• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ngo

রাজ্য

বুলডোজারের কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বেআইনি নির্মাণে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ

শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ থেকে একের পর এক রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচিতি এখন বাংলার ঘরে ঘরে। তিনি দুর্নীতির লড়াইয়ে দমবেন না সেকথা বারে বারে ঘোষণা করেছেন। এবার কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ করতে তা বোঝাতে বুলডোজার তত্ত্ব সামনে নিয়ে এলেন। কোনও গুন্ডাগিরি বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি।কলকাতা পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কীভাবে পদক্ষেপ করতে হবে? শুক্রবার তা বোঝাতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মহানগরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজ়ার ভাড়া করুন। সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না, গুন্ডাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমি জানি।কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বহু অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে মামলাও চলছে বছরের পর বছর ধরে। বেআইনি নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বোঝাতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং বুলডোজার শব্দের ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার প্রশংসা করে বলেন, কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকেরা জানেন, কী ভাবে গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হয়। তবে পুলিশ আর পুরসভা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি জানি তাদের কী বাহ্যিক চাপের মুখে কাজ করতে হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে "বঙ্গ শ্রেষ্ঠ সম্মান"

কলকাতা শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নতুন পুরস্কার শো বঙ্গ শ্রেষ্ঠ সম্মান। চলতি মাসে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে শিবায়া ব্যাঙ্ক্যেটে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন টলিউডের একাধিক নামকরা তারকারা। অনুষ্ঠানটি হবে রাহুল দে ও আনন্দ মেহেরা এর তত্বাবধানে। অনুষ্ঠানে থাকছে গান, নাচ ও র্যাম্প শো। অনুষ্ঠানের আরো এক প্রধান হিসাবে থাকবে পনাস ওয়েডিং এন্ড ইভেন্টস, এডি প্রোডাকশন ও ড্রিম লাইন প্রোডাকশন।ওই দিন নামী তারকাদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গসম্মান শ্রেষ্ঠ সম্মান। উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী রুপ্সা মুখার্জী, লাবনী সরকার, আতিউল ইসলাম, বিশ্বনাথ বসু আরো অনেকে।অনুষ্ঠানের প্রধান রাহুল দে জানান এই অনুষ্ঠান সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক ও অন্যান্য কলাকূশলীদের সম্মান জানানোর একটি প্রয়াস। আশা করছি এই অনুষ্ঠান সবার ভালো লাগবে।অনুষ্ঠানের আরো এক কর্নধার আনন্দ মেহেরা জানান এটি আমাদের প্রথম বছরের অনুষ্ঠান। আমরা পুরো অনুষ্ঠানটি ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে ভাগ করেছি। প্রতিটি সেক্টরে সবাই কে সম্মান জানানো হবে। আমরা খুব আশাবাদী এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে। অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে ওয়াও মোমো, বারবিকিউনেশান ও শিবায়া ব্যাঙ্কয়েট।

জুলাই ২৭, ২০২৩
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের পর্ষদ চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্যকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিকের পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তোলপাড় কাণ্ড। মঙ্গলবার রাতেই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বুধবার সকাল থেকে মানিককে দফায় দফায় জেরা চলে। এসবের মধ্যেই এদিন হাইকোর্টে ফের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের তরফে শিক্ষা দফতরের সচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যানের পরিবর্তে পর্ষদের একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক এই হলফনামা জমা দেওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।কেন তিনি নিজে যাননি? তারওপর আপার ডিভিশন ক্লার্ককে পাঠিয়েছেন দিয়ে হলফনামা জমা দিতে। জবাবে মধুসূদন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তিনি করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে অন্য একজন পর্ষদ কর্মীকে দিয়ে হলফনামা জমা করিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তৃণমূল বিধায়ক।মধুসূদনের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন। অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি আপনি শারীরিকভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ। এরপরই পর্ব বর্ধমানের জেলা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশের দেন বিচারপতি। পাশাপাশি শিক্ষাসচিবকে আদালতের নির্দেশ কার্যকরে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেন।দিল্লি থেকে দুপুরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রণম্য। আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে বলছি, উনি সমাজ সংস্কারক। তাঁর একের পর এক নির্দেশ বঞ্চিত হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। শুধু চাইব দোষীদের শাস্তি হোক।

জুলাই ২৬, ২০২৩
রাজ্য

বিদেশের বাজারে মালদার আমসত্ত্বের বিরাট চাহিদা, ভিডিওতে দেখুন কিভাবে তৈরি হয়

বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে মালদায় তৈরি আমসত্ত্ব। প্রায় ২০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। তার পাশাপাশি আমসত্ত্বের সঠিকভাবে বাজারজাত করার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে মালদা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রবিবার মালদা শহরের এনএস রোড এলাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা।জানা গেছে মালদার ইংলিশবাজার ব্লকের কোতুয়ালি অঞ্চলের কল্যাণপুর গ্রামে ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের বসবাস। যারা প্রত্যেকেই আমসত্ত্ব পেশার সঙ্গে যুক্ত। গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া মূলত এই তিনটি প্রজাতির আমের আমসত্ত্ব স্বাদে অতুলনীয়। পড়ে যাওয়া পাকা আম অথবা পাকা আম গাছ থেকে পেড়ে বোটা ছাড়িয়ে প্রায় আধঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর আমের খোসা ছাড়িয়ে আবার আমগুলিকে প্রায় ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখার পর থেঁতো করা হয়।তারপর সেই আমের পেস্ট একের পর এক প্রলেপ দিয়ে রোদে শুকাতে হয়। এইভাবে সাত দিন রোদে শুকানোর পর কাটিং করে তৈরি হাওয়া আমসত্ত্ব বাজারে বিক্রি করা হয়। এবছর ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও জেলার জগৎ বিখ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির আম দিয়ে তৈরি আমসত্ত্বের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই ইতিমধ্যে ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি শুরু হয়েছে আমসত্ত্ব। এই বিষয়ে মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, ইতিমধ্যে আমসত্ত্ব বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি সরকারিভাবে আমসত্ত্ব তৈরির একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই সঙ্গে আমসত্ত্বের সঠিকভাবে বাজারজাত করার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মালদা জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে মালদা জেলার আম চাষি আম ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি যারা এই পেশার সাথে যুক্ত তারাও লাভবান হবেন।

জুন ২৫, ২০২৩
রাজ্য

ধুতি-পাঞ্জাবিতে ভাইরাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কটাক্ষ কুণালের

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বাংলার অতি পরিচিত নাম। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের এই বিচারপতি। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে তৎপর তিনি। একদিকে চাকরি বাতিল করেছেন, আবার চাকরি দিয়েছেন তিনি। এককথায় সম্প্রতি হাইকোর্টে যুগান্তকারী নির্দেশ ও রায় দেওয়ার জন্য তিনি পূজিত হয়েছেন আবার সমালোচিতও হয়েছেন। এবার সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোচা দেওয়া ধুতি-পাঞ্জাবি পরা ছবি রীতিমতো ভাইরাল। তাঁর এই ভাইরাল ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।বেশ কিছু দিন আগে রাজ্যের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিতর্কে জড়ান অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে তিনি যে দমবার পাত্র নয় সেটা তিনি বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন।অপূর্ব।বিচারপতিরা আর কী কী করেন দেখি।জলি এল এল বির বিচারক সৌরভ শুক্লা যেন মেয়ের জন্য কোন ব্র্যান্ড খুঁজছিলেন....শূন্য শব্দটিও ভাল।শূন্যদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর....কারা যেন শূন্য?? pic.twitter.com/NlXXGfuWIW Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 18, 2023শূন্য নামে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ছবি তুলেছেন অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ছবি টুইট করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, অপূর্ব। বিচারপতিরা আর কী কী করেন দেখি। জলি এল এল বির বিচারক সৌরভ শুক্লা যেন মেয়ের জন্য কোন ব্র্যান্ড খুঁজছিলেন.শূন্য শব্দটিও ভাল। শূন্যদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর.কারা যেন শূন্য??অভিজ্ঞমহলের প্রশ্ন, কেন এই শূন্য় বললেন কুণাল? তাঁদের ব্যাখ্যা, বামেরা এখনও বিধানসভায় শূন্য। এদিকে সিপিএম সাংসদ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। সম্ভবত এই কারণেই শূন্যের সঙ্গে শূন্য় মিলিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। শেষমেশ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর!!

জুন ১৮, ২০২৩
রাজ্য

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের প্রতিবাদে পথে নামলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

এত দিন শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। লাগাতার আন্দোলন চলছে কলকাতার রাজপথে। এবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পথে নামলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। শনিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে জড়ো হয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় শিলিগুড়ি থেকে ৩৫০ জনের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি হয়। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় অ্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়েছিল বলে ওই চাকরিরত শিক্ষকদের দাবি। তাঁদের প্রশ্ন, হাইকোর্ট মাত্র কয়েকজনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কি করে এত বড় সিদ্ধান্ত নিল? এই রায়ের বিরোধিতায় প্রতিবাদ চলবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।উল্লেখ্য, গতকাল, শুক্রবার এক ধাক্কায় রাজ্যে কর্মরত ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক। এই নিয়োগে ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে ইন্টারভিউয়াররাই বিচারপতির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাকরি বহাল থাকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, রাজ্যকে তিনমাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে তা শেষ করতে হবে। আর যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের মধ্যে কেউ ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন বলে জানান বিচারপতি। তাছাড়া আগামী ৪ মাস চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা স্কুলে গেলেও পার্শ্বশিক্ষকের বেতনের হারে বেতন মিলবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে একজোট হয়েছেন বাতিল হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা।

মে ১৩, ২০২৩
রাজ্য

কেন চাকরি বাতিল হাজার হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের? কারণ জানালেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি

অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বিজ্ঞ মানুষজন টিভি চ্যানেল, সামাজিক মাধ্যম থেকে চায়ের আসরে ঝড় তুলছেন। কেউ জেনে বলছেন কেউ না জেনে বলছেন। মামলাকারী আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।গতকাল সন্ধ্যা থেকে অনেক গুণী ব্যক্তি প্রাইমারি প্যানেল ক্যানসেল নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করছেন।। তারা কতটা জেনে বলছে সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।যাদের চাকরি বাতিল হচ্ছে তারা সবাই অযোগ্য একথা অর্ডারেও বলা হয়নি।যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তারা সবাই ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে এটাও কেউ বলেনি।।তাহলে বাতিল হল কেন? বাতিল হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে তার মধ্যে কয়েকটা লিখছি।।১. Aptitude Test হয়নি অথচ নাম্বার দেওয়া হয়েছে।।২. Reservation Roster মানা হয়নি।।৩. Recruitment Rules 2016 মানা হয়নি।।নিয়ম বা না মেনে নিয়োগ করলে কি হয় সেটা ত্রিপুরা শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আশা করি আপনারা জানেন।।এবার আসি হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে।।যাদের চাকরি বাদ গেল তারা সবাই সুযোগ পাবেন নতুন রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে এবং তাদের সাথেই সুযোগ পাবেন অন্যান্যরা যারা চাকরিটা পায়নি।।Training যারা করেছেন তাদেরকেও এই রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে non trained হিসাবেই ধরা হবে।।Viva + Aptitude টেস্ট পুরোটা ভিডিওগ্রাফি করা হবে।।যারা বাদ গেলেন তারাও এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি তারা উত্তীর্ণ হন তাহলে তাদের সার্ভিস ব্রেক পর্যন্ত হবে না কিন্তু যদি অনূর্তির্ণ হন তাহলে চাকরিটা যাবে।।এবার আসি আমার মতামতের উপর।। যারা মামলাটার সাথে যুক্ত নয় এবং যারা কিছু জানেন না এই বিষয়ে তাদের মতামত শুনলাম তাই মনে হল নিজের মতামতটাও দেওয়া প্রয়োজন।।১. ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের দিন পর্যন্ত যারা non trained ছিলেন তারা এই প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবেন।।২. Age bar থাকবে না সেই সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য।।৩. Reservation roster মেনে প্যানেল তৈরি হলে অনেক যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবেন।।৪. আপনাদেরকে বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম এবং দেখিয়েছিলাম কিভাবে তৃণমূল নেতাদের সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের Viva + Aptitude Test নম্বর বাড়ানো হয়েছে।। সেগুলো আর থাকবে না।।৫. যাদের চাকরি বাদ গেল তাদের মধ্যে অনেক জন আবার চাকরি ফিরে পাবেন কিন্তু আমার হিসাবে ২৫০০০+ নিয়ে অল্প সন্দেহ আছে এবং তার মধ্যে প্রায় ১২০০০+ এর ঘাপলা খালি চোখে ধরা পড়ছে।।অনেকে আবার এই চাকরি বাদ যাওয়া নিয়ে এই লজিক আনছেন যে এতগুলো পরিবারের কি হবে।। আপনাদের সাথে একমত, এদের পরিবার নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত।।কিন্তু এদের থেকে যোগ্য যারা রাস্তায় বসে আছে তাদের নিয়ে কোন সময় চিন্তা করেছেন কি? যারা যোগ্য হয়েও বঞ্চিত হয়ে আছে এত বছর তাদের নিয়ে ভেবেছেন কি? ১২৪০০০ TET পাশ করেছিল, তাদের কথা একবারও ভেবেছেন?

মে ১৩, ২০২৩
রাজ্য

এক লপ্তে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিলেন বিচারপতি। এরা সবাই ২০১৪-এ টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। ইন্টারভিউয়াররা সাক্ষ্যে জানিয়েছেন নিয়োগের পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি।বিচারপতির নির্দেশ, আগামী চার এই শিক্ষকরা স্কুলে গেলেও বেতন পাবেন প্যারা টিচারের বেতনের হারে। সম্পূর্ণ বপতন পাবেন না। পাশাপাশি রাজ্যকে এই তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। অপ্রশিক্ষিত ১৪০ জন হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। এঁরা কেউ নিয়োগ পাননি। সম্প্রতি আদালত প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায় যে কম নম্বর পেয়ে অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হবে। বিচারপতি আগেই জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন।সেবছর মোট নিয়োগ হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনের। ২০১৪ সালে টেটের নিয়োগে দুর্নীতি রয়েছে বলে আদালতে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। কেউ মেধার ভিত্তিতেও চাকরি পেলেও যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের বিষয়ে তদন্ত দাবি করেছিলেন এই আইনজীবী। এই মামলার তদন্তভার বর্তায় সিবিআইয়ের ওপর।

মে ১২, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের জেলাশসক ও পুলিশ সুপারকে আমের প্যাকেট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদা যাওয়ার সময় বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় সভা করতে মালদা গিয়েছিলেন তিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ফের একই ভিড় চোখে পড়ল। তবে এবার বিশেষ ঘটনার সাক্ষী থাকল উপস্থিতি মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আম ভর্তি প্যাকেট উপহার দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনকে। হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।শুক্রবার ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে মালদা থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। মুখ্য়মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে আম ভর্তি প্যাকেট ও তোয়ালে উপহার দেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখমন্ত্রী আমার সঙ্গে জেলার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। ৫ টা ১৩ মিনিটে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে চলে যায়।

মে ০৫, ২০২৩
রাজ্য

মামলা সরল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে, দ্রুত বিচারের আশায় তাকিয়ে বঙ্গবাসী

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবার সরল মামলা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা সরিয়ে নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দুটি মামলাই স্থানান্তরিত হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে।রাজ্যেরই এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দিন থেকেই ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান নিয়ে। ওই সাক্ষাৎকারের তর্জমা বিচার করেই গত শুক্রবার ঐতিহাসিক নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে সুপ্রিম রায়ের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাকি মামলাগুলিও তাঁর এজলাস থেকে সরে যেতে পারে।জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হতে পারে। তবে রাজ্যের মানুষের মধ্যে এখন জোর চর্চা চলছে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। এই বিচারপতি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। স্বভাবতই নতুন বিচারপতির ওপর একটু রহলেও চাপ থাকবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়ে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।সব থেকে বড় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্টাইলে দ্রুত এগোতে পারবেন কি বিচারপতি সিনহা? সাধারণ মানুষ অভিজিৎবাবুর নির্দেশ বা রায় শোনার অপেক্ষায় থাকতেন। খুব দ্রুত হাইকোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া করে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।মামলা থেকে সরলেও গতকালও নিজের স্টাইলেই বক্তব্য রেখেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মিডিয়ার সামনে মুখ বন্ধ করার কোনও লক্ষণই নেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অভিজিৎবাবু বলেন, অভিষেকের নাম তো কুন্তলই বলেছে। যতদূর মনে পড়ছে আদালতে জমা নথিতেও তার উল্লেখ আছে। তাহলে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কেউ কি পৃথিবীতে নেই? অভিষেকের নাম আকাশ থেকে পড়েনি। এক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি বলেন, আগে যে ভাবে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফের তাঁকে একই কারণে বাকি মামলা থেকে সরিয়ে দিতেই পারে।

মে ০২, ২০২৩
রাজ্য

"সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে,": বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক নিয়োগের দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে। সেই রায়ের পর থেকে দিনভর সবার মুখে একটাই নাম। রায়ের পক্ষে একদল হইহই করে নৃত্য করছে। আরেক দল মুখ গোমরা করে রয়েছে। প্রথমত প্রথম দিকে খবর রটেছিল সমস্ত মামলাই সরে যাচ্ছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। যদিও তিনি সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, আজ আমার মৃত্য়ু দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সবাইকে মানতে হয়। আমি তো নিজে সরছি না। পদত্যাগ করছি না। পালিয়ে যাওয়ার মানুষ আমি নই। আমার মন খারাপ নয়। ব্যক্তিগতভাবে কারও মন খারাপ হতে পারে। এই মামলা তো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নিয়ে করিনি। আমার কাজের ধরন একরকম। এরপরে যে বিচারপতি আসবেন, তাঁর কাজের ধরন হয় তো অন্যরকম হবে। আমার ধারনা দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলাই আমার হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।তবে এখানেই থামেননি বিচারপতি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যখন বিচারপতি থাকব না, যাই করি না কেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে, অবসরের পরও। সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও।

এপ্রিল ২৮, ২০২৩
কলকাতা

অনেক ছাত্রছাত্রী বাংলা বিমুখ, কেন পড়েন না? আক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা বইমেলায় ঢুকতেই আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বইমেলায় বেশ কয়েকটি স্টল পরিদর্শন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি। যথারীতি সাধারণ মানুষ তাঁকে ছেকে ধরেন।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, না না, ভগবান যদি কেউ থাকেন, যদি কিছু থাকেন, সেটা হচ্ছে ভারতবর্ষের সংবিধান এবং ভারতবর্ষের আইন। কোনও মানুষ ভগবান নন। ভারতবর্ষে কোনও মানুষ ভগবান নন। ভারতবর্ষে ভগবান যেটা তৈরি করে গিয়েছেন আমাদের গণপরিষদ, সেটা হল ভারতবর্ষের সংবিধান এবং তার অধীনে যে আইনগুলো আছে, সেগুলো। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, দুর্নীতির অদৃশ্য হাত কবে সামনে আসবে? আর কত অপেক্ষা করতে হবে? জবাবে চুপ করে থাকেন বিচারপতি। ফের পালটা প্রশ্ন ধেয়ে আসে, এটা কি বলা কঠিন স্যার? জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, না না, বলা কঠিন কিছু না।তিনি এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দেন বই লেখার ইচ্ছা আছে। বই লেখা প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, হ্যাঁ, আমার ইচ্ছে আছে। পালটা প্রশ্ন আসে, আপনার অভিজ্ঞতার কথা, সেই নিয়ে বই? জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সে তো থাকবেই। ছোটবেলা থেকেই বইমেলায় আসেন বলে জানিয়েছেন অভিজিতবাবু।বাংলা ভাষার বই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা বইমেলায় এত মানুষ আসেন, এত ভালো ভালো বই। বিশেষ করে আমি বলব, ভালো বাংলা বই লেখা হয় এবং প্রকাশ পায়। আমি মনে করি, যারা বাংলা বিমুখ তাঁদের একটু বাংলা বইয়ের দিকে নজর দেওয়া দরকার। বাংলা বইয়ের এত ভালো ভালো টাইটেল আছে, আমি নিজেও সবসময় পড়ি। কিনি, সংগ্রহ করি। সেটাতো করা উচিতই। এখনকার অনেক ছাত্রছাত্রী, তাঁরা বাংলা বিমুখ। বাংলা পড়েন না। কেন পড়েন না, সেটা তাঁদের পরিবারের লোকেরা বলতে পারবেন। আমি মনে করি, অসম্ভব ভালো ভালো বাংলা বই বহুদিন ধরে লেখা হয়ে আসছে। পড়লে যেমন ভালো লাগে, মজা লাগে, আনন্দ পাই।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
শিক্ষা

ইংরেজিতেই সব থেকে বেশি অযোগ্য শিক্ষক, ভুয়োদের তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল

আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অযোগ্য-ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। গতকালই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তালিকা প্রকাশ করতেই তা দেখতে হইচই বেধে গিয়েছে।ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে ১৮৩ জন শিক্ষকের নাম তুলে দিয়েছে সেই তালিকায়। এরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা।ওই তালিকায় অযোগ্য শিক্ষকদের নাম, রোল নম্বর, আবেদনপত্রের নম্বর থেকে শুরু করে যে বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন সবই প্রকাশ করা হয়েছে। অঙ্ক, বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থ বিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন সেই তালিকায়।এদিন সন্ধেয় এই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তালিকায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো শিক্ষক রয়েছেন ইংরাজি বিষয়ের। ১৮৩ জনের মধ্যে ৫৭ জন ইংরাজির শিক্ষক-শিক্ষিকা। ৩০ জন ভূগোলের, ২২ জন জীবন বিজ্ঞান, ২১ জন বাংলায়, অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানে ১৮ জন করে এবং ইতিহাসে ১৭ জন রয়েছেন তালিকায়। ১৮৩ জনের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করার পর শিক্ষামহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এনমকী ওই শিক্ষকরা কোন স্কুলে কর্মরত তা জানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২২
রাজ্য

বেআইনিভাবে চাকরিপ্রাপ্তদের স্বেচ্ছায় ইস্তফার নির্দেশ, এসএসসি নিয়ে কড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বেআইনি ভাবে অযোগ্য নিয়োগকারীদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না, ফের নয়া নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না। বেআইনি ভাবে স্কুলশিক্ষক এবং অ-শিক্ষক পদে কর্মরতদের উদ্দেশে বুধবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেছেন, টাকা ঘুষ দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইস্তফার মেয়াদ। না হলে তাঁদের বরখাস্ত করা হবে। এঁরা যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সরকারি চাকরি না পান সেই ব্যবস্থা করবে আদালত।রাজ্যে স্কুলশিক্ষক এবং অ-শিক্ষকদের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত ও আদালতের নানা নির্দেশ নিয়ে তোলপাড়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু খাতায় শুধুমাত্র পাঁচ-ছটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। তার পরও ওই চাকরিপ্রার্থীরা ৫৩ নম্বর পেয়েছেন। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র পরীক্ষায়ও একই জিনিস হয়েছে। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কতজনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে তা-ও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

মঙ্গলকোট হত্যা কান্ডে হাজিরা দিতে কলকাতা যাওয়ার সময় শক্তিগড়ে কি খেলেন অনুব্রত?

ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে তার গাড়ি শক্তিগড়ে দাঁড়ায়। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ের একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে তার গাড়ি দাঁড়ালেও অনুব্রত মণ্ডল গাড়ি থেকে নামেন নি। মিনিট দশেক তিনি গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। তবে চারটি কচুরী, ছোলার ডাল প্যাকেট করে গাড়ির ভিতরে নিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি এক কাপ লিকার চা তিনি খান গাড়ির ভিতরে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
কলকাতা

ক্ষেত্রী ফাউন্ডেশন এর নতুন উদ্যোগ

সল্টলেক সেক্টর ৫ এ উদ্বোধন হয়ে গেলো ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশন এর নতুন কর্পোরেট অফিসের। এই অফিসের উদ্বোধন করেন রাজারহাট নিউ টাউন এর বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের তাপসবাবু বলেন, ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশন মানুষের জন্য কাজ করবে। যেখানে গরিব মানুষের চিকিৎসা র প্রয়োজন যেখানে সাধারণ মানুষের আইনি পরামর্শ প্রয়োজন সেখানেই সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় তাদের পাশে দাঁড়াবে এই ফাউন্ডেশন। এনাদের আমি বহুদিন চিনি বা জানি। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশন এর মূল কর্ণধার ও আইনজীবি রাজেশ ক্ষেত্রি জানালেন আমি একজন আইনজীবি ও সমাজসেবী। রাজারহাটে থাকি।বহুদিন ধরে রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় বহুদিন ধরে বিনা পয়সায় বিভিন্ন চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে আসছি। অনেকদিনের একটা ইচ্ছে ছিলো আমার একটা অফিস হোক। সেটাই আজ উদ্বোধন হলো। আমাদের পরিকল্পনা হল সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ফ্রি হেল্থ ক্যাম্প করবো। এর জন্য ভ্রাম্যমান গাড়ি থাকবে। গ্রামে গঞ্জে গরিব মানুষদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হবে, আমাদের বিভিন্ন ডাক্তার আছে। তারা তাদের চিকিৎসা করবে। বিনামূল্যে ওষুধ দেবে। রাজারহাট এর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে শুরু হবে এই মেডিক্যাল চেকআপ। এছাড়া যে কোনো গরিব মানুষের আইনি পরিসেবা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। দুর্বার মহিলা সমিতির শ্রমিকরা যাতে তারা সঠিক মর্যাদা পায় তাদের ও আমরা আইনি সাহায্য করছি। সবমিলিয়ে এই ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশন সমাজসেবা মূলক কাজে নানাভাবে যুক্ত থাকবে। এই অফিসে ৪০ জন স্টাফ আছে যারা সবসময় এই কাজে সাহায্য করছেন ও করবেন। সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেত্রি ফাউন্ডেশন এর পরিচালক দেবস্মিতা ভট্টাচার্য, আন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং এর প্রধান দেবতোষ বসাক, কলকাতা পুলিশের প্রাক্তম কর্তা দীপক কুমার দত্ত, সিআইডি প্রধান সুজন ঘোষ সহ আরো অনেকে।

আগস্ট ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রিন্সটন -এ "ম্যাঙ্গো ম্যানিয়া"

বৃষ্টির ফোঁটা এবং সুস্বাদু আম খাদ্যরসিকদের জন্য একটি স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করে। প্রিন্সটন ক্লাব, প্রিমিয়াম নিউ এজ সোশ্যাল ক্লাব ফলের রাজা এই আম উৎসবের মাধ্যমে সবাইকে মুগ্ধ করবে। ক্রিস্টেনড ম্যাঙ্গো ম্যানিয়া, উৎসবটি ৮ই জুলাই থেকে ১৭ই জুলাই পর্যন্ত রসালো আমের রেসিপি সহ একটি অনন্য গ্যাস্ট্রোনমিক অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত। আগত সদস্য এবং অতিথিরা লাঞ্চ এবং ডিনারে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে আসতে পারেন। প্রতিটি আমের টুকরোতে পরিপূর্ণ মহাদেশীয় ও এশীয় খাবারের উদ্ভাবনী মিশ্রণ রয়েছে, যা এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ।এই আমের মেনুতে থাকছে স্মোকি ম্যাঙ্গো, ম্যাঙ্গো সালসা সহ চিজ নাচোসের মতো মেক্সিকান অ্যাপেটাইজার। টেপেনেড রুটির সাথে ঠান্ডা আমের পুদিনা স্যুপ, যা ক্ষিদে বাড়াতে জুড়ি মেলা ভাড়। সুস্বাদু আম চেখে দেখার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত গ্রীষ্মকালীন পানীয়! তাজা আমের টুকরো, আমের পিউরি, পুদিনা, সবুজ মরিচ, তামাকের সস এবং রসুনের সাথে পুদিনা এবং চুনের সাথে মিশ্রিত একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ঠান্ডা স্যুপ।মেইন কোর্স শুরু ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস উইথ ম্যাঙ্গো ভেজ টেরিয়াকি নামের একটি জাপানি খাবার দিয়ে। এই মিষ্টি জাপানি আমের স্টিকি রাইস দিয়ে আপনার ডিনার পার্টির মেনুকে আরো আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারেন। জনপ্রিয় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে টাটকা আমের টুকরো টুকরো করা আঠালো চালের উপরে একটি নারকেল ট্যাপিওকা সস এবং তিলের বীজ এবং সবচেয়ে ভাল অংশ এটি তৈরি করতে শুধুমাত্র কয়েকটি উপাদান প্রয়োজন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিংড়ি সেভিচে তাদের জন্য রয়েছে একটি নিখুঁত হালকা রাতের খাবার। সবচেয়ে ভাল অংশ হল কোন রান্নার প্রয়োজন নেই। এটি গ্লুটেন-মুক্ত। এই প্রাণবন্ত খাবারটি গ্রীষ্মের রাতের জন্য উপযুক্ত, যখন আপনি বাড়িতে খাবার গরম করতে বা তার জোগাড় করতে পারবেন না কিন্তু তারপরও খুব সুস্বাদু কিছু একটা চাইছেন! এরপর নিজেই তৈরি করে ফেলুন আর পরিবেশন করুন চিপস দিয়ে। এখানেই শেষ নয়। চকলেট গুড়ো এবং আমের ছোট টুকরোর সাথে পরিবেষণ করুন ইতালীয় মিষ্টি। ম্যাংগো ক্রেস্পেল উইথ চকলেট ডাস্ট অ্যান্ড ম্যাংগ রিডাকশন। আমের কাসুন্দি এবং মিষ্টি আলুর চিপস সহ বাঙালির প্রিয় চিকেন কাটলেট স্বাদের মুকুলকেও মুগ্ধ করবে। সালাদ ছাড়া এই ডিস যে অসম্পূর্ণ। ইন্দোনেশিয়ান লেবু কাফির লাইম এবং স্টোন-গ্রাউন্ড সরিষার স্বাদ সহ কাঁচা আমের সালাদ এর স্বাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। এই স্বাস্থ্যকর এবং হৃদয়গ্রাহী সালাদ আপনাকে তাত্ক্ষণিকভাবে উতসাহিত করতে পারে। ভুট্টা, বসন্ত পেঁয়াজ, বেল মরিচ, চেরি টমেটো এবং ভেষজ কাঁচা আমের টুকরো দিয়ে একসাথে একটু নাড়িয়ে চাড়িয়ে নিন। তাহলে তৈরি মিড-ডে মিলের জন্য একটি কুড়কুড়ে ও সতেজ সালাদ। গ্যাস্ট্রোনমিক যাত্রার সমাপ্তি হবে আকর্ষণীয় - ম্যাঙ্গো সিড পুডিং এবং কাটা আমের ফিরনি দিয়ে, পাঁচ হাজার বছরের উত্তরাধিকার সহ ভারতে আম-ই হল সমস্ত ফলের রাজা। রোমান্টিক বর্ষা ঋতুর ব্যবধানের সাথে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম হল সেই ঋতু যখন আমরা বিভিন্ন উপায়ে আমের স্বাদ গ্রহণ করি।প্রিন্সটন ক্লাব সব খাবারে সঙ্গে আমের রকমারি খাবার চালু করেছে। ক্লাবের শেফ অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রধান উপাদান হিসেবে আমের মহাদেশীয়, প্যান এশিয়ান খাবারের একটি মেডলে উদ্ভাবন করেছেন৷ প্রিন্সটন ক্লাবের ম্যানেজার (অপারেশন)- সঞ্জয় কর্মকার বলেন, আমরা নিশ্চিত যে এই আমের প্রতি ভোজন রসিকরা আমের সুস্বাদু খাবার পছন্দ করবে। ম্যাঙ্গো ম্যানিয়া ৮ই জুলাই থেকে ১৭ই জুলাই প্রিন্সটন ক্লাবে মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবার-এর জন্য চলবে।

জুলাই ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকার আন্তর্জাতিক সাহিত্য মিলন বাসর

কলকাতার কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমি অনুমোদিত বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক সাহিত্য মিলন বাসর। বাংলাদেশ থেকে এই মিলন বাসরে অংশ নেন কবি বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং কবি ও গীতিকার ইভা মণ্ডল। ওমান থেকে এসে এই মিলন বাসরের মান বাড়িয়ে দেন কবিবন্ধু মলয় দত্ত এবং রাখী দত্ত। তামিলনাড়ু থেকে এই মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বদরুল হোসেন লস্কর, সম থেকে এই সাহিত্য মিলন বাসরে যোগ দিলেন কবি ইকবাল হোসেন খাঁন কবি অজয় সেনগুপ্ত এবং নাট্যকার সঞ্জয় সেনগুপ্ত মহাশয় রায়গঞ্জ থেকে কি শিক্ষক এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বিপ্লব কুমার মণ্ডল মহাশয়, কলকাতা নিবাসী কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক পরীক্ষিৎ মান্না, সর্বোপরি বাংলাদেশ বর্ডার সুদূর হিলি থেকে কবি কনক কান্তি সরকার, কবি সুব্রত লাহিড়ী এবং কবিভাই বাপ্পা দাস।বাঁকুড়া নিবাসী মাননীয়া রঙ্গনা পালের সম্পাদনায় বুলু পাল, কবিতা ঘোষ, শিল্পী সাহা, নবনীতা সরকার, রুবী গুপ্তা এবং মল্লিকা চ্যাটার্জি রায় এর অভিভাবকত্বে প্রদান করা হলো কবিরত্ন, সাহিত্য রত্ন, নবরত্ন, বঙ্গের আভরণ, দৈনিক সাহিত্য সম্মাননা, ছান্দোসিক কবি ও প্রভাত আলোক সাথী সম্মাননা। উন্মোচিত হল বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা পরিবারের প্রথম বর্ষের কাব্য সংকলন সকল গুণীজনের উপস্থিতিতে। সম্মাননার অবসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিকদের জোয়ারে মুখরিত ছিলো অনুষ্ঠান মঞ্চ। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করেও সংস্কৃতির টানে মিলিত হলেন কবি, সাহিত্যিকরা।

জুন ১০, ২০২২
দেশ

অবশেষে শুরু হল চারধাম যাত্রা

মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শুরু হল বহু আকাঙ্ক্ষিত চারধাম যাত্রা। করোনা বিধিনিষেধের কারনে ২০২০ ও ২০২৩ এ চারধাম যাত্রা স্থগিত ছিল। ভক্রদের খুব আশা করেছিলেন এই বছর সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর ২০২২ থেকে আবার চারধাম যাত্রা শুরু হবে।গঙ্গোত্রী যাত্রা বা গঙ্গোত্রী মন্দিরের তীর্থযাত্রা হল হিন্দু ধর্ম অনুসারে চারটি বিশিষ্ট এবং পবিত্র মন্দির ভ্রমণের একটি (চারধাম যাত্রা)। সাধারণত, গঙ্গোত্রী মন্দির খোলা হয়ে থাকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। মন্দির খোলার আগে মন্দিরের ভিতরে এবং নদীর তীরে দেবী গঙ্গার একটি বিশেষ পুজো অর্চনা করা হয়৷ এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবী তাঁর শীতের আবাস ত্যাগ করেন।সারা বছর ধরে এই সময়টায় চারধাম যাত্রার অপেক্ষায় থাকে অগণিত ভক্ত। সাধারভাবে একই দিনে গঙ্গোত্রী, যমুনেত্রী, কেদারনাথ, বদ্রিনাথ মন্দিরের দ্বার উদঘাটন হয়। কিন্তু এই বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুধুমাত্র গঙ্গোত্রী দ্বার উদঘাটন হয়েছে।আগামী ৬ই এপ্রিল কেদারনাথের এবং ৮ এপ্রিল বদ্রীনাথ এর দ্বার উদ্ঘাটন হবে। চারধাম যাত্রার শুরু হওয়ার খবরে ভক্তরা দারুণ খুশি। উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার চারধাম যাত্রার উপলক্ষে আগত সকল ভক্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।Uttarakhand govt issues guidelines for Char Dham Yatra, beginning with the opening of Gangotri, Yamunotri temples in Uttarkashi district on 3rd May. Registration on state govts portal before arrival made mandatory but Covid testing, checking of vaccination certificates not. pic.twitter.com/H2F3VUWZ9b Prasar Bharati News Services पी.बी.एन.एस. (@PBNS_India) May 1, 2022উত্তরাখণ্ড সরকার সমস্ত ভক্তদের চারধাম যাত্রায় আসার আগে পর্যটন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত রাজ্যের পোর্টালে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে বলেছে। সরকার এই যাত্রায় তাঁদের রাজ্যের ভক্তদের জন্য কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট বা টিকার শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করেনি। কিন্তু যাঁরা সীমান্ত পার করে আসবেন তাঁদের জন্য এটি বাধ্যতা মূলক।উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশে মুখ্য সচিব এসএস সান্ধুর সভাপতিত্বে শুক্রবার রাতে উত্তরাখণ্ডের পুলিশ প্রধান, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পর্যটন দফতরের সচিব, মন্দির পরিচালন সমিতির আধিকারিক এবং জেলাশাষক সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সান্ধু চারধাম যাত্রা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

মে ০৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

লন্ডন থেকে ফিরেই মঞ্চ কাঁপালেন ডোনা গাঙ্গুলি

গল্পটি, মূলত নারীকেন্দ্রিক,১৮৮০ সাল নাগাদ যার পটভূমিকা নির্মান করা হয়। এতে দুজন মহিলা এবং একজন পুরুষ মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে উঠে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রেম হল একটি মায়া গোলকধাঁধা যা আমাদের ঘিরে থাকে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মায়া কুমারীদের একত্রে গল্প বলার সাথে এক অস্বাভাবিক আনন্দের পরিবেশ তৈরি করেন। তারা নায়কদের মনে বিভ্রম সৃষ্টি করে। মায়ার খেলা একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প, যা সখী সমিতি, একটি নারী কেন্দ্রিক থিওসফিক্যাল সমিতির জন্য সরলা রায়ের একান্ত অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এখানে কথক এবং পর্যবেক্ষক হলেন মায়াকুমারী, একটি বিভ্রম সৃষ্টি করার জাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন জলপরী।এইরকমই এক নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা নিয়ে আবার মঞ্চে ফিরলেন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি। দক্ষিণায়ন ইউকে এর উদ্যোগে দীক্ষামঞ্জরী এর নৃত্য পরিবেশনায় এই প্রয়াস ১৭ এপ্রিল রবীন্দ্রসদনে, ১৯ এপ্রিল জি.ডি.বিড়লা সভাঘরে অনুষ্ঠিত হলো। পরে প্রযোজনাটি পরিবেশিত হলো ইজেডসিসি-এর আমন্ত্রণে মোহর-বীথিকা অঙ্গনের সহযোগিতায় শান্তিনিকেতন সৃজনী শিল্পগ্রামে, ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায়। তিনটে জায়গাতেই মানুষের সাড়া ছিল নজরকাড়া। করোনার নানা বিধি নিষেধ মেনে রিহার্সালে মাস্ক পড়ে উপস্থিত হন সব অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা। জোড় কদমে চলেছে রিহার্সাল গানের দলের সঙ্গে। গানের দলে উপস্থিত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এবং এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ডা: আনন্দ গুপ্ত। প্রায় দেড় ঘন্টার এই নৃত্যনাট্যে ডোনা গাঙ্গুলি নৃত্য পরিবেশন করেন দীক্ষামঞ্জরী এর ছাত্রীদের নিয়ে। ডোনা গাঙ্গুলি বললেন, করোনা এখন আমাদের জীবনের সাথে চলবে। তাই বলে আমাদের কাজ আমরা করবোনা এমনটা তো চলেনা।তাই এই উদ্যোগে সামিল হওয়া।মঞ্চ কাঁপালেন ডোনা গাঙ্গুলিদক্ষিণায়ন ইউকে এর আমন্ত্রণে এই প্রযোজনায় আমাদের এই অংশগ্রহণ আসা করি সকলের ভালো লেগেছে। প্রযোজনাটা এই বছর জানুয়ারি মাসেই করার কথা থাকলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ এর কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। তবে এবার তিনটে ভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো। ভালো লাগছে শান্তিনিকেতনেও করা হলো। অন্যদিকে ডা: আনন্দ গুপ্ত বললেন, অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এই প্রোযোজনাটা আমরা করব। সেই হিসেবেই এগিয়েছি। দীক্ষামঞ্জরী এর শিল্পীদের নৃত্যের সাথে লাইভ গানে এই নৃত্যনাট্যটা খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশিত হলো। প্রমোদার চরিত্রে ছিলেন ডোনা গাঙ্গুলি, অমরের চরিত্রে রঘুনাথ দাস।অমরের চরিত্রে গান গাইলেন সঙ্গীত পরিচালক ডা: আনন্দ গুপ্ত। সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন সুব্রত বাবু মুখোপাধ্যায়। নৃত্য পরিচালনায় ডোনা গাঙ্গুলি। আলোয় দীনেশ পোদ্দার। তালবাদ্যে ছিলেন বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পী বিপ্লব মন্ডল।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal