• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Price Hike

কলকাতা

LPG: ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

ফের আমজনতার দুর্ভোগ বাড়িয়ে ১৫ দিনের মাথায় আরও চড়া হল রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) দাম। আজ থেকে কলকাতায় ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডার কিনতে হবে ৯১১ টাকা দিয়ে। আগের থেকে আরও ২৫ টাকা বেশি। অর্থাৎ গত ডিসেম্বর থেকে গ্যাসের দাম বাড়ল ২৯০.৫০ টাকা। হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত সিলিন্ডারও (১৯ কেজি) ৭৩.৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭৭০.৫০ টাকা। এ দিকে, সাত দিন থমকে থাকার পরে আজ আইওসি-র পাম্পে পেট্রল-ডিজ়েলের দর সামান্য কমছে, লিটারে যথাক্রমে ১০ পয়সা এবং ১৪ পয়সা। এর আগে অগস্টের মাঝামাঝি ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ে ২৫ টাকা। ফলে মাত্র ১৫ দিনেই ৫০ টাকা সংসার খরচ বাড়ল গৃহস্থের। তেল সংস্থা সূত্রের খবর, বিশ্ব বাজারে এলপিজি-র মূল উপাদান প্রোপেন-বুটেনের দর বৃদ্ধিই এর কারণ। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে যখন সাধারণ রোজগেরে মানুষের এমনিতেই বেহাল দশা, তখন ভর্তুকি বাড়িয়ে কেন গ্রাহকদের স্বস্তি দিচ্ছে না মোদি সরকার? তবে তাতে কেন্দ্রের অবশ্য বিশেষ হেলদোল নেই। চড়া উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে পেট্রল-ডিজেলে সুরাহা দেওয়ার আর্জিও ঠিক এ ভাবেই লাগাতার অগ্রাহ্য করে এসেছে তারা।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
কলকাতা

Fuel price: কলকাতায় সেঞ্চুরি হাঁকাল পেট্রল

কলকাতায় সেঞ্চুরি হাঁকাল পেট্রলের মূল্য। পাল্লা দিয়ে বাড়ল ডিজেলের দামও। কলকাতায় আজ পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ২৩ পয়সা দাঁড়িয়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৩ পয়সা। তবে শুধুই কলকাতা নয়। দেশের একাধিক শহরের ছবিটা একইরকম। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, ওডিশা ও বিহার অনেক আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রলের দাম। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে আগেই পেট্রল সেঞ্চুরি হাঁকানোয় তালিকায় ঢুকে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গও। এবার কলকাতাতেও ১০০ টাকার ঊর্ধ্বে চলে গেল পেট্রলের দাম।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় দিলীপ-মদনের রঙিন রসিকতাএদিকে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়ে হল ১০০.২১ টাকা। একলিটার ডিজেলে খরচ ৮৯.৫৩ টাকা। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে আমজনতার নাজেহালের কথা স্বীকার করে নিলেও পালটা যুক্তিও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। তবে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য এক বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই জ্বালানি মূল্য কমানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ ও ১১ জুলাই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনেও নামবে তৃণমূল বলে জানিয়ে দিয়েছে।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজনীতি

CM letter to PM: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মোদিকে প্রতিবাদী চিঠি মমতার

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদী চিঠি মমতার। আগামী ১০ ও ১১ জুলাই রাজ্যজুড়ে জ্বালানি তেলের মৃল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই আজ পেট্রোপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত।আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান, তৃণমূলেই যোগ দিলেন প্রণবপুত্র অভিজিৎমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, পেট্রোলের দাম কোনও কোনও রাজ্যে একশো টাকা ছুঁয়েছে। গত ৪ মে থেকে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত ডিজেলের দাম ৮ বার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে জুনেই দাম বেড়েছে ৬ বার। এর ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ জ্বালানির মূল্যবৃ্দ্ধির প্রভাব সরাসরি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রীকে(Narendra Modi) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় এবছর মে মাসে খুচরো পণ্যের দামের সূচক বেড়েছে ১২.৯৪ শতাংশ। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩০.৮ শতাংশ, ডিমের দাম বেড়েছে ১৫.২ শতাংশ, ফলমূলের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে দায়ি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট থেকে সরকারের কর আদায় বেড়েছে ৩৭০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে ওইসব পণ্যের উপরে কেন্দ্রের লাগাতার শুল্ক বৃদ্ধি। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্যসরকার পেট্রোল ও ডিজেলের উপরে শুল্কে কিছুটা ছাড়া দিয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রে সেস বাড়িয়েই চলেছে। আমার অনুরোধ, মানুষের উপর চাপ কমানোর জন্য পেট্রোল ও ডিজেলের উপরে কর কম করুক কেন্দ্রীয় সরকার।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

LPG price hike: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে ফের আগুন! এলপিজির দাম বাড়ল ২৫ টাকা

দেশে একের পর মূল্যবৃদ্ধিতে এমনিতেই নাজেহাল মানুষ। আর এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Price)। ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম (Cooking Gas Price) বাড়ল সিলিন্ডার পিছু ২৫ টাকা। যার ফলে কলকাতায় ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ৮৬১ টাকা। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামও। ৭৬ টাকা বেড়ে কলকাতায় ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের (Commercial Gas) দাম দাঁড়াল ১৬২৯ টাকা। কমার্শিয়াল বা ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৮৪ টাকা বাড়াল তেল সংস্থাগুলি।আরও পড়ুনঃ হুল দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মেমারির চোটখণ্ডেএদিকে, বাকি মেট্রো শহরগুলির তুলনায় গ্যাসের দামে শীর্ষেই রইল কলকাতা। দিল্লিতে ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৩৪.৫০ টাকা। এছাড়া মুম্বইতেও ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৩৪.৫০ টাকা। আর চেন্নাইতে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫০ টাকা।প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের ১ তারিখে রান্নার গ্যাসের দাম সংশোধন করে। এপ্রিলে ১০ টাকা কমানো হয়েছিল গ্যাসের দাম। পয়লা মে কোনও দাম বাড়ানো হয়নি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দাম বাড়ানো হয়েছিল। আর এবার জুলাইয়ের শুরুতেই ২৫ টাকা বাড়ানো হল দাম। জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধিতে এমনিতেই নাভিশ্বাস অবস্থা ছিল মধ্যবিত্তের, এবার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াতে মাথায় হাত পড়তে চলেছে আমজনতার।

জুলাই ০১, ২০২১
কলকাতা

কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রল

ফের শহরে বাড়ল পেট্রলের (Petrol) দাম। লাগাতার দাম বেড়ে এ বার কলকাতায় পেট্রল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। শহরে ১ লিটার পেট্রল কিনতে গেলে খরচ হবে ৯৫ টাকা ৩৪ পয়সা। লিটার প্রতি ডিজেল ৮৯ টাকা ১২ পয়সা। মুম্বইয়ে লিটার প্রতি পেট্রল ১০১-এর দোরগোড়ায়। পিছিয়ে নেই চেন্নাই ও দিল্লিও। সেখানেও ১০০ ছুঁইছুঁই পেট্রল।আরও পড়ুন: করোনা আবহে জনমতের ভিত্তিতে বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকতরল সোনার এই লাগাতার দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস আম আদমির। একে তো শহরে কার্যত লকডাউন, বন্ধ গণপরিবহণ। হয় ভরসা পায়ে হাঁটা নয় তো নিজস্ব গাড়ি কিংবা অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি। পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায় তাই নাভিশ্বাস আম আদমির। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে গত ২ মাসে ২ কোটি মানুষের কাজ চলে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রোজগার নেই। সেই পরিস্থিতিতে তরল সোনার দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের বুকে বাড়তি ব্যথা দিচ্ছে।ডিজেলের দাম বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। সবজি, মাছ থেকে শুরু করে যে কোনও অপরিহার্য পণ্যেরই দাম নির্ভর করে ডিজেলে দামের ওপর। তাই লাগাতার পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তায় আম আদমি। গত মাসে ১৬ বার পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগে ২৯ মে মুম্বইয়ে প্রেট্রোলের দাম ১০০ ছুঁয়েছিল। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে থেকেই দেশের জ্বালানি কোম্পানিগুলি জ্বালানির দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাদের দাবি, নানা জায়গায় পরিবহণের কর বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

জুন ০৮, ২০২১
দেশ

ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম, নয়া রেকর্ড কলকাতায়

ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুটিনে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে এক-দুদিনের বিরতি থাকলেও প্রায় নিয়মিত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। রবিবার ফের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশজুড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেল জ্বালানি তেল। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খোলা বাজারে। বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। অথচ, এখনও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।রবিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ১৭ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ২৫-২৯ পয়সা। এই নিয়ে চলতি মাসেই পেট্রলে লিটারপ্রতি প্রায় ২ টাকা ৬০ পয়সা, এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি প্রায় ২ টাকা ৯০ পয়সা দাম বাড়ল। কলকাতায় পেট্রলের নতুন দাম লিটারপ্রতি ৯৩ টাকা ২৭ পয়সা। আর ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৯১ পয়সা। আজ মুম্বইয়ে পেট্রল বিকোচ্ছে ৯৯ টাকা ৪৯ পয়সা প্রতি লিটার দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯১ টাকা ৩০ পয়সা দরে। রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের নতুন দাম হয়েছে ৯৩ টাকা ২১ পয়সা। ডিজেল বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৪ টাকা ৭ পয়সা দরে। চেন্নাইয়ে পেট্রল ও ডিজেলের নতুন দাম যথাক্রমে ৯৪ টাকা ৮৬ পয়সা এবং ৮৮টাকা ৯১ পয়সা। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের একাধিক শহরে জ্বালানি তেল এখন বিকোচ্ছে ১০০ টাকার উপরে।

মে ২৩, ২০২১
দেশ

ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম

ভোট মিটতেই জ্বালানির দামের ফের ঊর্ধ্বমুখী দৌঁড় শুরু। বুধবারও অব্যাহত সেই ধারা। পর পর তিনদিন দাম বেড়ে কলকাতায় এ বছরে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছল পেট্রল। ডিজেলের দামও জ্বালা ধরাচ্ছে আমজনতার হেঁশেলে। বুধবার লিটারপ্রতি ২৪ পয়সা বেড়ে এ শহরে পেট্রলের দাম হল ৯২ টাকা ১৬ পয়সা। ২৫ পয়সা বেড়ে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম দাঁড়াল ৮৫ টাকা ৪৫ পয়সা। গতকাল কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ছিল ৯১ টাকা ৯২ পয়সা। পরশু দিনের চেয়ে ২৬ পয়সা বেড়েছিল প্রতি লিটারের দাম। ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম হয়েছিল ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। স্বাভাবিকভাবেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে বাজারেও। উল্লেখ্যা, মে মাসের ১২দিনের মধ্যে ৭দিন বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম।চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটপর্ব চলাকালীন কিছুটা কমেছিল জ্বালানির দাম। তখনই রাজনৈতিক মহল দাবি করেছিল, ভোটের সময় মানুষের মন পেতে দাম কমানো হচ্ছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই আবার পারদ চড়ছে জ্বালানির দামের। আর তাপে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। একে করোনাকালে বিধিনিষেধের গেঁরোয় রুজিরুটিতে চান পড়েছে অনেকের। তার উপর লাফিয়ে বাড়ছে খরচ। এর মাঝে জ্বালানির দামবৃদ্ধির জেরে ক্রমশ অগ্নিমূল্য হচ্ছে বাজার। দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের।শুধু কলকাতা নয়, মুম্বইতেও পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৯৮.৩৬ টাকা। ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি লিটারে ৮৯.৭৫ টাকা। রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের দাম হয়েছে ৯২.০৫ টাকা। অন্যদিকে,ডিজেলের দাম লিটারে বেড়ে হয়েছে ৮২.৬১ টাকা। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের পর গতকাল মহারাষ্ট্রে সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরিয়েছে পেট্রলের দাম।

মে ১২, ২০২১
দেশ

টানা তিনদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি

ভোট মিটতেই জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যে ফের নাজেহাল দেশবাসীর। বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার থেকেই চড়তে শুরু করেছে পেট্রল-ডিজেটেল দাম। এই নিয়ে টানা তিনদিন বাড়ল দাম।এবার বিভিন্ন শহরে একলাফে ২০ থেকে ৩০ পয়সা বাড়ল জ্বালানি তেলের মূল্য। অর্থাৎ হিসেব বলছে, তিনদিনের মধ্যে ৪০-৫০ পয়সা পেট্রলের লিটারপ্রতি মূল্যবৃদ্ধি হল। ডিজেল লিটার পিছু বাড়ল ৫০-৬০ পয়সা। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আমজনতার কপালে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, রাজধানী দিল্লিতে যেমন ২৫ পয়সা বেড়ে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম হল ৯০.৯৯ টাকা। বৃহস্পতিবার ডিজেলের মূল্য বেড়ে হয়েছে ৮১.৪২ টাকা। বুধবারই যা ছিল ৮১.১২ টাকা। কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম ৯০.৯২ টাকা থেকে বেড়ে (২২ পয়সা) হল ৯১.১৪ টাকা। আজ সকাল ৬টা থেকে এক লিটার ডিজেলের জন্য খরচ করতে হবে ৮৪.২৬ টাকা (২৮ পয়সা)।এদিকে মুম্বইয়ে ফের আকাশছোঁয়া জ্বালানি তেলেন দাম। ২২ পয়সা বেড়ে লিটারপিছু পেট্রলের দাম গিয়ে পৌঁছল ৯৭.৩৪ টাকায়। বাণিজ্যনগরীতে লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বাড়ল ডিজেলের মূল্য। ৮৮.৪৯ টাকায় মিলবে এক লিটার ডিজেল। চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের এক লিটার পেট্রল ও ডিজেলের জন্য এখন দিতে হবে ৯২.৯০ এবং ৮৬.৩৫ টাকা।বিশ্বজুড়ে করোনার দাপটে একধাক্কায় অনেকটা কমেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। যার জেরে অপরিশোধিত তেলের দামও নিম্নমুখী। গত বছরও করোনার কোপ আর লকডাউনের জেরে পেট্রল-ডিজেলের আমদানি কমিয়ে ফেলেছিল ভারত। এবছরও নতুন করে মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানির কারণে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পূর্ণ ও আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে একাধিক শহর। ফলে চাহিদা কমছে পেট্রল-ডিজেলের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট শেষ হতেই দেশে এই নিয়ে তৃতীয় দিন পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায় ফের সমালোচনায় বিদ্ধ কেন্দ্র সরকার।

মে ০৬, ২০২১
দেশ

ভোট শেষ হতেই টানা ২ দিন ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজেলের দাম

পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ভোট শেষ। আর ভোট মিটতেই ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজেলের দাম। বুধবারও ফের দাম বাড়ল জ্বালানির। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন। যা ইতিমধ্যে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে।জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে ১৯ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে লিটারপিছু পেট্রলের দাম। রাজধানী দিল্লিতে এদিন এক লিটার পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.৭৪ টাকা। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে এক লিটার পেট্রল মিলছে ৯৭ টাকা ১২ পয়সায়। এ শহরেও দামী হয়েছে পেট্রল। কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম ৯০.৭৬ টাকা থেকে বেড়ে হল ৯০.৯২ টাকা। অর্থাৎ এখানে পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৬ পয়সা। অন্যদিকে, আরেক মহানগর চেন্নাইয়ে পেট্রল মিলছে লিটারপ্রতি ৯২.৭০ টাকায়।একইভাবে দেশজু়ড়ে দাম বেড়েছে ডিজেলেরও। লিটারপিছু ২১ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে ডিজেলের দাম। দিল্লিতে এক লিটার ডিজেলের দাম ২১ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১.১২ টাকা। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে এক লিটার ডিজেল মিলছে ৮৮ টাকা ১৯ পয়সায়। এ শহরেও দামী হয়েছে ডিজেল। কলকাতায় এক লিটার ডিজেলের দাম ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৩.৯৮ পয়সা। অন্যদিকে, চেন্নাইয়ে ডিজেল মিলছে লিটারপ্রতি ৮৬.০৯ টাকায়।বিশ্বজুড়ে করোনার দাপটে একধাক্কায় অনেকটা কমেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। যার জেরে অপরিশোধিত তেলের দামও নিম্নমুখী। গত বছরও করোনার কোপ আর লকডাউনের জেরে পেট্রল-ডিজেলের আমদানি কমিয়ে ফেলেছিল ভারত। এবছরও নতুন করে মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানির কারণে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পূর্ণ ও আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে একাধিক শহর। ফলে চাহিদা কমছে পেট্রল-ডিজেলের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট শেষ হতেই দেশে এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায় ফের সমালোচনায় বিদ্ধ কেন্দ্র সরকার।

মে ০৫, ২০২১
দেশ

এবার দাম বাড়ছে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের

আগামী মাস থেকেই দেশজুড়ে বাড়তে চলেছে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম। কেন্দ্রের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছু বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দাম খানিকটা বাড়ানোর অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তবে, তাতে খুশি নন, ওষুধ প্রস্তুতকারীরা। তাঁদের দাবি, কাঁচামালের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ওষুধের দাম অন্তত ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে। যে যে ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে সাধারণ বেদনানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিইনফেক্টিভ, হার্টের ওষুধ। দাম বাড়তে পারে প্যারাসিট্যামলেরও। চলতি বছরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচকে ০.৫ শতাংশ পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি হতে চলেছে। তবে, এই বৃদ্ধি ততটা উদ্বেগজনক নয়। মূল সমস্যা অন্য জায়গায়। ওষুধ প্রস্তুতকারকদের দাবি, প্যারাসিট্যামলের মতো ওষুধের কাঁচামালের দাম অত্যাধিক হারে বেড়েছে। যার ফলে এই পরিস্থিতিতে যে যৎসামান্য মূল্য বৃদ্ধির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাঁদের দাবি দাম বাড়াতে হবে অন্তত ২০ শতাংশ। মুশকিল হল, মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় সাধারণ মানুষ এমনিতেই নাজেহাল। ইতিমধ্যেই গ্যাস-পেট্রলের দাম বেরেছে লাগামছাড়া হারে। তার উপর যদি ওষুধের দামও এই হারে বাড়ে তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হবে। ওষুধের কাঁচামালের দাম বাড়ার পিছনেও অবশ্য পরোক্ষে মোদি সরকারের নীতীকেই দায়ী করছে বিরোধীরা। আসলে ওষুধের কাঁচামালের একটা বড় অংশ আমদানি করতে হয় চিন থেকে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের আবহে চিন হু হু করে এই কাঁচামালগুলোর দাম বাড়াচ্ছে। আবার, ভারত যে সব ওষুধ তৈরির কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করে, চিন সে সবের কাঁচামালের দাম কমিয়ে দিচ্ছে। যাতে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পারে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজ্য

শিলিগুড়ির রাস্তায় নেমে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার

রবিবার ব্রিগেড থেকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিলিগুড়ি থেকে তার উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মোদি যখন ফাঁকা ব্রিগেডে, আমি তখন রাস্তায়। কারণ রাস্তাই আমাকে রাস্তা দেখায়। রবিবার শিলিগুড়িতে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল ও সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মমতা। শেষে শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চকে একটি সভাও করেন। আর সেখান থেকেই ব্রিগেডে মোদির ভাষণের সরাসরি জবাব দেন তিনি। তাঁর বার্তা, এ বারের নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। অস্তিত্ব রক্ষা করতে না পারলে বাংলা ভাগ করবে বিজেপি।সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফর নিয়ে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে শুধু কুৎসা করতে আসেন। ব্রিগেডে বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে ওঁর উচিত রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জবাব দেওয়া। কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে? পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে? মোদিকে আগে সেই জবাব দিতে হবে। রান্না ঘরে আগুন লাগালে মা-বোনেরা ছেড়ে কথা বলবেন না। রবিবার ব্রিগেডের সভা থেকে মোদি বারবার বলেছেন, বাংলায় এ বার আসল পরিবর্তন হবে। পাল্টা মমতার হুঁশিয়ারি, বাংলায় পরিবর্তন করতে পারবেন না। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারই থাকবে। তার আগে দিল্লিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। রবিবার মমতার মিছিলে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মমতার পাশেই ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দোলা সেন-রা। ব্রিগেডে যখন মোদি ভাষণ দিতে শুরু করে দিয়েছেন, ততক্ষণে সভামঞ্চে পৌঁছে যান মমতা। তার বেশ কিছু ক্ষণ পর ভাষণ শুরু করেন। ভোটের মুখে বারবার প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় আসা নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, যখন করোনার প্রকোপ চলছিল, তখন ভয়ে ঘরে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমি তখন সারা রাজ্যে ঘুরেছি, হাসপাতালে গিয়েছি। আর এখন কোভিডের টিকায় মোদির বড় বড় মুখ দেওয়া হচ্ছে। আসলে সবই জুমলা। একদিকে রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে উজ্জ্বলা যোজনায় দুর্নীতি হচ্ছে। মোদির ভোটের আগে উজ্জ্বলা, ভোটের পরে জুমলা।ব্রিগেডের সভায় যখন পরপর বিজেপি নেতারা রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখনই মমতার পাল্টা জবাব, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত বাংলার মহিলারা। কিষান নিধি প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা টেনে তৃণমূল সরকারকে বারবার আক্রমণ করে বিজেপি। সেই সূত্রেই তৃণমূল নেত্রী বললেন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী রাজ্য সরকার দিয়েছে। দরকার হলে এ বার পাকাবাড়িও বানিয়ে দেবে। আপনার দেওয়া পাকাবাড়ির দরকার নেই।প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর উত্তরবঙ্গের প্রথম সফরে লোকসভা নির্বাচনের কথা করিয়ে দিয়ে তূণমূল নেত্রীর মন্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল, সব চা বাগান খুলে দেবে। আপনারা ভোট দিয়েছেন। কিন্তু একটাও চা বাগান খোলেনি। এখন রাস্তা তৈরি করতে এসেছে। রাস্তা তো তৈরি হয়েই গিয়েছে, নতুন করে কী রাস্তা তৈরি করবে?

মার্চ ০৭, ২০২১
দেশ

দেশের সর্বত্র দাম বাড়ল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের

দেশের সমস্ত প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করল রেল। বাড়ানো হল স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেন (প্যাসেঞ্জার ট্রেন)-এর ভাড়াও। এত দিন সাধারণ ১০ টাকার টিকিট কেটেই ওই ট্রেনে ওঠা যেত। এ বার থেকে তাতে উঠতে গেলে ৩০ টাকার টিকিট কাটতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে ট্রেনে না ওঠেন, তার জন্য এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও স্বল্পদূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনে ভিড় রুখতেই এই সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে যদিও রেলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রেল মন্ত্রকের বৈঠকে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট এবং স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের বর্ধিত মূল্য নিয়ে শুক্রবার রেলের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টেশন চত্বরে ভিড় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারদের (ডিআরএম)। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত। এর আগে, মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে একধাক্কায় ১০ থেকে ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রেল।তবে রেলের যুক্তি, ভিড় সামাল দিতে টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি নতুন কিছু নয়, বরং বছরের পর বছর এই নিয়ম চলে আসছে।

মার্চ ০৫, ২০২১
দেশ

ফের ২৫ টাকা দাম বাড়ল এলপিজির

পেট্রল-ডিজেলের পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী গ্যাসের দামও। ফের ২৫ টাকা বাড়ল বাড়িতে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম। এক মাসে চারবার দরবৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে আমজনতার।দিন পাঁচেক আগেই বেড়েছিল। রবিবার মধ্যরাতে ফের ২৫ বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এই দর। অর্থাৎ এবার গ্যাস কিনতে আমজনতাকে খরচ করতে হবে ৮৪৫.৫০ টাকা। জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশাপাশি হোটেল, রেস্তরাঁয় ব্যবহারের সিলিন্ডার অর্থাৎ বাণিজ্যিক গ্যাসের দামও বেড়েছে। ৯৭. ৫০ টাকা বেড়ে গ্যাসের নতুন দাম হয়েছে ১৬৮১.৫০ টাকা। তবে ভর্তুকি কতটাকা মিলবে তা জানা যায়নি।রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি এখন নিয়ম করে মাসের শুরুর দিকেই রান্নার গ্যাসের দাম পর্যালোচনা করে। প্রতি মাসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় সিলিন্ডারের নতুন দাম। তবে এ মাসে এই নিয়ে চারবার মূল্যবৃদ্ধি হল। এর আগে ৪, ১৫ ও ২৪ তারিখ একইভাবে বেড়েছিল গ্যাসের দাম। গত মাস পর্যন্ত ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতেন আমজনতা। যেহেতু পেট্রল ও ডিজেলের দাম গত কয়েক দিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশের একাধিক শহরে পেট্রলের দাম ছাড়িয়েছে একশোর গণ্ডি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। এর ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু করেছে বিরোধীরা।

মার্চ ০১, ২০২১
রাজনীতি

অগ্নিমূল্য জ্বালানি, প্রতিবাদে ব্যাটারি-চালিত স্কুটারে নবান্ন যাত্রা মুখ্যমন্ত্রীর

সাধারণ মানুষের দুঃখের পাশে দাঁড়াতে, এরকম কবে কোন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল! এদিন অভিনব পদ্ধতিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গাড়ির বদলে বাড়ি থেকে হেঁটে হাজরা মোড় আসেন তিনি। সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত স্কুটারে নবান্নে যান মমতা। চালকের আসনে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।লিটার পিছু পেট্রল-ডিজেল একশো টাকা ছুঁইছুঁই। সেই কারণে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কর্মীদের রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-মিছিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। নিজে একাধিক জনসভা ও কর্মসূচিতে লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্য সরকার পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে এক টাকা করে করও কমিয়েছে। কারণ, রোজ জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম ইস্যু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ, বৃহস্পতিবার অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানালেন মমতা। ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নবান্নে গেলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
কলকাতা

ফের এক ধাক্কায় আরও দামী এলপিজি

বুধবার মধ্যরাত থেকে ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। এই দফায় সিলিন্ডার পিছু ২৫ টাকা দামি হয়েছে ভর্তুকিহীন এলপিজি। এই নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে পরপর তিনবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তিনবারে মোট ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম ৮২০ টাকা ৫০ পয়সা। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো এখন নিয়ম করে মাসের শুরুর দিকেই রান্নার গ্যাসের দাম পর্যালোচনা করে। প্রতি মাসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় সিলিন্ডারের নতুন দাম। তবে এ মাসে এই নিয়ে তিনবার মূল্যবৃদ্ধি হল। এর আগে ৪ এবং ১৫ তারিখ একইভাবে বেড়েছিল গ্যাসের দাম। গত মাস পর্যন্ত ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতে হত আমজনতাকে। যেহেতু পেট্রল ও ডিজেলের দাম গত কয়েক দিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। কারণ এলপিজি তৈরি হয় অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম থেকেই। জ্বালানির দাম এভাবে লাগাতার বাড়তে থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। একে করোনার জেরে বেহাল দশা অর্থনীতির, রুটি-রুজি হারিয়ে বহু মানুষ বেকার। তার উপর রান্নার গ্যাসের দাম ৮০০ পেরিয়ে যাওয়াটা মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই।এদিকে লিটার পিছু পেট্রেল-ডিজেল একশো টাকা ছুঁইছুঁই হওয়ায় গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কর্মীদের রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-মিছিলের নির্দেশ দিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নিজের গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ব্যাটারি চালিত স্কুটি চেপে নবান্নে গিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
কলকাতা

প্রেমের দিনে কলকাতায় মহার্ঘ্য পেট্রল

বাজেট পেশের পরই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এবার আরও বাড়তে চলেছে জ্বালানির দাম। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হচ্ছে। রবিবার ভ্যালেন্টাইনস ডে- র সকালে ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। এই নিয়ে লাগাতার ছদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হল। পরপর ছদিন বৃদ্ধির ফলে ফের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম। প্রথমবার কলকাতায় পেট্রল পেরিয়েছে ৯০ টাকার গণ্ডি। ডিজেলও পেরিয়েছে ৮২ টাকা।শহর কলকাতায় এই মুহূর্তে পেট্রল রেকর্ড উচ্চতায়। এদিন নতুন করে ২৮ পয়সা দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি। এর ফলে প্রথমবার শহরে সরকারি হিসেবে দাম পেরিয়েছে ৯০ টাকার গণ্ডি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দাম ৯০ টাকা ১ পয়সা। তবে সাধারণ নাগরিকরা তেল কিনতে পারবেন ৮৯ টাকা ৯৯ পয়সায়। এদিকে ডিজেলের দামেও একইভাবে রেকর্ড করেছে শহর কলকাতা। শহরে ডিজেলে দাম এদিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৬৩ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতে এদিন পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৮টাকা ৪৪ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের বেড়ে হয়েছে ৭৮ টাকা ৪৪ পয়সা। মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম রেকর্ড ৯৫ টাকার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বাণিজ্যনগরীতে আজ সকালে পেট্রলের দাম ৯৪ টাকা ৯৩ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৫টাকা ৭০ পয়সা। চেন্নাইয়ে আজ লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা ৮৩ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮৩ টাকা ৩৬ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্বেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণ, কেন্দ্রের চাপানো অতিরিক্ত সেস এবং অন্তঃশুল্ক। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির বসানো শুল্ক তো রয়েইছে। যার জেরে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ডে পৌঁছে যাচ্ছে জ্বালানি।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
কলকাতা

ফের মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন

ফের মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। আবার বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম। একধাক্কায় ২৫ টাকা বাড়ল দাম। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিয়ে কলকাতায় কিনতে হবে রান্নার গ্যাস। ফের রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ায় বিরক্ত আমজনতা।ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন এখন নিয়ম করে মাসের শুরুর দিকেই রান্নার গ্যাসের দাম পর্যালোচনা করে। প্রতি মাসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় সিলিন্ডারের নতুন দাম। তবে এবার ৪ তারিখ থেকে লাগু হল রান্নার গ্যাসের নতুন দাম। গত মাস পর্যন্ত ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতে হত আমজনতাকে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সেদিন শেষ। কারণ, একধাক্কায় ২৫ টাকা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। তার ফলে ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে কিনতে হবে রান্নার গ্যাস। এর আগে ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় বাড়ল গ্যাসের দাম। ১৩ দিনের ব্যবধানে ডিসেম্বরে দুবার বেড়েছিল গ্যাসের দাম। তারপর ফেব্রুয়ারি ফের ভরতুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal