে এএফসি কাপ অভিযান শুরু করল এটিকে মোহনবাগান

জাতীয় প্রতিযোগিতায় বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগানের পরিসংখ্যান বেশ চমকপ্রদ। গত মরশুমে আইএসএলর দুটি ম্যাচেই জিতেছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। এই মরশুমেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত। জাতীয় মঞ্চ ছেড়ে সাফল্য এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এএফসি কাপের ডি গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই জিতল এটিকে মোহনবাগান। ২০ ব্যবধানে হারাল বেঙ্গালুরু এফসিকে। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও সুরজিৎ বোস।আরও পড়ুনঃ বাংলার নবাবের ব্যর্থতা ঢেকে লর্ডস অভিযানে নায়ক হায়দরাবাদি সিরাজম্যাচের শুরুর দিকে একটু জড়তা ছিল এটিকে মোহনবাগানের খেলায়। বোঝাপড়া অভাব বেশ স্পষ্ট। এটাই স্বাভাবিক। গত মরশুমের বেশ কয়েকজন ফুটবলার এবছর নেই। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে হুগো বুমোর এখনও সেভাবে বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি। তার ওপর মরশুমের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচ যত গড়িয়েছে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন আন্তেনীয় লোপেজ হাবাসের ফুটবলাররা।আরও পড়ুনঃ লর্ডসে জেতার পর সতীর্থদের সম্পর্কে কী বললেন কোহলি?অন্যদিকে, প্লে অফ ম্যাচ খেলে মূলপর্বে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরু এফসি। প্লে অফ ম্যাচে জয়েস রানের গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসকে। মোহনবাগানের তুলনায় সুনীল ছেত্রীদের বোঝাপড়া অনেক বেশি ছিল। বেঙ্গালুরু এফসি মাঝে মাঝেই বিপজ্জনকভাবে আক্রমণে উঠে আসছিল। তবে ম্যাকাউ, প্রীতম কোটালরা সজাগ থাকায় সুনীল ছেত্রিরা সুবিধা করতে পারেননি।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপসবুজমেরুণ জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই যথেষ্ট নজরকাড়া ফুটবল খেললেন হুগো বুমো। শুরু থেকেই দাপট ছিল। ২১ মিনিটে বক্সের ডানদিক থেকে বাঁদিকে ঢুকে গিয়ে বাঁপায়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন হুগো বুমো। তাঁর শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান বেঙ্গালুরু এফসি গোলকিপার গুরপ্রীত সিং। হুগো বুমো ও রয় কৃষ্ণা মিলে বেঙ্গালুরু রক্ষণে যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছিলেন। তার ফলও মেলে প্রথমার্ধে।আরও পড়ুনঃ মহিলাদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টেরম্যাচের ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। হুগো বুমোর কর্ণারে লাফিয়ে উঠে হেড করেন সুরজিৎ বোস। গোলমুখী সেই বলে বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীতের সামনে থেকে ফ্লিক করে জালে পাঠান রয় কৃষ্ণা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ৪৬ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে বক্সের ডানদিক থেকে বাঁপায়ের দুর্দান্ত শটে ২০ করেন সুরজিৎ।1️⃣st #AFCCup outing for #ATKMohunBagan 💪2️⃣ Goals on the scoreboard! 🤩3️⃣ Points in the bag! 🙌The #Mariners start the tournament with a convincing display!💚❤️📸 - @AFCCupATKMB 2-0 BFC#ATKMBvBFC #MarinersInAsia #ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #IndianFootball pic.twitter.com/dtH7wI5ISw ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) August 18, 2021৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। ক্লেইটন সিলভার ডানপায়ের জোরালো শট দারুণ দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন সবুজমেরুণ গোলকিপার অমরিন্দার সিং। বেঙ্গালুরুর সুনীল ছেত্রি এদিন একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন। ৬৮ মিনিটে তাঁকে তুলে লিওন অগাস্টিনকে নামান বেঙ্গালুরু কোচ। অন্যদিকে হুগো বুমো ক্লান্ত হয়ে পড়ায় শেষ দিকে তাঁকে তুলে নিয়ে ম্যাচের গতি বাড়ানোর জন্য বিদ্যানন্দ সিংকে নামান হাবাস। ম্যাচের শেষ দিকে চাপ বাড়ালেও গোল পায়নি বেঙ্গালুরু।

আগস্ট ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

M‌ohun Bagan : এএফসি কাপে প্রথম পর্বের বাধা টপকাতে পারবেন?‌ কী বলছেন হাবাস

কলকাতায় শুরু হয়ে গেছে এটিকে মোহনবাগনের এএফসি কাপের প্রস্তুতি শিবির। প্রতিযোগিতায় খেলতে ১৪ আগস্ট মালদ্বীপ রওনা হবে সবুজমেরুণ শিবির। নতুনভাবে দল সাজাতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাসকে। তবুও প্রথম পর্বের বাধা টপকানোর ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।আরও পড়ুনঃ অশান্ত আফগানিস্তানের জন্য শান্তির আবেদন ক্রিকেটার রশিদ খানেরপ্রস্তুতি নেওয়ার ফাঁকেই হাবাস বলেন, দলে এবছর বেশ কয়েকজন নতুন ফুটবলার এসেছে। আবার নতুন করে দল সাজাতে হচ্ছে। অতিমারীর জন্য সব বিদেশিকে প্রথম দিন থেকে অনুশীলনে পাওয়া যায়নি। জনি কাউকো, হুগো বোমাসরা এলেও ডেভিড উইলিয়ামস এখনও এসে পৌঁছয়নি। ও অনুশীলনে যোগ দিলে বুঝতে পারব কেমন অবস্থায় রয়েছে। তবে আশা করছি দল প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাবে। জনি কাউকো ও হুগো বুমাস যে দলের শক্তি অনেটাই বাড়িয়েছে, স্বীকার করে নিয়েছেন হাবাস। এই দুই বিদেশি বড় ভুমিকা নেবে বলে তিনি মনে করছেন। সবুজমেরুণ কোচ বলেন, দুজনেই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। দলে বড় ভুমিকা নেবে। আগের মরশুমে বোমাস মুম্বই সিটি এফসির হয়ে খুব ভাল খেলেছিল। কাউকো ইউরো কাপ খেলে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছে। ওরা যোগদান করায় দলে বাড়তি ভারসাম্য আসবে।আরও পড়ুনঃ প্যারিসে পৌঁছে অন্যরকম অভ্যর্থনা পেলেন লিওনেল মেসিগতমরশুমে এটিকে মোহনবাগানের ঘরে কোনও ট্রফি আসেনি। এই মরশুমে ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া হাবাস। যদিও অন্যতম ফেবারিট হিসেবে তিনি মুম্বই সিটি এফসিকে মনে করছেন। তিনি বলেন, মুম্বই খেতাবের অন্যতম দাবিদার। তবে এবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। গতবার ভাল খেলেও আমরা কোনও ট্রফি জিততে পারিনি। এই মরশুমে গতবছরের ভুল করা চলবে না। বেঙ্গালুরু এফসি যদি প্লে অফ ম্যাচ জেতে, তাহলে এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। ম্যাচ ১৮ আগস্ট।

আগস্ট ১১, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal