Kanhaiya-Jignesh: জল্পনা সত্যি করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া-জিগনেশ
গত কয়েকদিন ধরে চলা জল্পনার অবশেষে অবসান। সমস্ত আশা-আশঙ্কাকেই সত্যি করে কংগ্রেসে যোগদান করলেন সিপিআই নেতা তথা জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি কানহাইয়া কুমার। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন আরও এক তরুণ তুর্কি নেতা তথা গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেবানি। এই দুজন যে ২৮ সেপ্টেম্বরই কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন তা একপ্রকার আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। তবে সকাল থেকে এই সংক্রান্ত কোনও খবর মেলেনি। বিকেল গড়াতেই চলে এল যোগদানের খবর। সেই সঙ্গে নতুন দল পেলেন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশও।আরও পড়ুনঃ পঞ্জশিরে তালিবানি বুলেটে ছিন্নভিন্ন শিশুর দেহদল ছাড়ার সময় কানহাইয়া সিপিআই-এর জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। পার্টি কাঠামোয় যা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সমিতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দলবদলের উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে সিপিআই দপ্তর থেকে এসি খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে পাটনার সিপিআই দলীয় কার্যালয়ে নিজের ঘর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে এ দিন যোগ দেন কানহাইয়া-জিগনেশ। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যদিও সেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাহুল। তবে দিল্লিতে কংগ্রেসের কার্যালয়ে যোগদান পর্বের সময় রাহুল উপস্থিত ছিলেন বলে দেখা গিয়েছে ছবিতে। এই যোগদানের পর কংগ্রেসের প্রতি যুব সমাজের নজর একটু হলেও ঘোরে কিনা সেটাই দেখার। যেভাবে কংগ্রেস ক্রমশ ঘরোয়া কোন্দল ও রাজ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাড়াকাড়ি নিয়ে বিব্রত, সেই সময় কিছুটা হলেও তারুণ্যের অক্সিজেন পাবে কংগ্রেস। নির্বাচনে এর প্রভাব আদৌ পড়বে কিনা সেটা বুঝতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।