• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Lightning

রাজ্য

মালদায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি, বজ্রপাতে জেলা জুড়ে মৃত্যু ১১

আচমকা ঝড় বৃষ্টিতে মালদায় বজ্রপাতে মৃত্যু হল ১১ জনের। জখম হয়েছে দুজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদার পৃথক কয়েকটি থানা এলাকায় বাজ পড়ে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে দুইজন স্কুল ছাত্র রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। মৃত ১১ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। অপর দুইজনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। বাকিদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর এবং ইংরেজ বাজার থানায় এলাকায়। মৃতদেহগুলো মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য আনা হচ্ছে। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম চন্দন সাহানি(৪০), রাজ মৃধা(১৬), মনোজিৎ মন্ডল(২১), অসিত সাহা (১৯) এবং সুমিত্রা মন্ডল (৪৬), পঙ্কজ মণ্ডল(২৩), নয়ন রায়(২৩) প্রিয়ঙ্কা সিংহ রায়(২০) রানা শেখ(৮), অতুল মণ্ডল(৬৫) এবং সাবরুল শেখ(১১)। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। ওপর দুজনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। এছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়ন রায় প্রিয়ঙ্কা রায় এই দুই এক দম্পতি জমিতে পাটের চাষ করার সময় বাজ পড়ে মারা গিয়েছে। ৮ এবং ১১ বছর বয়সী দুইজন নাবালক রয়েছে। তাদের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলায এলাকায়। অপর মৃতদের বাড়ি ইংরেজবাজার এবং মানিকচক থানা এলাকায়। পাশাপাশি বাজ পড়ে আহত হয়েছেন ফাতেমা বিবি (৩৫) এবং দুলু মন্ডল (৪৫)। এদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অসিত সাহা এবং রাজ মৃধা দুজনেই দশম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার মৃত মনোজিৎ মন্ডলের দাদা সঞ্জীব মন্ডল জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে তাঁর ভাইসহ তিনজন ভাটরা এলাকার ধানের জমিতে কাজ করছিল। বৃষ্টির জন্য একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেয় ওরা। সেই সময় ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আচমকা বাজ পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার ভাই সহ তিনজনের। অন্যদিকে গাজোলের আদিনা এলাকায় আম বাগান দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একাদশ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া অসিত সাহার। অন্যদিকে একইভাবে জমিতে ধান কাটার সময় আচমকায় ঝড় বৃষ্টিতে এই বাজ পড়ে মৃত্যু হয়, রতুয়া থানার বালুপুর এলাকার গৃহবধূ সুমিত্রা মন্ডলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে আনার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

মে ১৬, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানে ধানের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু দম্পতির

বজ্রপাতে মৃত্যু হল ক্ষেতমজুর দম্পতির। মৃতদের নাম বিষ্টুপদ বাগদি (৪৩) ও মমতা বাগদি (৪০)। পূর্ব বর্ধমানের গলসির ভেঁপুর গ্রামের পুর্ব পাড়ার বাসিন্দা। শনিবার সকালে তারা মাঠে ধান জমিতে আগাছা পরিস্কারের কাজে গিয়েছিলেন। কাজের শেষে দুজনই বাড়ির গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটা একটা নাগাদ আচমকা বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হলে দুজনই জমিতে ছিটকে পরে যান। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে মাঠের এগোরো হাজারের বিদ্যুৎের খুঁটির তার ছিঁড়ে জমিতে পরে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয়রা। একটু দূর থেকে দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। তারা পুলিশে খবর দিলে দুরঘটনাস্থলে যায় গলসি থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। পুলিশ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান বজ্রপাতের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ওই বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের পূর্ব বর্ধমান সাউথ ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার সুমন পাল জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের আগের পোলের পিন ইনসুলেটারে বাজ পরে তার কেটে যায়। তাছাড়া ওই জায়গার বিদ্যুৎের পোলে লাইটিং হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মারা গেছে না বাজ পড়ে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত না হলে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

Lightning: বজ্রপাতে বালকসহ ৭টি ছাগলের মৃত্যু

ছাগল চরাতে বেরিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক বালকের। মারা গিয়েছে তাঁর সাতটি ছাগলও।সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার বোহার ২ পঞ্চায়েতের মাকরা গ্রামে। মৃত বালকের নাম অমিত মুর্মু (১৫)। মাকরা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ বালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পরিবার পরিজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের ছেলে অমিত মুর্মু।তাঁদের বাড়ির লোকজনের পোষা ৮-১০ টি ছাগল নিয়ে এদিন দুপুরে অমিত গ্রামের মাঠে চরাতে যায়। ওই সময়ে হঠাৎই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তখন অমিত তাঁর ছাগলগুলি নিয়ে মাঠের কাছে থাকা একটি মন্দির তলায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি। প্রবল বজ্রপাতে বালক অমিত ও তাঁর সাতটি ছাগল সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অমিত মুর্মুকে উদ্ধার করে পাহাড়হাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে জানা গিয়েছে, বজ্রপাতের জেরে অমিতদের সাতটি ছাগলও মারা গিয়েছে ।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Lightning: বৃষ্টিতে গাছতলায় আশ্রয়েই বিপদ, বজ্রপাতে গলসিতে মৃত দুই

বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিরাম পড়ছে না পূর্ব বর্ধমানে। রবিবার ফের দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হল জেলার গলসি ২ ব্লকের খানো এলাকার দুই বাসিন্দার। মৃতরা হলেন শর্মিলা টুডু (২১) ও লক্ষীরাম টুডু (১৫)। মৃতরা খানো মাঝিপাড়ার বাসিন্দা। ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। একই দিনে দুই বাসিন্দার এমন অকাল মৃত্যতে খানো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু জনেই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। এদিন দুপুরে বাড়িতে পোষা ছাগল গুলি নিয়ে গ্রামের রেল লাইনের কাছাকাছি মাঠে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষীরাম। অপর বাসিন্দা শর্মিলা টুডু একই জায়গায় জ্বালানি কুড়োতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা একটি গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি। প্রবল বজ্রপাতে জখম হয়ে লক্ষীরাম ও শর্মিলা ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। এলাকার মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়েযান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Heavy Rain: রাতভর তুমুল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, জারি দুর্যোগের সতর্কবার্তা

রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।সঙ্গে জলযন্ত্রণার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে৷ তুমুল বৃষ্টির জেরে জল জমেছে শহর ও শহরতলীতে৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। মায়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এর অবস্থান। ফলে বাড়ছে বৃষ্টির দাপট৷ গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে৷ ফলে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় শহরের বেশ কিছু অংশে জল জমে গিয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই বেশি, জানা গিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। এদিকে, আগামী দুঘণ্টার মধ্যে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামছে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সকাল সাড়ে ৭টার বুলেটিন অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মুষুলধারে বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হবে কলকাতায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৭ মিমি।আরও পড়ুনঃ কাটোয়া হাসপাতালে বৃদ্ধ রোগীর বেনজির তান্ডব, ভেঙে চুরমার লক্ষ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সামগ্রীনদীর জলস্তর বাড়বে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। নীচু এলাকাগুলিতে জল জমার সম্ভাবনাও রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ঠনঠনিয়া, বেলগাছিয়া, বেহালা ফ্লাইং ক্লাব, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা জলমগ্ন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কলকাতার ৭টি জায়গায় ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে গঙ্গার জলস্তরও। নিম্নচাপের পিছনেই আরও একটি নিম্নচাপের আশঙ্কা। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ মেনে উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরঅফ টিম। চলছে জলমগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ-ও পৌঁছে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই ফেরত আসার জন্য বলা হয়েছে। বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
দেশ

Lightning Killed: তিন রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ৬৮, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশে বজ্রপাতে একদিনেই মৃত্যু ৬৮ জনের!! মোট তিনটি রাজ্যে বাজ পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এই মানুষগুলোর। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বজ্রপাতের মধ্যে সবথেকে বেশি বজ্রপাত হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই। রবিবার বিকেল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু অতিরিক্ত বাজ পড়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। কেবল উত্তরপ্রদেশেই বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১-এ। মধ্য প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, রাজস্থানে ২০ জনের। আহতের সংখ্য়াও প্রায় একশোর কাছাকাছি।জানা গিয়েছে, জয়পুরে একটি ওয়াচটাওয়ারে নিজস্বী তুলতে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিএই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে টুইট করে লিখেছেন, রাজস্থানের কিছু এলাকায় বজ্রাঘাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। শোকপ্রকাশের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও শোকপ্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়।PM @narendramodi has announced an ex-gratia of Rs. 2 lakh each from PMNRF to the next of kin of those who lost their lives due to lightning in parts of Rajasthan. Rs. 50,000 would be provided to the injured. PMO India (@PMOIndia) July 12, 2021রাজস্থানে মৃতদের মধ্যে ১১ জন জয়পুর, চার জন কোটা, তিন জন ঢোলপুর, এক জন ঝালওয়ার ও এক জন বারানের বাসিন্দা। জয়পুরের আমের এলাকায় একটি ওয়াচটাওয়ারে ৪০ মিনিটের মধ্যে পর পর দুবার বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরের সওয়াই মান সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

বজ্রপাতে মৃত নাবালিকার পরিবারের পাশে জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে বজ্রপাতে মৃত নাবালিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ালো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব ।গত রবিবার বজ্রপাতে মারা যায় জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েতের মাঠশিয়ালি গ্রামের নাবালিকা মন্দিরা পাখিরা। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকাতুর হয়ে পড়েছেন মন্দিরার বাবা ও মা । জেলা প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার সরকারি সাহায্য ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয় নাবালিকার বাবা মায়ের হাতে । পরিবারটির পাশে আলাদাভাবে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের নেতারাও।এদিন বিকেলে নাবালিকার বাড়িতে যান জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, যুব তৃণমূলের সভাপতি ভূতনাথ মালিক-সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। তাঁরা দুঃস্থ নাবালিকার বাবা-মায়ের হাতে আর্থিক সাহায্য ও খাদ্যসামগ্রী তুলেদেন।একই সাথে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্যে কি কি করণীয় সেই বিষয়েও তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন ওই এলাকার জনগনকে সচেতনতার পাঠ দেন । ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, কয়েকদিনে বজ্রপাতে গোটা রাজ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।বজ্রপাতে এক নাবালিকা-সহ জামালপুরের পাঁচ জন বাসিন্দারও মৃত্যু হয়। এইভাবে এক নাবিলাকার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁদের পরিবারটিও দুঃস্থ। তাই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে এদিন তাঁরাও মৃত নাবালিকার পারিবারের পাশে দাড়ালেন । বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, আগামী দিনেও তিনি পরিবারটির পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন। পাশে দাঁড়ানোর জন্যে মৃতার বাবা সাহেব পাখিরা ও মা মানবি পাখিরা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

জুন ১০, ২০২১
রাজ্য

Lightning: বজ্রপাত বৃদ্ধি, বর্ধমানের জামালপুরে কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত বিশেষজ্ঞরা

রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাশাপি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা।সোমবার একদিনে রাজ্যে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন।এই ঘটনার ঠিক ৩ দিন আগে অর্থাৎ গত শনিবার বজ্রপাতে পূর্ব বর্ধমানের জমালপুর ব্লকের ৪ জন বাসিন্দা মারা যান বজ্রপাতে। জখম হন একজন। এর পরেরদিন ফের বজ্রপাতে জামালপুরের এক নাবালিকা ও কালনা মহকুমার এক বাসিন্দা বজ্রপাতে মারা যান।প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত বজ্রপাতে জামালপুরে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে জামালপুরে বজ্রপাত বৃদ্ধির কি কারণ তা এখন খুঁজে পেতে চাইছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলা শাসকের নির্দেশে বজ্রপাত সংক্রান্ত বিষয়ে জামালপুরের জনসাধারণকে সচেতন করার প্রচার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ জলবায়ু ও আবহাওয়াজনিত নেতিবাচক পরিবর্তন। এছাড়াও দূষণের জেরে ভাসমান ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ার প্রভাবেও বজ্রপাতের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। মূলত, দূষণের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিই নির্দিষ্ট জায়গায় ক্রমবর্ধমান বাজপড়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেই মত গবেষকদের। একই সঙ্গে তাঁরা মনে করছেন, উষ্ণায়ন ও যথেচ্ছভাবে সবুজ ধ্বংসও বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ । বিশেষজ্ঞদে মতে, দিবাভাগে সৌরতাপ বৃদ্ধির কারণে সীমানা স্তর অত্যধিক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । তার ফলে বায়ুমণ্ডলে তৈরি হওয়া অস্থিরতা থেকেই বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। গবেষকরা আরও বলছেন, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাতের সম্ভাবনা ৫০ ভাগ বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ, বড় বড় গাছ কেটে ফেলা। বড়বড় গাছপালা বজ্রনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। আর বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার পরেও খোলা স্থানে মানুষের কাজ করা এবং বজ্রপাতের বিষয়ে অসচেতনতাও বজ্রপাতে প্রাণহানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, বজ্রপাত নিয়ে জামালপুরে সচেতনতার প্রচার শুরু করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানকার বজ্রপাত সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য-সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত চাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১৬টি জায়গায় লাইটনিং ডিটেক্টরের মাধ্যমে আগাম বাজ পড়ার সঙ্কেত পাওয়া যায়। জেলাপ্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য-সম্বলিত রিপোর্ট মেলার পর জামালপুরে ওই প্রযুক্তি লাগানো যায় কি না তা দেখা হবে। জামালপুর ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক ফাল্গুণী মুখোপাধ্যায় বলেন, বজ্রপাত হওয়া এলাকাগুলির তথ্য সংগ্রহ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

জুন ০৯, ২০২১
রাজ্য

বজ্রপাত: তিন জেলায় মৃত কমপক্ষে ২৭

প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে রাজ্যের তিন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল অন্তত ২৭ জনের। হুগলিতে ৯ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জন এবং মুর্শিদাবাদে ন জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।My thoughts are with all those who lost their near and dear ones due to lightning in parts of West Bengal. May the injured recover at the earliest. Narendra Modi (@narendramodi) June 7, 2021প্রাক বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে (Rain) ফের ভিজল দক্ষিণবঙ্গ। বিকেল চারটে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতও হয়। হুগলির পোলবার এক বাসিন্দা প্রাণ হারান প্রথমে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় মোট ৯। মুর্শিদাবাদের ৯ জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দুজনেরও মৃত্যু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও এমন আবহাওয়া জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ যে ভাসতে চলেছে সে আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। দুপুর গড়াতে না গড়াতে সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বিকেলেই যেন নেমে আসে সন্ধে। বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ সর্বত্র প্রায় একই পরিস্থিতি। জমিতে কাজ করার সময় হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার মির্জাপুরের নওদা এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে প্রাণ হারান আরও চারজন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাক বর্ষার বৃষ্টিই চলছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে, মৌসম ভবন সূত্রে প্রাপ্ত রেখাচিত্র অনুযায়ী, রবিবারই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সম্পূর্ণভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে।

জুন ০৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal