• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MP

রাজনীতি

Nishith Pramanik: নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন

প্রশ্ন উঠে গেল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে।রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ রিপুণ বোরার করার অভিযোগের ভিত্তিতে নিশীথ প্রামাণিকের নাদরিকত্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। নিশীথ প্রামাণিক কি বাংলাদেশি? শুক্রবার এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও লিখেছেন বোরা। শনিবার সেই চিঠিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সমালোচনার সুযোগ পেয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।BarakBanglaNews, RepublicTV Tripura, IndiaToday Business Standard publishes, @NisithPramanik is a Bangladeshi national. Its a matter of grave concern that a foreign national is an incumbent union minister. Urging PM @narendramodi in a letter to conduct an enquiry to clarify it. pic.twitter.com/5Td0xIoG8n Ripun Bora (@ripunbora) July 17, 2021মোদিকে লেখা রিপুণের চিঠি পোস্ট করে তাঁদের দাবি, কোনও বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এর জবাবে রাজ্য বিজেপি-র বক্তব্য, কুৎসা না করে কোনও প্রমাণ থাকলে দিক তৃণমূল। অসমের কংগ্রেস নেতা রিপুন মোদিকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উল্লেখ করে দাবি করেছেন, নিশীথ আদতে বাংলাদেশের পলাশবাড়ির হরিনাথপুরের বাসিন্দা। ভারতে কম্পিউটার কোর্স করার নামে আসার পরে কোচবিহারে থেকে যান। প্রথমে তৃণমূলে এবং পরে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। রিপুন আরও দাবি করেছেন, যে নথি দেখিয়ে নিজেকে কোচবিহারের বাসিন্দা বলে নিশীথ দাবি করেছেন তা ভুয়ো। জালিয়াতি করে তৈরি বলেও অভিযোগ তুলেছেন রিপুণ।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিক গেমস ভিলেজে করোনার হানা, আক্রান্ত ১ অ্যাথলিটসেই চিঠির কথা উল্লেখ করেই ব্রাত্য টুইটারে লিখেছেন, রাজ্যসভার সাংসদ রিপুণ বোরা সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। বহু সংবাদমাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে। এই ধরনের লোককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার আগে কি কোনও কিছুই খতিয়ে দেখা হয়নি? ভুলে গেলে চলবে না এই নিশীথের বিরুদ্ধে কতগুলি গুরুতর অপরাধমূলক মামলা চলছে। লজ্জাজনক। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল দেশের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

জুলাই ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Mimi Chakraborty: বাড়িতে জগন্নাথ বন্দনা করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী

সোমবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তেজগন্নাথ মন্দিরেসাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। পুরী, ওডিশার পাশাপাশি এই বাংলাতেও জগন্নাথ বন্দনায় মেতেছেন আম আদমি থেকে তারকারা। রথযাত্রার শুভেচ্ছা সকলকে ...জয় জগন্নাথ 🙏🙏 #RathYatra pic.twitter.com/kVBSSnX3tS Mimssi (@mimichakraborty) July 12, 2021জগন্নাথ দেবের পুজোয় সামিল হলেন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সোমবার সাংসদ, অভিনেত্রীর বাড়িতেই আয়োজিত হয় জগন্নাথ দেবের পুজোর। হলুদ প্রিন্টেড সালোয়ার কামিজ পরে মাথায় সাদা ওড়না ঢাকা দিয়ে পুজোয় সামিল হন মিমি। যজ্ঞের আগুনে আহুতি দিতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সেই ছবি পোস্ট করে মিমি ক্যাপশানে লিখেছেন জয় জগন্নাথ। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মিমির পোস্ট করা ভিডিয়োতে ফুল, লুচি, মিষ্টি, ফল সহকারে দুই পুরোহিতকে পুজো করতে দেখা গিয়েছে। একজন পুরোহিতকে জগন্নাথ দেবের পুজো করতে এবং অন্যজনকে গণেশ আরতি করতে দেখা গিয়েছে। পাশে মাথায় ওড়না ঢাকা দিয়ে পুজোর সামনে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে মিমিকে। মিমির এই পোস্ট দেখে তার ফ্যান থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই কমেন্ট করেছেন।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজনীতি

Soumitra Khan: ফের ফেসবুকে পোস্ট করে কাকে বার্তা দিলেন সৌমিত্র খাঁ?

জল দুধের সাথে বন্ধুত্ব করল এবং নিজের স্বরূপ ত্যাগ করে দুধের সঙ্গে মিশে গেল। ফেসবুকে ফের দীর্ঘ পোস্ট দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর তাঁর এই পোস্ট ঘিরেই নতুন করে জল্পনা শুরু হতে চলেছে। সাংসদের ব্যাখ্যা, শিক্ষা ও শিক্ষিত ছাত্রের মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে পড়েছেন। বেনোজলরা এখন চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। সেটাই বলতে চেয়েছেন। তবে, রাজনৈতিক মহলে কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর এই পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে যখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বাংলার চার সাংসদ, তখন যুবমোর্চার সভাপতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সৌমিত্র খাঁ। রাতে আবার জানান, বিএল সন্তোষ, অমিত শাহ ও তেজস্বী সূর্যের নির্দেশে ইস্তফার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন! মাঝে আবার ফেসবুক লাইভে এসে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। বলেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। আমি এলাকায় না প্রবেশ করে জিতেছি। আমার মনে হয়েছে যুবমোর্চার পদ দিয়েছে দল। লড়াই করেছি। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে। এখন যিনি নেতা হয়েছেন পুরো ফোকাস এক জায়গায় চলে গিয়েছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন। সৌমিত্রের কথায়, মাননীয় সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলা বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না। নতুন নেতা এসে দিল্লির নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করেছেন। দলটা একটা জেলার মধ্যে চলে যাচ্ছে। পরিষ্কার বলছি, নরেন্দ্র মোদি যতদিন বাঁচবেন বিজেপি করব।এরই মধ্যে ফের একবার ফেসবুক পোস্ট করে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করলেন সৌমিত্র।

জুলাই ১০, ২০২১
রাজনীতি

Soumitra Khan: সিদ্ধান্ত বদল, পদত্যাগ প্রত্যাহার করলেন সৌমিত্র খাঁ

দুপুরে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রত্যাহার। ফেসবুকে সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ, অমিত শাহ ও তেজস্বী সূর্যর নির্দেশেই ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় মন ভেঙে যায় সৌমিত্রর। দুপুর ১টা পর্যন্ত দিল্লির ফোন পাওয়ার আশায় ছিলেন। মুকুল রায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি। তবে ফোন আসেনি। বেশ কয়েকবার শিব প্রকাশকে ফোন করেন। ডাক আসছে না, নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। লেখেন,আজ থেকে ব্যক্তিগত কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। বিজেপিতে ছিলাম, আছি আর আগামী দিনে বিজেপিতেই থাকব। আরও পড়ুনঃ টিকা না নিয়েই সার্টিফিকেট, সমস্যার সমাধানে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরতার পর ফেসবুক লাইভে এসে শুভেন্দু ও দিলীপকে আক্রমণও করেন সৌমিত্র। দিল্লির নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু, সাড়ে ৯ মিনিটের ভিডিওয় আগাগোড়া এই অভিযোগই করে গিয়েছেন। সৌমিত্রর কথায়, এক নেতা এসেছেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। আমি এলাকায় না প্রবেশ করে জিতেছি। আমার মনে হয়েছে যুবমোর্চার পদ দিয়েছে দল। লড়াই করেছি। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে।তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন। সভাপতির কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি বলে দাবি করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন,সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলা বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না। নতুন নেতা এসে দিল্লির নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করেছেন। দলটা একটা জেলার মধ্যে চলে যাচ্ছে। ফেসবুকে এমন অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পর বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত বদলান সৌমিত্র খাঁ। ফেসবুকে তিনি জানান,বিএল সন্তোষজি-র নির্দেশে তাঁর সম্মান রাখতে আমি ইস্তফা প্রত্যাহার করলাম। এছাড়াও অমিত শাহ ও তেজস্বী সূর্যও তাঁকে ভরসা দেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বদল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

জুলাই ০৭, ২০২১
দেশ

Local Train: লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি স্বপন দাশগুপ্তর

রাজ্যে যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি চলছে তার নিন্দা আগেই করেছে বিজেপি। এ বার রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি জানাল গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বৃহস্পতিবারই লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি-সহ টুইটও করেছেন স্বপন। লিখেছেন, রাজ্যে এখন যে লকডাউন চলছে তা খামখেয়ালি এবং শৃঙ্খলাহীন। এই দাবির সঙ্গে গয়ালকে চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধা করে দিতে রেলমন্ত্রী হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনি আশা করি উদ্যোগী হবেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলার মানুষ আপনার পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার,-এর পর এবার পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে পুলিশবিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে গত ৬ মে রাজ্যে করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ চালু করা হয়। রাজ্য সরকার সেটাকে লকডাউন না বললেও কার্যত সেই পরিস্থিতিই তৈরি হয়। লোকাল ট্রেন চলাচল সেই থেকেই বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বিধিনিষেধে রাজ্য সরকার অনেক ছাড় দিলেও এখনও লোকাল ও মেট্রো রেল চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী বিক্ষোভও হয়েছে।The terms of the lockdown in W Bengal are whimsical. Buses are allowed but local trains Kolkata Metro are not. Commuters are facing enormous hardship loss of livelihood. I have today requested the Rail Minister to initiate the process of resumption of services. pic.twitter.com/5jQ6LOrb1L Swapan Dasgupta (@swapan55) July 1, 2021বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে বিধিনিষেধে নতুন ছাড় শুরু হচ্ছে। এই সময় ট্রেল চলাচল স্বাভাবিক না হলেও কিছু ছাড় মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই জানিয়েছেন, এখন ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ এক লাফে বেড়ে যাবে। তারই বিরোধিতা করে রেলমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে স্বপন দাবি করেছেন, গত ১৫ দিনে রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেক ছাড় মিলেছে। অফিস, থেকে রেস্তরাঁ, জিম, সেলুন ও পার্লার চালু হয়েছে। লোকাল বাসও চালু হয়েছে। কিন্তু ট্রেন চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যে অল্পসংখ্যক গণপরিবহণ চালু রয়েছে তাতে খুবই ভিড় হচ্ছে। সুতরাং লোকাল ট্রেন চালু হলে যাত্রী সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।

জুলাই ০১, ২০২১
রাজনীতি

BJP on Delimitation: সৌমিত্রকে জরুরি তলব দিল্লিতে

বিকেলেই কিছুটা রুষ্ট সুরে শাসানি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাত হতে না হতেই সৌমিত্র খাঁ-কে ডেকে পাঠালেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাঢ়বঙ্গকে পৃথক রাজ্য দেখতে চাওয়ার দাবি করে এ বার দলীয় নেতৃত্বের রোষানলের মুখে পড়তে হতে পারে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে। ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। যদিও লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হল, শুধুমাত্র সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কেই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে ডেকে পাঠানো হয়নি।আরও পড়ুনঃ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতা জারি, এবার নিস্তার নেই শিশুদেরও , বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাসৌমিত্রর উপর যে কোপ নেমে আসবে তার ইঙ্গিত অবশ্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই মিলেছিল। মঙ্গলবার সকালে রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ নিজেও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সকলে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁর মন্তব্যের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে, তা জানানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। এরপরই বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দিলীপ আবারও জানিয়ে দেন, বিজেপি এই দাবিকে সমর্থন করে না। দিলীপ বলেন, দলে থাকতে গেলে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে।এরপরই কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হন সৌমিত্র। রাঢ়বঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বলে এ দিন তিনি জানান। সৌমিত্র জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সতর্ক করেন জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁ-কে। দিলীপ জানান, দল দুই সাংসদের সঙ্গে কথা বলবে।মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা বিতর্কের রেশ অবশ্য বাংলার রাজনৈতিক গণ্ডিতেই আটকে ছিল। তবে এ বার তার রেশ দিল্লিতেও ধাক্কা মারল। গত কয়েকদিন ধরে চলা এই বিতর্ক নিয়ে দিল্লির নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন। কিন্তু, এ বার নাড্ডার তলব স্পষ্টত বুঝিয়ে দিচ্ছে, সৌমিত্র খাঁ-র মন্তব্যকে ভাল চোখে দেখছে না দল।

জুন ২২, ২০২১
রাজ্য

Soumitra Khan: উত্তরবঙ্গের পর পৃথক রাজ্যের দাবি সৌমিত্রেরও

দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ। স্রেফ এই অভিযোগ তুলেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি (BJP) সাংসদ জন বার্লা। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। দলের কেউ কেউ তাঁকে সমর্থন করেছেন, কেউ আবার বিরোধিতা। এসবের মাঝেই নতুন করে বিতর্ক উসকে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে যোগাভ্যাসের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুন্নয়ন নিয়ে বার্লার দাবিকে সমর্থন জানালেন তিনি। বললেন, রাঢ়বঙ্গও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এখানকার কোনও যুবকের চাকরি হয় না। এখানকার সম্পদ নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। কিন্তু উন্নয়নের লেশমাত্র নেই। এখন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতেই পারে।আরও পড়ুনঃ দিলীপের নিশানায় রাজ্য সরকারবঙ্গভঙ্গ চাইছে বিজেপি। জন বার্লার দাবির পর থেকে এই অভিযোগে সরব শাসকদল তৃণমূল (TMC)। দলের নেতারা এর বিরোধিতায় তীব্র সমালোচনায় মুখর। এই অবস্থায় সৌমিত্র খাঁর দাবি ঘিরে আরেকপ্রস্ত বিতর্কের অবকাশ তৈরি হল। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে বলব, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বহিরাগত শব্দটি এনেছেন, তাতে এই দাবি উঠবেই। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আমাদের এলাকার মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের চাকরি নেই। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্যের কোষাগারে যাচ্ছে। আমরা কিছু পাচ্ছি না। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গ থেকেও পৃথক রাজ্যের দাবি উঠবে। অর্থাৎ যে কোনও বঞ্চনার শিকার হলেই পৃথক রাজ্যের দাবি ওঠাকে যুক্তিসঙ্গত বলেই মনে করেন সৌমিত্র খাঁ। জন বার্লার পর সৌমিত্র খাঁ। প্রায় একইসুরে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির একের পর এক নেতার বক্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।

জুন ২১, ২০২১
রাজ্য

BJP MP: আক্রান্ত জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ, অভিযুক্ত তৃণমূল

ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের (BJP Workers) ঘরে ফেরাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায় (Jayanta Kumar Roy)। আঙুল উঠল তৃণমূলের (TMC) দিকে। সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা তাঁকে বাঁশ দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীরাও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ জয়ন্ত কুমার রায়।জানা গিয়েছে, এদিন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভান্ডারীগঞ্জ এলাকার ১৩ জন সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মী এক মাসের ওপর ঘরছাড়া হয়ে একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়ের দাবি, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর এদিন বিকাল ৪টা নাগাদ তাঁদের বাড়ি ফেরাতে যান তিনি। ঠিক ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে তিনি-সহ আরও দুজন গুরুতর জখম হন বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। তাঁর আরও অভিযোগ, যখন তাঁদের এভাবে মারধর করছে দুষ্কৃতীরা, তখন দূর থেকে পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, বাংলায় আইনের শাসন বলে কিছুই নেই।Fascism at its peak in Bengal. Today @AITCofficial goons attacked me and our party workers at Rajganj. Savagery and lawlessness are the order of the day today in Bengal. @HMOIndia @PMOIndia @jdhankhar1 @narendramodi @AmitShah @BJP4Bengal @DilipGhoshBJP pic.twitter.com/E5MF93Mf5q Dr. Jayanta Kumar Roy (@JayantaRoyJPG) June 11, 2021টুইটারে বিজেপি সাংসদ লেখেন, বাংলায় ফ্যাসিবাদ চরমে উঠেছে। আজ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা আমাকা ও আমার কর্মীদের আঘাত করেছে। বর্বরতা ও অপশাসন চলছে আজ বাংলায়। সেই টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরা ষ্ট্রমন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও দিলীপ ঘোষদের উদ্ধৃত করেন বিজেপি সাংসদ। আপাতত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জয়ন্ত কুমার রায়। যদিও বিজেপি সাংসদের উপর তৃণমূলের হামলার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির।

জুন ১১, ২০২১
রাজ্য

সেফ হোম ও কমিউনিটি কিচেন খুললেন নুসরত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটে রোগ মোকাবিলার পথে হেঁটেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই উঠছে হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের আকালের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের ভাল রাখার উদ্যোগ অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের। ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজে সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খুললেন তিনি।বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের এহেন উদ্যোগকে নেটদুনিয়ায় কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। করোনা কালে এই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খোলার ভাবনা সত্যিই যথেষ্ট ভাল বলেই জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে অনেকেই আবার তাঁর এই কাজের সমালোচনাতেও মুখর। সাংসদ হিসাবে নুসরত সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি বলেই দাবি তাঁদের। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। মুসলমান পরিবারের সন্তান হয়ে শাঁখা, পলা পরা হোক কিংবা সাহসী পোশাকে ফটোশুট বারবার নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হন বসিরহাটের সাংসদ। প্রতিবারের মতো এবারও সমালোচনায় কান দিতে নারাজ নুসরত। পরিবর্তে বসিরহাট বিধানসভার প্রতিটি কেন্দ্রে সেফ হোম তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হত না বলেও জানিয়েছেন নুসরত। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে কোভিডবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মে ২৩, ২০২১
কলকাতা

এবার অর্জুন সিং ও তাঁর ভাইপোকে তলব সিআইডির

এবার সিআইডির নজরে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। আর্থিক জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগে বিজেপি সাংসদকে তলব করল তদন্তকারী সংস্থা। যদিও অর্জুনের দাবি, তিনি কোনওরকম প্রতারণাতে জড়িত নন। তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।ভাটপাড়া পুরসভা এবং ভাটপাড়া কো-অপারেটিভ ব্যাংকের টাকা তছরুপের অভিযোগে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংকেও হাজিরার নোটিস দিয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সব মিলিয়ে অর্জুনের বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ সিআইডির একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবনে। সেসময় বাড়িতে ছিলেন না ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। বাড়ির বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন সিআইডি কর্তারা। কিন্তু তখনও অর্জুন না ফেরায় ভবানী ভবনের তরফে মজদুর ভবনের দেওয়ালে নোটিস সেঁটে দিয়ে আসা হয় সিআইডি তরফে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর আর্থিক তছরুপের দায়ে দায়ের হওয়া অভিযোগের তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। আগামী ২৫ মে সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে সিআইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মূলত ভাটপাড়া কো-অপারেটিভ ব্যাংকের অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে অর্জুনের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার টেন্ডার বেআইনিভাবে পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। যে মামলায় আবার ইতিমধ্যেই পুরসভার এক কর্মী এবং এক ঠিকাদার গ্রেপ্তার হয়েছেন। যদিও এখনই অর্জুনের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা নেই। তাঁর দাবি, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়া আছে তাঁর। বিজেপি সাংসদের সাফ কথা, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়া আছে আমার। আমাকে ডাকতে পারে, কিন্তু গ্রেপ্তার করতে পারবে না। পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা।

মে ২১, ২০২১
রাজ্য

আইকোর মামলায় এবার মানস ভুঁইঞাকে তলব ইডির

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার ভুয়ো আর্থিক সংস্থা আইকোর মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব পেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা। সূত্রের খবর, তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে ওই নোটিসে। পাশাপাশি, একই মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছে মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রকে। তাঁকে ২৩ তারিখ ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইডির এই নোটিস প্রাপ্তি নিয়ে কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।এর আগে বুধবার রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আগামী সপ্তাহে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই আইকোর মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে তিনি পরে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, আইকোরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও বাপ্পাদিত্যকে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। চিটফান্ড সংস্থাটির সঙ্গে তাঁদের আর্থিক কোনও লেনদেন ছিল কি না, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবার আইকোর মামলায় ইডির সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মানস ভুঁইঞাও। তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তৃণমূলের আরেক নেতা মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এভাবে বিভিন্ন মামলায় শাসকদলের নেতাদের স্ক্যানারে এনে চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। আইকোর মামলায় ইডির নোটিস পেয়ে কি মানস ভুঁইঞা সরাসরি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন নাকি অন্যভাবে সাড়া দেবেন, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
কলকাতা

‘মমতার পা ভেঙেছে, মন ভাঙতে পারেনি’, প্রচারে এসে বললেন জয়া

বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ নয়, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসে নিজেকে বাংলার মেয়ে হিসেবে তুলে ধরলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। বললেন, আমি জয়া বচ্চন। আগে জয়া ভাদুড়ি ছিলাম। বাবার নাম তরুণ কুমার ভাদুড়ি। আমরা প্রবাসী বাঙালি।রবিবারই কলকাতায় এসেছেন জয়া বচ্চন। সোমবার শুরু করলেন তৃণমূলের হয়ে প্রচার। তার আগে তৃণমূল ভবনে একদিকে দোলা সেন ও অন্যদিকে পূর্ণেন্দু বসুকে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখানেই শুরুতে নিজেকে প্রবাসী বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করেন জয়া। ভিন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে আসা নিয়ে শুরু থেকেই বহিরাগত অভিযোগে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। সেখানে জয়ার প্রচারে অংশ নেওয়া নিয়ে যাতে গেরুয়াশিবির পাল্টা প্রশ্ন তুলতে না পারে সেই রাস্তাই যেন শুরুতে বন্ধ করে দিলেন জয়া।স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জয়া। বলেন, অভিয়ন করতে আসিনি। যে কাজ দেওয়া হয়েছে, পালন করতে এসেছি। বলিউডের বাঙালি তারকা মিঠুন চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রচারে নামিয়েছে বিজেপি। তার জবাব দিতেই জয়াকে তৃণমূল আসরে নামিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর একটা পা বাংলায় ছিল, কিন্তু জয়ার তা ছিল না। সাংবাদিক বৈঠকে বেশির ভাগ সময়ই বাংলায় কথা বলেন জয়া। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলার মাটি, বাংলার জল গানের দুটি লাইন পাঠও করেন জয়া।২০০৬ সালে জমি আন্দোলনের সময় থেকে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের। সেই দলেরই রাজ্যসভার সাংসদ জয়া। সে কথা বৈঠকের শুরুতেই মনে করিয়ে দেন দোলা সেন। দোলার কথার সূত্র ধরেই জয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই একা লড়ছেন মমতাজি। ওঁর মাথা ফাটিয়ে, পা ভেঙেও থামাতে পারেনি বিরোধীরা। ভাঙতে পারেনি হৃদয়। উনি বাংলাকে শ্রেষ্ঠ রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছেন। আমি জানি যে কাজটা উনি করতে চান, তা সম্পূর্ণ করবেন। শেষে মমতা বিরোধীদের জয়ার কটাক্ষ, মমতাকে যাঁরা বাজে কথা বলছেন, তাঁদের জন্য একটাই কথা, লজ্জা, লজ্জা!সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের আগে জয়াকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। ছিলেন দোলা সেন ছাড়াও সমাজবাদী পার্টির এই রাজ্যের কয়েকজন নেতা। জয়ার মাথায় ছিল সমাজবাদী পার্টির লাল টুপি। নিজের দলের কথা উল্লেখ করে জয়া বলেন, অখিলেশজি আমাকে বলেছিলেন, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের সমাজবাদী পার্টি তৃণমূলকে সমর্থন করছে। আমাকে প্রচারে আসতে হবে। আমি খুব খুশি হয়েছি। অখিলেশ যাদব ও মমতাজিকে ধন্যবাদ জানাই। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার ধর্মকে আমি অপহরণ করতে দেব না। আমার গণতন্ত্রকে অপহরণ করতে দেব না। মমতা একজন মহিলা, যিনি সমস্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একা লড়াই করছেন। মহিলাদের জন্য নিরাপদতম রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেটা তৈরি করেছেন মমতা।

এপ্রিল ০৫, ২০২১
রাজ্য

ভাটপাড়ায় দফায়-দফায় বোমাবাজি

ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। কোথাও বোমাবাজি তো কোথাও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। যেমন বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক ভাটপাড়া। দাপুটে সাংসদের বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনেও যাবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভাটপাড়ার ১৮ নং ওয়ার্ডে ৮ নং গলিতে এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। ৮-১০টি বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। সেই সময় এক বৃদ্ধ জখম হয়। উল্লেখ্য, এই এলাকাতেই সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ি। বোমাবাজির সময় বাড়ি ছিলেন না সাংসদ। সন্ধেতে এলাকায় জগদ্দল থানার পুলিশ আসে। তাঁদের সামনেই ফের বোমাবাজি হয়। তখন ঘটনাস্থলে আসেন সাংসদও। অভিযোগ, সেই সময় অর্জুন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে দ্বিতীয় দফা বোমবাজিতে এক ১৪ বছরের কিশোর জখম হয় বলে খবর।এদিকে ঘটনাটি যখন ঘটে সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন সাংসদ। সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন অর্জুন সিং। বোমাবাজির ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা। রাতে ব়্যাফ নামানো হয়েছিল বলে খবর। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সাংসদের কথায়, তৃণমূলের দালালি করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থায় নিচ্ছে না তারা।

মার্চ ১৮, ২০২১
রাজ্য

শান্তিকুঞ্জে পাত-পেরে খেলেন লকেট, সারলেন 'সৌজন্য সাক্ষাৎ'

শনিবার দুপুরে শান্তিকুঞ্জে গিয়ে শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন অধিকারী পরিবারের অতিথি হিসেবে সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন লকেট। তাঁকে ভাত, স্যালাড, মৌরলা মাছের ঝাল দিয়ে সামনে বসিয়ে খাওয়ালেন শিশির অধিকারী নিজে ও বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। শিশির অধিকারীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন লকেট। কুশল বিনিময় ছাড়াও আগামী ২০ মার্চ কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় উপস্থিত থাকার জন্য কাঁথির প্রবীণ সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে মনে করা হয়। যদিও, সাক্ষাৎ শেষে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বিজেপি সাংসদ গোটা বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করেন। বলেন, শিশিরবাবু আমার কাজের প্রশংসা করলেন। আবার আসতে বলেছেন। সবাই যত্ন করে খাওয়ালেন। মেয়ের মতোই দেখেন সেভাবেই কথা হয়েছে। খুবই ভাল লাগলো। মেদিনীপুরে কোনও খেলা হবে না। এখানে ভূমিপুত্রই জিতবে।শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে থাকলেও সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ও বাড়ির মহিলা সদস্যরা। বাড়িতেই ছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। সূত্রের খবর তাঁরও পদ্ম শিবিরে আসা সময়ের অপেক্ষা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, মেদিনীপুর মানেই শান্তিকুঞ্জ , অধিকারী পরিবার। তাই ওনার আশীর্বাদ তো নিতেই হবে।শিশির বাবু বলেন, যে কেউ আসতেই পারেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন তিনিও। প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পরই আহত মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খারিজ করে দেন শিশির অধিকারী।

মার্চ ১৩, ২০২১
কলকাতা

ফের বেসুরো শতাব্দী

এবার ফের কিছুটা বেসুরো শোনা গেল শতাব্দী রায়কে। দোড়গোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মসনদ দখলে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলই। ফলে নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তারা। কারণ, প্রতিপক্ষকে বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নয় কেউ। তৃণমূল একশো শতাংশ আশাবাদী যে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিয়ে সেই প্রার্থনাই করলেন শতাব্দী রায়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। লাগাতার দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী বলেন, যাঁরা সম্মান পাচ্ছেন না, তাঁরা দল ছাড়ছেন। দলের উচিত তাঁদের কথা ভাবা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা। অর্থাৎ ফের বেসুরো শতাব্দী। যদিও এহেন দলবিরোধী মন্তব্যের পাশাপাশি সাংসদ বলেছেন, দলের কর্মীদেরও উচিত এই খারাপ সময়ে নেত্রীর পাশে থাকা। মান-অভিমানের পালা মিটে যাওয়ার পর কেন দলবদল নিয়ে এহেন মন্তব্য করলেন শতাব্দী? তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শতাব্দীর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমরা সবাই তৃণমূলের হয়ে লড়ছি। যাঁরা নিজেদের স্বার্থে দলে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

মার্চ ০৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

ডিভোর্সের নোটিস নিখিলের! কী বললেন নুসরত, জানুন

তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল আগে থেকেই। এবার নয়া জল্পনা, স্ত্রী নুসরত জাহানকে নাকি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস দিয়েছেন নিখিল জৈন। যদিও তা ভুয়ো খবর বলে দাবি অভিনেত্রীর। অক্টোবরের পর থেকে নিখিলের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নুসরতের সঙ্গে তাঁর আর কোনও ছবি দেখা যায়নি। নুসরতের প্রোফাইলেরও প্রায় একই পরিস্থিতি। এর মধ্যেই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক নিয়েও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা রয়েছে একথা মেনে নিয়েছেন নুসরত। নিজের ছবি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোড করে তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছিল, কোনও মানুষ আপনার সঙ্গে যেমন ব্যবহার করবে সেটা তার কর্ম। আর আপনি তার উত্তর কীভাবে দেবেন তা আপনার কর্ম। তাঁর এমন পোস্টকে কেন্দ্র করে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল, নুসরত ও যশের উদ্দেশেই কি এই বার্তা দিলেন নিখিল?গত বছর থেকেই শোনা যাচ্ছিল নুসরত-নিখিলের সম্পর্ক ভাঙনের মুখে পড়েছে। এমনকী, নিখিলের সঙ্গে থাকছিলেনও না অভিনেত্রী-সাংসদ। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি আলাদা থাকছেন বলে জানিয়েছিলেন নুসরত। এর মধ্যেই তাঁর রাজস্থান সফরের পর থেকেই শুরু হয় যশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা। যদিও এই সব জল্পনাকে কার্যত উড়িয়ে দিতেই দেখা গিয়েছে নুসরতকে।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
রাজ্য

'রিগিং আমরা করব, ওরা দেখবে'

রিগিং আমরা করব ওরা দেখবে, আমরা জিতব। মন্তব্য বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এর।বুধবার বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার দ্বিতীয় সভায় বক্তব্য রাখতে এসে এই মন্তব্য করেন সৌমিত্র বাবু। তিনি বলেন, খন্ডঘোষ রায়নার তৃণমূল নেতা নবীন ও ফাগুনকে ভয় পাবেন না। ওরা হাটুর নীচে থাকবে। রিগিং যদি করতে হয় আমরা করব, ওরা দেখবে।বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি মাফুজা খাতুন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের নেতাদের ব্লাড টেস্ট করাচ্ছেন না। ব্লাড টেস্ট করালেই সব তৃণমূল নেতারা বিজেপি পজিটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর মা ক্যান্টিন প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলেন দ্বিতীয় দিনে ফুল ডিম হাফ হয়ে গিয়েছে।এই সভায় সৌমিত্র খাঁ, মাফুজা খাতুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া-সহ জেলার বিজেপি নেতৃত্ত্ব।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
দেশ

"দল ছেড়ে ভালই করেছেন, নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন"

নাটকীয় ভাবে তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদপদও ছেড়ে দিয়েছেন। বস্তুত, রাজ্যসভাতেই তাঁর ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন দীনেশ। বলেছেন, আমার রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। অথচ আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমি রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমি থেকে আসা মানুষ। তাই এটা আমি আর দেখতে পারছি না। আমি একটি দলে আছি। তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। এর চেয়ে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় গিয়ে কাজ করা ভাল। তাঁর আরও বক্তব্য, আমি আমার অন্তরের ডাক শুনেছি। সকলকেই কখনও না কখনও অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়।পাশাপাশিই দীনেশ বলেছেন, আমি তৃণমূল ছাড়ছি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। জল্পনা, অতঃপর বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন দীনেশ। দীনেশের ওই ঘোষণা শুনে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান দীনেশকে বলেন, এ ভাবে ইস্তফা দেওয়া যায় না। এর একটি পদ্ধতি আছে। আপনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিন। দীনেশ যে ভাবে আচম্বিতে দল এবং রাজ্যসভার সাংসদপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে চমকিত তৃণমূল। যদিও সংসদে দীনেশের সতীর্থ প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, উনি ছেড়ে দেওয়ায় আমরা দুঃখিত। দীনেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন আলোচনায় তিনি আমাকে সে কথা বলেছিলেন। দিল্লির কিছু নেতাকেও বলেছিলেন। তবে উনি যে এ ভাবে দল ছেড়ে দেবেন, সেটা সম্পর্কে কোনও ধারণা আমাদের ছিল না। বস্তুত, দীনেশ নিজেও কোনও পরিচিত মহলেই দল ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে তৃণমূলে থেকে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই দীনেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি টুইটকে রিটুইট করেছিলেন। যা থেকে তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। জিতেছিলেন অর্জুন সিং, যাঁর সঙ্গে জেলার রাজনীতিতে তাঁর দ্বন্দ্ব সুবিদিত। অর্জুন অবশ্য দীনেশের তৃণমূল ত্যাগের কথা শুনে প্রাক্তন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিজেপি-তে স্বাগত জানিয়েছেন। দীনেশের পদত্যাগে তাঁর রাজ্যসভার সতীর্থ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ওঁর যখন দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তখন দল ছেড়ে ভালই করেছেন। নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু একটা বিষয়ে খটকা লাগছে। যখন রাজ্যসভায় আমাদের দলের বলার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন চেয়ারম্যান কেন ওঁকেই বাজেট নিয়ে বলতে দিলেন! এটা তো নজিরবিহীন। সেই সময়েই সুযোগ পেয়ে উনি গোটা দেশের সামনে ওই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের ধারনা, ওঁকে কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।আরও পড়ুন: দিনভর বামেদের হরতালে কী ঘটল বাংলায়? পড়ুন

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
দেশ

'দম বন্ধ হয়ে আসছে', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, পদ্মশিবিরে যোগ?

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন অধিবেশনেই। শুক্রবার দীনেশ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলায় মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। এভাবে আর চুপ করে থাকা যায় না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। আমি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। হঠাৎই তাঁর এই ঘোষণায় হইচই শুরু হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে তিনি কি পদ্মশিবিরে যোগ দিতেচলেছে? এ দিন দীনেশ ত্রিবেদী বিবেকানন্দের উক্তি ও পড়ে শোনান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা রাজ্যসভায় বসে আছি। অথচ মানুষের উপর যে অত্যাচার, অন্যায় হচ্ছে তার জন্য কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি একেবারেই অসন্তোষের কথা বলেননি তাও নয়। তবে নির্বাচনের মুখে এভাবে দল ছেড়ে চলে গেলে অসুবিধা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদ পদত্যাগ করায় বেজায় খুশি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিও স্বাগত জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। উল্লেখ্, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজনীতি

বাতিল হওয়া দুই জেলায় আজ শাহর সফর

এর আগে বাংলা সফর বাতিল করতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সঙ্গে ঠাকুনগরের কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। কলকাতায় তিনি মিলিত হবেন সামাজিক মাধ্যমের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও।কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১ টা ১০ মিনিট নাগাদ কোচবিহারে মদন মোহন মন্দিরে যাবেন অমিত শাহ। ১১ টা ৩০ মিনিটে তিনি রাসমেলার ময়দানে দলের পরিবর্তন যাত্রায় হাজির থাকবেন। ২০১৮-তে এই কোচবিহারে রথযাত্রার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল। আসতে পারেননি অমিত শাহ।এরপর কোচবিহার থেকে কপ্টারে চড়ে অমিত শাহ উড়ে যাবেন উত্তর ২৪পরগনার ঠাকুরনগরে। সেখানে ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দির দর্শন করবেন। তারপর ৩টে ৪৫ মিনিটে পাশের মাঠে তিনি সভা করবেন। বুধবার সন্ধা ৬টা নাগাদ কলকাতায় সায়েন্স সিটিতে সামাজিক মাধ্যমের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলিত হবেন।এর আগে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সভায় হাজির থাকার কথা ছিল। দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন দুদিনের বাংলা সফর বাতিল করা হয়। মতুয়াদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশও করেছিল। সেই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঠাকুরনগরে আসবেনই অমিত শাহ।অমিত শাহ আসার আগের দিন টুইট বার্তায় লিখেছেন,আমি উৎসুক,আগামীকাল বাংলায় উপস্থিত হওয়ার জন্য।কোচবিহার থেকে BJP Bengal #PoribortonYatra র চতুর্থ পর্যায় সূচিত হবে এবং ঠাকুরনগরে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আমি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার স্বেচ্ছাসেবীদের সাথেও আলাপচারিতায় অংশগ্রহণ করব।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal