সস্তার প্রচারের প্রয়োজন পড়লেই ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেই কেল্লা ফতে। সম্প্রতি রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই ধারা দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কি দৈন্যদশায় দিন কাটাচ্ছে সেদিকে তাঁদের কোনও নজর নেই। শুধু নজর অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ধর্মীয় উন্মাদনার জিগির তোলা।
রান্নার গ্যাসের দাম কত? ডিমের দাম কত? নিত্য়প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য রোজ আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে। গড়ে মানুষের রোজগারের হাল কী? কারও কোনও মাথা ব্যাথা আছে। বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক মন্তব্য করছেন তো তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র আর এক মন্তব্য করছেন। তারই মাঝে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত দাস সারদা মা, রাণি রাসমনির সঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর তুলনা করে বসলেন। এঁরা কেউ কী জীবনযাপনে কোনও সংকটে আছেন? কিন্তু সাধারণ মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরনোর জোগাড়। ধর্মের জিগির তুলে সাধারণের সমস্যা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আর কি।
যে মন্তব্যগুলো রাজনীতিবিদরা করছেন সামাজিক প্রয়োজনে তার কোনও দরকার আছে? এই প্রশ্নই সর্বত্র ঘোরাফেরা করছে। একদিকে পেট্রোজাত দ্রব্যের অগ্নিমূল্য করে রাখা হয়েছে। কয়েকগুন দাম বৃদ্ধি ঘটিয়ে, সাধারণের কোটি কোটি টাকা পকেট কেটে নামমাত্র দাম কমিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তেল-ডালের দাম কত বেড়েছে তা কমানোর উদ্যোগ কোথায়? রাজ্যে মাধ্যমিক-প্রাথমিকের যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে দিন কাটাচ্ছে। একটা অংশ বেনিয়ম করে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছে। তার মধ্যে অনেকের চাকরিও চলে গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। এখন গন্ডায় গন্ডায় অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। আর তৃণমূল সাংসদ মন্তব্য করছেন কালী কি খায় তা নিয়ে। বিধায়ক-সাংসদদের একটা অংশ নিজেরা কি করে ওই জায়গায় পৌঁছেছেন তা তুলে ধরতে পারবেন? ধর্মীয় বিতর্কিত মন্তব্য না করে সাধারণের প্রয়োজনে কোনও কাজ করতে পারলে সেটাই হবে প্রকৃত রাজনীতিবিদের কাজ। অহেতুক রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের ঐক্য নষ্ট করতে বিতর্কিত মন্তব্য করা কোনও সুষ্ঠু রাজনীতিকের কাজ হতে পরে না বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুনঃ লালহলুদ অন্তঃপ্রান শ্যাম থাপাকে মোহনবাগানরত্ন!
আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে টাঙি, তীর-ধনুক, তরোয়াল, কাটারি-সহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে পথ অবরোধ আদিবাসীদের
- More Stories On :
- Cooking Gas
- Eggs
- Politicians slammed
- Controversial Remarks
- Price Hike