• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tennis

খেলার দুনিয়া

'বাজা তোরা , রাজা যায়...' সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার

২০১৬ সাল। তিন বন্ধু সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম সুইজারল্যান্ড, চোদ্দ দিন ধরে, কোনো ট্র্যাভেল এজেন্ট-এর সাহায্য ছাড়াই। তুষারমৌলি আল্পস... কাকচক্ষু জলের অসংখ্য দিগন্তপ্রসারী হ্রদ... নকশিকাঁথার মতো বন-প্রান্তর-জনপদ--- স্মৃতিপটে গাঁথা হয়ে গেছে চিরদিনের মতো।তবু সেই অপরূপ পর্যটন অসম্পূর্ণ রয়ে গেছিল আমার চোখে, কারণ প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও ভ্রমণসূচীতে রাখা যায় নি একটি সুন্দর শহরকে --- বাসেল, যেখানে বাস খেলার জগতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির।স্কুলজীবনে রচনা লিখতে হতো-- তোমার প্রিয় ক্রীড়াবিদ। ছোটবেলা থেকে আমার খাতায় বারবার বদলে গেছে সে চরিত্র -- প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়... সুনীল গাভাসকর... সের্গেই বুবকা... বিশ্বনাথন আনন্দ... হোসে রামিরেজ ব্যারেটো...। কিন্তু গত দুই দশক জুড়ে সবচেয়ে প্রিয় নাম একটিই-- রজার ফেডেরার। আগামী সপ্তাহেই লন্ডনে অনুষ্ঠেয় লেভার কাপ-এ চব্বিশ বছরের বর্ণময় আন্তর্জাতিক টেনিস জীবনে দাঁড়ি পরতে চলেছে যাঁর।নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেনকিং রজার কি লন টেনিস-এর ওপেন যুগে সর্বকালীন সেরা ? দ্বিমত পোষণ করতে পারেন অনেকে, কিন্তু স্কিল- স্ট্যামিনা- এনডিওরেন্স-এর যে চূড়ান্ত পর্যায়ে দুই দশক বিরাজ করেছেন তিনি, যে অনায়াস দক্ষতায় তুলির টান দিয়েছেন সারা পৃথিবীর টেনিস কোর্টে, গগনচুম্বী সাফল্য সত্ত্বেও যেভাবে মাটির কাছাকাছি রয়ে গেছেন বিনয়-ভদ্রতা-মানবিক মূল্যবোধের প্রতিমূর্তি হয়ে-- তাতে আমার মতো বিশ্বজোড়া কোটি কোটি সমর্থকের বুকে চিরস্থায়ী আসন পাতা হয়ে গেছে তাঁর।কুড়িটি গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব (আটবার উইম্বলডন, ছয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, পাঁচবার ইউএস ওপেন, একবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ), চল্লিশটি এটিপি ট্যুর সিঙ্গলস খেতাব, সব মিলিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ১০৩টি সিঙ্গলস খেতাব, গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় রেকর্ডসংখ্যক ৩৬৯টি সিঙ্গলস ম্যাচ জেতা, ৩১০ সপ্তাহ একনম্বর স্থান ধরে রাখা, সবচেয়ে বেশী বয়সে (ছত্রিশ বছর দশ মাস) একনম্বর স্থান পুনরুদ্ধার করা, অন্ততঃ তিন মরশুমে (২০০৬, ২০০৭,২০০৯) সবকটি গ্র্যান্ড স্লাম-এর ফাইনাল খেলা--- এগুলো নেহাত পরিসংখ্যান নয়; সদ্য-অবসৃত সেরেনা উইলিয়ামস যেমন মেয়েদের টেনিস-এ , তেমনই নাদাল-জকোভিচকে নিয়ে পুরুষদের টেনিস-এ চিরকালীন মানদণ্ড গড়ে দিয়ে গেলেন রজার ফেডেরার।বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা দুনম্বরে ছিলেন৮১ সালের আটই আগস্ট বাসেল অঞ্চলে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন রজার-- বাবা রবার্ট সুইস, মা লিনেট দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। আট বছর বয়সে টেনিস Racket হাতে তুলে নিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। তেরো চোদ্দ বছর বয়সেই ছোটবোন ডায়ানা-কে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল লুসান-এর সুইস টেনিস অ্যাকাডেমিতে। সুইজারল্যান্ড-এর এই অংশে ফরাসী ভাষাটাই চলে বেশী, কিন্তু রজার যে জার্মান ভাষাতেই বেশী স্বচ্ছন্দ! বার বার মন চাইতো বাসেল-এ ফিরে যেতে, কিন্তু ততদিনে আশেপাশের অনেকেই তার মধ্যে দেখতে পেয়েছেন অমিত সম্ভাবনা। কাজেই লড়াই জারী রইলো তার; লুসান আর ছাড়া হলো না। ৯৩ থেকে ৯৫ , বাসেল-এর এটিপি টুর্নামেন্টে বলবয় ছিল রজার-- বড় হয়ে যে খেতাব দশ বার জিতে নিয়েছিল সে।৯৮-এ মাত্র সতেরো বছর বয়সে পেশাদার হয়ে গেল রজার, আর তিনবছর বাদেই জিতে নিল প্রথম এটিপি সিঙ্গলস খেতাব, মিলান-এ। স্টিফেন এডবার্গ, বরিস বেকার, আর পিট স্যাম্প্রাস আদর্শ ছিলেন তার। মাত্র উনিশ বছর বয়সে সেই স্যাম্প্রাসকেই হারিয়ে দিল রজার।এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণেঅনেক বন্ধু বলতো, মনে হয় এবছর তুই ওঁকে হারাতে পারবি ,ফেডেরার বলেছিলেন, জানতাম সম্ভাবনা আছে একটা, তবে পুরোপুরি নয়; মানে ঘাসের কোর্টে উনিই তো আসল লোক!পরের রাউন্ডেই হেরে গেলেন টিম হেনম্যান-এর কাছে।পরের বছর কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই বিদায়। তার ধাতটাই তখন অশান্ত--- Racket আছড়ানো... পনিটেল... রুক্ষ মানসিকতা...। হঠাৎই ব্যক্তিজীবনের এক আঘাত তাকে বদলে দিল চিরদিনের মতো। একুশ বছরের জন্মদিনের পরেই, দক্ষিণ আফ্রিকায় এক পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পিটার কার্টার, রজার-এর কোচ ও বহুদিনের বন্ধু। প্রিয় সঙ্গীর আকস্মিক চলে যাওয়া জন্ম দিল এক নতুন রজার ফেডেরার-এর -- শান্ত, সৌম্য,ভদ্রতার প্রতিমূর্তি; এক সর্বজনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।২০০৩-এ মার্ক ফিলিপৌসিস-কে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন জিতেছিলেন। সেই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের উনিশ বছর পর, গত বৃহস্পতিবার, অবসরগ্রহণের ঘোষণা এল তাঁর কাছ থেকে।ফেব্রুয়ারি০৪ থেকে আগস্ট ০৮--- টানা ২৩৭ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন ফেডেরার। এক বিরল সৌন্দর্য ছিল তাঁর খেলায় -- টেনিস যেন বড় অনায়াস, সাবলীল, সহজ ছন্দে বইতো তাঁর হাতে। কব্জির সুক্ষ মোচড়ে অসাধারণ ফোরহ্যাণ্ড... একহাতে মারা চোখজুড়ানো ব্যাকহ্যাণ্ড... অনায়াস সার্ভিস... অবলীলায় কোর্টের যে কোনো প্রান্ত থেকে দুরূহ প্লেসমেণ্ট--- টেনিস-এর শেষ কথা মনে হতো তাঁকেই। তারপর দেখা দিলেন রাফেল নাদাল....মিক্সড ডাবলসে সানিয়ার সাথেসবদিক দিয়ে ফেডেরার-এর ঠিক বিপরীতে ছিলেন নাদাল। সার্ভ অ্যান্ড ভলি গেমকে যে শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ফেডেরার, রাফা-র অ্যাথলেটিসিজম-শক্তি-গতিময়তা তাকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললো। রোল্যাঁ গ্যারো-র লাল সুড়কির কোর্টে তো নাদাল-এর মৌরসিপাট্টা ছিলই, ফেডেরার-কে তিনি পিছনে ফেলতে লাগলেন অন্যত্রও। ততদিনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দেখা দিয়েছেন নোভাক জকোভিচ-ও।আমি কখনোই এইরকম খেলোয়াড় হয়ে উঠতাম না,যদি না নাদাল থাকতো, ফেডেরার বলেছিলেন তাঁর কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কোর্টের বাইরে প্রিয় বন্ধুর সম্বন্ধে। পরপর তিনবার ফ্রেঞ্চ ওপেন-এর ফাইনাল-এ, আর ২০০৮-এ উইম্বলডন-এও নাদাল-এর কাছে হার রজার-কে বাধ্য করলো নতুন করে নিজেকে বদলাতে।হয়তো এর পরিণতিতেই পরের বছর এলো ফেডেরার-এর খেলোয়াড় জীবনের সম্ভবতঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়, ২০০৯-এর ফ্রেঞ্চ ওপেন-এ। নাদাল হেরে গেলেন রবিন সডারলিং-এর কাছে, আর ফেডেরার তখন চতুর্থ রাউন্ডে টমি হাস-এর বিরুদ্ধে দু সেট খুইয়ে বসে আছেন। এক বছর আগে হলে হয়ত চাপের মুখে আবার হেরে বসতেন, কিন্তু অবিশ্বাস্য এক ফোরহ্যাণ্ড তৃতীয় সেট-এর অষ্টম গেম-এ ব্রেকপয়েণ্ট বাঁচিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলো তাঁকে; শেষমেশ জিতেই নিলেন ম্যাচটা। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে মঁফিলস, সেমিফাইনাল-এ দেল পোট্রো, আর ফাইনালে নাদাল-জয়ী সডারলিং--- একের পর এক কঠিন ম্যাচ জিতে রজার দেখিয়ে দিলেন, ক্লে কোর্টেও কিছু কম যান না তিনি।এর পরেই যদি অবসর নিয়ে নিতেন, কারো কিছু বলার থাকতো না। ত্রিশ পেরিয়ে গেছে... সামপ্রাস-এর সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন... জিতেছেন সবরকম সারফেস-এ... নতুন করে প্রমাণ করার আর ছিল কী?টেনিসের রাজা ভারতেপ্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ততদিনে জকোভিচ-ও; অস্তগামী সূর্য ফেডেরার পড়ন্ত বেলায় তাঁর বিরুদ্ধে ততটা সফল হতে পারেন নি। চোটআঘাতও ভোগাতে শুরু করলো বারবার। একচল্লিশ বছর বয়সে, গত দেড় বছরে উপর্যুপরি তিনবার হাঁটুর অপারেশন করাবার পরে, সময় ও শরীরের দাবী মেনে নিলেন তিনি। এ সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারতেন চার বছর আগেই, তাঁর তো আর কারো কাছে কিছু প্রমাণ করার ছিল না !২০১৭-এ কঠিন চোট থেকে সেরে উঠে, ১৮-র জানুয়ারির মধ্যেই আবার তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিয়ে, ২০১৯-এর উইম্বলডন ফাইনালে একচুলের জন্য খেতাব হাতছাড়া করার পরেই রাজসিক মর্যাদায় অবসর নিতে পারতেন রাজা রজার। কিন্তু তিনি নিজে তো নিজেকে আম আদমি-ই ভেবে এসেছেন বরাবর। টেনিস-এর প্রতি নিটোল প্রেম আর অগণিত ভক্তদের প্রতি অটুট দায়বদ্ধতাই তাঁকে সরে যেতে দেয় নি ।চেষ্টা করে গেছেন অন্তরালে থেকেও পাদপ্রদীপের আলোয় ফিরে আসার।সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার; গার্হস্থ্য মূল্যবোধের প্রতিভূ হয়ে রয়ে গেছেন, কোনো কেচ্ছা-কেলেঙ্কারী কখনো ছুঁতে পারেনি তাঁকে। স্ত্রী মির্কা নিজেও ছিলেন নামী টেনিস খেলোয়াড়--- ডব্লিউটিএ Ranking-এ ছিয়াত্তর পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিলেন এক সময়, উঠেছিলেন ইউএসওপেন-এর তৃতীয় রাউন্ডে। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। পরে একসময় জুটি বেঁধে হপম্যান কাপে মিক্সড ডাবলসেও নেমেছিলেন। দুইজোড়া যমজ সন্তান তাঁদের-- দুই মেয়ে মাইলা ও শার্লিন, আর দুই ছেলে লিও ও লেনি। গ্যালারী থেকে পুরো পরিবার তাঁকে সোচ্চার সমর্থন করছে ম্যাচের সময়-- এর থেকে মধুর দৃশ্য তাঁর কাছে কিছু নেই, জানিয়েছিলেন ফেডেরার।পৃথিবী জুড়ে এত ভালবাসা কীভাবে পেলেন ফেডেরার?কখনো মনুষ্যত্ব হারান নি তিনি। একবার লন্ডন-এ উইম্বলডন খেলতে এসে দেখলেন, হোটেলে তাঁর কোচ ও সাপোর্ট টিমের অন্যান্যদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাধারণ ডিলাক্স রুম, আর তাঁর জন্য বিলাসবহুল সুইট। রজার নির্দেশ দিলেন সবার জন্যই তাঁর মতো ঘরের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু জানা গেল যে আর কোনো সুইট খালি নেই। ফেডেরার পত্রপাঠ সুইট ছেড়ে চলে এলেন সাধারণ ডিলাক্স রুমে!The great moments I spent here will forever be in my memory. Thank you New Delhi! Tremendous crowd support! Forever grateful 🙏 Roger Federer (@rogerfederer) December 8, 2014কখনো ম্যাচ হারের পর অজুহাত দেন নি, বা প্রতিপক্ষকে ছোটো করেন নি তিনি। একবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-এ --- ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস জ্বরে ভুগতে ভুগতেই ফাইনাল-এ গেলেন রজার, প্রচুর লড়েও হারলেন জকোভিচ-এর কাছে। ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের শারীরিক কষ্টের অজুহাত দিলেন না, বরং বললেন, বিগত কয়েক দিন আমার শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছে। কিন্তু আজ যেন নোভাক-এর কৃতিত্ব কিছু কম বলে মনে করা না হয়; কারণ ম্যাচটা জিততে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম।অবসর-এর পর কী করবেন? পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন... স্কিইং... সমুদ্রসৈকত... তাস... টেবলটেনিস। পছন্দের তালিকায় আছে আরো অনেক কিছু--- হাইকিং, সাইক্লিং, সংগ্রহশালায় ঘুরে বেড়ানো ,প্রিয় সুইস খাবার খাওয়া (চকোলেট-ফন্ডু-রাকলেট-রোস্টি উইথ কর্ডন ব্লু ইত্যাদি)। চারটি ভাষায় স্বচ্ছন্দ তিনি-- ফরাসী, ইংরেজী, সুইস ও জার্মান।২০০৩ সালে শুরু করেছিলেন রজার ফেডেরার ফাউন্ডেশন, বিশ্ব জুড়ে এক কোটির বেশী ছেলেমেয়ের জীবনকে ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে যে সংস্থা। রাফেল নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেন ২০-র জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান বুশফায়ার রিলিফ-এ। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড- সাহায্যার্থে দান করেছেন প্রায় আট কোটি টাকা। টেনিস ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতির দুটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলেছেন নাদাল (কেপটাউন: ফেব্রুয়ারি২০) ও আলেকজান্ডার জেরেভ (মেক্সিকো সিটি: নভেম্বর ১৯)-এর সঙ্গে। এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণে। এদেশের টেনিস কোর্ট তাঁকে পেয়েছে পরে ১৪ সালে , প্রদর্শনী ম্যাচের সূত্রে।রিপুটেশন ইনস্টিটিউট ২০১১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা করতে গিয়ে দুনম্বরে রেখেছিল তাঁকে, একমেবাদ্বিতীয়ম নেলসন ম্যান্ডেলা-র পরেই। ঠিক পিছনেই ছিলেন বিল গেটস, স্টিভ জোবস ,ওপ্রা উইনফ্রে, বোনো।রাজা রজার-এর প্রস্থানে রিক্ত হবে ক্রীড়া জগৎ। তবু অনুপ্রাণিত করতে থাকবেন তিনি, খেলোয়াড় হিসেবে, মানুষ হিসেবে, এক আদর্শ ফ্যামিলিম্যান হিসেবে....Good bye, sweet Prince ! It was a pleasure and privilege walking on the same earth with you !!কৃতজ্ঞতা স্বীকার : টাইমস অফ ইন্ডিয়া।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রুডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে ফরাসি ওপেন জিতে নিলেন নাদাল

তিনিই যে ক্লে কোর্টের রাজা, আবার প্রমান করে দিলেন রাফায়েল নাদাল। ক্যাসপার রুডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে জিতে নিলেন কেরিয়ারের ১৪তম ফরাসি ওপেন খেতাব। ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে গেলেন ২২ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবে।সাম্প্রতিককালে নরওয়ের ক্যাসপার রুড ক্লে কোর্টে দারুন দাপট দেখাচ্ছেন। অনেকেই ভেবেছিল, ফরাসি ওপেনের ফাইনালে রাফায়েল নাদালকে বেগ দেবেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না। নাদালের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি রুড। এবারের ফরাসি ওপেনে নাদাল খেলতে নেমেছিলেন পঞ্চম বাছাই হিসেবে। নরওয়ের রুড ছিলেন অষ্টম বাছাই। নরওয়ের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেললেন নাদাল-ভক্ত রুড। ৩৬ বছরের নাদাল সবচেয়ে বেশি বয়সের টেনিস তারকা হিসেবে জিতলেন ফরাসি ওপেন খেতাব। ৫০ বছর আগে স্পেনের আন্দ্রে জিমেনো ফরাসি ওপেন খেতাব জিতেছিলেন ৩৪ বছর বয়সে। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে নাদাল প্রথমবার ফরাসি ওপেন খেতাব জিতেছিলেন। তখন এই রুডের বয়স ছিল মাত্র ৬। রুড মালোর্কায় রাফায়েল নাদালের আকাদেমিতে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। গুরুর বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলা তাঁর কাছে স্বপ্নপূরণ বলেও জানান তিনি।প্রথম দুটি সেট নাদাল ৬-৩, ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নেন। প্রথম সেটে নাদাল একটা সময় ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান। শেষ অবধি ৪৮ মিনিটে তিনি ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নেন প্রথম সেট। ঠাণ্ডা আবহাওয়া, হাওয়াও দিচ্ছিল। দ্বিতীয় সেট চলাকালীন রোদ ওঠে। একটা সময় দ্বিতীয় সেটে রুড ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু নাদাল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে এরপরই টানা পাঁচটি গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় সেটে নাদাল মাত্র পাঁচটি আনফোর্সড এরর করেন। তৃতীয় সেটেও অসাধারণ দাপট দেখালেন রাফা। তৃতীয় সেটে রুডকে দাঁড়াতেই দেননি। আগাগোড়া দুরন্ত সার্ভেই বাজিমাত করেন ক্লে কোর্ট কিং রাফা। তৃতীয় সেট নাদাল জিতে নেন ৬-০ ব্যবধানে। এদিন রাফা বনাম রুডের ফাইনাল চলল ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ধরে। এই জয়ের ফলে রোলাঁ গারোয় নাদাল জিতলেন ১১২টি ম্যাচ, হেরেছেন মাত্র তিনটিতে। ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ এবং নরওয়ের রাজপুত্র হাকন। পাশাপাশি বসেই তাঁরা দেখলেন ক্লে কোর্টের রাজার শ্রেষ্ঠত্ব।

জুন ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

চলতি মরশুমই শেষ, টেনিস কোর্টকে বিদায় সানিয়া মির্জার

আর কতদিন? সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসংখ্যবার কথাটা শুনতে হয়েছে সানিয়া মির্জাকে। বারবারই প্রশ্নটা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। এবার আর প্রশ্ন করার সুযোগই দিলেন না। অবশেষে টেনিস কোর্টকে বিদায় জানাতে চলেছেন সানিয়া মির্জা। চলতি মরশুম শেষে আর র্যাকেট হাতে কোর্টে দেখা যাবে না ভারতীয় টেনিসের এই কিংবদন্তিকে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মহিলাদের ডাবলসের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পরই তিনি টেনিসকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দীর্ঘদিন টেনিসের বাইরে ছিলেন সানিয়া মির্জা। তারপর আবার ফিটনেসের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে কোর্টে ফেরেন। কোর্টে ফিরলেও পুরনো সানিয়াকে কখনও পাওয়া যায়নি। নিজের সেরা ছন্দের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেননি ভারতের এই মহিলা টেনিস তারকা। এবছর অস্ট্রেলিয়া ওপেনেও মহিলাদের ডাবলসে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেন। ইউক্রেনের নাদিয়া কিচেনোকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলস খেলতে নেমেছিলেন সানিয়া। স্লোভেনিয়ার ট্যামারা জিডানসেক ও কাজা জুভান জুটির কাছে ৪৬, ৬৭ (৫) ব্যবধানে হারেন সানিয়ারা। মূলত নাদিয়া কিচেনোকের জন্যই হারতে হয়েছে। এদিন একেবারেই সেরা ছন্দে ছিলেন না ইউক্রেনের এই মহিলা টেনিস তারকা।অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার পর সানিয়া বলেন, চলতি মরশুম শেষে টেনিসকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শরীরের যা অবস্থা জানি না মরশুমের শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারব কিনা। তবে আমি মনে করি, এখনও ভাল খেলার মতো জায়গায় রয়েছি। কেন কোর্টকে বিদায় জানাতে চলেছেন? এই প্রসঙ্গে সানিয়া বলেছেন, কোনও একটা নির্দিষ্ট কারনে টেনিস থেকে সরে যাচ্ছেন না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। চোট পেলে রিকভারি করতে অনেক সময় লাগছে। আমার ছেলের বয়স ৩ বছর। এখন ও আমার ছায়াসঙ্গী। আমার সঙ্গে দেশবিদেশে ওকেও ঘুরতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে আমি আর বিপদের মুখে খেলতে চাই না।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌Tennis : অন্য ছবি, পাকিস্তানে খেলতে গিয়ে রাজার হালে খুদে টেনিস দল

রাজনৈতিক কারণেই নাকি ক্রিকেটে ভারতপাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু করা যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন যাই থাকুক না কেন, খেলার মাঠে যে তার প্রভাব পড়ে না অনূর্ধ্ব ১২ এশিয়ান টেনিস প্রতিযোগিতাতেই তার প্রমাণ। ইসলামাবাদে ৬ খুদে খেলোয়াড়কে রাজার হালে রেখেছে পাকিস্তান।এবছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১২ এশিয়ান টেনিসের যোগ্যতা অর্জন পর্ব। ভারত থেকে ৬ জনের দল গেছে খেলতে। এর মধ্যে ৩ জন বালক, ৩ জন বালিকা। দুজন কোচ, আশুতোষ সিংহ ও নমিতা বল। বালকদের দলে রয়েছে আরব চাওলা, ওজাস মেহলাওয়াত, রুদ্র বথাম। আর বালিকাদের দলে রয়েছে মায়া রেবতী, হরিতশ্রী বেঙ্কটেশ এবং জাহ্নবী কাজলা।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলেএই ভারতীয় দলের সরাসরি ইসলামাবাদ যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই দোহা হয়ে ইসলামাবাদ যেতে হয়েছে। দোহা বিমানবন্দরে নামার পর ইসলামাবাদগামী বিমানে ওঠার সময় জার্সিতে ভারতের পতাকা দেখে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি এগিয়ে এসে কথা বলেন। ইসলামাবাদে খেলতে যাচ্ছে জেনে খুশিও হয়। দোহা বিমানবন্দরে এইরকম অভ্যর্থনা পেয়ে দারুণ খুশি হন আশুতোষরা।ইসলামাবাদে পৌঁছে আরও চমক অপেক্ষা করছিল। এই রকম অভ্যর্থনা পাবেন, স্বপ্নেও ভাবেননি আশুতোষ, নমিতারা। বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরে পৌঁছনোর আগেই পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অভিবাসন সংক্রান্ত সব কাগজপত্র তৈরি করে রাখা হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় গোটা দলকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে চমকে উঠেছিলেন আশুতোষরা। অনেকের ধারণা, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় আতঙ্কের। তাঁদের ক্ষেত্রে ছবিটি সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানিযেছেন আশুতোষ। তাঁর কথায়, নিরাপত্তা নিয়ে আমরা একটুও চিন্তিত নই। রাজনীতি থেকে টেনিসকে সবসময় দূরে রাখে।আরও পড়ুনঃ সি আর সেভেনকে পেছনে ফেলে আবার শীর্ষে লিওনেল মেসিখাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও দারুণ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে আয়োজকরা। দলের এক সদস্য নিরামিষাশী। তাঁর জন্য আলাদা করে নিরামিষ খাবেরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুশীলনের জন্য কোর্টের ব্যবস্থা করার কথা ভারতীয় দলের থাকলেও সেই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশন। ভারতীয় দলের যেদিন পৌঁছনোর কথা ছিল, তার একদিন আগে চলে গেলেও বাড়তি একদিনের হোটেল ভাড়ার খরচও দিচ্ছে পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশন। আতিথেয়তায় মুগ্ধ বালিকাদের কোচ নমিতা বল। তিনি বলেন, পাকিস্তানে যে ভালবাসা, সম্মান, যত্ন পাচ্ছি, এককথায় অসাধারণ। সবসময় খোঁজ নিচ্ছে, আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা পুলিশকে তৃতীয় চিঠি তৃণমূলেরখুদেদের দল গেলেও পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সেলিম সৈফুল্লা চান সিনিয়র দল পাকিস্তানে খেলতে যাক। অনূ্র্ধ্ব ১২ পর্যায়ে ভারতের সেরা খেলোয়াড় আরব চাওলাআ। তার বাবা বলেছেন, ছেলেকে পাকিস্তানে খেলতে পাঠানো নিয়ে আমার আপত্তি ছিল না। আমাদের ছেলেমেয়েরা ওখানে জাতীয় অতিথি হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা রাজার হালে রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Novak Djokovic : আর ১ ম্যাচ জিতলেই ইতিহাসে ঢুকে যাবেন জকোভিচ

ক্যালেন্ডার স্ল্যাম থেকে মাত্র ১ ম্যাচ দুরে নোভাক জকোভিচ। ইউএস ওপেনের ফাইনালে ড্যানিল মেডভেদেভকে হারালেই এক বছরে সবকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। সেমিফাইনালে আলেক্সজান্ডার জেরেভকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন জকোভিচ। ম্যাচের ফল ৪৬, ৬২, ৬৪, ৪৬, ৬২। এই নিয়ে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত জকোভিচ। পাঁচ সেটের লড়াই শেষে ইতিহাসকে ধরার আর এক কদম দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। একই সঙ্গে কেরিয়ারের ৩১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে কিংবদন্তি রজার ফে়ডেরারের রেকর্ডও স্পর্শ করলেন জোকার। টুর্নামেন্টের অন্য সেমিফাইনালে কানাডার ফেলিক্স আগুয়ারকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছেন ড্যানিল মেদভেদেভ।শুধু ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জেতার দিকেই এগিয়ে যাননি নোভাক জকোভিচ। জীবনের ৩১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে কিংবদন্তী রজার ফেডেরারকে স্পর্শ করেছেন জকোভিচ। ফাইনালে ওঠার রাস্তা সহজ ছিল না তাঁর সামনে। জকোভিচকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে দেন জেরেভ। প্রথম সেট ৪৬ ব্যবধানে হেরে যান জকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। ৬২ ব্যবধানে জিতে নেন। তৃতীয় সেট জেতেন ৬৪ ব্যবধানে। চতুর্থ সেট ৬৪ ব্যবধানে জিতে ম্যাচ জমিয়ে দেন জেরেভ। কিন্তু পঞ্চম সেটে জেরেভকে কোনও সুযোগই দেননি জকোভিচ। জিতে নেন ৬২ ব্যবধানে। একই সঙ্গে আলেকজান্ডার জেরেভের বিরুদ্ধে অলিম্পিক হারের বদলাও নিলেন নোভাক জকোভিচ। নবম বারের জন্য ইউএস ওপেন ফাইনালে পৌঁছে তিনি নতুন রেকর্ডের মালিকও হলেন।ফাইনালে পৌঁছে ক্যালেন্ডার স্ল্যামের স্বপ্ন। তিনি বলেন, আর মাত্র একটা ম্যাচ বাকি। নিজেকে নিংড়ে দিতে চাই। ওটাই আমার জীবনের শেষ ম্যাচ ভেবে খেলব। সেমিফাইনালে নিজের খেলায় আমি গর্বিত। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কানাডার ফেলিক্স আগুয়ার-আলিয়াসিমের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন ড্যানিল মেদভেদেভ। সহজেই ম্যাচের ফয়সলা নির্ধারিত হয়। বিশ্বের দুই নম্বর তথা রাশিয়ার টেনিস তারকা প্রথম সেট ৬-৪ ফলাফলে জেতেন। দ্বিতীয় সেটও ৫-৭ ফলাফলে হেরে যান কানাডার তারকা। ম্যাচের তৃতীয় সেট ৬-২ ফলাফলে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যান ড্যানিল মেডভেদেভ।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

US Open : ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জয়ের দিকে আরও একধাপ এগোলেন জকোভিচ

মাস দুয়েক আগে উইম্বলডনের ফাইনালে নোভাক জকোভিচের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মাত্তেও বেরেত্তিনি। ইউএস ওপেনে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল ইতালির এই টেনিস তারকার কাছে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বেরেত্তিনি। প্রথম সেট হেরেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন নোভাক জরোভিচ। জিতলেন ৫৭, ৬২, ৬২, ৬৩ ব্যবধানে। একই মরসুমে টানা ২৬টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়লেন বিশ্বের এই এক নম্বর টেনিস তারকা। ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন নোভাক জকোভিচ। সেমিফাইনালে জকোভিচ খেলবেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী আলেকজান্ডার জেরেভের বিরুদ্ধেপ্রিকোয়ার্টার ফাইনালের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটাও ভাল হয়নি নোভাক জকোভিচের। প্রথম সেটে একবার জকোভিচের সার্ভিস ভেঙে ৬৫ ব্যবধানে এগিয়ে যান মাত্তেও বেরেত্তিনি। শেষপর্যন্ত ৭৫ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে নেন। দ্বিতীয় সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। তিনবার বেরেত্তিনির সার্ভিস ভেঙে ৬২ ব্যবধানে দ্বিতীয় সেট জিতে নেন। তৃতীয় সেটেও বিশ্বের ৬ নম্বর খেলোয়াড়কে দাঁড়াতে দেননি জকোভিচ। ৬২ ব্যবধানে জিতে নেন। তৃতীয় সেটেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন বিশ্বের ১ নম্বর এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। ৬৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যান জকোভিচ। প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে জকোভিচ হারিয়েছিলেন আমেরিকার জেনসন ব্রুকসবিকে। তিনিই ছিলেন আমেরিকার শেষ আশা। ১৮৮০ সালের পর এবছর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে স্থানীয় খেলোয়াড় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে পারেননি। প্রথম সেটে জেনসনের কাছে হেরে গিয়েও মহারাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। দ্বিতীয় সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি নোভাক। ৬৩ ফলাফলে জিতেছিলেন সার্বিয়ার টেনিস তারকা। ম্যাচের শেষ দুই সেটেও বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি জেনসন। তৃতীয় সেট ৬২ ফলাফলে জেতেন জোকার। একই ফলাফলে চতুর্থ সেটও জেতেন জকোভিচ। সেই সঙ্গে একই মরসুমে টানা ২৫টি ম্যাচ জয়ের অনন্য নজির গড়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলীয় ওপেন খেতাব জিতেছিলেন নোভাক জকোভিচ। পরপর ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনও চ্যাম্পিয়ন হন জোকার। ইউএস ওপেন জিততে পারলে এক ক্যালেন্ডার বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অনবদ্য নজির গড়বেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। এর আগে যে রেকর্ড রয়েছে কিংবদন্তি রড লেভার ও স্টেফি গ্রাফের ঝুলিতে। সেই তালিকায় জকোভিচ নিজের নাম তুলতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার। অন্যদিকে, মহিলাদের সিঙ্গলসের চমক দিয়েই চলেছেন এমা রাদুকানু। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছেন ১৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ টেনিস তারকা। অলিম্পিকে সোনাজয়ী সুইৎজারল্যান্ডের বেলিন্দা বেন্সিচকে হারিয়েছেন ৬৩, ৬৪ ব্যবধানে। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে উঠে এসে তিনি সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছেন। সেমিফাইনাল পর্যন্ত একটি সেটও না হারিয়ে নজির গড়েছেন রাদুকানু। এর আগে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১০০র বাইরে থেকে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব ছিল বিলি জিন কিং ও কিম ক্লিস্টার্সের। তাঁদের নজিরও স্পর্শ করেছেন রাদুকানু।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Manika Batra : মনিকাকে হোটেলের ঘরে কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌম্যদীপ রায়?‌

ভারতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন অলিম্পিয়ান মনিকা বাত্রা। নিজের অ্যাকাডেমির ছাত্রীর সুবিধার জন্য ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে সৌম্যদীপ নাকি হোটেলে মনিকার ঘরে গিয়েছিলেন। এমনই অভিযোগ করেছেন এই ভারতীয় মহিলা টেবিল টেনিস তারকা।টোকিও অলিম্পিক থেকেই বিতর্কে রয়েছেন মনিকা বাত্রা। অলিম্পিক চলাকালীন তিনি জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন। টোকিও থেকে দেশে ফেরার পর এই কারণে মনিকা বাত্রাকে শোকজ করেছিল ভারতের টেবিল টেনিস ফেডারেশন। তাঁর উত্তর দিতে গিয়েই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন মনিকা। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিতেও তিনি প্রস্তুত।আরও পড়ুনঃ পিকনিক করতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু যুবকের, আটক তিন বন্ধুসৌম্যদীপের বিরুদ্ধে এই রকম মারাত্মক অভিযোগ মেনে নিতে পারছেন না বাংলার টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব শর্মি সেনগুপ্ত। তিনি বলছিলেন, সৌম্যদীপ ৪ বছর দারুণ কাজ করছে। ওকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। সৌম্যদীপ এই ধরণের বোকামি করতে পারে বলে আমার মনে হয় না। অহেতুক কেন ও ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে যাবে বুঝতে পারছি না। যাইহোক, এটা সর্বভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের বিচারাধীন বিষয়। সঠিক তদন্ত করে আসল তথ্য বার করবে।মনিকা বাত্রার আচরণেও অবাক শর্মি সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, মনিকাকেও দীর্ঘদিন ধরে চিনি। খুবই ভাল মেয়ে। নিজের খেলা নিয়ে এতটাই মগ্ন থাকে, অন্য বিষয়ে মাথা গলায় না। মোবাইল পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে না। খেলার প্রতি এতটাই ডেডিকেশন। সেই মেয়ে এই ধরণের অভিযোগ করছে, এটা ভাবার বিষয়। তবে অলিম্পিকে সৌম্যদীপকে বসতে বলে ঠিক করেনি।আরও পড়ুনঃ ফোনে কথা বলছেন নার্স, ভ্যাকসিন পড়ল পর পর ৩ ডোজ!ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন যে শোকজ করেছিল, তার জবাবে মনিকা বলেছেন, মার্চে দোহায় টোকিও অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ চলছিল। ওর অ্যাকাডেমির এক ছাত্রীকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আমার হোটেলের ঘরে এসেছিলেন সৌম্যদীপ রায়। প্রায় ২০ মিনিট আমার ঘরে ছিলেন। আমি সেই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দিই। ওটা আমার কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়েরই সামিল। অলিম্পিকে সৌম্যদীপের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে ওই ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবের ঘটনা মাথায় আসত। আমার খেলায় প্রভাব ফেলতে পারত। সেই কারণেই সৌম্যদীপকে কোচ হিসেবে বোর্ডের পাশে দেখতে চাইনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ঘটনার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। যথাসময়ে প্রমাণ পেশ করার জন্য তিনি তৈরি।সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও ঠিক কোন ছাত্রীর জন্য তিনি ম্যাচ ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে সুতীর্থা মুখার্জির জন্য তিনি মনিকার কাছে যেতে পারেন। কারণ, সুতীর্থা সৌম্যদীপ রায়ের অ্যাকাডেমির ছাত্রী। অলিম্পিকের পর মনিকা বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে যে জল্পনা চলছিল তাঁর বিস্ফোরক চিঠি গোটা ঘটনাকেই অন্য মোড় দিল। মনিকার অভিযোগ সত্যি হলে তা প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সৌম্যদীপের পক্ষেও কলঙ্কজনক অধ্যায়ই হবে। সৌম্যদীপ রায় অবশ্য এখনও মনিকার অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। তাতে রহস্য বাড়ছে। মনিকার অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে ফেডারেশনও। সৌম্যদীপের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। জাতীয় শিবিরে কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সৌম্যদীপকে মনিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই উত্তর এলে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ফেডারেশন।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Silver Medal: সোনার স্বপ্ন অধরা, ভাবনাবেনকে ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে গুজরাট সরকার

টোকিও অলিম্পিক দেশের টেবিল টেনিস তারকারা ব্যর্থ। শরৎ কমল, মনিকা বাত্রাদের সেই ব্যর্থতা প্যারালিম্পিকে ঢেকে দিয়েছেন ভাবনাবেন হাসমুখভাই প্যাটেল। প্রতিযোগিতা থেকে রুপো জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন দেশের প্যারা অ্যাথলিট। ফাইনালে চীনের ইং ঝউয়ের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ম্যাচের ফলাফল ৭-১১, ৫-১১, ৬-১১। সোনা অধরা থেকে গেলেও তাঁর সেই সাফল্যকে স্বীকৃতি জানিয়ে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন। গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকেও আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ভাবনাবেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন।আরও পড়ুনঃ কাবুল বিমানবন্দরে আবারও হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলা!গুজরাটের মেহসানা জেলার সন্ধিয়াতে থাকেন ভাবনাবেন প্যাটেল। তাঁর সাফল্যে গর্বিত গুজরাট সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি অভিনন্দন জানিয়েছেন এই প্যারা আথলিটকে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভাবনাবেনের সাফল্যে খুশি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি দুশ্যন্ত চৌতালাও ভাবনাবেনকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, টোকিও প্যারালিম্পিকে রুপোজয়ী ভাবনা প্যাটেলকে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ৩১ লক্ষ টাকা দেবে ফে়ডারেশন। ভারতীয় প্যারা টেবিল টেনিস তারকার ইচ্ছাশক্তি, মানসিকতা ও মনের জোরের প্রশংসা করেছেন দুশ্যন্ত। ভাবনার আগামী দিনের সফলতাও কামনা করেছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে সাফল্য পাননি টেবিল টেনিস তারকারা। শরথ কমল, মনিকা বাত্রা, জি সাথিয়ান, সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় মিক্সড ও সিঙ্গলস ইভেন্টে সবাই ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতা ভুলিয়ে টোকিও প্যারালিম্পিকে ভাবিনার রুপো দেশের অন্যান্য টেবিল টেনিস তারকার কাছে দৃষ্টান্ত বলে মনে করে দেশের ক্রীড়া মহল।আরও পড়ুনঃ পুলিশে আস্থা নেই, সিআইডি তদন্তের দাবি অপহৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ি চালকের পরিবারেরটোকিও প্যারালিম্পিকে মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাস ফোর ইভেন্টের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর তারকা পাঁচটি প্যারালিম্পিক সোনাজয়ী চিনের ইং ঝউয়ের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরেও দেশের জন্য রুপো নিশ্চিত করেছেন ভাবিনা প্যাটেল। ম্যাচের ফলাফল ৭-১১, ৫-১১, ৬-১১। ম্যাচ হারলেও ভাবিনার লড়াইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুথ হয়েছে দেশের ক্রীড়া মহল।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডি-রটোকিও প্যারালিম্পিক থেকে পাওয়া পদক দেশকে উৎসর্গ করেছেন ভাবনাবেন প্যাটেল। তবে তিনি স্বীকার রে নিয়েছেন, রবিবার তিনি নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছেন ভাবনাবেন। তাঁর কথায়, ফাইনালে নিজের গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আগামী দিনে দেশের হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব।আরও পড়ুনঃ এজেন্সি লেলিয়ে না দিয়ে, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার হুংকার মমতারটোকিও প্যারালিম্পিকে রুপোজয়ী ভাবনাবেন প্যাটেলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। নিজের রাজ্য গুজরাতের পাডলারকে অনুপ্রেরণা বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। ভাবনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, শচী তেন্ডুলকর, অভিনব বিন্দ্রা সহ গোটা দেশ।

আগস্ট ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sharath Kamal: ‌অলিম্পিক টিটি–র তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন শরথ কমল

অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন নিয়েই এবার টোকিও পাড়ি। সেই স্বপ্নের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন ভারতীয় টেবিল টেনিস তারকা শরথ কমল। পর্তুগালের থিয়াগো অ্যাপোলোনিয়াকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়ে পুরুষদের সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে পৌছে গেলেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শরথ কমলের থেকে বেশ কয়েকধাপ পিছিয়ে পর্তুগালের থিয়াগো অ্যাপোলোনিয়া। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শরথ কমল রয়েছেন ৩২ নম্বরে। অন্যদিকে, থিয়াগো অ্যাপোলোনিয়া রয়েছেন ৫৬ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও শরথ কমলকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছিলেন পর্তুগালের এই তারকা।প্রথম গেমে শরথ কমলকে দাঁড়াতেই দেননি থিয়াগো অ্যাপোলোনিয়া। ১১২ পয়েন্টে গেম জিতে নেন। জড়তা কাটিয়ে দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ফিরে আসেন শরথ কমল। ১১৮ ব্যবধানে জিতে নেন। তৃতীয় গেমেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন শরথ কমল। ১১৫ পয়েন্টে তৃতীয় গেম জিতে নেন। চতুর্থ গেমে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন পর্তুগালের থিয়াগো অ্যাপোলোনিয়া। দুর্দান্ত লড়াই করে ১১৯ পয়েন্টে গেম জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান।ম্যাচে সমতা ফেরায় পরই যেন সম্বিত ফেরে শরথ কমলের। পঞ্চম গেমে আবার জ্বলে ওঠেন। ১১৬ পয়েন্টে জিতে ৩২ ব্যবধানে এগিয়ে যান। ষষ্ঠ গেমে অবশ্য লড়াই দারুণ জমে উঠেছিল। একসময় স্কোর ছিল ৯৯। সেখান থেকে ১১৯ পয়েন্টে গেম জিতে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান শরথ কমল। তৃতীয় রাউন্ডে তাঁর সামনে চীনের মা লং।২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে প্রথম খেলার সুযোগ পান শরথ কমল। সাফল্য পাননি। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকেও সেই ব্যর্থতা। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র পাননি। এশিয়ান কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ইরানের নোশাদ আলামিনানকে হারিয়ে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু রোমানিয়ার আদ্রিয়ান ক্রিসানের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল শরথ কমলকে। ভাল প্রস্তুতি নিয়েই যে এবার টোকিও অলিম্পিকে গিয়েছেন শরথ কমল, প্রথম রাউন্ড থেকেই প্রমাম দিয়ে যাচ্ছেন।

জুলাই ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Olympics Sumit Nagal: মেদডেভেদের কাছে আত্মসমর্পন সুমিত নাগালের, বিদায় অলিম্পিক থেকে

টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের সিঙ্গলসের দ্বিতীয় রাউন্ডে থেকেই বিদায় নিলেন সুমিত নাগাল। রাশিয়ার ড্যানিল মেদডেভেদের কাছে ৬২, ৬১ ব্যবধানে হারলেন ভারতের এই টেনিস তারকা। বিশ্বের ২ নম্বর তারকার সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি সুমিত।প্রথম রাউন্ডে উজবেকিস্তানের ডেনিস ইস্টোমিনকে ৬৪, ৬৭ (৬), ৬৪ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন সুমিত নাগাল। ২৫ বছর পর অলিম্পিকে পুরুষদের সিঙ্গলসে জিতে নজির গড়েছিলেন। ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লিয়েন্ডার পেস। অলিম্পিকে সেটাই ছিল কোনও ভারতীয় টেনিস তারকার শেষ জয়। সুমিত নাগাল প্রথম রাউন্ডে জিতলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে জ্বলে উঠতে পারলেন না।ড্যানিল মেদডেভেদের সঙ্গে সুমিত নাগালের লড়াই ছিল অসম। মেদডেভেদের বর্তমান বিশ্ব র্যাঙ্কিং ২। আর ভারতের সুমিত নাগাল রয়েছেন ১৪৪ নম্বরে। অসমও লড়াইয়ে পেরে ওঠার কথা ছিল না সুমিতের। মেদভেদেভের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। প্রথম সেট ৬২ ব্যবধানে জিতে নেন মেদভেদেভ। প্রথম সেটের শুরুতেই সুমিত নাগালের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান এই রাশিয়ান টেনিস তারকা। পরে আরও ৩ বার সার্ভিস ভাঙেন।দ্বিতীয় সেটেও ছবিটা বদলায়নি। সেই মেদভেদেভের আধিপত্য। সুমিত নাগালের সার্ভিস ভাঙার পর নিজের সার্ভিস ধরে রেখে ২০ ব্যবধানে এগিয়ে এগিয়ে যান। ম্যাচের শুরু থেকেই সার্ভিসে সমস্যা হচ্ছিল সুমিতের। বেশ কয়েকবার ডাবল ফল্ট করেন। শেষ পর্যন্ত ৬১ ব্যবধানে দ্বিতীয় সেট জিতে নেন মেদভেদেভ। পৌঁছে গেলেন তৃতীয় রাউন্ডে।এদিকে, অলিম্পিক পদকের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন নাওমি ওসাকা। তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন জাপানের এই মহিলা টেনিস তারকা। দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের ভিক্টোরিজা গোলুবিচকে। খেলার ফল ৬৩, ৬২। ওসাকার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি গোলুবিচ।

জুলাই ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sutirtha Mukherjee : অলিম্পিক টিটি–র দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় বঙ্গতনয়া সুতীর্থার

প্রথম রাউন্ডে সুইডেনের লিসা বের্গাস্ট্রোয়েমকে হারিয়ে চমক দিয়েছিলেন সুতীর্থা মুখার্জি। দ্বিতীয় রাউন্ডে পর্তুগালের ফু ইউয়ের কাছে হেরে অলিম্পিক থেকে বিদায় নিলেন এই বাঙালি টেবিল টেনিস তারকা। ৪০ ব্যবধানে সুতীর্থাকে উড়িয়ে জিতলেন ফু ইউ। বয়স যে কোনও বাধা নয়, প্রমাণ করে দিলেন এই পর্তুগালের প্যাডলার। অভিজ্ঞতা দিয়ে বাজিমাত করে গেলেন ফু ইউ।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরপ্রথম রাউন্ডে বের্গাস্ট্রোয়েমকে হারিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা বাড়িয়েছিলেন সুতীর্থা। আরও একটা অঘটনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে একেবারেই জ্বলে উঠতে পারলেন না। পর্তুগালের ফু ইউয়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থ। বলতে গেলে অভিজ্ঞতার কাছে হারতে হল সুতীর্থাকে। তার ওপর জীবনের প্রথম অলিম্পিক। চাপ তো ছিলই। সেই চাপ থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেননি এই বাঙালী টেবিল টেনিস তারকা।আরও পড়ুনঃ এরোটিক ভিডিয়ো মানে পর্ন নয় : শিল্পা শেট্টিম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ফু ইউয়ের। প্রথম গেমে মাত্র ৩টি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ হন সুতীর্থা। তাও আবার তিনটি পয়েন্টই এসেছিল ফু ইউয়ের ভুলের জন্য। প্রথম গেম ১১৩ ব্যবধানে জিতে নেন ফু ইউ। দ্বিতীয় গেমেও সুতীর্থাকে দাঁড়াতেই দেননি ৪২ বছর বয়সী চীনা বংশোদ্ভুত এই পর্তুগালের টেবিল টেনিস তারকা। ১১৩ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে নেন।আরও পড়ুনঃ পোলিকারপোভাকে উড়িয়ে দারুণভাবে অলিম্পিক অভিযান শুরু করলেন সিন্ধুকোচ সৌম্যদীপ রায়ের পরামর্শ নিয়ে তৃতীয় গেমে শুরুর দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সুতীর্থা। কিন্তু তাঁকে কোনও সুযোগ দেননি। ফু ইউ। ১১৫ ব্যবধানে জিতে ৩০ গেমে এগিয়ে যান। চতুর্থ গেমেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন ফু ইউ। ১১৫ পয়েন্টে গেম জিতে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান বর্ষীয়ান এই টেবিল টেনিস তারকা। সুতীর্থা বিদায় নেওয়ায় টেবিল টেনিসে ভারতের আশা শুধু শরথ কমল ও মনিকা বাত্রা। কিন্তু মনিকা যেভাবে বিতর্কে জড়িয়ে ফোকাস হারাচ্ছেন, কতদূর এগোবেন বলা কঠিন।

জুলাই ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ashle Barty : টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?‌

অলিম্পিক গেমস ভিলেজে আবার করোনার থাবা। এবার আক্রান্ত চেক প্রজাতন্ত্রের বিচ ভলিবল দলের ট্রেনার। এই নিয়ে গেমস ভিলেজে আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ৬। এভাবে গেমস ভিলেজে একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। আতঙ্কে গেমস ভিলেজে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বের ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টি।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে কে হবেন ভারতের পোস্টার বয়? জানতে পড়ুনঅলিম্পিকে অংশ নিতে টোকিও পৌঁছে গেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান টেনিস তারকা। তবে তিনি গেমস ভিলেজে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়া শেফ দ্য মিশন ইয়ান চেস্টারম্যান বলেছেন, আমাদের সব অ্যাথলিট গেমস ভিলেজে থাকলেও অ্যাশলে বার্টি গেমস ভিলেছে থাকছে না। যেভাবে গেমস ভিলেজে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে অ্যাথলিটরা আতঙ্কিত। সংক্রমণের ভয়েই বার্টি গেমস ভিলেজে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়াবিদদের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত সিন্ধু, আঙুলের নখে শোভা পাচ্ছে অলিম্পিক রিংচেক প্রজাতন্ত্রের বিচ ভলিবল দলের ট্রেনারকে ধরে গেমস ভিলেজে করোনায় আক্রান্তর সংখ্যা ৬। আর গেমসের সঙ্গে যুক্ত মোট আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮। চেক প্রজাতন্ত্রর ওই ট্রেনারকে গেমস ভিলজ থেকে সরিয়ে তাঁকে অন্যত্র আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার গেমস ভিলেজে চেক বিচ ভলিবল দলের তরফে এক খেলোয়াড়ের কোভিড ১৯ পজিটিভ হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল। ওনড্রেজ পেরুসিচ নামের ওই খেলোয়াড়কে সঙ্গে সঙ্গে গেমস ভিলেজ থেকে সরিয়ে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। দলের বাকি সদস্যের আরও একবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় চেকের বিচ ভলিবল দল। দলের ট্রেনার সিমোন নাওসেচ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দুই জনই দলের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিকে নামছেন জকোভিচ, গড়তে পারেন নজিরঅলিম্পিকে অংশ নিতে আসা মেক্সিকো বেসবল দলের দুই খেলোয়াড়ও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদেরও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে টোকিও অলিম্পিকের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকা কোনও স্বেচ্ছাসেবক এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যে স্বেচ্ছাসেবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ইওয়াতে প্রশাসনিক দপ্তরে কাজ করছিলনে। একই সঙ্গে গেমেসের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকা আরও সাত ঠিকাদারের কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব যে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে সেখানে অলিম্পিক নিরাপদ ও সুরক্ষিতভাবে আয়োজন করে সদর্থক বার্তা দেবে জাপান। জাপানের নাগরিকদের স্বার্থ ও সুরক্ষা অটুট রেখেই সফলভাবে আয়োজিত হবে অলিম্পিক।

জুলাই ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sania Mirza : ‌অলিম্পিকে নজির গড়তে চলেছেন সানিয়া মির্জা, অবসর নিয়ে কী ভাবছেন?‌

দেশের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে বক্সার মেরি কমের নাম সকলের আগে ভেসে ওঠে। কিন্তু সানিয়া মির্জা যে কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছেন, মেরি কমও সেই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। এই নিয়ে চারচারবার অলিম্পিকের আসরে দেখা যাবে সানিয়া মির্জারে। দেশের প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছেন। চার বার অলিম্পিকে নামার সুযোগ পেয়ে গর্বিত ৩৪ বছর বয়সী এই ভারতীয় টেনিস তারকা।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীঅলিম্পিকে অংশ নিতে মঙ্গলবার টোকিও পৌঁছেছেন সানিয়া মির্জা। ডাবলসে অঙ্কিতা রায়নার সঙ্গে তিনি কোর্টে নামবেন। দেশকে পদক এনে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি। মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনালে মার্কিন জুটি ভেনাস উইলিয়ামস ও রাজীব রাম জুটির কাছে হারতে হয়েছিল। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের লুসি রাদেচেকা ও রাদেক স্টেপানেকের কাছে হেরে পদক জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল সানিয়াদের। স্টেপানেকদের কাছে হার জীবনের অন্যতম বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন সানিয়া। টোকিও অলিম্পিকে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে চান।আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির মধ্যেও শুটিং করছেন অক্ষয়আগের অলিম্পিকে ডাবলসে প্রাথমিক রাউন্ডেই প্রার্থনা গুলাবরাও থমবারেকে সঙ্গে নিয়ে হেরে গিয়েছিলেন। এবার অঙ্কিতা রায়নাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে টোকিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সানিয়া। তিনিই বলেন, আগের অলিম্পিকে পদক জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও শেষরক্ষা হয়নি। এবছর সুযোগ আছে। আশা করছি দেশকে গর্বিত করতে পারব।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীবয়স ৩৪ পেরিয়ে গেছে। এই বয়সে কোর্টে দাপানো যথেষ্ট কঠিন। তা সত্ত্বেও এখনই অবসরের কথা ভাবছেন না সানিয়া মির্জা। তবে এই বয়সে দাপিয়ে টেনিস খেলা যথেষ্ট কঠিন বলে মনে করছেন তিনি। সানিয়া বলেন, আমি যথেষ্ট ফিট আছি। তাই দৌড়ঝাঁপ করে খেলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তবে কোর্টে নামলে বুঝতে পারছি ৩৪ বছর বয়স হয়েছে। তবে এখনই অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি না।

জুলাই ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Djokovic : ‌অলিম্পিকে নামছেন জকোভিচ, গড়তে পারেন নজির

টোকিও অলিম্পিক থেকে একের পর এক নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নামী টেনিস তারকারা। রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামসরা আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। চোটের জন্য দুদিন আগেই না খেলার কথা ঘোষণা করেছেন রজার ফেডেরার। অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে অলিম্পিক টেনিস। তবে টেনিসের মানরক্ষা করলেন নোভাক জকোভিচ। অলিম্পিকে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা।উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জকোভিচ জানিয়েছিলেন তিনি অলিম্পিকে নামতে পারেন। শেষ পর্যন্ত নামার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, দেশের সেরা ক্রীড়াবিদদে সঙ্গে টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের লড়াইয়ে নামব ভেবেই আমি গর্বিত। টোকিও যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। দেশের হয়ে খেলতে নামাটা আমার কাছে অনুপ্রেরণার। এই বছরে ইতিমধ্যেই তিনতিনটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন জকোভিচ। যেরকম ফর্মে রয়েছেন, ইউএস ওপেন জেতারও সম্ভাবনা রয়েছে। অলিম্পিকেও সোনা জিততে পারেন। যদি সোনা জেতেন এবং ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন, তাহলে একই বছরে অলিম্পিকে সোনা ও ৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জেতার নজির গড়বেন।এদিকে, জাপানে করোনার সংক্রমণ আরও তীব্র হয়ে ওঠায় টোকিও অলিম্পিকের নিয়ম আরও কঠোর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে। অলিম্পিক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইভেন্ট চলার সময় সব প্রতিযোগী, উপস্থাপক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে থাকতে হবে। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। পুরস্কার বিতরণী শেষে একসঙ্গে ছবি তোলার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।এতদিন পোডিয়ামে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পুরস্কার নিয়ে এসেছেন প্রতিযোগীরা। এবার পোডিয়ামে মডিউল লাগানো হবে। এর ফলে পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকবে। সকল উপস্থাপককে অলিম্পিক শুরুর আগে বাধ্যতামূলক করোনার টিকা নিতে হবে। প্রতি ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থাপক ছাড়াও একজন অলিম্পিক সংস্থার সদস্য এবং একজন আন্তর্জাতিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি থাকবেন।বৃহস্পতিবার আন্তর্জতিক অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ টোকিওর গভর্নর ইউকে কোইকির সঙ্গে দেখা করেছেন। তার আগে তিনি অলিম্পিক ভিলেজ পরিদর্শন করেন। এবারের অলিম্পিক দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ভিআইপি অতিথি হাজির থাকতে পারেন। বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগী, অফিসিয়াল মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

জুলাই ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wimbledon : বেরেত্তিনিকে হারিয়ে ফেডেরার, নাদালকে ধরে ফেললেন জকোভিচ

মাত্তেও বেরেত্তিনিকে হারিয়ে ষষ্ঠবার উইম্বলডন খেতাব জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। এই নিয়ে টানা তিন বার। একই সঙ্গে তিনি স্পর্শ করলেন টেনিস ইতিহাসের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড় রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। মাত্তেও বেরেত্তিনির বিরুদ্ধে জয় অবশ্য সহজে আসেনি জকোভিচের। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার লড়াইয়ে ৬৭ (৪৭), ৬৪, ৬৪, ৬৩ জেতেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা।Kiss from a rose 🌹Novaks done this 20 times. But the feeling will remain as sweet as ever. #Wimbledon pic.twitter.com/uHEmY7MOtp Roland-Garros (@rolandgarros) July 11, 2021বিশ্ব টেনিস সার্কিটে শেষ পাঁচ বছরে আধিপত্য দেখিয়ে আসছেন নোভাক জকোভিচ। যদি এদিন বেরেত্তিনির বিরুদ্ধে নাও জিততেন, তবুও ফেডেরার, নাদালের রেকর্ড স্পর্শ করতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হত না। কারণ দুই টেনিস তারকাই খেলোয়াড়ী জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। আর নোভাক জকোভিচ এই মুহূর্তে ফর্মের চূড়ান্ত শিখরে। এদিন উইম্বলডন ফাইনালের প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটা সময় ৫২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন জকোভিচ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বেরেত্তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ৭৬ (৭৪) ব্যবধানে সেট জিতে নেন বেরেত্তিনি। প্রথম সেট হারলেও দুরন্ত লড়াই করেন জকোভিচ। The moment @DjokerNole became #Wimbledon champion for the sixth time pic.twitter.com/5xN8ogWYYT Wimbledon (@Wimbledon) July 11, 2021দ্বিতীয় সেটে দারুণ প্রত্যাবর্তন নোভাক জকোভিচ। ৬৪ ব্যবধানে জিতে নেন। তৃতীয় সেটও একই ব্যবধানে জিতে নেন। প্রথম সেট জেতার পর মাত্তেও বেরেত্তিনি ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকেন। অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ বার করে নেন জকোভিচ। চতুর্থ সেটে বেরেত্তিনির দুটি সার্ভিস ব্রেক করেন জকোভিচ। ৬৩ ব্যবধানে জিতে খেতাব জিতে নেন।Congrats Novak on your 20th major. Im proud to have the opportunity to play in a special era of tennis champions. Wonderful performance, well done! Roger Federer (@rogerfederer) July 11, 2021২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন জকোভিচ, ২০২১ সালে এসে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। ৯ বার অস্ট্রেলীয় ওপেন, ২ বার ফরাসি ওপেন এবং ৩ বার ইউএস ওপেন জিতেছেন নোভাক জকোভিচ। নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতলে ৫০ বছরের বেশি সময় পর কোনও পুরুষ সিঙ্গলস খেলোয়াড় ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্লাম জিতবেন। রড লেভার ১৯৬৯ সালে এই অনন্য নজির গড়েছিলেন।

জুলাই ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Samir Bandyopadhyay : আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণের

নাসরীন সুলতানাবয়স মাত্র ১৭। বয়েজ কেরিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে নেমেই জিতে নিয়েছে সিঙ্গলস খেতাব। জুনিয়র উইম্বলডনের ফাইনালে জিতে ইতিহাস গড়ে ফেলল প্রবাসী বাঙালী সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১ ঘণ্টা ২২ মিনিটে স্ট্রেট সেটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভিক্টর লিলোভকে উড়িয়ে দিয়েছে। খেলার ফল ৭-৫, ৬-৩।এ বছর ফরাসি ওপেনে জুনিয়র সিঙ্গলসে নেমেছিল সমীর। প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। কিন্তু উইম্বলডনে বাজিমাত করল। ২০০৯ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শেষ ভারতীয় হিসেবে জুনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলস খেতাব জিতেছিল ইউকি ভামব্রি। ২০১৫ সালে ভিয়েতনামের পার্টনারকে নিয়ে উইম্বলডন বয়েজ ডাবলস খেতাব জেতেন। জাপানি পার্টনার নিয়ে এবার ডাবলস সেমিফাইনাল থেকে আগেরদিন বিদায় নিলেও সুমিত সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন হল।A future mens champion?Samir Banerjee might well be a name you become more familiar with in the future#Wimbledon pic.twitter.com/byAEBwBrSp Wimbledon (@Wimbledon) July 11, 2021লিলোভের বিরুদ্ধে একটা সময় প্রথম সেটে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল সমীর। তারপর লড়াইয়ে ফিরে আসে লিলোভ। তবে শেষ পর্যন্ত ৭-৫ গেমে প্রথম সেট জিতে নেয় সমীর। দ্বিতীয় সেটে প্রথম থেকে ভাল লড়াই হলেও লিলোভের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যায় সমীর। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লিলোভ। স্ট্রেট সেটে হারতে হয় তাকে। আগেরদিন ডাবলস সেমিফাইনালে হেরে গেলেও এবারের উইম্বলডনে যেভাবে আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে আসছেন এদিন তা বজায় রেখে নতুন ইতিহাস গড়ে সমীর।প্রবাসী বাঙালি সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে হলেও তার সাফল্যে গর্বিত বাঙালি। তার বাবামা আশির দশক থেকেই পাকাপাকিভাবে বসবাস করছেন আমেরিকায়। নিউ জার্সিতেই জন্ম সমীরের, তবে তাঁদের আদি বাড়ি আসামে। মার্কিন বাসিন্দা হলেও বাঙালি হিসেবে তিনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলসের ফাইনাল খেলছেন, এটাই গর্বিত বাঙালি। আইটিএফ ক্রমতালিকায় বিশ্বের ১৯ নম্বর সমীর কেরিয়ারের দ্বিতীয় জুনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন। বাবামায়ের উৎসাহেই টেনিসে আসা সমীরের। চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশি সে। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা কখনও ভাবেনি।

জুলাই ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wimbledon: উইম্বলডনের নতুন রানি অ্যাশলে বার্টি, তৈরি করলেন অন্য নজির

নাসরীন সুলতানা আগেও গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। কিন্তু উইম্বলডন জেতার মর্যাদাই আলাদা। তাই স্বপ্ন ছিল উইম্বলডন খেতাব। এই ট্রফিটা ক্যাবিনেটে শোভা না পেলে তাঁর টেনিস জীবন অপূর্ণই থেকে যেত। স্বপ্নপূরণ করতে মরিয়া ছিলেন। বেছে নিয়েছিলেন এবছরের উইম্বলডনকে। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। সেন্টার কোর্টে জীবনের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম জিতে নিলেন অ্যাশলে বার্টি। ৪১ বছর পর প্রথম অস্ট্রেলীয় মহিলা হিসেবে ট্রফি জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন। ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ৬৩, ৬৭(৬৪), ৬৩ সেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেন বার্টি।আরও পড়ুনঃ প্রতিবছর রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ, কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী? জানুনচেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিরুদ্ধে জয় অবশ্য সহজে আসেনি অ্যাশলে বার্টির। যথেষ্ট লড়ে জিততে হয় এই অস্ট্রেলিয়ান টেনিস তারকাকে। শুরুর দিকে ফাইনাল খেলার চাপ নিতে পারেননি ক্যারোলিনা প্লিসকোভা। প্রথম তিনটি গেমে একটা পয়েন্টও ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। চতুর্থ গেমে ডাবল ফল্ট করে ০৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন। তারপর খেলায় ফেরেন প্লিসকোভা। যদিও শেষ পর্যন্ত ৬৩ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে নেন বার্টি। প্রথম সেট জিততে সময় নেন ২৮ মিনিট।আরও পড়ুনঃ উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচের সামনে ইতালির বেরেত্তিনিদ্বিতীয় সেটে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেন প্লিসকোভা। একসময় ৩১ ব্যবধানে এগিয়ে যান অ্যাশলে বার্টি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান প্লিসকোভা। একসময় সমতা ফেরান। তখন খেলার ফল দাঁড়ায় ৩৩। সমানে সমানে লড়াই চলতে থাকে। স্কোর ৫৫ হয়ে যায়। ৬৫ ব্যবধানে এগিয়েও যান বার্টি। এরপর সেট টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে অ্যাশলে বার্টি ডাবল ফল্ট করলে ৭৬ (৬৪) ব্যবধানে সেট জিতে নেন প্লিসকোভা। আরও পড়ুনঃ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার দোসর জিকা ভাইরাসতৃতীয় সেটের শুরু থেকেই অবশ্য অ্যাশলে বার্টির দাপট ছিল। প্লিসকোভার সার্ভিস ভেঙে ৩০ ববধানে এগিয়েও যান। এরপর আর বার্টিকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি প্লিসকোভা। নিজের সার্ভিস ধরে রেখে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম পাকা করেন অ্যাশলে বার্টি। ৪১ বছর পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান মহিলা হিসেবে উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হলেন। ১৯৮০ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ইভন গুলাগং। এটা বার্টির দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম খেতাব। এর আগে ২০১৯ সালে ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।

জুলাই ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wimbledon: ‌উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচের সামনে ইতালির বেরেত্তিনি

নাসরীন সুলতানারজার ফেডেরার ও রাফায়েল নাদালের রেকর্ড কি লন্ডনেই স্পর্শ করতে পারবেন নোভাক জকোভিচ? তাঁর সামনে এসে গেছে সেই সুযোগ। এখনও পর্যন্ত ১৯ বার গ্রান্ডস্লাম জিতেছেন জকোভিচ। রবিবার উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হলেই ফেডেরার ও নাদালের ২০টি গ্রান্ডস্লাম জেতার রেকর্ড স্পর্শ করবেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা।উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচের সামনে ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনি। ফাইনালে ওঠার পথে জকোভিচতে অবশ্য যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। কানাডার ডেনিস শাপোভালভকে হারান ৭৬, ৭৫, ৭৫ ব্যবধানে। এই নিয়ে ৩০ বার গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠলেন জকোভিচ। উইম্বলডনে ৭ বার। চ্যাম্পিয়ন হলে ষষ্ঠবার উইম্বলডন জেতার স্বাদ পাবেন। শাপোভালভ এদিন কঠিন চ্যালে়ঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন জকোভিচকে। ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত জকোভিচই বাজিমাত করেন।আরও পড়ুনঃ স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে শিয়েরারের, ১৯৮২র কথা মনে পড়ছে জফেরপুরুষদের অন্য সেমিফাইনালে হুবার্ট হুর্কাজকে হারিয়ে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে পৌঁছে যান ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে আট বারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেডেরারকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিলেন পোল্যান্ডের তারকা হুর্কাজ। শুক্রবার সপ্তম বাছাই বেরেত্তিনি তাঁর বিরুদ্ধে জেতেন ৬৩, ৬০, ৬৭, ৬৪ সেটে। এই প্রথম ইতালির কোনও খেলোয়াড় ঘাসের কোর্টে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলতে চলেছেন। শেষ গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে খেলেছিলেন আদ্রিয়ানো পানাত্তা, ১৯৭৬ সালে।আরও পড়ুনঃ ভারতশ্রীলঙ্কা সিরিজ কি অনিশ্চিত? আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে এসেছেএদিকে, আজ উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে মুখোমুখি অ্যাশলে বার্টি ও ক্যারোলিনা প্লিসকোভা। চ্যাম্পিয়ন হলে টেনিস জীবনে দ্বিতীয় খেতাব পাবেন অ্যাশলে বার্টি। অন্যদিকে ক্যারোলিনা প্লিসকোভা এই আগে মাত্র একটিই টেনিস মেজরের ফাইনালে খেলেছিলেন। ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই বড় চ্যালেঞ্জ চেক প্রজাতন্ত্রের এই তারকা খেলোয়াড়ের সামনে। বার্টিকে হারাতে পারলে নজির গড়বেন প্লিসকোভা। চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনে দুই শীর্ষ বাছাইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবেন তিনি। এর আগে ২০০০ সালে শীর্ষ বাছাই মার্টিনা হিঙ্গিসকে কোয়ার্টার ফাইনালে এবং দ্বিতীয় বাছাই লিন্ডসে ডাভেনপোর্টকে ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ভেনাস উইলিয়ামস। ২০০৫ সালেও দ্বিতীয় বাছাই মারিয়া শারাপোভাকে সেমিফাইনালে এবং ডাভেনপোর্টকে ফাইনালে হারান ভেনাস। প্লিসকোভা সেমিফাইনালে হারান দ্বিতীয় বাছাই আরিয়ানা সাবলেঙ্কাকে। এবার বার্টিকে হারানোর সুযোগ।

জুলাই ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

লাইন জাজকে মেরে বিদায় জকোভিচের

যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকে অবাক বিদায় নোভাক জকোভিচের। রবিবার ৬ সেপ্টেম্বর আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে চলছিল চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। স্পেনের পাবলো ক্যারেনো বুস্তার কাছে প্রথম সেটে ৫-৬-এ পিছিয়ে পড়েন এদিন ছন্দে না থাকা বিশ্বের ১ নম্বর জকোভিচ। হতাশায় নিজের পিছন দিকে বল ছুঁড়ে মারেন তিনি, যেটি গিয়ে লাগে লাইন জাজের মুখের কাছে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ছুটে যান জোকার, আঘাত গুরুতর না হলেও ক্ষমা চেয়ে নেন। ছুটে আসেন টুর্নামেন্ট রেফারি, চেয়ার আম্পায়ার, সুপারভাইজাররা। তাঁদের জকোভিচ বোঝান কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না, ওই মহিলা লাইন জাজকে হাসপাতালে নেওয়ার দরকারও নেই। কিন্তু অফিসিয়ালদের এভাবে দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা বিফলে যায়। নিয়ম অনুযায়ী এবারের ইউ এস ওপেনে আর নামতে পারবেন না বিশ্বের ১ নম্বর। রজার ফেডেরারের গ্র্যান্ড স্লাম রেকর্ডের আরও কাছে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে হলো না। পরে ইনস্টাগ্রামেও ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন জকোভিচ।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal