'মনে হচ্ছে উঠে যাচ্ছে'
গিন্নির কথায় তাকালো হরিপদ.. 'কি চুল?'
'ধুর বাবা'..গিন্নির খেদ।
সেই থেকে উদ্বেগের শেষ নেই হরিপদর।
চার পাঁচ দিন কাটলো এইভাবে।
পিরিয়ড আর হয়না।
তাহলে কি..🤔
ধুর!
সে কি করে হবে।
বাড়ছে ভয়.. উদ্বেগ..অস্বস্তি। কোনো টিউমার ফিউমার নয়তো!
চলো ব্রিগেডে ..শুনে আসি কি লেখা আছে কপালে!
চলো গাইনোর কাছে.. বুক ঢিপ ঢিপ..
জন্মদিনের সকালে।
এই বয়সে অস্বস্তির চূড়ান্ত। কচি কাঁচার আড্ডায় এক দুটি পক্ক কেশ.. টাক মাথার কেস।
সবাইকেই মনে হচ্ছে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছে।
এসব নিয়ে লুকোচুরি কবেই উঠে গেছে। বুঝতে চায়না হরিপদ।
স্রাব এখন প্রস্রাব।
ডাস্টবিনে সুলভে।
মেয়েদের জামায় ফ্রিল আর আছে! আঁচল সরে গেলে অস্বস্তি আর আছে !
টপই টপ ফ্যাশন।
অনাবৃত করো.. এক্সপোজ করো নিজেকে। হাফ প্যান্ট পরো। জাং দেখাও। জাঙ্ক ফুড খাও। বুক দেখাও। পিঠ দেখাও।
ফেসবুক রিলে ধেই ধেই করে নাচো।
এগোও এগোও হরিপদ।
"ফাইট কোনি ফাইট।" মতি নন্দী নিয়ে পড়ে থেকো না।
নারীশিক্ষা র আপডেট নাও হরিপদ।
বুঝতে চায়..পারেনা হরিপদ!
কত কি-ই তো উঠে গেছে !
সময়ের সঙ্গে.. লজ্জা।
অপরাধবোধ থেকে
সঙ্গমের নির্দিষ্ট শয্যা।
চটি জুতো লুকোনোর আত্মীয়তা থেকে..
কানমলা দেওয়া
মাস্টারের স্বাধীনতা।
উঠব উঠব করছে ..
রোদে বড়ি.. আচারের আম! প্রেম নিষ্কাম।
ঢিপঢিপ বিজয়ার প্রনাম।
টেলিভিশনের খবর
শুনি কি আর..
শুনি 'স্টোরি'.. শুনি গল্প
উঠোন উঠেছে কবে..
বারান্দায় রোদও অল্প।
হরিপদ হারে না তবু
বসে থাকে জবুথবু।
'উঠেই যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছে।' গিন্নির হাতে প্রেসক্রিপশন।
হাঁফ ছাড়ে হরিপদ।
জন্মদিনের পায়েস
কেক কাটার আয়েশ।
পাঁচজনে বসে পাতপেড়ে
লম্বা টেবিল উঠিয়ে..
দন্ডায়মান হাতে প্লেট ;
কয়েদী হয়েছে
পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে।
হুঁকো আছে শেষ পাতে
টানছে মৌতাতে..
এই তো হরিপদ
উঠেছো এবার জাতে!!
আরও পড়ুনঃ হরিপদর কলম : মালের দায়িত্ব আরোহীর
আরও পড়ুনঃ হরিপদর কলম : আসল.. নকল