• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Program

রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

কয়েকশো মহিলাকে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের পুজোর উপহার প্রদান, মুখপত্র প্রকাশ ও ওয়েবসাইটের সূচনা

বেঙ্গল প্রেস ক্লাব কয়েকশো মহিলাকে পুজোর উপহার প্রদান করলো। রবিবার বিজয় তোরণের সামনে বস্ত্র উপহার কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল প্রমুখ। পুজোর মুখে এই উপহার পেয়ে খুশি মহিলারা।বিধায়ক খোকন দাস বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব অসহায় মহিলাদের হাতে বস্ত্র উপহার হিসাবে তুলে দেয়। সারা বছর মানুষের পাশে থাকে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। বর্ষমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত বস্ত্র উপহার কর্মসূচির প্রশংসা করেন। সমাজসেবী অচিন্ত্য মন্ডল বলেন, বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের জনদরদী কর্মসূচির ভূয়সী প্রসংশা করেন। অনুষ্ঠানে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের মুখপত্র জনমন প্রকাশিত হয়। ক্লাবের নিজস্ব ওয়েবসাইট এদিন যাত্রা শুরু করে। সাধারন মানুষের মধ্যে এই অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
রাজ্য

মহা সমারোহে শুরু দু'দিন ব্যাপী বর্ধমান মডেল স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শুক্রবার বর্ধমানের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল-র বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল। ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর যথা শুক্র ও শনিবার এই অনুষ্ঠান চলবে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (OAER) র সচিব ও বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত।এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ যথা লিজা ব্যানার্জী (BIMS), ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (OIST), সত্যরাজ আদিত্যাংশু মেদ্দা (সোসাইটির সদস্য), বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শম্বুনাথ চক্রবর্তী, স্কুল পরিচালন সমিতি-র সদস্যা ডঃ ইন্দ্রানী মুখার্জি ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাষ দত্ত। অথিতিদের বরণ করে নেন বর্ধমান মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক (প্রিন্সিপ্যাল) বিপিন বিহারী সিং।সুসজ্জিত মঞ্চওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সচিব তথা বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন সামগ্রিক শিক্ষার কথা। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বই-মুখী পড়াশোনার বাইরেও সমাজ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, সমাজ যে শিক্ষা দেয় তা চিরস্থায়ী। তিনি জানান, করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ দুবছর অপেক্ষার পর এবছর আবার খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সংস্থার বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেসমারাইজ (Mesmerize-2K22) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।নৃত্য পরিবেশনওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন পড়াশোনায় টেকনোলজি-র প্রভাব। তিনি বলেন, আগের প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা জানতেই পারতো না যে, সে যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে সেই বিষয়ে বিশ্বের সেরা শিক্ষক কে? আজকের ছাত্রদের কাছে সেটা খুবই মামুলি ব্যাপার, সেই শিক্ষক আজ তাদের মুঠোয় বন্দি (Mobile)। তিনি আরও বলেন, টেকনোলজিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই অনেক দূর অবধি যাওয়া যায়। তিনি বেশ কয়েকজন ছাত্রের উদাহরণ টেনে বলেন, তাঁরা এই টেকনলজির সাহায্য নিয়েই (অন লাইন এডুকেশন) এই বছর সারা ভারতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য র্যাঙ্কিং করেছে।রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাস চন্দ্র দত্ত তাঁর বক্তব্যে জানান, বিজ্ঞানমনস্ক না হলে উন্নতি কিছুতেই হবেনা। ছাত্রছাত্রীদের খুব অল্প বয়স থেকেই বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। তাঁর কথায়, জীবনের চলার পথে বিজ্ঞানকে আমরা কখনোই অবহেলা করতে পারবো না। এরপর বর্ধমান মডেল স্কুল-র বার্ষিক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধন করেন সম্মানিত অতিথিবর্গ। এছাড়াও স্কুলের ছাত্রদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।বার্ষীক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধনস্কুলের খুদে বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের নাচ, গান, নাটক ও আবৃত্তিতে ভরে ওঠে অনুষ্ঠান। অভিভাবক সহ সাধরণ দর্শককুল দারুণভাবে উপভোগ করেন আজকের এই অনুষ্ঠান। বিশেষ করে হিন্দি নাটকে বেড়ালের চরিত্রে ছোট্ট আদিত্য সিং-র অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও স্কুলের আবৃত্তি শিক্ষিকা সুদেষ্ণা আচার্যের তত্ত্বাবধানে অনুপ্রাণ সমবেত আবৃত্তি এককথায় আসাধরণ। ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী সম্বলিত এই প্রয়াস এক কথায় অনবদ্য। একেবারে অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান বার্তা নিয়ে সমগ্র দেশের বিভিন্ন নৃত্য শৈলীর সমন্বয় ঘটিয়ে স্কুলের নৃত্য শিক্ষিকা তুনা রুদ্রের প্রয়াস সত্যিই মেসমারাইজ (Mesmerize)।ছোটদের আবৃত্তিসঙ্গীত বিভাগের দুই শিক্ষক নম্রতা রায় ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-র নিরলস প্রয়াস ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গীত প্রদর্শন এক অন্য মাত্রা পায়। এবছরের মেসমারাইজ-এর (Mesmerize) সবচেয়ে বড় পাওনা ব্যান্ড বিএমএস। স্কুলের এক ঝাঁক ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তৈরি এই ব্যান্ড মুগ্ধ করে দেয় তাদের উপস্থাপনায়। নম্রতা রায়ের প্রচেষ্টা ও কর্নধার অচিন্ত্য মণ্ডলের উৎসাহে এই ব্যন্ড সত্যিই ব্রান্ড বিএমএস (Brand BMS)উল্লখ্য গতকাল ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপি ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-র কলেজ গুলির Mesmerize-2K22 শীর্ষক বার্ষিক সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠান শুভ সূচনা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কলকাতার ফকিরা ব্যান্ড গান পরিবেশন করেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বর্ধমানে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ

শিশু কিশোর আকাদেমি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংসস্কৃতি দপ্তরের যৌথ আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী জেলাভিত্তিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ হল ২৭ আগস্ট। প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করলেন ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার। দুদিনব্যাপী আবৃত্তি, রবীন্দ্রগীত, নজরুগীত,রাগপ্রধান গান এবং শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতিযোগিতা চলবে। জেলা তথ্য ও সংসস্কৃতি দপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেনে গান গেয়ে ভাইরান হন গায়ক মিলন কুমার, সেই মিলন কুমারকে সরকারি মঞ্চে প্রধান অতিথি করে নিয়ে এসে সম্বর্ধনা দেওয়া খুবই তাৎপর্যপুর্ণ। মিলন নিজেও সে কথা জানান। তিনি মানুষের প্রতিনিধি মানুষের জন্য গান গেয়ে যেতে চান বলে জানান ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার।

আগস্ট ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের ৪৪ তম সমাবর্তন উৎসব উদযাপন

মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠিত হলো সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের ৪৪ তম বার্ষিক সমাবর্তন উৎসব। ১৯৭৬ সালের ২৩ শে জানুয়ারি এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেই থেকে প্রতি বছর এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।সারা পৃথিবীতে এদের পাঁচ হাজার শাখা রয়েছে ও প্রায় পাঁচ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী তাদের। আন্তর্জাতিক স্তরে এই সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। যা চিরাচরিত ঐতিহ্য-আধুনিকতা ও পরম্পরার সাথে এগিয়ে চলেছে সকলের সহযোগিতায়।সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক কাজল সেনগুপ্ত। সমগ্র অনুষ্ঠান ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন সংস্থা র সহ সম্পাদক শান্তনু সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দেবাশীষ বসু।এবারের এই সমাবর্তনে প্রথমদিন মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই সমাবর্তন এর শুভ সূচনা করেন সংস্থার সহ সভাপতি অধ্যাপিকা ড. অমিতা দত্ত। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ড. থ্যাংকমুনি কুট্টি, ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়, সংগীত পরিচালক কল্যাণ সেনবরাট, অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়, পন্ডিত সমর সাহা,মিতা নাগ, নাট্যকার চন্দন সেন,পন্ডিত অলক লাহিড়ী,নৃত্যশিল্পী কোহিনুর সেন বরাট, সংস্থার সম্পাদক কাজল সেনগুপ্ত, সহ সম্পাদক ডঃ শান্তনু সেনগুপ্ত সহ আরো অনেকে।এবার কলামনি পুরস্কার পেলেন তিনজষ জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী ড থ্যাংকমুনি কুট্টি, ড অমিতা দত্ত, ড মহুয়া মুখোপাধ্যায়। সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিভিন্ন রাজ্য ও জেলার পন্ডিত নগেন্দ্রমনি দাস, গুরু সংগীতা চাকী, গুরু অরূপ রঞ্জন ঘোষ রায়, ড চিত্তরঞ্জন মাইতি, শিল্পী উৎপল কর্মকার, শিল্পী নভোনীল চৌধুরী, শিল্পী সুজিত দাস, শিল্পী জয়দীপ ভট্টাচার্য বিভিন্ন শিল্পীদের। এই সংস্থা র ছাত্র ছাত্রীদের মানপত্র প্রদান করেন বহু বিখ্যাত শিল্পীরা।দ্বিতীয়দিন অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা পরিবেশন করেন নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।ছাত্র ছাত্রীদের হাতে মানপত্র ও মেডেল তুলে দেন সংগীত শিল্পী অলোক রায় চৌধুরী, শমিক পাল,জয় শঙ্কর ও আবৃত্তিকার প্রবীর ব্রম্ভচারী। দুদিনের এই সমাবর্তন উৎসবে ১৫০০ ছাত্র ছাত্রীরা মানপত্র গ্রহণ করে, অনুষ্ঠানে ১৫০ জন প্রতিযোগী অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হন।

জুন ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের মহলা কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন সাংবাদিক বিপ্লব কুমার ঘোষ মহাশয়। এরপর নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে মাল্যদান করেন প্রদীপ কুমার সাহা। সংস্থার কর্ণধার জীবন অধিকারীর উদ্বোধনী সংগীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই বিপ্লব কুমার ঘোষ কে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। তিনি নাবিক নাট্যমের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। তার বক্তব্য দর্শকদের রবীন্দ্র-নজরুল চেতনায় প্রভাবিত করে। এদিন উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবকও গোবরডাঙা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর বাসুদেব কুন্ডু। তাছাড়াও ছিলেন গোবরডাঙা চিরন্তন, নাট্যয়ন, মৃদঙ্গম, মসলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার, মুকুলিকা গানের স্কুল, চাঁদপাড়া এক্টর বন্ধুরা এবং এলাকার বিশিষ্ট সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা।এই অনুষ্ঠানে নৃত্য প্রদর্শন করেন নিকিতা সরকার, রাখি বিশ্বাস, দেবাদৃতা ঘোষ, নবনীতা বিশ্বাস, দেবস্মিতা চক্রবর্তী, সৃজনী রায়চৌধুরী, অস্মিতা দত্ত প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ঐশী মুখার্জি, ঋষভ চক্রবর্তী, চৈতি সিংহরায়। সংগীত পরিবেশন করেন নমিতা বিশ্বাস, সোনালী দাস, অনিমা মজুমদার। মনোগ্রাহী এই অনুষ্ঠানের বিশেষ মাত্রা যুক্ত করে সৌরজ্যোতি অধিকারী ও আঁকন মজুমদারের গানের যুগলবন্দী। কালাচাঁদ শীলের তবলার বোল দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। আল্পনা সরকারের সাবলীল সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছিল।

জুন ০৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মনীষী চর্চা কেন্দ্রের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

করোনা মানুষের জীবনে কালো ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা করোনার জন্য এখন অনেকটাই ফ্যাকাশে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বটে, তবুও প্রতিদিনই সেই ভয়ের রেশটা রয়ে গেছে। মুখ ঢাকা পড়েছে মুখোশে। কিন্তু আমরা যে ব্যষ্টি নয় সমষ্টিতেই বিশ্বাসী। একসঙ্গে থাকা, একসঙ্গে বাঁচাই যে আমাদের জীবনের মূলমন্ত্র।সেই লক্ষ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ত্রিগুণা সেন অডিটরিয়ামে মনীষী চর্চা কেন্দ্রের কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। নাচে গানে কবিতায় ভরে ওঠে প্রতিটি মুহূর্তই উপস্থিত দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শরৎবাবুর নাটক, বৈকুণ্ঠের উইল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা ১২৫ তম শরৎচন্দ্র জন্মবার্ষিকী কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অঞ্জনাভ চক্রবর্তী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি।

মে ২৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সুরম্য -র প্রথম নিবেদন 'জীবন নদীর ওপারে', মন ছুঁয়ে গেল দর্শকদের

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বহু কথায় ও গানে মৃত্যুকেই জীবনের সত্য হিসাবে তুলে ধরেছেন। জীবনের পরে মৃত্যু যেমন অবশ্যম্ভাবী, মৃত্যুর পরেও এক নতুন জীবনে উন্নীত হয় মানুষ। সেই জীবন অপার্থিব। জীবন তরণী ভাসিয়ে সেই শাস্তির পারে পৌঁছাতে মানুষের মনে জাগে সংশয়, ভয় ও দুঃখ। তবে কবি বলেছেন বারংবার মৃত্যুই কোন এক অমৃতময় লোককে কাছে আনে, যেখানে জেগে ওঠে অন্তহীন প্রাণ।বিশ্বকবির এই জীবনভাবনা নিয়েই সুরম্য (কসবা)র আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল অশ্বিনী দত্ত রোডের ঐতিহাময় শরৎচন্দ্রের বাসভবনে। অনুষ্ঠানের ভাবনা রবীন্দ্রনাথের কথায়, গানে ও কবিতায় মৃত্যুজয়ের দীক্ষা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে সাজানো হয়েছিল।প্রথম পর্বে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীতরূপে জয় তব বিচিত্র আনন্দ গানটি ছিল যথাযোগ্য নির্বাচন। গানটি পরিবেশন করেন অনামিকা ঘটক।দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ অতিথি বুদ্ধ মজুমদার ও শৈলেন চক্রবর্তী এক আলোচনায় অংশ নেন। বিষয় আজকের এই চটুল বাণিজ্যিক সংস্কৃতির আঙিনায় গভীর সৃষ্টিশীল ভাবনা ও মননশীল কাজের অবস্থান। বুদ্ধবাবু এবং শৈলেনবাবু অত্যন্ত সুচারুভাবে আমাদের বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক জগতে বাণিজ্যিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা ও সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশের সহাবস্থান ও দ্বন্দ্ব যুক্তি দিয়ে তুলে ধরলেন।অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে ইউটিউব চ্যানেলে জীবন নদীর ওপারে গীতি আলেখ্যটির উদ্বোধন এবং পরবর্তীতে এর কিছু নির্বাচিত অংশবিশেষ পরিবেশিত হয়। পাঠে ছিলেন ব্রতী পাল মুস্তাফী ও সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, কবিতাপাঠে শ্রী সুবীর পাল মুস্তাফী, সঙ্গীতে কণ্ঠদান করেন অনামিকা ঘটক ও শ্রী সুমন চক্রবর্তী। সুবীর পাল মুস্তাফীর সৃজনে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি গভীরতা লাভ করেছে। পাঠে ব্রতী ও সৈকত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অনামিকা ও সুমনের চেষ্টাও আন্তরিক। তবলায় সুদীপ্ত বিশ্বাস ও সিন্থেসাইজারে দেবাশীস সাহা যথাযোগ্য সঙ্গত করেন। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধনে শুভেন্দু কৃষ্ণ তরফদার সফল।

মে ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

হিরালাল সেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়

কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বিএফটিসিসির উদ্যোগে আয়োজিত হল অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি। বিশেষ দিনে হিরালাল সেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হল অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়কে। দেবকী কুমার বোস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ কে। এর পাশাপাশি বি এন সরকার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জিতলেন সুরিন্দর ফিল্মসের কর্ণধার সর্দার সুরিন্দর সিং, কালিস মুখার্জি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্মল ধর। বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন ও রাজ রাজ্জাকের হাতে তুলে দেওয়া হয় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। শুধু তাই নয়, স্বল্পদৈর্ঘ ও তথ্যচিত্র নির্মাতাদেরও বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অ্যাওয়ার্ড সেরিমনিতে উপস্থিত ছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী, অনীক দত্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, জয়া শীল ঘোষ, রঞ্জিত মল্লিক, কোয়েল মল্লিক, আলমগীর, ফিরদৌসাল হাসান সহ আরও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

নূপুর ডান্স একাডেমির বার্ষিক উৎসব

কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সম্প্রতি হয়ে গেলো কৃষ্ণনগর নূপুর ডান্স অ্যাকাডেমির বার্ষিক উৎসব। শহর জুড়ে তার প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। উক্ত অনুষ্ঠানের জন্যে কৃষ্ণনগর নূপুর ডান্স অ্যাকাডেমি ও উড়ান মানুষের কাছে আবেদন করেছিলো এটি কে যাতে শহরের একটা বড় উৎসব করে তোলা যায়। উৎসবের জন্যে এসে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার কুমার শর্মা এবং তার টিম কত্থক রকার্স । এবং তাঁরা হাজির করলেন ত্রিনাদ, যা এর আগে দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হলেও দেশে এই প্রথম। কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ কানায় কানায় দর্শক পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে নির্দিষ্ট দিন। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। মঞ্চ থেকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে কুমার শর্মা জি কে বরণ করে নেন ইন্ট্রোলিঙ্ক-এর কর্ণধার শ্রী তন্ময় সাহা। নূপুর ডান্স অ্যাকাডেমির একাধিক ছাত্র ছাত্রীরা শুরুতেই করেন নৃত্য পরিবেশন, নৃত্য এবং গানের মধ্য দিয়ে উঠে আসে ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্বর। এরপর শুরু হয় কাঙ্খিত সেই ত্রিনাদ। নাচ, গান, তাল মিলিয়ে সে এক অদ্ভূত আবেশ মেতে ওঠেন দর্শকরা। কত্থক রকার্স বুঝিয়ে দেয় বিদেশের মাটিতে তাঁরা যেমন জমিয়ে এসেছেন, দেশের মাটিতেও তার অন্যথা হবে না। শব্দ, আলোর এক মায়াবী পরিবেশে মোহিত হয়ে ওঠেন দর্শকাসনের প্রতিটি মানুষ। এক দর্শকের কথায়, যারা আসেন নি তাঁরা বুঝতেও পারলেন না কত বড় একটা ইতিহাস মিস করে গেলেন তাঁরা। ধর্ষণের উপর তৈরি হওয়া কাজ টি দেখে, দর্শক হিসেবে আসা এক ডাক্তার বাবুর কথায়, আমার দুই মেয়ে আছে, বেনাকাব প্রযোজনা টি দেখার পর মুখ লুকিয়ে আমি হাও হাও করে কেঁদে ফেলেছি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে কতটা প্রাসঙ্গিক কাজ হয়েছে এটি।আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে গোপা মুখার্জি বলেন, দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করে তারপর উৎসবটি সম্পন্ন করা গেলো । নূপুর এর এই পার্বন পুরো শহরের উৎসব হয়ে উঠবে সেই কামনা করেছিলাম, এবং সবাই কে আহবান করেছিলাম! মানুষ যে এভাবে এরকম অভাবনীয় সাড়া দেবেন আমি ভাবতেই পারি নি! আগামী দিনে শহরের তথা জেলার জন্যে আরো কিছু ভালো ভালো উপহারের পরিকল্পনা করছি আমরা।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অনুষ্ঠিত হলো উত্তরপাড়া গণ ভবনে রঙ্গশ্রী আর্ট এন্ড কালচার এর বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান ২০২২

উত্তরপাড়া গণ ভবনে হয়ে গেলো রঙ্গশ্রী আর্ট এন্ড কালচার এর বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান ২০২২। অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয় ভারতীয় সংস্কৃতি সমারোহ গ্লোবাল ডান্স ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া আর্ট এন্ড কালচার।প্রতিবছর তারা এই সারা ভারত নৃত্য প্রতিযোগিতা র আয়োজন করে থাকে। এবছর এই বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান এ বিশেষ অতিথি হিসাবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কথক শিল্পী কেয়া চন্দ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক রাহুল দেব মন্ডল, ওড়িশি শিল্পী অনুপমা দে, কথক শিল্পী কুশল ভট্টাচার্য, পূর্ব মেদিনীপুর মন্দারমনি অন্তদয় অনাথ আশ্রম এর কর্নধার বলরাম করণ, ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রদীপ কুমার বেহেরা, ভারত নাট্যম ও ক্রিয়েটিভ ডান্সে এর অপর্ণা চ্যাটার্জী প্রমুখ শিল্পীরা। সকলেই রঙ্গশ্রী র এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানায়। মঞ্চে অতিথিদের হাতে মানপত্র তুলে দেন রঙ্গশ্রী র দুই কর্ণধার সুরজিৎ ভৌমিক ও লিপাসি ভৌমিক। পরে অতিথিরা ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার ও সাটিফিকেট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ভারত নাট্যম পরিবেশন করেন অনুপমা দে।কথক নৃত্যে নজর কারে গুরু অঞ্জু ভট্টাচার্য র সুযোগ্য ছাত্রী দিশানি ভৌমিক। এই বছর সারা ভারত নৃত্য প্রতিযোগিতায় সেরা পুরস্কার পেলেন চন্দ্রিমা রায় চৌধুরী। সমগ্র নৃত্যানুষ্ঠান টি পরিকল্পনা ও পরিচালনা য় ছিলেন রঙ্গশ্রী আর্ট এন্ড কালচার এর সভাপতি সুরজিৎ ভৌমিক ও উৎসব অধিকর্তা ও রঙ্গশ্রীর কর্ণধার লিপাসি ভৌমিক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সেদিন সুচারু সঞ্চালনায় ছিলেন দিপায়ন ঘোষ। উত্তরপাড়া গনভবনের এদিনের অনুষ্ঠানটি এক কথায় অনবদ্য হয়ে ওঠে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অনুষ্ঠিত হলো সন্তোষপুরের ‘আগন্তুক’ সংস্থার ‘নারীর সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষমতায়ন’ অনুষ্ঠান

৮ই মার্চ ছিল বিশ্ব নারী দিবস। এই দিনটি কে মাথায় রেখে আই সি সি আর হলে সন্তোষপুর আগন্তুক আয়োজন করল ছিলো নারী দিবসের এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা নারীদের বিশেষভাবে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি তাদের জন্য আর একটু বেশি কিছু করার। সন্তোষপুর আগন্তুক নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অগ্রগণ্য সংস্থা। বিশ্ব নারী দিবসে তারা উদযাপন করতে চলেছে অনুপ্রানন। জীবনের সর্ব শ্রেণীর নারীদের উন্নতি ও ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ও তাদের সম্মান জানিয়ে এই অনন্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্ভাবনা। এখন প্রসঙ্গক্রমে একজন বিশেষ ব্যাক্তিত্বের কথা না বললে খুবই অন্যায় ও পরিবেশনায় অসম্পূর্ণতা থেকে যাবে, তিনি হলেন এই স্বয়ম কর্ম ভাবনাটির প্রাণদাত্রী অভিষিক্তা বসু। ইনি মূলত এই কর্ম ভাবনার বাস্তব প্রতিক্ষেপণে বিপদগ্রস্ত মহিলাদের আইনগত সহযোগিতা ও পরামর্শদানের গুরু দায়িত্বটি পালন করে থাকেন। অনুপ্রানন শব্দটির অর্থ আত্মা। যে কর্মে আত্মার যোগ যদি না থাকে সেই কর্মে যেমন সাফল্য আশা করা বৃথা, তেমনই আত্মার একাত্মতাই মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাহস যোগায়। তাই এই আত্মিকতা নিয়েই অনুপ্রাননের আজকের এই বিশেষ দিনে এই সবিশেষ প্রচেষ্টা। এই অনুষ্ঠানটি শুরু থেকেই তার নিজস্বতা আর এক অনন্য স্বাদ নিয়ে হাজির হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় মূক ও বধির শিশুদের সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে জাতীয় সঙ্গীতের এক মর্মস্পর্শী উপস্থাপনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল সন্তোষপুর আগন্তুকের সভাপতি বিপ্রদাস ভট্টাচার্যের সংবর্ধনা ও সংস্থার উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যতের কর্ম প্রকল্প নিয়ে সর্বজনের জন্য কিছু কথা ও তথ্য। সন্ধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্বয়ম এর প্রকাশ। স্বয়ম হল সন্তোষপুর আগন্তুক-এর একটি আইনি সচেতনতামূলক উদ্যোগ। স্বয়ম-এর উদ্দেশ্য হল নারীদের আইনগত অধিকার অর্জন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ন্যায়বিচার অর্জন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা ও শিক্ষা দান। এই উদ্যোগ দেশের বিশাল জনসংখ্যার নারীদেরকে আইনিভাবে ক্ষমতায়ন করতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে নিয়ে আসা হয়েছিল এমন একটি বিশেষ উপস্থাপনা যা আগে কখনও কোনও মঞ্চে চিত্রিত হয়নি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার হরিণ, নৃত্যনাট্যের সাথে একাধিক সাহিত্যকর্ম থেকে বিভিন্ন নারী চরিত্রের সংমিশ্রণ নিয়ে প্রযোজনাটি উপস্থাপিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনে ছিলেন তুশি নস্কর। চিত্রনাট্য লিখেছেন কৃষ্ণা দত্ত। কণ্ঠ দিয়েছেন স্বর্ণালী পাল এবং উপস্থাপনাটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন সুব্রত মুখার্জি (সঙ্গীত) ও সুবর্ণ প্রতিম গিরি (কণ্ঠ)। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দর্শকদের জন্য ছিল তিতিক্ষা নামের একটি ছায়া ছবির একটি অতি আবেগপূর্ণ উপস্থাপনা যা সত্যিকারের নারীত্বের যাত্রাকে চিত্রিত করেছে। এই ছায়াছবি ছিল ৩ টি অনন্য গল্পের একটি অপরূপ সংকলন। তিতিক্ষা উপস্থাপন করেছে ক্রিয়া নামের একটি প্রযোজনা সংস্থা। আহি নস্কর দ্বারা পরিচালিত ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্রীযুক্ত সন্দীপন মন্ডলের সুপরামর্শে সমৃদ্ধ এই ছবিটির বিশেষ প্রাপ্তি পরিচালকের অসাধারণ গ্রন্থনা ও চিত্র রূপাংকন। অনুষ্ঠানের বিশেষ আহ্বান, নারী ক্ষমতায়নের সহযাত্রী।সন্তোষপুর আগন্তুক হাজার হাজার নারীর জীবনে তাদের দক্ষতা ও কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং সর্বোপরি আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনে পার্থক্য সৃষ্টি করে দেওয়ার মহৎ কর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্বর্ণালী পাল (সংস্থা র প্রেসিডেন্ট),অরিজিৎ মুখার্জী (সম্পাদক), তুষি নস্কর, সায়নজিৎ ঘোষ এবং আরও অনেকে এই সংস্থাটি পরিচালনার গুরুভার স্বেচ্ছায় নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে এক মহতি পথরেখা এঁকে চলেছেন। তাদের নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ড এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বহু অসহায় নারীর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এবং ফুটিয়ে চলেছেন। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উজ্জ্বল ভট্টাচার্য।

মার্চ ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

'ইনস্টিটিটিউশন অফ পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারস ইন্ডিয়া' এর৫০ বছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

অনুষ্ঠিত হলো সল্টলেকে ইনস্টিটিটিউশন অফ পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারদের ৫০ বছরে কাটেন রেজার উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইনস্টিটিটিউশন অফ পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারস ইন্ডিয়া ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই উপলক্ষে সল্টলেক সি কে ৫৮ করুণাময়ীর কাছে তাদের নিজস্ব ভবনের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন পদ্মশ্রী প্রফেসর ড অজয় কুমার রায়, অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন কে জে নাথ, উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বি কে সেনগুপ্ত, ড গৌতম কুমার বসাক। অনুষ্ঠানে এই সংস্থার কাটেন রেজার উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড অজয় কুমার রায়। উপস্থিত সকলেই এই সংস্থার পঞ্চাশ বছরের নানা স্মৃতিচারণ করেন। এরপর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠিত হয় গীতি আলেখ্য কিছু কথা কিছু গান। গীতি আলেখ্যটি রচনা করেছেন ভারতী চক্রবর্তী, অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা ব্যানার্জী, দীপালি দত্ত, ভারতী চক্রবর্তী, সুস্মিতা সরকার, শর্বরী সেনগুপ্ত। শিল্পীদের কণ্ঠে ভালো লাগে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে, আধুনিক গান ওই উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙিন, উইসেল ওভার কাম প্রমুখ গানগুলি। তরুণ কুমার দত্তর গলায় ভাষ্য পাঠ অনবদ্য লাগে শুনতে। এরপর ছিল শিল্পী শ্যামলী ভট্টাচার্য র ইলেকট্রিক গিটারে লঘু সংগীতের সুর। তিনি বাজিয়ে শোনান প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর আকাশের আস্ত রাগে, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর এর হিন্দিগান জিন্দে গি পেয়ার কি গীত হ্যায় ও প্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ী র গান আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো। সকলের মন ভরে যায় শিল্পীর গিটার বাদন। শিল্পীকে তবলায় সঙ্গত করেন পার্থ ভট্টাচার্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চলনায় ছিলেন সংস্থার সম্পাদক তরুণ কুমার দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি এককথায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

মার্চ ১১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বিশেষভাবে সক্ষমদের পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন ঐক্যতানের

বিগত বছরের মতো এই বছরেও ঐক্যতানের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন কড়া হল। ভালোবাসার দিন অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র ঠিক আগের দিন এই মহৎ কর্মসূচীর আয়োজন করে তারা। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও দেবাশিস কুমার। এছাড়া মর্নিং গ্লোরি ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিল। এই সংগঠনের সদস্য আনন্দ ভুঁইয়া জনতার কথা কে জানালেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা একটা সংগঠন তৈরি করি। গত বছর প্রথম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলাম আমরা। এই বছর এখনও পর্যন্ত ৫০ জন রক্ত দিয়েছেন। দেবাশিস কুমার এদিন জানান, আগামীকাল ভালোবাসার দিন। ভালোবাসার ব্যপকতা, ভালোবাসার ব্যপ্তি কতটা হতে পারে ঐক্যতান তার প্রমাণ রাখলো। বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়িয়ে আগামী দিনের সার্থকতা আজকে তারা করে দিলেন। ভালোবাসাটা দুটো নারী-পুরুষের মধ্যে নয়। ভালোবাসাটা মানুষের সঙ্গে মানুষের। সেই কাজটাই তারা করলেন।উদ্যোক্তারা আরো জানিয়েছেন মর্নিং গ্লোরি ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুলের বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর একটা প্রয়াস ছিল তাদের। আনন্দ ভুঁইয়া এই স্কুলের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Viswa Bharati : বিশ্বভারতীর শতবর্ষে বিশেষ উপাসনা ও স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ শান্তিনিকেতনের মোহরবীথিকা অঙ্গনে

৭ই পৌষ মহর্ষির দীক্ষার দিন তথা শান্তিনিকেতনের বার্ষিক উৎসব প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - শান্তিনিকেতনের সাম্বৎসরিক উৎসবের সফলতার মর্মস্থান যদি উৎঘাটন করে দেখি তবে দেখতে পাব,এর মধ্যে সেই বীজ অমর হয়ে আছে,যে বীজ থেকে এই আশ্রম-বনস্পতি জন্ম লাভ করেছে; সে হচ্ছে সেই দীক্ষাগ্রহণের বীজ। ....সেই ৭ই পৌষ এই শান্তিনিকেতন আশ্রমকে সৃষ্টি করেছে এবং এখন ও প্রতিদিন একে সৃষ্টি করে তুলেছে।এবছর ৭ই পৌষ মহর্ষির দীক্ষার ১৭৮ বছর,আশ্রম প্রতিষ্ঠার ১৫৮ বছর,মন্দির প্রতিষ্ঠার ১৩০ বছর, ব্রহ্ম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর, বিশ্বভারতীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ১০৩ বছর ও বিশ্বভারতী সূচনার (পরিষদ গঠনের )১০০ বছর।এই উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর (৬ পৌষ ১৪২৮ ) মোহর-বীথিকা অঙ্গনে বাংলা লাইভ ডট কম এবং মোহর-বীথিকা অঙ্গনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ স্মরণে উপাসনা ও স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হলো। মোহর-বীথিকা অঙ্গন (মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট স্পেস) আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের বসন্তে শুরু হলেও এই প্রাঙ্গণে বহু গুণী মানুষের পদধূলি পড়েছে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বাসভবনকে কেন্দ্র করে এই যে প্রতিষ্ঠান তার মূল উদ্দেশ্য শান্তিনিকেতন ও শান্তিনিকেতন আশ্রমের গড়ে ওঠার ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধারণ ও বহন করা।এবছর বিশ্বভারতী পরিষদ গঠনের শতবর্ষকে স্মরণে রেখে মোহর-বীথিকা অঙ্গন এবং বাংলা লাইভ ডট কম এর নিবেদন বিশেষ উপাসনা ও একটি গ্রন্থ প্রকাশ ৬ই পৌষ(২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮:৩০ মোহর-বীথিকা অঙ্গনে( কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের বাসভবন প্রাঙ্গণ) হয়ে গেল। এই বিশেষ উপাসনায় আচার্যের ভূমিকায় ছিলেন বিশিষ্ট আশ্রমিক ও পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর, মন্ত্রপাঠে প্রাক্তন অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়। গানে অংশগ্রহণ করেন চন্দন মুন্সী, অঙ্কন রায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, নিবেদিতা সেনগুপ্ত, ঋতপা ভট্টাচার্য, শরণ্যা সেনগুপ্ত, ঋতজা চৌধুরী, মধুজা চট্টরাজ।নীলাঞ্জনা সেনমজুমদার, অভীক ঘোষ (পাঠে) যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন সীতেশ হালদার,সৌগত দাস, সুতনু সরকার,দিলীপ বীরবংশী, বিশ্বায়ন রায়। এই বিশেষ স্মারক গ্রন্থে লিখেছেন পবিত্র সরকার,মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়,প্রণব রঞ্জন রায় সুশোভন অধিকারী,বিশ্বজিৎ রায়,অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়,গৌতম ভট্টাচার্য অমিত্র সূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ যার এদিন ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করা হলো। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে শান্তিনিকেতনের উপাসনার আঙ্গিকে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুর বাড়ির অন্যান্যদের রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত এই উপাসনার এক বড় অংশ জুড়ে ছিল। জানালেন মোহর-বীথিকা অঙ্গনের পক্ষে ঋতপা ভট্টাচার্য।বাংলা লাইভ এর পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে৷ বাংলালাইভ শুধু একটি আন্তর্জালিক আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকা নয়, বাংলালাইভ সাথে সাথে হয়ে উঠেছে একটি সামাজিক ভাবনা চিন্তা ভাগ করে নেওয়ার মেলবন্ধন ৷ বন্ধুত্ব, ভালবাসা, ভাল চিন্তা, ভাল থাকার প্রচেষ্টা ৷ এই যৌথ পরিবারে আপনি আমি সবাই সামিল।এরকম একটা উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভীষণই ভালো লাগছে, বললেন বাংলা লাইভের পক্ষে মৌসুমী দত্ত রায়।অনুষ্ঠান শুরু হয় বেদ গান তমীশ্বরানাং দিয়ে, মন্ত্র পাঠ করেন কল্পিকা মুখোপাধ্যায়,পাঠে ছিলেন অভীক ঘোষ,নীলাঞ্জনা সেন মজুমদার, চন্দন মুন্সী নিবেদন করেন পরিপূর্ণাং আনন্দং, সমবেত কন্ঠে গাওয়া হয় শুভ্র আসনে বিরাজ, নূতন প্রাণ দাও,ওঁ পিতা নোহসি মন্ত্র পাঠ করেন কল্পিকা মুখোপাধ্যায়, তার বাংলা অনুবাদ পাঠ করেন সুপ্রিয় ঠাকুর,একক সঙ্গীত পরিবেশনে ছিলেন মধুজা চট্টরাজ (মোরে ডাকি লয়ে যাও), অঙ্কন রায় (চিরবন্ধু চিরনির্ভর), ঋতজা চৌধুরী (বিমল আনন্দে জাগো রে), ধন্য তুমি ধন্য (প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় ),ঋতপা ভট্টাচার্য ( স্বপন যদি ভাঙিলে ), তোমারি নামে ( শরণ্যা সেনগুপ্ত ), নিবেদিতা সেনগুপ্ত ( নিত্য তোমার ),সব শেষে সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত হয় মোরা সত্যের পরে মন। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

NGO : স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বপ্নপূরণের উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান

মুন সাহা ও সোমা সরকারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বপ্নপূরণ-এর উদ্যোগে মানবধর্মী একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। পথশিশু, গৃহহীন শিশু এবং বৃদ্ধদের পাশে তারা দাঁড়াল যারা প্রতিদিন বেঁচে থাকার লড়াই করছে। এই মহৎ উদ্দেশ্যের প্রধান অতিথি ছিলেন দেবাশীষ কুমার এবং মদন মিত্র। এছাড়া অলকানন্দা রায়, সোহাগ সেন, এনা সাহা, সমিধ, রিমঝিম গুপ্ত, রাতাশ্রী দত্ত, চৈতালী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ স্বপ্নপুরনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সমাজকর্মী রঞ্জিতা সিনহা ছিলেন এই অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এনা সাহা এদিন জানান, আজকে স্বপ্নপূরণে এসে খুব ভালো লাগছে। এরকম ভালো একটা উদ্যোগ। অল দ্য বেস্ট মুন দি ও সোমা দি। আই অ্যাম উইথ দেম। আশা করছি সবকিছু খুব ভালো করে হবে। রাতাশ্রী দত্ত জানালেন, মুন দি দারুণ একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়েছেন যে পথশিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের নিয়ে তাদের একটা আশ্রয় গড়ে তোলা। আমার মনে হয় এই ইনিশিয়েটিভের সাথে সকলের থাকা উচিত যাতে আমরা একটু হলেও সমাজের কাজে লাগতে পারি।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
দেশ

Modi's Birhtday: নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ৭১তম জন্মদিন পালন

আজ প্রধানমন্ত্রীর ৭১ তম জন্মদিন। দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গ, সর্বত্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা ও সমর্পণ অভিযান পালন করবে বিজেপি শিবির। প্রতি বছর এক সপ্তাহের জন্য সেবা দিবসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এই বছর তা বাড়িয়ে টানা ২০ দিনের মেগা কর্মসূচিতে দেশজুড়ে কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি।আরও পড়ুনঃ অজানা জ্বরের কারণ জানতে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীরদেশজুড়ে একদিনে কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষকে টিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, কুড়ি দিনব্যাপী বিভিন্ন স্বাস্থ্যশিবির, সচেতনতা অভিযান ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন, প্রায় ১৪ কোটি গরিবদের বিনামূল্যে রেশন প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি এদিন মোদির ২০ বছরের রাজনৈতিক যাত্রার নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।এছাড়াও নমোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বারাণসীর ভারত মাতা মন্দিরে ৭১ হাজার মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্রায় ৫ কোটি পোস্টকার্ড পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিস থেকে। কয়েকদিন আগেই এ রাজ্যে দিলীপ ঘোষ জানান, ৭১টি জায়গায় গঙ্গার ঘাট সাফাই, ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন-সহ নমো অ্যাপের মাধ্যমে মোদির জন্মদিনের নানান মুহূর্ত দেখানো হবে।জন্মদিনে মোদির পাওয়া উপহার ই-নিলামে তুলবে সংস্কৃতি মন্ত্রক। অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিরক্সে পদকজয়ীদের সরঞ্জাম, অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছোট সংস্করণ-সহ একাধিক উপহার পেয়েছেন মোদি। আর সেই সমস্ত উপহার নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ নমামি গঙ্গা প্রকল্পে অনুদান তহবিলে দান করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

75th Independence day : ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে নতুন উদ্যোগ

কাল ভারতবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন। কাল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব আরও বেশি। কারণ এবছর স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষ।আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গিএই বিশেষ দিন উপলখ্যে ভারত ভাগ্যবিধাতা গাইলেন ৭৫ জন শিল্পী। মূল উদ্যোগে রয়েছেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও চিরন্তন ব্যানার্জী। তাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন উষা উত্থুপ, অনুপম রায়, ইমন চক্রবর্তী , লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য , ইন্দ্রানী সেন, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়,সুরজিত্, সিধু, জোজো এছাড়াও রয়েছে আগত প্রজন্মের কিছু নবীন সংগীত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারত ভাগ্যবিধাতা গানটিকে গেয়ে এক নতুন রূপ দেয়। মোট ৪০ জন গানটি গায়, সাথে গানটিতে সামিল হন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী,দেবশ্রী রায়, অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জী ও আরো ১০ জন অভিনেতা অভিনেত্রী। আছেন সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রণতি ঠাকুর, নবীনরাও কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই সঙগিতে, সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরন্তন। নৃত্যশিল্পী থাঙ্কুমণি কুট্টি সহ রয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, তনুশ্রী শঙ্কর সাথে আরো ১০ নৃত্য শিল্পী এবং বেশ কয়েকজন জন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী।

আগস্ট ১৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Simla A Bong positive : সিমলা এ বং পজিটিভের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান

সিমলা এ বং পজিটিভ নাট্যদল তাদের পঞ্চম জন্মদিন উদযাপন করল হেদুয়ায়। রক্তদান কর্মসূচর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোট ৫২ জন এদিন রক্ত দেন। এই রক্তদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ অভিনেত্রী বাসবদত্তা চ্যাটার্জি। এছাড়া বিনামূল্যে অক্সিজেন পার্লার ও ছিল।আরও পড়ুনঃ সাহসী পোশাকে আলুপোস্ত রেঁধে ভাইরাল রিম্পিবিকালে থিয়েটার নিয়ে একটা সেমিনার হয়। মে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অনিন্দ্য ব্যানার্জি, পঙ্কজ মুন্সী, কমল চ্যাটার্জি, ত্রিগুণা শঙ্কর প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। অনিন্দ্য ব্যানার্জি এই আলোচনাসভায় জানান করোনা পরিস্থিতিতে থিয়েটারের অবস্থা খুব খারাপ। সরকার থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে থিয়েটারের অবস্থা আরও বিপন্ন হতে পারে। এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তপতী মুন্সী ও সমাজসেবী শ্রেয়া পাণ্ডে।

আগস্ট ০৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Theatre : জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠান করছে সিমলা এ বং পজিটিভ

সিমলা এ বং পজিটিভ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আজ তাদের ৫ বছর হল। এই ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট হেদুয়া পার্কের সামনে তারা রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে অক্সিজেন পার্লার, থিয়েটার সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তবে পুরোটাই হবে কোভিড বিধি মেনে।আরও পড়ুনঃ শেষ হল ওগো নিরুপমার শুটিংএই বিশেষ দিনে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চ্যাটার্জি। তাদের উদ্যোগ প্রসঙ্গে এ বং পজিটিভের সদস্য রিমি দেব জনতার কথা কে জানালেন, আজ আমাদের এ বং পজিটিভের জন্মদিন। কিন্তু আজ যেহেতু উইক ডেস তাই কোনো প্রোগ্রাম রাখা হচ্ছে না। সবটাই হবে ১ আগস্ট। এদিন একটা ব্ল্যাড ডোনেশন ক্যাম্প, একটা থিয়েটার সেমিনার এবং দুটো ফোক বাংলা ব্যান্ডের পারফরম্যান্স থাকবে।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?কয়েক মাস আগেই চারদিন ব্যাপী একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে এ বং পজিটিভ। সেই অনুষ্ঠান সফল হওয়ার পর ৫ বছরের জন্মদিনে আরো একটি ভালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে তারা।

জুলাই ২৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal