• ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Police

কলকাতা

Kunal Ghosh: কুণাল-সহ ৬ জনকে তলব ত্রিপুরা পুলিশের

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষের নামে এফআইআর। খোয়াই থানায় অবস্থানের ঘটনায় কুণাল ঘোষকে তলব করল ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে মূলত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। Received notice from Khoai PS, Tripura.All the allegations are baseless. They r trying to harass us. The suo moto case was filed by OC against Abhishek Banerjee 5 of us.I shall comply with the notice.Legal battle will be on.Asking IO for VDO recording of interrogation. pic.twitter.com/mWA70iZj6f Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 18, 2021অভিযুক্ত হিসাবে তলব করে অবিলম্বে কুণাল ঘোষকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই নোটিস পাওয়ার পরই বলেন, ত্রিপুরাতে বিজেপি জমি হারাচ্ছেন। আর এই ভয় থেকেই এসব কাজ করছেন। হাজিরা দেব, তৃণমূল ভয় পায় না। তিনি আরও বলেন, এটা তো একটা আইনি লড়াই যা ইতিমধ্যেই চলছে। হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে চার্জশিট পেশ করা যাবে না। এখন তারা হয়রান করার জন্য নোটিস দিয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছেন। নিশ্চিতভাবে উপস্থিত হব। তাদের অনুরোধ করব আমার সমস্ত কথোপকথন যেন ভিডিও রেকর্ড করা থাকে। নইলে বিজেপির হয়ে ওরা মিথ্যাচার করছে।উল্লেখ্য, আগরতলা গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। গাড়িতে হামলা, যুবনেতাদের হেনস্থার ঘটনায় খোয়াই থানায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Bomb Rescue : খড়ের পালুইয়ে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য রায়নায়

প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে গৃহস্থের বাড়ির খড়ের পালুইয়ের মধ্যে কেউ লুকিয়ে রেখেছিল বোমা। সেই বোমা উদ্ধার হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার মুগুরা অঞ্চলের দক্ষিনকুল গ্রামে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রেখে খবর দেয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কারা কি উদ্দেশ্যে খড়ের পালুইয়ের মধ্যে ছয়টি বোমা লুকিয়ে রেখেছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুগুরার দক্ষিণকুল গ্রামের এক প্রান্তে বসবাস করেন শেখ বরজাহান নামে ও তাঁর পরিবার । ওই ব্যক্তির বাড়ির অদূরেই রয়েছে খড়ের পালুই। এদিন বেলায় পরিবারের গৃহবধূ আমিনা বিবি ওই পালুয়ের কাছে থাকা হোপা গাছ থেকে হোপা পাড়তে যান। তখনই পালুইয়ের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরা কিছু একটা নিচে পড়ে। প্লাস্টিকের প্যাকেটে মধ্যে সুঁতুলি দড়ি জড়ানো বস্তু রয়েছে দেখে মহিলার সন্দেহ হয়।তিনি বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীরা সেখানে পৌছে দেখেন প্লাস্টিকের প্যাকেটে বোমা ভরা রয়েছে।এরপরেই স্থানিয়রা রায়না থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রেখে বম স্কোয়াডে খবর দেয়।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
দেশ

Terrorists: উৎসবের মরশুমে হামলার ছক! ৩ রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার ৬ জঙ্গি

নাশকতার ছক ভেস্তে দিয়ে জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ জঙ্গিকে হাতেহাতে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে দুজন সদ্যই পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরশুমে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল এই জঙ্গিদের।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলেনানা গোয়েন্দা সংস্থা মারফৎ খবর পেয়ে দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষ সেল। গ্রেপ্তারির পর ওই সেলের বরিষ্ঠ আধিকারিক নীরজ ঠাকুর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ৬ জনের মধ্যে একজন সকাল বেলা তল্লাশি অভিযানে মহারাষ্ট্রের একজন জঙ্গি রাজস্থানের কোটা থেকে গ্রেপ্তার হয়। তিনজন উত্তর প্রদেশ এটিএসের সাহায্যে সেই রাজ্যে গ্রেপ্তার হয়। বাকি দুজন ধরা পড়ে রাজধানী দিল্লিতেই। তবে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যা ল সেলের বিশেষ কমিশনার অন্য একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন যা অধিক পরিমাণ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি জানান, ধৃতরা জানিয়েছে যে তাদের সঙ্গে আরও ১৪-১৫ এমন ছিল যারা বাংলা ভাষায় কথা বলত। তারাও একই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিল। জঙ্গিরা ভারতে ঘাপটি মেরে বসে থাকলেও তাদের পরিচালনা সীমান্তের ওপার থেকেই করা হত বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। আসন্ন উৎসবের মরসুমকেই তারা নিশানা করেছিল জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Arrest: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও এক দুস্কৃতি

তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো আরও এক দুস্কৃতি। ধৃতের নাম আয়ুব খান। তার বাড়ি আউসগ্রামের ভাতকুন্ডা গ্রামে। সোমবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেপ্তার হল চারজন। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বিচারক ধৃতকে ৬ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন আউসগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আউসগ্রাম থানার পুলিশ রবিবার দেবশালা পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা ও দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। এরাই সুপারি কিলারদের দিয়ে চঞ্চল বক্সীকে খুন করায় বলে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছে। সুপারি কিলারদের নাগাল পেতে পুলিশ সোমবার ওই তিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনার পর থেকে আয়ুব খান খুনের ঘটনার মূল চক্রীদের সব খবরা খবর জানাচ্ছিল। এমনকি ঘটনার পর সুপারি কিলারদের পালাতে সাহায্য করার ব্যাপারেও আয়ুবের ভূমিকা ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। আয়ুব সহ চার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনার বাকি ষড়যন্ত্রকারীদের জালে ভরার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
দেশ

Tripura-Abhishek: ত্রিপুরা পুলিশকে তৃতীয় চিঠি তৃণমূলের

আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি চেয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে ফের চিঠি দিল তৃণমূল। এর আগে দুবার মিছিলের অনুমতি চেয়েও মেলেনি। তৃতীয়বার, ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় মিছিল করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিল ত্রিপুরা তৃণমূল। প্রথমে ঠিক ছিল, ১৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার আগরতলায় পদযাত্রায় হাঁটবেন অভিষেক। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ জানায়, আগেই অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে বাতিল করতে হয় বুধবারের কর্মসূচি। তৃণমূলের তরফে তার পর ১৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজোর কারণে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে, এই কারণে অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানায় ত্রিপুরা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পদযাত্রার জন্য ২২ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ত্রিপুরা পুলিশকে চিঠি দিল তৃণমূল।আরও পড়ুনঃ ফের অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজিত্রিপুরা পুলিশের দুটি চিঠি টুইট করে বিপ্লব দেব সরকারকে নিশানা করেছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন,মৃ্ত্যুভয় চেপে ধরেছে বিজেপিকে। সর্বশক্তি দিয়ে আমাকে ত্রিপুরায় ঢুকতে বাধাদানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিপ্লব দেব। চেষ্টা চালিয়ে যান তবে আটকাতে পারবেন না। আপনার ভয় বলে দিচ্ছে প্রশাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। সত্য প্রকাশ পাবেই। কটাক্ষের ছলে অভিষেকের সংযোজন,ইয়ে ডর হমে অচ্ছা লগা! এদিকে, মিছিলের অনুমতি চেয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে তৃতীয় চিঠি দেওয়ার পরই মিছিলের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, চিঠিতে পুলিশ বলছে গোটা আগরতলা শহরটাই নাকি মিছিলের জন্য অন্য কোনও দলকে দেওয়া হয়েছে৷ এর থেকে পুলিশ সরকারি ভাবে বলে দিক না গোটা আগরতলাটাই পুলিশ বিজেপি-র হাতে তাঁরা তুলে দিয়েছে৷ এসবের থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে গ্রহণ করেছেন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা জনসমুদ্রে পরিণত হত৷ এত মানুষ মিছিলে হাঁটত, কেউ আটকানোর সাহস পেত না৷আমরা এর পরেও চাইলে মিছিলে হাঁটতে পারতাম৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি ও উন্নয়নের পথে যেতে চায়, সংঘাতের পথে নয়। এরপরও যদি পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দেয়, তাহলে আদালতের পথে যেতে হবে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Chanchal Bakshi: নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কাই সত্যি হল। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন দলেরই তিন সদস্য। ধৃতরা আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা এবং বিশ্বরূপ মণ্ডল। ধৃতরা দেবশালা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে আসানুল ও মনির দেবশালা পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য। অপর ধৃত বিশ্বরুপ মণ্ডল দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় এই গ্রেপ্তারির কথা ঘোষণা করেন জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। সুপারিকিলারদের দিয়েই যে এই খুনের ঘটনা ঘাটানো হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারাও একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরএই গ্রেপ্তারির কথা এদিন জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আউসগ্রামের রাজনৈতিক মহলে। সবাই বলছেন, নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কারণ এই খুনের ঘটনা ঘটার পর তৃণমূলের অনেক নেতা বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও তা মানেননি নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী। তিনি প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছিলেন তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় বিজেপি বা সিপিএমের কেউ জড়িত থাকতে পারে না। দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন যূব সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় শেষপর্যন্ত তৃণমূলের লোকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল তাঁর ঘোষিত নিদান মতোই এবার ধৃতদের গুলি করে মারবেন!আরও পড়ুনঃ বাতিল টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আইসিসিকে চিঠি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বক্সীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনার পর দুই বর্ধমান জেলার পুলিশ সিট গঠন করে তদন্তে নামে। সিআইডিও ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তকারী অফিসাররা ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবদন জানাবেন। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ সুপারি কিলারের নাগাল পেতে চাইছে।আরও পড়ুনঃ রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণে বাঁচলেও মুখের একপাটি দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিকচঞ্চল বক্সী নিহত হওয়ার দুদিন বাদ তাঁর বাড়িতে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি পুলিশকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন।একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল ওই দিন সংবাদ মাধ্যম ও দেবশালা অঞ্চলের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন , খুনিরা তাঁর দলের লোক হলে তাঁদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজ্য

Anubrata: আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতর

দিনেদুপুরে গুলি করে তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনের ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও খুনিরা কেউ ধরা পড়েনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি কথা জানিয়ে দিলেন পুলিশকে। এদিন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন, ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত ন্যায্য আসামীদের। তা না হলে ভয়ংকর খেলা খেলে দেবেন বলে তিনি জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, খুনি যদি তাঁদের দলের কেউ হয় তবে তাঁকে আগে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিৎ। অনুব্রতর এই ঘোষণাকে সঠিক বলে এদিন দাবি করেছেন নিহত তৃণমূল যুব নেতার বাবা শ্যামল বক্সী।আরও পড়ুনঃ আউশগ্রামে জঙ্গলের রাস্তায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে, চরম উত্তেজনাআউসগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাপালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বকসিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশদিনে দুপুরে গুলির পর গুলি চালিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার খবর পেয়েই আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ও দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌছান। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে পুলিশ একটি আগ্নেআস্ত্র পায়। রাতে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত চলে। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছায় ৪ সদস্যের সিআইডি আধিকারিক দল। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়াও যে জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি ও একটি জামা উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গা গুলি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা মাপযোগ করেন ও ছবি তোলেন। সেখান থেকে সিআইডি আধিকারিক দলটি সোজা চলে যান নিহতের বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে তাঁরা কথা বলেন চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে। ওই দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে গিয়েও সিআইডি আধিকারিকরা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন চিকিৎসকদের কাছে। সিআইডি আধিকারিকরা বিকালে ফের ঘটনাস্থলে যান। নিহতের ভাই রাহুল বক্সী বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর দাদাকে খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। তদন্তের জন্য দুই বর্ধমান জেলার পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। তবুও দুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও খুনিরা এখনও অধাই রয়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারনিহত চঞ্চল বক্সীর বাড়িতে এদিন গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী জানান, তাঁর ছেলেকে বিজেপি বা সিপিএমের কেউ খুন করেছে বলে তিনি মনে করেন না। উল্টে তিনি দাবি করেন, খুনিরা সমাজ বিরোধী হতে পারে, তৃণমূলও হতে পারে। অনুব্রত মণ্ডলের কায়দাতেই এদিন শ্যামল বাবু জানিয়েদেন, তিনি চান তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। গরু, ছাগলের দুটো পাইকেরকে ধরে এনে পুলিশ যদি দেখায় ওরা দোষী তা তিনি মানবেন না। তেমনটা হলে রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসেও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শ্যামল বাবু এদিন হুঁশিয়ারী দিয়ে রাখেন।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
কলকাতা

Post Poll Violence: অভিজিতের দেহ নিয়ে পুলিশ-বিজেপি ধুন্ধুমার

ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ দীর্ঘ চার মাস পর অবশেষে হাতে পেল পরিবার। বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। কিন্তু এই দেহ নিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের চরম বচসা বাধে। হাসপাতাল চত্বরে কার্যত ধস্তাধস্তি চলে দুপক্ষের মধ্যে। অবশেষে দেহ নিয়ে বিজেপি কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, বুধবারই শিয়ালদা কোর্টের তরফে অভিজিৎ সরকারের দেহ ও ডিএনএ রিপোর্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও পড়ুনঃ ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জয়ের দিকে আরও একধাপ এগোলেন জকোভিচবৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো এনআরএস হাসপাতালের মর্গে পৌঁছে যান অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার-সহ পরিবারের সদস্যরা। সেখানে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, শিবাজি সিংহ রায়, দেবদত্ত মাজি-সহ নেতা-কর্মী। অভিযোগ, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে ঢিলেমি করে পুলিশ। দেহ লোপাটের চেষ্টা করে প্রশাসন। এই অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজির বিরুদ্ধে পুলিশকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Literacy Day: সাক্ষরতা দিবসে আদিবাসী পরিবারের শিশুদের শিক্ষার পাঠ দিলেন পুলিশ কর্তা

কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি নন। তিনি আইনের রক্ষক। কিন্তু তাতে কি যায় আসে। শুধু শিক্ষকরাই শিক্ষা দান করতে পারবেন এমনটা তো আর কোথাও বলা নেই। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের দিনে তাই একেবারে শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েই আদিবাসী পরিবারের শিশুদের পাঠ দান করলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার অফিসার ইনচার্য সৈকত মণ্ডল। আদাবাসী পরিবারের শিশুরা শিক্ষার আলোকে আলোকিত হোক এই অভিপ্রায়ে এদিন সৈকতবাবু শিশুদের হাতে তুলে দিলেন সিলেট ও চক পেন্সিল। দিলেন উপহার সামগ্রীও।শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে পুলিশ কর্তা শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ভূয়সী প্রশসা করেছেন ভাতারের শিক্ষাপ্রেমী মানুষজন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশভাতার থানার ওড়গ্রাম লাইনডাঙ্গা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় একটু মনমরাই ছিল এই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিশুরা। স্কুল না যেতে পাারর জন্য শিশুদের আক্ষেপের অন্ত ছিল না। তা জানতে ফেরে বুধবার সাক্ষরতা দিবসের দিন সকালে ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামে পৌছে যান। গ্রামের সবুজে ঘেরা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে অনেকটা শান্তিনিকেতনের আঙ্গিকে আদিবাসী পরিবারের শিশুদের পাঠ দানের বন্দোবস্ত করা হয়।পুলিশ পোষাকেই সেখানে শিক্ষকের গুরু দায়িত্বে অবতীর্ণ হন ওসি সৈকত মণ্ডল । শিশুদের হাত ধরে তিনি সেখানে বসেই তাঁদের অ,আ,ক,খ লেখা শেখালেন। পাঠ দান শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে দেড় শতাধিক শিশুর হাতে পুলিশ আধিকারিকরা তুলে দেন স্কুল ব্যাগ, বই, সিলেট, পেন্সিল সহ উপহার সামগ্রী। শিশুদের পড়াশোনা শেখার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্য ওসি শিশুদের অভিভাবকদের পরামর্শও দেন। লেখাপড়া শেখায় আগ্রহী শিশুদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ওসি। পুলিশবাবুর এমন সহৃদয়তা মুগ্ধ করে আদিবাসী মহল্লার বাসিন্দাদের।আরও পড়ুনঃ রিয়েল মাদ্রিদের গন্ধমাখা কোচ এবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বেসাক্ষরতা দিবসের দিনে শিশুদের শিক্ষাদানে পুলিশের আসরে নামার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ওড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তারাপদ পাল। তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শিক্ষাদানে অগ্রণী ভূমিকা নিলে আখেরে সমাজ উন্নত হবে।শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পুলিশ কর্তারা শিশুদের শিক্ষার আলোকে আনার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা এক কথায় অনবদ্য। এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে শিক্ষক তারাপদ পাল মন্তব্য করেছেন।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Aushgram: আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশ

ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে গোটা একটা দিন।আগ্নেআস্ত্র মিললেও মেলেনি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত আততায়ীদের হদিশ। তাই আততায়ীদের হদিশ পেতে দুই বর্ধমান জেলা পুলিশের পাশাপাশি বুধবার বেলা থেকেই জোরদার তদন্তে নেমে পড়লো সিআইডি দল। মৃতর পরিজন ও আউসগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের প্রত্যাশা খুব শিঘ্রই সিআইডির জালে ধরা পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিরা। তার পরেই পর্দা ফাঁস হবে খুনের রহস্যের।আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে মঙ্গলবার হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। একদা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন চঞ্চল। বৈঠক শেষে দুপুর ৩টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাপালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিনে দুপুরে গুলির পর গুলি চালিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার খবর পেয়েই আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ও দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌছান। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে পুলিশ একটি আগ্নেআস্ত্র পায়। রাতে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত চলে। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছায় ৪ সদস্যের সিআইডি আধিকারিকের দল। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়াও যে জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি ও একটি জামা উদ্ধার হয়েছিল সেইসব জায়গা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা মাপযোগ করেন ও ছবি তোলেন।সেখান থেকে সিআইডি আধিকারিক দল সোজা চলে যান নিহতের বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে তাঁরা কথা বলেন চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে গিয়েও সিআইডি আধিকারিকরা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন চিকিৎসকদের কাছে। সিআইডি আধিকারিকরা বিকালে ফের ঘটনাস্থলে যান।তারই মধ্যে এদিন নিহতের ভাই রাহুল বক্সী পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর দাদাকে খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য দুই বর্ধমান জেলার পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। চঞ্চল বক্সূকে খুনের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে এদিনও সঠিক কিছু জানাতে পারেননি তাঁর বাবা শ্যামল বক্সী। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগেও কারও নাম উল্লেখ করেননি নিহতের ভাই।আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন, খুনি যারাই হোক কেউ পার পাবে না। সিআইডি তদন্তে ভরসার কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের গলায়। ময়নাতদন্ত শেষে এদিন বিকালে নিহতের মৃতদেহ দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয়ে পৌছায়। সেখানে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী ও এলাকার বিধায়ক তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Truck Owners Demand: পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি ট্রাক মালিকদের

পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজির কারণে দায় হয়ে উঠেছে সড়কপথে ট্রাক চালানো। তারই প্রতিবাদে এবার স্বোচ্চার হল হুগলীর ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বৃহস্পতিবার ডেপুটেশন দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে। পুলিশ দিবসের পর দিন এই রাজ্যের পুলিশের জুলুমবাজি বন্ধের দাবিতে ট্রাক মালিকদের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে পথে নামাটা নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল।হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজা থেকে খালি লরি নিয়ে এদিন মিছিল করে ট্রাক মালিকরা পৌছান বর্ধমানের আলিশায়। পরে ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতৃত্ব সেখান থেকে পায়ে হেটে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে পৌছান। হুগলির ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সদস্য রসিদ সর্দার এদিন বলেন, পুলিশ, এম ভি আই ও ডাকপার্টির অত্যাচার ও জুলুমবাজির কারণে বহু ট্রাক মালিক ট্রাক চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। এইসব দপ্তরের লোকজন জোর করে ট্রাকে ওভারলোড করাতে বাধ্য করছে। অপরদিকে ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সজল ঘোষ অভিযোগে জানান,সম্প্রতি রাজ্যে এক্সেল লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু আসাধু পুলিশকর্মী ও পুলিশের ডাকপার্টি জোর করে ট্রাক ড্রাইভারদের ওভারলোড করতে বাধ্য করছে।ট্রাক ড্রাইভাররা ওভার লোড না করলে বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাধিক হারে ফাইন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাক মালিকরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে জানালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। জুলুমবাজীও বন্ধ হয়নি। তাই তাঁরা চাইছে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক।ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ট্রাক মালিকরা এদিন বলেন, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি ২৯৪টি আসনেই প্রার্থী। তাই তাঁকেই তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য কিছু করছেন না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে একদিনের মধ্যে এই জুলুমবাজি বন্ধ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাক মালিকরা। তাঁরা এদিন দাবি করেন, লোডিং পয়েন্ট থেকে আণ্ডার লোড করে গাড়ি বার করা হোক। পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিক। একই দাবির কথা শুনিয়েছেন ট্রাক মালিক সংগঠনের কর্তারাও।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Fixed Deposit Missing : গ্রাহকের অজান্তেই গায়েব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা, পুলিশের দ্বারস্থ প্রৌঢ়

গ্রাহকের আজান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গেল তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ঘটনার বিহিত চেয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কালনার মধূবন পাড়ার বিডিও অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ দাস। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশকে ধীরেন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, বিডিও অফিস থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি এককালীন ২ লক্ষ টাকা পান। ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ওই ২ লক্ষ টাকা তিনি কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে গচ্ছিত রাখেন। ২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট ছিল ফিক্সড ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটি ডেট। ধীরেন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছোট মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর টাকার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ার আগেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তিনি ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যান। তখনই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেয়, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটেও ক্লোজ বলে লিখে দেয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়ে যায় ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর। তিনি নিশ্চিত হন জালিয়াতি করে কেউ তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই ধীরেন্দ্রনাথবাবু ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে কালানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।আক্ষেপ প্রকাশ করে ধীরেন্দ্রনাথ দাস এদিন বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে জীবনের সঞ্চয়টুকু জমা রেখে এইভাবে ঠকতে হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এখন অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ মজুমদার শুধু বলেন, লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাঁকে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

আগস্ট ৩১, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: 'পিসির পুলিশ ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে তন্ময়কে'

পিসির পুলিশের ভয় দেখিয়ে বদলবদল করানো হয়েছে বিজেপি বিধায়ককে। এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শাসকদলে যোগ দেন বিষ্ণপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। ভোট ঘোষণার পরেই ৫ মার্চ বিজেপি-তে যোগ দেন তন্ময়। ৬ তারিখে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় বিজেপি। সেই তন্ময়ের দলবদল নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, আমি তন্ময় ঘোষকে চিঠি দেব। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য। আমি জানি তিনি কোনও উত্তর দিতে পারবেন না। তিনি অপেক্ষা করছিলেন। মুকুল রায়ের দলত্যাগ ও পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে যে মামলাটি চলছে তার গতিপ্রকৃতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ভেবেছিলেন। শুভেন্দু আরও বলেন, কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ এখানকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জন্মাষ্টমীর দিন তড়িঘড়ি গিয়ে তিনি যোগ দিয়েছেন কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তাঁকে ভয় দেখিয়েছে তোমাকেও এ বার যেতে হবে। তাই তড়িঘড়ি গিয়ে যোগদান করেছেন।আরও পড়ুনঃ এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের চাপে কেন পিছু হটল আইএফএ? বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত ২ মে-র পর থেকে দলের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি তন্ময়। যোগ দেননি কোনও দলীয় কর্মসূচিতেও। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল গত ১০ বছরে মুকুল রায়-সহ ৫০ জন বিধায়ককে দলবদল করিয়েছে। যে ভাবে মুকুলের দলত্যাগ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেছে বিজেপি পরিষদীয় দল, সে ভাবে আগামী সোমবার তন্ময়কে নিয়েও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। মুকুলের মতো তন্ময়ের ক্ষেত্রেও অপেক্ষা করতে নারাজ তিনি। সুবিচার না পেলে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন শুভেন্দু। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে টিকিট আদায় করে নিয়েছিল বিষ্ণুপুর বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে তৃণমূল প্রার্থী অর্চিতা বিদকে হারিয়ে বিজেপি বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছিল। ৫ মাসের সফর শেষ করে সোমবার ফের তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে ব্রাত্য বসুর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফের তৃণমূলেই ফিরলেন তিনি। তাঁর এই দল বদলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিষ্ণুপুর শহরজুড়ে। গত পুরসভা নির্বাচনে পুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে নির্বাচন জিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হন তন্ময় ঘোষ। পরে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের লিখিত নির্দেশে পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড গঠন হওয়ার পর ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় হন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে অপর ২ কাউন্সিলর তন্ময় ঘোষ ও গৌতম গোস্বামীকে বোর্ড সদস্য করা হয়। ওই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজতেই তন্ময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে টিকিট আদায় করে নেয় এবং নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন। যদিও বিধায়ক হওয়ার পরে দলীয়ভাবে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তন্ময় ঘোষকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। তখনই শহরের মানুষের মনে সন্দেহ দানা বাধে তন্ময়ের ফের দল বদল নিয়ে। এবং আজ সেটাই সত্যি প্রমাণ করে তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন।

আগস্ট ৩০, ২০২১
রাজ্য

Fake IPS: ভিন রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো আইপিএস

ফের পুলিশের জালে ভুয়ো আইপিএস। তবে শহরে নয়, শহরের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ভূয়ো আইপিএস অফিসারকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো আইপিএস পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজস্থানের আলওয়ার থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গ্রেপ্তার করে রাহুল খান নামে এক যুবককে। আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বেহালায় তাণ্ডবঅভিযোগ, ফেসবুকে নিজেকে আইপিএস পরিচয় বলে দিত ধৃত ব্যক্তি। সেই পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চক্র চালাত। বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা চাইত। টাকা না দিলে ভয় দেখাত। ইতিমধ্যে তার নামে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। এরপরই তদন্ত শুরু করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার বিভাগের অফিসাররা। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্নিত করেন তাঁরা। এরপর অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের আলওয়ার থেকে রাহুল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে প্রতারণা সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কতদিন ধরে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ধৃত, কার কার কাছ থেকে, কত টাকা প্রতারণা করেছে, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড এবং ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সজাগ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। এরপর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যে একাধিক ভুয়ো অফিসারের পর্দা ফাঁস হয়েছে। ভুয়ো আইপিএস থেকে ভুয়ো মানবাধিকার আধিকারিক, পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অনেকেই। ফের একবার পুলিশের জালে ভুয়ো আইপিএস।

আগস্ট ২৬, ২০২১
কলকাতা

Behala: কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বেহালায় তাণ্ডব

প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বেহালায়। একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা গিয়ে প্রথমে অভিযুক্ত ববি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর চালায়।ঘর ভাঙচুর করে অভিযুক্ত মহিলা ও তার স্বামীকে বাইরে বের করে চলে বেদম প্রহার। এদিন তাঁর বাড়ির সামনে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন আমানতকারীরা।অভিযোগ, বেহালা বকুলতলা অঞ্চলের বাসিন্দা ববি একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে জমা রেখে সুদ এবং প্রয়োজনে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই কাজের জন্য তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও খোলেন। তিনিই স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মহিলা এখানে টাকা জমা রাখছেন বলে জানান এক অভিযোগকারী। তাঁদের দাবি, টাকা জমা রাখা মহিলার সংখ্যা ১ হাজার ৩০০-র বেশি। অভিযোগকারীরা বলেন, মাসিক সুদ ছাড়াও প্রয়োজনে ঋণ পাওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সময় মতো সুদ না পাওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হতে থাকে সকলের মনেই। এরপর সম্প্রতি ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়মিত টাকা জমা পরছে না তাঁদের অ্যাকাউন্টে।আরও পড়ুনঃ আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ শিক্ষামন্ত্রীরঅভিযোগকারীদের আরও বক্তব্য, তাঁরা আগে ওই সংস্থাকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তখন টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিললেও আদৌ সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।এরপরই আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি কেউই। বুধবার কয়েকশো মহিলা বেহালায় অভিযুক্ত ববির বাড়িতে চড়াও হন। ভয়ে ভিতর থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন ববি। পরে জমায়েত হওয়া মহিলারা ববির বাড়িতে এবং অফিসে ইট ছুড়তে থাকেন। ভাঙা হয় দরজা-জানলা। জোর করে বাড়িতে ঢুকে চলে ভাঙচুর। বাড়ির বাইরে রাখা একটি মোটরসাইকেলও ভাঙা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী।

আগস্ট ২৫, ২০২১
রাজ্য

Chameleon: পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন, পুলিশের হাতে তুলে দিল দিনমজুর যুবক

বিরল প্রজাতির একটি ক্যামেলিয়ন উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ক্যামেলিয়নটি থাকে পুলিশের আশ্রয়েই। এদিন দুপুরে বনকর্মীরা জামালপুর থানায় এসে ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়েযায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে হিরু মালিক। জামালপুর থানার নতুনগ্রামে হিরুর বাড়ি। পেশায় দিন মজুর হিরু মালিক জানিয়েছেন ,শনিবার বিকালে তিনি সাইকেলে চেপে জামালপুর স্টেশনপাড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে তিনি সবুজ রঙা অদ্ভুত দর্শন প্রাণীটিকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যান। পরে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তিনি নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। এই খবর পেয়ে জামালপুর থানার ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ দাস ও সিভিক ভলান্টিয়ার কবীর মল্লিক পৌছে যান হুিরু মালিকের বাড়িতে। প্রাণীটিকে দেখার পরেই তাঁরা বুঝতে পারেন হিরু মালিক যে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেছে সেটি আসলে বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন। ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ এরপরেই প্রাণীটির বিষয়ে থানায় জানালে পুলিশ কর্তারা প্রাণীটিকে থানায় নিয়ে চলে আসতে বলেন। প্রাণীটি নিরাপদ আশ্রয় ফিরে পাবে জানতে পেরে হিরু মালিক শনিবার সন্ধ্যায় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে থানায় গিয়ে ক্যামেলিয়নটি দিয়ে আসে।বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়নপুলিশ কর্তারা বনদপ্তরে খবর দিলে রবিবার দুপুরে ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনদপ্তরের কর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণীটি ইন্ডিয়ান ক্যামেলিয়ন। এই ধরণের প্রাণী এখন সচারচর দেখা যায় না। এই প্রাণীরা দেহের রঙ পরিবর্তন করে। এই প্রাণী গাছের কচি পাতা ও পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। ঝোঁপ-জঙ্গল ঘেরা যে জায়গায় পোকা-মাকড় থাকে সেই জায়গাতেই মূলত ক্যামেলিয়নের আশ্রয় স্থল।

আগস্ট ২২, ২০২১
রাজ্য

Bankura BJP: স্বামী-সন্তান ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করলেন চন্দনা বাউড়ি! কী বলছেন বিধায়িকা?

বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে গাড়ির চালককে বিয়ে করেছেন চন্দনা। সেই মর্মে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দনা। স্বামী শ্রবণের সঙ্গে পারিবারিক গোলমালকেই রাজনৈতিক উদ্দেশে অন্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফের বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলগরিব ঘরের বধূ চন্দনা বাউড়ি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন। ভোটের প্রচারে বাঁকুড়া এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চন্দনার কথা আলাদা করে বলেছিলেন। সেই চন্দনা সম্পর্কে পরকীয়ার খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়। বিজেপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি দুপুর পর্যন্ত। তবে চন্দনা তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ্যে জানান। সেখানেও তিনি গোটা বিষয়টিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তবে জেলা বিজেপি-র একাংশের দাবি, কৃষ্ণ গাড়িচালক নন। তিনি শালতোড়া বিধানসভার দলীয় কো-কনভেনর।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেপুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে চন্দনার বিরুদ্ধে। গাড়িচালক কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পার দাবি, বুধবার রাতে চন্দনা এবং কৃষ্ণা বিয়ে করেছেন। পুলিশের একাংশের দাবি, বিবাহের বিষয়টি নাকি পুলিশের কাছে চন্দনা স্বীকার করেছেন। যদিও চন্দনার দাবি, তিনি একেবারেই তা বলেননি। পুলিশের একাংশের ওই দাবি অসত্য। প্রসঙ্গত, চন্দনা এবং কৃষ্ণ দুজনেই নিজের নিজের জীবনে বিবাহিত। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ চন্দনা ও কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে।এ ছাড়াও,৫০৬ ধারায় দুজনের বিরুদ্ধেই ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।

আগস্ট ১৯, ২০২১
কলকাতা

BJP: ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ঠিক যেন সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য। দরজা ভেঙে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনার জেরে মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুরো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম অবস্থা বেধে যায়।স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় একটি ক্লাবের উপরেও হামলা চালানো হয়। এর জেরে সজলের নেতৃত্বে মুচিপাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল সমর্থকেরাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। থানার মধ্যেই দুতরফের বাদানুবাদ হয়। শুক্রবার সকালেও দুদলের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের স্থানীয় এক যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে সজলের সঙ্গীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সজল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ইভ টিজিং-এর দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছেন সজল এবং বিজেপি। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান অব্যাহত, আজ যাচ্ছেন ৯ সাংসদশুক্রবার দুপুরে মুচিপাড়া থানার পুলিশকর্মীরা সজলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। মুচিপাড়া থানার ওসি জানলা দিয়ে সজলকে বাড়ির বাইরে আসার কথা বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, দরজা ভাঙুন। এর পর পুলিশকর্মীরা লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সজলকে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সজলের বাবা প্রদীপ-সহ পরিবারের সদস্যেরা। একদা কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের নেতা প্রদীপ কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা এবং মেয়র পারিষদ পদে ছিলেন। সজলের গ্রেপ্তারির পরে প্রদীপ বলেন, শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সজলকে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
দেশ

Police Medal: কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ মেডেল পাচ্ছেন বঙ্গের ৪ পুলিশ অফিসার

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়েছে বেঙ্গল পুলিশের চার অফিসারকে। ইউনিয়ন হোম মিনিস্টারস মেডেল ফর এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টিগেশন ২০২১ দেওয়া হয়েছে এসআই সুদীপ কুমার দাস, এসআই কৌশিকব্রত মজুমদার, এসআই সুমন সাধুখাঁ এবং এসআই জীতেন্দ্র প্রসাদ। সারা ভারতে মোট ১৫২ জন পুলিশ অফিসারকে এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ যোগীরাজ্যেও খেলা হবেঅপরাধমূলক কাজের তদন্তকে স্বীকৃতি দিতেই ২০১৮ সালে এই পুরস্কারের উদ্ধাবন করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। যে যে পুলিশ অফিসারেরা এই বিশেষ মেডেল পেয়েছেন তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন অফিসার ছাড়াও রয়েছেন, সিবিআই-এর ১৫ জন, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের ১১ জন করে, উত্তরপ্রদেশের ১০ জন পুলিশ অফিসার, কেরল ও রাজস্থানের ৯ জন করে পুলিশ অফিসার, তামিলনাড়ু পুলিশের ৮ জন, বিহার পুলিশের ৭ জন, গুজরাত, কর্নাটক ও দিল্লি পুলিশের ৬ জন করে অফিসার রয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশ অফিসার রয়েছেন। বিশেষ মেডেল পাওয়ার তালিকায় ২৮ জন মহিলা পুলিশ অফিসার রয়েছেন বলেও এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আগস্ট ১২, ২০২১
রাজনীতি

Tripura-FIR: ত্রিপুরা-কাণ্ডের জের, অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর

তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ ত্রিপুরা সরকারের। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করল ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানায় অভিষেক-সহ ৫ বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকার ভয় পেয়েছে, পাল্টা টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ।Tripura: অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।ভয় পেয়েছে বিজেপি। pic.twitter.com/QHLBbkZTAT Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা অভিষেক-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসেরও। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।কেন দেবাংশু ভট্টাচার্যদের আদালতে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে, তারও বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা দীর্ঘসময়ে থানায় বসে ছিলেন। আদালতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পদস্থ দুই কর্তা এসডিপিও ও অ্যাডিশন্যাল এসপি-র সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা।অভিযোগপত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন পুলিশকর্তা। তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে বিজেপির দালাল বলে থানার মধ্যে বসেই দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা পুলিশের কোনও কাজেই বাধা দেননি। বরং তাঁরা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী ধারায়, কোন মামলায় তাঁদের দলে নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এই মামলা অত্যন্ত হাস্যকর।অন্যদিকে, গ্রেপ্তার করা অবস্থায় ত্রিপুরা পুলিশ ২৪ ঘণ্টা জয়াদের এক গ্লাস জলও দেয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঘটনার দিনের একটি ভিডিও টু্ইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাশ্রী দেওয়া উচিত। কারণ, তাঁর অভিযোগ সবটাই মিথ্যা। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জয়া ও সুদীপ, ২ জনেই জল খাচ্ছেন। যদিও এই টুইটের পাল্টা দিয়ে কুণাল টুইট করে বলেন, সবটাই মিথ্যা। জল এনে দিয়েছিল তৃণমূলের কর্মীরাই।শুভেন্দু মিথ্যা বলছে।জল আমাদের কর্মীরা এনে দিয়েছে।সুদীপ, জয়ার আঘাতের চিকিৎসা না করে গ্রেপ্তারির পর রুটিন প্রেসার দেখা হয়েছে।দলবদলু আগে বলুক 2014তে BJP 16/8 খেলার জন্য পালন করলেও ও কেন এখন খেলা দিবসের বিরোধিতা করছে?আর শিশিরদা কোন দলে ভাবা শেষ হল? https://t.co/bxmIsdt9ht Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021

আগস্ট ১১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal