পৃথিবী ক্রমশ বিপর্যয় ও মহাপ্রলয়ের দিকে যাচ্ছে, ইঙ্গিত দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ২০১৩ সালের পর আবার ২০২১। সাত বছর পর ফের আর একটি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের সেই রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট জানাল, পৃথিবী ক্রমশ বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ যে খুব একটা সুখকর নয়, তা নিয়ে আগেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সুপার সাইক্লোন কিংবা দাবানলের ঘটনা ঘটছে। রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, গোটা একুশ শতক জুড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকবে সমুদ্রের জলস্তর। যার জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়বে বন্যা। ১০০ বছরে একবার সমুদ্রের যে রূপ দেখা যেত, এই শতকশেষে প্রায় প্রতি বছরই সেই রূপ দেখা যাবে।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দু'দশকের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রির মতো বাড়বে। এই পরিস্থিতির জন্য মানুষই সম্পূর্ণ দায়ী, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। গত দু'সপ্তাহ ধরে রিপোর্টটির জন্য কাজ করেছেন ১৯৫টি দেশের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এই সময়ের একটা বড় সংকট। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ভয়ের কথা আগেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, এমন রিপোর্ট এই প্রথম দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল। জানা গিয়েছে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১.৫ ডিগ্রি। জানা গিয়েছে, প্রতিটি দেশেই গ্রীষ্মকালের স্থায়িত্ব বাড়বে, অর্থাৎ, শীতকালের স্থায়িত্ব কমবে। এর অবধারিত প্রভাব পড়বে মানুষের স্বাস্থ্যে ও কৃষিকাজে। এবং সব মিলিয়ে এক চরম আবহাওয়ার সাক্ষী থাকবে পৃথিবী।
শুধু তাই নয়, রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আগামি দিনে বাড়বে বৃষ্টি , বাড়বে খরা। অতি ভারী বৃষ্টিতে সব কিছু ভেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। যে ধরনের বৃষ্টি সাধারণত এক দশকে একবার হয়, সেটা এ বার আরও বাড়বে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এবং এই ধরনের বৃষ্টি হবে আগের থেকে ১.৩ গুণ বেশি। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে ৬.৭ শতাংশ। এদিকে, প্রবল খরাও হবে।
- More Stories On :
- Natural Calamity
- On Earth
- Climate change
- UN report