• ১১ শ্রাবণ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengal

রাজ্য

বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চতুর্থ ঢেউ কী শুধু সময়ের অপেক্ষা?

বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাহলে কী সত্যি চতুর্থ ঢেউ কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। একদিকে যেমন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সঙ্গে পজিটিভিটি রেটও রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮৮৯ জন। গতকালের তুলনায় বেড়েছে ৫৩৭ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৫২। এই মাসের শুরুর দিন ১জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১,৭৩৯জন। তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২৭ জন। এদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯জন।কলকাতাকে ছাপিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি ৯ জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০-র ওপর। গত ২৪ ঘন্টায় ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পজিটিভিটি রেট ১৮.৭৪ শতাংশ। গতকাল পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন।রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪২,৮৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২২,২৩৩ জন। মৃত্যু হার ১.০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১৯ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৩৪ জন।

জুলাই ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লালহলুদ অন্তঃপ্রান শ্যাম থাপাকে মোহনবাগানরত্ন!‌

লালহলুদের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন শ্যাম থাপা। খেলা ছাড়ার পরও মোহনবাগানের থেকে ইস্টবেঙ্গলের প্রতি তাঁর আবেগ বেশি। সেই লালহলুদপ্রেমী শ্যাম থাপাকে কিনা এবছর মোহনবাগানরত্ন দেওয়া হচ্ছে! হ্যাঁ, এটাই বাস্তব। এবছর মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন শ্যাম থাপা। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে তাঁর হাসে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।১৯৬৬ সালে কলকাতা ময়দানে পেশাদার ফুটবলে আবির্ভাব ঘটে শ্যাম থাপার। সুব্রত কাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা শ্যামের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ১৯৬৬ সালে তাঁকে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত গোর্খা ব্রিগেডের জার্সি গায়ে খেলেন। এরপর তিনি যোগ দেন মফতলাল মিলসে। ১৯৭৫ সালে আবার লালহলুদে ফিরে আসেন। ইস্টবেঙ্গলের টানা ষষ্ঠ বার কলকাতা লিগ জয়ের দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৭ সালে শ্যাম থাপাকে তুলে নেয় মোহনবাগান। ১৯৮২ পর্যন্ত সবুজমেরুন জার্সি গায়েই খেলেন তিনি।এবছর জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন গোলকিপার বলাই দেকে। কয়েকমাস আগে মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, সুভাষ ভৌমিকের নামে একটা পুরস্কার দেওয়া হবে। এবছর সেই পুরস্কার পাচ্ছেন কিয়ান নাসিরি। শিবদাস ভাদুড়ি নামাঙ্কিত বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাচ্ছেন লিস্টন কোলাসো। রণব ব্যানার্জির নামাঙ্কিত সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বাপি শেখকে। অরুণলালের নামাঙ্কিত সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাচ্ছেন প্রিনান দত্ত। এবছর থেকেই চালু হচ্ছে ক্রীড়া সাংবাদিক পুরস্কার। প্রয়াত মতি নন্দীর নামাঙ্কিত এই পুরস্কার পাচ্ছেন অশোক দাশগুপ্ত। সেরা ক্রীড়া সংগঠকের পুরস্কার পাচ্ছেন গোকুলম কেরলের সভাপতি ভিসি প্রবীণ।করোনা মহামারীর কারণে বিগত দুই বছর ধরে ভার্চুয়ালভাবে মোহনবাগান দিবস পালন করা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। কোভিডের প্রকোপ কিছুটা কমেছে তাই এবারের মোহনবাগান দিবসকে চিরাচরিত উজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে চায় সবুজমেরুনের নতুন কার্যকরী কমিটি। প্রাক্তনদের একটি ম্যাচ আয়োজিত হবে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান শুরুর আগে। অনুষ্ঠান শুরু হবে পৌষালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান দিয়ে। সবশেষে অনুষ্ঠান করবে চন্দ্রবিন্দু।

জুলাই ০৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

স্মরণে তরুণ মজুমদার

ফুলেশ্বরী বালিকা বধু বেশে শ্রীমান পৃথ্বীরাজ কে ভালোবাসা ভালোবাসা য় আবদ্ধ করে সংসার সীমান্তে ভালোবাসার বাড়ি তৈরি করলো। এই সম্পর্কে কুহেলি র দাদার কীর্তি ই বেশি ছিল, বাড়ির নাম রাখাল স্মৃতিটুকু থাক। চারিদিক আলো ঝলমলে, পূর্নিমায় চাঁদের বাড়ি মনে হয়। বাড়ির ঠাকুর ঘরের নামকরণ হল আপন আমার আপন। বহু পথ ভোলা পথিকের জন্য চাওয়া পাওয়া ভুলে এই কাঁচের স্বর্গ এ নিমন্ত্রণ রইল। তরুন নিষ্ঠাবান পুরোহিতের কাছে জবা, টগর, গাঁদা, পদ্মশ্রী র পুষ্পঞ্জলি দিলে আনন্দলোক এর অনুভুতি পাবেন। এই প্রেক্ষাপটে তৈরি চলচ্চিত্রটি অনেক ফ্লিমফেয়ার এ প্রদর্শীত ও পুরস্কৃত হয়। রিলিজ হবার পরেই সেন, রায়, মজুমদার, ব্যানার্জী পরিবার ছবিটা দেখে এসে খুব প্রসংসা করেছে।।সুরজিৎ পান(স্কুল শিক্ষক)

জুলাই ০৬, ২০২২
রাজনীতি

'কাজ করতে গেলে ক্ষমতার দরকার', মিঠুন খুশি ২১-এর বিধানসভার ফলে

হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই মহাগুরু মিঠুনের কলকাতা আসাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার মিঠুনের আসাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়েও ভিড় ছিল নেতা-কর্মীদের। লোকসভা ভোটের প্রচারের পর এই প্রথম কলকাতায় পা রাখলেন বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বলেন, আমি রাজনীতি করি না। মানুষনীতি করি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। প্রশ্ন করা হয়েছিল কেউ বলছে ২৪-এ কেউ বলছে ২৬-এ মমতা সরকার চলে যাবে। মিঠুনের স্পষ্ট জবাব, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসাতে খুব কষ্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর কথায়, রাজনীতি থাকবে রাজনীতির জায়গায়। কেন হিংসা হবে। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির ফলাফল প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, আমি খুব খুশি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। ৫৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা সায়েন্স। প্রথমবারেই বাজিমাত হয়ে যাবে। তাতে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। বিজেপি একটা জায়গা তৈরি করেছিল। ওর থেকে ভাল জায়গা হয়েছে। তবে সেই সময় কর্মীরা আরও উৎসাহ পেলে ভাল হত বলে মনে করেন একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের জন্য় অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন সুপারস্টার। তবে তাঁর জন্য ক্ষমতার দরকার বলে তিনি মনে করেন। মিঠুন বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেল পাওয়ারের দরকার। কাজ করতে চাইলেও পারি না। আমাদের সরকার থাকলে মানুষের জন্য আরোও কাজ করতে পারব।

জুলাই ০৪, ২০২২
রাজ্য

শিলিগুড়িতে বাংলা পক্ষর বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অভুতপুর্ব সাড়া

রবিবার শিলিগুড়ির জলপাই মোড় থেকে শুরু করে পানিটাঙ্কি মোড় অবধি এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ জানাই বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই মহা মিছিলের আয়োজন। এই মিছিলে বাংলা পক্ষর বিভিন্ন জেলার সদস্যরা যোগ দেন। বাংলা পক্ষ-র তরফে তাঁদের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জনতার কথা কে জানান, প্রায় এক হাজারেরও বেশি সহযোদ্ধা এই মিছিলে পা মেলান। তিনি আরও জানান, এই মহামিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত এবং এই দীর্ঘ মিছিলে রাস্তার দুইপাশে উৎসুক বাঙালিদের মধ্যে বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। বাঙ্গালী ও বাংলা প্রেমী মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মিছিলে যোগ দেন।মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, মনোজিৎ বন্দোপাধ্যায়, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা পক্ষ শিলিগুড়ি জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়, বাংলা পক্ষ জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অভিষেক মিত্র মজুমদার, বাংলা পক্ষর উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ , বাংলা পক্ষর কোচবিহার নেতৃত্ব প্রশান্ত নাথ ও হাশিফুল হোসেন, প্রমুখ।মিছিল থেকে তাঁরা দাবী তোলেন- বাংলা ভাগ হবেনা। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে দুটি এইমস-র (AIIMS) দাবী তোলেন। তাঁরা বলেন, যেখানে বিহারে দুটো এইমস হতে পারে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে একটি কেন? তাঁদের দাবী জলপাইগুড়ি অথবা রায়গঞ্জে বাংলার দ্বিতীয় এইমস। এছাড়াও তারা বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের রেল ব্যবস্থার উন্নতি-র দাবী করে আসছেন। কয়েকদিন আগেই এর প্রতিবাদে জন্য শিয়ালদহ তে ডিআরএম অফিসে ধর্না দেন। তাঁদের দাবী এনজেপিকে হাব করে কোচবিহার ও মালদা অবধি বিস্তৃত লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্ক চালু করা হয়।তাঁরা বেআইনী অনুপ্রবেশের বিরিদ্ধেও সরব হয়েছেন। তাঁরা অনুপ্রবেশ রুখতে নেপাল সীমান্ত সিল করার আবেদন জানান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এবং সেখানে সশস্ত্র সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (BSF) মোতায়েন করার দাবী তোলেন।

জুলাই ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌বাংলার সঙ্গে দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের সম্পক ছিন্ন করলেন ঋদ্ধিমান

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলার সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে অভিষেক। তারপর মাঝে কেটে গেছে ১৫টা বছর। অবশেষে ১৫ বছর পর বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলা থেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য ছাড়পত্র নিয়ে নিলেন। চললেন ত্রিপুরায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের মরশুমে ত্রিপুরার হয়ে রনজি খেলতে দেখা যাবে ঋদ্ধিমানকে। সামনের সপ্তাহেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে ত্রিপুরার সঙ্গে চুক্তি।সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ সিএবিতে আসেন ঋদ্ধিমান সাহা। তার আগেই সিএবিতে পোঁছে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। তিনজনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। টানা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। ঋদ্ধিমানকে বাংলা ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেন অভিষেক ডালমিয়া ও স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। দুজনের অনুরোধে সাড়া দেননি ঋদ্ধি। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে নেন। সিএবির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঋদ্ধিমান সাহা সিএবিতে এসে সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার কাছে রাজ্য ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য এনওসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঋদ্ধিমানের জন্য শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে। ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধি সিএবিকে জানিয়েছিলেন, তিনি এবছর রঞ্জি খেলবেন না। পারিবারিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান। তারপরই সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঋদ্ধিমান দাবি করেছিলেন দেবব্রত দাসের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া অবশ্য দেবব্রতর বক্তব্যের দায় নিতে চাননি। এরপর রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে ঋদ্ধিমানকে বাংলা দলে রাখা হয়। কিন্তু ঋদ্ধির অভিযোগ ছিল, তাঁকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত। এরপরই তিনি বাংলার হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এনওসি পেয়ে ঋদ্ধি বলেন, বাংলা না ছাড়ার জন্য আমাকে আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল। আজকেও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আজ এনওসি নিয়ে নিলাম। কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন, সে প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। বেশ কয়েকটা রাজ্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে সবাইকে জানাব। ত্রিপুরার সঙ্গে কথা অনেকদূর এগিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চূক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বাংলার সঙ্গে তাঁর কোনও ইগোর লড়াই ছিল না বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান।

জুলাই ০২, ২০২২
রাজ্য

বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমিত ১,৭৩৯

একনাগারে বেড়েই চলেছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ হয়েছে ১,৭৩৯ জনের। গত কয়েক দিন পর পর বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়নি। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৫২৪। বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪।এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫৬ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮১১ জনের। পজিটিভি রেট ১৪.৭২শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৭ জন। হোম আইশোলেশনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৯৫০ জন।

জুলাই ০২, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ১৫০০, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকালের পর এদিনও বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২৪। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪। করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮২৭ জনের। পজিটিভি রেট ১২.৮৯শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩০৩ জন। হোম আইশোলেশনে আছেন ৬,৬৯১।

জুন ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেরা ডিফেন্ডারকে হারাল ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরুতে লালহলুদের ‘‌হীরে’‌

একের পর এক ফুটবলার সই করিয়ে নতুন মরশুমের জন্য দল গুছিয়েই চলেছে এটিকে মোহনবাগান ও মহমেডান স্পোর্টিং। কলকাতার অন্য প্রধানে চররম দুরাবস্থা। ইস্টবেঙ্গলে চলছে দল ছাড়ার হিড়িক। এবার ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন গতবছর আইএসএলে লালহলুদ জার্সি গায়ে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেওয়া ডিফেন্ডার হীরা মণ্ডল। সুনীল ছেত্রির বেঙ্গালুরু এফসিতে যোগ দিলেন গত মরশুমে ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবথেকে নজরকাড়া এই ডিফেন্ডার। ইমামির সঙ্গে এখনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। ফলে ফুটবলারদের সঙ্গে প্রাথমিক কখা হলেই চুক্তিপত্রে সই করাতে পারছেন না কর্তারা। ইমামির কর্তারাও আগেই জানিয়েছিলেন, চুড়ান্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত দল গঠন করা যাবে না। সেইমতো ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি থমকে ছিল। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন হীরা মণ্ডল। কিন্তু ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় অপেক্ষা করতে পারলেন না। ঝুঁকি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জন্য অপেক্ষা করে নিজের ফুটবলজীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চাননি। তাই বেঙ্গালুরু এফসির প্রস্তাব তিনি গ্রহন করেন। গত মরশুমে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল জঘন্য পারফরমেন্স করলেও যে কজন ফুটবলার নজর কেড়েছিলেন, হীরা মণ্ডল তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বেঙ্গালুরু এফসি ছাড়াও তাঁর কাছে চেন্নাইন এফসি, ওডিশা এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্সের মতো একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব ছিল। চেন্নাইনের দিকেই ঝুঁকে ছিলেন হীরা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর দুরন্ত অফার এবং দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিকে তিনি আকৃষ্ট হন। কিছুদিন আগে এটিকে মোহনবাগানের প্রবীর দাসকে সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। এবার তুলে নিল লালহলুদের সেরা ডিফেন্ডারকে। গত আইএসএলে ১৬টি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন হীরা মণ্ডল। মাত্র চারটি ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। একটিও লাল কার্ড তিনি দেখেননি। গোটা মরসুমে ফাউল করেছেন মাত্র ১০টি। ৪৯টি ট্যাকেল করেছিলেন। যার মধ্যে অধিকাংশই ছিল সঠিক। ২৯টি সঠিক ইন্টারসেপশন করেছেন। ৫৭টি ক্লিয়ারেন্স করেছেন হীরা। ফলে তাঁর পরিসংখ্যাই বলে দিচ্ছে কতটা পরিষ্কার ডিফেন্ডিং করেন তিনি। ১৬ ম্যাচে ৫৬.১৯ শতাংশ সঠিক পাস বাড়াতে পেরেছিলেন।

জুন ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌জুলাইয়েই সুখবর পেতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা, চুড়ান্ত হবে ইমামির সঙ্গে চুক্তি

আশার আলো দেখতেই পারেন লালহলুদ সমর্থকরা। অবশেষে ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের মাসের প্রথম দিনেই ইমামির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইমামির এক শীর্ষকর্তা। মাসখানেক আগে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে লগ্লি করা নিয়ে ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক কথা হয়েছিল। তারপর লালহলুদ কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন ইমামির কর্তারা। বৈঠকের পর ইমামির পক্ষ থেকে চুক্তির একটা খসড়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পাঠানো হয়। সেই খসড়ায় ইমামি ক্লাবের ৮০ শতাংশ স্বত্ব দাবি করে। চুক্তির খসড়া ক্লাবে আসার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ইমামির কাছে অনুরোধ করেন, ৮০ শতাংশের পরিবর্তে কিছু কম সত্ব নিজেদের কাছে রাখার। লালহলুদ কর্তাদের সেই অনুরোধে রাজি হয়েছেন ইমামির কর্তারা। তাঁরা ৭৬ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, লালহলুদ কর্তারাও ইমামির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। আগের দুই লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েস ও শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সংঘাত হয়েছিল স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে। ওই দুই সংস্থাকেই পুরো স্পোর্টিংস রাইটস দেওয়া হয়েছিল। ইমামির হাতে কোনও স্পোর্টিং রাইটস তুলে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু ক্লাবের ৭৬ শতাংশ সত্ব থাকবে। ইমামি গ্রুপের পক্ষ বলা হয়েছে, আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছি। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সঠিক পথেই এগোচ্ছে। সমর্থকরা খুব তাড়াতাড়ি ভাল খবর পাবেন। আমরা আমাদের সেরাটা করার চেষ্টা করছি। যদিও দুই পক্ষের কোনও কর্তা সরকারিভাবে সত্ব নিয়ে মুখ খোলেননি। চুক্তি সাক্ষরিত না হওয়ায় গঠনের প্রক্রিয়া এখনও পুরোদমে শুরু করেনি ইস্টবেঙ্গল। দল বদলের বাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে লালহলুদ। ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই তাঁরা দল গঠন শুরু করবেন। ক্লাব এবং লগ্নিকারী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কোম্পানি গঠন হবে এবং তারাই দলগঠন করবেন।

জুন ২৮, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় এক ধাক্কায় চমকে দেওয়ার মতো বাড়লো করোনা সংক্রমণ, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের

ধীরে ধীরে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার বাংলায় এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়লো করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৫ জন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিনশো। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় আড়াশো। একদিনে প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩০ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোভিড-এ এদিন কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫।বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে সামগ্রিক ভাবে করোনা আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলায় করোনা বৃদ্ধি পেলেও সংখ্যা ছিল নেহাত অনেকটা কম। এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে যাঁরা কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট আশঙ্কার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

জুন ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করবে না ইমামি

শ্রী সিমেন্টের পর এবার ইমামি। লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না। প্রাথমিক কথা হওয়ার প্রায় মাসখানেক পর ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে পৌঁছেছে ইমামির চুক্তির খসড়া। চুক্তিপত্র দেখে সই করতে বেঁকে বসেছেন লালহলুদ কর্তারা। এবার শুরু হয়েছে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষি।ইমামি যে চুক্তিপত্র পাঠিয়েছে তাতে ৮০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছে তারা। লালহলুদ কর্তারা এই পরিমান শেয়ার ছাড়তে রাজি নন। তাঁরা ইমামির সঙ্গে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষির খেলায় নেমেছে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৫০ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে চান। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ক্লাবের ৪ জন কর্তাকে বোর্ড অফ ডিরেক্টরে রাখতে হবে। লালহলুদ কর্তাদের দ্বিতীয় দাবিটা মেনে নিতে রাজি ইমামি। কিন্তু শেয়ারের ব্যাপারে তারা অনড়। ১০ জন সদস্যকে নিয়ে বোর্ড অফ ডিরেক্টর গঠন করা হবে। ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন থাকবে ইমামির ও ৪ জন ইস্টবেঙ্গলের। চুক্তির খসড়া লালহলুদ তাঁবুতে পৌঁছনোর পর ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যান মজুমদার ইমামিকে একটা চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দল গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলার জন্য। প্রাকারান্তে তিনি চুক্তি নিয়ে ইমামির ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন। চিঠিতে লালহলুদ সচিব লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম। দল গঠনের প্রক্রিয়া যদি গতি না পায় তাহলে গত দুই তিন বছরের মতো আবার আমাদের লক্ষ্য অপূর্ণ থাকবে এবং ফুটবলপ্রেমীদের হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেওয়া যাবে না। তাই চুক্তির প্রক্রিয়া সমান্তরালে চলুক যাতে দল গঠনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়।সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে চুক্তিপত্রে সই হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করার পরই চুক্তিতেই সই করতে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এদিকে, ইমামি কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত তারা বিনিয়োগ করতে রাজি নয়।

জুন ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ক্ষিপ্ত প্রাক্তন ফুটবলাররা, কড়া চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে

ইমামির সঙ্গে চুক্তি জটে এখনও আটকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন প্রক্রিয়া। গত বছরের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না তো? আশঙ্কার প্রাক্তন ফুটবলাররা। ক্লাবকে যাতে কলঙ্কের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য আসরে নামলেন তাঁরা। কড়া চিঠি পাঠালেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যান মজুমদারকে।নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথা হওয়ার পর প্রায় একমাস কেটে গেছে। দলগঠন প্রক্রিয়া এখনও সেভাবে এগোয়নি। যার জন্য বিরক্ত হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটি। সোমবার প্রাক্তন ফুটবলারদের পক্ষ থেকে প্রশান্ত ব্যানার্জি, বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায় এবং সুমিত মুখার্জি ক্লাবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।ইস্টবেঙ্গল সচিবকে দেওয়া চিঠিকে প্রাক্তন ফুটবলাররা লিখেছেন, ইস্টবেঙ্গলের অগুণিত সমর্থকদের মতো আমরাও চিন্তিত ক্লাবের ভবিষ্যত নিয়ে। ইমামির সঙ্গে প্রাথমিক কথা হওয়ার পর ২৪-২৫ দিন পার হয়ে গেছে। এখনও চুক্তিপত্রে সই হয়নি। নতুন ফুটনলারের সঙ্গেও চুক্তি হয়নি। এই অবস্থায় আমরা চাই ক্লাব এবং ইনভেস্টারের যৌথ উদ্যোগে এ বছর ইস্টবেঙ্গল তার পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক। ক্লাবের সাবেক কর্তাদের প্রাক্তন ফুটবলাররা এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে কোনও ভাবেই হাতের সামনে পাওয়া ফুটবলার সই করিয়ে কোনও মতে আইএসএল-এ নামা চলবে না। তাতে ক্লাবের ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হবে। তাঁরা বলেছেন, আপনারা তখনই টিম নামান যখন আইএসএলের উপযুক্ত টিম করতে পারবেন। আর যদি না পারেন তবে লোক দেখানো টিম নামিয়ে ক্লাবের ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করবেন না। তা হলে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, আইএফএ শিল্ড খেলুন কিন্তু এ ভাবে আইএসএলে খেলবেন না। আইএসএলে খেলতে হলে আইএসএলের মতো করেই খেলুন। নতুন মরসুমের দল গঠনের ক্ষেত্রে ক্লাবের অনুরোধে আই লিগ এবং সন্তোষ ট্রফি দেখে বেশ কিছু প্রতিভাবান ফুটবলারের একটি তালিকা ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিল এই প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটি। এ দিন সেই ব্যপারে কত দূর ক্লাব এগিয়েছে সেই বিষয়েও জানতে চেয়েছেন এই কিংবদন্তি প্রাক্তনীরা।

জুন ২০, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষর মহামিছিল

বাংলা পক্ষ বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মহামিছিল করল। মিছিলে হাজার হাজার বাঙালি উপস্থিত ছিল। বাংলার উত্তর দিকের জেলাগুলোকে বাংলা থেকে ভাগ করে আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার চক্রান্ত করছে বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপি-আরএসএস। এরই প্রতিবাদে কলেজষ্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পর্যন্ত এক মহা মিছিল সংগঠিত করে বাংলা পক্ষ।মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, শোয়েব আমিন, অমিত সেন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া জেলার সম্পাদক জয়দীপ দে, হুগলী জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশিষ মজুমদার, বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য নাথ, পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক জুয়েল মল্লিক, পূর্ব মেদিনীপুরের সম্পাদক সুতনু পণ্ডিত, বাংলা শ্রমিক পক্ষর অভিজিৎ কুন্ডু প্রমূখ।গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাংলা ভাগের চক্রান্ত ব্যর্থ করবোই। বাংলা পক্ষর মিছিল থেকে প্রমাণ হল বাঙালি জেগে গেছে। এবং বিজেপি চক্রান্ত করছে আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় জন্য, বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিজেপি বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে পারে কিন্তু আমার হৃদয় থেকে বাংলাকে সরাতে পারবেনা। তিনি আরও বলেন, একটি জাতিকে দুর্বল করে দেওয়ার সবথেকে সহজ উপায় হল তার মাতৃভূমিকে টুকরো টুকরো করে দেওয়া। ভূমিপুত্রদের ঐক্য ধ্বংস করে দেওয়া। জাতি হিসাবে বাঙালি টুকরো টুকরো হলে লাভ বাঙালি বিদ্বেষীদের। বাংলার উত্তরের জেলাগুলো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে গোটা এলাকার জমি, অর্থব্যবস্থা, পুলিশ সবই কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি করে ভূমিপুত্রদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদের নিজের মাতৃভূমি থেকে বেদখল করে, তাদের জমি দোকান সম্পত্তি রাখার অধিকার কেড়ে নিয়ে ইউ পি -বিহার-ঝাড়খণ্ড-রাজস্থান থেকে বহিরাগত ঢুকিয়ে এলাকার ভূমিপুত্রদের ওপর অত্যাচার চালাবে। উত্তরের জেলাগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দেবে তাদের পছন্দের গুজরাট, রাজস্থানের পুঁজিপতিদের হাতে। সেখানে সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন করে দেওয়া হবে বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের।কৌশিক মাইতি বলেন, গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের উপর আঘাত হানলে বাংলার প্রতিটি জেলা বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার জল বাংলাদেশে পাঠিয়ে বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে শ্মশানে পরিণত করতে চায়। বাংলার সরকার রাজি না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে পারলে দিল্লি তিস্তার জল সহজেই বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে। এখনও পর্যন্ত এই চক্রান্ত আটকে রেখেছে বাংলার সরকার। কিন্তু বাংলা ভাগ হলে উত্তরের জেলাগুলোর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আর বাংলার সরকারের হাতে থাকবে না। বিপন্ন হয়ে যাবে উত্তরের জেলাগুলোর বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব।বাংলা পক্ষ প্রথম দিন থেকে বিজেপির এই বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এর আগে গোর্খাল্যান্ড তৈরি করে বাংলাকে দু-টুকরো করার ষড়যন্ত্র করেছিল বিজেপি-আরএসএস। সেই সময়ও বাংলা পক্ষ গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ, পথ সভা প্রতিবাদ সংগঠিত করেছিল।

জুন ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌বাংলার রনজি ব্যর্থতার জন্য কেন আঙুল উঠছে অরুণলালের দিকে?‌

২০১৯২০ মরশুমে রনজি ট্রফি জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছেছিল বাংলা। দুরন্ত লড়াই করেও শেষরক্ষা হয়নি। সৌরাষ্ট্রর কাছে ফাইনালে হেরে রনজি জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল বাংলার। এই মরশুমেও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। মধ্যপ্রদেশের কাছে সেমিফাইনালে হেরে স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। কেন বারবার ব্যর্থতার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাকে? পর্যালোচনা করতে বসে উঠে আসছে একাধিক কারণ। কখনও ব্যাটিং ব্যর্থতা, কখনও আবার বোলারদের ব্যর্থতার জন্যই ডুবতে হচ্ছে বাংলাকে। এবছর মধ্যপ্রদেশের কাছে হারের জন্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন। দলের ব্যাটারদের ওপর স্বয়ং কোচ অরুণলালেরই তেমন আস্থা নেই। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৯ জন ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরির বেশি রানের সুবাদে রানের পাহাড় গড়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও ব্যাটাররা জ্বলে উঠবেন। কিন্তু ল অফ অ্যাভারেজ বলে একটা কথা আছে। আর ঝাড়খণ্ডের বোলিং শক্তির সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের বোলিং শক্তির আকাশপাতাল পার্থক্য রয়েছে। ভাল বোলিংয়ের সামনে পড়তেই বাংলার ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে আসে। তাড়াছা মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই কুমার কার্তিকেয়ার আতঙ্কে ভুগছিল বাংলা শিবির। ম্যাচে সেই আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি অভিষেক রমণ, সুদীপ ঘরামিরা। কোচ অরুণলালের মুখেও শোনা গেছে ব্যাটারদের আতঙ্কের কথা। বাংলার কোচ বলছিলেন, শুরু থেকেই যদি ব্যাটাররা ভয় পেয়ে যায়, তাহলে রান করবে কীভাবে? শুধু কি ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্যই এবার সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে বাংলাকে? বোলারদের ব্যর্থতার কথাও উঠে আসছে। নিজেদের পছন্দমতো পরিবেশ না পেলে জ্বলে উঠতে পারছেন না মুকেশ কুমার, আকাশ দীপরা। ইডেনের মতো ঘাসে ভরা উইকেট না পেলে ভাল বল করতে পারছে না। সব জায়গায় তো আর পছন্দমতো উইকেট পাওয়া যাবে না। সব ধরণের উইকেটেই মানিয়ে নিতে হবে। ভাল মানের স্পিনারের অভাবেও ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। উৎপল চ্যাটার্জি, শরদিন্দু মুখার্জি, সৌরাশিস লাহিড়ীর মতো স্পিনার কোথায় বাংলায়? একজন ভাল মানের অফ স্পিনার এখনও তুলে নিয়ে আসতে পারল না বাংলা। সবেধন নীলমনি একজন রয়েছেন। ঋত্বিক চ্যাটার্জি। অথচ তাঁকে খেলানোর সাহস দেখাতে পারে না টিম ম্যানেজমেন্ট। আলুরের মাঠে মধ্যপ্রদেশের স্পিনাররা দুরন্ত বোলিং করে গেল। আর বাংলার স্পিনাররা প্রথম ইনিংসে জ্বলে উঠতেই পারেননি। কোচ অরুণলালের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আধুনিক কোচিংয়ের ধারণার সঙ্গে সড়গড় নন অরুণলাল। তাঁর কোচিং পদ্ধতি নিয়ে দলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ম্যাচের আগে টিম মিটিংয়ে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নাকি কোনও আলোচনাই হয় না। দল কীভাবে খেলবে, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কীভাবে পরিকল্পনা বদলাবে, সেসব বিষয় নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামান না বাংলার কোচ। টিম মিটিংয়ে নাকি শুধু অতীতের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসেন। অধিনায়ক কী চাইছেন, প্রথম একাদশে কোন কোন ক্রিকেটারকে নিয়ে অধিনায়কের কী পরিকল্পনা, সেসব বিষয় নিয়ে একেবারেই আলোচনা করেন না। পুরনো পদ্ধতিকেই দিনের পর দন আঁকড়ে ধরে থেকেছেন। প্রশ্ন উঠছে প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়েও। বিপক্ষ দলে যখন একাধিক বাঁহাতি ব্যাটার, তখন কেন একসঙ্গে দুজন বাঁহাতি স্পিনার খেলানো হয়েছিল সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনায়াসে খেলানো যেত অফস্পিনার ঋত্বিক চ্যাটার্জিকে। শাহবাজ আমেদের সঙ্গে প্রদীপ্ত প্রামানিককে খেলানোর কোনও যুক্তি ছিল না। ঈশান পোড়েলকে বসিয়ে রাখাটাও অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর পরিবর্তে সায়নশেখর মণ্ডল বল হাতে একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি। গতি ও বাউন্স দিয়ে ঈশান পোড়েল হয়তো সমস্যায় ফেলতে পারতেন মধ্যপ্রদেশের ব্যাটারদের। টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল, সায়নশেখরের ব্যাট থেকে কিছু রান পাওয়া যেতে পারে। ৬ জন ব্যাটার ব্যর্থ হলে ৭ নম্বর ব্যাটারের কাছ থেকে ভাল কিছু প্রত্যাশা করাটাই বোকামি। সুদীপ চ্যাটার্জির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারকেও প্রথম একাদশের বাইরে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শুরুতে উইকেট হারালে যেখানে দল চাপে পড়ে যাচ্ছে, সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে অভিষেক পোড়েলকে তিন নম্বরে পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

জুন ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেমিফাইনালেই স্বপ্ন শেষ, আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে

কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বাধা টপকানোর পর ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। ব্যাটারদের দুরন্ত ফর্মই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল বাংলা শিবিরকে। ভেবেছিল মধ্যপ্রদেশের বাধাও অনায়াসে টপকে যাবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে। যেমনটা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। আলুরে সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল অভিমন্যু ঈশ্বরণের দলের রনজি অভিযান। বাংলাকে ১৭৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল মধ্যপ্রদেশ। তাদের সামনে এবার মুম্বই। জয়ের জন্য ৩৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৬। পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ দিনের খেলায় ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে মাঠ ভিজে থাকায় খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের অনেকটাই দেরিতে। দিনের দ্বিতীয় বলেই অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট তুলে নেন গৌরব যাদব। অনুষ্টুপ মজুমদার ২৬ বলে ৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর শাহবাজ আমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। যদিও দুজনে মিলে জুটিতে ৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি।চুয়ান্নতম ওভারের প্রথম বলেই অভিমন্যুকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়। ১৫৭ বলে ৭৮ রান করে বোল্ড হন বাংলার অধিনায়ক। এদিন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গেলেন অভিমন্যু। খেললেন ৭২ ম্যাচ। অভিমন্যু যখন আউট হন বাংলার রান তখন ৬ উইকেটে ১৩৫। ২ ওভার পরেই সায়নশেখর মণ্ডল আউট হন। ৬ বলে মাত্র ১ রান করে তিনি সারাংশ জৈনের বলে এলবিডব্লু হন। ৫৯.২ ওভারে বাংলার অষ্টম উইকেট পড়ে। ১৩ বলে ৫ রান করে আউট হন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তিনি কার্তিকেয়র পঞ্চম শিকার। ৬৩.৪ ওভারে আকাশ দীপ (১১ বলে ২০) আউট হন গৌরব যাদবের বলে। বাংলার রান তখন ১৭১। ১ ওভার পরেই মুকেশ কুমারকে (৪ বলে ৪) তুলে নিয়ে বাংলার ইনিংস শেষ করে দেন গৌরব যাদব। ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ৮২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আমেদ। ৬৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট। গৌরব যাদব ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। সারাংশ জৈন নেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হিমাংশু মন্ত্রী।

জুন ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার কলকাতা ফিরছেন ইস্টবেঙ্গলে খেলা সাড়া জাগানো স্ট্রাইকার

একসময় কলকাতা ময়দানে বেশ সাড়া জাগিয়ে শুরু করেছিলেন। কিন্তু খুব বেশিদিন কলকাতা ময়দানে খেলতে পারেননি। পাড়ি দিয়েছিলেন গোয়ায়। সেখান থেকে মনিপুর। আবার কলকাতা ফিরছেন উইলিস প্লাজা। তবে কলকাতার কোনও বড় ক্লাবে নয়, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর এই স্ট্রাইকারকে খেলতে দেখা যাবে ভবানীপুর ক্লাবে। এছাড়া মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার ক্রিজো ইচেডোনাকেও খেলতে দেখা যাবে ভবানীপুরে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর উইলিস প্লাজাকে ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রে প্রথম পরিচয় করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদ জার্সিতে ২০১৭-১৮ মরসুমে ২৪ ম্যাচে ১১ গোল করেছিলেন। তবে তিনি বেশি সাফল্য পেয়েছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের জার্সি গায়ে। চার্চিলের হয়ে ২০১৮-২০২০ পর্যন্ত খেলেছেন প্লাজা। ৩৫ ম্যাচে করেছে ২৯ গোল। ২০১৮-১৯ আই লিগে ২১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব অর্জন করেন তিনি। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জাতীয় দলের ফুটবলার উইলিস প্লাজা। তিনি এখনও পর্যন্ত নিজের দেশের হয়ে ২৩ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন। ইস্টবেঙ্গল এবং চার্চিল ব্রাদার্স ছাড়াও দুই স্পেলে প্লাজা খেলেছেন মহমেডান স্পোর্টিং-এ।চার্চিল ব্রাদার্সের জার্সিতে আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। পরে চার্চিল ব্রাদার্স ছেড়ে আইজল এফসি-তে যোগ দেন প্লাজা। গত আই লিগে আইজল এফসির হয়ে মাঠ কাঁপান। এবার তাঁকে ভবানীপুরের জার্সিতে দেখা যাবে। কলকাতা লিগের জন্য প্লাজাকে সই করানোর পথে ভবানীপুর ক্লাব। বরাবরই কলকাতা লিগ এবং দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগের জন্য শক্তিশালী দল গড়ে ভবানীপুর। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান এখনও ঠিক মতো দল গুছিয়ে উঠতে না পারলেও কিংশুক দেবনাথ, কৌশিক সরকার, সঞ্জু প্রধান-এর মতো তারকাদের নিয়ে ব্যাপক শক্তিশালী দল গঠন করছে ভবানীপুর। মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডোর ক্রিজো ইচেডোনা এবং রিয়াল কাশ্মীরের জার্সিতে ভারতীয় ফুটবল মাতানো নোহেরো ক্রিজোকেও এ বার দেখা যাবে ভবানীপুরের জার্সিতে। প্লাজা-ক্রিজো জুটি ফিট হয়ে গেলে কলকাতা লিগে বহু দলের রাতের ঘুম উড়ে যাবে।

জুন ১৮, ২০২২
রাজ্য

এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস ধর্মতলায়, বিশেষ গুরুত্ব উত্তরবঙ্গকে

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরের বছরে একুশে জুলাই শহিদ দিবস ভার্চুয়ালি আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে ঘাসফুল শিবির। উত্তরবঙ্গের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। দল চাইছে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও কর্মী-সমর্থক ওই দিন ধর্মতলায় আসুক।তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ২ বছর করোনা আবহে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারিনি। যদিও ভার্চুয়ালি মিটিং হয়েছে। কোনও জনসমাগম করা হয়নি। এবার ২১ জুলাই পথ চলায় কর্মীদের দিক নির্দেশ দেবেন মমতা। এই দিনটা আগে আয়োজন করতো যুব কংগ্রেস তারপর তৃণমূল কংগ্রেস।সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার শহিদ দিবসে আরও বেশি করে সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আরও বেশি কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত হতে পারেন তার ওপর জোর দিতে হবে। জেলায় জেলায় স্লোগান তুলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে ধর্মতলা চলো। এবার আগের থেকেও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে। ভিন রাজ্য থেকেও প্রতিনিধিরা আসবে।এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুলাই আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২১ বিধানসভা ভোটেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। একজন সাংসদও নির্বাচিত হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। আলিপুরদুয়ার জেলায় একজন বিধায়কও নেই তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২১ জুলাই উপলক্ষ্য়ে কেউ যেন চাঁদা না তোলে। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।

জুন ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ চুক্তিজটে আটকে থাকা ইস্টবেঙ্গলের থেকে এগিয়ে কলকাতার অন্য দুই বড় ক্লাব

এই মরশুমে আইএসএলে খেলার সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে দল গঠনের কাজে পিছিয়ে নেই মহমেডান স্পোর্টিং। বরং কলকাতার আর এক প্রধান ইস্টবেঙ্গলকে এই ব্যাপারে টেক্কা দিয়েই চলেছে। ইমামির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় লালহলুদের দলগঠন প্রক্রিয়া যখন পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে একের পর এক ফুটবলারকে সই করিয়ে বাজিমাত করছে মহমেডান। মার্কাস জোশেফের সঙ্গে আগেই চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন সাদাকালো কর্তারা। এবার ঝাঁপাল নাইজেরিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলা স্ট্রাইকার ভিক্টর চুকুয়ামা এম্বাওমার জন্য। আইএসএলে খেলা এই স্ট্রাইকারের এজেন্টের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে মহমেডান কর্তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হবে। এছাড়া নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলা দেশর্ন ব্রাউনকে পেতে মরিয়া মহমেডান। জামাইকার এই ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে। এছাড়াও ক্যামেরুনের জাতীয় দলের ফুটবলার বৌবা আমিনু এবং তাজাকিস্তানের জাতীয় দলের ফুটবলার কমরোন তরুসুনভের এজেন্টের সঙ্গেও কথা বলেছেন সাদাকালো কর্তারা। যদি চুকুয়ামা কিংবা ব্রাউনকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে এই দুই ফুটবলারের জন্য ঝাঁপাবেন তাঁরা। এদিকে, চুক্তি আটকে থাকায় দল গঠনের কাজে হাত দিতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ইমামি ও ইস্টবেঙ্গলের আইনজীবীরা চুক্তির খসড়া তৈরি করেছেন। তবে সেই চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর মাঝেই বিশাল কাইথ হাতছাড়া হয়েছে। ঘরের ছেলে বলে পরিচিত মহম্মদ রফিকও লালহলুদ ছেড়ে চেন্নাইন সিটি এফসিতে যোগ দিয়েছেন। জেরির সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গিয়েও সই করাতে পারছে না। হয়তো তিনিও হাতছাড়া হয়ে যাবে লালহলুদের। ইস্টবেঙ্গলের এইরকম টালমাটাল পরিস্থিতিতে আগামী মরসুমের জন্য দলকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কর্তারা। নজর দিয়ে সিনিয়র দলের জন্য সাপ্লাই লাইন তৈরি করতে। একসময় যুব দল থেকে উঠে এসে নজর কেড়েছেন কিয়ান নাসিরির মতো ফুটবলাররা। সেই রকম ফুটবলার তুলে নিয়ে আসার জন্য এবার বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিনিয়র দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে। ২০ জন থেকে যুবভারতীতে শুরু হবে এটিকে মোহনবাগানের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল গঠনের জন্য ট্রায়াল। ফেরান্দোর সহকারীরা এই প্রাথমিক দল নির্বাচন করলেও চূড়ান্ত দল নির্বাচন করবেন ফেরান্দোই।

জুন ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচকে তুলে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল

মাসখানেক আগে শোনা যাচ্ছিল কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পারেন রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও বলেছিলেন লালহলুদ কর্তারা। রঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে এবার ইস্টবেঙ্গল কোচের লড়াইয়ে ঢুকে পড়লেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। তাঁর কাছে পৌঁছে গেলে লালহলুদ কর্তাদের প্রস্তাব। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি। ইস্টবেঙ্গলে প্রস্তাব ভেবে দেখছেন সবুজমেরুণকে লিগ জেতানো এই কোচ।কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপের জন্য স্বদেশি কোচ নিয়োগ করতে চান লালহলুদ কর্তারা। আইএসএলের জন্য পরে বিদেশি কোচ নিয়ে আসবেন। সেই মতো সন্তোষ ট্রফির বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যর কথা একসময় ভেবেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। পরে তাঁরা মত বদলেছেন। ক্লাব ফুটবলে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর সাফল্যের কথা মাথায় রেখে তাঁকে কোচ করার ভাবনা মাথায় আসে। যদিও রঞ্জন ভট্টাচার্য এখনও লালহলুদ কর্তাদের মাথা থেকে সরে যাননি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত লালহলুদের কোচের হটসিটে কাকে দেখা যায়।এদিকে, ইমামির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় দল গঠনে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ফুটবলারদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হলেও চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারছে না। ফলে ফুটবলাররা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। থমকে যাচ্ছে দলগঠন প্রক্রিয়া। যেমন জেরি লালরিনজুয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হলেও তাঁকে সই করাতে পারছেন না লালহলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কথা অনেকদুর এগিয়েও এটিকে মোহনবাগানে সই করেছেন বিশাল কাইথ। লালহলুদ কর্তারা তাকিয়ে ইমামির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির দিকে।এদিকে, সামনের মরশুমে সাদাকালো জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার সামাদ আলি মল্লিককে। বুধবার তিনি মহমেডানের চুক্তিপত্রে সই করেছেন। দীর্ঘ সময়ে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের দায়িত্ব সামলানো সামাদ আলি লালহলুদের প্রথম দলে সুযোগ পান ২০১৫ সালে। ২০২০ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের হয়েই খেলেছেন সামাদ। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিলে সই করেন পাঞ্জাবের রাউন্ড গ্লাস ক্লাবে। ২০২০-২১ আই লিগে পাঞ্জাবের দলটির হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০২১ সালে সমাদের নতুন ঠিকানা হয় শ্রীনিধি ডেকান। গত আই লিগে নতুন এই দলটির হয়ে তিন ম্যাচ খেলে ফের শহরের দলে ফিরলেন সামাদ।

জুন ১৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ...
  • 40
  • 41
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal