• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Nabanna

রাজ্য

কোভিডবিধি বহাল থাকল আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত

বাড়ানো হল পশ্চিমবঙ্গের কোভিড বিধির মেয়াদ। মেয়াদ বাড়ানো হল আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত। তবে আলগা করা হল না কোভিড বিধিনিষেধ। বর্তমানে রাজ্যে যে কোভিডবিধি কার্যকর রয়েছে, তা-ই ১৫ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। সোমবার সন্ধ্যায় নির্দেশিকা জারি করে জানাল নবান্ন।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নবান্নের জারি করা কোভিড বিধিনিষেধে নৈশ কার্ফুর মেয়াদ এক ঘণ্টা কমানো হয়েছিল। সময়সীমা রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছিল। সোমবার জারি করা নির্দেশিকাতেও ওই একই নিয়ম বহাল রাখা হয়েছে। আগের মতোই কেবল জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই নৈশ কার্ফুর আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশিই, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ববিধির নিয়ম আগের মতোই বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের নির্দেশ, বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও আগের মতোই কোভিড নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধের মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হল। সোমবার এক নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে ডিজিসিএ।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
কলকাতা

আনিস খান হত্যা মামলা এবার হাইকোর্টে

ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টেও। রহস্যমৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি জানিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি। দুপুর ২টোয় লিখিত পিটিশন জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের। এদিকে, ঘটনার তদন্তে আমতায় ছাত্রনেতার বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি ডিএনটি সুব্রত ভৌমিক। নিহতের বাবা সালাম খানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী পুলক রায়ের মাধ্যমে আনিসের বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আনিসের পরিজনেরা।সোমবার আনিসের বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাব তাঁর বাবাকে দেওয়া হয়। যদিও তিনি আগে বিচার চেয়ে বসেছেন। দুদিন কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। এই ঘটনায় হয়নি কেউই। উল্লেখ্য, সোমবার আনিসের বাড়িতে ভর্তি পুলিশ। আনিস আগে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। তিনি হুমকি পাচ্ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

বুধবার থেকে খুলছে প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিক স্কুল, শিথিল হচ্ছে নৈশ কার্ফু, উঠছে কোভিড বিধিনিষেধ

কোভিডের নাগপাশ মুক্ত হয়ে অবশেষে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। সোমবার বিবৃতি প্রকাশ করে সিদ্ধান্তের কথা জানাল রাজ্য সরকার। আগামী ১৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার থেকে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এবং বিধি নিয়ম সহ আলাদা নির্দেশিকা প্রকাশ করবে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর। কোভিড বিধি মেনেই স্কুল চলবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।প্রায় ২ বছর পর রাজ্যে খুলতে চলছে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যে বিধিনিষেধ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকছে। রাত্রীকালীন কার্ফু রাত ১১ টার পরিবর্তে ১২ টা থেকে শুরু হবে, চলবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত। স্কুল খোলা ছাড়াও সব আইসিডিএস সেন্টারও খোলা হচ্ছে আগামী বুধবার থেকে।কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ছোটদের স্কুল খোলা হতে পারে। তবে কোভিড পরিস্থিতি বুঝে ছোটদের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে একদম আগের মতো না হলেও পরিস্থিতি বুঝে রোটেশনে স্কুল খোলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী স্কুল খোলার ব্যাপারে নির্দেশিকা এসেই গেল। আসলে সাম্প্রতিক অনেক রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল যে, রাজ্যের শিক্ষার মান এবং হার দুইই পড়ে গিয়েছে লাগাতার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে। বহু পড়ুয়া অক্ষর চিনতে পারছে না, বাক্য গঠন করতে পারছে না। এমনকী পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির অঙ্ক সমাধান করতেও অনেকাংশে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল খোলার দাবি বাড়ছিল।রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অন্তঃদেশীয় বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্ত রকম নিয়ন্ত্রণ তুলে নিল রাজ্য সরকার। ফলে বেঙ্গালুরু থেকেও এবার তিন দিনের বদলে প্রতিদিন বিমান চলাচল করবে। স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা সোমবার অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব রাজীব বনসলকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে উড়ান এ রাজ্যে আসতে পারে। তবে যাত্রীদের হয় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের শংসাপত্র থাকতে হবে অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। একইরকম ভাবে বিদেশ থেকেও এ রাজ্যে বিমান চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও একই শর্ত থাকছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হলো।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে খরচ কমল আরটিপিসিআর টেস্টের

একধাক্কায় অনেকটাই কমানো হল করোনা পরীক্ষার খরচ। রাজ্যে প্রায় অর্ধেক করা হল আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ। এতদিন পর্যন্ত আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে খরচ হত ৯৫০ টাকা। এবার সেই খরচ কমিয়ে করা হল ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে খরচ কমানোর কথা জানানো হয়েছে। এ দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নির্দেশিকা।করোনার উপসর্গ সাধারণ মানুষের কাছে মোটামুটি পরিচিত হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি দেখা গিয়েছে পরীক্ষা করাতে আগ্রহী নন অনেকেই। পাশাপাশি, খরচ একটা বড় সমস্যা অনেকের কাছেই। সম্ভবত সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই খরচ কমানর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।এ দিকে, সারা দেশে করোনার ভ্যাকসিনের দামও কমানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজের দাম কমতে পারে অনেকটাই। প্রতি ডোজ়ের দাম ২৭৫ টাকা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার এই দুই ভ্যাকসিনের জন্য এই দাম কমানোর বিষয়টি ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

আরও কিছুটা শিথিল হল কোভিড বিধিনিষেধ, তবে বন্ধই থাকছে স্কুল-কলেজ

করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় রাজ্য সরকার চলতি কোভিড বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এক সময় ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে রাত নটা পর্যন্ত জিমগুলিকে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানকার সমস্ত কর্মীদের দুটি ডোজ করোনা টিকা প্রাপ্ত হতে হবে অথবা আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। রাত নটা পর্যন্ত খোলা জায়গায় আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বদ্ধ জায়গায় সর্বাধিক ২০০ জন অথবা আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ যেটি কম হবে সেই সংখ্যক দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করা যাবে বলে সোমবার নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কোভিড বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালন করে, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে সিনেমা এবং টিভি সিরিয়ালের আউটডোর শুটিং এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।শনিবারই বাড়তি কিছু ছাড় সহ রাজ্যে কোভিড জনিত বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এই পর্বে বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।খোলা আকাশের তলে মেলা করা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো জিম এবং যাত্রাশিল্প।তবে এই পর্বেও সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকছে। অর্ধেক হাজিরা নিয়েই চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

বিয়ে ও মেলায় কিছু ছাড় দিয়ে রাজ্যে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি বিধিনিষেধ

করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গত ২ জানুয়ারি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যে নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ জারি করেন।বাড়তি কিছু ছাড়-সহ রাজ্যে কোভিড জনিত বিধি-নিষেধের মেয়াদ আরো ১৫ দিন বাড়ানো হলো।আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এ বার বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। খোলা আকাশের তলায় মেলা করা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।তবে এই পর্বেও সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকছে। জিম, সুইমিং পুল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।অর্ধেক হাজিরা নিয়ে চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
কলকাতা

চার পুরভোট পিছলে আপত্তি নেই, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল নবান্ন

পুরভোট পিছিয়ে দিতে সায় রাজ্যের। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। আদালতের নির্দেশের পরই রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরই শনিবার চিঠি দেয় নবান্ন। চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য। তবে ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই। শনিবার দুপুরেই কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোট পিছনোর ঘোষণা করবে বলে সূত্রের খবর।আরও পড়ুনঃ কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরাআগামি ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দনগর পুরসভার। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পুরভোট নিয়ে আপত্তি তুলে অনেকেই আদালতে যান। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়। কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবেআরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট রেখে ইন্সটাগ্রামে ফিরলেন রাজ কুন্দ্রাশুক্রবারই হাইকোর্টের রায় নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। তারই উত্তরে শনিবার রাজ্য ভোট পিছনোর পক্ষে সায় দেয়। চিঠিতে তারা জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে রাজ্য। এখন কমিশন যদি কিছু দিনের জন্য ভোট পিছিয়ে দেয়, তাতে তাদের আপত্তি নেই। যদিও এর আগে আদালতে একাধিক বার ভোট পিছনোর বিরোধিতা করেছে নবান্ন। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পর, বিকেলের মধ্যেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট চাইছে নবান্ন।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
কলকাতা

উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নে

শহরের বড় আবাসনগুলিতেই বেশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আরবানা, স্বর্ণমণি, শালবনি, এবং নিউটাউনের একাধিক আবাসনেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই সব আবাসনে করোনা সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তের নবান্নের চিন্তার কারণ কোনও বস্তি এলাকা নয়, বড় বড় আবাসনও। কারণ সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আবাসিকরা। অরক্ষিত মুখের ভিড় সর্বত্র। কলকাতা পুরসভা ও নিউটাউনের ক্ষেত্রে হাউজিং ডিপার্টমেন্টে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সংক্রমণ ঠেকানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বলছেন, আবাসনগুলিতেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আবাসনগুলিই উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এরই মধ্যে নবান্নে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আবাসনগুলিতে সংক্রমণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিউটাউনের আবাসনগুলির ক্ষেত্রে ফোরাম ও কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি যাতে তাঁরা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে তাঁদের।কমিটিগুলিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঝুপড়ি অঞ্চল ঘিঞ্জি, উল্টোদিকে আবাসনগুলো অনেকটাই খোলামেলা। তা সত্ত্বেও কেন আবাসনগুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? অভিজাত আবাসনগুলিতে করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ, বর্ষবরণের উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়, আর লিফটের বহুল ব্যবহার।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Corona: করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্ন

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার রাজ্যের পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।কলকাতা, হাওড়া,উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূমে আশঙ্কাজনক সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।ওইসব জেলায় কোভিড বিধি কঠোরভাবে বলবৎ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য প্রশাসনিক নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে আরও বেশি করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চালু করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যসচিব মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা ও সব ধরনের কোভিডবিধি মেনে চলার ওপর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা যাবে না বলেও প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে টিকাকরেণ আরও জোর দেওয়ারও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বহু সংখ্যক মানুষের এখনো দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে তাদের টিকাকরণ শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে বলেন। হাসপাতালের বেড বাড়াতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ সেফ হোম তৈরি করতে তিনি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মানুষ যাতে বাড়িতে থেকেই উপযুক্ত চিকিৎসা পান তার জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বিপুল সংখ্যক করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অটুট রাখতে সংক্রমিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাত দিনের নিভৃতবাসের শেষে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে নিয়ম মেনে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
কলকাতা

New Covid-Protocol: নবান্নের নয়া কোভিডবিধি, শর্তসাপেক্ষে খোলা যাবে বিউটি পার্লার

কোভিড-বিধিনিষেধে ফের ছাড় ঘোষণা নবান্নের। ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে সেলুন ও বিউটি পার্লারগুলি খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। শনিবারই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অর্থাৎ রাত ১০টা অবধি বিউটি পার্লার, সেলুন খোলা রাখা যাবে।তবে এই ছাড় পেতে গেলে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত কোভিডবিধি মেনে সেলুন এবং বিউটি পার্লার খোলা রাখতে হবে। সেলুন এবং পার্লারের কর্মী এবং গ্রাহকদের দুটি টিকাই নেওয়া আছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে মালিকদের। রাজ্যজুড়ে যে কোভিড প্রোটোকল বহাল রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। সেলুন এবং বিউটি পার্লার নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে স্যানিটাইজ করতে হবে।প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সেখানে বিউটি পার্লার, সেলুন দুই-ই পূর্ণ সময়ের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেক্ষেত্রে কিছুটা নিয়মের পরিবর্তন করল রাজ্য সরকার। কিছুটা ছাড় দেওয়া হল।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

Door to door Food: করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্য

করোনায় দুঃস্থদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা রাজ্য সরকারের। দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছনোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবারই সব জেলাশাসককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। প্যাকেটে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে দুঃস্থদের কাছে।আরও পড়ুনঃ কোহলির না থাকার ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ ভারত, দ্বিতীয় টেস্টে কেন ব্যাটিং বিপর্যয়?চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। খাবার যাতে বাড়ি অবধি পৌঁছে দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও নবান্নের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনার প্রকোপ প্রবল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও।আরও পড়ুনঃ রনজি ট্রফি স্থগিত করবে বোর্ড? বাংলা শিবিরে করোনা হানায় আশঙ্কার মেঘকরোনার কারণে বহু জায়গায় কাজে কাটছাঁট হচ্ছে। বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে কাজ পেতে সমস্যা হচ্ছে দিন আনে দিন খায় এমন বহু মানুষের। যে হারে করোনা বাড়ছে তা আগামী এক মাসও যদি অব্যাহত থাকে, তা হলে এই মানুষগুলোর অন্নসংস্থান প্রশ্নের মুখে পড়বে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে, এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই রাজ্য সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। একটি মানুষকেও যাতে খাবারের অভাব বোধ করতে না হয় সে কারণে এবার প্রথম থেকেই প্রস্তুত নবান্ন।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Local Train: সন্ধ্যা ৭টা নয়, সোমবার থেকেই রাত ১০টায় ছাড়বে শেষ লোকাল ট্রেন

রাজ্য সরকার রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, ৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টার পরে লোকাল চলবে না। এ নিয়ে যাত্রী থেকে রেল, সকলেই বিভ্রান্তিতে ছিলেন। পূর্ব রেল জানিয়েছিল, সন্ধ্যা ৭টায় দিনের শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বক্তব্য ছিল, ৭টার মধ্যে সব লোকাল ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছবে। আর সেই আবহেই সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নের এক নির্দেশিকায় সমস্তটা স্পষ্ট করে দেওয়া হল। জানিয়ে দেওয়া হল, সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টা নয়, রাত ১০টাতেই ছাড়বে শেষ লোকাল।রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টার পরে লোকাল ট্রেন চলবে না। ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় লোকাল চলাচল বন্ধ মানে ঠিক কী তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সোমবার সন্ধ্যা হতে না হতেই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আর তার আঁচ পেতে না পেতেই সিদ্ধান্ত বদল করল রাজ্য সরকার। নবান্নের পক্ষে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টা নয়, রাত ১০টায় ছাড়বে শেষ লোকাল।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

Lock Down: বড় খবর! ফের আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা রাজ্যে, আপাতত বাতিল 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি

ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার সম্ভাবনা রাজ্যের। জারি হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবারও বিধিনিষেধ। বন্ধ হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলি। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। শনিবারই করোনা বাড়ায় আপাতত সব মামলা ভার্চুয়ালি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলার আদালতের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমনকী জলপাইগুড়ির যে সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে তাও আপাতত বন্ধ থাকছে।যেভাবে ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে গোটা দেশে, যে হারে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেইদিকে খেয়াল রেখে এবার কিছুটা রাশ টানার সম্ভাবনা রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবারই সামনে এসেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর।১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টুডেন্টস উইক ঘোষণা করেছে রাজ্যে সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে ৩ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তাহলে কি ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।শুধু স্টুডেন্টস উইক-এর অনুষ্ঠানই বাতিল নয়। রবিবার থেকে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার আপাতত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তা এই মুহূর্তে এই ধরনের শিবির শুধু মারাত্মক নয় প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে-# বন্ধ হতে পারে স্কুল, কলেজ।# বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল।# কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা।# নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলিতে।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
কলকাতা

Omicron: ৩ জানুয়ারি থেকে ব্রিটেন ফেরত বিমান নামবে না শহরে, কেন্দ্রকে চিঠি নবান্নর

ওমিক্রন পরিস্থিতি নজরে রেখে কলকাতায় ব্রিটেন থেকে আগত বিমান নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে নতুন নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। চিঠিতে তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের আবহে কেন্দ্র যে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে, ওই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেন।ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন দেশ থেকে আসা বিমান যাত্রীদের কলকাতায় এসে নিজেদের খরচেই কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে বিমানবন্দরে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিমান সংস্থাকেই বিমানে ওঠা ১০ শতাংশ যাত্রীর কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে। আর বাকিদের র্যা পিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এই পদ্ধতিতে রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের আবার আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করাতে হবে। বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষার কাজে যাতে খুব বেশি সময় নষ্ট না হল, তার জন্য যাত্রীদের আগে থেকেই পরীক্ষার বুকিং করাতে হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

New DG: রাজ্যের স্থায়ী ডিজি হচ্ছেন মনোজ মালব্যই

সব জট পেরিয়ে অবশেষে রাজ্যের স্থায়ী ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশের পদে আসীন হচ্ছেন মনোজ মালব্যই। ডিজি পদে অবশেষে তাঁকেই ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, এই ছাড়পত্র এসে পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে। মনোজ মালব্যকে ডিজি করা হলেও তাঁকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়নি। কার্যনিবাহী ডিজি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন মনোজ। কেন্দ্রীয় অনুমোদন পাওয়ার পর অবশেষে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য।চলতি বছরের ৩১ অগস্ট রাজ্যের তৎকালীন ডিজি সি বীরেন্দ্রের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। তাঁর পরিবর্তে কে দায়িত্ব পাবেন তা নিয়ে যথেষ্ট নজর ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। নানা মহলের জল্পনায় প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস মনোজ মালব্য। রাজ্যের পাঠানো তালিকায় মনোজ ছাড়াও ১৯৮৭ ব্যাচের অফিসার নীরজনয়ন পাণ্ডে, সুমন বালা সাহু, অধীর শর্মা, গঙ্গেশ্বর সিংয়ের অফিসারদের নামও ছিল।সি বীরেন্দ্রর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেপ্টেম্বর থেকে কাউকে দায়িত্ব নিতেই হত। সেই মতো ওই মাসেই ডিজির পদে আসীন হন মনোজ। তবে পাকাপাকিভাবে তাঁকে সেই পদে নিয়োগ করা হয়নি। তারই মধ্যে, রিয়েল সানরাইজ কেমটেক লিমিটেড ও সানপ্ল্যান্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড- এই দুটি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় মনোজকে। কিন্তু, বারবার তলব করার পরেও তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। সদ্য দায়িত্ব পেয়েই মনোজকে আদালতে হাজিরার নির্দেশে দিতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় সংশ্লিষ্ট মহলে। অবেশেষে নানা টালবাহানার পর রাজ্যের ডিজি হিসেবে পাকাপাকি ভাবে নিয়োজিত হচ্ছেন মনোজ।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
রাজ্য

Poush Utsab: শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের সূচনা, উপাচার্যের মন্তব্যে ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত

শান্তিনিকেতনে এ বছর পৌষমেলা না হওয়ার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লেখার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি। তাই এ বছর পৌষমেলা করা সম্ভব হয়নি। পৌষমেলা না হলেও ৭ পৌষ, বৃহস্পতিবার সকালে ছাতিমতলায় উপাসনার মাধ্যমে পৌষ উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য। সেখানেই এ কথা বলেছেন তিনি।পৌষমেলা না হলেও সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতেই ছাতিমতলায় বৈতালিক এবং উপাসনার মাধ্যমে পালিত হল পৌষ উৎসব। ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপকেরাও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। পৌষমেলা না হওয়ায় মন খারাপ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, পৌষমেলা না হলেও রবীন্দ্র-ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই পৌষ উৎসবে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।বৃহস্পতিবার সকালে ছাতিমতলায় পৌষ উৎসবের সূচনা করে উপাচার্য বলেছেন, আমরা পৌষমেলা করার জন্য অক্টোবর মাস থেকেই উদ্যোগী হয়েছিলাম। অনুমতি নেওয়ার জন্য প্রথমে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায়। এর পর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠায় আমরা। তার পর তাঁকে তিন বার বিষয়টি মনে করানোও হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। তাই আমরা পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপানো নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং বলেছেন, উনি মিথ্যা কথা বলছেন। মেলা করার জন্য পুরসভা তো মাঠের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। সেই মেলার খরচ তো আমরা করতাম। বিশ্বভারতীর লাগত না। উনি তো সে সময় কোনও জবাবই দেননি। পুরসভার চিঠির উত্তর দিলে বুঝতাম উনার সদিচ্ছা আছে। এখন দায়ভার চাপিয়ে নিজে বাঁচতে চাইছেন। উনি কখন কী নাটক করেন বোঝা মুশকিল।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
কলকাতা

Covid Protocal: বড়দিন ও নববর্ষে নৈশবিধিতে ছাড় দিল নবান্ন

দুর্গাপুজো- দীপাবলির মত রাতের কড়াকড়িতে ছাড় মিলবে বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ উৎসবেও। এই উপলক্ষে এক সপ্তাহ নৈশ বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন । শুধু তাই নয়, বড়দিন থেকে নতুন বছর পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ, পানশালা বাড়তি সময় খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের আবহে রাজ্যে চলতি কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়েছে নবান্ন।বুধবার পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ ছিল।রাজ্যের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ ক্রমে তা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা এদিন নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।এই পর্বেও রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত যানবাহন ও লোক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।যদিও বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাস্ক পড়াষ স্যানিটাইজার ব্যবহার করা-সহ যাবতীয় কোভিডবিধি পালন করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Omicron Guidelines: ওমিক্রন উদ্বেগ, বাংলায় বহাল নৈশ বিধিনিষেধ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

করোনা ভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের আবহে রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ওমিক্রন ভারতে এখনও শনাক্ত না হলেও করোনার বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এরপরই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার।নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে বর্তমানে যে কোভিডবিধি কার্যকর রয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা-ই বহাল থাকবে। অর্থাৎ, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মানুষের চলাফেরা এবং যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। ছাড় থাকবে শুধু মাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে সব সময় মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া অফিস এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয়, তার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। বস্তুত, ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অতি সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে বলা হয়েছিল। এর পরই এই সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।

নভেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Corona Update: কলকাতায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, নবান্নে জরুরি বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা

পুজোর পর সংক্রমণ বাড়বে, এমন আশঙ্কা চিকিৎসকেরা আগেই করেছিলেন। তবে লক্ষ্মী পুজো কাটতে না কাটতেই যে এ ভাবে তরতর করে বাড়তে থাকবে দৈনিক সংক্রমণ, তেমনটা প্রত্যাশা ছিল না প্রশাসনের। শহরে করোনার রেখচিত্র দেখে চোখ কপালে উঠছে প্রশাসনিক কর্তাদের। কলকাতায় কার্যত লাফ দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গতকাল শহরে দৈনিক সংক্রমণ ৩০০ ছাড়িয়েছিল। আর আজ সেই সংখ্যাটা ছাড়াল ৪০০। আরও পড়ুনঃ ভয় ধরিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ৬৬৬ জনেরশনিবার কলকাতা পুরসভার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ১৯৪ জনের টিকার দুটি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিকে, করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। নবান্নে শনিবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলা প্রশাসনকে করোনা রুখতে সর্বোচ্চ স্তরে প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।প্রশাসনিক সূত্রে খবর বেশ কয়েকটি জেলায় করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আটকাতে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রয়োজনে ফের ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। নৈশ বিধি-নিষেধ যাতে রাজ্যের সর্বত্র কঠোরভাবে পালিত হয় তা দেখতে মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সার্বিক টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা পরিষেবার মান নতুন করে মূল্যায়ন করারও তিনি নির্দেশ দেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Corona Restriction: পুজোর দিনে বিশেষ ছা‌ড় থাকলেও চলবে না লোকাল ট্রেন, অক্টোবর মাসেও চলবে করোনা বিধিনিষেধ

করোনাজনিত বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একদফা বাড়ালো রাজ্য সরকার। তবে আসন্ন পুজোর দিনগুলোতে শিথিল করা হলো নৈশকালীন কড়াকড়ি। তবে এই পর্বেও লোকাল ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেয়নি নবান্ন।করোনা রুখতে রাজ্য সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধের চলতি মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে ১০ ই অক্টোবর পঞ্চমী থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো নিয়ে কোনও কড়াকড়ি থাকবে না। অর্থাৎ আগের মত রাত জেগে ঠাকুর দেখতে পারবেন মানুষ। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে যথারীতি নৈশ বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ জরুরি কোনও কারণ ছাড়া ওই সময় বাইরে বেরোনো নিষেধ থাকছে।বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে এখন যে সব করোনা বিধিনিষেধ রাজ্যে চালু রয়েছে তেমনটাই চলবে গোটা অক্টোবর মাসেও। অনেকে আশা করেছিলেন অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবারের বিজ্ঞপ্তির পরে এটা স্পষ্ট যে, এখনই লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচলের ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। একইভাবে মেট্রো রেলের চলাচলও নিয়ন্ত্রিতই থাকছে অক্টোবর মাসে। একই সঙ্গে এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ নিয়ে প্রশাসন যে কড়া মনোভাব দেখাবে তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে করোনা বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal