EURO 2020: স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে শিয়েরারের, ১৯৮২–র কথা মনে পড়ছে জফের
নাসরীন সুলতানানিজের ফুটবল জীবনে দেশের জার্সি গায়ে কখনও ট্রফির স্বাদ পাননি। তাঁর দেশ বড় আসরে শেষবার ট্রফি জিতেছিল ১৯৬৬ বিশ্বকাপ। তখনও জন্ম হয়নি অ্যালান শিয়েরারের। তবে ফুটবলার হিসেবে অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। দেশের ইউরো কাপের ফাইনালে ওঠা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, ইতালির প্রাক্তন অধিনায়ক দিনো জফের ১৯৮২ বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আরও পড়ুনঃ স্প্যানিশ তারকা এডু গার্সিয়াকে ছেড়ে দিচ্ছে এটিকেমোহনবাগানইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠা প্রসঙ্গে অ্যালান শিয়েরার বলেছেন, জন্মের পর থেকে ইংল্যান্ডকে কোনও বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে দেখিনি। আমার মতো ইংল্যান্ডের অনেক প্রজন্মই দেখেনি। এই দীর্ঘ অপেক্ষা এবারের ইউরো কাপে ফাইনালে ওঠা অন্য আমেজ এনে দিয়েছে। আমার কাছে রীতিমতো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেন, ইংল্যান্ডকে বড় আসরে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে দেখি ১৯৯০ বিশ্বকাপে। পশ্চিম জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ড হেরেছিল। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে ওই ম্যাচ দেখেছিলাম। ১৯৯৬তে আমি নিজেই দলে ছিলাম। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও দেশকে হারতে দেখেছি। এবার ইউরোতে অবিশ্বাস্য একটা মাস কাটালাম। এখন রবিবারের জন্য অপেক্ষা করছি। এবার আমাদের জিততেই হবে। আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহারঅন্যদিকে, ইতালির প্রাক্তন অধিনায়ক দিনো জফের হাত ধরেই ১৯৬৮ সালে ইউরো জিতেছিল ইতালি। তবে তাঁর কাছে জীবনের সেরা মুহূর্ত ১৯৮২র বিশ্বকাপ জয়। তিনি এবারের ইউরোতে রবার্তো মানচিনির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ১৯৮২র বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে। ইতালির এই কিংবদন্তী গোলকিপার বলেন, ১৯৮২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে এই দলের অনেক মিল পাচ্ছি। সব ফুটবলার দারুণ গতিতে ফুটবল খেলছে। অনেক খোলামেলা মনে হচ্ছে। রবার্তো মানচিনিরও প্রশংসা করেছেন দিনো জফ। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিচ্ছে মানচিনির জন্যই। দলকে দারুণ তৈরি করেছে। কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয় খুব ভাল জানে। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।