শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরান আপেল টি খেয়ে!
কথায় আছে, An apple a day, keeps the Doctor away...অর্থাৎ রোজ একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে আপনার। লাল আপেলের গুণের কথা তো সকলে্রই জানা। কিন্তু স্বাস্থ্যকর আপেলের যে আরও অনেক গুণ রয়েছে। সাল্যাড, কাস্টার্ড, পুডিং বা কেকের জন্য আপেলের ব্যবহার আমরা এতদিন করে এসেছি। বেক করে কিংবা কাঁচা অবস্থাতেও আপেলের স্বাদ আমাদের কাছে পরিচিত। আপেল স্বাস্থ্যকর তো বটেই, আপেলের গুণাবলী সম্বন্ধেও অনেকেরই জানা। আপেল রক্তে শর্করার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।সুতরাং ওজন হ্রাস করার জন্য আপনার ডায়েটে আপেলকে সঠিক পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। যদিও অনেকে আপেল সিডার ভিনেগারের সুবিধাগুলি সম্পর্কে অবগত আছেন, তবে বেশিরভাগই আপেল যে চা হিসেবেই ব্যবহার করা যায়, তাই শোনেননি। আসলে, আপেল চা হল এমন একটি পানীয় যা আপনি ঘরে বসে তৈরি করতে পারেন, যার সাহায্যে ফ্যাট বার্ন করতে এবং ওজন কমাতে পারবেন দ্রুত।কীভাবে বানাবেনব্ল্যাক টি পাতার সঙ্গে আপেলের টুকরাগুলি সিদ্ধ করে প্রস্তুত করা হয়। সঙ্গে দারচিনি এবং লবঙ্গ দিয়ে মশলা দেওয়া যায়। আপনি গরম বা ঠান্ডা আপেল চা পান করতে পারেন। আপেল টি খাওয়ার উপকারীতা কী, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাকহজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে- আপেল চা হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। দ্রবণীয় ফাইবার ওজন কমাতে অত্য়ন্ত কার্যকরী। আপেলগুলিতে ম্যালিক অ্যাসিডের উপস্থিতি একটি স্বাস্থ্যকর হজম ব্যবস্থা গড়তে সাহায্য করে।কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে আপেলের ভিতরের শাঁস ও খোসার ফাইবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে, এইভাবে ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে।রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে আপেলে ফ্রুক্টোজ আকারে প্রাকৃতিক চিনি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বিপাকের ভারসাম্যকে উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার অস্বাভাবিক মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ উত্থান বা পতন রোধ করে, ফলে ঘন ঘন খাবারের প্রয়োজনীয়তা দূর করে।কম ক্যালোরি আপেল হল কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। মার্কিন কৃষি বিভাগের মতে, একটি স্ট্যান্ডার্ড-আকারের আপেলে ১০০ গ্রাম ফল প্রতি প্রায় ৫০ ক্যালোরি থাকে।