• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Seized

রাজ্য

অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর বদলে কেজি কেজি গাঁজা! চালাকিতে কাজ এল না, পুলিশের জালে ৫

আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর বদলে গাঁজা! বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে টাস্ক ফোর্স গাঁদা উদ্ধারের পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে ৫ জনকে। গতকাল গভীর রাতে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে লুকিয়ে উত্তর বঙ্গ থেকে কলকাতায় ঢুকছিল বিপুল পরিমাণ মাদক গাঁজা। খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গাতে বমাল পাঁচ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল এসটিএফ টিম। আটক পাচারে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ও একটি মারুতি সুজুকি সুইফ্ট। উদ্ধার হয়েছে একশো পাঁচ কিলো গাঁজা।গত রাতে একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল NH-12 (আগে NH34 নামে পরিচিত) মুর্শিদাবাদ থেকে কৃষ্ণনগর বাউন্ড একটি জায়গার কাছে অভিযান চালায়। বেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত গ্রীন পার্ক রিসোর্টের কাছে এবং পাঁচজন মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরা হল নিষিদ্ধ গাঁজা সমেত। এই অভিযানের সময় দুটি আইসিইউ লেখা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি মারুতি সুজুকি সুইফট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।এসটিএফ গ্রেফতার করছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের বাসিন্দা খায়রুল মোল্লা, আজগর আলী মন্ডল, শ্যামল ডলুই ও চম্পাহাটির প্রদীপ পাশী, ও অজয় সরোজকে। দুটো গাড়িতে উভয় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ টাকা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা কোনও সন্দেহ এড়াতে এবং বাধ্যতামূলক ট্র্যাফিক চেক এড়াতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে লুকিয়ে কোচবিহার থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছিল। এই নিয়ে বেলডাঙ্গা থানায় N.D.P.S-এর অধীনে একটি পুলিশ মামলা শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

নামি কোম্পানির নকল চাল পাচার করার অভিযোগে একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত

একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিস। একটি নামি কোম্পানির ব্যাণ্ডেড নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বস্তায় অন্য কোম্পানির ছাপ মারা নকল চাল পাচারের অভিযোগে লরিটির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম কৃষ্ণগোপাল ঘোষ। কেতুগ্রাম থানা এলাকায় তার বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, রবিবার রাতে মাধবডিহি থানা এলাকার একটি রাইস মিল থেকে চাল লোড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিস সেটিকে আটকায়।চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিসের সন্দেহ হয়, একটি নামি কোম্পানির নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী জড়িত। ধৃত চালককে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের আইনজীবী জানান, চালকের পক্ষে কোনটি আসল চাল, আর কোনটি নকল চাল তা জানা সম্ভব নয়। মূল অভিযুক্তকে পুলিস ধরতে পারেনি। চালককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করেছে।ধৃতকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদনও জানায়নি পুলিস। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের সওয়াল শুনে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়া এবং ধৃত লরির চালক ও হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না জানানোর কথা উল্লেখ করে তদন্ত শেষ না পর্যন্ত সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
দেশ

Terrorism: কলকাতায় জেএমবি, লখনউয়ে আল কায়দা!

দুই শহরে বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক। কলকাতায় ধরা পড়ল জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য। শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আপাতত জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গিরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। অন্যদিকে, এদিন সকালেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই আল কায়কা জঙ্গি। গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়েই লখনউয়ের কাছ থেকে ওই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয় রবিবার। কাকোরির একটি বাড়িতে দুই আল কায়দা জঙ্গি ঘাপটি মেরে আছে খবর পেয়েই বলে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস। পুরো অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আইজি জিকে গোস্বামী।আরও পড়ুনঃ মারণ রোগমুক্ত জীবন চান? রোজকার ডায়েটে রাখুন কালো খাবারযোগী রাজ্যের পুলিশের ওই অভিযান যখন চলছে উত্তরপ্রদেশে, ঠিক সেই সময়ই কলকাতায় ধরা পড়ল জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জেএমবি-র ৩ জঙ্গিই বড় মাপের নেতা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ধৃতরা সবাই বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসেছে। তবে তারা কী কারণে এসেছিল, কোনও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না, ওই সদস্যদের সঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। খাগড়াগড়-কাণ্ড যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এ ছাড়া মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এই সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা থেকে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এই জঙ্গিগোষ্ঠী যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। আরও পড়ুনঃ বোল্ড লুকে অভিনেত্রী সুরভী সান্যালঅন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরেই ওই দুই আল কায়দা জঙ্গির খোঁজ চলছিল। তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি প্রেসার কুকার বোমা, একটি ডেটোনেটর, ৬-৭ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড। আশেপাশের এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আসে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

জুলাই ১১, ২০২১
কলকাতা

Park Street-Party: করোনার ভয়াবহতা ভুলে শহরে উদ্দাম পার্টি! গ্রেপ্তার ৩৭

করোনার আতঙ্ক ভুলে মাঝ রাত পর্যন্ত উদ্দাম পার্টি। সরকারি বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডিজে বাজিয়ে পার্টি করলেন সমাজের অভিজাত শ্রেণির একদল মানুষ। মার্চ-এপ্রিলের মৃত্যুর ভয়াবহতা নিমেষে ভুলে এই মানুষরা কী করে এমনটা করতে পারলেন, তা নিয়ে আশ্চর্য হয়েছে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৭ জনকে প্রেপ্তার করা হয়েছে। করোনাকালে রাজ্যে এখনও বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে শিথিল হয়নি। পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত হোটেলে এর মধ্যেই পার্টি করতেই ব্যস্ত ছিলেন একদল অবিবেচক মানুষ। তাও আবার মধ্যরাত পর্যন্ত। ডিজে বাজিয়ে চলে উদ্দাম নাচাগানা। সঙ্গে মদের ফোয়ারা। কে বলবে অতিমারি পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছি আমরা! খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। পার্টির আয়োজকরা পুলিশের সঙ্গেই শুরু করে দেন তর্কাতর্কি। তারপর বাধে ধস্তাধস্তিও। শেষমেশ পুলিশ হোটেল থেকে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি গাড়ি। এছাড়াও ডিজের বিভিন্ন সামগ্রী। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুনঃ সৌমিতা সাহার প্রর্দশনী এনভিসেজিং মাইকেলহোটেলের নাইট ক্লাবে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল পার্টি। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। তবে তাতে কিন্তু বিন্দুমাত্র পিছপা হননি পার্টির আয়োজকরা। বরং পুলিশের সঙ্গেই শুরু করে দেন তর্কাতর্কি। তারপর বাধে ধস্তাধস্তিও। শেষমেশ পুলিশ হোটেল থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে। সংক্রমণ প্রতিহত করতে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। লকডাউনে রীতিমতো জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে দিন আনা দিন খাওয়া, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের। কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সমস্ত কিছু স্বীকার করে নিয়েও সরকার লকডাউন সম্পূর্ণভাবে তুলে নিতে নারাজ, কেবল সংক্রমণকে প্রতিহত করতেই। রাজ্য সরকার রেস্তোঁরা, হোটেল খোলার নির্দেশ দিয়েছে কর্মসংস্থানের কথা ভেবে। কিন্তু এই সুযোগের যথেচ্ছ অপব্যবহার করছেন সমাজের একাংশের মানুষ বলে মনে করেন পুলিশ কর্তারা। তাই এইসব মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জুলাই ১১, ২০২১
দেশ

Heroin: মুম্বইয়ে আটক ২ হাজার কোটির হেরোইন

মুম্বইয়ে আটক করা হয়েছে ইরান থেকে পাচার করা প্রচুর পরিমাণ মাদক। জানা গিয়েছে, এই মাদক হেরোইনের বাজারমূল্য ২ হাজার কোটি টাকা। ইরান থেকে জলপথে মুম্বইয়ে এসে পৌঁছেছিল এই মাদক। কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়ার আগেই আটক করে রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা। আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেসাম্প্রতিক সময়ে এত বেশি পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়নি ভারতে। রাজস্ব দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়ার হেরোইনের ওজন ৩৮৩ কেজি। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। নবি মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দর থেকে সড়কপথে সেই মাদক পঞ্জাবে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল বলে খবর। এই মাদক পাচারের সঙ্গে যোগ থাকায় তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে দুজন মধ্যপ্রদেশ ও এক জন পঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের জেরা করছে পুলিশ। এই মাদক পাচারের পিছনে কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম মামলা কী শুনবেন কৌশিক চন্দ? বুধবার রায়এর আগে গত ২৮ জুন দিল্লি বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই নাগরিকের কাছ থেকে ১২৬ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। গত ৬ মাসে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে মোট ৬০০ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেশে এ ভাবে মাদক পাচারের ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন রাজস্ব ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। বিমানবন্দর ও বন্দরে নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
কলকাতা

Fake Officer: ফের শহরে গ্রেপ্তার ভুয়ো অফিসার

দেবাঞ্জন-কাণ্ডের পর শহরে একের পরেক ভুয়ো অফিসারের খোজ পাওয়া যাচ্ছে। ফের শহরে ভুয়ো এক সরকারি অফিসার গ্রেপ্তার। নীল বাতির গাড়ি নিয়ে জালিয়াতিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই অভিযুক্তকে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে ধৃতের নাম সনাতন রায়চৌধুরী। জানা গিয়েছে, সনাতন নিজেকে স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের আধিকারিক পরিচয় দিতেন। নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতেন। দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর থেকেই শহরের নীল বাতি লাগানো গাড়ির ওপর নজরদারি বেড়েছে পুলিশের। রাস্তায় চলছে চেকিংও। নীল বাতি লাগানো গাড়ি দেখলে, তা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরকম ভাবেই সনাতনের গাড়ি থামানো হয়। সনাতন এই নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে কী কী সুবিধা ভোগ করেছেন, আদৌ দেবাঞ্জনের মতো প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ আত্মঘাতী কিশোরী ক্যারাটে খেলোয়াড়, গ্রেপ্তার ১প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিকের পরিচয় দেন। কিন্তু যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেন না। চাপ বাড়াতেই ঘাবড়ে যান তিনি। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। গত সপ্তাহেই, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার সেজে গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘোরার অভিযোগ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেনিয়াপুকুর থেকে মহম্মদ সাদিক নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরচেকিংয়ের সময়ে গত মঙ্গলবার বেনিয়াপুকুর থানার নিউ পার্কস্ট্রিট এলাকায় এ ধরনের একটি লাল বাতি লাগানো গাড়ি দাঁড় করান পুলিশ কর্তারা। তাতে নীল বাতি লাগানো ছিল আর সামনে ভিআইপি পার্কিং লেখা ছিল।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেপ্রসঙ্গত দেবাঞ্জন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এরকম ভুয়ো সরকারি আধিকারিকদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। দেবাঞ্জন কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের সময় ভুয়ো গাড়ি, বাতি ব্যবহার করে ভোট প্রভাবিত করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের মত আরও অনেকেই তাতে যুক্ত ছিলেন। সঠিক তদন্ত না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।

জুলাই ০৬, ২০২১
কলকাতা

কুণাল ও শতাব্দীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

সারদা চিটফান্ড-কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল তৃণমূলের বীরভূমের অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ ও সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের অন্যতম সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের। শনিবার ইডি-র তরফে টুইট করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা জানানো হয়। ইডি-র তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, কুণাল ঘোষের প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও ভোটের মরসুমেই কুণাল সারদা থেকে পাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শতাব্দীর কত পরিমান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, কুণাল ও শতাব্দী দুজনেই সারদা গোষ্ঠীতে কর্মরত ছিলেন। শতাব্দী ছিলেন তাঁদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, আর কুণাল ছিলেন সারদার গ্রুপ মিডিয়ার সিইও। আর দেবযানী ছিলেন সারদা কর্তার সহযোগী। রাজ্য রাজনীতির কারবারীদের মতে, ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র পাশাপাশি সিবিআই-ও বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে।চিটফান্ড-কাণ্ডে বরাবরই তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলে এসেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এ বার সেই তদন্তে পদক্ষেপ করতেই প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির।

এপ্রিল ০৩, ২০২১
রাজ্য

বিনয় মিশ্রর কলকাতার বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

গোরু পাচার-কাণ্ডে দ্রুতগতিতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ভারত ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা এই চক্রের চাঁইদের জালে পুরতে তৎপর হয়েছেন গোয়েন্দারা। এবার পাচারচক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনয় মিশ্রর একটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।সূত্রের খবর, কলকাতার রাসবিহারী এলাকায় পলাতক বিনয় মিশ্রর একটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল বাড়িটি। গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে নিজের নাম না জড়িয়ে অনন্ত ট্রেড কম নামের একটি সংস্থার নামে বাড়িটি রেজিস্টার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গোরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সঙ্গে সমান্তরাল তদন্তে চালাচ্ছে সিবিআই। গত মাসে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এর আগে আদালতে জমা দেওয়া প্রথম চার্জশিটে গোরু পাচার-কাণ্ডে এনামুল হক ও বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারের নাম ছিল। সূত্রের খবর, গোরু পাচারচক্রের মূল-পাণ্ডা এনামুল হকের থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের একাংশ নেতার কাছে পৌঁছে দিতেন বিনয় মিশ্র বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোরু ও কয়লা পাচার-কাণ্ডের রাঘব বোয়ালদের জালে তুলতে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

মার্চ ১৯, ২০২১
কলকাতা

ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, গ্রেপ্তার ৬

রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় চলছে ধরপাকড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ৩টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার রাত আটটা নাগাদ ইন্দ্রনীল সেন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তিনি ছিলেন চন্দননগরে। অভিযোগ, তারই মাঝে বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। কসবায় মন্ত্রীর বাড়ির কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের বিপরীতে একটি মুদিখানা দোকানের পাশ থেকে বোমা ছোঁড়ে ওই দুষ্কৃতীরা। বিকট শব্দে বোমা ফাটে। কসবার মতো এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চন্দননগর থেকে ফেরার পর এই ঘটনার কথা জানতে পারেন ইন্দ্রনীল সেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরা শুরু করে। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ধৃতদের নাম হল গৌতম মণ্ডল, অশোক বৈদ্য, সোনু সাউ, রাহুল রায়, ভোলা পাসোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটর বাইকও। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
রাজ্য

হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা সহ ধৃত ১

কয়েক লক্ষ টাকা ভরতি ব্যাগ নিয়ে হাওড়া স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিল এক ব্যক্তি। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সেই ব্যক্তির খোঁজেই তল্লাশি চালাচ্ছিল আরপিএফ জওয়ানরা। তল্লাশি চালানোর সময় জওয়ানদের চোখে পড়ে পাশের ক্যাব রোডে পিঠে নীল রঙের পিট্টু ব্যাগ নিয়ে এক ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছে। জওয়ানদের দেখে ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল সে। তার কাছ থেকে ২৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৮নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ধৃত ব্যক্তির নাম সরোজ কুমার(২৪)। বিহারের বেগুসরাই জেলার ছেরিয়া বারিয়ারপুর থানা এলাকার ১০নম্বর ওয়ার্ডের সাপুরের বাসিন্দা। আরও পড়ুন ঃ পূর্বস্থলীতে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধা্র সে আরো জানায় শনিবার ডাউন পাটনা-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস হাথিদাহ জংশন থেকে হাওড়া আসে ওই বিপুল পরিমাণ নগদ নিয়ে। ওই টাকা কলকাতার বউবাজারের এক সোনার দোকানে দেওয়ার জন্য তাকে দিয়েছিলেন তার মালিক পবন। এরপরে তাকে আরো নানা কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ নিজেদের হেফাজত থেকে নগদ অর্থসহ ধৃত ব্যক্তিকে হাওড়া জিআরপিকে হস্তান্তর করা হয়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal