• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Death

রাজ্য

ভোট শুরু হতেই রক্তাক্ত শীতলকুচি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে হত ৪

প্রাণহানি দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। বেলা বাড়তে সেই শীতলকুচিতেই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে সেখানে আরও ৪ ব্যক্তির প্রাণ গেল। মাথাভাঙা হাসপাতালে তাঁদের ময়নাতদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও ৪ ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতরা সকলেই তাঁদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে বলপূর্বক বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। বোমাবাজিও করা হয় ওই বুথের সামনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। জখম হন বেশ কয়েকজন।শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।অন্যদিকে, বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে বলেন তিনি, তাতেই একটি বিশেষ শ্রেণির লোক উত্তেজিত এবং তা থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গুলি চালিয়ে থাকে, তা আত্মরক্ষার্থেই চালিয়েছে। আসলে তৃণমূল জানে, ওরা হারছে। তাই উশৃঙ্খলতা তৈরি করছে। গোটা ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)। রাজ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। বাধা দেওয়া হচ্ছিল ভোটদানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরা হয়। রাইফেলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাতেই গুলি চলে।কিন্তু স্থানীয় এক বাসিন্দার যুক্তি, নিহতদের পরিচয় তাঁদের বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁদের সমর্থন নয়। তাঁরা ভোটার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে যদি গুলি চালাতে হয়, তাহলে পায়েও তো গুলি চালাতে পারত। তা না করে সোজাসুজি বুকে গুলি করা হল কেন প্রত্যেককে?কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, কী বলব আমি? শীতলকুচির মানুষ আমার স্বজন। চার-চারটি তরতাজা প্রাণ চলে যেতে দেখে চোখের জল চেপে রাখতে পারছি না। মানুষ এখনও ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন। সেই মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। আজকের ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। দায়ী বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে এ সব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ নিয়ে ফোনে কথা হয়েছে, তিনি পুরোটা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন পার্থপ্রতিম।নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ফোনে প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েছেন। কী কারণে গুলি চালাতে হল, কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেল না, সব সমেত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।শনিবার সকালে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সঙ্ঘর্ষ বেধেছে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করলেও, আনন্দ কাদের পক্ষে, তা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

এপ্রিল ১০, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি, মৃত ৬৩০

গত বছর এই সময়ই ভারতে প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছিল করোনা। আর এখন এই মারণ ভাইরাস নতুন করে জাঁকিয়ে বসেছে। গত বছরও আক্রান্তের যে সংখ্যাটার সাক্ষী হয়নি দেশ, সেটাই হল এবছর। দিন দুয়েক আগেই দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়েছিল এক লক্ষের গণ্ডি। এবার তা আরও বাড়ল। পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যাও।বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত ৫৫ হাজারেরও বেশি। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পঞ্জাব, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৫ জন। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৬৩০ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৭৭ জন। এই সংখ্যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৭৩ জন।পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৮৫৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৯২ হাজার ১৩৫ করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪ জন। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১২ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, পঞ্জাবে ৮০ শতাংশ মানুষের সংক্রমণের কারণ ব্রিটেন থেকে আসা স্ট্রেন। নির্বাচন, কৃষক বিক্ষোভের মতো কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেো দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।

এপ্রিল ০৭, ২০২১
দেশ

২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস, মৃত ৩৫৪ জন

পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন আর হোলির মধ্যে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনার দৈনিক গ্রাফ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। তবে এই নিয়ে দুদিন দেশে করোনা সংক্রমণ সামন্য কম। তবে ২৪ ঘণ্টায় একলাফে অনেকটা বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৩ হাজার ৪৮০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কম। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫ জন। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে করোনা চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৬৬। একইসঙ্গে মারণ ভাইরাস এখনও কাড়ছে বহু মানুষের প্রাণ। গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী যেখানে একদিনে ২৭১ জনের প্রাণ গিয়েছিল, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৩৫৪ জন। অর্থাৎ টেস্টিং কম হওয়ায় আক্রান্ত কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল। ভারতে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬৮ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শক্তি জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪১ হাজার ২৮০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০১ জন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

মার্চ ৩১, ২০২১
কলকাতা

নিমতায় শোভারানির ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের

বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের মৃত্যুকে সামনে রেখে ভোট রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের। এমনকী, বৃদ্ধাকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে তাঁর মৃত্যুর যে কারণ বর্ণনা করা হয়েছে, তারও কোনও ভিত্তি নেই বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন তৃণমূলের দুই চিকিৎসক রাজনীতিবিদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং শশী পাঁজা।বিতর্কের কেন্দ্রে যে ডেথ সার্টিফিকেট সেটি লিখেছেন বিজেপির উত্তর দমদমের প্রার্থী, পেশায় চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিষয়টি যেখানে তদন্তাধীন, তখন তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কী করে ডেথ সার্টিফিকেট লিখলেন অর্চনা? ডেথ সার্টিফিকেটে শোভারানির মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কথা। তৃণমূলের সাংসদ কাকলি এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী জানতে চেয়েছেন, ময়নাতদন্ত না করে শুধু মৃতদেহ দেখে কী ভাবে এমন মন্তব্য করলেন অর্চনা। পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে তাঁর এই আইনি সমস্যাগুলি জানার কথা। তৃণমূল ভবনে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে দুজনে বলেন, ডেথ সার্টিফিকেটের নীচে নিজের প্রার্থিপদের কথাও উল্লেখ করেছেন অর্চনা। অর্থাৎ এই মৃত্যুকে ব্যবহার করে যে বিজেপি তার প্রার্থীকে জেতাতে চাইছে তা স্পষ্ট। কাকলি বলেন, এটা বিজেপির ট্রেডমার্ক। আর এই বিষয়ে সমর্থন আসছে একেবারে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে। অমিত শাহকে কটাক্ষ করে কাকলি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে তিনি জানেন, কোনও মামলা তদন্তাধীন হলে তা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। তারপরও কী ভাবে তারই দলের প্রার্থী এমন মন্তব্য করল তা ভেবে আমরা তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি।উল্লেখ্য, নিমতার বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার এবং তাঁর ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা শোভারানি মাস খানেক আগে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। রবিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় শোভারানির। তারপর সোমবার দিনভর ভোটের বাংলা সরগরম রইল শোভারানির মৃত্যু নিয়েই। প্রথমে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর একে একে বিজেপির শীর্ষ নেতা জেপি নযড্ডা, এমনকী, বাংলায় বিজেপি-র সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও এই মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে টুইট করেন। প্রসঙ্গত বৃদ্ধা শোভারানির আক্রান্ত চেহারার ছবি সংবাদমাধ্যম ও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে বিস্তর চর্চা হয়। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তারা ওই বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের ভিডিও দিয়ে নেটমাধ্যমে দাবি করে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। যদিও বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে টুইট করে ফের তৃণমূলকেই দায়ী করে বিজেপি। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূলও। পেশায় চিকিৎসক শশী পাঁজা বলেন, যে কোনও মৃত্যু দুঃথজনক। কিন্তু যেটা বিস্ময়কর তা হল সার্টিফিকেটে অর্চনা মজুমদার ওই বৃদ্ধাকে সুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন। আবার অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কথাও বলেছেন। একজন সুস্থ মানুষের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় কী করে?

মার্চ ২৯, ২০২১
দেশ

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ কোটি ২০ লক্ষের, একদিনে মৃত ২৯১

কোনওভাবেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণকে। পাঁচ রাজ্যে ভোট ও দেশজুড়ে হোলির আবহে সোমবার একলাফে ফের অনেকখানি বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এদিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ৬৮ হাজারের গণ্ডি। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলছে মহারাষ্ট্র। ফলে ভ্যাকসিন এলেও লকডাউনের পথে হাঁটতে হচ্ছে একাধিক শহরকে।সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৮ হাজার ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৪৪ জন। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৮-এ। একইসঙ্গে মারণ ভাইরাস এখনও কাড়ছে বহু মানুষের প্রাণ। দেশে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানেও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসা কোভিড গ্রাফের ছবিটা অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভর করে করোনাবিধি লঙ্ঘন করাই কাল হয়ে উঠছে। হোলি উৎসব পালনের কারণে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য প্রকাশ্যে রং খেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওডিশা প্রশাসন। চণ্ডীগড়ের বিভিন্ন পার্কেও হোলি খেলা যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেকটি রাজ্যকে টেস্টিংয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শক্তি জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ৩২ হাজার ২৩১ জন।

মার্চ ২৯, ২০২১
দেশ

স্বাধীনতার পর দেশে প্রথম মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি

স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও মহিলার ফাঁসির সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। বিরল অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের শবনমের ফাঁসির সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এখন সময় কেবল ডেথ ওয়ারেন্টের। সেটা পেয়ে গেলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আপাতত তাই যোগীরাজ্যের মথুরায় শুরু হয়ে গিয়েছে ফাঁসির প্রস্তুতি।উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের একমাত্র ফাঁসির ঘরটি রয়েছে মথুরার জেলে। যদিও এখনও ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ স্থির হয়নি। তবুও ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছেন মীরাটের বাসিন্দা পবন জহ্লাদ। নির্ভয়ার ধর্ষকদের তিনিই ফাঁসি দিয়েছিলেন। এই ফাঁসির দায়িত্বও রয়েছে তাঁর উপরই। দুবার ফাঁসিকাঠও পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে নিজেরই পরিবারের সাতজন সদস্যকে কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয় সে। একাজে তাকে মদত জুগিয়েছিল তার প্রেমিক। আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা ধনী পরিবারের সদস্য শবনমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় ওই যুবকের। এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি শবনমের পরিবার। প্রতিশোধস্পৃহায় বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপো-সহ সাতজনকে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলে শবনম। এই অপরাধকে বিরল আখ্যা দিয়ে তাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।বক্সার থেকে ফাঁসির দড়ি আনানো হচ্ছে। পবন জহ্লাদ ফাঁসিঘর পরীক্ষা করে ফাঁসি দেওয়ার লিভার ও বোর্ডে কিছু পরিবর্তন করার জন্য বলেছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
বিদেশ

তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত আমেরিকা, মৃত কমপক্ষে ২১

প্রবল তুষারঝড়ে কাঁপছে আমেরিকা। বিশেষত শীতকালীন ঝড়ে বিধ্বস্ত টেক্সাস। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২১ জনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশের একটা বড় অংশ ব্যাপক তুষারপাতের কবলে। সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং কনকনে হাওয়া। তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ১০ ডিগ্রির আশপাশে। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়েছে ৩০ লক্ষ গ্রাহকের।গোটা প্রদেশেই শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতাবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে হিউস্টনে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই সতর্কীকরণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই এলাকায় তুষারপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক ঠান্ডার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস বা বায়ুশক্তি, কোনওভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সংস্থা। অবস্থার উন্নতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য প্রশাসন। বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে। একে ভয়ানক তুষারপাত, তার উপর বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। কার্যত বিধ্বস্ত শহরবাসীর জীবন। অনেকের মতেই হারিকেনের মতো ঝড়ের কবলে পড়লেও এই রকম পরিস্থিতি সচরাচর তৈরি হতে দেখা যায় না। আগামী কতদিন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তাঁরা। টেক্সাসের প্রধান বিমানবন্দরে বিমান চলাচল হয় বন্ধ, না হলে ব্যাহত। মেট্রো পরিষেবাও স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রদেশের স্কুল, অফিসও বন্ধ। টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ চলছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন উপদ্রুত এলাকাগুলোর গভর্নরদের আশ্বস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শর্ত পেশ মইদুলের স্ত্রীর, উত্তপ্ত মৌলালি

নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে এদিন মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্তানহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নিলেও চাকরির জন্য শর্ত রাখলেন মৃত ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রী আলেয়া বিবি। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, দোষীদের শাস্তি চাই।এদিকে, বামকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মৌলালি। সংঘর্ষে জড়াল পুলিশ ডিওয়াইএফআই-এসএফআই, ছিঁড়ল পুলিশের উর্দি। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এজেসি বোস রোড। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা। মইনুলের দেহ মৌলালিতে পৌঁছনোর অপেক্ষায় বাম ছাত্র-যুবরা। কোতলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। পেশায় অটো-টোটো চালক। দিনপাত করে অটো, টোটো কিনেছিলেন তিনি। সেই গাড়ি চালিয়েই পরিবার পাঁচ সদস্যের পেট চালাতেন মিদ্দা। পরিবারে রয়েছেন মিদ্দার মা, স্ত্রী আলিয়া বিবি, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নি। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। আপাতত মিদ্দাকে হারিয়ে পথে বসেছে পরিবার। সন্তানহারা মা বলছেন, একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছি। কীভাবে পরিবার চলবে জানি না।; স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা আলে্য়া বিবিও। স্বামীর খুনের দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন, অল্প পয়সার চাকরি দিলে চলবে না। পরিবারের সদস্যদের প্রতিপালন করার মতো চাকরি দিতে হবে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মিদ্দা রাজনীতি করতেন। তবে সম্প্রতি বাম রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তার পরই শুক্রবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে আহত বাম ছাত্রনেতার মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কলকাতা

নবান্ন অভিযানে আহত বাম ছাত্রনেতার মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

নবান্ন অভিযানে আহত বাম যুবনেতার মৃত্যু। সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। ১১ ফেব্রুয়ারি বাম সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়ছিলেন ওই যুবনেতা। এদিকে বাম কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে বাম ছাত্র-যুবরা। নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীকে পুলিশ ইচ্ছা করে খুন করেছে বলেই দাবি করেছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাজ চাইতে গিয়ে আমাদের কমরেডকে খুন করেছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। এই ঘটনার ধিক্কার জানাই। এই হত্যার বিচার চাই। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা কী ধরনের কর্মসূচি নেব তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশের প্রচণ্ড মারে মইদুলের শরীরের একাধিক মাংসপেশিতে গুরুতর আঘাত লাগে। পেটে ও পিঠে ভয়ংকর আঘাত পান তিনি। ফলে তাঁর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুলের। এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া বাম নেতৃত্বের। মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মৃত্যু নয়, এটা খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাঁর বুকে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চিকিৎসক চাপের মুখে সবটা বলতে পারছেন না। সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের অভিযোগ, পুলিশ মাথা ও বুক লক্ষ্য করেই লাঠি চালিয়েছে। সিপিআইএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলা পার্টি অফিসে এই বিষয়ে বেলা ১১ টার সময় একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য।এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাম যুব নেতা জামির মোল্লা বলেন, এই মৃত্যুতে আজ সমস্ত থানায় বিক্ষোভ-অবস্থান থাকবে। এটা এটা মর্মান্তিক বিষয়। কাজ নেই, চাকরি নেই সেই বিচার চাইতে গিয়ে মেরে ফেলা হল। এটা তো প্রশাসন-সরকার খুন করল। বেকার যুবদের কাজ চাওয়ার অভিযোগকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজেদের দাবি রাখলে যদি পুলিশের হাতে এবার মৃত্যুবরণ করতে হয়, তাহলে এ সরকারের এক মুহুর্ত আর থাকার কোনও অধিকার নেই।উল্লেখ্য, এর আগে নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামকর্মী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও যুবকের সন্ধান পায়নি পরিবার। এবার এক যুবনেতার মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পুলিশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ। প্রসঙ্গত, চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। সেখানেই পুলিশ ও বামকর্মীদের মধ্যে তীব্রই সংঘাত শুরু হয়। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। ওই ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মী।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
দেশ

ফের বাড়ল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

স্থায়ী হল না স্বস্তি। বুধবার ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও বাড়ল অনেকটা। তবে স্ব্স্তি দিচ্ছে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা। সুস্থতার হার বেশি থাকায় দেশে ক্রমশ কমছে চিকিৎসাধীন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজার ১১০ জন। এক ধাক্কায় হাজারের বেশি বেড়েছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। এর ফলে দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৭১ জন। তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সরকারি হিসেব বলছে, ইতিমধ্যে দেশে করোনাকে জয় করেছেন ১ কোটি ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০৮ জন। যাঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডমুক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৭ জন। যা দৈনিক সংক্রমিতের চেয়ে অনেকটাই বেশি।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হিসেব বলছে, ইতিমধ্যে দেশে ৬৬ লক্ষ ১১ হাজার ৫৬১ জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে টিকাকরণ চললেও কোভিডবিধিতে ঢিলেমি করতে রাজি নয় সরকার। তাই আমজনতাকে সামাজিক দূরত্ববিধি এবং মাস্ক পরে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে মহিলা কলেজের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল কলেজ অধ্যাপকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতর নাম মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান(৪০)। এই ঘটনার জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অধ্যাপকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পলাতক স্ত্রীর খোঁজ চালাচ্ছে।পুলিশ ও মৃতর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান শহর বর্ধমানের উদয়চাঁদ মহিলা কলেজর ভূগোলের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি বীরভূম জেলার মাড়গ্রাম থানার একডালায়।বর্তমানে তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সস্ত্রীক থাকতেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই এদিন সকালে বর্ধমানে চলে আসেন আধ্যাপকের বাবা মুজিবর রহমান। তিনি এদিন জানিয়েছেন,গত জুলাই মাসে হোসেনুর রহমানের বিয়ে হয় সুহানা পারভীনের সঙ্গে। এটি তাঁর ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে। মুজিবর বাবু বলেন, তাঁর বৌমা তাঁকে ফোন করে এদিন ভোরে বলে হোসেনুর খুব অসুস্থ পড়েছে। সেইজন্য তাঁকে তাড়াতাড়ি বর্ধমানে চলে আসতে বলে। এরপর থেকেই বৌমার ফোন সুইচড অফ হয়ে থাকে। মুজিবরবাবু জানান, তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাড়িতে পৌ্ঁছে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ কারা রয়েছে। তারই মধ্যে পুলিশ চলে আসে । পুলিশের সঙ্গে তিনিও ঘরে ঢোকেন। তখন দেখতে পান ঘরের মেঝেতে তাঁর ছেলে হোসেনুরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। তার মাথার পিছনের দিকে আঘাতের ক্ষত চিহ্নও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিভাবে ছেলের মৃত্যু হল এবং কেনই বা হোসেনুরকে ফেলে রেখে বৌমা সুহানা পারভীন গা ঢাকা দিল তার সবটাই রহস্যে মোড়া বলে মৃতর বাবা মন্তব্য করেছেন ।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজ্য

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার দশকের সঙ্গী মানিক মজুমদার প্রয়াত

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার দশকের সঙ্গী মানিক মজুমদারের। কোভিড আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। কো-মর্বিডিটি থাকায় সাত দিনের বেশি লড়াই করতে পারলেন না মানিকবাবু। মমতার কালিঘাটের বাড়ির অফিস দীর্ঘ বছর ধরে তিনি সামলেছেন। মানিক মজুমদারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মানিক মজুমদারের মৃত্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস এদিনের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে। জেলা ও রাজ্য স্তরের ঘোষিত সাংবাদিক বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর টুইট বার্তায় মানিক মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন চার দশকের সঙ্গী ছিলেন মানিকবাবু। কালিঘাটের অফিসে মাানিকবাবুর হাসিমুখ আর দেখা যাবে না।

জানুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

শালিমারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলের যুব নেতাকে

আবারও প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনার স্বাক্ষী থাকল হাওড়া। হাওড়ার বোটানিক্যাল থানা এলাকার বাসিন্দা, পেশায় প্রমোটার ধর্মেন্দ্র সিং(৪৫) কে পেছন থেকে বাইকে করে এসে গুলি চালিয়ে খুন করে দূষ্কৃতিরা। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে শালিমার ৩নম্বর গেটের কাছে। এই ঘটনার পেছনে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একের পর এক প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শালিমারে। স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মেন্দ্র সিং বাইক চালিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন, পেছনে ছিলেন এক সঙ্গী যুবক। শালিমার ৩নম্বর গেটের কাছে ব্রীজে ওঠার সময়ে পেছন থেকে তিনটি বাইক নিয়ে দূষ্কৃতিরা এসে তাঁকে লক্ষ করে পর পর ছটি গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই মাটিতে পড়ে যান ধর্মেন্দ্র, হাতে গুলি লাগে তাঁর সঙ্গীর। দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে চম্পট দেয় দূষ্কৃতিরা। স্থানীয়রা তাঁকে তুলে নিয়ে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়সুত্রে জানা গিয়েছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত হওয়ার পাশাপাশি মাথাও গুলি লাগে ধর্মেন্দ্রের। এই ঘটনার জেরে এলাকায় থাকা তিনটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি দোকানে। ভাঙচুরের হাত থেকে বাদ যায়নি বাসও। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার চৌধুরী জানান, বিকেল চারটে নাগাদ ছটি গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন তিনি। এসে দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দূষ্কৃতিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ধর্মেন্দ্র যুব তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনার পেছনে একটা চক্রান্ত আছে, তারমধ্যে বিরোধী দলের হাতও থাকতে পারে। শালিমার এলাকায় দলের নেতৃত্বও দিতেন ধর্মেন্দ্র।মানুষের সেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি আরও জানান , পুলিশকে বলা হয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান, গত ১৬ আগস্ট বেলিলিয়াস রোডে তৃণমূলেরই একটি রক্তদান শিবিরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল এই ধর্মেন্দ্র। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সুরজিৎ আরও বলেন, ওই নেতা এলাকায় তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট চালাতো। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে আরও বাড়ল করোনায় সুস্থতার হার

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ১৫৫ জন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ কলকাতায় (৫৩৯)। প্রত্যাশা মতোই তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সে জেলায় আক্রান্ত ৪৮৫ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়াতেও অব্যাহত সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই তিন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১২৯, ১৩৬ ও ১২১ জন। এদিকে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়তেই লাগামছাড়া হয়ে পড়েছিল দার্জিলিংয়ের করোনা পরিস্থিতি। যদিও বর্তমানে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একদিকে সেখানে আক্রান্ত ৭৩ জন। যদিও সংখ্যাটা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। সবমিলিয়ে বাংলার মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৫০ জন। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে করোনায় আশা জোগাচ্ছে সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হার গত কয়েকদিন ধরেই কমছে অ্যাকটিভ কেস। এদিনও ব্যতিক্রম হল না। বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬০ জনে। একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৭১৭ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭০ জন। সুস্থতার হার ৯৪.৮১। তবে মারণ ভাইরাস এখনও প্রাণ কাড়ছে মানুষের। একদিনে ভাইরাসের বলি ৪৩ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩২০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ২৫৭ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৭ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে করোনায় আশা জোগাচ্ছে সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হার

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২৩৯ জন। যার মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৫৯৫ এবং ৫২৪ জন। এরপরই তালিকায রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই তিন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৫৩, ১১৮ ও ১০০ জন। এদিকে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়তেই লাগামছাড়া হয়ে পড়েছিল দার্জিলিংয়ের করোনা পরিস্থিতি। যদিও বর্তমানে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একদিকে সেখানে আক্রান্ত ৪২ জন। সবমিলিয়ে বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন। গতকালের তুলনায় কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৫ জন। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে মোট করোনাজয়ী সংখ্যা পেরল ৫ লক্ষের গণ্ডি ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৭২৯ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৪ হাজার ৩৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৪.৬৮। তবে মারণ ভাইরাস এখনও প্রাণ কাড়ছে মানুষের। একদিনে ভাইরাসের বলি ৪২ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ২৭৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ৩৫৫ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৬ লক্ষ ২৩ হাজার ৮২০ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে মোট করোনাজয়ী সংখ্যা পেরল ৫ লক্ষের গণ্ডি

গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ২২৪৫ জন, বুধবার যা ছিল ২২৯৩। দৈনিক সুস্থতার হারও বেশি। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৪৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৫ লক্ষ। সুস্থতার হার ৯৪.৫৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি রাজ্যের ৪৪ জন, বুধবার যা ছিল ৪৪। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ২১১, যার মধ্যে এই মূহুর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ১৯,৫৯৭। এ নিয়ে বাংলায় করোনার থাবায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৯২৩৫। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুস্থতার হারে আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলা। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৫ লক্ষ। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২,৪৭৩টি, যার মধ্যে ৮.০৬ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৯২। এই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়িয়ে, আরও দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করার লক্ষ্যে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এখনও সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জেলায় এখনও অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৬৫৮ এবং ৩৮৫৪। করোনাযুদ্ধে এগিয়ে তিন জেলা আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম। এই তিন জায়গাতেই করোনা রোগী একশোর কম।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২৯৩ জন। যার মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৫৪৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানের সংক্রমণের ছবিটাও বিশেষ স্বস্তিজনক নয়। একদিনে এই দুই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬৪ ও ১১২। হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ায় একদিনে সংক্রমিত যথাক্রমে ১১৫, ১১৮ ও ১০৫ জন। সবমিলিয়ে বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ২১১ জন। তবে গতকালের তুলনায় কমেছে অ্যাকটিভ কেস। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ২৬ হাজার বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ হাজার ১৪৩। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৭৬৭ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনাজয়ী ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৭৭ জন। সুস্থতার হার ৯৪.৪৫ শতাংশ। তবে মারণ ভাইরাস এখনও প্রাণ কাড়ছে মানুষের। একদিনে ভাইরাসের বলি ৪৬ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৯১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ২৫৬ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৯২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ২৬ হাজার

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনায় (৫২৩)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা (৫০৩)।দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানের সংক্রমণের ছবিটাও বিশেষ স্বস্তিজনক নয়। একদিনে এই দুই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬৪ ও ১২৩। গত ২৪ ঘণ্টায় আবার হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে অনেকটা নিম্নমুখী করোনায় দৈনিক সংক্রমণ সবমিলিয়ে বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৯১৮ জন। তবে গতকালের তুলনায় কমেছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৬৩ জন। স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যাও। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৯৬৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ১১০ জন। সুস্থতার হার ৯৪.৩৩। তবে মারণ ভাইরাস এখনও প্রাণ কাড়ছে মানুষের। একদিনে ভাইরাসের বলি ৪৫ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৪৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৬৯ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে অনেকটা নিম্নমুখী করোনায় দৈনিক সংক্রমণ

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৩৪জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২৯৮০। এ নিয়ে বঙ্গে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৪.১৮ শতাংশ। রবিবারও রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭১০। সেই তুলনায় সোমবার সংখ্যা কমল অনেকটাই। এ নিয়ে বাংলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৯৫, যার মধ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২১, ৩৮৪। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন করোনার বলি হওয়ায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্য়া দাঁড়াল ৯১০০। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে ফের বাড়ল করোনায় সুস্থতার হার আর সুস্থ হয়েছেন রাজ্যের মোট ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১, ৬৭১টি। এর মধ্যে ৮.১১ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিসংখ্যান অবশ্য এখনও উদ্বেগজনকই। তুলনায় করোনাযুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে সেখানে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২৬৯। কলকাতায় করোনা পজিটিভ রোগী ৫১৫৭।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে ফের বাড়ল করোনায় সুস্থতার হার

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৮০ জন। তবে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ৪৭ জন, শনিবার তা ছিল ৪৪। একই সময়ে রাজ্যে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৯৪ জন, যা দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এ নিয়ে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৩.৯৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুদিনের তুলনায় সপ্তাহান্তে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেশ খানিকটা কম। এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনায় আক্রান্ত ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ২১৫ জন, যার মধ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২২, ৫৭৩। শনিবারের তুলনায় অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বলি হয়েছেন ৯০৫৭। আর মোট সুস্থতার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১৬৫। আরও পড়ুন ঃ দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার খানিকটা বেশি করোনা সংক্রমণের শীর্ষে যথারীতি দুই জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় এখনও অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। তুলনায় উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিসংখ্যান কিছুটা আশা জোগাচ্ছে। এখানে এই মুহূর্তে সাড়ে চার হাজারের সামান্য বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ। করোনাযুুদ্ধে ভাল অবস্থানে রয়েছে দুই তিন জেলা কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম। তিন জেলাতেই করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১০০র কম। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১,২১৮ টি, যার মধ্যে ৮.১২ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal