• ১১ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

১০০ দিনের কাজে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ, জেলা শাসককে তিন মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা (MGNREGA) প্রকল্পে অর্থাৎ, ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বিডিও ও প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে আদালতে মামলাও করা হয়েছিল। এবার সেই নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসে তদন্ত শেষ করে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে।কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের প্রচুর টাকা দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের মামলা করেন আইনজীবী আত্মরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মনরেগার কাজে মৃত ব্যক্তি ও জেলে থাকা অভিযুক্তদের নামেও প্রচুর টাকা জাল করে তুলে নেওয়া হয়েছে। বিডিও-র কাছে বারং বার অভিযোগ করার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে জানা যায় তিনিও এই ঘটনায় জড়িত। দীর্ঘ দিন ধরেই পরিকল্পনামাফিক এই বেআইনি কার্যকলাপ চলছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায়, অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন আত্মরূপ। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালত তদন্তের নির্দেশ দিল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজে সবথেকে বেশি টাকা পায় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও ভুড়ি ভুড়ি দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই হয়ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসছে।এদিকে আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ব্লকে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজ পরিদর্শন করেন তাঁরা। সোমবার সকালে এই প্রতিনিধি দল প্রথমে জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা ময়না ব্লক অফিস, গোজিনা গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এর পাশাপাশি কাজের জায়গায়ও পরিদর্শন করেন তাঁরা। কথা বলেন ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের সঙ্গেও। কর্মরত সমস্ত শ্রমিকদের জব কার্ড খতিয়ে দেখেন।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট কাটতেই নামছে পারদ, কাঁপছে বঙ্গ

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটতেই ফের কলকাতা শহরে নামল তাপমাত্রা।কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে বঙ্গবাসী। গত দুদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি মতো তাপমাত্রা নেমেছে। রবিবার রাতের তামমাত্রাও অনেকটা কমেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটলেই শীত যে আবার ফিরে আসবে তা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বৃষ্টি কমতেই তাই ফের স্বমহিমায় শীত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে থাকবে কুয়াশা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৩ ডিগ্রি এবং ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।ঝঞ্ঝার ফলে গত সপ্তাহে শীতের প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে। বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং কালিম্পঙেও। তবে সেই প্রভাব কাটতেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে। তাপমাত্রাও নামতে শুরু করে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ধারাবাহিক ভাবে নেমেছে। শুক্রবারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির আশপাশে, সেখানে সোমবার এই তাপমাত্রা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা দুই ডিগ্রি কম।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

'বঙ্গবালা' শাঁওলি-র প্রয়াণে বাংলার নাট্য জগৎ আনাথ

সকলের অগোচরে না ফেরার জগতে চলে গেলেন বিশিষ্ট নাট্যকার অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মঞ্চ কাঁপানো অভিনেত্রী। বাবার শম্ভু মিত্রের পথ অনুসরণ করে ফুলের ভারে নয় একেবারে অনারম্বরে লোকচক্ষুর আড়ালে কিরীটি শ্মশানে সম্পন্ন হল শেষকৃত্য। সেখানে হাজির ছিলেন নাট্যকার অর্পিতা ঘোষ।নাথবতী অনাথবৎ খ্যাত শাঁওলি-র বাবা শম্ভু মিত্রের মতো মৃত্যুর পরে তার ইচ্ছার কথা লিখে গিয়েছেন। লিখেছিলেন তাঁর শেষকৃত্যের পরই যেন সকলকে জানানে হয়। সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যার কয়েক বছর ধরেই বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল।ঋত্বিক ঘটকের কালজয়ী ছায়াছবি যুক্তি তক্কো আর গপ্পো তে বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্র-কে। তিনি একাধিক কালজয়ী নাটকে সুনামের সাথে অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনীত অন্যতম কয়েকটি নাটক ডাকঘর, পুতুলখেলা, একটি রাজনৈতিক হত্যা, বিতত বীতংস ...... আরও অনেক। নাট্যজগতে তাঁর অসামান্য অভিনয়ের অবদানের জন্য তিনি ২০০৯-এ ভারত সরকারের সর্বোচ্চ সন্মান পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন। তিনি ২০১১-তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন মত গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।শাঁওলি মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০১১রাজ্যে পালাবদলের সময় তিনি পথে নেমে তৎকালীন শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। অনন্য অভিনয়ের জন্য ২০০৩-এ সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২-তে তাঁকে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির দায়িত্বে ছিলেন । শাঁওলীর প্রয়াণে বাকরুব্ধ বাংলার নাট্যজগৎ।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় করোনা গ্রাফের দ্রুত পতন, কমেছে পজিটিভিট রেট

এর আগে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুদিনে দ্রুত পতন ঘটছে করোনা গ্রাফের। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৯৩৮। গতকালের তুলনায় কমেছে ৪,১২৬।গত কয়েক দিন টানা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। শুক্রবার থেকে রাজ্যে করোনাগ্রাফ নামতে শুরু করেছে। শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ২২,৬৪৫, শনিবার ছিল ১৯,০৬৪ জন, আজ রবিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪,৯৩৮-তে। মৃতের সংখ্যা সামান্য কমেছে। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮, এদিন ছিল ৩৬। টানা তিন দিন কমল পজিটিভিটি রেটও। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ২৭.৭৩। গতকাল শনিবার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। শুক্রবার পজিটিভিট রেট ছিল ৩১.১৫ শতাংশ। এদিন করোনামুক্ত হয়েছেন ৯,৯৩৭জন। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনাসহ একাধিক জেলায় কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।কোন জেলায় কত সংক্রমণকলকাতা ৩,৮৯৩উত্তর ২৪ পরগনা ২,৫৬৫দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১,০২৯হাওড়া ৬৮৪পশ্চিম বর্ধমান ৬৩৫পূর্ব বর্ধমান ৫৯৬হুগলি ৭৪৫বীরভূম ৭৭৬নদিয়া ৫৩৬মালদা ৫৮৬মুর্শিদাবাদ ২০৬পশ্চিম মেদিনীপুর ৩৪৭পূর্ব মেদিনীপুর ১৩৬পুরুলিয়া ১৫৫দার্জিলিং ৫৯৭বাঁকুড়া ২৭১জলপাইগুড়ি ৩০৭উত্তর দিনাজপুর ২২১দক্ষিণ দিনাজপুর ১৮২ঝাড়গ্রাম ১৪৭কোচবিহার ১২৮আলিপুরদুয়ার ১২২কালিম্পং ৭৪

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ৬ দিনের শিশুর মৃত্যু

এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাত সূত্রে খবর, শিশুটির বয়স মাত্র ৬ দিন। জানা গিয়েছে, রবিবার ওদলাবাড়ি হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে করোনা পজিটিভ ছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ১১ জানুয়ারি জন্ম হয়েছিল শিশুটির। তারপর ১৩ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা তুড়িবাড়ির বাড়িতে চলে যায়। রবিবার শিশুটিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফের ওদলাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, চিকিৎসা শুরু হতেই মারা যায় ৬ দিনের শিশুটি। পরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেষ্টে শিশুটির কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। একইসঙ্গে শিশুটির মাও করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।শিশুটির করোনায় আক্রান্তের খবর স্বীকার করে নিয়েছে জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ দফতর। এই ঘটনায় চিকিৎসকরা রীতিমতো চিন্তিত। এর আগে রাজ্যে এমন ঘটনা সামনে আসেনি। করোনার তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা আক্রান্ত হবেন এমন আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কিন্তু শিশুরা আক্রান্ত হলেও সর্দি-জ্বরের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু ওদলাবাড়ির এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

খুদেদের পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, বাড়ি বাড়ি ছুটছেন শিক্ষকরা

কোভিডের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। খুদে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বিমুখ থাকার কারণে পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। শুধু দূরত্ব তৈরী হওয়াই নয়, বইয়ের প্রতি অনীহাও বাড়ছে খুদে পড়ুয়াদের। এমনকি লেখাপড়া শেখার প্রতি শিশুরা আগ্রহও হারাতে বসেছে। শহর হোক কিংবা গ্রাম সর্বত্রই ধরা পড়ছে এমনই ছবি। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে রাখতে আসরে নামলেন বর্ধমানের একদল মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকদের এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অবিভাবক ও বর্ধমানে শিক্ষানুরাগীরা।শহর বর্ধমানে শ্যামসায়র এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন। তাঁরা পড়ুয়াদের অবিভাবকদের বোঝাচ্ছেন, যাতে করে পড়ুয়ারা বাড়িতে পড়াশুনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। পাশাপাশি এই শিক্ষকরা পাঠ্যপুস্তকের প্রতি ভালবাসা না হারানোর জন্য পড়ুয়াদেরও অনরোধ করে চলেছেন। শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠের পড়ুয়ারা মূলত শহর বর্ধমানের রসিকপুর, বাবুরবাগ, সুভাসপল্লী, খোসবাগান, পাওয়ার হাউসপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় থাকে। এই সকল এলাকায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌছে শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত বোঝাচ্ছেন। বার্তা একটাই, বইয়ের বিকল্প নেই তাই পাঠ্যফুস্তক পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। একই সাথে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের বই ও স্কুল ড্রেস দেবার কাজও।স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন স্কুলে আসতে পারছে না। স্কুলের তরফে আমরা পড়ুয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখাছি। ওদের পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে রাখতে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে সরাসরি শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ আর সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ, এই দুটো যে এক নয় তা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন পলাশ বাবু। তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা যৌথ ভাবে প্রচেষ্টা চালচ্ছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। সেকারণেই আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সাথে দেখা করছি। সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই, পোষাক, মিড ডে মিল, কম্পিউটার শিক্ষা সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়, এই বিষয়গুলি নিয়েও অভিভাবকদের কাছে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হেমা চৌধুরী।শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছে অভিভাবকরা। করোনা আবহে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বইয়ের প্রতি অনীহা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন অভিভাবকেরা। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগ দেখে তাঁর সন্তানকে বেসরকারি স্কুল থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। নরেশ ধীবর নামে এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখা, এমন সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াস সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

"নেতাজি" সুভাষচন্দ্র বসু-র ট্যাবলো বাতিল করলো কেন্দ্র সরকার, প্রতিবাদে মুখর 'বাংলা পক্ষ'

একদিকে যখন বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, সরকার আরও জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ২০১৯ এ নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার, এবং এই উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্টানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অদ্ভুত ভাবে সেই সরকারই ২৬ শে জানুয়ারী-র সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বীর সুভাষ ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ-কে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। একই সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণে অবাক সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজন।এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষি কোনও ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে এই বাংলা প্রেমী সংগঠন। তাঁরা তাদের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। জনতার কথার প্রতিনিধি কে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার। বিজেপি ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র সরকারের সর্বদাই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চরিত্র দেখি আমরা।আরও পড়ুনঃ নেতাজির জীবন নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেবাংলা পক্ষ-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যখন বাঙালি বীর সন্তানরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিচ্ছে তখন আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করতো। ইতিহাসক্রমেই বিজেপি ও আরএসএস (RSS) সুভাষ বিরোধী। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সুভাষের নামাঙ্কিত বাংলার ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় দিল্লির সুভাষ বিরোধিতা আরও প্রকট ভাবে প্রকাশিত হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাঙালি বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইটার প্রচার শুরু করেছে বাংলা পক্ষ। যদিও এবিষয়ে আরএসএসের কোনও মন্তব্য মেলেনি।বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, বাঙালিদের তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন #AntiNetajiBJP হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইটারে ঝড় তোলার জন্য। এছাড়াও আরও একটি হ্যাসট্যাগ #BengalNetajibannedinDelhi তাঁরা ব্যবহার করছেন এই প্রচারে। হাজার হাজার ট্যুইটের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্রের অমর্যাদার প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আবেদন তাঁরা রাখছেন সমগ্র ভারতীয়দের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন সুভাষচন্দ্র শুধু বাঙালির গর্ব নয় সমগ্র ভারতবর্ষের অলঙ্কার।কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা পক্ষ এই ট্যুইটার প্রচারে আরও কয়েকটি দাবি রেখেছে সেগুলি হলঃ১. সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করতে হবে।২. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই।৩. ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তবে বেড়েছে মৃত্যু

গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। টানা তিন দিন রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। গতকাল, শুক্রবার কিছুটা কমেছিল। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯,০৬৪ জন। শুক্রবার সেই সংখ্য়া ছিল ২২,৬৪৫। গতকালের তুলনায় কমেছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। বেশ কয়েকদিন ধরে ২০ হাজারের গন্ডি কিছুতেই কমছিল না। এদিন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর। তবে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফের এদিনও পজিটিভিটি রেট কমেছে। এদিন পজিটিভিটি রেট ২৯.৫২ শতাংশ। গতকাল পজিটিভিট রেট ছিল ৩১.১৫ শতাংশ।তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এদিন মৃতের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ২৮। রাজ্য়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০,০৫২। পাশাপাশি এদিন সুস্থ হয়েছে ৯,১৩২ জন।কয়েক দিন আগে করোনা আবহে রাজ্যে ভোট বন্ধ হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও একাধিকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরভোট বন্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতের রাজ্য সরকারের সম্মতিতে পুরভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশিন। এই ভোট পিছিয়ে দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে রাজ্যের চিকিৎসকরা।কোন জেলায় কত সংক্রমণকলকাতা ৪,৮৩১উত্তর ২৪ পরগনা ৩,৪৯৬দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১,২৮২হাওড়া ১,০০৩পশ্চিম বর্ধমান ৮৫৭পূর্ব বর্ধমান ৭৬৩হুগলি ১,০৭২বীরভূম ৮০০নদিয়া ৭৩৯মালদা ৭৫৩মুর্শিদাবাদ ৪৪৬পশ্চিম মেদিনীপুর ৪৫৮পূর্ব মেদিনীপুর ২১৫পুরুলিয়া ১৯৮দার্জিলিং ৪৭৬বাঁকুড়া ৩৬৯জলপাইগুড়ি ৩১৯উত্তর দিনাজপুর ২৭৪দক্ষিণ দিনাজপুর ২৪৫ঝাড়গ্রাম ১৯০কোচবিহার ১৩৭আলিপুরদুয়ার ৯৮কালিম্পং ৪৩

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

বিয়ে ও মেলায় কিছু ছাড় দিয়ে রাজ্যে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি বিধিনিষেধ

করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গত ২ জানুয়ারি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যে নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ জারি করেন।বাড়তি কিছু ছাড়-সহ রাজ্যে কোভিড জনিত বিধি-নিষেধের মেয়াদ আরো ১৫ দিন বাড়ানো হলো।আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এ বার বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। খোলা আকাশের তলায় মেলা করা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।তবে এই পর্বেও সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকছে। জিম, সুইমিং পুল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।অর্ধেক হাজিরা নিয়ে চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

পিছিয়েই গেল রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট! পুনরায় দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

অবশেষে পিছিয়ে গেল চার পুরনিগমের ভোটের দিন। শনিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতকে সম্মান জানিয়েই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করা হল। শনিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার যে বকেয়া ভোট তা হবে বলেই এখনও অবধি সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ, এ নিয়ে এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও কিছু বলেনি।আরও পড়ুনঃ চার পুরভোট পিছলে আপত্তি নেই, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল নবান্নকোভিড কাঁটায় তিন সপ্তাহ পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। তবে এই ভোটে নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। আদালতের নির্দেশে, রাজনৈতিক দলের মতামত শুনে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়েই তারা এই সিদ্ধান্ত নিল। ভোটের দিন পিছিয়ে গেলেও নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার যেমন কোনও বিষয় নেই, একইভাবে কমিশন জানিয়েছে, এই সময় অবধি প্রচার চালাতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারির ৭২ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোয় কোনও বাধা নেই।আরও পড়ুনঃ ফের কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেনমেন্টের সংখ্যানবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, কমিশন ভোট পিছিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই সরকারের। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরে ভোট পিছনোয় শিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

ঝঞ্ঝার দাপট যেন কমছেই না, তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট যেন কিছুতেই কমছেই না। যার প্রভাবে শনিবার দিনভর মেঘলা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্বভারতের দিকে বয়ে এসেছিল। তার প্রভাবে বুধবার থেকে আকাশ শুধু মেঘলা ছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কমবেশি। পৌষসংক্রান্তিতে রোদের দেখা মেলেনি। তার জেরেই এমন পরিস্থিতি। আগামী ১৮ জানুয়ারি আরও এক বার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব দেখা যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর। মেঘলা আকাশ এবং দিনভর বৃষ্টির জেরে শুক্রবার গাঙ্গেয় বঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। শনিবারও সেই পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। রবিবারও এই পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে সামান্য কমলো করোনা সংক্রমণ, বেড়েছে মৃত্যু

রাজ্যে টানা তিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত ২৪ ঘন্টায় সামান্য কমেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২২,৬৪৫। গতকাল এই সংখ্য়া ছিল ২৩,৪৬৭। তবে কিছুতেই ২০ হাজারের গন্ডি কমছে না। এদিন পজিটিভিটি রেটও সামান্য় কমেছে। গতকাল পজিটিভিট রেট ছিল ৩২.১৩, এদিন ৩১,১৫ শতাংশ। তবে এদিন ফের বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ২৬। রাজ্য়ে মোট করোনায় মৃত্য়ু হয়েছে ২০,০১৩ জনের।করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বাংলা তোলপাড়। সংক্রমণের সংখ্য়া সেভাবে কমছে না, পাশাপাশি পজিটিভিটি রেটও প্রায় এক তৃতীয়াংশ। স্বভাবতই চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। এদিকে গঙ্গাসাগর মেলায় মানুষের থিকথিকে ভিড়। এরপর পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়ছে চিকিতসক মহল। এদিকে রাজ্যের চার পুরসভার ভোট বন্ধ মামলার সিদ্ধান্তও ঝুলে গিয়েছে। দোকান-পাট, রাস্তায় এখনও বহু মানুষের মুখে মাস্ক নেই। নতুবা থুতনিতে মাস্ক ঝুলছে। মোদ্দা কথা আগামিতে করোনা সংক্রমণের হাল কী দাঁড়াবে এসব ভেবেই আতঙ্ক তাড়া করছে। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৮,৬৮৭ জন। গতকাল সংখ্য়াটা ছিল ৮,১৩৯। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যাও অল্প বেড়েছে।কোন জেলায় কত সংক্রমণকলকাতা ৬,৮৬৭উত্তর ২৪ পরগনা ৪,০১৮দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১,৫৩৩হাওড়া ১,২২৩পশ্চিম বর্ধমান ৯৩৭পূর্ব বর্ধমান ৭৬৭হুগলি ১,৩৯৪বীরভূম ৯৮৪নদিয়া ৮১৬মালদা ৬৪৮মুর্শিদাবাদ ৩৯০পশ্চিম মেদিনীপুর ৪৭৯পূর্ব মেদিনীপুর ২৪৬পুরুলিয়া ২২৬দার্জিলিং ৫৯৬বাঁকুড়া ৩৬৫জলপাইগুড়ি ২১৬উত্তর দিনাজপুর ২২১দক্ষিণ দিনাজপুর ২০২ঝাড়গ্রাম ২০১কোচবিহার ১২৪আলিপুরদুয়ার ১১২কালিম্পং ৮০

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

এবার ‘পাড়ায় সমাধান’-এর প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের

আসন্ন পুরনির্বাচনে ইস্তাহারের বদলে উন্নয়নের রূপরেখা প্রকাশ করল তৃণমূল। যার মূল লক্ষ্যই হল সরকারি পরিষেবাকে আরও নাগরিকমুখী করা। শুক্রবার বিধানগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর এই তিন জায়গার ইস্তাহার একই সময় প্রকাশে করেছে তৃণমূল। শিলিগুড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। অন্যদিকে চন্দননগরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল রায়, বিধাননগরে দলের ইস্তাহার প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।কলকাতার মতো নাগরিক সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে তিন পুরসভাতেই চালু করা হবে পাড়ায় সমাধান নামে বিশেষ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে রাস্তা থেকে জলনিকাশি যে কোনও সমস্যার ছবি ও তথ্য জিওট্যাগ-সহ আপলোড করা যাবে। ইস্তাহারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।জল নিকাশি ও অন্যান্য পরিষেবায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার পযর্টন ক্ষেত্রের উন্নয়নেও। এ দিন বিধাননগরে সংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দলের কেউ যদি ভোট বানচালের চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, কখন, কাদের নিভৃতবাস বা হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন সে বিষয়েও বার্তা রয়েছে ওই নির্দেশিকায়।চলতি সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের এই নির্দেশিকা। এতে জানানো হয়েছে, করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন সকলেরই পরীক্ষা করানো জরুরি।৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তেরা যদি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলে তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-লিভার-কিডনির সমস্যা, স্থূলত্ব জনিত সমস্যাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিভৃতবাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে যাঁরা বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে টানা ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা বা ধড়ফড় করা আচ্ছন্নভাব বা অস্থিরতার মতো উপসর্গ। এর সঙ্গে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র কম, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর বেশির মতো সমস্যা থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। মৃদু উপসর্গের তালিকায় রয়েছে, শুকনো কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর, ডায়ারিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ হারানো। সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র সামান্য বেশি কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর কম হলেও তা পড়বে মৃদু উপসর্গের তালিকায়। কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের বিশেষভাবে বাড়িতে নিভৃতবাস পর্বে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায়।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে গঙ্গাসাগরে চলল পুণ্যস্নান

দেশে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ। বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দুটি নতুন ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরইমধ্যে শুক্রবার মকর-সংক্রান্তিতে উপলক্ষে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলল দেদার পুণ্যস্নান।পুণ্যস্নান করতে গিয়ে কোভিডবিধি কার্যত শিকেয় তুলেছেন পুণ্যার্থীরা। দেশে তথা রাজ্য জুড়ে হু-হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মেলায় প্রবেশের আগে করোনাবিধির যে কড়াকড়ি লক্ষ করা যাচ্ছিল, তা স্নানের সময় দেখা যায়নি। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ববিধিও। করোনাবিধির তোয়াক্কা না করেই এক সঙ্গে বহু মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ কতটা ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্রতীরে তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ই-স্নানের কাউন্টার। এই কাউন্টার থেকেই পুণ্যার্থীরা পবিত্র গঙ্গা জল নিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে পুণ্যস্নান করেন। গঙ্গাসাগরে বিভিন্ন প্রান্তে রাখা হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে স্নানের ব্যবস্থা। কাল সকাল পর্যন্ত চলবে পুণ্যস্নান।পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে সাগর উপকূলে। তবুও মানুষের উৎসাহে খামতি দেখা যায়নি। কপিল মুনির মন্দির চত্বরেও পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। এ দিকে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রোজই মেলায় ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছেন হাইকোর্ট-এর নির্দেশে তৈরি হওয়া কমিটির সদস্যরা।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরা

চারপাশে সবুজে ভরা ক্ষেত। তারাই মাঝে কোনওরকমে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ফুটো একচিলতে কুঁড়ে ঘর। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যে সেই কুঁড়ে ঘর থেকে ভেসে আসে শিশু পুত্র অভিষেক সানার মায়াবী কন্ঠে ভরা লোক গানের সুর। নিথুর প্রেম ভিখারি করেছে মোরে। মা হারানো অভিষেকের গাওয়া এই গানের সুর মূর্ছনাতেই মোহিত পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের আট থেকে আশি সকলে। মায়াবী কন্ঠে ভরা গানের জাদুতেই একরত্তি ছেলে অভিষেক গ্রামের সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। বড়শুলের সকল বাসিন্দাই মনেপ্রাণে চান দিন দরিদ্র পরিবারের ছেলে অভিষেক বড় হয়ে নামজাদা বাউল কিংবা লোকগানের শিল্পী হোক। অভিষেকও সেই স্বপ্নকে আঁকড়েই নিজেদের কুঁড়ে ঘরে নিত্যদিন রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপরবর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুল ২ পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম বালিমাঠ। এই গ্রামের চারপাশে থাকা চাষের জমির মাঝেই রয়েছে ছিটেবেড়া আর খড়ের চালার তৈরি অভিষেকদের কুঁড়ে ঘরটি। নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পে পাওয়া জায়গায় গড়ে তোলা ভাঙা ফুটো সেই ঘরেই ৯ বছর বয়সী অভিষেক ও তাঁর ছোট ভাই সহ বাবা, বৃদ্ধা ঠাকুমা ও পিসি বসবাস করেন। জায়গা মিললেও এখনও পাকা বাড়ি তাঁদের মেলেনি। অভিষেকের যখন ৪ বছর বয়স তখন তাঁকে ও তাঁর ছোটভাই কৌস্তভ কে বাড়িতে ফেলে রেখে গায়েব হয়েযান মা ভারতীদেবী। অভিষেকের বাবা তারকচন্দ্র সানা বালি খাদানে শ্রমিকের কাজ করে যৎসামান্য যা রোজগার করেন তা দিয়েই তাঁদের দিন গুজরান হয়। অভিষেক বড়শুল নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর ভাই কৌস্তভ একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া। বাড়িতে বিদ্যুতের বাতির আলোয় পড়াশুনা করার সৌভাগ্যও এখনও তাঁদের হয়নি। সন্ধ্যা নামলেই লম্ফ অথবা হারিকেনের আলোই ভরসা অভিষেকদের। তবে কষ্টের সংসারে অভিষেকই গানের সুরে সবার মন ভুলিয়ে রেখেছে।তারকচন্দ্র সানা জানিয়েছেন, তিনি গান-বাজনা ভালোবাসেন। বাউল ও লোকগান শোনার টানে আগে তিনি বীরভূমে জয়দেবের মেলায় যেতেন। তখন ছোট্ট অভিষেককেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। জয়দেব মেলায় হাজির হওয়া বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনে অভিষেকেরও গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমদিকে সে বাড়িতেই গুনগুন সুরে গান গাইতো। তা দেখে অভিষেককে একটা হারমোনিয়াম কিনে দেয় ওর মামারা। হারমোনিয়াম পাওয়ার পর প্রথম প্রথম অভিষেক নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতো। বছর দুই হল বড়শুল নিবাসী মঙ্গল কালিন্দী কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে গান শেখাচ্ছেন অভিষেককে। মঙ্গলবাবু নিজেই গান লিখে গানের সুর দেন। সেই গানই এখন গেয়ে অভিষেক বড়শুলবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক তাঁর নিজের ছোট ভাই কৌস্তবকেও একটু একটু করে গানের তালিম দিচ্ছে।আরও পড়ুনঃ যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকিখুদে শিল্পী অভিষেক জানিয়েছে, বাবার হাত ধরে সে জয়দেবের মেলায় যেত। সেখানে বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনেই সে গান গাওয়ার ব্যপারে অনুপ্রাণিত হয়। অভিষেক এও জানায়, বাউল ও লোকগান শেখার প্রতিই তাঁর টান বেশী। বড় হয়ে স্বনামধন্য বাউল গানের শিল্পী হতে চায় বলে অভিষেক। মঙ্গল কালিন্দী বলেন, তাঁর ছাত্র অভিষেকের প্রতিভা রয়েছে। গান গেয়ে এত ছোট বয়সে ও যে ভাবে সবার মন জয় করে নিয়েছে সেটাই সবথেকে গৌরবের বলে মঙ্গলবাবু দাবি করেছেন। এলাকার বাসিন্দা নয়ন মণ্ডল বলেন, মায়াবী কন্ঠে ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান তাঁদের মুগ্ধ করে।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিঅভিষেকের গাওয়া গানের সুর মর্ছনাতেই এখন মোহিত বড়শুলবাসী। দূর দূরান্তের সংগীত প্রেমীরাও অভিষেকের কন্ঠে গান শুনতে এখন তাদের কুঁড়ে ঘরে হাজির হচ্ছে। বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার ও ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান শুনে মুগ্ধ। জানা গিয়েছে, তিনি অভিষেক ও তাঁর পরিবারকে সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। অভিষেকের প্রতিভার কথা শুনে যারপরনায় মুগ্ধ বিশিষ্ঠ বাউল গান শিল্পী তথা অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির রাজ্য সম্পাদক মণিমোহন দাস। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেকের বাবা চাইলে তিনি সহ তাঁদের সংগঠনের অন্য শিল্পীরাও বিনা পারিশ্রমিকে অভিষেককে গান শেখাতে রাজি রয়েছেন। তবে অভিষেকের বাড়ি গিয়ে হয়তো গান শেখানো সম্ভব হবে না।অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির আখড়ায় এসে অভিষেককে গান শিখতে হবে। অভিষেককে দিয়ে বড় মঞ্চে গান গাওয়ানোর ব্যাপারেও প্রয়োজনে উদ্যোগ নেবেন বলে মনিমোহন দাস জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপর

টানা তিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যে। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে ব্যক্তিগত মন্তব্যে ভোট এখন বন্ধ রাখা উচিত বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি পুরনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে আসছে। আদালতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে মামলা চলছে। সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে করোনা আবহে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিবাংলায় গড়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ নাজেহাল পরিস্থিতি রাজ্যের। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে পুরভোট চার কেন্দ্রেই করোনা বিধি মেনে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচারে করোনা বিধি না মানা নিয়ে প্রতিদিনই নানা অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ডান-বাম কোনও প্রার্থী বাদ যাচ্ছে না। পুলিশ অতি তৎপর বলেও বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিল হাইকোর্টয়।আরও পড়ুনঃ কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লাআদালতের বক্তব্য, করোনা আবহে পুরভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে যায় কি? ভোট পিছনোর ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে নিতে হবে। সিদ্ধান্ত জানাতে আদালত ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছে কমিশনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুটি বিষয় চিন্তা করতে হবে কমিশনকে। এই অবস্থায় ভোট হলে কি মানুষের স্বার্থ রক্ষিত হবে? তাছাড়া আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব? রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন মহল পুরভোট পিছনোর দাবি জানিয়ে আসছে। সরাসরি ভোট বন্ধ করার রায় না দিলেও এবার হাইকোর্ট তাতে সায় দিল। শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরি

গণপরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম শরিক বেসরকারি বাস। এই শিল্পে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজি। বাসের মালিক, শ্রমিক থেকে অনুসারী শিল্প ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। আজ এই শিল্পের সঙ্গে মানুষগুলোর সংসার ভেসে যাচ্ছে। বাসমালিকদের অনেকেরই আজ আর রাস্তায় গাড়ি নামানোর মতো কোমরে জোর নেই। আর্থিক অনটনে ভগ্নদশা বেসরকারি বাস পরিবহণের। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীসাধারণকেও।আরও পড়ুনঃ কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লা২০২০ করোনা আবহে লকডাউনের শুরু থেকেই বাস পরিবহণের দৈন্যদশার সূত্রপাত। বাসগুলো দীর্ঘ দিন বসে গিয়ে তার কলকব্জা নষ্ট হতে থাকে। পেটের টান পড়ে মালিক ও শ্রমিকদের। তার ওপর ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। বাসের টায়ার থেকে যন্ত্রপাতির মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে সমানতালে। রয়েছে বিমা, ট্যাক্স, ফাইন। তাছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি করেও বাড়েনি বাসভাড়া। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করে মেলেনি আর্থিক প্যাকেজ। এই শিল্প আজ প্রায় শেষলগ্নে পৌঁছে গিয়েছে। হুঁশ ফেরেনি কোনও সরকারের। রাজ্য সরকার সামান্য টাকা ট্যাক্স ছাড় দিলেও তাতে যে চিড়ে ভিজবে না তা বলছেন বাসমালিকদের একটা বড় অংশ।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, বৃদ্ধি পেল পজিটিভিটি রেটওবেকারী দূরীকরণ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয় না তার হাজারো প্রমান রয়েছে। ক্ষমতায় এলে কেউ আর কথা রাখে না। যে শিল্প বাস্তবে ধুঁকছে সেই শিল্পকে আর্থিক সাহায্য় করলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে তা রক্ষা করার দায় কেউ নিচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ চাকরি দেওয়ার ভাষণ না দিয়ে বাসপরিবহণ শিল্পে নজর দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফের বেকার হয়ে পড়বে না। এই বিষয় একটা সাধারণ মানুষ বুঝলে সরকার বাহুদুর বুঝবে না তা আবার হয় নাকি।আরও পড়ুনঃ ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে তৃণমূল যুবনেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গেইএমআই দিতে না পারার জন্য প্রায় প্রতিদিনই বাস টেনে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাসের দখল নিলেও এতে যেমন ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তেমনই বাসমালিক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। বাসের মালিকসহ শ্রমিকরা পথে বসে যাচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেসরকারি বাসপরিবহণ টিকিয়ে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিত। মালিক-শ্রমিকরা তো এই দেশের নাগরিক। তাঁদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। দুই সরকারই যদি সদর্থক উদ্যোগ নেয় তাহলে এই শিল্প রক্ষা পাবে। রক্ষা পাবে লক্ষ লক্ষ পরিবার। কৃষকদের জন্য দুই সরকার অনুদান দিচ্ছে। সেটা ভাল উদ্যোগ। বাসপরিবহণকে রক্ষা করার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিলে দুই সরকারই মানুষের আশীর্বাদ পাবে। সরকার মানুষের সরকার হবে, জনগণের সরকার বলে বিবেচিত হবে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লা

হাহাকার ক্রমেই বাঁধ ভাঙছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। সেই ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত বহু। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনই বলা যাবে না। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি আসার পরেই সবটা জানা যাবে।শুক্রবার সকালে ময়নাগুড়িতে পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মধ্য রাতেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার পর বিশেষ ট্রেনে করে ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হন তিনি। সকালে পৌঁছে ট্রলিতে চেপে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার পর বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আমি নিজে এখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিরও উপর নজর রাখছেন। আমি এখানে এসেছি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ কী তা জানার জন্য।আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগাযোগ রয়েছে। উনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।West Bengal: Railway Minister Ashwini Vaishnaw reaches the train accident site near Domohani, JalpaiguriHe says, A statutory inquiry has been initiated. PM Modi is monitoring the situation Im in constant touch with him. I wish a speedy recovery to the injured. pic.twitter.com/eiamXGjxb2 ANI (@ANI) January 14, 2022অন্যদিকে শুক্রবার ভোরেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত করা হবে। রাতভর উদ্ধারকাজ চলেছে। ভোরের ঘন কুয়াশাতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিএসএফ, সশস্ত্র সীমা বল-এর জওয়ানরা। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া এবং লাইনের পাশে উল্টে থাকা ট্রেনের কামরাগুলি ক্রেনের সাহায্যে এক এক করে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, কামরার ভিতরে আর কেউ আটকে আছে কি না, তা ভাল করেও খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারীরা।আহতদের ৩৬ জনের চিকিৎসা চলেছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ৬ জন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কয়েক জনকে রেফার করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে আটটি মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, বৃদ্ধি পেল পজিটিভিটি রেটও

রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের হার। টানা তিন দিন বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমিতের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ২৩ হাজার। বাড়ল পজিটিভিটি রেট, এদিন মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩,৪৬৭। এদিন পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৩২.১৩। গতকাল এই রেট ছিল ৩০.৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ২২।পিজিটিভি রেট বৃদ্ধি চিন্তায় রাখলো বাংলাকে। মঙ্গলবার পজিটিভিটি রেট ছিল ৩২.৩৫ শতাংশ। গতকাল এই হার কিছুটা কমেছিল। এদিন তা বেড়ে যাওয়ায় ফের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮,১৩৯জন। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। বেড়েছে অন্য কয়েকটি জেলায়। এদিন পর্যন্ত মোট হোম আইসোলেশনে আছেন ১,২৭,৭৮৯জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৫২৫। ২৩৯ জন আছেন সেফ হোমে।কোন জেলায় কত সংক্রমণকলকাতা ৬,৭৬৮উত্তর ২৪ পরগনা ৪,৭২৮হাওড়া ১,২৮৯পশ্চিম বর্ধমান ১,২৬১হুগলি ১,৩৩৫দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১,৩৪৯বীরভূম ৮৯৫পূর্ব বর্ধমান ৮৬১নদিয়া ৭০৮মালদা ৫৪৮মুর্শিদাবাদ ৫৭৬পশ্চিম মেদিনীপুর ৫৯০পুরুলিয়া ২৭২দার্জিলিং ৪৬২বাঁকুড়া ৪৪২জলপাইগুড়ি ২৪৮উত্তর দিনাজপুর ২৩৬পূর্ব মেদিনীপুর ৩০০ঝাড়গ্রাম ১১৫দক্ষিণ দিনাজপুর ২৬৭কোচবিহার ১২৮আলিপুরদুয়ার ৭৬কালিম্পং ১৩

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 99
  • ...
  • 167
  • 168
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

গীতা হাতে আদালতে হাজির মেসি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা! ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

হাতে গীতা নিয়ে আদালতে ঢুকলেন শতদ্রু দত্ত। রবিবার তাঁর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার সময় দেখা যায়, ডান হাতে গীতা ধরে রয়েছেন তিনি। মুখ গম্ভীর, ধীর পায়ে আদালতের দিকে এগোতে দেখা যায় মেসির কলকাতা সফরের অন্যতম উদ্যোক্তাকে। তবে রবিবারও জামিন পেলেন না শতদ্রু।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই দিনই বিমানবন্দর থেকে শতদ্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। তল্লাশির পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন সিটের আধিকারিকরা। তদন্তের ভিত্তিতে শতদ্রুর প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ করা হয়, সরকারি অনুমতি পাওয়ার আগেই খাদ্য ও পানীয় সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রায় ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। সরকারি পক্ষের দাবি, শতদ্রু যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শতদ্রুর আইনজীবীর দাবি, আইনি লড়াইয়ে তাঁর মক্কেল এগিয়ে রয়েছেন। অন্যান্য শহরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোনও সংস্থার তরফেই নিয়ম ভাঙা হয়নি। উল্লেখ্য, পুলিশি জেরায় শতদ্রু ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এবার তাঁকে পাঠানো হল জেল হেফাজতে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
দেশ

কাশ্মীরে গা-ঢাকা ৩০-র বেশি পাক জঙ্গি! শীতের মধ্যেই বড় অপারেশন সেনার

শীত নামার আগেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়ায় ভারতীয় সেনা। কারণ, শীত পড়ার আগেই বিপুল সংখ্যায় জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। শীতের সময় বরফে ঢাকা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ বছর শীতের শুরুতেই কাশ্মীরে ৩০ জনেরও বেশি পাক জঙ্গির উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গিরা মূলত মাঝারি ও উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। ওই সব এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস খুব কম। কিশ্তওয়ার ও ডোডা এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডাকে কাজে লাগিয়ে তারা উপত্যকায় নাশকতার ছক কষছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।এই তথ্য সামনে আসার পরই বড়সড় অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। শীতের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। বরফে ঢাকা দুর্গম এলাকায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ড্রোন ও সেন্সর। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্য জঙ্গিদের এমন জায়গায় কোণঠাসা করা, যেখানে রসদ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।সেনা কর্তাদের বক্তব্য, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের জন্য এই অভিযান একটি স্পষ্ট বার্তা। শীতের সুযোগ নিয়ে আর জঙ্গিদের ভারতে লুকিয়ে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। গোয়েন্দাদের অনুমান, চিল্লাই কালানের ৪০ দিনের প্রবল শীতের সময় জঙ্গিরা লুকিয়ে থেকে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে চাইছে। সেই কারণেই আগেভাগে অভিযান শুরু করা হয়েছে।এই জঙ্গি দমন অভিযানে সেনার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, বন দপ্তর-সহ একাধিক নিরাপত্তা বাহিনী একযোগে অংশ নিয়েছে। জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখে দ্রুত এবং কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
বিদেশ

হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ে আশ্রয় অভিযুক্তদের

হাদি হত্যাকাণ্ডে বড় তথ্য সামনে আনল ঢাকা মহানগর পুলিশ। রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এন এন মহম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এই মামলার মূল দুই অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে তারা মেঘালয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।ঢাকা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পালানোর পুরো ঘটনায় আরও দুই জন সহযোগিতা করেছিল। তাদের নাম পুত্তি এবং সামী। এই দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে ঢোকার পর পুত্তি প্রথমে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর সামী নামে আর এক সহযোগীর ট্যাক্সিতে ওঠে তারা। সেই ট্যাক্সিতেই তারা মেঘালয়ের তুরা পৌঁছয়।প্রশ্ন উঠছে, হাদি হত্যার পর সারা বাংলাদেশে হাই অ্যালার্ট জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্তরা। এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে যে হত্যার পরেই ফয়জ়ল ও আলমগীর প্রথমে আমিনবাজারে যায়। সেখান থেকে তারা মানিকগঞ্জের কালামপুরে পৌঁছয়। সেখানে আগে থেকেই একটি ট্যাক্সি তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই গাড়িতেই তারা হালুয়াঘাট সীমান্তের দিকে রওনা দেয়।পুলিশের দাবি, সীমান্তের কাছে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় ফিলিপ ও সঞ্জয়ের। তারাই দুই অভিযুক্তকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করে। এরপর তারা মেঘালয়ের দিকে চলে যায়।এই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা পুলিশ। তাদের মধ্যে ছজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মূল দুই অভিযুক্ত এখন ঠিক কোথায় রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।এদিকে, ভারতের মাটিতে হাদি হত্যার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে বলে দাবি। যদিও ফয়জ়ল ও আলমগীর এখনও পলাতক। পুলিশের অনুমান, মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোথাও তারা লুকিয়ে রয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ডিউটির পর কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন, ফেরেননি আর—মহিলা হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যু

থানার কোয়ার্টার থেকেই উদ্ধার হল এক মহিলা হোমগার্ডের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ বছরের গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির দেহ। তাঁর বাড়ি ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটি শেষ হওয়ার পর ক্যানিং থানার পিছনের দিকে থাকা কোয়ার্টারে যান রেশমি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। শনিবার সারাদিন চেষ্টা করেও কোনও সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ক্যানিং থানায় পৌঁছন।রেশমির বোন রুকসানা খাতুন থানার কোয়ার্টারে গিয়ে দরজা খুলতেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান। সিলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল রেশমির দেহ। চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ দ্রুত দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর দেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়।প্রসঙ্গত, প্রায় দুবছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। সেই ঘটনার পর পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে রেশমিকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁর অকালমৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তবে রেশমির পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, রেশমির সঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় রেশমিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লা অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

১৯৬৭ সালের অ্যাডমিট কার্ড হাতে শুনানিতে হাজির ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, চমকে গেল এসআইআর কেন্দ্র

শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্র পিছু একাধিক জায়গায় চলছে শুনানি। স্কুল ও সরকারি অফিসে তৈরি করা হয়েছে শুনানি কেন্দ্র। প্রথম পর্যায়ে মূলত আনম্যাপড ভোটারদেরই শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এই শুনানির মাঝেই নজর কাড়লেন শ্রীরাম মন্দির লেনের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ভারতী দে। ফর্মে নামের ক্ষেত্রে সামান্য ভুল থাকায় তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়। শুনানিতে এসে নিজের সঙ্গে নিয়ে আসেন ১৯৬৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। এত পুরনো নথি, তাও আবার এত ভালো অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত অনেকে।নির্বাচন কমিশনের এসআইআর যাচাই প্রক্রিয়ায় দশটিরও বেশি নথি দেখানোর সুযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক সংক্রান্ত নথির পাশাপাশি আরও একাধিক পরিচয়পত্র গ্রহণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এত বছরের পুরনো অ্যাডমিট কার্ড এবং শংসাপত্র অক্ষত অবস্থায় দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। তবে ভারতী দেবীর কথায়, পড়াশোনার সব কাগজপত্র তিনি সযত্নে রেখে দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেগুলি যে একদিন এত কাজে লাগবে, তা তিনি ভাবেননি।কেন তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে ভারতী দেবী বলেন, নামের ক্ষেত্রে হয়তো কোনও ভুল ছিল। তাই শুনানির নোটিস এসেছিল। তবে সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁকে জানানো হয়, বাড়িতেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা যাচাই করতে আসবেন। তিনি আরও জানান, বিগত প্রতিটি নির্বাচনেই তিনি ভোট দিয়েছেন এবং ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল।বয়সের ভারে শরীর এখন দুর্বল। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও এদিন পায়ে হেঁটেই শুনানি কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছন তিনি। গণভবন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন ওই বৃদ্ধা।অন্যদিকে, চেতলা গার্লস স্কুলে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি শুনানি কেন্দ্র করা হয়েছে। তার কাছেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সহায়তা ক্যাম্প বসানো হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ এসে নিজেদের সমস্যা ও প্রশ্ন জানাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ও কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই ক্যাম্পে যান এবং দীর্ঘক্ষণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ছেলেকে আটক করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হুমায়ুন, থানায় যাওয়ার হুমকি বিধায়কের

ছেলেকে আটক করার পরেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শক্তিনগর থানায় যাওয়ার পথে তিনি পুলিশকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। হুমায়ুন কবীর বলেন, শক্তিনগর থানার পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তাঁর অভিযোগ, যদি পুলিশ কোনও অশালীন আচরণ করে, তবে আগামী বৃহস্পতিবার বহরমপুর জেলা পুলিশ অফিস ঘেরাও করা হবে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ুন কবীরের দেহরক্ষী ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল জুম্মা খান। অভিযোগ, সেই দেহরক্ষীকেই মারধর করেছেন বিধায়কের ছেলে গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবীন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শক্তিনগর থানার পুলিশ বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় এবং বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে রবীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।জানা গিয়েছে, গোলাম নবী আজাদ তৃণমূল পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যদিও হুমায়ুন কবীর নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টি তৈরি করলেও তাঁর ছেলে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাবার দলে যোগ দেননি। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।এই প্রসঙ্গে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, হুমায়ুন কবীর একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে ওই দেহরক্ষী বছরের শেষে ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না মঞ্জুর হওয়াতেই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, একজন সরকারি পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলা আইনত অপরাধ। কেউ বিধায়ক হলেও পুলিশকে হেনস্থা করা যায় না।এদিকে, বিধায়কের বাড়িতে পুলিশ যাওয়া নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি ছিল, শক্তিনগর থানার পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দেহরক্ষীকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

নদীতে পড়ল মালগাড়ির কামরা, একের পর এক ট্রেন বাতিল ও ডাইভার্ট

আসানসোল ডিভিশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। সিমেন্ট বোঝাই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকট শব্দে। মোট ১৯টি বগি দুর্ঘটনায় পড়ে। বেশ কয়েকটি কামরা পাশের বরুয়া নদীতে গিয়ে পড়ে এবং বাকি কামরাগুলি পাশের লাইনে উল্টে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিহারের শিমুলতলা স্টেশনের কাছে তেলিয়াবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি জাসিডিহ থেকে ঝাঝার দিকে যাচ্ছিল। তেলিয়াবাজার হল্ট স্টেশনের কাছে ৬৭৬ নম্বর সেতুর উপর হঠাৎই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় মালগাড়িটির ঠিক পিছনেই ছিল পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে মাঝপথে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচল। একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-বালিয়া এক্সপ্রেস, মোকামা-হাওড়া এক্সপ্রেস-সহ একাধিক মেমু ও লোকাল ট্রেন। পাশাপাশি বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ট্রেনকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।রুট পরিবর্তন করা ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে টাটানগর-বক্সার এক্সপ্রেস, হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কলকাতা-গোরখপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, যশীদিহ-পুনে সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, আসানসোল-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেস, রক্সৌল-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, পাটনা-ধনবাদ ইন্টারসিটি, বলিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, পাটনা-হাটিয়া পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, কাঠগোদাম-হাওড়া বাঘ এক্সপ্রেস, বক্সার-বিলাসপুর সুপারফাস্ট, রক্সৌল-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং গোরখপুর-আসানসোল এক্সপ্রেস।বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। বারাণসী-দেওঘর এবং দেওঘর-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নির্ধারিত রুটের বদলে গয়া ও কোডারমা হয়ে চলাচল করছে।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখিত। তবে যাত্রী নিরাপত্তা এবং দ্রুত স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালু করার জন্য এই সাময়িক পরিবর্তন জরুরি। যাত্রীদের যাত্রার আগে এনটিইএস বা আইআরসিটিসি অ্যাপ এবং নিকটবর্তী স্টেশন থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া তালিকায় নাম নেই! এসআইআর শুনানির নোটিস সাংসদ কাকলির পরিবারে, ব্যাখ্যা কমিশনের

খসড়া ভোটার তালিকায় নাম নেই। এসআইআর প্রক্রিয়ার শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বারসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকে। শুধু তাই নয়, হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর মা এবং বোনকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ খুলেছে নির্বাচন কমিশন।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন সাংসদের পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কমিশনের দাবি, এনুমারেশন ফর্মে লিঙ্কেজ সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। টুইট করে স্পষ্ট করা হয়েছে, এটি কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ নয়। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, সাংসদের বৃদ্ধা মাকে শুনানির জন্য বাইরে আসতে হবে না। বাড়িতেই গিয়ে তাঁর শুনানি সম্পন্ন করা হবে।এই নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি জানিয়েছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর দুই ছেলের নাম নেই। তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। কাকলির কথায়, তাঁদের বাবা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। তিনি নিজে চারবারের সাংসদ। তাঁর দুই পুত্র সরকারি চাকুরে। তা সত্ত্বেও শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। এতে এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কাকলি আরও বলেন, তাঁর মা এবং বোন অন্য বুথের ভোটার। অথচ তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় নেই। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার যাঁদের তেমন যোগাযোগ বা ধারণা নেই, তাঁরা শুনানির নামে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জোর করে নাম বাদ দিয়ে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।খসড়া তালিকায় নাম না ওঠা নিয়ে প্রথম থেকেই এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একই বুথের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও কীভাবে একসঙ্গে পরিবারের চার জনের নাম বাদ পড়ে এবং শুনানির ডাক আসে, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর চান তিনি।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal