• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Visits

রাজ্য

Post Poll Violence: রিপোর্ট তৈরি করতে জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই

ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট তৈরি করতে কলকাতার পর এবার জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে জেলা সফর। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত তিনটি জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন গোয়েন্দারা। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে মোডাস অপারেন্ডি জানার চেষ্টা করা হবে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে প্রাথমিক রিপোর্ট।রাজ্য পুলিশের এফআইআর কপির ভরসায় না থেকে সরাসরি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হবে। তা পাঠানো হবে দিল্লিতে। বেলেঘাটায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সিবিআইয়ের কাছে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন, যাঁরা পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম জানিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, অভিজিৎকে পিটিয়ে মারার কয়েকটি ফুটেজও গোয়েন্দাদের কাছে তুলে দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ প্রশ্নপত্র বিতর্কের মাঝেই রাজ্যকে আক্রমণ দিলীপেরপ্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তদন্তকারীরা। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে। ভোট পরবর্তী বাংলায় যতগুলি অভিযোগ হয়েছে, রাজ্য পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই এফআইআর কপি ও কেস ডিটেলস চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলে সেই রিপোর্টের ভরসায় না থেকে সিবিআই নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবেন।উল্লেখ্য, গতকাল, সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই কর্তারা। দুঘণ্টার কথোপকথনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম তুলে ধরেছেন। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও সিবিআই-এর কাছে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
কলকাতা

SSKM: ১৫ দিন অন্তর এসএসকেএমে কয়েক ঘণ্টা বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন?

এ বার থেকে প্রত্যেক ১৫ দিন অন্তরই এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে পাওয়া যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রধানত দুটি বিষয়ে নজর দিতে প্রতিমাসে একাধিকবার এসএসকেএম হাসপাতালে যাবেন তিনি। প্রথমত শিল্প, দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্য। শিল্পের ক্ষেত্রে যা যা সমস্যা রয়েছে, এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে যে অসুবিধার দিকগুলির রয়েছে, দুই সমস্যার সমাধান সূত্র খতিয়ে দেখতেই নিয়মিত ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রী পিজি হাসপাতালে বসবেন বলে ঠিক করেছেন।আরও পড়ুনঃ শচীন, দ্রাবিড়ের সঙ্গে এক আসনে বিরাট কোহলি? আবেগে মুগ্ধ পিটারসেনমমতা বলেন, প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বা ১৫ দিন অন্তর আমরা এখানে বসব। কারণ আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন শিল্প। আর শিল্পের ক্ষেত্রের যা যা সমস্যা রয়েছে। বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ব্যাপারে কথা বলতে একটা বোর্ড গড়েছি। সবাই মিলে বসব। দ্বিতীয়ত, আমার মনে হয় হাসপাতালটাও আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। স্বাস্থ্যভবনটা যেহেতু যেতে দূর হয়, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৫ দিন অন্তর ১০-১২ জনকে নিয়ে আমি এখানে এসে বসব। কেন বসবেন সেই জবাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কারণ অনেক সময় অনেক হাসপাতালে সমস্যা থাকে। এখানে ৫ টা মেডিক্যাল কলেজ আছে। তা ছাড়াও স্বাস্থ্যের নানারকম ব্যাপার আছে। তাই স্বাস্থ্যসচিব আমার সঙ্গে থাকবে। কখনও মুখ্যসচিবকেও সঙ্গে নিয়ে আসব।বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক কেন তিনি সেখানে গেলেন, সেই সম্পর্কে কিছুই বোঝা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, ভোটের আগে তাঁর যে পায়ে চোট লেগেছিল, সেটাই দেখাতে এসেছেন তিনি। কারণ দিনকয়েক আগেও সেই পায়ের কিছু সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাঁকে। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বেরিয়ে এসে মমতা যা বলেন, তাতে কিছুটা চমকেই যায় সাংবাদিক মহল। কারণ রাজ্য তথা শহরের প্রথম সারির কোনও হাসপাতালে বসে এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারি কাজ করতে দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটি হাসপাতালে বসে যাতে বাকি হাসপাতালগুলির উপর সঠিকভাবে নজরদারী চালানো যায়, সেই কারণেই এভাবে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আগস্ট ১৯, ২০২১
রাজ্য

নির্যাতিতাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশন

হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসায় অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে আসেন মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই ও তাঁর টিম ।পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও নদিয়া থেকেও নির্যাতিতরা বর্ধমান সার্কিট হাউসে এদিন হাজির হয়েছিলেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত তিনি মোট ১৭২ জনের সঙ্গে কথা বলেন । অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ, ফোন নম্বর, ঠিকানা কমিশনের সদস্যরা নথিবদ্ধ করেন। আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনএদিকে অভিযোগ নথিভুক্তকরণ চলার মাঝেই কয়েকজন অত্যাচারিতা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে চাওয়ায় তাঁদের নানারকমভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছ পুলিশের তরফে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই সার্কিট হাউসের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিশ কর্তাদের সামনে হাজির হন রাজুলবেন এল দেশাই । স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে কোনও না কোনওভাবে তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা শুধু নজরদারি করুন। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার কামনাশীস সেনের যদিও দাবি, পুলিশ কাউকে আটকায়নি। তবে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই আরও বলেন, অত্যাচারিতদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। এটা গোপন ব্যাপার। হাইকোর্টে এর রিপোর্ট জমা করতে হবে।

জুন ২৯, ২০২১
দেশ

Dhankhar: দিল্লিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্বের আবহে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছিল রাজ্যপালের সঙ্গে। তার পরেই রাজ্যপালের তিন দিনের এই দিল্লি-সফর স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে।দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করতে পারেন বলে জল্পনা। এমনকী, কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন ধনখড়। যদিও দিল্লিতে রাজ্যপালের কর্মসূচি কী হবে, সে ব্যাপারে রাজভবনের তরফে থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। তবে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগের ঘটনাক্রমের বিচারে মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যদি রাজ্যপালের বৈঠক হয়, সেখানে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা-র প্রসঙ্গ উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি গিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেছেন ধনখড়। তিনি বর্তমানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন। যদিও টুইটারে এই সাক্ষাৎ-কে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন ধনখড়। এ ছাড়াও বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যা টেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। টুইটারে জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় কয়লা, খনি এবং সংসদীয় মন্ত্রকের মন্ত্রীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয় নিয়ে সরব হয়ে চিঠিতে ধনখড় লিখেছেন, ভোটের পরে বহু মানুষ হিংসার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদের প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অব্যাহত। চলছে নারী নির্যাতনও। রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও আপনি নীরব থেকেছেন। এমনকী, মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি।

জুন ১৬, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy: পার্থর বাড়িতে মুকুল-শুভ্রাংশু

দীর্ঘদিনের সহকর্মীর মাতৃবিয়োগ। মাঝে বহুদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পরও এমন দুর্দিনে ফের বন্ধুর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পৌঁছে গেলেন নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে। রবিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানীদেবী প্রয়াত হয়েছেন ৯১ বছর বয়সে। এত বড় একটা শোকের সময় বন্ধুকে সমবেদনা জানানোর জন্য এবার পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। বাড়িতে প্রবেশ করে যেখানে শিবানীদেবীর ছবি রাখা ছিল, সেখানে মাল্যদান করেন মুকুল। তারপর মন্ত্রীর নিজের ঘরে গিয়ে একান্তে দুজন কথাবার্তা বলেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে একে একে বহু রাজনৈতিক নেতাই তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রথমদিন অভিষেক, ফিরহাদদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন একদা সহকর্মী, বর্তমানে বিরোধী শিবিরের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিতান্তই মানবিকতার খাতিরেই তাঁর এই ছুটে যাওয়া বলে দাবি ছিল রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহলের। এরপর সোমবার সন্ধেবেলা সকলকে চমকে দিয়ে পার্থবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা অতি ঘনিষ্ঠ শোভন-পার্থর ফের সাক্ষাৎ হল এমন এক পরিস্থিতিতে।আর গত সপ্তাহে সাড়ে তিন বছর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচনা করার পর মঙ্গলবার দুপুরে পার্থবাবুর বাড়ি গেলেন মুকুল রায়। আসলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এত রাজনৈতিক নেতার সমাগম নিতান্তই সমবেদনার জন্য আপাতভাবে তা মনে হলেও এর একটা গভীর তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Dhankhar: আচমকাই আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল

দলবদল নিয়ে সড়গরম রাজ্য-রাজনীতি। সোমবারই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। Honble Governor West Bengal. Shri Jagdeep Dhankhar will be visiting New Delhi.Governor Dhankhar will leave for Delhi on the late evening of June 15, 2021 and return to Kolkata on June 18, 2021 in the late afternoon. Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 15, 2021মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছেন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি। ঠিক কী কারণে এই সফর তা নিয়ে টুইটে কোনও মন্তব্য করেননি ধনকড়। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি হঠাৎ দিল্লি যাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য়পালের দিল্লিযাত্রা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। হঠাৎই রাজ্যপালের দিল্লি সফরের এই সূচি সামনে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং প্রত্যেকবারই বাংলা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তিনি সেখানে জানিয়ে এসেছেন। বেশির ভাগ সাক্ষাৎই তিনি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির সমস্বরেই রাজ্যপালকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দোষী ঠাওরেছেন ধনখড়।উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক কোনওদিনই সুমধুর নয়। একাধিকবার প্রকাশ্যে রাজ্যের নীতির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন ধনখড়। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল। সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ধনখড়। সেখানে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না? ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের খোঁচা, বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। ওইদিন ফের রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন জগদীপ ধনখড়।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Firhad Hakim: শালিমার শিপ বিল্ডার্সের হাল ফেরাতে পরিদর্শন ফিরহাদের

হাওড়ার শালিমার শিপবিল্ডার্স অনেক দিন ধরেই লোকসানে চলছে। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ধুঁকতে থাকা এই সংস্থাকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায় তা ক্ষতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে সংস্থাটি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সংস্থাটির হাল ফেরাতে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে একজন কর্মরত আইএএস অফিসারকে। শালিমার লাভের মুখ দেখলে লাভ সরকারের। তাই শালিমার শিপবিল্ডারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই পরিবহন মন্ত্রীর এই সংস্থা পরিদর্শন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন শালিমার শিপবিল্ডার্স পরিদর্শন করে সেই সংস্থার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, প্রথম কাজ সংস্থার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন করা। এর পাশাপাশি সংস্থার যে জায়গাগুলো পড়ে আছে সেই জায়গাগুলোকে ব্যবহার করা। শুধু তাই নয় সরকারের যেসব প্রকল্পের কাজ বাইরে করা হয় সেগুলি এখানে নিয়ে আসা হবে। তিনি জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স বাইরে থেকে কাজ করিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের লাভজনক কাজগুলি এখানে টেনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও সরকার প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে যে যে কাজগুলি করিয়ে থাকে সেগুলি শালিমার করবে। পাশাপাশি, রিভার ট্রাফিক সার্ভিসের কাজে প্রাইভেট সংস্থাকে না দিয়ে শালিমার কে দিয়ে করানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এদিন তিনি জানান, বড় নৌকাগুলি অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করানো এবং গঙ্গা ভ্রমণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও শালিমারে একটা ছোট ড্রাই ডক তৈরি করা হবে। তাঁর দাবি, এখানে যদি ভালো পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় তাহলে আগামী দিনে শালিমার লাভের মুখ দেখবে। এতে সরকারি লাভবান হবে। এই কারণে শালিমার কে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো শালিমার শিপবিল্ডার্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। এসে দেখি এটার বিশাল পরিকাঠামো। রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোও বড়। কিন্তু কোন কারণে কোম্পানিটা ধুঁকছে। তিনি সেক্রেটারি সঙ্গে কথা বলে এক আইএএস অফিসার কে এই কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হলো বলে জানান। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এতটা দক্ষ ছিলেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, শালিমার শিপবিল্ডার্স এ কিছু সমস্যা আছে। এই শিপবিল্ডার্সের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে করা হবে। যেমন জাহাজ সারানো, নতুন জাহাজ আনার মতো রাজ্য সরকারের কাজ শালিমারে করা হবে। এতদিন এই সমস্ত কাজ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হতো। এই কাজ করানো হলে শালিমার শিপবিল্ডার্স চলবে। ২০০৪ সালে কিছু অর্ডার নিয়েছিল এই সংস্থা। সেটা দিতে পারছে না। ফলে প্রায় ১৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসান থেকে লাভের পথে নিয়ে আসার জন্য পরিকাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। অনেক জাহাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে এগুলি সম্পন্ন করা হবে। তাঁর আশা সরকার এই সংস্থাকে ভালোভাবে চালাতে পারবে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে সংস্থাটি লাভবান হবে।

জুন ১৪, ২০২১
রাজনীতি

Abjishek Bannerjee: সুখেন্দুশেখরের বাড়িতে এবার 'গুরুপ্রণাম' অভিষেকের

নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সপ্তাহখানেক হল। তবে গুরুপ্রণাম এখনও শেষ হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। রবিবার তিনি গেলেন রাজনৈতিক জীবনের আরেক গুরু, দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy)বাড়ি। সন্ধেবেলা সাংসদের যোধপুর পার্কের বাড়িতে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অভিষেক। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সুখেন্দুশেখর। বাড়ির ভিতরে ডেকে নেন। প্রণাম-আশীর্বাদের পর্ব মিটিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। নতুন দায়িত্ব সামলানোর জন্য অভিজ্ঞ এই রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চেয়েছেন যুব নেতা।দলের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অভিষেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজনীতির আঙিনায় গুরুজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেবেন। সেইমতো গত রবিবার থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিন গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। নতুন দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, এই নয়া অভিষেককে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বক্সিদা। তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, তোকে সব উজাড় করে দেব। মমতার আশীর্বাদ তোর সঙ্গে আছে। ও কত কষ্ট করেছে, কত সংগ্রাম করেছে। যুব নেতাকে দেখে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছিল তৎকালীন যুব নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা (Mamata Banerjee)। তাই চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। অভিষেকই তাঁকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেন।এরপর অভিষেক একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে গুরুপ্রণাম সেরেছেন। সকলেই অভিষেককে নতুন ভূমিকায় দেখতে উদগ্রীব। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন এক সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ করেছেন প্রাণভরে। কথা দিয়েছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা, সুপরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবেন। সুখেন্দুশেখরও ব্যতিক্রম নন। তিনিও প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন দলের যুব নেতাকে।

জুন ১৩, ২০২১
কলকাতা

Rajiv Bannerjee: কুণাল ঘোষের বাড়িতে দেড় ঘণ্টার 'সৌজন্য' সাক্ষাৎ

মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়ের পর একে একে ঘরের পথে পা বাড়াচ্ছেন আরও অনেকেই। এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বাড়িতে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সূত্রের খবর, বিকেলে কুণাল ঘোষের বাডিতে হাজির হন রাজীব। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলে ফিরতে চেয়েই কুণাল ঘোষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সখ্য বাড়াতে চাইছেন রাজীব। তবে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ফেরার পালা? কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের খবরে এই জল্পনা উসকেছে অনেকটাই।সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য কুণাল ঘোষ নিজে এই সাক্ষাৎপর্বকে সৌজন্য বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, রাজীবের এক আত্মীয় অসুস্থ। তিনি তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। আমাকে ফোন করে জানতে চাইলেন, আমি বাড়ি আছি কিনা। আমি বাড়ি ছিলাম, তাই তিনি এসেছেন। রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি। রাজীবেরও প্রায় একই বক্তব্য। বললেন, কুণালদার সঙ্গে অনেকদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমি এখানে এসেছিলাম, তাই দেখা করেছি। এর মধ্যে অন্য কোনও প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নেত্রী সবসময় শ্রদ্ধার। তাঁর আশীর্বাদ সঙ্গে রাখলাম। এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন নিজের এলাকায়। তারও আগে অবশ্য রাজীবের এই দলবদলের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এলাকাবাসীই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ডোমজুড়- সহ একাধিক এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তারপর ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবার কী তাহলে রাজীবের ঘরে ফেরার পালা?

জুন ১২, ২০২১
কলকাতা

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল গেলেন সচিবালয়ে

ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এবং রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একইসঙ্গে রাজ্যের ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করলেন তিনি। এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্যের সচিবালয়ে পা রাখেননি। তবে রাজ্য এবং রাজ্যপালের নিরন্তর সংঘাতের প্রেক্ষিতে এদিন দুপক্ষই যথাযথ সৌজন্যে বজায় রেখেছেন।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, রাজ্য এক ঘোরতর সংকটের মুখোমুখি।তবে বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খুব ভালো কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির খবর নিতে তিনি আজ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে গিয়ে সেখানকার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি ঝড়ের বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেন এক সঙ্গে কাজ করতে পারে তার উপরেও তিনি নজর রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারও এই ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে বলে রাজ্যপাল জানান। তবে আজও তিনি রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। আলিপুর থেকে সন্ধে ৬টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর নবান্নের কন্ট্রোলরুমে রাজ্যপালকে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুজন পাশাপাশি বসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন নবান্নে যাওয়ার আগে টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি দেখতে নবান্নে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এর পর নবান্নে পৌঁছন তিনি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন।

মে ২৫, ২০২১
রাজনীতি

এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শাসকদলের সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের পর ভোটপরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্র থেকেই এবারের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে মমতাকে।রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল থেকেই জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনখড় । তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা কতটা, তা সরেজমিনে দেখেছেন। আজ আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে যান তিনি। রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অভিযোগ, এই রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ঝাউকুঠি এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা৷ ধনখড় তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোচবিহার, অসমের পর শনিবারই তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম। সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে শনিবারই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের সফরের একদিন আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে কর্মীকে খুনের অভিযোগে মৌন মিছিল করেছে বিজেপি।এদিকে, রাজ্যপালের জেলা সফরের মধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিজেপি কর্মীদের রেশন নিতে দিচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানের অবস্থা মারাত্মক। ওডিশা, অসমে বহু মানুষ চলে গিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে। দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল এসেও আক্রান্ত হচ্ছে। তপসিলি কমিশন এসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। দিলীপের দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়।

মে ১৪, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে বিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় যান প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তার আগে শুক্রবার সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে হিংসার তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে বাংলায়। ওই দিন তারা নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে হিংসার রিপোর্ট তলব করে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তিনি শান্তির বার্তাও দিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল হিংসা প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এই আবহে শুক্রবার হিংসার তথ্য পেতে রাজভবনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার তথ্য রাজ্যপালের কাছে চেয়েছেন তাঁরা।রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন। ওই জেলার বাওয়ালি এলাকায় গত বুধবার কয়েকটি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেন। এবং এই হিংসার কাজে কারা যুক্ত সে খবরও নেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রতিনিধি দল ওই জেলার আরও বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। প্রতিনিধি দলকে তাঁরা দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার রিপোর্ট দেন। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা ওই দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য আর্জি জানান। তারপরেই শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসএসকেএম-এ শমীক, তথাগত

এসএসকেএম-এ দেখতে এসেছিলেন তথাগত রায় ও শমীক ভট্টাচার্য। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি বিজেপি নেতৃত্বের। তথাগত রায় বললেন, সৌজন্যের খাতিরেই দেখতে এসেছিলাম। যদিও তাঁর সাথে দেখা হয়নি। দেখা হলে ভালো লাগত। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই।এদিকে মমতা ব্যানার্জিকে কারা আক্রমণ করলেন? তদন্ত করে দোষীদের বার করুক পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশন এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। আজ বিরুলিয়া বাজারে ঘটনাস্থলে যান ডিএম ও এসপি-ও। তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিরুলিয়া বাজার। তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। রাস্তা অবরোধ করা হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মমতার চোট নিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, রাস্তার ধারে খুঁটিতে লেগেই বিপত্তি। নন্দীগ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না। নন্দীগ্রামের মানুষ আন্দোলন করতে জানেন। নিরাপত্তারক্ষীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি আবার নন্দীগ্রামে আসুন। এদিন বিরুলিয়া বাজারের ঘটনাস্থলে যান নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

মার্চ ১১, ২০২১
রাজ্য

ফের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী!

১৫ দিনের মধ্যে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় এক সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। তবে, মোদির এবারের সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি এখনও নেই।বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পেট্রোলিয়ামের এক সরকারি কর্মসূচিতে ঝটিকা সফরে রাজ্যে পা রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতা হয়ে সরাসরি তিনি চলে যাবেন শুভেন্দুর গড় হলদিয়ায়। সেখানেই সরকারি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকেই দিল্লি ফিরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টা করছে, সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর দীর্ঘায়িত করে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি তাতে অন্তর্ভুক্ত করার। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দুদিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। কিন্তু শুক্রবার দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ হওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে হাওড়ার যোগদান মেলায় কেন্দ্রস্তরের বড় কোনও নেতাকে আনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তাছাড়া আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি এমনিও রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

জানুয়ারি ৩০, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal