• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Governor

খেলার দুনিয়া

এবার দুটি স্টেন্ট বসল সৌরভের, হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

বুকে ব্যথা নিয়ে গতকাল অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্লকেজের জন্য তাঁর দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। সৌরভ সুস্থ আছেন। স্টেন্ট বসান ডা. আফতাব খান। তত্বাবধানে ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবী শেঠি ও অশ্বিন মেহতা। তাছাড়া চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।এদিন বিকেলে সৌরভকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌরভকে দেখে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সৌরভের দুটি স্টেন্ট বসেছে। সৌরভ ভাল আছেন। সকালে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। গত ২ জানুয়ারি বুকে ব্যথা হওয়ায় ক্রিকেটের মহারাজকে উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন একটি স্টেন্ট বসাতে হয়েছিল। ৭ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। তারপর বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন। ফের বুকে ব্যথা হওয়ায় বুধবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ফের বুকে ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ

বুকে ব্যথা অনুভব করায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে এ্যাপেলো হাসপাতালে। গ্রিন করিডোর করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক টেস্ট করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ডা. সরোজ মন্ডল, ডা. আফতাব খান সহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার বাইরের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এর আগে ২ জানুয়ারি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় ভর্তি করা হয়েছিল উডল্যান্ড হাসপাতালে। হার্টে ব্লকেজ ধরা পরায় তখন একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে বিসিসিআই সভাপতির শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয়। তারপর আজ, বুধবার দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। তখন চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। যদিও এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকেছেন সৌরভ। হাসপাতালে এসেছেন সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সৌরভের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন।

জানুয়ারি ২৭, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ বৈশালীর

সদ্যই তৃণমূল শিবির থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বৈশালী ডালমিয়াকে। বর্তমানে তিনি শুধুমাত্র বালির বিধায়ক। দল থেকে বহিষ্কারের ঠিক তিনদিনের মাথায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। বালির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নালিশও জানালেন বৈশালী।উল্লেখ্য, দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মুখ খুলেছিলেন বৈশালী। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন তিনি। বেলা গড়াতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বালির বিধায়ককে। বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কারের পরেরদিনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বালি। গুলি-বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক ভাঙচুর চলে এলাকায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক-টায়ার। এই ঘটনার পর লিলুয়ায় জিটি রোড অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী। এই ঘটনাকে টেনে বালির আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বৈশালী। ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এইসব বিষয় নিয়েই এদিন তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
কলকাতা

পদত্যাগের করে কেঁদে ফেললেন রাজীব

মন্ত্রিসভা ছাড়ার কারণ বলতে গিয়ে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আড়াই বছর আগেই পদত্যাগ করব ভেবেছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী আটকেছিলেন। এবার ভগ্নহৃদয় নিয়েই দল ছাড়লাম। গত একমাস ধরে অনেক কিছু শুনেছি। তাই এই সিদ্ধান্ত।শুক্রবারই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেন রাজীব। তারপর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও দল ছাড়েননি রাজীব। শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। বললেন, আমাকে এত কাজ করতে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী না থেকেও মানুষের সেবা করা যায়। আমি সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চাই। তবে এদিন দলের সতীর্থদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও একটু সৌজন্যতা আশা করেছিলাম। তিনি আরও জানান, আমার মনে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভ-অভিমান জমছিল। সে কথা দলের বহু সতীর্থ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আর সহ্য করতে পারলাম না। তাই সরে দাঁড়ালাম। এদিকে,বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় অবস্থা। তৃণমূলের একাংশের মত, এই পদত্যাগ দলের কোনও ক্ষতি করবে না। আবার কারও মত, এভাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনিই বলতে পারবেন, কেন ছাড়লেন। নিশ্চয়ই কোনও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে আমি বলব, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একদিন তাঁরা ঠিক বুঝবেন। হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, এভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে একে একে সদস্যদের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। এতেই বোঝা যাচ্ছে, দলের একাংশে কতটা ঘুণ ধরেছে। আমি আগেই একথা বলেছিলাম। দলনেত্রী খুব যত্ন করে হাওড়ায় সংগঠন তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তা ভেঙে পড়ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় রাজীবের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন বিচলিত নন। তাঁর কথায়, দল কতদিন ধরে করছে? আমরা বহু আগে থেকে দল করছি। কেউ কেউ দলে নতুন যোগ দিয়ে, কাজ করার পরই যদি নানারকম বায়না, নালিশ করেন, তাহলে মুশকিল। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি নেই। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২১
রাজনীতি

কেন পদত্যাগ? জানালেন রাজীব

রাজভবন থেকে বেরিয়েই পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সদ্য পদত্যাগী বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সে কথাই বলছিলেন সাংবাদিকদের। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি আড়াই বছর আগে যখন তাঁকে সেচ দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখনই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নিরস্ত্র করেন।রাজীব এদিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি দুদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেচ দপ্তরে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠকও অংশ নিয়েছিলেন। তৃণমূল ভবনে তাঁর সপ্তাহে দুদিন বসার কথা ছিল। সেখান থেকে এসেই তিনি তৃণমূল ভবনে বসেছিলেন। তৃনমূল ভবনে বসে টিভির ব্রেকিং নিউজ দেখে জানতে পারেন তাঁকে সেচ দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। তা তিনি জানিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে সরে যেতে নিষেধ করেন। কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান রাজীব।তিনি জানান, তিনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চান। কিন্তু কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন তিনি জানেন না। তবে তিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন। এ কথা বলতে গিয়েই অঝোরে কেঁদে ফেলেন হাওড়া ডোমজুড়ের বিধায়ক। আর কোনও প্রশ্নের তিনি জবাব না দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে রাজভবনের গেট থেকে গাড়িতে উঠে যান।

জানুয়ারি ২২, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালকে ঘুমের ওষুধ খেতে পরামর্শ তৃণমূল মহাসচিবের

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যপালকে রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বলে অভিহিত করেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালের প্রতিদিন কিছু না কিছু বললে ঘুম হয় না। ওনাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো উচিত। কেন না কোনও না কোনও দিন কোনও না কোনও বিষয়ে ওনাকে বলতেই হবে। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মত লাগছে তাঁকে। বাংলার রক্তাক্ত নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন দেখবে কিভাবে ভোট হবে। কিন্তু রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন না। বছরের প্রথম দিনই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন ঘুরে মনে হল দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বাংলার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। পাঁচিল তোলা হচ্ছে, পৌষ মেলা বন্ধ করা হচ্ছে এসব করে সেখানকার ঐতিহ্য ম্লোন করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে পা মিলিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শান্তিনিকেতনের মানুষ।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যপালকে সরাতে রাষ্ট্রপতির দরবারে তৃণমূল

রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে মমতা সরকারের বিবাদ পৌঁছে গেল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবারে। তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে জাগদীপ ধনকড়কে রাজ্যপাল পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিক রাষ্ট্রপতি। তৃণমূল লিখিতভাবে এই আবেদন করেছে রাষ্ট্রপতির কাছে। জানিয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সংবিধানের ১৫৬ (১) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সম্মতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টকে অগ্রাহ্য করা এবং নানাভাবে রাজ্য সরকারকে অসুবিধায় ফেলা যেন রাজ্যপালের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অযথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সমালোচনা করা, রাজ্য পুলিশকে বিষোদগার করা, নানাভাবে রাজ্য সরকারকে পর্যুদস্ত করছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল চায় এই অবস্থার অবসান হোক। রাজভবন বিজেপির দফতরে পরিনত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন সুখেন্দুবাবু। তাঁর বক্তব্য, গত ৭৫ বছরে এমন রাজ্যপাল দেখিনি। উল্লেখ্য, জাগদীপ ধনকড় এখানে রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে চরম সংঘাত শুরু হয়। প্রতিটি বিষয় নিয়েই রাজ্যের সঙ্গে বিরোধ বাধে। কোনও ঘটনা না পছন্দ হলেই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যপাল। গত এক বছরে প্রায় নিত্যদিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ঘটেছে। শেষমেষ তৃণমূল কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল রাজ্যপালকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
কলকাতা

ধনকর- সৌরভ বৈঠকে রাজনৈতিক মহলে বড় প্রশ্ন

রাজভবনকে বিজেপির দলীয় কার্যালয় বলে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্রের থেকেও ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা বাড়ালেন ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন বেহালার ছেলে। যদিও একথা কেউও প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও সৌরভের সাক্ষাৎকার রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়বস্তু হিসাবে দাঁড়ায়। বৈঠক নিয়ে টুইট করে রাজ্যপাল ধনকর লিখেছেন, “সৌরভের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমাকে।” সৌরভ কিন্তু বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। সৌরভ রাতারাতি ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চানক্য বিজেপি নতা অমিত শাহ। ধনকর-রাজ্যপাল বৈঠক নিয়ে ধন্দে পড়েছেন রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি অমিত শাহর সাংবাদিক বৈঠকে সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শাহ কিন্তু সরাসরি কোনও জবাব দেননি। না-ও বলেননি। এমনকী সৌরভের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নে স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও ঘুরিয়ে জবাব দিয়েছেন। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে সৌরভ শেষ মুহূর্তে সিএবির সভাপতি হয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও হয়েছেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। কেই টের পায়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, একটা জিজ্ঞাসা রয়েই গেল।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যেন ভুয়ো মামলা না হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের

শুভেন্দুকে যাতে ফাঁসানো না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকে বিঁধে বলেছেন, প্রশাসনিক শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন। পরে সেই চিঠির প্রতিলিপি টুইটও করেছেন তিনি। বুধবারই শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো একটি চিঠি টুইটারে পোস্ট করেন জগদীপ ধনকড়। সেই চিঠিতে শুভেন্দু দাবি করেছেন, তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ সরকারি বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী এমতাবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। তেমন হলে রাজ্যপাল যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। চিঠিটি টুইট করে জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু তাঁর হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যপাল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

মিথ্যা হজম করব না, মন্তব্য ধনকড়ের

ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যপাল কিছু বললেই বলা হয়, উনি কোনও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে। কিন্তু একথা সম্পূর্ণ মিথ্যে। বাংলায় কে ক্ষমতায় এল তাতে আদতেই রাজ্যপালের কিছু এসে যায় না। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের কিছু ক্ষমতা আছে। সেই জায়গা থেকে তাঁর কোনও কিছু জানতে চাওয়ার অধিকারও রয়েছে। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে ধনকড় বলেন, আমি কোনও মিথ্যে হজম করব না। যা রটানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী এদিনও বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ধনকড়। ভবিষ্যতের পরিস্থিতি কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, আমি লজ্জিত, এভাবে কোনও কিছু চলতে পারে না। পুলিশের রাজনীতিকরণ হচ্ছে। অন্য রাজ্যের পরিস্থিতি এখানকার মতো নয়। এর আগেও একাধিকবার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের একাধিক উচ্চপদস্খ কর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসার ডাকও দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই পালটায়নি রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের সমীকরণ।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
কলকাতা

আগুন নিয়ে খেলবেন না , মমতাকে হুশিয়ারি ধনকড়ের

কয়েকজন প্রশাসন কর্তা রাজনৈতিক কর্মীর কাজ করছেন। এটা বরদাস্ত হবে না। গণতন্ত্র বিপন্ন এ রাজ্যে। রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনাকে প্রচার না পেয়ে নাটক বলে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, এমন মন্তব্যে আমি লজ্জিত। গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হল। আপনার উচিত, ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় নাড্ডা-সহ বিজেপি নেতৃত্ব এবং রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাঁর। বললেন, মুখ্যমন্ত্রী অভিজ্ঞ। আমি ওর কথায় দুঃখ পেয়েছি। রাজনীতিতে সংস্কৃতি থাকতে হবে। ক্ষমা চেয়ে নিন, তাহলে আপনার সম্মান বাড়বে। কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আরও পড়ুন ঃ এখনও সঙ্কটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনিক কর্তাদের ডাকলেও তাঁরা আসেন না। আগামী নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে ধনকড়ের দাবি, তার আগে রাজ্যের এই অশান্ত পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বিগ্ন। তাই বারবার সামগ্রিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে ডেকে পাঠান, আলোচনা করতে চান। কিন্তু তাতে আমল দেওয়া হয় না বলে আক্ষেপ তাঁর।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

আগামীকাল ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক বিজেপির

আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বন্ধ ডাকল বিজেপি। উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বন্ধ ডাকা হয়েছে। তাঁদের দাবি, আহত হয়েছে ৪০ জন কর্মী। ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। প্রত্যেকের গায়ে গুলির দাগ রয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, দুজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। একজন মারা গেছেন। আহতদের দেখতে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাসপাতালে গেছেন। আরও পড়ুন ঃ আমলা-পুলিশ কেউ সংবিধান মানছেন না , সমালোচনা ধনকড়ের এদিকে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গেলেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। ছিলেন লকেট এবং জয়প্রকাশ এবং ভারতী ঘোষ, শোভন এবং বৈশাখী। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন, আগামিকাল রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। যদিও প্রশাসনের দাবি, পুলিসের মারে মৃত্যু হয়নি ওই ব্যক্তির। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তৃণমূল কর্মীরা পাথর ছুঁড়েছে। একেবারে নন্দীগ্রামের কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
কলকাতা

আমলা-পুলিশ কেউ সংবিধান মানছেন না , সমালোচনা ধনকড়ের

ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশ - প্রশাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জগদীপ ধনকড় বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনওদিন তার উত্তর মেলে না রাজ্যের থেকে। আমলা-পুলিশ কেউ সংবিধান মানছেন না। বরং সংবিধানের উলটো পথে চলছেন। আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পড়ল পোস্টার বারবার তলব সত্ত্বেও কারও তরফে কোনও জবাব মিলছে না। পুলিশ রাজনৈতিক নেতাদের মতো করে কাজ করছেন। এদিনই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টুইটও করেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখেন, সংবিধান মেনে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
কলকাতা

কো ভ্যাক্সিনের তৃ্তীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে আবেদন রাজ্যপালের

বেলেঘাটার নাইসেডে শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য আবেদন জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে তাঁর বয়স বেশি হওয়ায় ও কো-মরবিডিটি থাকায় তাঁর চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানাল নাইসেড। এদিন সকালে নাইসেডে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। দুজনকে স্বাগত জানান অধিকর্তা ডঃ শান্তা দত্ত। সেখানে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন তিনি। হাজার জনের দেহে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে।এদিন নাইসেডে পৌঁছে করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম দুর্নীতি নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমহলের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান জগদীপ ধনখড়। আরও পড়ুন ঃ বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার বিরাট প্রভাব পড়েছে। আমরা সামাল দিতে পেরেছি। করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট সাহায্য করেছে আয়ুষ্মান ভারত। এদিন জোর গলায় রাজ্যপাল আরও বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্য যে যে জিনিসপত্র কিনছে, সেই স্তরেও দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। আবার সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে তদন্ত টিম গঠন করেছে রাজ্য। কিন্তু, কারা সেই তদন্ত টিমের সদস্য? কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তার কোনও স্পষ্ট রিপোর্ট নেই। চিকিৎসা সামগ্রী কেনার দায়িত্ব ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কমিটির হাতে। সেই কমিটিই দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। তিনি এদিন বলেন, আমি এই বিষয়ে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও যোগাযোগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে রাজ্য পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার পাহাড় থেকে শহরে ফিরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানায় পুলিশ। টুইটে সেই ছবি শেয়ার করেন রাজ্যপাল। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনের টুইটে পুলিশের প্রশংসা করেন তিনি। টুইটে সেই ছবি শেয়ার করেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতার তকমা এবার পুলিশের গা থেকে ঘুচতে দেখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসটা দার্জিলিংয়ের রাজভবনে ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেখান থেকেই যাবতীয় দায়দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেখানেও একাধিকবার রাজ্য ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশ। কিন্তু এদিন তিনি পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করায় স্বাভাবিকভাবে অবাক প্রত্যেকে।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সরব কল্যাণ

ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টার করার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক বলেও দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুদীপ্ত রায়চৌধুরী গরুপাচারে যুক্ত। মানুষ পাচারের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ধৃত গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর হয়ে কেন টুইট করছেন রাজ্যপাল? কেন বাংলার রাজ্যপাল অভিযুক্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন? পশ্চিমবঙ্গের অনেক অপরাধীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপালের। আরও পড়ুন ঃ করোনায় আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান তাঁর আরও দাবি, তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পুলিশ-সহ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অসাংবিধানিক কাজ করছেন। যারা তদন্তে বাধা দেন কিংবা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। শেষে বলে যান, আগামী দিনে রাজ্যপাল সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্যায়ে পর্দা উন্মোচন করব। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই আইআরএস আধিকারিক নীরজ সিংয়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর আর্থিক দুনীতির অভিযোগ রয়েছে। বেনামী সম্পত্তিও রয়েছে। কলকাতা পুলিশ ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। পরে সেই তদন্তভার ইডি হাতে নিয়ে নীরজ সিংকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, ইডি তাঁর ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে। তবে পরবর্তীতে ওই মামলার কাগজ হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশও সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছিল।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

কেন্দ্রের পাঠানো টাকা কৃষকরা না পাওয়ায় সরব ধনকড়

এবার কৃষকদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি টুইটে অভিযোগ করেন, এ রাজ্যের কৃষকরা প্রত্যেকে কেন্দ্রের দেওয়া ১২০০০ টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন না। এভাবে ক্ষতি হয়েছে মোট ৮৪০০ কোটি টাকার। প্রশাসনিক উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। এদিন আরও একটি টুইটে রাজ্যপাল মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে বিঁধেছেন। নাম উল্লেখ করেছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং রিনা মিত্রের। তাঁর অভিযোগ, মমতা সরকারে আমলে পুলিশ নিয়ম ভাঙছে। তারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। আরও পড়ুন ঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো ৬ হাজার টাকা পাননি বাংলার কৃষকরাঃ কৈ্লাস বিজয়বর্গীয় প্রসঙ্গত, এরাজ্যে রাজভবন ও নবান্নের সংঘাত এখন নিত্যদিনের বিষয়। রাজ্যপালের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এখানকার পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে। তাদের গাফিলতিতে রাজ্যে বহু অপরাধ খুব সহজেই সংগঠিত হতে পারছে বলে অভিযোগ ধনকড়ের। এদিনও একাধিক টুইটে নিজের সেই বক্তব্য তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব ধনকড়

যেভাবে রাজ্যে সরকারি আমলাদের সম্পত্তি বাড়ছে এবং তাঁরা দুর্নীতিতে জড়াচ্ছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এবার আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে টুইটে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সোমবার তিনি এই প্রসঙ্গে লেখেন, দুর্নীতি নামক শিল্পকে রুখতে না পারার যে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, সেটাই এখন শহরের আলোচ্য বিষয়। সেটাই সরকারের মুখ পোড়াচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ ববি, মদন, প্রসূনকে নোটিশ ইডির দ্বিতীয় টুইটে গরুপাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যপাল। লেখেন, তদন্তের মধ্যে দিয়ে উর্দিধারীদের মেগা দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করা দরকার। তাঁদের অসত্ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তির খোঁজ করতে হবে। দুর্নীতির আঁতুরঘর ভেঙে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলে কটাক্ষ করেন।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ধনকড়ের

রাজ্যে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে, কোনও প্রতিকার হচ্ছে না। এই অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি পরে তিনি টুইটও করেন। চিঠিতে রাজ্যে গত তিনমাসে নারীদের উপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। যা তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সূত্রেই পেয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনিক উদাসীনতা দেখে তিনি বিস্মিত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, এসব অন্যায়ের প্রতিকারে তিনি সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসচেতনতায় জোর দেবেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে আলোচনার জন্য প্রস্তাব পাঠালেও, তার কোনও জবাব আসেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ কেউ কেউ ভোটের সময় আসেনঃ মমতা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সতর্ক করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই ভূমিকাকে বারবার ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করার যে নিদর্শন তিনি দেখে আসছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। এভাবে তাঁরা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে তুলছেন, যার প্রভাব জনমানসে পড়বে।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড়

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফের রাজ্য সরকার ও পুলিশ -প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যপাল লেখেন , একদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসকদলের সাংসদকে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছে। এই ঘটনা রাজ্য পুলিশের কর্তাদের কর্তব্যচ্যুতি। সাংসদকে বাধা দেওয়ার পিছনে কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর উল্লেখ্য , শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে শাসক দলের বিধায়ক - সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সেখানে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্যপালের টুইট।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal