• ৯ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Maharastra

দেশ

শীর্ষ রায়ে খোলা হাওয়া

সময়টি 399BC, গ্ৰীসের এথেন্স তার অনেক আগে থেকেই বিশ্বকে তার গনতন্ত্রের পথ দেখাচ্ছে। পৃথিবী জুড়ে চলছে নানা সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন। সাম্রাজ্যের ডানা বিস্তারের মাঝে অনেক ভূখণ্ডে রয়েছে রাজা রাজড়ার শাসন। এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে এথেন্স অন্ধকার শক্তির আকাশে ধ্রুবতারা। পৃথিবী পরিচিত হচ্ছে direct democracy র সঙ্গে। তবে সেই সময় এথেন্সে গনতন্ত্রের সঙ্গে রয়েছে দেব দেবী, আত্মা ও শয়তানের প্রবল অস্তিত্ব। এথেন্সের অগ্ৰগতি, ন্যায় বিচার থেকে শুরু করে সামাজিক রীতি ও জীবন যাপনের প্রতিটি মোড়ে এদের কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাহাড়ের উপরে প্রাকৃতিক মঞ্চে রয়েছেন দেব দেবীরা। তাঁদের ঘিরে রয়েছে ঐশী মাহাত্ম্য । ধর্ম, কুসংস্কার আর অন্ধ ভয়ের মায়াজাল নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাঝে ই গনতন্ত্রের বিকাশ। এথেন্স কোন পথে এগোবে, ন্যায় বিচার কিভাবে হবে এই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই স্থির হতে এথেন্সের হাঘরে থেকে উচ্চবিত্ত প্রত্যেক স্তরের মানুষের পক্ষে বিপক্ষে মত দানের মাধ্যমে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কার নিয়ন্ত্রিত সামাজিক রীতি নীতির বেড়াজালের মধ্যেই ছিল সেই গনতন্ত্রের বিস্তার। তাই এথেন্সের বাজারে পথ চলতি মানুষের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেওয়া নগ্নপদ এক ব্যাক্তির স্বাধীন চিন্তা, আলো সন্ধানী তীক্ষ্ণ প্রশ্ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেই বেড়াজালের সামনে ভয়ঙ্কর বিপদ। প্রশ্নের মাধ্যমে, উত্তরের মাধ্যমে নিরন্তর সত্যের সন্ধান যা তৎকালীন জীবন যাপনের চিরায়ত পথকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। সেই মানুষটির নাম সক্রাতিস। তাঁর বেলাগাম সত্যের সন্ধান একদিকে যেমন এথেন্সিয়ো গনতন্ত্রকে প্রশ্ন করেছিল তুমি কি শুধুই ব্যানার আর ফেস্টুন? আর অন্য দিকে জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল সত্য কি। এথেন্সের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই প্রশ্ন করছে what is truth? And what kind of person is more loved by the gods than the one who is most happy অথবা সেই অমোঘ উচ্চারণ the unexamined life worth liking for a human being. আফ্রোদিতি, এথেনার ধর্মস্থান, হেফাস্টুসের মন্দির, জিয়ূস ইল্যুথেরিওস আর twelve gods য়ের বেদী স্থল ঘেরা এথেন্সের এমন ভয়ঙ্কর প্রশ্ন করা চলতে পারে? গনতন্ত্রের আঁতুড়ঘরেও যদি বেয়াড়া সন্তানের জন্ম হয় তবে তাকে তো সহবৎ শেখানোও প্রয়োজন। এমন চললে যে দেবতা, অপদেবতা, আত্মার অসন্তোষে ছারখার হয়ে যাবে জনপদ, জীবন সবকিছুই। অতএব, বিচার হবে। তবে গনতন্ত্র যে বলে সেই বিচার যেন ন্যায্য হয়।তাই জনতার আদালতে ৫০০ জন জুরির সঙ্গে এথেন্সের মাঝবয়সী থেকে বৃদ্ধ সক্ষম প্রত্যেক নাগরিক। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই রায় দেবেন জুরিরা। জনতার মত প্রকাশের স্বাধীনতার ঘেরাটোপে বিচার হবে ব্যাক্তির বাকস্বাধীনতার। হ্যাঁ, গনতন্ত্রের জন্মলগ্ন থেকেই গনতন্ত্রের মধ্যে থেকে গিয়েছে ব্যাক্তিকে নিস্পেষনের এমন আজব কল। জনতার রায় ব্যাক্তির প্রতিস্পর্ধা সেদিন এথেন্সে চরম অপরাধ বলে গন্য হয়েছিল। যার ফল মৃত্যু দন্ড। হেমলক পান করে মৃত্যু। কন্ঠ স্তব্ধ হয়েছিল সক্রাতিসের কিন্তু, সেই অতীত থেকে আজও তাঁর প্রশ্ন যেমন ব্যাক্তির আশা জাগায় তেমনই শাসকশ্রেণীর অস্বস্থি বাড়ায়।সে শাসকদের তন্ত্র যাই হোক না কেন।গনতন্ত্রের এই সাত কাহন মনে পড়লো সুপ্রিম কোর্টের এক সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দেখে। এক সাম্প্রতিক মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত রাস্ট্রকে বলেছে পুলিশ বাহিনী কে বাক্ স্বাধীনতা সম্পর্কে শিক্ষিত করতে হবে। আইনসম্মত বিরুদ্ধ মত সজীব গনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ। দেশ জুড়েই এখন বিরুদ্ধ মত প্রকাশের অধিকার যে সচল গনতন্ত্রের অন্যতম চালিকা শক্তি তা অস্বীকৃত হচ্ছে । এই সংক্রান্ত এক মামলায় তাই সুপ্রিম কোর্ট মনে করিয়ে দিয়েছে প্রচলিত আইনের গন্ডির মধ্যে থেকে রাস্ট্রের সমালোচনা কোনো অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে ই এখন জাতীয় ভাবাবেগ, জাতীয় সুরক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সংহতি বিপন্ন হওয়ার দোহাই দিয়ে বিতর্ক ও বিরোধী মত রুদ্ধ করা হচ্ছে। এই সময় সুপ্রিমকোর্টের এই রায় দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করবে বলে অনেকেই মনে করছেন। সম্প্রতি মহারাস্ট্রের কোহলাপুরে এক অধ্যাপক তাঁর WhatsApp য়ে কাশ্মীরে ৩৭০ধারা বিলোপের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশের মানুষ কে শুভেচ্ছা জানান। এই কারনে রাস্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালত বলেছে ব্যক্তির বাক্ স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কে আমাদের পুলিশ বাহিনী কে শিক্ষিত করতে হবে। দেশের সংবিধানের ১৯-র ক ধারায় নাগরিকদের এই অধিকার দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত পুলিশবাহিনীকে শিক্ষিত করার নির্দেশ দিয়েছে তবে স্বাধীন মতের বিরুদ্ধে অসন্তোষ অনেক ক্ষেত্রে নিম্নআদালতে রায় এবং সুশীল সমাজের আচরণের মধ্যে ও দেখা যাচ্ছে। খেলার মাঠ, শিক্ষাঙ্গন থেকে সামাজিক পরিসরেও ভাবাবেগে আঘাতের ছুতোয় অশান্তি ছড়াচ্ছে। এখন খেলার মাঠে প্রতিপক্ষ দলকে সমর্থন করলে বা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কোনো সিনেমা দেখালে অথবা মাইকে আজান দিলে ভাবাবেগে আঘাত করছে বলে রব উঠছে। যারা এ স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন তাঁরা মানতেই চাননা যে এর ফলে সংবিধান যে বিরুদ্ধ মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে তা খর্ব হচ্ছে।আশা করা যায় রে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে পুলিশ বাহিনী কে শিক্ষিত করা হবে। এক ই সঙ্গে আশা করা যায় সুস্থ বিতর্ক এবং পারস্পরিক মতকে শ্রদ্ধা করার পরিবেশ ফিরে আসবে। তর্ক প্রিয় ভারতীয় অবয়বটা আবার স্পষ্ট হবে।

মার্চ ১২, ২০২৪
রাজ্য

মহারাষ্ট্রের সঙ্কট-ছায়া বাংলায় দেখছেন শুভেন্দু অধিকারী

মহারাষ্ট্রে মহাসঙ্কটে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে সরকারের। সরকার ভাঙার মুখে। সঙ্কটে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপিজোট। নির্বাচনে জোট হয়েছিল শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে। কিন্তু তারপর বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বিরোধীদের হাত ধরে সরকার গঠন করেছিল শিবসেনা। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি বাংলায় হবে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। রাজ্য দুবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। ওখানে সুপ্রিকোর্ট বলছে সব তো ২ মে-র পরের ঘটনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বলে মামলা। তাই ভাইপো ও ভাইপোর বউকে ডাকলো বলে মামলা। ওসব নাটক খাটবে না। এরপরই শুভেন্দু মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, দেখতে থাকুন। মহারাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে, ঝাড়খন্ড হবে এবার বাংলা হবে।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

Goldsmith : মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে গ্রেফতার মেমারির স্বর্ণশিল্পী

১২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনা চুরি করে এই রাজ্যে পালিয়ে আসার অভিযোগে এক স্বর্ণশিল্পীকে গ্রেপ্তার করলো মহারাষ্ট্র পুলিশ। ধৃতের নাম হরি বাগ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হরকালী গ্রামে তার বাড়ি। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ।পুলিশের দাবি, সোনা চুরির কথা ধৃত কবুল করেছে। সোমবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে মহারাষ্ট্র নিয়ে যাওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্থকারী অফিসার এদিন আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।আরও পড়ুনঃ ওভালে জিতে ইতিহাস কোহলিদের, সিরিজ জয়ের হাতছানিপুলিশ জানিয়েছে, মেমারির হরকালি গ্রামের হরি বাগ কাজের সন্ধানে বছর খানেক আগে মহারাষ্ট্রে যান। তিনি সেখানকার সাংলি জেলার লাঙ্গরতলে একটি সোনার দোকানে কাজ পান। পরে ওই দেকান থেকে ১০৬.৩৭০ গ্রাম সোনা চুরি যায়। সেই বিষয়ে দোকান মালিক বিজয় মারুতি খান্ডগেলে গত ১২ এপ্রিল সেখানকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তিনি জানান, অলঙ্কার তৈরির জন্য ওই সোনা হরি বাগকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, হরি সেই সোনা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। যে সোনার মূল্য ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বলে দোকান মালিক পুলিশকে জানান। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্র পুলিশ মেমারি পৌছে হরি বাগকে গ্রেপ্তার করে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

দীপু দাস খুনের পর অমৃত মণ্ডল, বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পদ্মাপারের দেশে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। একের পর এক হিন্দু যুবককে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই সময়েও হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তখনই ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক করেছিল।এবার ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়ি জেলায় অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে আরও এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই যুবক তোলাবাজি ও সন্ত্রাস চালাত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়েই বৃহস্পতিবার সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে ভারত আশা করছে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর প্রায় ২ হাজার ৯০০টির বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে ভারত।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

৪৬ মৃত্যুর দায় কার? নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর ঠিক আগেই ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসআইআর পর্বে রাজ্যে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তায়। তৃণমূলের দাবি, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এই মৃত্যুগুলির কারণ।তৃণমূল যখন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস রায় তৃণমূলের অভিযোগকে যুক্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করে। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? তাঁর বক্তব্য, কোনও মৃত্যু যদি আকস্মিক বা অন্য কোনও কারণে হয়, তা অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার দায় কোনও প্রক্রিয়ার উপর চাপানো যায় না।তাপস রায় আরও বলেন, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে অনেক ছাত্রছাত্রী চরম সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাঁর দাবি, একই যুক্তি এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও খাটে।উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই সব ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবার এবং শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত নোটিস ও আতঙ্কের জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিনই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে আরও এক মৃত্যুর খবর। পরিবারের দাবি, বাবার পদবির সঙ্গে ছেলের পদবি না মেলায় এসআইআর-এর নোটিস এসেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। একই রকমভাবে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও এক ভোটারের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য বরাবরই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফের সেই ইস্যুকেই সামনে আনল শাসকদল। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফে এই পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন তাপস রায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির আগে বড় মোড়, মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে স্পষ্ট কমিশন

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিন মতুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে সিএএ সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ধন্দ কাটল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেত্রেও সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লিঙ্ক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।এতদিন প্রশ্ন ছিল, মতুয়ারা কি নো ম্যাপিং ভোটারের আওতায় পড়বেন? আর পড়লে ২০০২ সালের কোন নথি তাঁরা দেখাবেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য থাকে, তাই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেটই লিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় এবার থেকে এই সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হবে।তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের পাশে বিজেপিই রয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শুধু আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠানো যাবে না। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, আগে নাগরিক হতে হবে, তার পরেই ভোট দেওয়ার অধিকার মিলবে।এই নির্দেশের পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ অনেকেই সিএএ-তে আবেদন করেছেন এবং তাঁদের মোবাইলে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট শুনানিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের প্রায় ৯০ শতাংশই শুনানির নোটিস পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল।এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। মর্যাদার সঙ্গে ভারতে থাকার অধিকার তাঁদের আছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য আরও কাজ করা হবে।এই সব কিছুর মধ্যেই শুনানির ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, সিএএ সার্টিফিকেট তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

“এখন যুদ্ধের সময়”—এসআইআর আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে চাঙ্গা করলেন অভিষেক

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর আগেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত নির্বাচনী সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এখন পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো। বৈঠকে তিনি বারবার যুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করেন এবং বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই চিহ্নিত করেন।অভিষেক বলেন, আগে মানুষ ঠিক করত কে সরকার গড়বে, আর এখন সরকার ঠিক করতে চাইছে কারা ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা নত করলে কেবল মায়ের কাছেই নত করব, আর কারও কাছে নয়।২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট আর খুব দূরে নয়। এসআইআর ঘিরে তৈরি হওয়া আবহেই কার্যত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের নির্বাচনের মডেলকেই সামনে আনতে চাইছেন অভিষেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি, একেবারে বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগএই কৌশলের উপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের উন্নয়নের সংলাপ কর্মসূচি। প্রায় ৮০ হাজার বুথে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন দলের কর্মীরা। বুথ স্তরে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা বলার মতো কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে।একদিকে যখন এই কর্মসূচি চলবে, অন্যদিকে সমান্তরালভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতেই এই দ্বিমুখী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।বৈঠকে অভিষেক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা হারছে এবং বিজেপি জিতছে। এই পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও শিথিলতা দেখালে বিপক্ষ সুযোগ নেবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এখন বিশ্রামের সময় নয়, এখন লড়াইয়ের সময়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ, পুলিশের দাবি খারিজ করে জামিন দিল আদালত

বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাতেও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সাত জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। শুক্রবার বাকি ১২ জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এই মামলায় ধৃত সকলেই আপাতত মুক্তি পেলেন।মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় আট জন পুলিশকর্মী আহত হন। হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশের অভিযোগ।এই ঘটনার পর মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেদিন আদালত ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শুক্রবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।এদিন আদালতে পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার প্রমাণ হিসেবে ইনজুরি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে।সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, একই সংগঠন ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এতে আবার অশান্তি ছড়ালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যে, হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই কাজে যোগ দিতে পারবেন না।তিনি আরও জানান, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরেও ঘটতে পারত বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমনকি শুক্রবারও একই সংগঠন ফের কর্মসূচিতে নেমেছে বলে দাবি করে পুলিশ।অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হলেও তার স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কোনও প্রমাণ আদৌ পুলিশ পেয়েছে কি না।সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১২ জন অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত, হোটেলে ‘নো এন্ট্রি’ বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের আবহে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার পর এবার অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সাধারণ মানুষও।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহ ও শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলবে হোটেলগুলিতে। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার কারণে যাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ছাড়ও তুলে নেওয়া হল। মেডিক্যাল ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদেরও আর হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।হোটেল মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে এবং কিছু মহল থেকে শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির মতো মন্তব্য করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে যা ঘটছে এবং যে ধরনের মন্তব্য সামনে আসছে, তার প্রতিবাদ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সংগঠনের অধীনে থাকা ১৮২টি হোটেল ছাড়াও আরও ৩০ থেকে ৪০টি হোটেল একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরও বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সেই একই পথে হাঁটলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বড় পদক্ষেপ, সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুনানি

রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ। শনিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুরু হবে শুনানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধাপে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ডাকা হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে মূলত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নো ম্যাপিং হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।শুনানির সময় ভোটারদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হবে। জমা দেওয়া নথি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সেগুলি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আটটি করে জায়গায় শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে এই শুনানি হবে।শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং এইআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা। একটি ভেন্যুতে এক দিনে সর্বাধিক ১৫০ জন ভোটারের শুনানি নেওয়া হবে। কলকাতায় বেলতলা গার্লস স্কুল, আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলে শুনানি হবে। এছাড়াও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, লরেটো ডে স্কুল, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লস, মৌলনা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল, ভবানিপুর গার্লস হাইস্কুল এবং হরিমোহন ঘোষ কলেজে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে শুনানি চলবে। তবে কোনও পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।শুনানিতে হাজির হওয়ার সময় ভোটাররা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্রও গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পেনশন পেমেন্ট কার্ড, ১৯৮৭ সালের আগে ইস্যু হওয়া পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র, জন্মের সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, মাধ্যমিক স্তরের সার্টিফিকেট, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নথি, রাজ্যের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। যেখানে এনআরসি চালু হয়েছে, সেখানকার শংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার, সরকারি জমির নথি বা বাড়ির দলিলও দেখানো যেতে পারে।নির্দিষ্ট দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ নেই। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারলে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

নতুন বছরের আগে চমক! গেরুয়া শিবির ছেড়ে মমতার দলে পার্নো মিত্র

নতুন বছর আসার আগেই রাজনৈতিক জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান অভিনেত্রী।দল বদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান, এই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড়দিন ছিল, আর শুক্রবার তাঁর কাছে আরও বড় দিনের মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন। সেই পথেই তিনি এগোতে চান দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।পার্নো স্পষ্ট করে জানান, ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছেন, যেভাবে তিনি ভেবেছিলেন সেভাবে বিষয়গুলি এগোয়নি। তাই নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, মানুষ ভুল করতেই পারে, কিন্তু সেই ভুল সংশোধন করাটাই আসল।২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তাপস রায়। তবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বর্তমানে বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।দলবদলের আগে থেকেই বিজেপি নিয়ে পার্নোর অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষই যে সিদ্ধান্তে রূপ নিল, তা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal