• ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শুক্রবার ২১ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Press

রাজ্য

আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা বিজেপির

রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচির পালটা আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা করল বিজেপি। বুধবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে বলেন, সকলের সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচার, স্বৈরাচারের কথা তুলে ধরা হবে। জানালেন, ৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। ওইদিন থেকে সব বুথে বুথে এই অভিযান শুরু হবে। ১ কোটির বেশি মানুষের কাছে যাবে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন তিনি বলেন, আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ত্রাণের টাকা পায়নি, শুধুমাত্র তৃণমূলের লোকেরাই ত্রাণের টাকা পেয়েছে। তেমনি করোনার সময় মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়েও দুর্নীতি করেছে এই সরকার। এছাড়াও ২০০৯ সালে আয়লা এসেছিল তখন পাঁচ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে আসে কিন্তু তখনও সেই টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়। দিলীপের দাবি, আমফানের তদন্তের সাথে সাথে আয়লারও তদন্ত করা হোক। আরও পড়ুন ঃ ভাতা নয় চাকরি চাই , এই দাবিতে যুবশ্রীদের বিক্ষোভ বর্ধমানে দুয়ারে একুশের ভোট। তাই ডিসেম্বরের পয়লা তারিখ থেকেই মানুষের দুয়ারে সরকার। নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত ১২ প্রকল্প-সহ অভাব, অভিযোগ, সমস্যা শুনতে মঙ্গলবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লকের সমস্ত পরিকাঠামো নিয়ে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগামী দুমাস ধরে চারটি পর্যায়ে হবে শিবির। এখান থেকে ১২টি পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা কার্যত ঘরের দুয়ারে গিয়ে হাতে হাতে পৌঁছে দেবে প্রশাসন। সেই সঙ্গে জনসাধারণের অভাব, অভিযোগ ও সমস্যার কথাও শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটসঅ্যাপ প্রসঙ্গে সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দুকে খুশি করতে বুড়ো খোকারা নেমেছিলেন। কাল রাতে আমার কাছে ফোন এল শুনলাম সব ঠিক হয়ে গেছে। সকলের হাসিমুখ। আবার শুনছি এসব। যুবকরা কিছুতেই তৃণমূলের বুড়ো খোকাদের কথা শুনছে না।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের

বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি রয়েছে। বুধবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে রোজগারের জন্য বাইরে থেকে বাংলায় আসছেন মানুষ। গঙ্গার পাড়ে জুটমিলে বেশিরভাগ বাংলার বাইরের মানুষ কাজ করতেন। বাংলায় যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের অবদান বেশি। রাজ্যে কাজ করা বিহারীরা যদি বহিরাগত হয় তাহলে পিকে কে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শাহরুখ খান বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হওয়া নিয়েও রাজ্যকে কটাক্ষ করেন। আরও পড়ুন ঃ উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল এছাড়াও এদিন ক্যানিং স্ট্রিটের চায়ে-পে-চর্চায় দিলীপ ঘোষ বলেন, এতদিন তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ চলছিল, এখন মানভঞ্জন চলছে। এখানেই শেষ নয়, সরকারি মঞ্চ থেকে দুয়ারে সরকারের নামে দলের প্রচার হলে আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। নির্বাচন কমিশনেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বাবুয়া বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, কে গুন্ডা , সবাই জানে। এছাড়াও প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি যখন যোগাভ্যাস করছিলেন ঠিক সেই সময় কিছুটা দূরে রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাবউদ্দিন কয়েকজন কর্মী নিয়ে সব বেচে দে গেঞ্জি পরে অভিনব কায়দায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান। এই প্রতিবাদের বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এতদিন দিদির অনুপ্রেরণায় সবকিছু কেনাবেচা করছিলেন, এখন দাদার অনুপ্রেরণায় যোগাভ্যাস করছেন। আমি বলছি ওয়েলকাম, খুব ভালো কথা। কে কাকে বেচছে সে তো সবাই জানে। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে সব বেচে দে। চলুন সব বিক্রি করুন। এরপর হবে সব কিনে নে। এই যে কেনা বেচার যে ব্যবসা , এটা পশ্চিমবাংলায় আর চলবে না।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

আমিও বাংলা হরফে লিখে গুজরাতি ভাষা বলতে পারি, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার

আমফানের টাকা নিয়ে এত কথা হচ্ছে। কিন্তু পিএম কেয়ার্সের লক্ষ ্লক্ষ কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল? মঙ্গলবার এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হন বিজেপি নেতারা, তার জবাবে মমতার সাফ কথা দুর্নীতি তো দূরঅস্ত, সরকারের টাকায় চা-ও খান না তিনি। এও জানালেন যে তাঁর লেখা বই বিক্রির টাকাই আয়ের উৎস। নির্বাচনী লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে ফের বলেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি বাংলার মানুষ ছাড়বে না। তাঁর আক্রমণ, সিপিএম বিজেপির সর্দার। পরিকল্পনা করে তৃণমূলের বদনাম করা হচ্ছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই তিনি বলেছিলেন, ডাক পেলে তিনি দিল্লি যেতে প্রস্তুত। আর আজ কেন্দ্রের নয়া কৃষিনীতি নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, অটলজি থাকলে এই আইন সমর্থন করতেন না। আরও পড়ুন ঃ নাম করে অভিষেককে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের তিনি আরও বলেন, টেলিপ্রম্পটারের দৌলতে এখন এ সবই সম্ভব। গুজরাটি হরফে বাংলা লিখে উচ্চারণ করা কোনও ব্যাপারই নয়। বাংলা বললেই বাঙালি হয় না। আমিও গুজরাটি ভাষা বাংলা হরফে লিখে বাংলা বলতে পারি। টেলিপ্রম্পটারে সম্ভব সব। তাই কেউ বাংলা বললেই তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। এছাড়াও দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোট চার দফায় ক্যাম্পগুলি বসবে। প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে ওই ক্যাম্পেই যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যে একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্যাবিনেট বৈঠকে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় জানান, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হল। উইপ্রো জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। সেই আরজি মেনে তাদেরও জমি দেওয়া হবে। এদিকে কলকাতায় আরও একটি ইউনিট খুলতে চলেছে ইনফোসিস। তাঁর কথায়, এই শিল্প তৈরি হয়ে গেলে বাংলার যুব সম্প্রদায় চাকরি পাবে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। তবে শুধু কলকাতা, নিউটাউন নয়। রাজ্যেরে বিভিন্ন প্রান্তেই বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা। জলপাইগুড়িতে একটি সিমেন্ট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নেতার যোগ তৃণমূলে বড় ঘোষণা করা হয়েছে জমির বকেয়া খাজনা নিয়েও। লকডাউনের জেরে মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। আবার মানুষের হাতে টাকারও অভাব রয়েছে। ফলে অনেকেই ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জমির খাজনা মেটাতে পারেননি। ভূমি আইন অনুযায়ী, সেই বকেয়া খাজনা মেটাতে হলে চড়া হারে (৬.২৫%) সুদ দিতে হবে। তাই ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

বিজেপি নেতার যোগ তৃণমূলে

মঙ্গলবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন লিওস কুজুর। ২০১৬-তে কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপি নেতা লিওস কুজুর। তিনি জানান, শাসকদল আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই আদিবাসী মানুষেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করতে পাকরছেন। মানুষের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করলাম। আরও পড়ুন ঃ মাঝেরহাট ব্রিজের নাম জয় হিন্দ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লিওস কুজুর। ২০১৬-তে উত্তরবঙ্গের কুমারগ্রাম বিধানসভার বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, প্রতিদিনই বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্য অনেকে মুখিয়ে রয়েছে। ঠিক সেসময় শ্রমিক ও আদিবাসীদের নেতার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

মাঝেরহাট ব্রিজের নাম জয় হিন্দ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মাঝেরহাট ব্রিজের নতুন নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিজের নতুন নাম হয়েছে জয় হিন্দ। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ৩ তারিখ উদ্বোধন করা হবে মাঝেরহাট ব্রিজ। এবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ১২৫ তম জন্মদিন। সেই কারণে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তার মধ্যে প্রথম হল মাঝেরহাট ব্রিজের নাম পালটে করা হচ্ছে জয় হিন্দ। আমি চাই জয় হিন্দ লোকের মুখে মুখে ফিরুক, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন ঃ সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে পাশাপাশি রাজ্যের লোকশিল্পী ও সাংস্কৃতিক শিল্পীদের জন্য নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, রাজ্যে ৬১৭টি মেলার আয়োজন করা হয়েছে ৷ এই মেলার জন্য লোকশিল্পী ও সাংস্কৃতিক শিল্পীরা উপকারিত হবেন। তিনি আরও দাবি করেন, এই মেলার জন্য ১৫৬ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে। ৩ দশমিক ৬৪ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সমগ্র বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে বাংলা মোদের গর্ব বইটিতে। এদিন বইটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল নেতৃ্ত্বকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

তৃণমূল এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়েদের মতো বুড়ো খোকাদের বার করেছেন সোনার বাক্স থেকে। ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ ফের শাসক দলের নেতৃত্বের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মাঝখানে যত নেতা ছিল হয় পালিয়েছে, নয় চুপ করেছে, আর সবে মুখ খুলতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, যাঁরা দল (তৃণমূল) ছেড়ে পালাচ্ছেন তাঁরা ইঁদুর। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, বাকিরা ইঁদুর হলে সৌগতবাবু কি মোষ? ওঁকে কেউ দলে নেবে না। তাই উনি তৃণমূলে পড়ে রয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতায় জিততে পারেননি বলে কাঁথি গেছেন। তৃণমূল অর্থবদের দলে পরিণত হয়েছে। যাঁরা নেতা ছিল তাঁরা হয় পালিয়ে গিয়েছেন, নয়তো চুপ করে গিয়েছেন। যাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরাই ওই দলে পড়ে রয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি- সরকার এই ধরণের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কিছু পায়নি। পার্টির লোকেরা কাটমানি পেয়েছেন। এগুলো সব স্ট্যান্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে। আর কিছু না। একবার রাস্তায় নেমে জিজ্ঞেস করুন কে স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পেয়েছে, সব লোককে বোকা বানানোর রাস্তা। বাংলার লোক আর বোকা হতে রাজি নন। আগের যে সমস্ত কার্ড দিয়েছিল সেগুলো কোথায় গেল তার হিসাব দিতে হবে আর কেউ ভুলবে না। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক এসে কোন নেতা কী পড়বেন, কী খাবেন, কখন ওষুধ খাবেন-সব ঠিক করে দিচ্ছেন। বাংলায় এমন রাজনীতি আগে ছিল না। এই রাজনীতি বাংলার মানুষ মানতে পারবেন না। তিনি জানান, গুণ্ডা মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তার কোনও জবাব এখনও মেলেনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন

বিজেপির সঙ্গে বাংলার আত্মিক যোগাযোগ নেই। সোমবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, বাংলার জন্য বিজেপির আন্তরিকতা নেই। কিন্তু তৃণমূল বাঙালি অবাঙালি ভাগ করে না। যে গব্বর সিংগুলিকে বাংলায় আমদানি করা হচ্ছে তাদের বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। সেটা সিনেমাতেই ভালো লাগে। ইন্দ্রনীল সেন আরও বলেন, লোকশিল্পীদের পাশে কোনও বিজেপি নেতা দাঁড়ায়নি। লোকশিল্পীদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আরও পড়ুনঃ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ দিলীপ ঘোষের আইনজীবীর রাজ্যের প্রকল্প পৌঁছে দিতে দুয়ারে দুয়ারে সরকার-এর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, রাজ্যের প্রকল্প অনুকরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু কেন্দ্র নয়, অন্য রাজ্যও বাংলাকে অনুকরণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন তিনি তিনি নাম না করে দিলীপ ঘোষকে মিস্টার বিন বলে উল্লেখ করেন। গুন্ডা শব্দ নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে সে বিষয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, অভিষেক ব্যানার্জীর সৎসাহস আছে তাই মঞ্চ থেকে এ কথা বলতে পেরেছেন। বলেন, গুন্ডামি মানুষ সিনেমায়, যাত্রায় বা নাটকে দেখতে ভালবাসে কিন্তু এলাকায় দেখতে অভ্যস্ত নন। বাংলার মানুষ গুন্ডাদের এখানে আমদানিও করবেন না।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

ভাইপোকে খোকাবাবু বলে কটাক্ষ দিলীপের

কে গুন্ডা সে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনেই আমরা দেখেছি। সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অভিষেকের গতকালের মন্তব্যের পালটা আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অভিষেক ৭ কোটি টাকার বাড়িতে থাকে, কনভয়ে ২৫টা গাড়ি ও আরও অনেক কিছু থাকে তাই কে মাফিয়া বোঝাই যাচ্ছে। হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে এসব বলছেন। আদর করে ভাইপো বললে আপত্তি কোথায়। আমি ভাইপো বলি না। আমি খোকাবাবু বলছি। ওঁকে খোকাবাবু বলব না তো কী! উনি কোলে চড়ে রাজনীতিতে এসেছেন, এখনও কোলেই আছেন। দিল্লিতে যুবরাজকে পাপ্পু বলা হয়। পাপ্পু বলা হবে। ভাইপো বললে ক্ষতি কি হয়েছে? চিৎকার চেঁচামিচি করে কিছু হবে না। লোক জানেন সব কিছু। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করে কোনও লাভ নেইঃ সুজিত তিনি আরও বলেন, যে লোকেরা পার্টির জন্য প্রাণ দিল তারা আজ ব্রাত্য আর উনি কোলে চড়ে এসে সাংসদ হয়ে গেলেন। বিগত ১০ বছরে প্রাইভেট প্রপাটি বানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের কালিঘাট থেকে বের করে জায়গা দখল করা হয়েছে। আমাকে গুন্ডা, মস্তান বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যা করছি তা যদি গুন্ডামি হয় তবে তাই। আমি সবে গুন্ডামি শুরু করেছি। গুন্ডামির কিছুই দেখেননি এখনও। অভিষেকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা আইনজীবীরা দেখছেন। তবে ক্ষমতায় এসে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। মানুষ সব দেখছেন ও বুঝছেন। মানুষ তুলতেও পারে-ফেলতেও পারেন।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলেরঃ দিলীপ

এই ডিসেম্বর মাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমি কাল যেটা বলেছি তৃণমূলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট শুরু হয়েছে। তাঁরা এখন ভাঙন ঠেকাতে মরিয়া। যে নেতারা কোনও্দিন বাইরে বেরোন না, তাঁরা বেরোতে আরম্ভ করেছেন। ডিসেম্বর মাসটা তৃণমূলের জন্য খুব চাপের। বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলের।তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। এরপরই ৭ তারিখের সভা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, মানুষ অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু জঙ্গলমহলে কোনও উন্নতিই ঘটেনি মমতা সরকারের আমলে। তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন জঙ্গলমহলে পড়ে থাকলেও কিছু হবে না।শেষ চেষ্টা করে দেখছেন। মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, মিহির গোস্বামী অভিমানে দলত্যাগ করেছেন। এরকম আরো হবে। ফের বাংলাকে গুজরাট বানানোর শপথ নেন তিনি। বলেন, গুজরাটে শিল্প হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে, উন্নতি হয়েছে। তাই বাংলাকে গুজরাট বানাবই। এছাড়াও শুভেন্দু ইস্যুতে দিলীপের বক্তব্য, টিএমসি-র কাউকে বহিষ্কার করার মত শক্তি নেই। তাহলে তো ফাঁকা হয়ে যাবে। সেজন্য আজকে তাঁরা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না। এখন কিছু করতে গেলে পার্টি একবারে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আরও পড়ুন ঃ আগামী ৬ তারিখ পাহাড়ে বিমল গুরুং জেপি নাড্ডা আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত তো সভা করছি। ওনারা সবে নেমেছেন। কারণ, তৃণমূলের ভাষণ শুনতে লোকে আসে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে , দূর দূর থেকে লোক নিয়ে আসতে হয়। তাই একবার পরীক্ষা করে নিচ্ছেন কি পরিস্থিতি। এখন ঘর সামলান আগে, তারপর সভা করবেন। গতকাল অনুকূল ঠাকুরের পুত্রের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সাক্ষাৎ নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, যত ধার্মিক সংগঠন আছে তাঁদের সমস্যা শোনা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজটা আমাদের পার্টি সব সময় করে থাকে। গতকাল মালদহের নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে কয়েকজন নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে বলেন, ওনারা একটু দেখে নিচ্ছেন কে আছেন, কে নেই। এই মাসেই দুধ-জল সব আলাদা হয়ে যাবে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
কলকাতা

নির্বাচন কমিশনে অসত্য তথ্য দিয়েছেন অর্জুন সিংঃ শশী পাঁজা

যারা নিজেরা মিথ্যে কথা বলেন, তাঁরাই অন্যদের অসম্মান করেন। শনিবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাষাতেই আগাগোড়া বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নপত্রেও অর্জুন সিং নিজের সম্পর্কে অনেক অসত্য বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এরপরেই দুটি সংস্থার নাম বলেন তিনি। যার একটি ব্যাঙ্গালুরু ও অন্যটি দুবাইয়ের। দাবি করেন, এই দুটি সংস্থার শেয়ার হোল্ডার অর্জুন সিং। শুধুমাত্র একটি সংস্থাতেই তাঁর ২ লক্ষ টারার শেয়ার রয়েছে। যা তিনি লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেননি। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি হচ্ছে ঝালমুড়ির মতোঃ ফিরহাদ শুধু তাই নয়, এদিন আবারও শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের কথা উল্লেখ করেন শশী পাঁজা। ওই মহিলা অর্জুন সিংয়ের স্ত্রী বলে দাবি করে তিনি বলেন, ব্যাঙ্গালুরুর ওই সংস্থায় শ্রাবন্তী সিনহা রায়েরও ২ লক্ষ টাকার বেশি শেয়ার রয়েছে। তাঁর সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের বিয়ের সার্টিফিকেটও রয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনে সেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন সাংসদ। এর ফলে মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, নিজের স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেননি যেই ব্যক্তি তিনি মহিলাদের সম্মান করবেন কীভাবে? এদিন শশী পাঁজা আরও বলেন, শিবসেনা, অকালি দলের মতো অনেক দলই এক এক করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন এনডিএ-র শরিক হয়েছে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স। শশী পাঁজা অর্জুন সিংকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, সে প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনার যা অভিযোগ , তা নির্বাচন কমিশনে বলুক। প্রকাশ্যে বলছেন কেন? ওরা আমার বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ ্করে। কিন্তু তার কোনটাই ধোপে টেকে না।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিতঃ দিলীপ

তৃণমূল সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পুরো ফেল। কিন্তু পার্টির যে ডিজাস্টার শুরু হয়েছে সেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দিদি এখন খুব ব্যস্ত আছে বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে দল বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ, তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। দিলীপবাবুর কটাক্ষ, পার্টির এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মিটিং এখন নিয়মিত হবে। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে হবে। প্রতিদিনও হতে পারে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মিহির গোস্বামীর দলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরু হয়েছে। আমরা আগেই বলছিলাম অনেকে এমএলএ আছেন যাঁরা জয়েন করবেন। সবে শুরু হয়েছে। দেখুন আরও এমএলএ এমপি আসবেন বিজেপিতে। মাসখানেকের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দশ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু হলে, আজকে এ অবস্থা হত না। লোকে পার্টি ছেড়ে পালাতো না। যে পার্টি থেকে এমপি চলে যায়, এমএলএ চলে যায়, মন্ত্রী চলে যায়, সে পার্টির আছেটা কি! এক মাসের পরে দেখবেন পার্টি বলে কিছু থাকবে না। শুভেন্দুর দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, সবই তো হাতে রেখেছেন। খালি পার্টিটা নিজের হাতে রাখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে আয় করতে বাধ্য হন এখানকার শ্রমিকরা। এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আগে এ রাজ্য থেকে আইএএস, আইপিএস তৈরি হত। তাঁরাই দেশজুড়ে কাজ করতেন। আর এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এখানে এখন স্রেফ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হয়। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, আমাদের ২১৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১ জন দল ছেড়েছে। কোনও সাংসদ দল ছাড়েননি। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি। আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করুন দিলীপ।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোকার বলে কটাক্ষ দিলীপের

নাম না করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি বঁনগায় চা চক্রে যোগ দেন। তিনি আরও বলেন, ওনার মুখ থেকে এখন অনেক জোকস শুনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হয়েও আহাম্মকের মতো কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আক্রমণ করে বলেন, এদের কান ধরে নামিয়ে দিতে হবে। তৃণমূল নেতাদের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না। রাজনীতিতে থাকার কোনও অধিকার নেই এদের। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল ছাড়লেন মিহির গোস্বামী মিহির গোস্বামীর দল ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলে কোনও ভদ্রলোক থাকতে পারবেন না। বিশ্বজিৎ দাস ও দুলাল বর তৃণমূল ছেড়ে চলে এসেছেন। অন্যান্য ভদ্রলোকেরাও দল ছেড়ে দেবেন,

নভেম্বর ২৭, ২০২০
কলকাতা

আমি দলেই আছিঃ রাজীব

আমি দলেই আছি। অন্য ভাবনার কোনও অবকাশ নেই। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে একথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে শুভেন্দু আধিকারীর হয়েও সওয়াল করলেন তিনি। অরাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হলেই এমন নয় যে দল থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু আমার সহকর্মী বন্ধু। আমরা যে কোনও সময়ে অরাজনৈতিক মঞ্চে যেতেই পারি। আমি আজকেও যাব। তার মানে এই নয় যে সেটা দলের বিরুদ্ধ। শুভেন্দু নিজেও জানিয়েছেন যে তিনি দল ছাড়েননি এবং নেত্রী তাঁকে তাড়িয়ে দেননি। সুতরাং জল্পনার কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রাজ্যের সমস্ত পরিবারঃ মমতা প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যেই আমফান পরবর্তী পর্যায়ে প্রকাশ্যে আসে হাওড়া জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। পূর্বতন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপ রায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন ওই জেলার তৃণমূলের নেতারা। পরে দলের সাংগঠনিক রদবদলের মাধ্যমে জেলা সভাপতি বদল করা হয়। পরিস্থিতি এখন তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সেই জল্পনা অতটাও জোরাল ছিল না।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

নেতাজি জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ কমিটি গঠন মুখ্যমন্ত্রীর

বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি হচ্ছে , বলে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নাটক করছেন বিজয়বর্গীয় । ছবি তুলবে বলে গ্রেপ্তারির নামে নাটক করেছেন। মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। রেলের অসহযোগিতায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। রেলের অনুমতি না পাওয়ায় কাজ শেষ করতে ৯ মাস দেরি হয়েছে। না হলে ৯ মাস আগেই শেষ হয়ে যেত। তিনি দাবি করেন, নেতাজি সম্পর্কিত অনেক তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত সব তথ্য সামনে আনেনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ কমিটি গঠন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পরে কলকাতা বিমানবন্দরের নামকরণ নেতাজির নামে করানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এর আগেই অবশ্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কমিটিতে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্মত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়,ব্রাত্য বসু, সুগত বসু শীর্ষেন্দু মুখ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়েরর উপাচার্যরাও স্থান পেয়েছেন এই কমিটিতে। কমিটির চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন তো দেখছি ইতিহাস পরিবর্তন করারও একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের বাদ দিয়ে, যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে রং করা হচ্ছে। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০২১-এর ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২২-এর ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কর্মপন্থা, ভাবাদর্শ, আন্দোলন, দেশপ্রেম চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি থাকবে। নেতাজির স্লোগান জয় হিন্দ গোটা দেশকে সংযুক্ত করে। বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শুধুমাত্র জন্মদিনটি জানি, মৃত্যুদিন এখনও জানি না। আজও তাঁর স্বজন, পরিবার ও সমর্থকরা জানতে পারলেন না, শেষ বিদায়টা আদৌ হয়েছিল কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল তাঁরা এবিষয়ে জানাবে। কিন্তু তারাও জানাতে পারেনি।নেতাজি সম্পর্কিত আজও অনেক সত্য আমরা এখনও জানতে পারিনি। আরও পড়ুন ঃ ধর্মঘট চাইছেন না বাংলার মানুষঃ দিলীপ কৃষকদের পাশে দাঁঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, নয়া কৃষি আইন কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই আইন কালোবাজারি-লুঠেরাদের সাহায্য করছে। ডাকলে আমিও দিল্লি যাব। আপনাদের পাশে দাঁড়াব। আন্দোলন করব। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার কৃষকদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এই আইন কৃষকদের মঙ্গলের জন্য আনা হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, দেশের জনতাকে মেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই চাষিদের ফসল বিক্রির অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, বিজেপি শুধু এক নেতা, এক দল, একার রাজনীতি চায়। আর কিছু না। এই দেশটা আমাদের সবার। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ওঁরা কোথায় ছিল? দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে ওঁরা। আমি সম্পূর্ণভাবে কৃষকদের সঙ্গে আছি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে রামায়ণ, মহাভারত, বাইবেল পড়া শেষ হয়ে যাবে। এছাড়াও বাঁকুড়ায় জোর করে স্থানীয়দের উচ্ছেদের খবর তার কাছে এসেছে বলেও জানান তিনি। রেল ওই এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
কলকাতা

ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রাজ্যের সমস্ত পরিবারঃ মমতা

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল রাজ্যের। কিন্তু এখন বাকি আড়াই কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না এমন প্রত্যেকটি পরিবারই এই প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। কার্ডটি গৃহকর্ত্রীর নামে ইস্যু হবে, সেক্ষেত্রে ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদেরও এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা করাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দুয়ারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করবে। সেখানে গিয়েই আবেদন করতে হবে। যথাসময়ে স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন। তিনি জানান, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে এমনিতেই বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। এই স্মার্টকার্ডের ফলে এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা মিলবে। শুধু তাই নয়, ভেলোর ও এইমসে চিকিৎসার সুবিধা মিলবে। এরজন্য রাজ্য অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে বলেও দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র তারাতলা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রকাশ্যে এনে তার সঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার তুলনাও করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, আয়ুষ্মান প্রকল্পে কেন্দ্রে চিকিৎসার ৬০ শতাংশ খরচ দেয়, ৪০ শতাংশ আমাদেরই দিতে হয়। আর আমাদের প্রকল্পে ১০০ শতাংশ খরচই দিই আমরা। এতে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হন। এ প্রসঙ্গেই তিনি কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য অর্থ নিয়ে ফের সরব হন। ফের অভিযোগ তোলেন যে রাজ্যগুলোর প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। সেই অর্থ হাতে না পেয়েও এত রকমের প্রকল্প করা হচ্ছে প্রতিকূলতা কাটিয়ে, তা দৃষ্টান্ত বলেও দাবি করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সরব কল্যাণ

ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টার করার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক বলেও দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুদীপ্ত রায়চৌধুরী গরুপাচারে যুক্ত। মানুষ পাচারের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ধৃত গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর হয়ে কেন টুইট করছেন রাজ্যপাল? কেন বাংলার রাজ্যপাল অভিযুক্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন? পশ্চিমবঙ্গের অনেক অপরাধীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপালের। আরও পড়ুন ঃ করোনায় আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান তাঁর আরও দাবি, তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পুলিশ-সহ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অসাংবিধানিক কাজ করছেন। যারা তদন্তে বাধা দেন কিংবা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। শেষে বলে যান, আগামী দিনে রাজ্যপাল সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্যায়ে পর্দা উন্মোচন করব। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই আইআরএস আধিকারিক নীরজ সিংয়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর আর্থিক দুনীতির অভিযোগ রয়েছে। বেনামী সম্পত্তিও রয়েছে। কলকাতা পুলিশ ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। পরে সেই তদন্তভার ইডি হাতে নিয়ে নীরজ সিংকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, ইডি তাঁর ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে। তবে পরবর্তীতে ওই মামলার কাগজ হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশও সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছিল।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

ধর্মঘট চাইছেন না বাংলার মানুষঃ দিলীপ

কোথায় ধর্মঘট? বাংলার মানুষ ধর্মঘট চাইছেন না বলেই সিপিএম এবং কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলকেই বিদায় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে স্কোয়ার ফিল্ডে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ধার্মিক দেশে ধর্মঘট নেই। এদিন দিলীপবাবু আরও বলেন, মুর্শিদাবাদে জেলায় আগে কংগ্রেস ও সিপিএম থাকলেও, তারা এখন ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল থাকলেও, তারা এখন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মেটাতে ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গে যে পরিবর্তন হবে তা বিজেপির হাত ধরেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন ঃ কান্দিতে খুন তৃণমূল নেতা মুর্শিদাবাদের কান্দিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য খুন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, মুর্শিদাবাদে খুন নতুন কোনও ঘটনা নয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় উগ্রপন্থী তৈরি হয়। সাধারণ মানুষের ভাবা উচিত মুর্শিদাবাদ জেলায় কি মারামারি আর উগ্রপন্থী তৈরি হবে, সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে, নাকি উন্নয়ন হবে? এছাড়াও এদিন তিনি মুর্শিদাবাদ জেলাকে দেশের মধ্যে সব থেকে গরিব জেলা এবং সমাজবিরোধীদের জেলা বলে দাবি করেন। এছাড়াও জেলাবাসীর কাছে তিনি আবেদন করেন, এখন ভাববার সময় এসেছে জেলার পরিস্থিতি কি এমনই থাকবে, নাকি উন্নয়নের হাত ধরে এগোবে।এদিন বেশ খোশ মেজাজে ছিলেন তিনি। ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়ে মাঠে খেলতে নেমে পড়েন তিনি।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
কলকাতা

সারা দেশে এক দল, এক ভাষা করতে চাইছে বিজেপিঃ সৌগত রায়

রাজ্য বিজেপি অন্তর্কলহে ক্লান্ত। বিজেপি মমতার সমান্তরাল মুখ তৈরি করতে পারছে না, যে কারণে ভিন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতাদের নিয়ে আসছে। আমাদের আশঙ্কা তাঁরা এখানে বিভাজনের রাজনীতি করতে আসছেন। যাতে আমাদের রাজ্যের শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি আরও বলেন, বিজেপি দেশের অনেক রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। আবার যেখানে ক্ষমতায় ছিল না, সেখানে দলত্যাগে উৎসাহ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী রাজ্য সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এটা করতে পারবে না। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সৌগত রায় বলেন, দেশে যেটা ঘটছে, সেটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। বিজেপি সারা দেশে এক দল, এক ভাষা করতে চাইছে। যা ভয়ঙ্কর চিন্তাভাবনা। আমাদের দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। আরও পড়ুন ঃ ৬০ বছর অবধি কাজের দাবিতে বিক্ষোভ সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারদের তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। কেন্দ্র কৃষকদের কথা ভাবে না। এমনিতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্যের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা মেটানো হচ্ছে না। এই সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেও রাজ্য সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। নিজের রাজনৈতিক জীবনে রাজনীতির মান এতটা নীচে নামতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি বলে দাবি করলেন সৌগত রায়।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

ভোল পালটে ছত্রধর মাহাতোকে দলে যোগ দেওয়ার বার্তা দিলীপের

ছত্রধর মাহাতোকে জেলে ঢুকিয়েছিল তৃণমূল সরকার। ভোট আসছে বলে তাকে আবার জেল থেকে বের করে আনা হয়েছে। সোমবার গোপীবল্লভপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে আসেন দিলীপ ঘোষ।সেখানেই একথা বলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছত্রধর মাহাতোকে বলছি, আপনি যে লড়াই মানুষের জন্য করেছেন, যাঁর জন্য করেছেন তিনি আপনাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আরও পড়ুন ঃ খেজুরিতে শুভেন্দুর কী বার্তা? কর্মসূচি বাতিল তৃণমূলেরও এবার ভোটের স্বার্থে আপনাকে জেল থেক বের করে রাজ্য কমিটিতে পদ দিচ্ছেন। আপনার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন। ভুলে যাবেন না, দিদিমণি আপনাকে বোকা বানিয়েছেন। উনি সারা রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।এসব বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। এরপর ছত্রধরের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য দিলীপের, আপনি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমরা যা বলি তাই করি।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের মায়ের ছবি তোলে দোষীর মেয়ে! আতঙ্কে বারাসত আদালত

বারাসত আদালতে সাজা ঘোষণার ঠিক আগেই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিল নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারে। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত এনজার নবীর সাজা ঘোষণা হওয়ার আগেই আদালত চত্বরে নিহত কিশোরের মা ও তাঁর ননদের ছবি তুলে নেয় অভিযুক্তের মেয়ে। তারপর সেই ছবি নাকি পাঠানো হয় আর এক খুনের আসামিকেএই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে যান মৃত কিশোর ফারদিনের মা। পরে বারাসত আদালত এনজার নবীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের ঘোষণা করে।রায় শোনার পর কান্না চেপে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিশোরের মা জানান, তিনি ও তাঁর ননদ আদালত কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎই দেখেন, এনজারের মেয়ে তাঁদের দুজনের ছবি তুলছে। এরপরই আদালতেরই এক খুনের আসামিকে ছবি পাঠিয়ে দেয় বলে দাবি তাঁর। নিহতের মা বলেন, তাঁর আরেক সন্তান রয়েছে। তাই এই ঘটনা শোনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের।ফারদিনের পিসি হোসনেআরা বেগমও দাবি করেন, যে ব্যক্তির সঙ্গে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছে, সে নাকি মাত্র চার মাসের মধ্যে খুনের মামলা থেকে জেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। সেই কারণেই তাঁরা আরও ভয় পাচ্ছেন।এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার স্পষ্ট বক্তব্যএটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারদিন খুনের মামলার পটভূমিতেও রয়েছে নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস। বারাসতের কাজিপাড়ায় দুই ভাইগোলাম নবী ও এনজার নবীর মধ্যে বহুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বই চরমে ওঠে তালগাছ কাটা নিয়ে। তার কয়েক দিন পরেই গত ২০২৪ সালের ৯ জুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় গোলামের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন। পরিবারের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় সে। চার দিন পর বাড়ির লাগোয়া পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এরপর নিজের দোষ ঢাকতে এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়াতে থাকে এনজার নবী। মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ভুয়ো খবর। শুধু এলাকাই নয়, সারা জেলাজুড়েও শুরু হয় ছেলেধরা সন্দেহে নানা মারধরের ঘটনা। পরে তদন্তে নামতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য, এবং ১৯ জুন এনজার নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে এই নৃশংস হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।কিন্তু সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের পরিবারের ছবি তোলা এবং তা কোনও অপরাধীর কাছে পাঠানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসত আদালত চত্বরে। পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেএই ঘটনার পিছনে কি নতুন কোনও চক্রান্ত? নাকি ভয় দেখানোর চেষ্টা? উত্তর দেবে তদন্তই।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

আবার বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু! রবিবার ৭ ঘণ্টার জন্য থমকে যাবে যাতায়াত

বিদ্যাসাগর সেতু আবারও বন্ধ থাকতে চলেছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ একটানা সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে আগামী রবিবার, ২৩ নভেম্বর। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনও গাড়িই উঠতে পারবে না সেতুর উপর। নির্দিষ্ট সময় পেরোলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতি রবিবারেই সেতুর মেরামতির জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর আগেও ১৬ নভেম্বর বিদ্যাসাগর সেতু বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। ওই দিন ভোর ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেতুর উপর যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেতুর হোল্ডিং ডাউন কেবল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিয়ারিংগুলির মেরামতিএই সব কাজই এখন দ্রুতগতিতে চলছে। সেই কারণেই নিরাপত্তার স্বার্থে এবং কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে সপ্তাহের শেষ দিনে কয়েক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে সেতু।এইচআরবিসির ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ভার বহন ক্ষমতা বজায় রাখতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অপরিহার্য। সেতুর বিশাল তার, বিয়ারিং ও স্টিল স্ট্রাকচার সবই অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই কাজ চলাকালীন যেকোনও দুর্ঘটনা এড়াতে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ রাখাই নিরাপদ।কলকাতা বা হাওড়া থেকে যাতায়াতকারী মানুষজনকে এই সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প পথ হিসেবে খোলা থাকবে হাওড়া ব্রিজ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে অনুমান। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করে বের হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।একটানা কয়েক রবিবার ধরে বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীই বিরক্ত হলেও, প্রশাসনের দাবিএই কাজ শেষ হয়ে গেলে সেতু আরও নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই আপাতত কিছুটা অসুবিধা হলেও সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

“এসআইআর বন্ধ করুন”—নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার, আতঙ্কে রাজ্য

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে তাঁর দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক ও অমানবিক। অবিলম্বে প্রক্রিয়া বন্ধ বা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক হাজার বিএলও দিনরাত রাস্তায় ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই, নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এতে এমন সব ভুল-ত্রুটি তৈরি হবে, যার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বইতে হবে। অনেক প্রকৃত ভোটার ভুলবশত বাদ পড়ে যেতে পারেন। মমতার কথায়, এভাবে চাপিয়ে দেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোটাধিকারই প্রশ্নের মুখে পড়বে।চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন আত্মহত্যা, অসুস্থতা, হতাশার খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ইতিমধ্যেই এক বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মমতার দাবি, এই পরিস্থিতি বোঝার বদলে কলকাতার সিইও দপ্তর উল্টো বিএলওদের ভয় দেখাচ্ছে, শোকজ করছে, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও অমানবিক করে তুলছে।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত বড় দায়িত্ব কি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব? ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডেটা আপলোড করার যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, চরম চাপে ভুলভ্রান্তি অনিবার্য, আর ভুল ফর্ম জমা পড়লে প্রকৃত ভোটারই সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে লিখেছেন, এই প্রক্রিয়া যে উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি মানুষের ভয়, দুর্দশা ও অস্থিরতা সরাসরি অনুভব করছেন। সেই কারণেই এসআইআর স্থগিত বা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

সুদে টাকা ফেরত নয়, উল্টে কারচুপি—ইডির জালে আরেক সাহারা আধিকারিক

সাহারা ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার তদন্তে বড় পদক্ষেপ নিল ইডি। ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন সংস্থার প্রাক্তন কর্তা ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে যান। টানা জেরা চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইডি অভিযোগ করেছে, তিনি তদন্তে বারবার অসহযোগিতা করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই মামলার সূত্র বহু পুরনো। সাহারা ইন্ডিয়া আমানতকারীদের মোটা টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা বাস্তবে কেউ পাননি। এরপর সংস্থার বিরুদ্ধে ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সুব্রত সাহা, তাঁর ছেলে-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। মামলাটি পরে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। ইডির দাবি, আমানতকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বিপুল অর্থের মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা সংস্থার তিন কর্তার কাছে গিয়েছিল। ওমপ্রকাশের ব্যক্তিগত হিসাবে গিয়েছে ১৫০ কোটি।ইডির আরও অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিলেও সেই প্রক্রিয়াতেও কারচুপি করা হয়েছে। ওমপ্রকাশ নাকি সাহারায় কর্মরত থাকার সময় বিভিন্ন সংস্থায় টাকা সাইফুন করেছেন, এমনকি ব্যক্তিগত মুনাফাও তুলেছেন প্রায় ১৫০ কোটি।জেরার পর ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তবকে বৃহস্পতিবারই আদালতে তোলা হয়। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে, তিনি সাহারা সংস্থা থেকে অবসর নেওয়ার পর অন্য সংস্থায় যুক্ত হলেও পুরনো নথি ও লেনদেনে তাঁর ভূমিকা গোপন করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারীরা তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইছে, যাতে টাকা সাইফুনের পুরো রুট ও কার কার ভূমিকা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যায়।সাহারা মামলায় এই গ্রেপ্তার নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে আর্থিক মহলে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্ক কি এবার বিএলওদের জীবন বিপন্ন করছে? সেরিব্রাল অ্যাটাকে পক্ষাঘাতের শিকার তপতী

এসআইআর ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন হুগলির কোন্নগরের বিএলও তপতী বিশ্বাস। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই রাস্তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই তাঁকে দ্রুত কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তপতীদেবীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে এবং এর ফলে তাঁর শরীরের বাঁ দিক পুরোপুরি অবশ হয়ে গিয়েছে।তপতীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ত্রী প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন। এসআইআর সংক্রান্ত কাজের চাপ, মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়া, এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে ঘরে গিয়ে ফর্ম বিলি করার চাপ আর নিতে পারছিলেন না তিনি। প্রবীরের কথায়, ও খুবই চিন্তায় ছিল। মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় আর কাজ চালানো সম্ভব ছিল না।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে তপতী বিশ্বাসকে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, আপাতত তপতীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছেন।এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে নানা আশঙ্কা, গুঞ্জন ও ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়েছে। অনেকের মনেই বাড়ছে অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং দেশছাড়া হওয়ার ভয়। শুধু সাধারণ মানুষ নন, ক্রমাগত কাজের চাপে বিএলওরাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। তপতী বিশ্বাসের এই ঘটনা সেই আতঙ্ক-চাপের আরেকটি নির্মম প্রতিচ্ছবি।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

কাগজপত্র না মেলাতেই বিপদ! ভোটার লিস্টের উদ্বেগে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ ৬৩ বছরের ব্যক্তির

কামারহাটির প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা ৬৩ বছরের রিকশাচালক অশোক কুমার সরদার এখন আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। পরিবার বলছে, ভোটার তালিকায় নিজের নাম না থাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো না মেলায় ভয়, লজ্জা এবং মানসিক চাপেই তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেইএটাই তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। যদিও একই তালিকায় তাঁর ঠাকুমার নাম ছিল, কিন্তু বানান ছিল ভুল। সে কারণে বারবার তিনি মনে করতেন, তাঁকে হয়তো কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হবে। পরিবার তাঁকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছিলেন না।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাগজপত্র ঠিক করতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুধবার সকালেও তিনি নথিপত্র নিয়ে এদিক-ওদিক ছুটেছেন। বিকেল পর্যন্ত কোনও সমাধান না মেলাতেই সন্ধ্যায় হঠাৎ সিসিআর ব্রিজের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। আচমকা ট্রেনের ধাক্কায় শরীরের নিচের অংশ গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবারের দাবি, তাঁর দুটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।অশোকবাবুর মেয়ে চৈতালি সরকারের কথায়, আমরা সকালের দিকেই কাগজপত্র জোগাড় করছিলাম। পাড়ার এক দাদা ফর্ম ফিলআপ করেও দিয়েছেন। কিন্তু বাবা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। সবাই এত কথা বলছিল, এত আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল যে বাবা আর সহ্য করতে পারেনি। পরিবার মনে করছে, কিছুদিন ধরে এলাকায় ভোটার লিস্ট ঘিরে যে চাপ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা এই দুঃখজনক ঘটনার অন্যতম কারণ। ভীত, বিভ্রান্ত এবং অসহায় মনে করাতেই অশোকবাবু আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।বর্তমানে তিনি হাসপাতালে অতি সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার নামে ভয় তৈরি করা হলে তার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারেঅশোকবাবুর ঘটনা তারই একটি মর্মান্তিক উদাহরণ।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

বাক্সবন্দি বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে রক্তপাত—এই দম্পতির বয়ান কি বিশ্বাসযোগ্য?

শিবপুরের বিলাসবহুল আবাসনের এক ফ্ল্যাটে মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার সকালে নিজের ঘরে বসে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন গোপাল যাদব। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে চেয়ারে বসে ছিলেন স্ত্রী পুনম। আচমকা হাত ফসকে বন্দুক থেকে গুলি ছুটে গিয়ে সোজা গিয়ে লাগে পুনমের ঘাড়ে। গুলির শব্দে আবাসনের লোকজন ছুটে আসলেও গোপাল প্রথমেই দাবি করেন, এটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।গুলিবিদ্ধ পুনমকে তড়িঘড়ি করে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পুলিশ হাসপাতালেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুনমও বলেন, স্বামী আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার সময়ই গুলি বেরিয়ে যায়। যদিও এই দম্পতির বয়ান পুলিশের সন্দেহ পুরোপুরি কাটাতে পারেনি। তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি গোপাল কোনও কারণে স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছিলেনসেই দিকটাই এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোপালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটার পর গোপাল বন্দুকটি সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি বিহার থেকে এনেছিলেন গোপাল এবং নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নেশা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের।এমন প্রশ্ন উঠছেঅভিজাত আবাসনে বসবাস করেও কীভাবে এতদিন ধরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিব্যি ছিলেন গোপাল? হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই অত্যন্ত ঢিলেঢালা। গেটে মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনও কঠোর তল্লাশি। তাঁর কথায়, মেটাল ডিটেক্টর থাকলে গোপালের অস্ত্র নিয়ে ঢোকাই সম্ভব হত না।এই ঘটনার পর হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, জেলার সমস্ত আবাসনেই এবার বাধ্যতামূলক করা হবে মেটাল ডিটেক্টর। যাতে কোনও বাসিন্দা, অতিথি কিংবা বাইরের কেউ বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারে। শিবপুরের যে আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বহু হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই দ্রুত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

‘খুনিদের সরকার চাই না!’—চিৎকারে কেঁপে উঠল নেপাল, রাস্তায় তরুণদের সাথে ওলির কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ

নেপালে ফের অশান্ত জেন জি আন্দোলন। গত সেপ্টেম্বরে যে জনবিক্ষোভ ইউএমএলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল, সেই আন্দোলনের তরুণেরা আবার পথে নামলেন। আর তাঁদের সামনে দাঁড়াতেই মাঠে নেমে পড়েছেন কেপি শর্মা ওলির দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল)-এর নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের একাধিক জায়গা। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে বৃহস্পতিবার কয়েকটি এলাকায় কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিমারা চকে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন জেন জি আন্দোলনকারীদের বড় একটি দল। যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ানো পরিবেশের মধ্যেই পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সিমারা বিমানবন্দরের দিকেও ততক্ষণে জমে উঠেছে ভয়ার্ত উত্তেজনা। সেখানে ইউএমএল নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেন জি তরুণদের ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।সংঘর্ষের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ওলির দলের দুই শীর্ষ নেতামহেশ বসনেট এবং শঙ্কর পোখারেল। দুজনেই সেদিন কাঠমান্ডু থেকে বিমানে সিমারায় পৌঁছান একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। তাঁদের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন জেন জি-র জেলা সমন্বয়ক সম্রাট উপাধ্যায়। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।বিমানবন্দরে মহেশ-শঙ্কর জুটি নামতেই জেন জি বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলেনখুনিদের সরকার চাই না। আর সেই স্লোগানকে ঘিরেই চোখের পলকে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়া, ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কিসব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন অন্তত ছয় জন জেন জি কর্মী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় বাহিনী মোতায়েন করে এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশে জারি হয় কার্ফু। নেপালে ফের দাঁত-নখ বের করে উঠছে তরুণদের জেন জি আন্দোলনএটা যেন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal