• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

3rd Wave

দেশ

Omicron: আগামী বছরই আছড়ে পড়বে ওমিক্রনের ঢেউ! পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের

কয়েক মাস আগেই গবেষক-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, দেশে করোনার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। বছর শেষে সংক্রমণের হার কম থাকলেও, ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে ওমিক্রনই, এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়বে।বিজ্ঞানী-গবেষকদের মতে, আমেরিকা ও ব্রিটেনে সংক্রমণ, মৃত্যুহার ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তা যদি মিলে যায়, তবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতে ওমিক্রনের ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। মহামারির সময়কাল গণনার জন্য তৈরি সূত্র মডেল অনুসারেই এই পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই মডেলের আবিস্কারকর্তা মণীন্দ্র আগরওয়াল ও এম বিদ্যাসাগর জানান, আগামী বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার নতুন একটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারবে না, সংক্রমণের হারও সামান্যই হবে।সূত্র মডেলের আবিস্কারকর্তা দুই বিজ্ঞানী বলেন, খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে, ফেব্রুয়রি মাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১.৫ লাখ থেকে ১.৮ লাখ হতে পারে। তাও এটা তখনই সম্ভব, যদি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পূর্ণরূপে টিকা বা পূর্ব সংক্রমণ থেকে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে ফাঁকি দেয়।যে হারে টিকাপ্রাপ্ত মানুষেরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা টিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কতটা ফাঁকি দিতে সক্ষম এই ভ্যারিয়েন্ট।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
দেশ

Corona Update: দুয়ারে তৃতীয় ঢেউ? ফের বাড়ছে সংক্রমণ, সতর্ক করল কেন্দ্র

মহারাষ্ট্র নয়, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে কেরলে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কেরলের।গত এক-দেড় মাসে কোনও জেলার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাই ১০০ পেরোয়নি। কিন্তু আতঙ্ক বাড়িয়ে ফের একবার কলকাতার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সেঞ্চুরি পার করল। উত্তর ২৪ পরগনার দৈনিক সংক্রমণও ১০০ ছুঁইছুঁই। এই দুই জেলাকে পাল্লা দেওয়ার ইঙ্গিত দেখাচ্ছে দার্জিলিঙের আক্রান্তের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবারের কোভিড বুলেটিনে প্রকাশ পেয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭১৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এই একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭২৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৯ হাজার ১৬৭। সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে ৯৮.২২ শতাংশে। শেষ একদিনে নতুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৯৮। পজিটিভিটি রেট কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১.৭৩ শতাংশ।আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বাচিকশিল্পী গৌরী ঘোষঅন্যদিকে, রাজেশ ভূষণ আজ বলেন, কেরল এমন একটি রাজ্য যেখানে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ লাখ। এছাড়া দেশের অন্যান্য ৪ রাজ্যে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্য়া ১০ হাজার থেকে ১ লাখ। তবে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৫১ শতাংশ কেরলের।স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, কেরলে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছে তাদের উপরে নজরদারি বাড়াতে হবে কারণ কেরলের ৮০ শতাংশেরও বেশি করোনা রোগী রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। দেশের ২৭৯ জেলায় জুনের প্রথম সপ্তাহে ১০০ বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮,০০০ জন। এর অর্ধেক কেরলের হলেও অন্যান্য রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। কেরলের পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের ১৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রের।

আগস্ট ২৭, ২০২১
কলকাতা

Kalighat Temple: কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে লাগু নতুন নিয়ম

এবার থেকে জোড়া করোনা টিকা নিলেই প্রবেশ করা যাবে কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালীঘাট টেম্পল কমিটি। করোনা সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউ আগামী অক্টোবর মাসে চূড়ান্ত আকার নিতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমন পূর্বাভাসই দেওয়ার পরেই, মন্দিরের সেবায়েতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মর্মে সোমবার রাতে বৈঠকে বসে তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুর জেলা বিচারক চৈতালি দাস চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ তথা টেম্পল কমিটির সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলিপুর জেলা বিচারক মন্দির কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যদের কাছে জানতে চান, সরকারি কোভিডবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা। টেম্পল কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, কোভিড সংক্রমণ রুখতে গত এক বছরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের নিজস্ব তহবিল থেকে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে মন্দিরে আসা ভক্তকুলের চাপে বহু ক্ষেত্রেই সেইসব জিনিসের ক্ষতি হয়েছে।আরও পড়ুনঃ পূর্ণদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে শুভেন্দুপ্রসঙ্গত, কালীঘাট মন্দির পরিচালনার প্রশাসনিক দায়িত্ব আলিপুর জেলা বিচারকের হাতে। তাই তিনি এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যেই ২২ জুন খুলে দেওয়া হয়েছিল কালীঘাট মন্দিরের দরজা। ২১ জুন কালীঘাট টেম্পল কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়, সকাল ছটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দির। পরে বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত এখনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু, তখনও মন্দিরের গর্ভগৃহে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল কমিটি। সংক্রমণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে মন্দিরের প্রশাসনিক তথা পুজো সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের জোড়া টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা জোড়া টিকা নেবেন, শুধুমাত্র তাঁরাই কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন। সরকারি কোভিডবিধি যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রেখে চলতে হবে।

আগস্ট ২৪, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: পুজোর পর কি খুলবে স্কুল? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

পুজোর পরই খুলবে স্কুল। তবে যদি কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে তা নিয়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আদিবাসী উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাইবাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি করেছিলেন। সোমবার ছিল সেই পর্ষদের প্রথম বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫০০ সাঁওতালি স্কুলে অলচিকি হরফে পড়ানো হবে। ২০০ টি রাজবংশী স্কুল, ২টি কামতাপুরি স্কুলও হচ্ছে। এছাড়াও কুর্মি, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি সমস্ত ভাষায় নতুন নতুন স্কুল আগামী দিন সিলেবাস তৈরি হওয়ার পর পড়ানো হবে। এটা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা ছিল।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবএরপরই স্কুল খোলা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে তা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয়। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন বাংলার অবস্থা ঠিকই আছে। ১ শতাংশের আশেপাশে সংক্রমণ। তবে আমরা চাই সকলে ভাল থাকুন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কেরলে যে ভাবে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে, জানি না কাল কী হবে। আজ বলতে পারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।চলতি মাসের শুরুতেই করোনা মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রোডম্যাপ তৈরি নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুজোর পরই রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তবে পুজোর ছুটির পরই একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলি খোলা হতে পারে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে ভোট, অনাহারে মালদার ৫ হাজার জলবন্দি মানুষ যদিও সোমবার সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে পিএমওতে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের ক্ষেত্রে যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেরল, মহারাষ্ট্রের ছবিটা নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে আবার উৎসবের মরশুম। স্বভাবতই বহু মানুষের জমায়েত নতুন করে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় আদৌ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর কি না তা তো সময়ই বলবে। আর পরিস্থিতির উপরই নির্ভর করে রাজ্যে স্কুল খোলা হবে এদিন আরও একবার জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগস্ট ২৩, ২০২১
দেশ

Corona 3rd wave: অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!

উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে আনল এনআইডিএম। অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। এই বার প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানাল এ কথা। আরও পড়ুনঃ বিনিসুতোয়-এর জার্নি শেয়ার করলেন অর্পণারিপোর্টে বলা হল, দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে আর ভ্যালু ১-এর উপর উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এক জন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন, তা বোঝানো হয় এই আর ভ্যালু দিয়ে।কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আরও সতর্ক হয়ে আসন্ন ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হয়, তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রমিত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই দেশে। এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন, পুলিশের হাতে তুলে দিল দিনমজুর যুবকএই রিপোর্ট সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে। কারণ, অক্টোবর থেকেই বাংলায় পুজোর মরশুম হচ্ছে।তার মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং তা শিখর ছোঁয়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আগস্ট ২৩, ২০২১
দেশ

3rd Wave warning: আগামী ১২৫ দিনের জন্য সতর্কতা জারি কেন্দ্রের

করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। আগামী ১২৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে সতর্কবার্তা জারি করল কেন্দ্র।কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এখনও ভারতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। সেই কারণেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আগামী ১২৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।আরও পড়ুনঃ সব ধরণের ফরম্যাটেই খেলতে চান ভুবনেশ্বর কুমারতিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি এখনও দেশে আসেনি। এখনও নানা জায়গায় সংক্রমণ নজরে পড়ছে। কিন্তু সেই সংক্রমণ আমাদের আটকাতে হবে। সেই কারণেই নিরাপদে থাকা বিশেষ জরুরি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দেশের সামনে আগামী ১২৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক দেশের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের প্রধানমন্ত্রীও তা নিয়ে সতর্ক করেছেন। অন্যদেশের পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী একাধিক দেশ, যেমন মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও বড় আকার ধারণ করেছে। এমনকী, মাস্ক ব্যবহারে উদাসিনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। লকডাউনের পরবর্তীতে দেশে মাস্ক ব্যবহার না করার প্রবণতাও ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জুলাই ১৬, ২০২১
দেশ

Modi: করোনাবিধি নিয়ে দেশবাসীর উদাসিনতায় উদ্বেগ প্রকাশ মোদির

দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা একটু স্থিমিত হয়ে আসতেই মানুষ অতি উৎসাহে করোনাবিধি উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়েছেন বাইরে। হইহই করে চলছে পার্টি, খাওয়াদাওয়া, বাজার করা ও ঘুরে বেড়ানো। যা দেখে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি শৈলশহরে পর্যটকদের করোনাবিধি উপেক্ষা করে মজা করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ভিডিওতে। তারমধ্যেই আইএমএ-র সতর্কবার্তাও এসে গিয়েছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এরপরই উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এদিন মোদি। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগও প্রকাশ করেন। আরও পড়ুনঃ দুধের স্বাদ ঘোলে মিটল দীপক খাবরার, প্রথম ভারতীয় হিসেবে যাচ্ছেন অলিম্পিকেতিনি বলেন, কোভিডের জেরে পর্যটন এবং ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দুঃখের সঙ্গে এটাও জানাতে হচ্ছে যে ভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ শৈলশহরে যাচ্ছেন, বাজারে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেটা ঠিক হচ্ছে না।মঙ্গলবারই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যটকরা যাতে কোভিডবিধি মেনে চলেন, জমায়েত না করেন সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ এ মাসেইভাইরাস নিজে থেকে যায়-আসে না। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে মানুষই এই ভাইরাস বয়ে আনছে। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয় বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বিশেষজ্ঞরা বার বারই সতর্ক করছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, জমায়েত না করতে। ভিড় রুখতে তাই দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।

জুলাই ১৩, ২০২১
দেশ

Corona 3rd Wave: অনিবার্য তৃতীয় ঢেউ, সতর্ক করল আইএমএ

অতিমারির তৃতীয় ঢেউ কেউ আটকাতে পারবে না। তা অনিবার্য। এমনই আশঙ্কার বাণী শোনাল আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে আবেদন করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রশাসন এবং জনসাধারণের তরফে যে অসতর্কতার ছবি উঠে আসছে, তা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন।আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগে না খেললে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকেসোমবার একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে আইএমএ জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি এবং অতিমারির ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। তা কেউ আটকাতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন বহু ছবি উঠে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কোভিডবিধি না মেনেই রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সে ব্যাপারে কোনওরকম সরকারি পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।আইএমএ-র তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলা হয়, ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ সবই জরুরি। কিন্তু এ সবের জন্য আর কয়েকটি মাস অপেক্ষা করাই যায়। টিকাকরণ ছাড়াই জনসমাবেশে অনুমতি দেওয়া হলে তা তৃতীয় ঢেউকে নিশ্চিতভাবে ত্বরাণ্বিত করবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই তা আছড়ে পড়বে। এই সময়ে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।আরও পড়ুনঃ হড়পা বানে ভেসে গেল গাড়ি, দোকান আইএমএ-র এই সতর্কবার্তার পর সাধারণের মনে এমনিতেই আরও আতঙ্কের সৃষ্টি হবে। কারণ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে টিকাকরণের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। তারওপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাবিধিকে ডোন্ট কেয়ার করে মানুষের মধ্যে বেরিয়ে পড়ার ঝোকও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপগ্রহণ না হলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা ফিরে আসা অপেক্ষামাত্র হয়ে দাঁড়াবে।

জুলাই ১২, ২০২১
স্বাস্থ্য

COVID: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতা জারি, এবার নিস্তার নেই শিশুদেরও , বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রায় অন্তিম লগ্নে ভারত পৌছে গেছে। সরকারি হিসাবে এখনও অবধি প্রথম ঢেউ ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে ৩,৮৮,১৩৫ জনের কোভিড মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত এই অতিমারী তে। চিকিৎসা মহলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি উদাসীনতা থাকায় এর ধাক্কায় বেসামাল সারা দেশ। অক্সিজেন, সেফ হোম, ভেন্টিলেটর, পর্যাপ্ত বেডসহ সব কিছুতেই যেন একটা নেই নেই রব উঠেছিল।দ্বিতীয় ঢেউয়ের অতিমারি পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, সমাজসেবী সংগঠন, চিকিৎসক মহলের তরফ থেকে এখনই তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কনিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম বন্দর পরিচালিত গোল্ডেন জুবিলি হাসপাতাল কতৃপক্ষ তৃতীয় ঢেউয়ের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু সতর্ক বার্তা প্রচার করছেন। বার্তায় প্রধানত শিশুদের নিয়েই কিছু নির্দেশিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার এক সম্ভবনা কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যারফলে মানুষের মধ্যে নয়া আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই আতঙ্ক থেকেই এই নির্দেশিকা জারি বলে মনে করা হচ্ছে।কি করবেন কি করবেন না (২০ বছর অবধি)১। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাচ্ছাদের বাইরে বেরতে দেবেন না।২। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।৩। কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে বাচ্ছাদের নিয়ে যাবেন না।৪। দিনে দুবার পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে স্নান করান।৫। নিয়মিত ব্যবধানে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ান বা স্যানিটাইজ করান। ৬। অপরিস্কার হাত চোখে ও মুখে দিতে দেবেন না।৭। বয়স্করাও বাইরে থেকে ফিরে নিজেদের স্যানিটাইজ না করে বাচ্ছাদের কাছে আসবেন না।৮। ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, হেডফোন ও খেলার সরঞ্জাম নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন।৯। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হালকা রোদে বাচ্ছাদের খেলতে নিয়ে যান। ১০। স্নানঘর ও বাড়ি প্রতিদিন স্যানিটাইজ করুন।১১। নির্দিষ্ট দিন অন্তর মাথার বালিস ও তার কভার কাচতে দিন।১২। গরম জলে গার্গেল করান।১৩। সকলের দাঁত মাজার ব্রাশ পৃথক রাখুন।১৪। একান্তই বাইরে বেরলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন, মাস্ক পড়ুন, হাত স্যানিটাইজ করুন।১৫। বাচ্ছাদের সাথে করমর্দণ, চুম্বন ও আলিঙ্গন করবেন না।বাচ্ছাদের খাওয়া দাওয়া সংক্রান্ত কিছু উপদেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফেঃ১। বেশী মাত্রায় প্রোটিন ডায়েট দেওয়া উচিত ক। দিনে দূটি ডিম। খ। সিদ্ধ ডাল যেমন- ছোলা, সবুজ ছোলা, রাজমা, মটরশুঁটি গ। ১০০ মিলি দুধ প্রত্যেকদিন। ২। টাটকা সব্জি, আমলকী, লেবু, মরসুমি সব্জি, শুকনো ফল (আমন্ড, কাজু, পেস্তা, আখরোট, কিসমিস, খেজুর)। এগুলি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ৩। বাড়ির রান্না খাবারই খান।৪। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন, জাঙ্ক ফুড খাবেন না।লক্ষণ দেখে প্রাথমিক স্তরেই রোগের পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসা করান। লক্ষণগুলি হলঃ১। জ্বর ও মাথা যন্ত্রণা।২। গায়ে, হাতে ও পায়ে ব্যাথা।৩। গলায় ব্যাথা।৪। শুকনো কাশি৫। ক্ষুদা-মন্দ, দুর্বলতা।৬। পাতলা পায়খানা।৭। ঘাড়ে ও চোখে যন্ত্রণা।৮। আরও কিছু শারীরিক অস্বস্থি।এই ধরনের কিছু অসুবিধা বুঝতে পারলেই চিকিৎসকের কাছে যান, পরীক্ষা করান, রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা শুরু করে দিন। প্রাথমিক স্তরে রোগ নির্ণয় হলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভবনা অনেক বেশী।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ২২, ২০২১

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal