• ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Press Meet

রাজ্য

জল্পনা খারিজ করে তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন মৌসম

মালদার জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরও শুভেন্দুর পথেই হাঁটছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার জানালেন, আমি তৃণমূলে আছি এবং তৃণমূলে থাকবো। মমতা ব্যানার্জি আমার নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বেই মালদা জেলার সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবো এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে আমরা বুঝিয়ে দেব। এদিন তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কলকাতায় মালদা জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে কোর-কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। সেই বৈঠকে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। তার কারণ, আমার জ্বর হয়েছিল। যেহেতু আমি কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি, তাই কেউ বা কারা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দেয় যে, আমি নাকি দলের উপর বীতশ্রদ্ধ। সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাইছি। কিন্তু এটা সর্বাত্মক মিথ্যা। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে মালদা জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই দায়িত্ব এখনো পালন করে চলেছি। আরও পড়ুন ঃ সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ সিআইডির নেত্রীর নির্দেশ এই দলকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি করা হয়েছে। আগামী বিধানসভায় আমরা ভালো ফল করব। জেলার ১২ টি আসনে তৃণমূলের জয় হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার এবং দলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির উস্কানিও থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

মেদিনীপুর থেকেই রাজ্যে প্রতিনিধিত্ব করবেন শুভেন্দু অধিকারীঃ দিলীপ

পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই বাংলায় পরিবর্তনের সূত্রপাত হবে বলে দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে বালিঘাইতে প্রাতঃভ্রমণ ও চা চক্র করেন তিনি। সেখানে দিলীপবাবু বলেন, বিজেপিতে অনেকে এসেছেন। এসে পদ পেয়েছেন। এমএলএ, এমপি করেছি। মুকুল রায়কে এমপি সহ অনেক পদ দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে বেশি লাফালাফি করলে ওখানে চাকরবৃত্তি করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মেদিনীপুর থেকেই রাজ্যে প্রতিনিধিত্ব করবেন শুভেন্দু অধিকারী। আরও পড়ুন ঃ আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষ , আহত ২ এদিন নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, কোলে চড়া নেতারা ছড়ি ঘোরাবে, তা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। এদিন দিলীপবাবু এগরায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে পাঁচটি বাড়িতে গৃহসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। এদিকে , এদিন সকালে দিলীপ ঘোষের চা চক্র উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছিল একটি মঞ্চ। তার উপর দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা হাতে নিতেও দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় তাঁকে মঞ্চের উপরে ছিলেন বেশ কিছু স্থানীয় নেতা। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই দেখা যায় সবাইকে নিয়ে নীচের দিকে বসে পড়েছে মঞ্চ। যদিও মঞ্চ খুব উঁচু না হওয়ায় তেমন কেউ চোট পাননি। এই ঘটনার পরই মাইক হাতে নিয়ে বসে যাওয়া মঞ্চে দাড়িয়েই দিলীপের কটাক্ষ, আজ মঞ্চ ভাঙল। মে মাসে সরকারটাই ভেঙে যাবে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেবে সরকারঃ মমতা

করোনা পরিস্থিতির জেরে অনলাইনে চলছে ক্লাস। কিন্তু যাদের স্মার্টফোন নেই, তারা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। এবার সেই সমস্যার সমাধানে কল্পতরু হয়ে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে বিনামূল্যে ট্যাব দেবে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়াদের এই ট্যাব দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক ছিল। সেখানেই একথা জানান তিনি। আরও পড়ুন ঃ জানুয়ারিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিন শতাংশ ডিএ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৯ লক্ষ পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে ট্যাব। তাতে কারও বাড়িতে স্মার্টফোন না থাকলেও সে অনায়াসেই করতে পারবে অনলাইন ক্লাস। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে ট্যাব কিংবা কম্পিউটার দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব হবে। অতিমারী পরিস্থিতিতে কমল বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ। এবার থেকে মাত্র ৯৫০ টাকাতেই করা যাবে পরীক্ষা। তার ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত যে যথেষ্ট উপকৃত হবেন, তাতে কোনও দ্বিমত নেই।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুকে নিয়ে সেমসাইড গোল হয়ে গেছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ

সাইডলাইনের বাইরে ছিলেন। এখন সেমসাইড গোল হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। শুভেন্দুকে নিয়ে মাস্টারমশাই এমন ঝটকা খেয়েছেন যে চুপ মেরে গিয়েছেন। প্রাইভেট কোম্পানির চেয়েও খারাপ অবস্থা টিএমসির। শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে সৌগত রায়ের নাম না করে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার তিনি ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন। এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কিছু বলার নেই। বৈঠকেরও এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, মানুষকে অত্যাচার করবেন না, শুধরে যান। মে মাসের পর সব হিসেব হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছে হাসপাতাল সেই কার্ড নেয় না। হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু সেখানে আগে টাকা পরে ডাক্তার। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, এখানে কোথাও চাকরি নেই সব যাচ্ছে বাংলার বাইরে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে তার বক্তব্য, দুয়ারে সরকার করছে। বিডিও নাকি বাড়িতে আসবে? কেউ বিশ্বাস করে এই কথা? কত রকম সাথী কত রকম শ্রী! টাকা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্র নাকি টাকা দেয় না! এরা বাড়ি এলে ছাড়বেন না নারকেল গাছে বেঁধে জবাব চাইবেন! তার কটাক্ষ, জঙ্গলমহলে তিনদিন বসেছিল দিদিমণি। কেউ খেতে ডাকেনি কেউ দেখা করতেও আসেনি। এবার বসার জন্য অন্তত একটা খাটিয়া পেয়েছে এরপরে চাটাই ও পাবেন না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলে স্বাগতঃ মুকুল অভিষেককে কটাক্ষ করে তার মন্তব্য, ভাইপোকে কি ভাগ্নে বলব? আদর করে বলতাম এত রাগ করার কী আছে? তিনি তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, প্রত্যেক নেতা রাত হলেই পার্টি, বোতল। সবকটা নেতার চেহারা দেখুন, টাকা কোথা থেকে এলো? হয় সিন্ডিকেটের টাকা না হলে পঞ্চায়েতের ঝাড়া টাকা। সবকটাকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাব। সব নেতাদের নীল-সাদা বাড়ি গাড়ি। এই বাড়ি গাড়ি মে মাসের পরে ভোগ করতে দেব না। সব অকশন করব। কে কিনবেন ভেবে রাখুন। বুধবার থেকেই ইকো পার্কে তৃণমূল কর্মীরা সব বেচে দে টি-শার্ট পরে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। ঠিক দিলীপ ঘোষ যেখানে রোজ হাঁটতে যান, তার উল্টো দিকে দাঁড়িয়েই তৃণমূল এই কর্মসুচি পালন করছে। আজ দিলীপবাবু বলেন, এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়, শরীরচর্চা করার জায়গা। ওরা সব সিন্ডিকেট করে। মোদীজির ফিট ইন্ডিয়া আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে ওরা শরীরচর্চা করছেন। যদিও ইকো পার্কে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে ঘোরা উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নিউটাউনের যে অঞ্চলে দিলীপ ঘোষ আজ চা-চক্র করেন, সেই এলাকায় সিন্ডিকেটের রমরমা বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে বারবার সিন্ডিকেট ইস্যু ঘুরে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে মিহির, নিশীথকে নিয়ে দিলীপ জানান, ওরা গতকাল রাতে এসেছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে উনারা আমার সঙ্গে কথা বলেন। দলীয় কাজকর্ম শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আপার প্রাইমারি আন্দোলনকারীদের নিয়ে তুলে দেওয়া নিয়ে তার বক্তব্য গোটা রাজ্যে ১৪৪ করা হচ্ছে। কাউকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাদ্রাসার টিচারদেরও আন্দোলনের আগে তুলে নেওয়া হয়। মদন মিত্রের প্যাক আপ পোস্ট নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সন্তুষ্ট করতে এসব কাজ করছেন। পার্টি ও সরকারে নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগে এই কারণে পুরষ্কার চালু করেছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা বিজেপির

রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচির পালটা আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা করল বিজেপি। বুধবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে বলেন, সকলের সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচার, স্বৈরাচারের কথা তুলে ধরা হবে। জানালেন, ৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। ওইদিন থেকে সব বুথে বুথে এই অভিযান শুরু হবে। ১ কোটির বেশি মানুষের কাছে যাবে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন তিনি বলেন, আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ত্রাণের টাকা পায়নি, শুধুমাত্র তৃণমূলের লোকেরাই ত্রাণের টাকা পেয়েছে। তেমনি করোনার সময় মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়েও দুর্নীতি করেছে এই সরকার। এছাড়াও ২০০৯ সালে আয়লা এসেছিল তখন পাঁচ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে আসে কিন্তু তখনও সেই টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়। দিলীপের দাবি, আমফানের তদন্তের সাথে সাথে আয়লারও তদন্ত করা হোক। আরও পড়ুন ঃ ভাতা নয় চাকরি চাই , এই দাবিতে যুবশ্রীদের বিক্ষোভ বর্ধমানে দুয়ারে একুশের ভোট। তাই ডিসেম্বরের পয়লা তারিখ থেকেই মানুষের দুয়ারে সরকার। নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত ১২ প্রকল্প-সহ অভাব, অভিযোগ, সমস্যা শুনতে মঙ্গলবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লকের সমস্ত পরিকাঠামো নিয়ে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগামী দুমাস ধরে চারটি পর্যায়ে হবে শিবির। এখান থেকে ১২টি পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা কার্যত ঘরের দুয়ারে গিয়ে হাতে হাতে পৌঁছে দেবে প্রশাসন। সেই সঙ্গে জনসাধারণের অভাব, অভিযোগ ও সমস্যার কথাও শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটসঅ্যাপ প্রসঙ্গে সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দুকে খুশি করতে বুড়ো খোকারা নেমেছিলেন। কাল রাতে আমার কাছে ফোন এল শুনলাম সব ঠিক হয়ে গেছে। সকলের হাসিমুখ। আবার শুনছি এসব। যুবকরা কিছুতেই তৃণমূলের বুড়ো খোকাদের কথা শুনছে না।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের

বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি রয়েছে। বুধবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে রোজগারের জন্য বাইরে থেকে বাংলায় আসছেন মানুষ। গঙ্গার পাড়ে জুটমিলে বেশিরভাগ বাংলার বাইরের মানুষ কাজ করতেন। বাংলায় যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের অবদান বেশি। রাজ্যে কাজ করা বিহারীরা যদি বহিরাগত হয় তাহলে পিকে কে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শাহরুখ খান বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হওয়া নিয়েও রাজ্যকে কটাক্ষ করেন। আরও পড়ুন ঃ উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল এছাড়াও এদিন ক্যানিং স্ট্রিটের চায়ে-পে-চর্চায় দিলীপ ঘোষ বলেন, এতদিন তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ চলছিল, এখন মানভঞ্জন চলছে। এখানেই শেষ নয়, সরকারি মঞ্চ থেকে দুয়ারে সরকারের নামে দলের প্রচার হলে আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। নির্বাচন কমিশনেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বাবুয়া বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, কে গুন্ডা , সবাই জানে। এছাড়াও প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি যখন যোগাভ্যাস করছিলেন ঠিক সেই সময় কিছুটা দূরে রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাবউদ্দিন কয়েকজন কর্মী নিয়ে সব বেচে দে গেঞ্জি পরে অভিনব কায়দায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান। এই প্রতিবাদের বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এতদিন দিদির অনুপ্রেরণায় সবকিছু কেনাবেচা করছিলেন, এখন দাদার অনুপ্রেরণায় যোগাভ্যাস করছেন। আমি বলছি ওয়েলকাম, খুব ভালো কথা। কে কাকে বেচছে সে তো সবাই জানে। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে সব বেচে দে। চলুন সব বিক্রি করুন। এরপর হবে সব কিনে নে। এই যে কেনা বেচার যে ব্যবসা , এটা পশ্চিমবাংলায় আর চলবে না।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

আমিও বাংলা হরফে লিখে গুজরাতি ভাষা বলতে পারি, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার

আমফানের টাকা নিয়ে এত কথা হচ্ছে। কিন্তু পিএম কেয়ার্সের লক্ষ ্লক্ষ কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল? মঙ্গলবার এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হন বিজেপি নেতারা, তার জবাবে মমতার সাফ কথা দুর্নীতি তো দূরঅস্ত, সরকারের টাকায় চা-ও খান না তিনি। এও জানালেন যে তাঁর লেখা বই বিক্রির টাকাই আয়ের উৎস। নির্বাচনী লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে ফের বলেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি বাংলার মানুষ ছাড়বে না। তাঁর আক্রমণ, সিপিএম বিজেপির সর্দার। পরিকল্পনা করে তৃণমূলের বদনাম করা হচ্ছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই তিনি বলেছিলেন, ডাক পেলে তিনি দিল্লি যেতে প্রস্তুত। আর আজ কেন্দ্রের নয়া কৃষিনীতি নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, অটলজি থাকলে এই আইন সমর্থন করতেন না। আরও পড়ুন ঃ নাম করে অভিষেককে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের তিনি আরও বলেন, টেলিপ্রম্পটারের দৌলতে এখন এ সবই সম্ভব। গুজরাটি হরফে বাংলা লিখে উচ্চারণ করা কোনও ব্যাপারই নয়। বাংলা বললেই বাঙালি হয় না। আমিও গুজরাটি ভাষা বাংলা হরফে লিখে বাংলা বলতে পারি। টেলিপ্রম্পটারে সম্ভব সব। তাই কেউ বাংলা বললেই তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। এছাড়াও দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোট চার দফায় ক্যাম্পগুলি বসবে। প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে ওই ক্যাম্পেই যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যে একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্যাবিনেট বৈঠকে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় জানান, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হল। উইপ্রো জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। সেই আরজি মেনে তাদেরও জমি দেওয়া হবে। এদিকে কলকাতায় আরও একটি ইউনিট খুলতে চলেছে ইনফোসিস। তাঁর কথায়, এই শিল্প তৈরি হয়ে গেলে বাংলার যুব সম্প্রদায় চাকরি পাবে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। তবে শুধু কলকাতা, নিউটাউন নয়। রাজ্যেরে বিভিন্ন প্রান্তেই বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা। জলপাইগুড়িতে একটি সিমেন্ট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নেতার যোগ তৃণমূলে বড় ঘোষণা করা হয়েছে জমির বকেয়া খাজনা নিয়েও। লকডাউনের জেরে মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। আবার মানুষের হাতে টাকারও অভাব রয়েছে। ফলে অনেকেই ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জমির খাজনা মেটাতে পারেননি। ভূমি আইন অনুযায়ী, সেই বকেয়া খাজনা মেটাতে হলে চড়া হারে (৬.২৫%) সুদ দিতে হবে। তাই ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

বিজেপি নেতার যোগ তৃণমূলে

মঙ্গলবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন লিওস কুজুর। ২০১৬-তে কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপি নেতা লিওস কুজুর। তিনি জানান, শাসকদল আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই আদিবাসী মানুষেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করতে পাকরছেন। মানুষের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করলাম। আরও পড়ুন ঃ মাঝেরহাট ব্রিজের নাম জয় হিন্দ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লিওস কুজুর। ২০১৬-তে উত্তরবঙ্গের কুমারগ্রাম বিধানসভার বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, প্রতিদিনই বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্য অনেকে মুখিয়ে রয়েছে। ঠিক সেসময় শ্রমিক ও আদিবাসীদের নেতার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

মাঝেরহাট ব্রিজের নাম জয় হিন্দ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মাঝেরহাট ব্রিজের নতুন নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিজের নতুন নাম হয়েছে জয় হিন্দ। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ৩ তারিখ উদ্বোধন করা হবে মাঝেরহাট ব্রিজ। এবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ১২৫ তম জন্মদিন। সেই কারণে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তার মধ্যে প্রথম হল মাঝেরহাট ব্রিজের নাম পালটে করা হচ্ছে জয় হিন্দ। আমি চাই জয় হিন্দ লোকের মুখে মুখে ফিরুক, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন ঃ সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে পাশাপাশি রাজ্যের লোকশিল্পী ও সাংস্কৃতিক শিল্পীদের জন্য নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, রাজ্যে ৬১৭টি মেলার আয়োজন করা হয়েছে ৷ এই মেলার জন্য লোকশিল্পী ও সাংস্কৃতিক শিল্পীরা উপকারিত হবেন। তিনি আরও দাবি করেন, এই মেলার জন্য ১৫৬ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে। ৩ দশমিক ৬৪ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সমগ্র বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে বাংলা মোদের গর্ব বইটিতে। এদিন বইটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল নেতৃ্ত্বকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

তৃণমূল এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়েদের মতো বুড়ো খোকাদের বার করেছেন সোনার বাক্স থেকে। ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ ফের শাসক দলের নেতৃত্বের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মাঝখানে যত নেতা ছিল হয় পালিয়েছে, নয় চুপ করেছে, আর সবে মুখ খুলতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, যাঁরা দল (তৃণমূল) ছেড়ে পালাচ্ছেন তাঁরা ইঁদুর। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, বাকিরা ইঁদুর হলে সৌগতবাবু কি মোষ? ওঁকে কেউ দলে নেবে না। তাই উনি তৃণমূলে পড়ে রয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতায় জিততে পারেননি বলে কাঁথি গেছেন। তৃণমূল অর্থবদের দলে পরিণত হয়েছে। যাঁরা নেতা ছিল তাঁরা হয় পালিয়ে গিয়েছেন, নয়তো চুপ করে গিয়েছেন। যাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরাই ওই দলে পড়ে রয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি- সরকার এই ধরণের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কিছু পায়নি। পার্টির লোকেরা কাটমানি পেয়েছেন। এগুলো সব স্ট্যান্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে। আর কিছু না। একবার রাস্তায় নেমে জিজ্ঞেস করুন কে স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পেয়েছে, সব লোককে বোকা বানানোর রাস্তা। বাংলার লোক আর বোকা হতে রাজি নন। আগের যে সমস্ত কার্ড দিয়েছিল সেগুলো কোথায় গেল তার হিসাব দিতে হবে আর কেউ ভুলবে না। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক এসে কোন নেতা কী পড়বেন, কী খাবেন, কখন ওষুধ খাবেন-সব ঠিক করে দিচ্ছেন। বাংলায় এমন রাজনীতি আগে ছিল না। এই রাজনীতি বাংলার মানুষ মানতে পারবেন না। তিনি জানান, গুণ্ডা মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তার কোনও জবাব এখনও মেলেনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন

বিজেপির সঙ্গে বাংলার আত্মিক যোগাযোগ নেই। সোমবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, বাংলার জন্য বিজেপির আন্তরিকতা নেই। কিন্তু তৃণমূল বাঙালি অবাঙালি ভাগ করে না। যে গব্বর সিংগুলিকে বাংলায় আমদানি করা হচ্ছে তাদের বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। সেটা সিনেমাতেই ভালো লাগে। ইন্দ্রনীল সেন আরও বলেন, লোকশিল্পীদের পাশে কোনও বিজেপি নেতা দাঁড়ায়নি। লোকশিল্পীদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আরও পড়ুনঃ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ দিলীপ ঘোষের আইনজীবীর রাজ্যের প্রকল্প পৌঁছে দিতে দুয়ারে দুয়ারে সরকার-এর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, রাজ্যের প্রকল্প অনুকরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু কেন্দ্র নয়, অন্য রাজ্যও বাংলাকে অনুকরণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন তিনি তিনি নাম না করে দিলীপ ঘোষকে মিস্টার বিন বলে উল্লেখ করেন। গুন্ডা শব্দ নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে সে বিষয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, অভিষেক ব্যানার্জীর সৎসাহস আছে তাই মঞ্চ থেকে এ কথা বলতে পেরেছেন। বলেন, গুন্ডামি মানুষ সিনেমায়, যাত্রায় বা নাটকে দেখতে ভালবাসে কিন্তু এলাকায় দেখতে অভ্যস্ত নন। বাংলার মানুষ গুন্ডাদের এখানে আমদানিও করবেন না।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

ভাইপোকে খোকাবাবু বলে কটাক্ষ দিলীপের

কে গুন্ডা সে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনেই আমরা দেখেছি। সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অভিষেকের গতকালের মন্তব্যের পালটা আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অভিষেক ৭ কোটি টাকার বাড়িতে থাকে, কনভয়ে ২৫টা গাড়ি ও আরও অনেক কিছু থাকে তাই কে মাফিয়া বোঝাই যাচ্ছে। হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে এসব বলছেন। আদর করে ভাইপো বললে আপত্তি কোথায়। আমি ভাইপো বলি না। আমি খোকাবাবু বলছি। ওঁকে খোকাবাবু বলব না তো কী! উনি কোলে চড়ে রাজনীতিতে এসেছেন, এখনও কোলেই আছেন। দিল্লিতে যুবরাজকে পাপ্পু বলা হয়। পাপ্পু বলা হবে। ভাইপো বললে ক্ষতি কি হয়েছে? চিৎকার চেঁচামিচি করে কিছু হবে না। লোক জানেন সব কিছু। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করে কোনও লাভ নেইঃ সুজিত তিনি আরও বলেন, যে লোকেরা পার্টির জন্য প্রাণ দিল তারা আজ ব্রাত্য আর উনি কোলে চড়ে এসে সাংসদ হয়ে গেলেন। বিগত ১০ বছরে প্রাইভেট প্রপাটি বানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের কালিঘাট থেকে বের করে জায়গা দখল করা হয়েছে। আমাকে গুন্ডা, মস্তান বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যা করছি তা যদি গুন্ডামি হয় তবে তাই। আমি সবে গুন্ডামি শুরু করেছি। গুন্ডামির কিছুই দেখেননি এখনও। অভিষেকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা আইনজীবীরা দেখছেন। তবে ক্ষমতায় এসে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। মানুষ সব দেখছেন ও বুঝছেন। মানুষ তুলতেও পারে-ফেলতেও পারেন।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলেরঃ দিলীপ

এই ডিসেম্বর মাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমি কাল যেটা বলেছি তৃণমূলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট শুরু হয়েছে। তাঁরা এখন ভাঙন ঠেকাতে মরিয়া। যে নেতারা কোনও্দিন বাইরে বেরোন না, তাঁরা বেরোতে আরম্ভ করেছেন। ডিসেম্বর মাসটা তৃণমূলের জন্য খুব চাপের। বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলের।তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। এরপরই ৭ তারিখের সভা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, মানুষ অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু জঙ্গলমহলে কোনও উন্নতিই ঘটেনি মমতা সরকারের আমলে। তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন জঙ্গলমহলে পড়ে থাকলেও কিছু হবে না।শেষ চেষ্টা করে দেখছেন। মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, মিহির গোস্বামী অভিমানে দলত্যাগ করেছেন। এরকম আরো হবে। ফের বাংলাকে গুজরাট বানানোর শপথ নেন তিনি। বলেন, গুজরাটে শিল্প হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে, উন্নতি হয়েছে। তাই বাংলাকে গুজরাট বানাবই। এছাড়াও শুভেন্দু ইস্যুতে দিলীপের বক্তব্য, টিএমসি-র কাউকে বহিষ্কার করার মত শক্তি নেই। তাহলে তো ফাঁকা হয়ে যাবে। সেজন্য আজকে তাঁরা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না। এখন কিছু করতে গেলে পার্টি একবারে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আরও পড়ুন ঃ আগামী ৬ তারিখ পাহাড়ে বিমল গুরুং জেপি নাড্ডা আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত তো সভা করছি। ওনারা সবে নেমেছেন। কারণ, তৃণমূলের ভাষণ শুনতে লোকে আসে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে , দূর দূর থেকে লোক নিয়ে আসতে হয়। তাই একবার পরীক্ষা করে নিচ্ছেন কি পরিস্থিতি। এখন ঘর সামলান আগে, তারপর সভা করবেন। গতকাল অনুকূল ঠাকুরের পুত্রের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সাক্ষাৎ নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, যত ধার্মিক সংগঠন আছে তাঁদের সমস্যা শোনা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজটা আমাদের পার্টি সব সময় করে থাকে। গতকাল মালদহের নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে কয়েকজন নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে বলেন, ওনারা একটু দেখে নিচ্ছেন কে আছেন, কে নেই। এই মাসেই দুধ-জল সব আলাদা হয়ে যাবে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
কলকাতা

নির্বাচন কমিশনে অসত্য তথ্য দিয়েছেন অর্জুন সিংঃ শশী পাঁজা

যারা নিজেরা মিথ্যে কথা বলেন, তাঁরাই অন্যদের অসম্মান করেন। শনিবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাষাতেই আগাগোড়া বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নপত্রেও অর্জুন সিং নিজের সম্পর্কে অনেক অসত্য বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এরপরেই দুটি সংস্থার নাম বলেন তিনি। যার একটি ব্যাঙ্গালুরু ও অন্যটি দুবাইয়ের। দাবি করেন, এই দুটি সংস্থার শেয়ার হোল্ডার অর্জুন সিং। শুধুমাত্র একটি সংস্থাতেই তাঁর ২ লক্ষ টারার শেয়ার রয়েছে। যা তিনি লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেননি। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি হচ্ছে ঝালমুড়ির মতোঃ ফিরহাদ শুধু তাই নয়, এদিন আবারও শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের কথা উল্লেখ করেন শশী পাঁজা। ওই মহিলা অর্জুন সিংয়ের স্ত্রী বলে দাবি করে তিনি বলেন, ব্যাঙ্গালুরুর ওই সংস্থায় শ্রাবন্তী সিনহা রায়েরও ২ লক্ষ টাকার বেশি শেয়ার রয়েছে। তাঁর সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের বিয়ের সার্টিফিকেটও রয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনে সেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন সাংসদ। এর ফলে মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, নিজের স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেননি যেই ব্যক্তি তিনি মহিলাদের সম্মান করবেন কীভাবে? এদিন শশী পাঁজা আরও বলেন, শিবসেনা, অকালি দলের মতো অনেক দলই এক এক করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন এনডিএ-র শরিক হয়েছে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স। শশী পাঁজা অর্জুন সিংকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, সে প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনার যা অভিযোগ , তা নির্বাচন কমিশনে বলুক। প্রকাশ্যে বলছেন কেন? ওরা আমার বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ ্করে। কিন্তু তার কোনটাই ধোপে টেকে না।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিতঃ দিলীপ

তৃণমূল সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পুরো ফেল। কিন্তু পার্টির যে ডিজাস্টার শুরু হয়েছে সেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দিদি এখন খুব ব্যস্ত আছে বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে দল বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ, তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। দিলীপবাবুর কটাক্ষ, পার্টির এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মিটিং এখন নিয়মিত হবে। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে হবে। প্রতিদিনও হতে পারে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মিহির গোস্বামীর দলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরু হয়েছে। আমরা আগেই বলছিলাম অনেকে এমএলএ আছেন যাঁরা জয়েন করবেন। সবে শুরু হয়েছে। দেখুন আরও এমএলএ এমপি আসবেন বিজেপিতে। মাসখানেকের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দশ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু হলে, আজকে এ অবস্থা হত না। লোকে পার্টি ছেড়ে পালাতো না। যে পার্টি থেকে এমপি চলে যায়, এমএলএ চলে যায়, মন্ত্রী চলে যায়, সে পার্টির আছেটা কি! এক মাসের পরে দেখবেন পার্টি বলে কিছু থাকবে না। শুভেন্দুর দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, সবই তো হাতে রেখেছেন। খালি পার্টিটা নিজের হাতে রাখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে আয় করতে বাধ্য হন এখানকার শ্রমিকরা। এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আগে এ রাজ্য থেকে আইএএস, আইপিএস তৈরি হত। তাঁরাই দেশজুড়ে কাজ করতেন। আর এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এখানে এখন স্রেফ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হয়। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, আমাদের ২১৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১ জন দল ছেড়েছে। কোনও সাংসদ দল ছাড়েননি। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি। আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করুন দিলীপ।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোকার বলে কটাক্ষ দিলীপের

নাম না করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি বঁনগায় চা চক্রে যোগ দেন। তিনি আরও বলেন, ওনার মুখ থেকে এখন অনেক জোকস শুনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হয়েও আহাম্মকের মতো কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আক্রমণ করে বলেন, এদের কান ধরে নামিয়ে দিতে হবে। তৃণমূল নেতাদের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না। রাজনীতিতে থাকার কোনও অধিকার নেই এদের। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল ছাড়লেন মিহির গোস্বামী মিহির গোস্বামীর দল ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলে কোনও ভদ্রলোক থাকতে পারবেন না। বিশ্বজিৎ দাস ও দুলাল বর তৃণমূল ছেড়ে চলে এসেছেন। অন্যান্য ভদ্রলোকেরাও দল ছেড়ে দেবেন,

নভেম্বর ২৭, ২০২০
কলকাতা

আমি দলেই আছিঃ রাজীব

আমি দলেই আছি। অন্য ভাবনার কোনও অবকাশ নেই। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে একথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে শুভেন্দু আধিকারীর হয়েও সওয়াল করলেন তিনি। অরাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হলেই এমন নয় যে দল থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু আমার সহকর্মী বন্ধু। আমরা যে কোনও সময়ে অরাজনৈতিক মঞ্চে যেতেই পারি। আমি আজকেও যাব। তার মানে এই নয় যে সেটা দলের বিরুদ্ধ। শুভেন্দু নিজেও জানিয়েছেন যে তিনি দল ছাড়েননি এবং নেত্রী তাঁকে তাড়িয়ে দেননি। সুতরাং জল্পনার কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রাজ্যের সমস্ত পরিবারঃ মমতা প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যেই আমফান পরবর্তী পর্যায়ে প্রকাশ্যে আসে হাওড়া জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। পূর্বতন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপ রায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন ওই জেলার তৃণমূলের নেতারা। পরে দলের সাংগঠনিক রদবদলের মাধ্যমে জেলা সভাপতি বদল করা হয়। পরিস্থিতি এখন তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সেই জল্পনা অতটাও জোরাল ছিল না।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

নেতাজি জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ কমিটি গঠন মুখ্যমন্ত্রীর

বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি হচ্ছে , বলে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নাটক করছেন বিজয়বর্গীয় । ছবি তুলবে বলে গ্রেপ্তারির নামে নাটক করেছেন। মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। রেলের অসহযোগিতায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। রেলের অনুমতি না পাওয়ায় কাজ শেষ করতে ৯ মাস দেরি হয়েছে। না হলে ৯ মাস আগেই শেষ হয়ে যেত। তিনি দাবি করেন, নেতাজি সম্পর্কিত অনেক তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত সব তথ্য সামনে আনেনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ কমিটি গঠন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পরে কলকাতা বিমানবন্দরের নামকরণ নেতাজির নামে করানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এর আগেই অবশ্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কমিটিতে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্মত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়,ব্রাত্য বসু, সুগত বসু শীর্ষেন্দু মুখ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়েরর উপাচার্যরাও স্থান পেয়েছেন এই কমিটিতে। কমিটির চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন তো দেখছি ইতিহাস পরিবর্তন করারও একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের বাদ দিয়ে, যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে রং করা হচ্ছে। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০২১-এর ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২২-এর ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কর্মপন্থা, ভাবাদর্শ, আন্দোলন, দেশপ্রেম চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি থাকবে। নেতাজির স্লোগান জয় হিন্দ গোটা দেশকে সংযুক্ত করে। বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শুধুমাত্র জন্মদিনটি জানি, মৃত্যুদিন এখনও জানি না। আজও তাঁর স্বজন, পরিবার ও সমর্থকরা জানতে পারলেন না, শেষ বিদায়টা আদৌ হয়েছিল কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল তাঁরা এবিষয়ে জানাবে। কিন্তু তারাও জানাতে পারেনি।নেতাজি সম্পর্কিত আজও অনেক সত্য আমরা এখনও জানতে পারিনি। আরও পড়ুন ঃ ধর্মঘট চাইছেন না বাংলার মানুষঃ দিলীপ কৃষকদের পাশে দাঁঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, নয়া কৃষি আইন কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই আইন কালোবাজারি-লুঠেরাদের সাহায্য করছে। ডাকলে আমিও দিল্লি যাব। আপনাদের পাশে দাঁড়াব। আন্দোলন করব। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার কৃষকদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এই আইন কৃষকদের মঙ্গলের জন্য আনা হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, দেশের জনতাকে মেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই চাষিদের ফসল বিক্রির অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, বিজেপি শুধু এক নেতা, এক দল, একার রাজনীতি চায়। আর কিছু না। এই দেশটা আমাদের সবার। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ওঁরা কোথায় ছিল? দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে ওঁরা। আমি সম্পূর্ণভাবে কৃষকদের সঙ্গে আছি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে রামায়ণ, মহাভারত, বাইবেল পড়া শেষ হয়ে যাবে। এছাড়াও বাঁকুড়ায় জোর করে স্থানীয়দের উচ্ছেদের খবর তার কাছে এসেছে বলেও জানান তিনি। রেল ওই এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
কলকাতা

ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রাজ্যের সমস্ত পরিবারঃ মমতা

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল রাজ্যের। কিন্তু এখন বাকি আড়াই কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না এমন প্রত্যেকটি পরিবারই এই প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। কার্ডটি গৃহকর্ত্রীর নামে ইস্যু হবে, সেক্ষেত্রে ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদেরও এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা করাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দুয়ারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করবে। সেখানে গিয়েই আবেদন করতে হবে। যথাসময়ে স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন। তিনি জানান, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে এমনিতেই বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। এই স্মার্টকার্ডের ফলে এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা মিলবে। শুধু তাই নয়, ভেলোর ও এইমসে চিকিৎসার সুবিধা মিলবে। এরজন্য রাজ্য অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে বলেও দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র তারাতলা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রকাশ্যে এনে তার সঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার তুলনাও করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, আয়ুষ্মান প্রকল্পে কেন্দ্রে চিকিৎসার ৬০ শতাংশ খরচ দেয়, ৪০ শতাংশ আমাদেরই দিতে হয়। আর আমাদের প্রকল্পে ১০০ শতাংশ খরচই দিই আমরা। এতে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হন। এ প্রসঙ্গেই তিনি কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য অর্থ নিয়ে ফের সরব হন। ফের অভিযোগ তোলেন যে রাজ্যগুলোর প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। সেই অর্থ হাতে না পেয়েও এত রকমের প্রকল্প করা হচ্ছে প্রতিকূলতা কাটিয়ে, তা দৃষ্টান্ত বলেও দাবি করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal