• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

East Burdwan

রাজ্য

Bomb Explosion: ভাতারের বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রহস্য কি?

বোমা বিস্ফোরণে আস্ত একটি মাটির বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা পুলিশের কর্তাদের। শুক্রবার ভোররাতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বাণেশ্বরপুরের এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাড়ির সদস্য লালচাঁদের নামে এর আগেও থানায় নানা অভিযোগ আছে। কয়েকদিন আগে সে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। কেন বাড়িতে বোমা রাখা ছিল, কোথা থেকেই বা তা সংগ্রহ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ঘটনার খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ জামরুল মল্লিকের বাড়িতে তদন্তে যায়। সমস্তকিছু খতিয়ে দেখার পর পুলিশ কর্তারা একপ্রকার নিশ্চিৎ হন মাটির বাড়ির ভিতরেই মজুত রাখা ছিল বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতেই গোটা মাটির বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। আরও পড়ুনঃ স্প্যানিশ তারকা এডু গার্সিয়াকে ছেড়ে দিচ্ছে এটিকেমোহনবাগানতদন্তের প্রয়োজনে ওই বাড়িটি ও তার চারপাশ পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বাড়ির ভিতরে আর বোমা রয়েছে কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ভাতার থানার পুলিশ জামরুল ও তাঁর ছেলে লালচাঁদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার জন্য অনেকদিন আগেই পুলিশের খাতায় স্থান পায় লালচাঁদের নাম। বেআইনি ভাবে আগ্নেআস্ত্র রাখার অভিযোগে বছর দেড়েক আগে লালচাঁদ পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে।যদিও পড়ে সে ছাড়া পায়। এছাড়াও কয়েকবছর আগে ভাতার কলেজে অশান্তির ঘটনাতেও লালচাঁদের নাম জড়ায়। তারপর সে কেরলে গিয়ে বাবা জামরুল মল্লিকের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। দিন কুড়ি আগে বাবা ও ছেলে কেরল থেকে ভাতারের বাণেশ্বরপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরে । তার পর এদিনই তাঁদের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ।আরও পড়ুনঃ জেলাশাসক থেকে সফল ব্যবসায়ী, মেধাবী অশ্বিনী এখন দেশের বড় দায়িত্বেতদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, লালচাঁদ বাড়ি ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের কুলনগর গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে লালচাঁদ ও তাঁর বন্ধুদের বচসা হয়েছিল। কি নিয়ে বচসা হয়েছিল তা এখনও পরিস্কার জানা যায়নি। তবে ওই বোমা মজুতের সঙ্গে ওই গোলযোগের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে পুলিশ খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে ভাতার থানার পুলিশ বোম স্কোয়াডে ও ফরেনসিক বিভাগেরও সাহায্যা নিচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার তদন্ত শুর হয়েছে । ওই বাড়ির দুইজনকে আটক করে ঘটনা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলানো হচ্ছে। আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহারএদিকে খবর পেয়ে এদিন দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে বোম্ব স্কোয়াড। আর কোথাও বোমা মজুত আছে কিনা তল্লাশি করে পুলিশ । শেষে ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বোম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ না পাওয়ায় পঞ্চায়েত ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ বর্ধমানে

পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েতে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এদিন পঞ্চায়েত প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষকে ঘিরে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে এদিন শিকেয় ওঠে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ পঞ্চায়েত অফিসে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ছবি দাস, বন্দনা বাগদি অভিযোগে জানান, ১০০ দিনের কাজ পঞ্চায়েত এলাকার সবাই পাচ্ছেন না।এছাড়াও সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে চরম অনিয়ম হচ্ছে। এলাকার বহু পরিবারের শৌচাগার নেই। এই সব কিছু পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ওড়গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল শেখ বলেন, রাজ্য সরকার গ্রামীন এলাকার উন্নয়নের কথা বললেও সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের কোন উদ্যোগই নেই। গ্রামবাসীদের সমস্যা ও দাবিদাওয়ার বিষয় নিয়ে বিক্ষোভকারীদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান । পরে দাবা দাওয়া মেটানোর আশ্বাস দেন। পঞ্চায়েত প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ যদিও দাবি করেন, এদিনের ঘটনা সব চক্রান্ত। এলাকার কয়েকজনকে উস্কে এদিন ঝামেলা করানো হয়েছে। ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিক্ষোভ হয়নি। আলোচনার জন্য বসেছিল। বিধানসভা থেকে ফিরে তিনি আলোচনা করে সব সমাধানের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

Student Stabbed: জখম কলেজ ছাত্রী, রক্তমাখা ধারালো কাঁচিসহ গ্রেপ্তার যুবক

পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে জখম করার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম সত্যম দে ওরফে চিনা।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুরের বটতলা এলাকায়। মেমারি থানার পুলিশ বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের দেখানো জায়গা থেকেই পুলিশ এদিন রক্তমাখা কাঁচিটি উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া কাঁচিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।আরও পড়ুনঃ মার্টিনেজ যেন ১৯৯০ র গাইকোচিয়া। কোপা ফাইনালে মেসি-নেইমারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে, আক্রান্ত মেমারি কলেজের তৃতীয় বর্ষে ছাত্রী সান্তনা হাঁসদার বাড়ি মেমারি থানার জুঝাপুর গ্রামে। মেমারির দেবীপুরে প্রাইভেট টিউশন সেন্টারে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়া শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ স্কুটি চেপে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরছিল। পথে আচমকা এক যুবক তাঁর পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দেয়। ছাত্রীর পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এখন ছাত্রীটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তএই হামলার কথা জানিয়ে রাতে ছাত্রীর মা মেনকা হাঁসদা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ হামলাকারীর খোঁজ চালানো শুরু করে। এদিন ভোরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেতে সক্ষম হয়। ধৃতকে এদিনই পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

MGNREGA Work: শাসক দলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' জামালপুরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ

অতিমারিতে গ্রামগঞ্জের গরিব মানুষের আর্থিক হাল ফেরাতে তাঁদের বেশী করে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদন্দের জেরে তা পণ্ড হতে বসেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। ১০০ দিনের কাজ পরিচালনা নিয়ে বুধবার এই পঞ্চায়েত এলাকার জোড়বাঁধে চরমে উঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত। দুপক্ষ সন্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন বাধ্য হয় জোড়বাঁধে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিতে। বিরোধীদের পাশাপাশি জব কার্ড শ্রমিকরাও এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তসংঘাতের কারণ প্রসঙ্গে জামালপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাল বলেন, জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উদয় দাস নিজের মন মতো কিছু জবকার্ড শ্রমিককে দিয়ে ১০০ দিনের কাজ করাচ্ছে। অথচ জোড়বাঁধ সংসদ এলাকায় প্রায় দুশো জন জবকার্ড শ্রমিক রয়েছে। প্রদীপবাবুর আরও অভিযোগ, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে কিছু না জানিয়েই উপপ্রধান বিভিন্ন কাজ করছে। এদিনও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই জোড়বাঁধ এলাকায় ১০০ দিনের কাজ শুরু কর হয়। সেই খবর পেয়ে এলাকার অন্য জবকার্ড শ্রমিকরা বাঁধে গিয়ে আপত্তি তোলে। তা নিয়ে সংঘাত চরমে ওঠে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারির উপক্রম হয়। এই খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কাজ না পাওয়া জবকার্ড শ্রমিকদের আপত্তিতে পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা শর্মিলা দাস জানান, তাঁকে না জানিয়েই উপপ্রধান তাঁর সংসদ এলাকায় কিছু জবকার্ড শ্রমিক নিয়ে কাজ করাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ। এমনটা চলতে দেবেন না বলে পঞ্চায়েত সদস্য শর্মিলা দাস এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন। আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরযদিও এদিন জোড়বাঁধ এলাকায় থাকা ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার উজ্জ্বল চক্রবর্তী দাবি করেন, নিয়ম মেনে মাষ্টাররোল তৈরী করে এদিন জোড়বাঁধ এলাকায় একশোজন জবকার্ড শ্রমিককে নিয়ে কাজ শুরু হয়। এলাকার কয়েকজন জোড়বাঁধে এসে নানা অজুহাত তুলে কাজ বন্ধ করে দেয়। আপত্তিকারীদের তৃণমূলের লোক বলে মানতে চাননি উজ্জ্বল বাবু। তিনি দাবি করেন,আপত্তিকারীরা সকলে বিজেপির সমর্থক। আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছুটির ঠিকানা সিঙ্গিসাপারভাইজার উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, গোটা বিষয়টি তিনি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উদয় দাস এদিনের ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে তিনি সাফাই দিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই পঞ্চায়েত কাজ করছে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ জোড়বাঁধের জবকার্ড শ্রমিকরা বলেন, নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বে যেন তাঁদের কাজ বন্ধ না হয় । তাঁরা যাতে বেশি করে ১০০ দিনের কাজ পান তার ব্যবস্থাই করুক প্রশাসন।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেবিজেপির জামালপুর বিধাসভার আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন, এদিন জোড়বাঁধে যা কিছু ঘটেছে তার সবটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী এখন অপর গোষ্ঠীকে বিজেপি বানিয়ে দিচ্ছে। এর থেকে বড় লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। জোড়বাঁধ এলাকার মানুষ তৃণমূলের এইসব নাটক সন্মন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন বলে জীতেন বাবু মন্তব্য করেন।জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত যাতে ১০০ দিনের শুরু হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

Cheating Style: কীভাবে ফাঁদে ফেলত চাকরির প্রতারণা চক্র? কারাই বা পান্ডা?

চিটফাণ্ড কাণ্ডে এরাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এবার চাকরি, তার সঙ্গে প্রশিক্ষণের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র। করোনা আবহেও তারা অতি-সক্রিয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এই প্রতারণা চক্রের জাল বহুদূর বিস্তৃত রয়েছে, যার সঙ্গে যোগসাজস থাকতে পারে প্রভাবশালীদেরও। কীভাবে এই চক্র জাল বিছিয়ে ছিল? কারাই বা এই কাণ্ডের মাথা?আরও পড়ুনঃ কীভাবে ফাঁদে ফেলত চাকরির প্রতারণা চক্র? কারাই বা পান্ডা?পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল মিহির কুমার দাস, আলি হোসেন, হাসিবুল রহমান, আবুল বাসদ, রিয়াজুল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ, শ্যামসুল আলম ও মলয় কর্মকার। এই ধৃতদের মধ্যে প্রথম ছয় জন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে শ্যামসুল বীরভূম জেলার নলহাটি থানার গোপালচক ও মলয় কর্মকার হুগলির সিঙ্গুর থানার জগৎনগর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি মোবাইল ফোন, ৩ টি পেনড্রাইভ, ৭টি স্ট্যাম্প, অশোকস্তম্ভ দেওয়া বেশ কিছু নথিপত্র ও ফর্ম, কয়েকটি রেজিস্টার খাতা, ১লক্ষ ১০ হাজার ৫০০ টাকা, সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপনের কপি এবং একটি দামি চারচাকা গাড়ি। এ ছাড়াও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পাঠানো চিঠি, পথ-সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যপালের শংসাপত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেপ্রতারণার একাধিক ধাারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ৮ ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। প্রতারণা চক্রে জড়িত বাকি পাণ্ডাদের হদিশ পেতে ও তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের মধ্যে মিহির দাস, আবুল বাসার ও মলয় কর্মকারকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম ৩ ধৃতের ৫ দিনের পুলিশি হেপাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরপথ সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় তিন হাজার বেকার যুবক -যুবতীয় কাছে একটি সংস্থার নাম করে প্রতারকরা কয়েক কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার জেলার মেমারির পালসিটের একটি ধাবাতে প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মপ্রার্থীদের শপথ পত্রে সই করাতে আসে প্রতারক দলটি। মেমারির কানাইডাঙা নিবাসী সেখ মইনুল হাসান নামে এক প্রতারিত যুবক প্রতারকদের বিষয়ে ওইদিনই মেমারি থানায় অভিযোগ জানান। পালশিটের এক ধাবায় হাজির হয়েছিলেন ৩৩ জন কর্মপ্রার্থী। তাঁরা মূলত পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে মেমারির কানাইডাঙার মইনুল হাসান সহ ২০ জন পুলিশকে প্রতারণার কথা জানান। মইনুল হাসানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেযুবক মইনুল হাসান পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শক্তিগড়ের সামন্তী গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় মাঝির মাধ্যমে তাঁর মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের মিহির কুমার দাসের পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গেই তারকেশ্বরের মহেশপুরের বিনয় কুমার মালিকের কাছে গিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারের চাকরির আশায় ৫৫ হাজার টাকা দেন। তাঁদের গ্রামের শেখ গোলাম মহম্মদ ছাড়াও আরও কোন কোন কর্মপ্রার্থী কত টাকা চাকরির জন্য দিয়েছে তাও তিনি পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ওই যুবক জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে এই চক্রটি চলছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-সহ রাজ্যের অন্য লেনে পথ নিরাপত্তার কাজে তাঁদের নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের তরফে এই চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে কর্মপ্রার্থীদের কাছে আবেদন নেওয়া হয়। তারপর ৬০ হাজার থেকে সাড়ে চারলক্ষ টাকা ধাপে ধাপে কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। এরপর কলকাতার কসবার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এরপর তাঁদের বারাসাতে তিনদিনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। যদিও ধৃতরা দাবি করেছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে নয়, প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে ২৫ হাজার টাকা করে তাঁরা নিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় দিলীপ-মদনের রঙিন রসিকতাজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁদের হেড অফিস কলকাতার নিমতা থানার বিরাটিতে। জনৈক দেবকুমার চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেন ওই সংস্থার প্রধান। গোটা চক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজ্য

Accident: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রাজ্যের মন্ত্রী

বরাত জোরে বেঁচে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বিধায়ক বড়সড় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সোমবার বিকেলে নিজের বিধানসভা এলাকা থেকে মেমারি-কাটোয়া রোড ধরে কাটোয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মেমারি থানার কামালপুর ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন। আহত মন্ত্রীকে রাতে পৌছে দেওয়া হয় কাটোয়ার কবজগ্রামের বাড়িতে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেজানা গিয়েছে, সাতগেছিয়ার আগেই বড়সড় বিপত্তি ঘটে। ওই সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি ডানদিকে ঘুরে যাওয়া মেমারি মুখী একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মন্ত্রীর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় সামান্য জখম হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। মন্ত্রীর গাড়ির চালক এবং বোলেরো গাড়ির চালকও আহত হন । বোলেরো গাড়ির চালককে মেমারির পাহাড়হাটি স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । আরও পড়ুনঃ বিপদসংকুল ও ভয়ঙ্কর সাচ পাস অভিযানের অভিজ্ঞতাগ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। দুটি আঙুলে সামান্য চোট রয়েছে। তবে সুস্থ রয়েছি। তাঁর মায়ের শরীর খারাপ। মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য তিনি তাঁর কাটোয়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান সদর(দক্ষিণ) এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানান, মন্ত্রীর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে এই বিপত্তি ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

Human Rights : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের পূর্ব বর্ধমানে আসা নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির তর্জা

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে এই রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। সোমবার কমিশনের প্রতিনিধিদন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন। বিমলজিত উপ্পল ও আই আর কুরিলসের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতিনিধি দল এদিন প্রথম বর্ধমান সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে এক প্রস্থ বৈঠক সেরে তাঁরা বিকেলের দিকে সোজা পৌছে যান জামালপুর থানার নবগ্রামে। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা রায়নার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।আরও পড়ুনঃ চূড়ান্ত ট্রায়ালে সাফল্য, ডেল্টা প্রজাতি রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন!ভোটের ফল প্রকাশের পর দিন অর্থাৎ গত ৩ মে নবগ্রামেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছিলেন দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা (৩০)ও বিভাস বাগ (২৭) এবং এক বিজেপি কার্যকর্তার মা কাকলি ক্ষেত্রপাল (৪৭)। একই দিনে নিহত হন রায়না থানার সমসপুর নিবাসী তৃণমূল সমর্থক গনেশ মালিক (৬০)। নবগ্রাম উড়িষ্যা পাড়ায় বিভাস বাগের বাড়ি। আর কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়ি পাশের পাড়া ষষ্ঠিতলায়। অপর নিহত সাজু শেখের বাড়ি জামালপুরের ভেড়িলি গ্রামে। নবগ্রামে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ১২ জন । তারা সকলেই এখন জামিনে মুক্ত। রায়নার সমসপুরের গনেশ মালিককে হত্যার ঘটনাতেও ৮ জন গ্রেপ্তার হন । দো-ভাষীকে সঙ্গে নিয়ে কড়া পুলিশ পাহারায় কমিশনের প্রতিনিধিরা এদিন জামালপুরের তিন নিহতের বাড়িতে পৌছান।আরও পড়ুনঃ বিপদসংকুল ও ভয়ঙ্কর সাচ পাস অভিযানের অভিজ্ঞতাজাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল গত ৩ মে নবগ্রামে নিহত হওয়া তিন জনের বাড়িতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।পাশাপাশি ওইদিন নবগ্রামে কি ঘটনা ঘটেছিল তার সবিস্তার তথ্যও তাঁরা সংগ্রহ করেন। এরপর কমিশনের প্রতিনিধিরা রায়নার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।আরও পড়ুনঃ মেসি জাদুতে আচ্ছন্ন কোপা, শেষচারে আর্জেন্টিনানিহত বিভাষ বাগের স্ত্রী ঝর্ণা বাগ বলেন, সেদিন কী ঘটনা ঘটেছিল তা কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে জানতে চান । বিভাষ বাগ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাও জানতে চায় ।সরকারি কোনও সাহায্য পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঝর্ণাদেবী কমিশণের প্রতিনিদিধের বলেন তিনি ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন । একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিকমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে রাখেন ঝর্ণাদেবী । তবে চাকরির বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস কিছু মেলেনি বলে ঝর্ণাদেবী জানিয়েছেন । একইভাবে কাকলি ক্ষেত্রপাল ও শাজাহন শাহের বাড়িতে গিয়েও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সেদিনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই অতি সক্রিয়তা নিয়েই পূর্ব বর্ধমান জেলায় তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিনের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলরবিবার কালনায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইস্যুকে সামনেএনে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরতৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর বর্ধমানসহ রাজ্য জুড়ে আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর এখন পুলিশ ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পৌছে দিচ্ছে। অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, নির্যাতনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে আসা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমও এই রাজ্যে ছাড়া পাচ্ছে না। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানেন না , মানবাধিকার কমিশনকেও মানেন না। এখন আদালতকেও মানছেন না বলে অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষ করেন। বিজেপি নেত্রীর এহেন মন্তব্যের কঠোর বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেতৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, বিধানসভা ভোটে পরজয়টা বিজেপির নেতা নেত্রীরা কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। সেই জন্য ওরা এখন নানা ভাবে রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে । তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন এদের এই রাজ্যে পাঠাচ্ছে। দেবু টুডু দাবি করেন, এরা কোনও সরকারের নিরপেক্ষ কোনও এজেন্সি নয়। এরা রাজনৈতিক দল বিজেপির এজেন্সি মাত্র। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন শুধু বিজেপির দালালি করছে। ওরা শুধু বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে চলে যাচ্ছে । প্রশাসনিক কোনও লেবেলের সঙ্গে কথা বলছে না , সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলছে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সিটিং করে শুধু কাজ করছে । জাতীয় মানবাধিকার কমিশন , মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন এ সবই বিজেপির শাখা সংগঠন বলে দেবু টুডু দাবি করেন । একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ওদের কথা কে শুনবে।আরও পড়ুনঃ গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিরতৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র দেবু টুডুর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে কশুর করেনি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, দেবু টুডুর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আসলে দেশের সাংবিধানিক কোন ব্যবস্থাকেই মানে না। অগ্নিমিত্রা পল ঠিকই বলেছেন, এই রাজ্যে স্বৈরাচারী, অত্যাচারী সরকার চলছে। অন্যদিকে জেলা বিজেপির সহ- সভাপতি প্রবাল রায় বলেন , আজকে যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি ও তাঁর দলের অন্য রাজ্য নেতারা সিপিএমের রাজত্ব কালে কথায় কথায় ৩৫৬ ধারা, মানবাধিকার কমিশন চাই ইত্যাদি ইত্যাদি বলতেন। এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৃণমূলের নেতা, হার্মাদ ও জেহাদিদের আসল চরিত্র গুলি বুঝে আদালতকে জানাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের বড্ড খারাপ লাগছে।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় তিনি ঘরভাড়াও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিযোগ করেছেন,গাড়ি দাঁড় করিয়ে মন্দিরে প্রণাম করছিলাম তখন চার-পাঁচ জন আমাকে ঠেলে দেয়। তখনই আমার মুখে ও পায়ে আগাত লাগে। আপাতত কলকাতায় যাচ্ছি।এদিন হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাণীচকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল। বিজেপি পুরো বিষয়টা নাটক হিসাবে দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই ঘটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করা উচিত। সূত্রের খবর,, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা হবে। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না। বলেই অভিযোগ মমতার। জানা গগিয়েছে, খবর জানাজানি হতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।ভোটের বাংলায় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন? সব মহলেই এই প্রায় উঠেছে।

মার্চ ১০, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, বানাবেন কুঁরে ঘর

সবার প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে নন্দীগ্রামে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে। সম্মুখ সমরে মমতা-শুভেন্দু। জমি আন্দোলনের পর এবার রাজনীতির উত্তাপে দগ্ধ নন্দীগ্রাম। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বটতলার সভা থেকে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে সেখানে দুই কামরার বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন। স্মৃতি আওড়ালেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের।একসময় বামপন্থীরা স্লোগান তুলছিল ভুলতে পারি বাপের নাম, ভুলবো নাকো ভিয়েতনাম। এদিন মমতা বলেন, ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। এভাবেই নন্দীগ্রামকে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে আন্দোলন শুরু হয় নন্দীগ্রামের আগে। সিঙ্গুর আন্দোলন না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তুফান হত না। আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। শহরে মানুষ হয়েছি। সেটাও ভালবাসার জায়গা। ছোটবেলা গ্রামেই কেটেছে। আলে আলে ঘুরে বেড়াতাম। ধান কাটতাম। সর্ষে ক্ষেতে যেতাম। গ্রামের প্রতি আমার টান আছে। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামে যে কোনও এক জায়গায় আমি প্রার্থী হতাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই গ্রামের আবেগ ছুঁতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।আন্দোলনের স্মৃতি উসকে মমতা বলেন, গন্ডগোলের সময় একবার তাহের(আবু তাহের) ফোন করছে, একবার সুফিয়ান(সেখ সুফিয়ান) ফোন করছে। গুলির শব্দ শোনাচ্ছেন ফোনে। যাঁদের থাকার কথা ছিল তাঁরা একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও ছিলেন না। ১০ নভেম্বর সূর্য উদয়। ১০ জনকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কেটে ভাসিয়ে দিয়েছে না কী করেছে কেউ জানে না। তেখালিতে গুলি চালাচ্ছে, আমার গাড়িতে গুলি লেগেছে। গোকুলনগর, তেখালি, সোনাচূড়া বিভিন্ন গ্রামের নাম বলতে থাকেন মমতা। মমতার বক্তব্য, তাঁকেও বাইরের লোক বলে অভিহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।বেশ কয়েকটি জনসভায় বামেদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাম দলেও অনেক ভাল মানুষ আছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এদিন নন্দীগ্রামে মমতা বলেন, পুরনো অত্যাচারী সিপিএম চলে এসেছে। বিজেপি এদের নিয়ে এসেছে। নন্দীগ্রামে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে কাজ করছে। সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি এক। হুমকি দিচ্ছে তোমার বিরুদ্ধে কেস আছে! এসব দুমাস করে নাও। সাতদিন পরে তোমরা কোথায় যাবে?এদিনের সভায় নন্দীগ্রামের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। একইসঙ্গে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়াকে জুড়তে সেতু তৈরি করা হবে। মডেল নন্দীগ্রাম করব। বেকারদের চাকরি হবে। নন্দীগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় করব। আমি চাই এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক। মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে রুইয়া পাড়ায় দুটি রুমের একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। পরে একটা কুঁড়ে ঘর বানিয়ে নেব। এখানে ভোট পয়লা এপ্রিল। ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে খেলা হবে। তিন মাস অন্তর তিনি নন্দীগ্রামে আসবেন বলেও জানিয়ে দেন।

মার্চ ০৯, ২০২১
রাজ্য

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বর্ধমানে, পর পর পিষতে থাকল ট্রাক

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হল চারজন। বেপরোয়া ট্রাক টানা পিষে দিল একাধিকজনকে। মৃত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। রিপন মণ্ডল (২০), অনিমেষ রায়(২২) ও বিকাশ শর্মা(৫৫)। বারে বারে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পালসিটে যান এসডিপিও সাউথ আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন।জানা গিয়েছে, বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিট স্টেশনের কাছে একটি লরি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে টানা পিষে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা চিৎকার চেচামেচি করলেও লরিটি পর পর মানুষজনকে ধাক্কা মারতে থাকে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন মারা গিয়েছে। লরিটি কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল।পালসিট স্টেশনের কাছে লরির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে প্রথমে ধাক্কা মারে।তারপর রাস্তার বাঁদিকে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে একের পর একজনকে পিষে দিয়ে চলে যায়। এই দুর্ঘটনার ১৪ জন জখম হয়। তাঁদের উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারজন মারা যায়। মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

বড় খবর: কোকেন-কাণ্ডে আটক রাকেশ সিং

গলসি থেকে আটক কোকেন কাণ্ডে অভিযুক্ত রাকেশ সিং। ইতিমধ্যেই গলসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। রাকেশকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার ফিরবেন তাঁরা। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।কোকেন কাণ্ডে রাকেশ যোগ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত অরফানগঞ্জ। মঙ্গলবার তার লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও সুকৌশলে তা এড়ানোর চেষ্টা করে বিজেপি নেতা। জানান, দলের কাজে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের হাজিরের নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে কলকাতা হাইকোর্টে যান তিনি। এরপরই পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত হন রাকেশ সিংয়ের সাক্ষাৎ পাওয়া সহজ হবে না। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই কোকেন কাণ্ডে অভিযুক্ত রাকেশ সিংয়ের অরফানগঞ্জ এলাকার বাড়িতে হাজির হয় কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। প্রথমে সিআইএসএফ তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয়। এরপর সামনে আসেন রাকেশ-পুত্র। পুলিশ আধিকারিকদের ভিতরে ঢুকতে তিনি বাধা দেন বলে অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, পুলিশের কাছে যথাযথ নথি নেই। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিকেল ৫ টায় অবশেষে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল, এদিনই গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। তিনঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর রাত আটটা নাগাদ রাকেশ সিংয়ের বাড়ি থেকে বের হন পুলিশ আধিকারিকরা। সন্ধেয় রাকেশ সিংয়ের দুই ছেলে সাহেব ও শুভমকে আটক লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগেই আটক করা হয়েছে এই দুই যুবককে। এরপর রাতে গলসি থেকে আটক করা হয় রাকেশকে।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন খেলা হবে, কী ভূমিকা নেবেন মমতা?

খেলা হবে স্লোগানে মাতোয়ারা বাংলার রাজনীতি। ডান-বাম সব পক্ষই বলছে খেলা হবে। কী খেলা হবে তা কেউ ব্যাখ্যা করছে না। তবে খেলায় জিতব বলে সকলেই দাবি করছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি খেলবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। তিনি যে কারও চমকানি ধমকানিতে ভয় পান না, ফের হুঁশিয়ার করেছেন মমতা। তাছাড়া জয় বাংলা স্লোগান যে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান দিয়েছেন সেকথাও স্মরণ করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।খেলা হবে-তে তিনি থাকছেন বলেই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বলেছেন, একুশেই চ্যালেঞ্জ হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম দেখি কার জোর কত বেশি। একুশে একটাই খেলা হবে, আমি থাকব গোলরক্ষক। কারা হারে কারা জেতে সেটা আমি দেখতে চাই। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করে আসছে পদ্মশিবির। এটা বাংলাদেশের স্লোগান বলেই বিজেপির দাবি। সেই দাবিকেই সিলমোহর দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয় তাহলেও আমি জেল থেকে ডাক দেব বঙ্গবন্ধুর মতো জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। হারতে আমরা শিখিনি আমরা হারব না। হারাতে আমাদের পারবে না। এটাই আমাদের ভাষা দিবসে আমাদের শপথ। ভাষা দিবসের অঙ্গীকার।ভাষা দিবসে মমতার আক্ষেপ কেন এই রাজ্যের নাম বাংলা হবে না। এটা তো রাজ্য বা প্রদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিলবে কেন? বলেন মমতা। তিনি বলেন, ওড়িষা হবে, বাংলা হবে না। বরাবরই বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ। এটাতো বাংলা রাজ্য। বাংলাদেশ তো নয়। পাকিস্তানেও তো পাঞ্জাব আছে। তাতে কী হয়েছে। নেতাজি সুভাষ বোস, রবীন্দ্রনাথকে অবহেলিত হতে হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, বাংলা মানেই বাঙ্গাল ওতো সবসে জাদা খারাপ হ্যায়। বাঙাল বলেছে কাঙাল বলেছে কত কিছু বলেছে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
রাজনীতি

ভোটে দাঁড়াবেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, তিন লাইনের চিঠি মমতাকে

শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাটি উৎসবের মঞ্চে হাজির ছিলেন না। বুধবার সকালে সরাসরি টুইট করে রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন না। গত ৩০ জানুয়ারি বর্ধমান দক্ষিণের দুইবারের বিধায়ক চিঠি লিখে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন। এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত বাংলার অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী হিসাবে ডা. স্বরূপ দত্তের নাম ঘোষণা করেছিল। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বর্ধমানে দলের একাংশ স্বরূপ দত্তের নামে প্রচারও শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে বদলে প্রার্থী করা হয় রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে। জয় পেয়ে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়ে যান রবিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রয়েছেন।আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রী @MamataOfficial কেও এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীদের ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি। pic.twitter.com/h0CYEUZCtW Rabiranjan Chattopadhyay (@RabiranjanChat1) February 10, 2021এদিন প্রবীণ এই তৃণমূল বিধায়ক টুইটে লিখেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রীকে এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীকে ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি। এই টুইটের পরেই বর্ধমান শহরে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।সম্প্রতি বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এক গোষ্ঠী মিছিল করলেই আরেক গোষ্ঠী পাল্টা মিছিল করেছে। এদিকে বর্ধমানের প্রাক্তন পুরপতি আইনুল হক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়েছেন আরেক তৃণমূল নেতা খোকন দাস। প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করেছেন। বর্ধমান শহরে গোষ্ঠীকলহের জেরে সংঘর্ষও হয়েছে। দলবল নিয়ে থানা ঘেরাও করেছেন খোকন দাস। এককথায় নজীরবিহীন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় বর্ধমান শহরে। দলের একাংশ মনে করেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কখনও সামলাতে পারেননি রবিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ তে বিধায়ক হওয়ার পর দল রবিবাবুকে আর মন্ত্রীও করেনি। শোনা যায় ক্রমশ দলনেত্রীর সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। শেষমেশ রবিরঞ্জনবাবু টুইট করে ঘোষণা করে দিলেন তিনি আর প্রার্থী হবেন না।বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আইনুল ও খোকন শিবির প্রার্থীপদের প্রত্যাশী। তার মধ্যেই বেড়েছে বিজেপি। বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জিতলেও বর্ধমান দক্ষিণে সামান্য ভোটে পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। এই ফলাফলে উৎসাহিত বিজেপি আসন্ন নির্বাচনে টার্গেট করেছে এই আসনটিকেও।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রাজনীতি

"ভাল হয়েছে পাপ বিদায় নিয়েছে", তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর

কালনায় দলীয় জনসভা করার পর বর্ধমানে মাটি উৎসবে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি মুর্শিদাবাদে জনসভা করেন।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একাধিক তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে ভিড়েছেন। মঙ্গলবার কালনার জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। কয়েকটা দুষ্টু গরু হাম্বা হাম্বা ডাকতে ডাকতে ইদার উধার করে বেড়াচ্ছেন। নিজেদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য তারা গেছেন। ভালো হয়েছে পাপ বিদায় নিয়েছে। যাঁরা তৃণমূলে থেকে খারাপ করে তাদের তৃণমূল কংগ্রেসের থাকার প্রয়োজন নেই।কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কালনা বিধানসভা আসন এবার তাই তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ। নাম না করে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। কালনায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, বুঝে তো নিতেই হবে বিজেপি পার্টিকে। যে পার্টিটা কোনও ধর্ম জানে না। জানে না হিন্দু ধর্মের মধ্যে কত ধর্ম আছে। স্বামী বিবেকানন্দকে বিবেকানন্দ ঠাকুর বলে দিচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদবী বসিয়ে দিচ্ছেন।কৃষি ভান্ডারে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন, কৃষকদের জন্য কি কি করছে রাজ্য সরকার। ধান প্রতিবার কেনা হবে বলেও ঘোষনা করেন মমতা। পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপি টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাকা দিলে খেয়ে নেবেন। মুরগির মাংস খেয়ে নেবেন। বিজেপি গোঁজামিল পার্টি। শুধু মিথ্যা কথা বলে। বিজেপি থেকে সাবধান। ঠাকুরঘরে তৃণমূলের জোড়াফুল চিহ্নে পুজো দিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বের হন হলে জানান মমতা।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
রাজ্য

সোশাল মিডিয়ায় প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি, গ্রেপ্তার যুবক

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় টাকা হাতানোর জন্য প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক। ধৃতের নাম ইমদাদুল শেখ ওরফে বিশাল। ধৃতের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার খাঁপাড়ায়। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম দিতি ভট্টাচার্য। যুবকের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোরও দির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন যুবতী ও তাঁর পরিবার । পুলিশ জানিয়েছে, গলসি থানার রাইপুরের বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে ইমদাদুলের ভাব-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমদাদুল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। হোটেল ও গেস্ট হাউসে যুবতীকে নিয়ে গিয়ে ইমদাদুল তার সঙ্গে সহবাস করে বলেও অভিযোগ। মাস তিনেক আগে যুবতীর সঙ্গে তার সম্পের্ক ছেদ পড়ে। এরপরেই যুবতীর হোয়াটস অ্যাপে ইমদাদুল বেশ কয়েকটি অশালীন ছবি পাঠায়। একই সঙ্গে যুবতীকে সম্পর্ক জোড়ার জন্য যুবক চাপও দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় যুবতীকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিং করতে শুরু করে অভিযুক্ত। কয়েকটি আপত্তিকর ছবি যুবতীর জামাইবাবুকেও হোয়াটসঅ্যাপ করে ইমদাদুল পাঠায়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এমনকি যুবতীর কাছ থেকে সে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে।যুবতী মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানিয়ে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ধৃতের ২টি মোবাইল ও কয়েকটি আপত্তিকর ছবি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজ্য

"পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না", আবেদন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করে আসলে বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে। এর ফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর কর্পোরেট সংস্থাগুলি সুবিধা পাবে বলে মঙ্গলবার দাবি করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার। এদিন বিকেলে বর্ধমান টাউনহলে সিপিআইএমের জনসভায় বক্তব্যে কেন্দ্র ও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মাণিক সরকার তীব্র আক্রমণ শানান । একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না । তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে । বর্ধমানে জনসভার মঞ্চ থেকে মাণিক সরকার আরও বলেন, বিজেপি ডিভাইড এ্যন্ড রুল অর্থাৎ ধর্মের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভাগ করতে চাইছে। সেই কারণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। মাণিকবাবুর দাবি, লকডাউনে মানুষকে বিপদে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। গোটা দেশে ৪৯ থেকে ৫২ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। লকডাউনে কোটি কোটি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষজন লকডাউনের সময় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। তবুও বিজেপি সরকার তাদের কথা ভাবেনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোন চিন্তাও করেনি। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রসঙ্গে মাণিক সরকার বলেন, পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করেছে। এরফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর লাভবান হবে, সুবিধা পাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান ,কৃষি আইন বাতিলের জন্য মাসের পর মাস সারা ভারত কৃষকসভা আন্দোলন করছে। এছাড়াও কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সবাই এখন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ধর্মের নামে কেউ যাতে ভারতবর্ষকে ভাগ করতে না পারে তার জন্য ভারতে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবিধানকেও এখন আক্রমণ করা হচ্ছে। মাণিক বাবুর দাবি, আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার গোটা দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে চাইছে। সংবিধানে নাগরিকের অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। আর বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ভাবনা তৈরি করেছে। নতুন নাগরিক আইনে করে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হল।এইসব করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের অবদানকেই কার্যত অস্বীকার করা হচ্ছে। এদিন বর্ধমানের সভা মঞ্চ থেকে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সেই কারণে মানুষ ভোট দিতেও পারছে না। তাদের ঘরছাড়া হতে হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেউই সঠিক ভূমিকা পালন করছে না বলে মাণিক বাবু মন্তব্য করেন। মাণিক বাবু জনসভা মঞ্চ থেকে আবেদন রাখেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার তৈরি করতে দেবেন না। তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েদেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজ্য

"পূর্ব বর্ধমানে করোনার টীকা ঝেড়েছে তৃণমূল কোম্পানি", কালনার জনসভায় তোপ শুভেন্দুর

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার ২০২১-২২ অর্থ বর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বিজেপির জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, করোনা অতিমারির জন্য মোদি সরকার বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আগামী এক বছর ধরে সমস্ত ভারতবাসীকে টিকা দেওয়ার কথাও বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে এইমস(AIIMS)-এর মত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত সমস্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন আধুনিক পর্বের ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বাজেটে বলা হয়েছে।কালনার এই জনসভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেন, দীর্ঘ দিন রাজনীতি করছি। এর আগে সরকার পরিবর্তন দেখেছি। একই উচ্ছাস ২০২১ সালেও দেখছি। এবারও মানুষের উচ্ছাসও যে সরকার পরিবর্তন করার উচ্ছাস তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে বলে মকুলবাবু মন্তব্য করেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ৭৫ উর্ধ্ব বয়সের প্রবীন নাগরিকদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হবে না বলে বাজেটে যা ঘোষণা করা হয়েছে সেটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের এই বিশেষ উপহার দিয়েছে মোদি সরকার।বাজেটের প্রসঙ্গ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকেও বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলকে লকডাউনে চালচুরি, আমফানে ত্রিপল চুরি করতে দেখা গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে টিকাও চুরি করছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য যে টিকা এসেছিল তার থেকে ১৫ টি টিকা ঝেড়ে নিয়েছে তৃণমূল কোম্পানির লোকেরা। তার মধ্যে রয়েছে ২ বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছিল এঁরা হাসপাতালের সঙ্গে যিক্ত। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন ,কালনা, কাটোয়া,পূর্বস্থলী এলাকা হল শস্যভাণ্ডার। সেই কারণে বিজেপি কৃষক সুরক্ষা যাত্রা এখান থেকে শুরু করেছে । শুভেন্দুবাবু কালনার সভামঞ্চ থেকে জেলার চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, পশ্চিম বাংলার চাষিরা বাদে সবাই তিন বছরে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় ২০ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছে। রবিবার অমিত শাহজি বলেছেন ,পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুধুমাত্র সংখ্যা পাঠিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে । কিন্তু মোদিজি বলে দিয়েছেন , না - এই ভাবে টাকা দেওয়া যাবে না। কাটমানি খেতদেওয়া হবে না। সরাসরি কৃষকদের অ্যাকউন্টে টাকা পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।কালনার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খালিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ আনেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সরকার যখন দেশকে শক্তিশালী করতে চাইছে তখন এই রাজ্যের সরকার দেশকে দুর্বল করতে চাইছে। লালকেল্লা থেকে খালিস্তান জিন্দাবাদ বলছে। শুভেন্দু বাবু দাবি করেন, খালিস্তানি মদতপুষ্ট আন্দোলনকে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন জানাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, বিধানসভা ভোটের জন্য স্বাস্থ্যসাথী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের চাপে তিন মাস রোগীদের এখন নার্সিংহোমগুলি ফেরাবে না। সিপিএম নেতাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন ,তৃণমূল সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে পারেননি, পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারেননি। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় না এলে অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে না।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

ভোটারদের মন পেতে বিজেপির প্রতিশ্রুতির পাল্টা দান-ধ্যান তৃণমূলের

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়দোরগোড়ায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটারদের মন পেতে তাই এখন প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ঘোষণা করেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ছাত্রীদের স্কুটিদেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও অনেক কিছু রাজ্যবাসী পাবেন বলে সৌমিত্র ওইদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দান-ধ্যান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পন্থা নিয়েছে।জনগনের মন পেতে রবিবার জামালপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষথেকে সাত হাজারেরও বেশী দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল শীতের কম্বল।একই ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন মেমারি পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তিন শতাধিক দুঃস্থের হাতেও কম্বল তুলে দেওয়া হয়। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য যাঁরা কম্বল নিলেন তাঁরা ভোট কাকে দেবেন তা অবশ্য কারও জানা নেই। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মানুষের পাশে যাঁরা থাকে জনগন তাঁদেরকেই ভোট দেয় । জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের নেতা মেহেমুদ খান এই প্রসঙ্গে বলেন, গত লোকসভা ভোটের সময়ে বিজেপি প্রত্যেকের এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ।এছাড়াও ঘরে ঘরে চাকরি দেবারও প্রতিশ্রুতি দেয়। লোকসভা ভোট মিটে যাবার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু জনগন কিছুই পাননি।অন্যদিকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি ভূতনাথ মালিক এদিন দাবি করেন, শীত ,গ্রীষ্ম ,বর্ষা তৃণমূলই যে বাংলার জনগণের ভরসা সেটা বাংলার মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। এটাও জনগন জানেন তৃণমূল ভোটে জেতার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার উন্নয়নে যেমন জোয়ার এনেছেন তেমনই তৃণমূল কর্মীরা বাংলার জনগনের ভালোর জন্য সারাবছর কাজ করে যাচ্ছে।এইসবের জন্যই জামালপুর সহ গোটা রাজ্যের মানুষ ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করবেন।যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের এমন দাবি প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, সর্বক্ষেত্রে গরিব মানুষের কাছ থেকে কাটমানি কারা খায় তা বাংলার মানুষ ভালকরেই জানেন। পায়খানা ঘরের টাকা থেকেও তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খেতে ছাড়ে না। এবারের বিধানসভা ভোটে জামালপুরের পাশাপাশি গোটা বাংলার মানুষ কাটমানি খাওয়া তৃণমূলকে যে বাংলা ছাড়া করবে তা তৃণমূলের নেতারা ভালোই বুঝে গিয়েছেন। তাই এখন তৃণমূল নেতারা দান ধ্যান করে ভোটারদের মন পেতে চাইছে। তবে এইসব করে আর লাভ কিছু হবে না। সন্দীপ বাবুর দাবি, তৃণমূল সরকারের বিদায় সময়ের অপেক্ষা মাত্র ।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজনীতি

বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতিসহ ১৪ নেতাকে শোকজ, ভোটের মুখে কড়া পদক্ষেপ

বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীসহ ১৪ জন বিজেপি নেতাকে শোকজ করল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা গৌর মল্লিক, বিজয় ধারা, নন্দন সিং, কেশব চন্দ্র কোনার, খোকন সেন, সাগ্নিক শিকদার, বিশ্বজিৎ দাস, লক্ষ্মীকান্ত দাস, উত্তম চৌধুরী, স্মৃতিকান্ত মন্ডল, পুস্পজিৎ সাঁই, দেবজ্যোতি সিংহ রায়, রবীন্দ্র গর্গকে শোকজ করা হয়েছে। ৭দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে দল।গত ২১ জানুয়ারি বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস চত্বর রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায় বিজেপির জেলা অফিসের ছাদ থেকে ইঁট, পাথর, পাটা নীচে ছোড়া হচ্ছে। অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলতে থাকে। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অভিযোগ পুলিশের ওপর ব্যাপক ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় তখন তৃণমূলের ওপর দোষ চাপিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলেই পাল্টা দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ২১ জানুয়ারির ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বর্ধমানে দলের ১৪ জন জেলা নেতাকে শোকজ করল।গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় দলীয় শোকজের তালিকায় বিজেপির জেলা সভাপতি তো রয়েছেন। বাকি ১৩ জনও নেতৃত্ব স্থানীয়। এই শোকজের পর গোষ্ঠী সংঘর্ষে অযথা তাদের নাম জড়ানো হয়েছিল বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখার বিষয় বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
স্বাস্থ্য

বর্ধমানে দুই তৃণমূল বিধায়কের করোনা টীকাকরণ নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুজন তৃণমূল বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন বা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়। এদিন ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মন্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। এছাড়াও কাটোয়াতে করোনার টিকা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে রোগী কল্যান সমিতির নাম করে এভাবে টীকা নেওয়া ঠিক হয়নি। প্রথম সারির যোদ্ধাদের আগে টিকাকরণ করার কথা। অন্যদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও জনপ্রতিনিধিদের টিকাকরণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রকাশ করেছেন।তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এখনই যাঁদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত হয়নি তাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। আম্ফান এর মতোন এক্ষেত্রেও তালিকায় গন্ডগোল রয়েছে। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রনব রায় জানিয়েছেন, এই বিধায়করা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা সরাসরি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদের টিকাকরণ করা হয়েছে। বর্ধমান জেলা তৃণমূল এর মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, টীকা নিয়ে কোন স্বজনপোষণ করা হয়নি। বিজেপি সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ করে। এই বিধায়করা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এঁরা রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জনপ্রতিনিধিদের টীকাকরণ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সর্বপ্রথমে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টীকাকরণ করতে হবে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। টিকাকরণের সফটওয়্যারে একটা সমস্যা হয়েছে। তাই নির্দেশ ছিল জরুরি ভিত্তিতে তালিকা অনুযায়ী টীকা দিতে হবে। এটা ঠিক কাজ হয়নি বলেই তাঁরা মনে করেন।

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal