এক ঝটকায় উড়ে গেল থানার অর্ধেক অংশ! নওগাম বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
নওগাম থানার ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। শুক্রবার গভীর রাতে থানার একটি বড় অংশ উড়ে যায়, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপ, আর তার মাঝেই প্রাণ হারান ৯ জন। প্রায় ৩০ জনের বেশি আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে ছটফট করছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। শুরু হয় সন্দেহএ কি আরেক নতুন নাশকতা? কারণ দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গেই মিল পাওয়া গিয়েছিল নওগামের বিস্ফোরকটির।কিন্তু শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যুগ্ম কমিশনার প্রশান্ত লোখান্ডে জানিয়ে দেন, এটা কোনও নাশকতা নয়, পুরোপুরি দুর্ঘটনা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। সেই সময়ই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। কীভাবে, কেনএই প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত শেষ হলেই সব তথ্য জানানো হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে। বিশেষ বিষয়, সাংবাদিক বৈঠকে জঙ্গি হামলা বা নাশকতার কোনও উল্লেখই করা হয়নি।জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল নলীন প্রভাতও একই দাবি করেন। তিনি জানান, ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করার পর সেটি নওগাম থানায় রাখা হয়েছিল। নিয়ম মাফিক খোলা জায়গায় বিস্ফোরক সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে আচমকাই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে এক স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিক, তিনজন এফএসএল কর্মী, দুই ফটোগ্রাফার, দুই রেভেনিউ কর্মী এবং এক টেইলর প্রাণ হারান। আহত হন ২৭ জন পুলিশ আধিকারিক ও ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা।ডিজিপির কথায়, সমস্ত সতর্কতা নিয়েও কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, সেটাই এখন তদন্তের মূল প্রশ্ন। তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছিল। তার মধ্যেই রাত ১১টা ২০ মিনিটে হঠাৎ বিস্ফোরণ। এর পিছনে অন্য কোনও সন্দেহের কারণ নেই।এদিকে জঙ্গি সংগঠন প্যাফ এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করলেও সরকারিভাবে সেই দাবির কোনও ভিত্তি পাওয়া যায়নি। ফলে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও প্রশ্ন বাড়ছেনাশকতার ছায়া থাকলে কেন তা অস্বীকার করা হলো, আর যদি দুর্ঘটনা হয়, তবে এত বড় বিস্ফোরক পরিচালনায় কী সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল?তদন্তের শেষ রিপোর্টই জানাবে সঠিক সত্য। বর্তমানে নিহতদের পরিবার শোকাহত, আহতদের চিকিৎসা চলছে, আর প্রশাসনও সর্বোচ্চ সতর্কতায় পরিস্থিতি নজরে রাখছে।

